মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

মিয়ানমারের যুদ্ধবিমানের ২ গোলা পড়ল বান্দরবানে

মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া মর্টার শেল। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৫৯

মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ২টি গোলা এসে এবার বাংলাদেশের মাটিতে পড়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় গোলা দুটি পড়ে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু’র উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। এ ঘটনায় গত সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক গোলা পড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে যথাযথ সতর্ক অবস্থায় আছে এবং জেলার সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১-এর মাঝামাঝি স্থানে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার টহল দেয়। সে সময় তাদের যুদ্ধবিমান থেকে ৮ থেকে ১০টি গোলা ছুড়ে এবং হেলিকপ্টার গানশিপ থেকেও ৩০ -৩৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলা ২টি পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

গত ২৮ আগষ্ট বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের ওপারে ওয়ালিদং ও কক্যদইঙ্গা পাহাড়ে বিমান এবং হেলিকপ্টারে বোমা-মর্টার শেল হামলার পর পর মিয়ানমারের পুরোনো রাজধানী ম্রারাউক-উ টাউনশিপের লাক্কা গ্রামেও আরাকান আর্মি (এএ) ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। পৃথক বোমা হামলা ও গোলাগুলির ঘটনায় ওয়ালিদং পাহাড়ে ১০ জন (এএ) সদস্য ও ম্রারাউক-উ টাউনশিপের লাক্কা গ্রামে ৩ জন গ্রামবাসী এবং ৩ জন সেনাবাহিনীর সদস্য নিহত হয় বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে। ওয়ালিদং পাহাড়ে গুলিবিদ্ধ এএ সদস্যদের নিজস্ব চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর থেকে মূলত বাংলাদেশ সীমান্তে ২টি মর্টারশেল পড়ার কারণে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘আজ সকালে ফের দুটি গোলা এসে আমাদের অভ্যন্তরে পড়েছে, এতে দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।’


নোয়াখালীতে নতুন আরেকটি গ্যাসকূপের খনন উদ্বোধন

প্রতিদিন গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ওয়াছেকপুর গ্রামে নতুন গ্যাসকূপের (বেগমগঞ্জ-৪) আনুষ্ঠানিক খনন কাজের উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কূপটির খনন কাজ শুরু করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত মার্চ মাসে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের আওতাধীন ৩ নম্বর কূপের (চর কাঁকড়া) খনন শেষে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। ওই কূপটি থেকে গ্যাস উত্তোলনের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা কার্যক্রম এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। শিগগিরই ওই কূপটি থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হবে। কর্মকর্তারা আশা করছেন ওই কূপ থেকেও প্রতিদিন গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্পের আওতায় এই কূপটি খনন করা হচ্ছে। বাপেক্সের প্রকৌশলী ও শ্রমিকসহ দুই শতাধিক ব্যক্তি এই খনন কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এর আগে ২২ এপ্রিল কূপ খননের স্থানে ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়েছে। ১২০ দিন চলবে এই খনন কাজ।

নতুন কূপের খনন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (খনন) প্রকৌশলী গাজী মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, মহাব্যবস্থাপক (প্রকৌশল) প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান ও মহাব্যবস্থাপক (ভূতাত্ত্বিক বিভাগ) শামসিয়া মুকতাদিরসহ বাপেক্সের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য আগেই ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩ হাজার ২০০ মিটার পর্যন্ত খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কূপটির চারটি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোন থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা করা হচ্ছে। উত্তোলন করা গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
বা
পেক্স কর্মকর্তারা জানান, দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করতে বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। যার অংশ হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম গ্যাসের সন্ধানে প্রথম কূপ খনন করা হয়। এরপর ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় আরেকটি কূপ খনন করা হয়। দুটি কূপের কোনোটিতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যায়নি। পরে ২০১৩ সালে তৃতীয় আরেকটি কূপের খনন শেষে সেখানে কাঙ্ক্ষিত গ্যাস পাওয়া যায়। পরে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়। ওই কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।


কক্সবাজারে চক্ষু চিকিৎসা শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ রোগী নিহত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:৪৭
আনোয়ারা ও বাঁশখালী চট্টগ্রাম (প্রতিনিধি)

কক্সবাজারের বাঁশখালী এলাকায় বাইতুশ শরফ হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসা শেষে ফেরার পথে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ রোগী নিহত ও অনেক রোগী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ি এলাকায় কক্সবাজারগামী শ্যামলী পরিবহন এর সঙ্গে কক্সবাজার থেকে চকরিয়াগামী মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজন এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুজন পুরুষ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন- ৭নং ওয়ার্ড বাহারছড়া ইলশা পুরাতন বাড়ি গ্রামের আবু আহমেদ। ৮নং ওয়ার্ড বাহারছড়া পশ্চিম ইলশার মাহমুদা বেগম। খানখানাবাদ চৌকিদার বাড়ি ডোংরা গ্রামের সায়রা খাতুন। খানখানাবাদ ৬ নং ওয়ার্ডের কুফিয়া ডোংরা গ্রামের দুলা মিয়া। মালুমঘাট হাইওয়ে থানাতে পরিচয় অজ্ঞাত খদিজা বেগম।

কক্সবাজার সমিতি বাঁশখালীর সদস্য রায়হান উদ্দীন ও মঈনুদ্দিন রানা জানান, আহত অনেকের অবস্থা এখনো আশংকাজনক। এই ঘটনায় বাঁশখালীর স্বজন হারানো মানুষের আর্ত চিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতাল স্থান। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তারা।

কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা সহায়ক কর্মকর্তা নেছার আহমদ জানান, বাঁশখালীর ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে মাইক্রোতে করে রওয়ানা দিয়েছেন। পথিমধ্যে ঈদগাঁও এলাকায় তারা দূর্ঘটনায় কবলিত হয়েছেন। আমাদের চক্ষু হাসপাতালের একটি টিম ঘটনাস্থলে যান এবং উদ্ধার সহায়তায় কাজ করেন।

ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দু’পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুটে যান ও যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে তিনজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজন মারা যায়।’


চুয়াডাঙ্গায় ৯ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

তীব্র গরমে ছাতা হাতে ভ্যান চালাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৩১
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

তাপমাত্রার আগের সব রেকর্ড ভেঙে আজ সোমবার চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বিকেল ৩টার দিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখানে রেকর্ডে করা হয় বলে জানিয়েছে চু্য়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

বৈশাখের টানা খরতাপে জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টানা দাবদাহে ওষ্ঠাগত এ জেলার মানুষ। দিন রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য থাকছে কম। দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদ আর সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরম নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে। সকাল থেকে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সাথে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ।

বেলা ১২ থেকে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। দুপুরে মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। চলমান দাবদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবিরা।

আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

চু্য়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরের ভ্যানচালক খোরশেদ আলম বলেন, ‘এই গরমে খুব কষ্ট হচ্চি (হচ্ছে)। ঘন ঘন পানি তিষ্টা (তৃষ্ণা) লাগচি (লাগছে)। গরমে মানুষ রাস্তায় বের হচ্চি (হচ্ছে) না। তাই ভাড়াও কমি গিচে (কমে গেছে)।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ল চুয়াডাঙ্গা। এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।’


কুমিল্লায় স্কুলগুলোতে পানিঘণ্টা চালু

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:৪৫
কুমিল্লা প্রতিনিধি

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই গতকাল রোববার থেকে স্কুল, কলেজে ক্লাশ শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান পানিঘণ্টা চালু করেছেন।

প্রচণ্ড গরমে শিশুদের সুস্থ রাখতে প্রতিটি ক্লাশ শেষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে।

কুমিল্লা নবাব ফয়জুনেচ্ছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার বলেন, ‘সকাল থেকেই ক্লাশ শুরু হয়েছে। প্রতি ৪৫ মিনিট পরপর আমাদের ক্লাশ শেষ হয়। তারপর পানিঘণ্টা বাজানো হয়। সে সময় শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করে। ছোট শিশুরা অনেক বেশি চঞ্চল। তা ছাড়া এই গরমে তারা ঠিকমতো পানি পানের গুরুত্বও বোঝে না। ফলে গরমে শরীর পানিশূন্য হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। পানিঘণ্টা বাজলে সব শিশু একসঙ্গে পানি পান করতে শুরু করে। এতে বেশ একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং বাচ্চারাও আনন্দ পায়।’

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা মুস্তাফা জানান, তিনি কুমিল্লা নগরীর স্কুলগুলোতে খোঁজ নিয়েছেন। সকাল থেকে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের পানি পানের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। শিশুরাও এ ব্যাপারে বেশ উৎসাহী।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীরা যেন অসুস্থ হয়ে না পড়ে সেজন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর তাদের পানি পানের ব্যবস্থা করার জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছি। সকাল থেকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খবর নিয়েছি। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিবার ক্লাশ শেষে পানি পান করছে।’


গাজীপুরে আঙুর চাষে বাজিমাত সবুজের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মোতাহার খান, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুরে নিজ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা সবুজ। তিনি ইউটিউবে আঙুর চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হন। পরবর্তীতে পরিকল্পনা করেন বাড়ির আঙ্গিনার পতিত জায়গায় আঙুর চাষ করার। ২০ শতাংশের জমিতে প্রথমে ২৫টি আঙুরের চারা রোপণ করেন। শুরু করেন আঙুর চাষ, প্রথমবারেই এ ফল চাষে বাজিমাত করেন সবুজ ।

এদিকে আঙুর চাষে তার সফলতা দেখে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার মানুষ আঙুর বাগান দেখতে আসছেন। এমন বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন নতুন নতুন উদ্যোক্তা।

থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর। দুই পাশে সারি সারি গাছে ধরেছে আঙুর, মাথার ওপর বাঁশের মাচায় ঝুলছে সবুজ আঙুর। একেক থোকায় শ-খানেক আঙুর। শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর পশ্চিমপাড়া গ্রামের সবুজের বাগানে ফলেছে মিষ্টি আঙুর। সাড়া ফেলে দিয়েছেন তরুণ ওই কৃষক।

এ অঞ্চলের মাটিতে আঙুর চাষ করতে দেখে একসময় যারা সবুজকে নিয়ে উপহাস করেছিলেন; এখন তারাই হতবাক হয়ে তার গুণগান করছেন।

২০২৩ সালে প্রথমবার ঝিনাইদহের মহেশপুরের জগিহুদা গ্রামের আব্দুর রশিদের কাছ থেকে প্রতি পিস ৫৫০ টাকায় ভারতীয় সুপার সনিকা জাতের ২৫টি চারা কিনে আনেন। শুরু করেন আঙুর চাষ, তবে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। তাই বলে আশাও ছাড়েননি। তারপর মিলে কাঙ্ক্ষিত সফলতা। রোপণের এগারো মাসের মধ্যে গাছে ফল আসা শুরু করে। সবুজ আঙুর চাষের পাশাপাশি চারা উৎপাদনও করছেন। তার আঙুরের বাম্পার ফলন দেখে আশপাশের কৃষকরাও ভীষণ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। স্থানীয় বিভিন্ন নার্সারির মালিক ও ব্যক্তি তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করতে আসছেন। তিনি প্রতিটি আঙুরের কলম চারা মাত্র ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

সবুজ জানান, প্রথমবার ১১ মাসের মাথায় গাছগুলোয় আঙুর ধরেছে এবং ৩ থেকে ৪শ কেজি ফল পাওয়ার আশা করছেন। গাছে প্রচুর পরিমাণ ফল হয়েছে। এ আঙুর গাছে ৩০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। আঙুর গাছ ৮ ফুট দূরত্বে লাগানো হয়েছে। এ গাছ লাগানোর আগে জমি প্রস্তুত করে প্রতিটি গর্তে পাঁচ কেজি বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করেছেন। ৩ ফুট গর্ত করে ইটের গুঁড়া, মোটা বালু ও জৈব সার মাটির সঙ্গে মিশ্রণ করে দিয়েছেন। প্রতিটি গাছের গোড়া মাটি দিয়ে উঁচু করেছেন, যাতে পানি না জমে। আঙুর গাছ যাতে দ্রুত লম্বা হতে পারে তার জন্য উঁচু করে সিমেন্টের খুঁটি এবং বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করেছেন। ফলে ঝড়-বৃষ্টি এলে গাছ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা কম থাকে।

সবুজ নিজের আঙুর বাগানকে উপজেলার একমাত্র বাগান দাবি করে আরও বলেন, ‘আশা করি এ বছর ভালো ফল পাব। সাধারণত ৮০-৮৫ দিনে ফল খাওয়ার উপযোগী হয়। এখন যে ফল দেখছেন, তা আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে খাওয়া যাবে। সবচেয়ে বড় কষ্টের বিষয় হলো, এর চাষ যখন শুরু করি; তখন আশপাশের মানুষ বিভিন্নভাবে উপহাস করতে থাকে। অনেকে পাগলও বলেন।’

তিনি বলেন, ‘দোকানে তো বসতেই পারতাম না। এখন আমার আনন্দ ধরে না। প্রতিদিন আঙুর দেখার জন্য অনেকের সাক্ষাৎ মিলছে। আশা করি এ বছর অনেক লাভবান হতে পারব। কোনো মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা পাইনি। এখন স্থানীয় কৃষি অফিসসহ সব সময় মানুষ পাশে থাকছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে এখন আর তেমন বেশি খরচ নেই।

স্থানীয়রা জানান, আঙুর বাগান নিয়ে সবুজ প্রচুর খাটাখাটনি করেন। প্রচণ্ড খরায়ও বাগানে ২ ঘণ্টা পানি দেওয়ার কাজ করেন। সবুজ একাই বাগানে কাজ করতেন। তার স্ত্রী তাকে মাঝেমধ্যে সহযোগিতা করেন। আঙুর বাগান করে এবার তিনি লাভবান হবেন।

শ্রীপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা দৈনিক বাংলাকে বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সার ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবস্থাপনা এবং বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আরও বৃহদাকারে শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সবুজ এখানে জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়াই আঙুরের চাষ করছেন।


গোয়ালন্দে বেপরোয়া মাটি বালু ব্যবসায়ী চক্র

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:০৩
মইনুল হক মৃধা, (গোয়ালন্দ) রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাটি ব্যবসায়ী চক্র। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হলেও আবার সবকিছু ম্যানেজ করে মাটি কাটা শুরু করে মাটি খেকোর দল। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন, সামান্য জরিমানা করে চক্রকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

গত শনিবার সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নতুন সেতুর ডানপাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী হতে বালু তোলা হচ্ছে। নদীতে ড্রেজার বসিয়ে দিনরাত দেদারছে মাটি তুলছেন মাটি খেকোরা। এ নিয়ে জমির মালিকরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে তোয়াক্কা করছেন না। তাদের নানাভাবে ভয়ভীতিও দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে।

উজানচর ইউনিয়নের স্থানীয় লিপু মেম্বারের তত্ত্বাবধানে কাবিখা প্রকল্পের একটি সরকারি রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি তুলছেন। এতে প্রশাসনের অনুমতি আছে।

মরা পদ্মায় ইসমাইল হোসেন ও মনোয়ার হোসেন মনা দাবি করেন, তারা জমির মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করেই মাটি তুলছেন। তবে প্রশাসনের কোন অনুমতি নেই।

একইভাবে দেবগ্রাম পিয়ার আলীর মোড়ে লাল্টু, দৌলতদিয়া ক্যানালঘাটে কাদের ফকির, জিয়া, শহীদসহ বিভিন্ন স্থানে নদী ও পুকুর থেকে মাটি ব্যবসায়ীরা ড্রেজার ও ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি-বালি তুলছেন। উত্তোলিত বালি-মাটি বিভিন্ন ইটভাটা ও ব্যাক্তি-প্রতিষ্টানে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

তাছাড়া গ্রামীণ সড়কে এসব মাটি-বালি বহনকারী ট্রাক বেপরোয়া গতিতে চলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে প্রায়ই।

জানা গেছে, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা-৪ এর (খ) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্য সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ‘সরকারি বা বেসরকারি কোন কাজের জন্যই কাউকে নদী হতে মাটি-বালি উত্তোলনের অনুমতি দেয়া হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইতিপূর্বে এ ধরনের দুটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। ভেকু্ ও ড্রাম ট্রাকের চালককে জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’


চট্টগ্রামে দিনভর ভোগান্তির পর পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

একই সভায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় তিনটি বাস পুড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষতিপূরণ দাবি করেন শ্রমিক নেতারা। চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের অনুরোধে এবং জনস্বার্থে আমাদের ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।’

জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে গাড়ি চলাচলে নিরাপত্তা প্রদান, গাড়ি পোড়ানোর বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণ, অবৈধ গাড়ির বিষয়ে ব্যবস্থা, শ্রমিকের ওপর অকারণে মামলা না করার দাবি উপস্থাপন করা হয়।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসের ক্ষতিপূরণ এবং বাসে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তারসহ চার দফা দাবিতে আজ রোববার সকাল থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের প্রতিনিধি, বিআরটিসির সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থি প্রমুখ।

দিনভর জনভোগান্তি

চার দফা দাবিতে রোববার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় পরিবহন ধর্মঘট। শনিবার বিকেলে ঘোষণা দেওয়া এই ধর্মঘটে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। তীব্র গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গণপরিবহন পায়নি লোকজন।

চট্টগ্রাম নগরীর রাস্তায় বাসসহ কোনো ধরনের গণপরিবহন ছিল না। এ ছাড়া তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাগামী রুটেও বাস চলাচল বন্ধ ছিল। মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন গন্তব্যমুখী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।

অক্সিজেন মোড়ে অপেক্ষারত তরুণ সাদিক খান জানান, এই গরমের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো যানবাহন পাননি। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভেঙে ভেঙে গেছেন অনেকে। এতে সময় দুই থেকে তিন ঘণ্টা বেশি লাগে।

চট্টগ্রাম নগর থেকে দিনভর বিভিন্ন উপজেলা, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার উদ্দেশে কোনো বাস ছাড়েনি। ওইসব এলাকা থেকে কোনো বাসও চট্টগ্রাম নগরীতে আসেনি। জেলাগুলোর শহর এলাকায়ও চলেনি কোনো গণপরিবহন।

সকালে অক্সিজেন এলাকায় গিয়ে কয়েকশ যাত্রীকে গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অক্সিজেন এলাকা থেকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার উদ্দেশে বাস ছাড়ে।

পার্বত্য জেলা ছাড়াও চট্টগ্রামের কোনো উপজেলায় চলেনি যানবাহন। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চললেও ভাড়া হাঁকা হয় তিন থেকে চার গুণ বেশি। অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়েই রওনা হয়েছেন গন্তব্যে।

নগরীর মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, জিইসি এলাকায় শত শত মানুষ যানবাহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন সকালের দিকে। এই জনদুর্ভোগকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে রিকশা, যাত্রী টানা মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা বাড়তি ভাড়া দাবি করে বসেন।

গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়েছে। নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে সাধারণত কক্সবাজারগামী বাস ছেড়ে যায়। তবে সকালে কাউন্টারগুলোর সামনে কোনো বাস ছিল না। অধিকাংশ কাউন্টার ছিল বন্ধ। সকালের দিকে বহদ্দারহাট এলাকায় কয়েকটি বাস আটকে দেন পরিবহন শ্রমিকরা।

চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, ‘কর্মবিরতির সমর্থকরা নগরে চলাচলকারী বাস আটকে রেখেছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’


সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:০৪
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে রেললাইনের ওপর গাছ পড়ায় সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। আজ রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যার দিকে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কী ঘটেছিল

স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে হঠাৎ করেই মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে হয় কালবৈশাখী ঝড়। এতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়া আখাউড়া-সিলেট রেলপথের একাধিক স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে। ফলে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন এই রুটের ট্রেনের যাত্রীরা।

কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার বলেন, ঝড়ে সিলেট-শ্রীমঙ্গলের মাঝে রেললাইনের ওপর কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে। এতে বিকেল থেকে সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়।

কবির আহমেদ আরও বলেন, শ্রীমঙ্গল স্টেশনে জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস ট্রেন ৫টা ২০ মিনিটে আটকা পড়ে। এ ছাড়া ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে ৫টা ৩৭ মিনিটে আটকা পড়ে।

বিষয়:

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:১৬
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ও বাসস

অতি তীব্র দাবদাহে চুয়াডাঙ্গায় মানুষের জনজীবন ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র দাবদাহ চলছে চুয়াডাঙ্গায়। এর মধ্যে ৭ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।

আজ রোববার বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। এরপর সন্ধ্যা ছয়টায় জেলার তাপমাত্রা একই থাকে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪১ শতাংশ। গতকাল সন্ধ্যা ৬ টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র দাবদাহের কারনে প্রশাসনের তরফ থেকে জনসাধারণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর চাপ অস্বাভাবিকহারে বেড়ে গেছে।

প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। তাপদাহে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্বত্র লু হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। জেলায় দুপুরের পর ঘরে থাকা দুরূহ হয়ে পড়েছে। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানায়, আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমার লক্ষণ নেই। আরো বাড়তে পারে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সিলেট অঞ্চল বাদে সারা দেশে নতুন করে চতুর্থ দফায় ৭২ ঘন্টার হিট এলার্ট জারি করেছে।


বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৫৬
থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও ওয়াকিটকিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদিও জব্দ করা হয়।

আজ রোববার সকালে রুমা ও থানচি উপজেলার সীমান্তের দুর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। তবে নিহতদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপি আর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

তিনি বলেন, ‘বান্দরবানের জেলার রুমা ও থানচি দুই সীমান্তে উপজেলার দুর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনী অভিযানের কুকি-চিনের দুইজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমান গোলাবারুদ, ওয়াকিটকিসহ অনান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে রুমা ও থানচির দুই উপজেলা সীমান্তের বাকলাই পাড়া এলাকায় দুটি মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। তবে তারা কে বা কারা সে বিষয়ে কেউ না জানলেও তাদের গায়ে কেএনএফের পোশাক দেখা যায়।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয়রা বাকলাই এলাকায় দুটি মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার পুলিশ। মরদেহ দুটি থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।

বিষয়:

মুন্সীগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে রোকেয়া বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, মাদ্রাসা পড়ুয়া নাতিকে মাদ্রাসায় দিয়ে ফিরে আসার পথে তিনি সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ট্রেনে কাটা পড়েন।

আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে জেলার শ্রীনগর উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের কামারখোলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত রোকেয়া একই উপজেলার পূর্ব কামারখোলা গ্রামের প্রয়াত ইয়াকুব শিকদারের স্ত্রী।

স্থানীয়দের ভাষ্য, রোকেয়া আজ সকালে তার নাতিকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পৌঁছে দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। সকালে তাকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে অসতর্ক অবস্থায় ট্রেন লাইনে অবস্থান করলে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে নিচে কাটা পড়েন তিনি।

মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার সাইফুল ইসলাম জানান, সকালে সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে খুলনা যাচ্ছিল। ট্রেনটি জেলার শ্রীনগর উপজেলার কামারখোলা অতিক্রম করছিল। এ সময় কামারখোলা দারুস সুন্নাহ জিনিয়া সালেহিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের পূর্বপাশে বৃদ্ধা রোকেয়া অসাবধানতাবশত রেললাইন পারাপার হতে গেলে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, নিহতের বাড়ি দুর্ঘটনাস্থলের কাছে হওয়ায় ঘটনার পরপরই স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে শ্রীনগর থানা ও রেল পুলিশ আইনি পদক্ষেপ নেবে।


উখিয়ায় অস্ত্র ও গুলিসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:৫৯
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবির থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ পাঁচজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রোববার ভোর রাতের দিকে উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল।

আটকরা হলেন- ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের মোহাম্মদ জোবায়ের (২২)। একই ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের দিল মোহাম্মদ (৩৫)। সি-৭ ব্লকের মোহাম্মদ খলিল (৩৪)। সি-২ ব্লকের মোহাম্মদ ইদ্রিছ (২৮) ও এ-৬ ব্লকের মোহাম্মদুল্লাহ (২৫)।

আটকরা সকলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে এপিবিএন পুলিশ।

এডিআইজি ইকবাল বলেন, ‘রোববার ভোর রাতে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের একটি ঘরে কতিপয় লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছিল। খবরে এপিবিএন পুলিশের একটি দল অভিযানে নামে। পরে ঘরটি ঘিরে ফেললে ১০ থেকে ১২ জন লোক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তাদের পিছেু নিয়ে ৫ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালায়। পরে আটকদের দেহ এবং ওই ঘরটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় বিদেশি ৫টি পিস্তল, দেশিয় তৈরি ২টি বন্দুক ও ১৮টি গুলি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আটকরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।’

আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

বিষয়:

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

তীব্র গরম থেকে বাঁচতে ও বৃষ্টির আশায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় নেচে- গেয়ে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছে স্থানীয় লোকজন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ব্যাঙের বিয়ের অনুষ্ঠান চলে উপজেলার চন্দ্রখানা বালাটারি গ্রামে।

ওই এলাকার বাসিন্দা সাহাপুর আলীর স্ত্রী মল্লিকা বেগমের আয়োজনে বিয়েতে অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। নাচ-গানের মধ্যদিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল-ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

ব্যাঙের বিয়ের আয়োজনকারী মল্লিকা বেগম জানান, কিছুদিন ধরে তীব্র গরম। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে আমরা কষ্টে রয়েছি। গ্রামের মানুষজন অস্বস্তিতে আছেন। কোনো কাজ-কামাই করতে পারছেন না। তারা বিশ্বাস করেন ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হয়। সেই বিশ্বাস থেকেই আজ তারা ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেন।

ব্যাঙের বিয়ে দেখতে আসা জাহিদ নামে একজন বলেন, ‘আমার জীবনে প্রথম ব্যাঙের বিয়ে দেখলাম। খুবই ভালো লেগেছে।’

এলাকার বৃদ্ধ আজিজুল হক বলেন, ‘বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আবাদে ক্ষতি হচ্ছে। তাই বৃষ্টির আসায় ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছি।’

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কুড়িগ্রামে বেশকিছু দিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে। গতকাল জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


banner close