বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫
২২ শ্রাবণ ১৪৩২

মুন্সিগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

ফাইল ছবি
আপডেটেড
২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৯:৪৭
প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৯:৪৫

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে সত্যরঞ্জন দত্ত (৬৪) নামে এক ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের জশুরগাও এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে ওই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নিহত সত্যরঞ্জন দত্ত ওই এলাকার মৃত ননী গোপাল দত্তের ছেলে। তিনি শ্রীনগর বাজার এলাকায় গোখাদ্যের ব্যবসা করতেন।

নিহতের স্বজনরা জানান, প্রতিদিন রাত প্রায় ৭-৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরতেন সত্যরঞ্জন। তবে বুধবার রাতে বাসায় আসতে দেরি হচ্ছিল দেখে তার খোঁজে স্বজনরা বের হন। একপর্যায়ে পুকুর পাড়ে তার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


কোটালীপাড়ায় নতুন ব্যাগ নিয়ে বিদ্যালয়ে এলেন ইউএনও, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)

বিদ্যালয়ে হঠাৎ শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ব্যাগ নিয়ে হাজির হলেন ইউএনও। এতে ‎প্রতিটি শিশু শিক্ষার্থীর মুখেই হাসি আর মনে অপার আনন্দ ফুটে উঠলো। ইউএনওর হাত থেকে ব্যাগ উপহার পেয়ে সকলে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন।

আজ বুধবার (৬ আগষ্ট) সকালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাসুম বিল্লাহ বিদ্যালয়টির ২শত ৫০ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেন নতুন স্কুল ব্যাগ।

এ সময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ, পল্লী উন্নয়ন অফিসার আবু তাহের হেলাল, সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা বাসুদেব বিশ্বাস, বিদ্যালয়ের পিটিএ কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দ।

বিদ্যায়লয়টির দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী শ্রেষ্ঠা রত্ন বলেন, এতোদিন একই রংয়ের শার্ট-প্যান্ট, জুতা, টাই পড়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে এলেও ব্যাগগুলো ছিল আলাদা আলাদা। আবার কারো কারো স্কুল ব্যাগ ছিলো না। শ্রেণি কক্ষে কেমন যেন বৈষম্য মনে হতো। আমরা ভাবতাম ইস যদি সকলের ব্যাগ একই হতো তাহলে খুব মজা হতো। আজ আমাদের সেই ইচ্ছা পূরণ করেছেন ইউএনও স্যার।

নতুন স্কুল ব্যাগ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাফি বলেন, ‘আমার পুরনো ব্যাগ ছিঁড়ে গিয়েছিল। আজ নতুন ব্যাগ পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে।’

এদিকে,অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া ছিল ইতিবাচক। তারা জানান, গ্রামে অনেক পরিবারই দরিদ্র। স্কুল ব্যাগ বা টিফিন বক্স কেনা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। ইউএনও’র এই উদ্যোগে তাদের সন্তানরা নতুন উদ্যমে স্কুলে যাচ্ছে। উপস্থিতিও বেড়েছে।


‎চরকাটিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরব আলী বলেন,’এই সহায়তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের সৃষ্টি করেছে। আগে কেউ কেউ ছেঁড়া ব্যাগ নিয়ে আসত, অনেকের স্কুল ব্যাগও ছিলোনা। এখন তারা গুছিয়ে স্কুলে আসছে।

‎সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা বাসুদেব বিশ্বাস বলেন,’ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই উপহার বিতরণ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করে তুলবে। এতে এ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা আরও এগিয়ে যাবে।’

ইউএনও মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে এবং পড়ালেখায় আগ্রহ বাড়াতে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, কেউ যেন শুধু অভাবে স্কুলছুট না হয়।

তিনি আরও বলেন’ প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের স্কুল জীবন শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। শিক্ষা উপকরণ বিতরণের এই উদ্যোগ একটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ এবং ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত আকারে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।


কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট দিয়ে দেড়ফুট করে পানি ছাড়া হচ্ছে 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাঙামাটি প্রতিনিধি

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টা থেকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট দিয়ে ৬ ইঞ্চি থেকে বাড়িয়ে দেড়ফুট করে পানি ছাড়া হচ্ছে।

এতে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে প্রায় ৩০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।

বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।

তিনি জানান, গতরাত সাড়ে ১০টায় পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট দিয়ে ৬ ইঞ্চি থেকে বাড়িয়ে দেড়ফুট করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আরও জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টায় ছিল ১০৮ দশমিক ৫৫ ফুট এমএসএল, যা বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে। ফলে কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা যাতে বিপদসীমা অতিক্রম না করে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ টি ইউনিট সচল থাকায় বর্তমানে মোট ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।


কক্সবাজার পাটুয়ারটেক সৈকতে ভেসে আসা অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী-পাটুয়ারটেক এলাকায় সমুদ্রসৈকত থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বুধবার সকাল ৮ টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, মেরিন ড্রাইভের ইনানী পাটুয়ারটেক সৈকত থেকে অনুমান ৫০০ মিটার পূর্ব দিকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত দেহ ভেসে আসে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে ইনানী পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে ঘটনাস্থলে ইনানী ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে মৃত দেহের সুরতহাল প্রস্তুত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন, এখন পর্যন্ত মৃত দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয় নাই।

পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৩০ বছর। তাঁর পরনে কোনো কাপড় ছিল না। মুখে তিনটি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। সৈকতের বালিয়াড়িতে লাশটি পড়ে ছিল।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দুর্জয় সরকার বলেন, সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তেরও চেষ্টা করা হচ্ছে।


পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেড় বছরেও শুরু হয়নি দেড় কোটি টাকার সড়ক নির্মাণ কাজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পঞ্চগড়ে প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের সড়ক নির্মাণের কার্যাদেশ পাওয়ার দেড় বছর পার হলেও গাছ কর্তনের অজুহাতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বন বিভাগ নির্মাণ কাজ শুরু করার দায় নিচ্ছেন না। ফলে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়ার পথে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, সব মহলে ধর্ণা দিয়েও কাজ শুরু করতে পারেছেনা তারা। উপজেলা প্রশাসন ও প্রকৌশল বিভাগের গাফিলতির কারনেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এই প্রকল্প। শুধুমাত্র ১৩০টি গাছ কর্তনের কারণে নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। গাছগুলো কর্তনের উদ্যোগ নেয়নি কোনো দপ্তর। দেড় বছর পার হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে, তারা বলছেন সড়ক নির্মাণ হয় কি না সন্দেহ রয়েছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে তেঁতুলিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের বুড়িমুটকি গ্রামে তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের পাশে ১৫২০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ ফুট প্রস্থের সড়ক নির্মাণের জন্য এক কোটি উনপঞ্চাশ লাখ পঁচাশি হাজার চারশত আট টাকা চুক্তি মূল্যে গত ১০/০১/২০২৪ তারিখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবু তোয়বুর রহমানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ১১ মাসের মধ্যে অর্থাৎ গত বছর ০৫/১২/২০২৫ তারিখের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রকৌশলী। কিন্তু কার্যাদেশে নির্মাণ কাজের সময় শেষ হওয়ার আট মাস পেরুলেও অদ্যবধি নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।

পরবর্তীতে আবু তোয়বুর রহমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাওজুল করিমের কাছে নির্মাণ কাজটি বিক্রি করে দেন। এ বিষয়ে ঠিকাদার রাওজুল করিম জানান, দেড় বছর থেকে উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ঘুরছি, কিন্তু গাছ কর্তন করে না দেওয়ায় কাজ শুরু করতে পারিনি। আমি এই নির্মাণ কাজ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রকৌশলী ঈদ্রিস আলী খান সাংবাদিকদের জানান, তিনি চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করতে ১৩০টি গাছ কর্তনের জন্য বারবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বন বিভাগকে চিঠি দিয়েছেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৩/০২/২০২৫ তারিখে দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর গাছ কর্তনের বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু বন বিভাগ গাছ কর্তনের কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেয়নি। গাছ কর্তনের পর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ শাহিন খসরু জানান, আসলে ওই সড়কের গাছগুলো সামাজিক বনায়ন বিভাগের হওয়ায় গাছ কর্তনের উদ্যোগ নিতে পারেননি। তবে তিনি উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগাদা দিয়েছেন সড়কটির গাছ কর্তনের জন্য। আসলে গাছ কর্তনের বিষয়টি বন বিভাগ উদ্যোগ নেবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান ওই সড়ক নির্মাণ বিষয়ে জানান, গাছ কর্তনের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, খুব শিগগিরই গাছ কর্তন করে বুড়িমুটকি সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে।


কাকার কাঁধে ভর করে পড়াশোনার স্বপ্নে দুই অসহায় শিশু

আপডেটেড ৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:০৫
নওগাঁ প্রতিনিধি

একদিকে সিঙাড়া নিয়ে গ্রামের যাওয়ার প্রস্তুতি, অন্যদিকে ছোট্ট দুই শিশুকে স্কুলে পাঠানোর চিন্তা। আবার ছোট বোনের কিনতে হবে ওষুধ। হাতে নিয়ে ঘুরছে ভাতিজার প্রেসক্রিপশন। টাকা না থাকায় কিনতে পারেনি ওষুধ। সব দায়িত্ব যেন তার কাঁধে। জীবনের ভারের চেয়ে দায়িত্বের ভারই এখন তার বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অসহায়ের এই এই করুন গল্পটা নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কুজাইল হিন্দু পাড়া গ্রামের পলাশ চন্দ্র প্রামানিক ও দুই ছোট্ট শিশু ১১ বছরের প্রীতম এবং ৭ বছরের প্রিয়সী'র।

জন্মের পর থেকেই তাদের জীবনের পথে শুধু হারের গল্প। ছোট্ট দুই শিশুর মা পূর্ণিমা চিকিৎসার অভাবে গত ১১ এপ্রিল নিজ বাড়িতে মারা গেছে। বাবা থেকেও নেই। মাকে হারিয়ে পৃথিবীটা যেন একেবারে অন্ধকার হয়ে গেছে তাদের জন্য।

অপরদিকে পলাশের জীবনের গল্প আরও করুন। তার ভাগ্যেও কখনও জোটেনি ভালো কিছু খাবার, হয়নি সামর্থ্য নতুন পোশাক কেনার। পলাশের যে ঘরে রাত কাটে হয়তো সেই ঘর থেকে কারো কারো গবাদি পশুর থাকার ঘরও এর চেয়ে ভালো হয়ে থাকে। তবুও রাত কাটছে তার। একই ঘরের মধ্যে খাওয়া, আছে জঙ্গল।

প্রীতম ও প্রিয়সী কম বুদ্ধিসম্পন্ন ডাবলু প্রামাণিকের সন্তান। আর পলাশ প্রামাণিক শিশু দুটির কাকা (চাচা)।

এদিকে প্রীতম গত দুই দিন থেকে জ্বরে ভুগছে। আধা পাগল বাবা ছেলের চিকিৎসার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে করে নিয়েছে প্রেসক্রিপশন। কিন্তু ওষুধ কিনতে না পেরে প্রেসক্রিপশন ধরে দিয়েছে ছোট ভাই পলাশের হাতে। পলাশ হয়তো আজ কিনবে ভাতিজার ওষুধ।

মৃত্যুর একদিন আগেও প্রীতম ও প্রিয়সীর মা'র ইচ্ছে ছিল তার দুই সন্তানকে পড়াশোনা করানোর, তার স্বপ্ন যেন থমকে যেতে বসেছে। এখনই হাত পেতে কিনতে হচ্ছে ছেলের ৭ম শ্রেণির গাইড বই। তবে মৃত বৌদির (ভাবির) স্বপ্ন পূরণের আশায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেবর পলাশ চন্দ্র প্রামাণিক।

তাইতো সংসারের চিন্তায় কাকা পলাশ সাইকেলে ছুটলেন সিঙাড়া নিয়ে। তা বিক্রি করে যা আয় হবে সেটা দিয়েই চলবে সংসারের খরচ।

বুদ্ধির পর থেকেই সুখ নামক শব্দটি তার কপালে জোটেনি। পড়াশোনার পাশাপাশিই কাঁধ তুলে নিতে হয়েছে ব্যবসার ভাড়।

এদিকে মা হারা হয়েও থামেনি ছোট্ট দুই শিশুর স্বপ্ন। সকালে পুরোনো ব্যাগ কাঁধে তুলে নিয়ে তারা স্কুলে যায়। অন্যদের মতো নতুন পোশাক, দামি খাতা কলম নেই। অনেক সময় না খেয়েই ক্লাস করতে হয়। তবুও স্কুলে গিয়ে পড়তে চায়, বন্ধুদের মতো স্বপ্ন দেখতে চায় প্রিতম-প্রেয়সী। তাদের একমাত্র ভরসা কাকা পলাশ, যিনি গ্রাজুয়েশন শেষ করেও চাকরির পিছনে না ছুটে গ্রামে গ্রামে সিঙ্গাড়া বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চালান। নিজের সংসারে চাল-চুল না থাকা সত্ত্বেও ছোট্ট দু’ভাই বোনকে আগলে রেখেছেন মায়ের মতো করে। তাই তাদের চোখে আশা—একদিন মানুষ হবো, পরিবার আর সমাজের মুখ উজ্জ্বল করবো।

কিন্তু এই লড়াইয়ে কাকা পলাশ একা। অভাবের ঘূর্ণিপাকে হয়তো যেকোনো সময় থেমে যেতে পারে প্রীতম আর প্রিয়সীর স্কুলে যাওয়ার স্বপ্ন। সমাজের এগিয়ে আসা ছাড়া হয়তো স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে যাবে, ঝরে যাবে নিমিষেই।

হতাশা নিয়ে কাকা পলাশ কণ্ঠ কাঁপিয়ে বলেন, "নিজের সংসারও চলে না ঠিকমতো। তবু ওদের চোখের দিকে তাকিয়ে বলি, স্কুলে যেও, মানুষ হইও। ওদের পড়াশোনা থেমে গেলে আমার মন ভেঙে যাবে। কষ্ট হলেও শেষ পর্যন্ত ওদের পাশে থাকবো।" আজ দুই দিন থেকে ভাতিজা জ্বরে ভুগছে, বোনও দুই মাস থেকে অসুস্থ। তাই মনটা খারাপ।

তিনি আরও বলেন, এলাকায় যেকোনো একটা চাকরির সুযোগ পেলে আমার জন্য খুব ভালো হতো। জীবনে নিজের জন্য কখনও পোশাক কিনতে পারিনি। দাদার মাধ্যমে একবার দুই বান্ডিল দিন ও কিছু টাকা পেয়ছিলাম, সেই টিন দিয়ে ঘর ঠিক করেছি। তারপরও স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা, বেঁচে আছি।

ডাবলু প্রামাণিক বলেন, আমি তেমন কাজ কাম করতে পারিনা। একসময় পেডেল আলা ভ্যান চালাতাম, খুব কষ্ট হতো। এখন মাঝে মাঝে গুড় ও মুড়ি নিয়ে গ্রামে গ্রামে যাই। ব্যাট্যা আমার জ্বরে পড়ে আছে। খুব খারাপ লাগছে। ওষুধই কিনতে পারছি না। পড়াশোনা করামু কেমন করে?

ভাই-বোন প্রীতম ও প্রিয়সীর আজ একটাই আকুতি—"আমরা পড়তে চাই… মানুষ হতে চাই। আমাদের স্বপ্ন যেন না মরে যায়।"

প্রীতম প্রামাণিক বলেন, আমরা দুই ভাই বোন পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু কিভাবে করব জানিনা, আমার একটা গাইড কিনতে হয়েছে সাহায্য নিয়ে। আমার মা বেঁচে থাকলে তেমন চিন্তা হতো না।

একই ওয়ার্ডের মেম্বার হাফিজুর রহমান বলেন, ডাবলু প্রামাণিকের স্ত্রী মারা যাওয়ায় তার দুটো সন্তান অসহায় হয়ে পড়েছে। তার স্ত্রী মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতো। আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের একটা লাট্রিন (পায়খানা) দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। আর তার দুই ছোট্ট সন্তানের জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ। পাশাপাশি পলাশ খুব ভালো ছেলে। সে পড়াশোনা অবস্থায় একসময় গ্রামে গ্রামে পায়ে হেঁটে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতো। এখনও কষ্ট করছে।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুল হাসান বলেন, আমি তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিবো। এরপর তাদের জন্য যেভাবে যতটুকু সহযোগিতা করা যায় আমি চেষ্টা করবো।

পূর্ণিমার মৃত্যুতে পার্শ্ববর্তীদের হৃদয় কেড়েছে ছোট্ট এই দুই ভাই-বোন। প্রতিবেশীরা জানান, এখন ছোট্ট দুই শিশুর কি হবে? কেমনে চলবে তাদের পড়াশোনা। পূর্ণিমা অন্যের বাড়িতে কাজ করেই সংসার ও দুই সন্তানের পড়াশোনা চালাচ্ছিলেন।

তাদের এই গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয় বটবৃক্ষ নামক বাবা-মা কাউকে যেন অল্প বয়সে হারাতে না হয়। তাহলে এরকম হাজার হাজার প্রীতম-প্রিয়সীর জীবন অকালে ঝরে যাবে, থেমে যাবে স্বপ্ন। তারপরও তাদের জীবন সুন্দর হোক এই প্রত্যাশা প্রতিবেশীদের।


ভৈরবে পিকনিকের লঞ্চে দুবৃর্ত্তদের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট সড়কে বিক্ষোভ

আপডেটেড ৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:২১
ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পিকনিকের লঞ্চে দুবৃর্ত্তদের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী। এসময় প্রায় ৩০ মিনিট মহাসড়কে সকল যান চলাচল বন্ধ ছিলো। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।

আজ বুধবার বেলা ১১ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাড়কের ভৈরব দুর্জয় মোড়ে ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা যায়, গত ২রা আগস্ট ভৈরব শহরের কমলপুর এলাকাবাসী ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট থেকে একটি লঞ্চযোগে ২শত জন লোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর এলাকায় পিকনিকের জন্য রওনা দেন। পথিমধ্যে নরসিংদী জেলার রায়পুরার মেঘনা নদী এলাকায় পৌঁচ্ছালে একদল দুবৃর্ত্তকারীর দল স্পিডবোর্ড যোগে এসে পিকনিকের লঞ্চে অস্ত্র নিয়ে হামলায় চালায়। এসময় এলোপাতারিভাবে লঞ্চে থাকা লোকজনের উপর গুলি ছুঁড়েন। পরবর্তীতে হামলাকারীরা লঞ্চে উঠে যাত্রীদের মারধোর করে তাদের কাছ থেকে মুঠোফোন, নগদ টাকাসহ সাউন্ড সিস্টেমের সরঞ্জাম, দুটি সাউন্ডবক্স লুট করে নিয়ে যায়।

এবিষয়ে কমলপুর এলাকার ব্যবসায়ী শাহারিয়ার জিসান বলেন, আমাদের এলাকাবাসী গত ২রা আগস্ট নবীনগরে পিকনিকে যাবার সময়ে রায়পুরা এলাকায় বালু মহলের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে একদল দুবৃর্ত্তকারীরা হঠাৎ স্পিডবোর্ড যোগে অস্ত্রসহ।হামলা চালায়। এসময় তারা এলোপাতারিভাবে গুলি ছুড়ে লঞ্চে উঠে মারধোর করে মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার ৭২ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত।ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই রায়পুরা প্রশাসন ও ওসির নিকট দাবি জানান দ্রুত সময়ের মধ্য বালু মহলের সাথে জড়িত ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।


প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে কালীগঞ্জে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি 

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করার দাবিতে গাজীপুরের কালীগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১১টায় কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে উপজেলার বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড হাতে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমরা এখনো বৈষম্যের শিকার। দেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা হলেও কেন আজো কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার বাইরে রাখা হচ্ছে, তা সরকারের কাছে জানতে চাই।”

তারা আরও বলেন, “কোমলমতি এসব শিশুদের মেধা যাচাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরা কেন এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না, এটি আমাদের কাছে একটি বড় প্রশ্ন। শিক্ষার সকল স্তরে সমতা ও ন্যায় নিশ্চিত করতেই আমাদের এই আন্দোলন।”

বক্তারা অবিলম্বে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান এবং এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।


হিরোশিমায় পারমাণবিক হামলার ৮০ বছর আজ

আপডেটেড ৬ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৫১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাপানের হিরোশিমায় বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমা হামলার ৮০ বছর পূর্ণ হলো আজ। ১৯৪৫ সালের এই দিনে আমেরিকার 'লিটল বয়' নামের পারমাণবিক বোমাটি শহরটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল।

এ দিনটি উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এ বছর ১২০টি দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিসহ অন্তত ৫৫ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। ১৯৪৫ সালের মার্কিন বি-২৯ বোমারু বিমান থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ‘লিটল বয়’ নামক বোমাটি ফেলা হয়েছিল। সেকারণে এই দিনের ওই সময়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং শান্তির ঘণ্টা বাজানো হয়।

হিরোশিমার মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, "আমরা বিশ্বকে বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে পারমাণবিক অস্ত্র মানবতার অস্তিত্বের জন্য হুমকি।" এই হামলায় প্রাথমিকভাবে ৭০ হাজার মানুষ নিহত হন এবং পরবর্তীকালে বিকিরণের প্রভাবে আরও ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ
এবারের অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো তাইওয়ান ও ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়া এবং চীন অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত রাহম ইমানুয়েল।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, "পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গঠনে জাপান নেতৃত্ব দেবে।" তিনি হিরোশিমা-নাগাসাকির ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন।

এই অনুষ্ঠানে হিরোশিমায় মৃত ব্যক্তিদের স্মরণে শান্তি ঘণ্টা বাজানো হয় এবং শান্তির প্রতীক হিসেবে সাদা কবুতর উড়িয়ে দেওয়া হয়। শহরজুড়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে, যা আগামী এক সপ্তাহ ধরে চলবে।


রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউয়ের রায় বৃহস্পতিবার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে রিভিউয়ের রায় আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করা হবে।

আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানি শেষে গত ৩০ জুলাই জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ রায়ের জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন। তবে আজ (মঙ্গলবার) সর্বোচ্চ আদালত রায়ের জন্য ৭ আগস্ট দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দিন দোলন। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির ও অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম। এছাড়া ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল)।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘রুলস অব বিজনেস’ অনুযায়ী ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে এটি সংশোধন করা হয়। তবে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ ও সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচে রাখা হয়েছে-এ অভিযোগ এনে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের (সংশোধিত) ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সেই রায়ে হাইকোর্টের দেওয়া আট দফা নির্দেশনার কিছুটা সংশোধন করে তিন দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হল: যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন; জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন এবং জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

একপর্যায়ে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পরবর্তীতে রিভিউ আবেদনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরাও পক্ষভুক্ত হন।


৩০০ কিমি পাড়ি দিয়ে তরুণীর বাড়িতে তরুণের ‘আত্মহত্যা’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

মোবাইল ফোনে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় দুই তরুণ-তরুণীর। এর পর সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। তিন মাস পর মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ঠাকুরগাঁও থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় আসেন তরুণ। সেখানে তরুণীর বাড়িতে তিনি বিষপানের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দুপুরে। সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন রাতে মারা যান ২৪ বছর বয়সী তরুণ গোলাম ফেরদৌস দুর্লভ। তাঁর বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাইরিহাট পাতিলভাসা গ্রামে। তিনি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে দুর্লভের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। এর আগে তাঁর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের সহায়তা নিয়ে চৌবাড়ি গিয়ে তরুণী, তাঁর মা এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয় কলেজে অনার্স পড়ুয়া মেয়েটি মা-বাবাসহ ঘটনার পর পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে তরুণের স্বজনের মুখোমুখি হন। মেয়েটি পুলিশের সামনে বলেন, বাবা-মা তাঁর বিয়ে ঠিক করেছেন।

তাঁর অন্যত্র বিয়ে হচ্ছে জেনেও দুর্লভ বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি। আর নিহত তরুণের খালু সজীব হোসেন ও ভাই ওয়াজেদুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, পরিবারের সবাই শোকাহত। থানায় অভিযোগের বিষয়ে তারা কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।

ঘটনার পর অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে জানিয়ে সদর থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান জানান, সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তিনিসহ কামারখন্দ থানার ওসি আব্দুর রউফ তরুণের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীর বিরুদ্ধে তরুণের স্বজনরা চাইলে থানায় অভিযোগ দিতে পারেন।


 নোয়াখালীতে মাইক্রোবাস খালে পড়ে এক পরিবারের ৭ জন নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে বেগমগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের আটজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সাতজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন একজন।

বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে উপজেলার চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের জগদিশপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের সবাই নারী ও শিশু। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম ও পরিচয় জানানো হয়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লক্ষ্মীপুরের হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামের ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিন স্বজনদের নিয়ে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। ভোরে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে খালে পড়ে যায়। এ সময় বাহারের স্ত্রী কবিতা ও মেয়ে মিমসহ ৭ জন নিহত হন।

এদিকে, এক বার্তায় ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে সকাল ৬টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

হতাহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ও চৌমুহনী ফায়ার স্টেশনের ১টি ইউনিট উদ্ধার কাজ করেছে।


জুলাই বিপ্লব শুধু ফ্যাসিবাদ নয় সার্বভৌমত্ব লুন্ঠনকারী ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও ছিল - মাহমুদুর রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি প্রতিনিধি

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, জুলাই বিপ্লবীরা রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যকে মোকাবেলা করেছে এবং পরাজিত করেছে। এভাবে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে তারা। বিশ্বের ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন বিপ্লব বলে আমি মনে করি। এই বিপ্লবটি বাংলাদেশের জনগনের ওপরে যে ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছিল শুধু তাদের বিরুদ্ধে নয় বরং স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব লুন্ঠনকারী ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধেও ছিল।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর দেড় টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে জুলাই বিপ্লব বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই ‘বিপ্লব নাকি অভ্যুত্থান’ এই প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লব শুধু শাসক পরিবর্তনের আন্দোলন ছিল না। বরং শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনের আন্দোলন ছিল। তাই শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনের আন্দোলনকে বিপ্লব বলে অবিহিত করি। বিপ্লব মাত্র ৩৬ দিনে শেষ হয় না বরং একটা পর্যায় অবস্থান করে। রাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থা সংশ্লিষ্টসহ অভ্যন্তরীন ও বর্হিবিশ্বের হুমকি থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিপ্লব চলমান থাকবে।

সভায় জুলাই বিপ্লবের বিপদের আশংকা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবের জন্য দেশের দুইটি থ্রেট বা বিপদের কথা বলবো যা দুই দিক থেকে আসবে। প্রথমত, অভ্যন্তরীণ বিপদ বলতে আমাদের দেশের সকল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের দালাল ও ভারতের আধিপত্য দালালদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। অনুপ্রবেশকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিপ্লবকে ব্যর্থ করতে চাইবে। এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। গতকাল সামরিক বাহিনীর মধ্যে ভারতীয় দালাল 'র' এর এজেন্টদের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল আমরা তাদের নিয়ে পত্রিকায় ক্রমাগতভাবে খবর প্রকাশ করেছি। এমন একটা সময় ছিল সামরিক বাহিনী নিয়ে খবর প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করত। এই দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ার যুগটা পার করে এসেছি। এই ‘র’ কিংবা ভারতের দালালদের মুখোশ উন্মোচন না করলে বিপ্লব দীর্ঘজীবী হবে না।

মাহমুদুর রহমান বলেন, আরেকটা বিপদ হচ্ছে এক্সটার্নাল থ্রেট— যা আমার দেশের রাষ্ট্রীয় সীমানা নিয়ে। যেহেতু আমাদের দেশের চারপাশে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে হিন্দু বা বৌদ্ধিস্ট রাষ্ট্র। সুতরাং মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে সজাগ থাকতে হবে।

আসন্ন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, অন্যদিকে ভারত আমাদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী কারণ তাদের পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে তরুণদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বর্হিবিশ্বের হুমকি মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষিত তরুণরাই যথেষ্ট।

সর্বশেষ তিনি জুলাই বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তরুণদের প্রশংসা করে বলেন, জুলাই বিপ্লবীদের সাথে ভালো আচরণ করুন। তাদের সম্মান করতে শিখুন। ভারতীয় এজেন্ডার বিরুদ্ধে ও ইসলামের প্রশ্নে বাংলাদেশের তরুণদের দৃঢ়তা আমাকে মুগ্ধ করে।

উল্লেখ্য, বর্ষপূর্তি উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা। ৩৬ জুলাইয়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আনন্দ র্যালি-সহ জুলাই স্মৃতিকথা মোড়ক উন্মোচন ও জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা উদ্বোধন করা হয়।


সুনামগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যূত্থান দিবস পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

জুলাই গণ-অভ্যূত্থান দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আহত জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা, জুলাই শহীদ পরিবারের সম্মিলন ও স্মৃতিচারণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) সকাল সাড়ে নয়টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজা মিলনায়তনে এসে অনুষ্ঠানে মিলিত হয়।

জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্ব আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহাম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন। স্মৃতিচারণ তুলে ধরেন আহত জুলাই যোদ্ধা জহুর আলী, ফয়সল আহমেদ এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এসময় ছাত্র সংসদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক ওসমান গনি, জুলাই যোদ্ধা আব্দুল বারী, তাসনিয়া হক তাজিন, ইকরাম আলী সায়েম, মাহফুজুর রহমান মেহিত বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখ সারি যোদ্ধাদের সমাগম অনুষ্ঠান, প্রধান উপদেষ্টার আহতদের প্রতি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সম্মান প্রদর্শন, জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, শহীদ পরিবারের সম্মিলন ও স্মৃতিচারণ করা হয়।

পরে ফ্যাসিস্ট পলায়নের ক্ষণ উদযাপন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


banner close