রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
৯ ভাদ্র ১৪৩২

কালিয়াকৈরে শ্রমিক মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, কারখানা বন্ধ

সোমবার সকালে নীট এশিয়া কারখানার সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন শ্রমিকরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৬:৪০
প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:০১

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় নীট এশিয়া নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় তার সহকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করছেন। বিক্ষোভ শুরুর আগে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে নীট এশিয়া কারখানার সামনে কয়েক হাজার শ্রমিক সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ওই কারখানায় তাদের ঢুকতে দেয়া না হলে শ্রমিকরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক হয়ে বিভিন্ন কারখানার সামনের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। এখন তারা নীট এশিয়া গ্রুপের আরেকটি প্রতিষ্ঠান মালেক স্পিনিং কারখানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, গত শনিবার নীট এশিয়া কারখানায় কাজ করার সময় একজন সুপারভাইজার ও শ্রমিককে মারধর করেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রোডাকশন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম)। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর কারখানার এক প্রসূতিকেও মারধর করেন ওই জিএম। কোনো কারণ ছাড়াই মাঝেমধ্যে শ্রমিকদের গায়ে হাত তোলেন তিনি। এ ঘটনায় রোববার কর্মবিরতি পালন করা হয়। সকালে এসে শ্রমিকরা শুনতে পান কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

নীট এশিয়া কারখানার শ্রমিক সোহান খান বলেন, ‘জিএম তার রুমে নিয়ে আমাদের লোকদের মারধর করেন। পরে মারধরের ঘটনায় গতকাল আমরা কর্মবিরতি দেই এবং বিচারের দাবি তুলি। আজ সকালে আমরা কারখানা গেটে গেলে তারা শ্রমিকদের ঢুকতে দেয়নি। তারা মৌখিকভাবে বলছে কারখানা ছুটি।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ তৃণমূল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘নীট এশিয়া লিমিটেড কারখানায় একজন শ্রমিককে মারধর করেছেন প্রোডাকশনের জিএম। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। পরে তারা নীট এশিয়া গ্রুপের আশপাশের কারখানাগুলো বন্ধ করার জন্য অবস্থান নেয়। শ্রমিকদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে।’

কালিয়াকৈর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘নীট এশিয়া কারখানায় শ্রমিক মারধরের ঘটনায় সকাল থেকে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থলে শিল্প ও জেলা পুলিশের সদস্যরা রয়েছেন।’

বিষয়:

কক্সবাজারে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য পরীক্ষার জন্য একটি পরীক্ষাগার স্থাপনের উদ্যোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য পরীক্ষার জন্য একটি পরীক্ষাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এতে দ্রুত মাদক সংক্রান্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত ও নিষ্পত্তি সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোমেন মন্ডল।

রোববার সকাল সাড়ে ১১ টায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে 'রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজার এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত টাস্কফোর্স’ এর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য। সোমেন মন্ডল এই টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মাদকের মূল ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে কক্সবাজারকে ব্যবহার করছে চক্রগুলো। এ কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে সদ্য গঠিত টাস্কফোর্স।

সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে পরিচালিত সাড়াশি অভিযানে গত এক মাসে জব্দ হয়েছে ২১ লাখের বেশি ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ, গাঁজা ও বিদেশি মদ। আটক হয়েছে শতাধিক কারবারি। সীমান্ত দিয়ে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে সবগুলো সংস্থা একসাথে কাজ করছে। গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান দুই দিকেই জোর দেওয়া হয়েছে।

টাস্কফোর্স বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা ও আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে মাদক নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হবে।


মহিপুরে একই রাতে তিন বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 

পটুয়াখালীর মহিপুরে একই রাতে তিন বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) মধ্যরাত আনুমানিক ৩টার দিকে মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আতিকুর রহমান মিলনের বাড়িসহ একই এলাকার আবুল হোসেন ও মহিউদ্দিনের বাড়িতে প্রায় ৬-৭ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হামলা চালায়। এসময় তারা পরিবারের সদস্যদের বেঁধে মূল্যবান মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা বশির উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ফরজের নামাজ শেষে মিলন ভাইয়ের বাসায় এসে দেখি গেট খোলা ও দরজার লক ভাঙা, সাথে সাথে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করি। বাড়ির মালিক চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রয়েছে।

বাবু নামের একজন জানান, রাত আড়াইটার দিকেও বাজারে নাইটগার্ড নিয়ে বাড়িটি ঘুরে দেখে আছি, তখনও সবকিছু ঠিকঠাক ছিলো।

ডাকাতির শিকার আতিকুর রহমান মিলন বলেন, আমরা স্ব-পরিবারে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থানকালে শনিবার মধ্যরাতের যেকোনো একসময় এ ঘটনা ঘটে। এসময় আমার বাসা থেকে নগত ৬ লাখ টাকা ৭ ভরি স্বর্ণালংকারসহ আনুমানিক ২২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

অন্য ভুক্তভোগী সোবাহান জানান, “আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাদের মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ৬ হাজার টাকা ও ৬ আনি ওজনের কানের ঝুমকা নিয়ে যায়। ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে চলে যান।

অপর ভুক্তভোগীর মহিউদ্দিন বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে ঘরের সিঁধ কেটে সাত আটজনের একটি ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে নগত ২ হাজার ৫'শ টাকা ও ৮ আনি ওজন একজোড়া কানের দুল নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান,একই রাতে টানা তিনটি বাড়িতে একই কায়দায় ডাকাতি। ইতোপূর্বে লতিফপুর আকন বাড়ির ডাকাতির ঘটনায় এখনো কোন সূত্র পাওয়া যায়নি। এনিয়ে অত্র এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদ হাসান বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দোষীদের সনাক্তের কাজ চলছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।


সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র‌্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।


হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান, জয়পুরহাট 

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।

এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।

গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।

বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।

আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।

গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।

আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


২ ইলিশ বিক্রি হলো সাড়ে ১১ হাজার টাকায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ধরা পড়েছে দুই রানি ইলিশ। বিশাল আকৃতির এই দুই ইলিশ নিলামে বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১১ হাজার টাকায়। গতকাল শনিবার প্রায় ৫ কেজি ওজনের মাছ দুটি চেয়ারম্যান ঘাট মৎস্য আড়তে তোলা হলে সেগুলো কিনে নেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী ফজল ভাণ্ডারী।

জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের রামগতির জেলে মো. বাহার উদ্দিন মেঘনা নদীতে ভোরে রাতে জাল ফেলেন। কয়েক ঘণ্টা পর সেই জাল তুলে আনেন। এ সময় বেশ কিছু ছোট ও মাঝারি ইলিশের সঙ্গে বড় আকারের দুটি রানি ইলিশ ধরা পড়ে। পরে মাছ দুটির দাম ভালো পেতে তিনি চেয়ারম্যান ঘাটের মাছ বাজারে নিয়ে আসেন।

জেলে মো. বাহার উদ্দিন বলেন, সাগরে পোয়া মাছ পাইছি, ইলিশ পাইছি। এর মধ্যে দুইটা বড় রানি ইলিশ পাইছি, যা ভালো দামে বিক্রি করছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব খুশি।

মৎস্য ব্যবসায়ী ফজল ভাণ্ডারী বলেন, আমি ৫ কেজি ওজনের দুটি মাছ সাড়ে ১১ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। ঢাকায় পার্টি আছে তাদের কাছে পাঠাব। এই মৌসুমে এত বড় ইলিশ ধরা পড়ে নাই। মাছ দুটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

চেয়ারম্যান ঘাটের আল্লার দান মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মো. আকবর ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা নৌকা নিয়ে পাড়ে অপেক্ষা করছেন। বর্তমানে মাছের আকাল রয়েছে। যার ফলে জেলে, ব্যবসায়ী, আড়তদার, শ্রমিক সবাই ঋণে জর্জরিত। কেউ মাছ পাচ্ছেন আবার কেউ কেউ পাচ্ছেন না। তবে মাছ পেলে সবার মুখে হাসি ফুটত।

হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, প্রায়ই বড় বড় মাছ পাওয়া যায় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। মৎস্য সংরক্ষণে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করায় নদীতে বড় আকৃতির মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করছি সামনে জেলেরা সাগরে বড় আকৃতির মাছ আরও বেশি বেশি পাবেন। যা জেলেদের মুখে হাসি ফোটাবে এবং বাজারেও সাড়া ফেলবে।


শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে পঁচিয়ে দিয়েছে: টুকু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজু আহমেদ ফুয়াদ, জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখন্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে হাসিনা এটাকে পঁচিয়ে দিয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণী বলার চেষ্টা করে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না। জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে দিবে, একজনকে ভোট দিবে, যাকে ভোট দিবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না পড়েও না বিশ্বাসও করে না।

শনিবার (২৩ আগষ্ট) শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপি এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরিফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এবারের সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।


সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে শিক্ষক হাওরে থাকতে চান না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেটেড ২৩ আগস্ট, ২০২৫ ২২:৪০
রাকিবুল হাসান রোকেল, স্টাফ রিপোর্টার-কিশোরগঞ্জ

সামজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে হাওর এবং চরাঞ্চলের দুর্গম এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা থাকতে চান না এবং তারা শহরে চলে আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, আমার বাড়ি হাওরে আমি সবই জানি। বিষয়গুলো নিয়ে আমি পরিষ্কার। এটা শুধু হাওরের সমস্যা না। সব জায়গাতেই চরাঞ্চলে শিক্ষকেরা থাকতে চায় না এবং তারা শহরে আসতে চায়। এই বিষয়টি সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা শুধুমাত্র যদি আমাদের সমস্যা হতো তাহলে সমাধান করা যেতো। আমাদের নিয়ম কি? আমাদের নিয়ম হচ্ছে শিক্ষকেরা উপজেলাতে নিয়োজিত হবেন, যেখানে চাকরি পাবেন সেখানে থাকবেন। কিন্তু বদলির বিষয়গুলো কোথা থেকে আসে? উপর থেকে আসে। তদবিরগুলো কোথা থেকে আসে? উপর থেকে আসে। উপর থেকে আসে সমস্যাগুলো। এগুলো কিসের সমস্যা? এগুলো আমাদের সামাজিক সমস্যা, আমাদের রাজনৈতিক সমস্যা। বিষয়টি জটিল উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এগুলোকে যতটুকু সম্ভব কাটিয়ে উঠার জন্য চেষ্টা করছি। আমরা বরাবরই চাই হাওরে শিক্ষকেরা থাকুক। কিন্তু বিভিন্নভাবে বিষয়গুলো হয় না।

সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণও একই গ্রেডে আছে, এক্ষেত্রে প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার জন্য এটিইওদের গ্রেড উন্নয়নে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই একই গ্রেডের কর্মকর্তারা রয়েছেন। যারা নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা। কলেজগুলোতে যান যেখানে প্রিন্সিপাল এবং প্রফেসররা একই। মেডিকেল কলেজে যান সেখানেও একই। এমন অনেক জায়গাতেই রয়ে গেছে। ফলে এইটা হলেই যে করা যায় না এটা ঠিক না। এটা হচ্ছে আমার অবস্থান। দুই নাম্বার অবস্থান তাদের গ্রেডের উন্নতি প্রয়োজন কিনা? অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ তারা দশম গ্রেডে ঢুকছেন তাদের তো পদোন্নতি প্রয়োজন। সুতরাং তাদের গ্রেড উন্নতি করা প্রয়োজন। আমি মনে করি এটা প্রয়োজন। আমরা সেজন্য কতৃপক্ষের কাছে লিখছি যে তাদের গ্রেডের উন্নতি করা হউক। উন্নতি না হলেই চেইন অফ কমাণ্ড ভেঙে যাবে এটি আমরা ঠিক মনে করি না।

মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অভিভাবকদের আর্কষণ করার জন্য। এটা তাদের ব্যবসা। আর অভিভাবকরা মনে করে সরকারি বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করলে প্রেস্টিজ চলে যাবে। অনেক কিছু চলে যেটা সংবিধান বা আইন মেনে চলে না। কিন্তু আমাদের অবস্থান কি সেটা জানা আমাদের কর্তব্য। আমাদের সংবিধান বলে শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার। আমরা একটা আইন করেছি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা। অর্থাৎ দেশের প্রত্যেকটা শিশু অবৈতনিক শিক্ষা পাবে। এজন্য অভিভাবকরা প্রত্যেকটা শিশুকে এটা গ্রহণ করাতে বাধ্য। আমাদের শিশুদের ছোট বেলা থেকেই বিভিন্নভাবে ভাগ করে ফেলছে। আমাদের যাদের অর্থের অভাব নেই তারা দামি দামি স্কুল খুললাম। আমাদের যারা নীতিনির্ধারক তাদের সন্তানেরা পড়ছে দামি স্কুলে। সাধারণ মানুষের সন্তানেরা পড়ছে সরকারি স্কুলে। ফলে সরকারি স্কুল, অবৈতনিক স্কুল যে মনোযোগ পাওয়ার কথা তা পায় না। সেজন্য আমাদের শিক্ষাখাতে বরাদ্দের প্রয়োজন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা বলেন, জেলায় ৮০৫ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিহীন রয়েছে। অহেতুক কারন দেখিয়ে যেন কেউ প্রশিক্ষণ থে‌কে‌ বিরত না থা‌কেন। নির্বাচন ব্যতীত অন্যান্য দায়িত্ব যেনো পালন করতে না হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি। প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড পে‌য়ে‌ছেন। এতে আপনা‌দের প্রতিও রা‌ষ্ট্রের চা‌হিদা বে‌ড়ে‌ছে, সে‌দিক‌টি খোয়াল রাখ‌তে হ‌বে। সহকা‌রি শিক্ষক‌দেরও মূল‌্যায়ন করা প্রয়োজন। স্কুল ফি‌ডিং কার্যক্রম চালু হ‌বে ১৮০‌টি স্কু‌লে। খা‌দ্যের মান নি‌য়ে প্রশ্ন উঠ‌লে নমুনা সংগ্রহ ক‌রতে হবে। খাদ্যের নমুনাতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ কর‌তে হ‌বে। ইউপিইটি‌সি ইন্সট্রাক্টররা ম‌ডেল স্কু‌লে স‌ঠিকভাবে ম‌নিট‌রিং ক‌রে না। পি‌টিআই'র ইন্সট্রাক্টরদেরও এ কা‌জে লাগা‌তে হ‌বে। প্রাথ‌মি‌কের সকল শূন‌্যপ‌দ পূর‌নের বিষ‌য়ে দ্রুত ব‌্যবস্থা নেয়া হ‌বে। বিদ্যালয়ের জ‌মি সংক্রান্ত মামলা জট কমানোর জন‌্য জেলা প্রশাসক ব‌্যবস্থা নি‌বেন ব‌লে তিনি আশা ক‌রেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমাদের এই মূহুর্তে কিন্তু শিক্ষকদের শূন্য পদের সংখ্যা বেশি নয়। সাড়ে ১৩ হাজার পদ শূন্য। আমরা আশা করতেছি এই মাসের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিব এবং ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করব। জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলাতেই মিড ডে মিল চালু আছে।

এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এনডিসি (পলিসি এন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত উপস্থিত ছিলেন।


বরগুনা জেলার তিন আসন ফেরত পাওয়ার দাবিতে আমতলীতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসরিন সিপু, বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনা জেলার তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে আমতলীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ সড়কে সহস্রাধিক মানুষ এতে অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে তিনটি সংসদীয় আসন ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান।

জানা গেছে, ছয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত উপকূলীয় বরগুনা জেলার আয়তন ১,৮৩১.৩১ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার। স্বাধীনতার পর থেকে এ জেলায় বরগুনা-১, বরগুনা-২ এবং বরগুনা-৩ নামে তিনটি আসন ছিল। পায়রা ও বিশখালী নদীর ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় বিভক্ত এ আসনগুলো ২০০৮ সালের ১০ জুলাই তৎকালীন ১/১১ সরকার সমর্থিত নির্বাচন কমিশন দুইটি আসনে সংকুচিত করে। বর্তমানে বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী উপজেলা মিলে বরগুনা-১ আসন এবং পাথরঘাটা, বেতাগী ও বামনা উপজেলা নিয়ে বরগুনা-২ আসন গঠন করা হয়। এতে জেলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে আসছে বলে অভিযোগ ওঠে।

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন খসড়া গেজেট প্রকাশ করলেও বরগুনায় তিনটি আসন পুনর্বহালের উদ্যোগ নেয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ১০ আগস্ট ১৩০ জন ব্যক্তি লিখিত আপিল করেন। আগামী ২৫ আগস্ট এ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক অ্যাডভোকেট মজিদ মল্লিক, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মামুন (ভিপি) , সদস্য সচিব তুহিন মৃধা, এনএসএস নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন পান্না, প্রেসক্লাব সভাপতি রেজাউল করিম বাদল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির ফকির, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন মামুন, সৈয়দ আসাদুজ্জামান কাওসারসহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।

বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য ও বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব অ্যাডভোকেট খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সাবেক এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, “সুষম উন্নয়ন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর সংসদে পৌঁছানো এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও নদী ভাঙন প্রতিরোধে বরগুনায় তিনটি আসন পুনর্বহাল জরুরি।”

সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মজিদ মল্লিক বলেন, “ভৌগলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন বরগুনার তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”


বদলগাছীতে রাত পোহালেই নতুন চুরির খবর, আতঙ্কে উপজেলাবাসী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি

বর্তমানে চুরি আতঙ্কে রয়েছে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলাবাসী। এই উপজেলায় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে চুরির ঘটনা। চোরেরা সুযোগ বুঝে এক রাতেই ৩-৪ টি জায়গায় চুরি করছে অনায়াসে।

সর্বশেষ শুক্রবার ২২আগষ্ট উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় সিদ্দিকের ফিডের দোকানে চুরি করতে এসে এক চোর আটক হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে রাতে আরো তিন জন চোরকে আটক করে পুলিশ।

এর আগে গত বুধবার একই রাতে তিনটি দোকান ও একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। আর এভাবেই গত ২৮-০৭-২৫ থেকে এখন পর্যন্ত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৫টি চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এসব চুরি আবার বেশি হচ্ছে খোদ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বাজার, দোকানপাট থেকে। এছাড়া বাদ যাচ্ছে না গ্রামীণ বাড়িঘর। এ অবস্থায় নিরাপত্তায়হীনতায় আর হতাশায় দিন কাটছে উপজেলার মানুষের। দেখা দিয়েছে চুরি আতঙ্ক।

স্থানীয়রা বলছেন চুরির মালামাল উদ্ধার ও চোরদের আটক না করায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা। আবার হঠাৎ করে চুরি বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন নেশার টাকা জোগাড় ও পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের অভাব।

আর থানা পুলিশ বলছে চুরির রহস্য উৎঘাটনসহ চোরকে ধরার চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিনিয়ত কারো না কারো মূল্যবান জিনিস চুরি করছে চোরেরা। কখনও কারো বাড়ির গরু-ছাগল চুরি হচ্ছে, কখনও গভীর নলকূপের ট্র্র্র্র্র্র্যান্সফরমার চুরি, কখনও পাওয়া যাচ্ছে দোকান চুরির খবর। আবার কখনও বাড়ির গেট থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। যেন চোরদের চুরির নিরাপদ উপজেলায় পরিণত হয়েছে।

এখন চায়ের দোকান মূখর হয় চুরির খবরে। পুলিশ যেন নির্বেকার, কোন ভাবেই চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। করতে পারছে না রহস্য উৎঘাটন। তাই পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ভূক্তভোগীরা।

জানা যায়, গত ২০ আগষ্ট একই রাতে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শরিফুলের মুদি দোকান, উপজেলার মোড়ে সোহাগের চায়ের দোকান, বাজার এলাকায় মাসুদের মুদি দোকান এবং হটাৎপাড়া এলাকার মজিদুলের বাড়ির ওয়াটার পাম্প চুরি হয়।

এর আগে গত ১০ আগষ্ট রাতে বাজার এলাকার সবচেয়ে বড় মুদি দোকান লিটন ভ্যারাইটি ষ্টোরের ইটের ১০ ইঞ্চি দেয়াল ভেঙে দোকানে চুরি। এর দুই দিন পর বাজারের আরেক বড় মুদি দোকান ফারুক ষ্টোরের উপরের টিন খুলে মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।

এছাড়া গত ৭ আগষ্ট সবজি দোকানদার সুমন হোসেন তার পালসার মোটরসাইকেলটি দুপুরে বাড়ির দরজার সামনে রেখে ভাত খাচ্ছিলো। পরে এসে দেখে মোটরসাইকেল নেই, চুরি হয়ে গেছে।

গত ২৮জুলাই উপজেলার খাদ্যগুদামের সামনে সার্থক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক সানজাদ রয়েল সাগরের সিনজেনটা দোকানের ইটের দেয়াল ভেঙে মালামাল চুরি হয়।

এর ৩-৪ দিন পর মথুরাপুর ইউপির সদস্য পরিমল চন্দ্রের বাড়ির লোহার গ্রিল কেটে মোটরসাইকেল ও গরু চুরির ঘটনা ঘটে।

এভাবেই গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৩৫ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী চুরি হয়েছে উপজেলার মোড় ও বাজার এলাকায়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সানজাদ রয়েল সাগর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,“দোকান ভেঙে নগদ টাকা আর মালামাল নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আমার চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ তো গভীর ঘুমে বিভোর। দেখি কবে পুলিশের ঘুম ভাঙে।”

আরেক ভূক্তভোগী সবজি ব্যবসায়ী সুমন হোসেন বলেন,“আমার মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার পর থানায় গিয়েছি জিডি করার জন্য। পুলিশ জিডি না নিয়ে অভিযোগ দিতে বলে। সেই মোতাবেক অভিযোগ লিখে আমি ওসির কাছে জমা দিতে গেলে ওসি আমাকে বলেন“ আপনার কাছে যদি এক লাখ টাকা থাকে বাহিরে রাখবেন, টাকা আর গাড়ী একই জিনিস। গাড়ী বাড়ির বাহিরে রাখলেন কেন? এখন চুরি হয়েছে সব দোষ পুলিশের হবে।”

মুদি ব্যবসায়ী শরিফুল হোসেন বলেন,“ যেভাবে দিনের পর দিন চুরি হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে আমরা কিভাবে ব্যবসা করবো।”বারবার চুরির ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ জমছে। মানুষ প্রশ্ন তুলছে চোরদের লাগাম টানবে কে? এভাবে চলতে থাকলে বদলগাছীর শান্ত পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। কোন কোন গ্রামে চুরির ভয়ে মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে না। কেউ ঘুমাচ্ছে ঘরের উঠানে,আবার কেউ টর্চ লাইট হাতে পাহারা দেন। চোরের ভয়ে অস্থির জনজীবন।

এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, চুরির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে, আমরা চোরকে ধরতে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত কোন চুরির ঘটনার রহস্য উৎঘাটন বা চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার হয়েছে কি/না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালামাল উদ্ধার হয়নি,তবে আমরা আশাবাদী চোর সহ চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার হবে খুব নিকটে। চার জন চোর আটক আছে। আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।


জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে: জি কে গউছ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রায়হান আহমেদ, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার তিন বারের সাবেক মেয়র জি কে গউছ বলেছেন, আমার পূর্বে হবিগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির কোনো মেয়র নির্বাচিত হননি। আমি ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে তিন বার হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। ভোট চুরি না হলে আমি সদরের এমপি ছিলাম। দল যখন যেভাবে চেয়েছে আমি সেইভাবেই দায়িত্ব পালন করেছি। দলের নেতাকর্মীদের আগ্রহে এবং অনুরোধে আমি হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শুক্রবার রাতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী সফল করতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গউছ বলেন, জেলা বিএনপির সম্মেলন ৬ সেপ্টেম্বর। বিএনপি যারা করেন, যারা রাজপথে রক্ত দিয়েছেন, শরীরের ঘাম ঝড়িয়েছেন, আন্দোলন করেছেন, তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন কারা প্রার্থী হবেন, আর কাদেরকে তারা ভোট দিবেন। কিন্তু মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হলে বুঝতে হবে সামথিং ইজ রং। দুষ্ট লোকের দুষ্টামি কখনো বন্ধ হয় না। দুষ্ট লোকেরা ঘিয়ের মধ্যেও কাটা বাছতে শুরু করে। তাদের কাজই হচ্ছে ভালো কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা, তারা বিএনপির কউন্সিলকে নিয়ে গুজব রটাচ্ছে, মিথ্যাচার করছে, তাদের বিষয়ে সকলকে সর্তক থাকতে হবে। তারা মূলত আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের এমপিরা পালিয়েছে, সাথে শত শত কোটি টাকা নিয়ে গেছে। এসব টাকা বিএনপির সামনের সারির নেতাদের চরিত্রে কালিমা লেপন করতে খরচ করা হচ্ছে। এটা বিএনপি নেতাকর্মীদের মাথায় থাকতে হবে।

জি কে গউছ বলেন, জোর জবরদস্তি করে মানুষের মন জয় করা যায় না। জোর করে মানুষের দোয়া, ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তাই জনগণ বিরক্ত হয় এমন কাজ যেন আমরা কেউ না করি। কারণ জনগণের ভোটের মাধ্যমেই আমাদেরকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হবে।

পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়ালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মুহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন প্রমুখ।


কনে দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবে দুজন নিখোঁজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে শামসুদ্দিন ও নুসরাত নামে দুজন নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ধারাম হাওরে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাদের খোঁজ মিলেনি।

ওইদিন সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া থেকে জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেশপুরে বিয়ের জন্য কনে দেখতে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে ৭ জন রওনা দেন। নৌকাটি ধারাম হাওরে গেলে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় চালকসহ ৫ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও ষাট বছর বয়সী শামসুদ্দিন ও সাত বছর বয়সী নুসরাত নিখোঁজ হয়। শামসুদ্দিন সদর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে ও নুসরাত কান্দাপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দুজনকে মূমুর্ষূ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরি দল এসে পৌঁছেছে। তারাও উদ্ধার কাজে অংশ নিবে।


অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য- উপাচার্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা আজ ২৩ আগস্ট ২০২৫ শনিবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন কলা অনুষদের সাবেক ডিন ও কারা নির্যাতিত তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্যগতভাবেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ যখন উচ্চারিত হয়, তখন তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি মানুষের গভীর বিশ্বাসেরই প্রতিফলন।

২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট স্মরণ করে উপাচার্য সেই সময় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমরা সবসময় দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ থেকেছি। এ ঐতিহ্যের দায় আমাদের সবার। ভবিষ্যতেও যদি একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়, ডাক পড়লে আমরা আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করব।

সেনাবাহিনী ও পুলিশকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে উপাচার্য আরও বলেন, তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা পরাস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যার যার জায়গা থেকে দেশের জন্য কাজ করব।

সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় যাঁরা আন্দোলন করেছেন তাঁদের আমরা স্মরণ করছি। শিক্ষকরা আন্দোলনে সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাল হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই সকল অংশীজনের পরামর্শে এগিয়ে গেছে এবং এই চর্চা অব্যাহত থাকবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ২০০৭ সালের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদার ওপর আঘাত এসেছিল। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি দেশের মানুষের ছিল প্রবল আকাঙ্ক্ষা ।

তিনি বলেন, তখন দেশের মানুষ সবচেয়ে বড় সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দিকে তাকিয়ে ছিল। আমরা আন্দোলন করেছি এবং দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আজকের আয়োজন হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠায় যারা আন্দোলন করেছেন তাদের স্মরণ করার অনুষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের স্বকীয়তা না থাকলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন সম্ভব নয়। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা গ্রেফতারকৃত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।


নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে দুই দিনের মুমূর্ষু নবজাতককে রক্ষা করলো কোস্ট গার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শুক্রবার ২২ আগস্ট ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২১ আগস্ট ২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার রাতে জনৈক এক মা তার মুমূর্ষু দুইদিনের নবজাতককে কৃত্রিম অক্সিজেন সহকারে উন্নত চিকিৎসার জন্য 'এম ভি মিতালী-০৭' লঞ্চ যোগে ভোলার ইলিশা হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি আজ শুক্রবার ভোর ৪ টায় ফতুল্লা লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে অক্সিজেন সিলিন্ডার খালি হয়ে যায়। এতে উক্ত নবজাতকের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে এবং জীবনের ঝুঁকি দেখা দেয়। তৎক্ষণাৎ একজন নিকট আত্মীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে সহায়তা চাইলে, কোস্ট গার্ড অবগত হয়।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা হতে একটি মেডিক্যাল টিম তৎক্ষণাৎ একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ হাই স্পিড বোট যোগে উক্ত লঞ্চে গমন করে। অতঃপর মেডিকেল টিম নবজাতককে দ্রুত অক্সিজেন প্রদান করে এবং উক্ত লঞ্চ যোগে সদরঘাটে নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতককে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ধানমন্ডি মা ও শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জনসেবায় কোস্ট গার্ডের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।


banner close