বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সম্বল শুধু টিনের চালা-সাইনবোর্ড, তবু সরকারি বিদ্যালয়

কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মৌজার উত্তর মাঝেরচর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র
নাজমুল হোসেন, কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত
নাজমুল হোসেন, কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৮:৫৫

চারদিকে কৃষি জমি। ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা। এমন ধানখেতের মধ্যেই একটি টিনের চাল। বেড়া-দরজা-জানালার কোনো বালাই নেই। সেই টিনের চালের নিচে পেতে রাখা কয়েকটি বেঞ্চ। প্রথম দেখায় মনে হতে পারে, কৃষকরা হয়তো প্রখর রোদে কাজ করে ক্লান্ত অবস্থায় বিশ্রামের জন্য এই টিনের চালাটি তৈরি করেছেন। কিন্তু ওই টিনের চালার সামনের সাইনবোর্ড আর বাঁশের খুঁটির শীর্ষে জাতীয় পতাকা বলছে ভিন্ন কথা। ন্যূনতম একটি দোচালা ঘরের অবকাঠামো না থাকলেও সেই টিনের চালাটিই কি না একটি বিদ্যালয়!

শুনতে অবাস্তব মনে হলেও কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মৌজার উত্তর মাঝেরচর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র ঠিক এমনই। বিদ্যালয়টি আবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০০৪ সালে। সে হিসাবে প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক হতে চলল ‘আদর্শ’ এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টির। এর মধ্যে একবার বিদ্যালয়টি স্থানান্তর হয়েছে। তবে এই দীর্ঘ সময়েও একটি টিনের ঘরও তৈরি করা সম্ভব হয়নি বিদ্যালয়টির জন্য।

গত মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ে কৃষ্ণপুরের মাঝেরচরে গিয়ে দেখা গেল, বিদ্যালয় নামের ওই টিনের চালার নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি বেঞ্চ আর প্লাস্টিকের চেয়ার। একটি টেবিল পেতে সেখানে বসে রয়েছেন কয়েকজন শিক্ষক আর অভিভাবক। টেবিলের ওপর রয়েছে হাজিরা খাতা। সামনেই বাঁশের খুঁটিতে উড়ছে জাতীয় পতাকা। এর সামনে সাইনবোর্ডে লেখা ‘উত্তর মাঝেরচর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। এই সাইনবোর্ড ছাড়া শিক্ষার্থীদের কোলাহল কিংবা পাঠদানের ব্যস্ততার কোনো নজিরই নেই। থাকবেই বা কী করে, বিদ্যালয়টিতে যে শিক্ষার্থীই নেই।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে আগ্রহী নন তাদের কেউ। কেননা বিদ্যালয়ে নেই কোনো শ্রেণিকক্ষ। শুধু তা-ই নয়, বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাই যে নেই। সেখানে যেতে হয় জমির আইল বেয়ে পায়ে হেঁটে। বাস্তব চিত্র এমন হলেও খাতা-কলমে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৮০ জন, শিক্ষক রয়েছেন পাঁচজন।

২০০৪ সালে বেসরকারিভাবে গঠিত উত্তর মাঝের চর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিচু স্থান হওয়ায় ওই জায়গাটি বন্যার পানিতে ডুবে থাকে বছরের অধিকাংশ সময়। তাই ২০১১ সালে পাশেই উত্তর মাঝের চর গ্রামে একটু উঁচু স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যালয়টি। এরপর ২০১৮ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়। গত বছরের বন্যায় ধরলা নদীর ভাঙনে একই ইউনিয়নের পাশের চর কৃষ্ণপুর গ্রামের চর কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে যায়। এরপর সেই বিদ্যালয়টিও স্থানান্তরিত করা হয় উত্তর মাঝের চর গ্রামেই। পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয়ের অবস্থান হওয়ায় উত্তর মাঝের চর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আগের জায়গায় স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এরপর থেকেই বিদ্যালয়ের এমন চিত্র হলেও কর্তৃপক্ষের ভ্রুক্ষেপ নেই। বিদ্যালয়ের পরিবেশ না থাকায় সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছেন না অভিভাবকরাও।

বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক আশরাফিয়া বিনতে আকতার বলেন, ‘বিদ্যালয়ে আসার কোনো পথ নেই। জমির আইল দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ জন্য বাচ্চারা বিদ্যালয়ে আসে না। বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থী আছে। এর মধ্যে ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী আসে। জমির আইল ভেজা থাকায় প্রায় সময় পিছলে পড়ে বাচ্চারা আহত হয়, পোশাক নষ্ট হয়ে যায়।’

অভিভাবক কাজলি বেগম বলেন, ‘স্কুলের ঘর নেই। পতাকা আর সাইনবোর্ড না থাকলে শুধু টিনের চাল দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে এটি একটি স্কুল।’

আরেক অভিভাবক লাইলী বেগম বলেন, ‘সরকারি স্কুল হলেও এখানে ঘর, বেঞ্চ, টিউব অয়েল, ল্যাট্রিন কিছুই নেই। এমনকি স্কুলে যাতায়াতের রাস্তাও নেই। কোনো অভিভাবক কি তার সন্তানকে এমন পরিবেশে দিতে পারে?’

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয় স্থানান্তর আর জমি-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এমন করুণ চিত্র। দান করা জমিতে দাগ নম্বরের সমস্যার কারণে নতুন ভবন হচ্ছে না। অথচ একই মালিকের জমি বিদ্যালয়ের চারপাশে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য বরাদ্দ এলেও অর্থছাড় হচ্ছে না এই জমি জটিলতার কারণে।’

জমিদাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘আমি এক বিঘা জমি দান করেছি বিদ্যালয়ের নামে। এখন জমি-সংক্রান্ত কী জটিলতা হয়েছে, তারাই ভালো জানে।’বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি না থাকা এবং উন্নয়ন না হওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন তিনি।

সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, ‘জমি-সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় ভবন করা যাচ্ছে না। সদরের সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) বিদ্যালয়ের স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। জমি-সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে প্রধান শিক্ষককে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে বিদ্যালয়ের এই নাজুক অবস্থা।’

বিষয়:

গাইবান্ধায় অটোচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আইয়ুব আলী দুলা (৫২) নামে এক অটোচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টার টার দিকে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সিন্টাজুরি এলাকা হতে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা।

তিনি বলেন, ‘সোমবার দিনগত রাত ১টার দিকে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সিন্টাজুরি এলাকায় এক অটোচালকের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ ওই রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি রাত পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১২টার মধ্যে ঘটানো হয়েছে। মরদেহের পাশ থেকে অটোটিসহ চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং চালকের পরিহিত পোশাকের ভেতরে থাকা কিছু নগদ টাকাও পাওয়া গেছে। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা এবং প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে মনে হচ্ছে ঘটনাটি পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটানো হতে পারে, ছিনতাই নয়।’

এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ জড়িতদের শনাক্ত এবং তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’

বিষয়:

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা টোল আদায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

ঈদের আর মাত্র বাকি দুইদিন। ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৬ টা থেকে মঙ্গলবার ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ৪২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং যার মোট টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৩৬ লাখ ৬ হাজার ৮৫০ টাকা।

এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ২৭ হাজার ২৩২টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা এবং সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১৬ হাজার ১৯৫ টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকা।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে প‌রিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগ‌তিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর উপর এক‌টি বাস নষ্ট হওয়ায় পাঁচ মি‌নিট বন্ধ ছিল প‌রিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন‌্য প‌রিবহনগুলোতে ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়েছে। প‌রিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখ‌তে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দা‌য়িত্ব পালন কর‌ছেন।

বিষয়:

বাগেরহাটে কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ১, আহত ৩

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৪৮
বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সময় গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে জেলার কচুয়া উপজেলা চরসোনাকুড় গ্রামে মো. আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাট শহরের বাসস্টান্ড এলাকায় বিলবোর্ড ভেঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের উপর পড়ে বাসের চালকসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

রোববার সকাল সাড়ে ৯টার এ ঘূর্ণিঝড়ে জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, কচুয়া ও বাগেরহাট সদর উপজেলার কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। সেই সাথে বিধ্বস্ত কয়েক শত কাঁচা ও আধা কাঁচা বাড়িঘর। ঝড়ে গাছ পড়ে ও বিদ্যুৎতের খুটি উপড়ে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ে জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলাগুলোতে গাছপালা উপড়ে পড়ার পাশাপাশি কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে ও বিদ্যুৎতের খুটি উপড়ে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পুরো জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ।’

তিনি বলেন, ‘জেলার প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮ লাখ টাকা ও ৬শ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে।’

বিষয়:

ঘরের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে দুই শতাধিক গৃহহীন পরিবারের

গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গাগড়া এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে দুই শতাধিক বাড়ি। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মীর আনোয়ার আলী, রংপুর

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মুজিববর্ষের ৪র্থ ধাপে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রীর এমন অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করা হচ্ছে। সারা দেশের ন্যায় গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গাগড়া এলাকায় গৃহ নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও নাহিদ তামান্না মর্ণেয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গাগড়া এলাকায় ২১০ টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য মুজিব শতবর্ষের ঘর নির্মাণ কাজ তদারকি করছেন। প্রতিটি পরিবারের জন্য ২ শতাংশ জমির ওপর ২টি সেমি পাকা ঘর, ১টি রান্না ঘর ও ১টি টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এতে করে ২১০টি পরিবারের ঘর নির্মাণ করতে মোট ব্যয় হবে ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ঘরগুলোর প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইউএনও।

সরেজমিনে উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গাগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, প্রবেশদ্বারে লাগানো রয়েছে প্রকল্পের তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড। উঁচু জমিতে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে বাড়িগুলোর নির্মাণ কাজ চলছে। এরই মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশংসা করে জানান, প্রকল্পের ঘরগুলো এখন মানসম্মতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘর তৈরিতে উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সব সময় তদারকি করছেন, কাজের নির্মাণ সামগ্রী এবং নির্মাণ কাজ মানসম্মত। এক সাথে অনেকগুলো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করায় প্রকল্পটির সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে, যা দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। ছোট ছোট ঘর নির্মাণে উন্নত সামগ্রী ব্যবহার করায় দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। অসহায় মানুষগুলো তাদের দুঃখ কষ্ট ভুলে গিয়ে রঙিন এ ঘরে বসবাস করার যে স্বপ্ন দেখছিলেন তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল দেশের কোন মানুষ গৃহহীন বা না খেয়ে থাকবে না, তাই তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের ঘোষণা অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় গঙ্গাচড়া উপজেলায় ঘর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেন, ‘ঘর নির্মাণ কমিটি নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে নিয়জিত আছেন। আমি কাজগুলো সব সময় তদারকি করছি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মনিটরিং অফিসার এসে নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরগুলো খুবই কঠোরভাবে মনিটরিং করা হয় এবং সচিত্র প্রতিবেদন রাখা হয়। প্রকল্পের কাজ নিয়মানুযায়ী সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।’

বিষয়:

নানার বাড়ির পাশে মিলল শিশুর লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নিখোঁজের এক দিন পর সাকিব সিকদার (১০) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাচঁরুখী গ্রামে নানা বাড়ির পাশ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সাকিব রুপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকার জিকু সিকদারের ছেলে।

আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ জানান, ১৭-১৮ দিন আগে শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে উপজেলার পাঁচরুখী গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে আসে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে তার মা তাকে ব্লেড আনতে বাজারে পাঠান। এরপর থেকে সে আর বাড়ি ফিরেনি। এদিকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তার নানাদের নতুন বাড়ির পাশে শিশুটির লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। সে সামান্য বাকপ্রতিবন্ধী ছিল।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।


ফেনীতে ট্রাক-ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মুহুরীগঞ্জে আজ সকালে রেলপথ পারাপারের সময় বালুবোঝাই ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন বালুমহাল এলাকায় চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের একজন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কাউয়ারাকা গ্রামের আবুল হাওলাদারের ছেলে ট্রাকচালক মো. মিজান (৩২)। অপর নিহত ট্রেনযাত্রীর নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার জাকির হাসান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকটি অন্তত ১০০ মিটার সামনে গিয়ে পড়ে। গেইটম্যান মো. সাইফুল ট্রেন অতিক্রম করার সময় সেখানে ছিলেন না।

ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক শাহ আলম জানান, রেললাইনের উপর পড়ে থাকা দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক সরিয়ে নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরপর ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম ট্রেন দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়:

বিদ্যুতের খুঁটিতে মোটরসাকেলের ধাক্কা: স্বামী-স্ত্রী নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ ব্যুরো

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিদ্যুতের খুঁটিতে মোটরসাকেলের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীকুড়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, কুড়িগ্রামের রৌমারির জনাব আলীর ছেলে সাইদুর রহমান (২৮) ও তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২২)।

বিষয়টি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল হক।

তিনি বলেন, ‘ভোরে ঈদের ছুটিতে সাইদুর তার স্ত্রীকে মোটরসাইকেলে নিয়ে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থেকে নিজ বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারিতে যাচ্ছিলেন। সকাল ৮টার দিকে হালুয়াঘাটের লক্ষ্মীকুড়া বাজার এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে দ্রুত গতির মোটরসাইকেলটি ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সাইদুর। পরে আশপাশের লোকজন সোনিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।’

মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন এবং এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি মো. মাহবুবুল হক।

বিষয়:

ঈদযাত্রা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলে ধীর গতি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঈদে ঘরমুখো মানুষের যানবাহনের অত্যাধিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। ফলে গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার জুড়ে যান চলাচলে ধীরগতি দেখা গেছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এবং কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশেও এমন অবস্থা রয়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া পাখির মোড় এবং তেতৈতলা হাঁস পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ঢাকামুখী লেনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কুমিল্লামুখী লেনে ধীর গতিতে যান চলাচল হচ্ছে। গজারিয়া অংশের ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজট রয়েছে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি এবং নারায়ণগঞ্জের অংশেও যানজট রয়েছে।

ফেনীগামী প্রাইভেটকারচালক নুরুল হক বলেন, ‘কাঁচপুর থেকেই জ্যামে পড়ি আমরা। কাঁচপুর থেকে গজারিয়ার ভবেরচরে আসতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেল। রাস্তায় কোথাও এক্সিডেন্ট হয়েছে বা গাড়ি নষ্ট হয়েছে এরকম কিছু দেখলাম না কিন্তু রাস্তায় প্রচুর যানবাহন।’

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যানজট নয়, তবে যানবাহনের ধীর গতি রয়েছে। মহাসড়কে একটি গাড়ি বিকল হয়েছিল তা আমরা সরিয়ে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মূলত ঈদযাত্রা শুরু হওয়ায় যানবাহনের অত্যাধিক চাপই ধীরগতির কারণ। হাইওয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’


রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির চেষ্টা, আহত ৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির চেষ্টায় দূর্বৃত্তের হামলায় দুই আনসার সদস্যসহ ৫ জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। আত্মরক্ষার্থে আনসার সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়লে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।

বুধবার রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের গেটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-মহা ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে ৫০-৬০ জনের একটি সশস্ত্র দল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের গেট দিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রবেশের চেষ্টা করে। বাঁধা দিলে অস্ত্রধারীরা গেটে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের উপর হামলা করে। এসময় নিরাপত্তাকর্মীদের ডাক চিৎকারে আনসার সদস্যরা ছুটে গেলে তাদের উপরও হামলা করে ডাকাত দল। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসার সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে ডাকাল দলটি পালিয়ে যায়। ডাকাত দলের হামলায় দুই আনসার সদস্যসহ ৫ জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের হামলায় দুই আনসার সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ৩ জনকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাস বলেন, ‘অস্ত্রধারীদের হামলায় ৫ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। পুলিশ হামলাকারীদের শনাক্ত ও আটকে অভিযান শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

বিষয়:

গজারিয়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:১১
গজারিয়া ( মুন্সীগঞ্জ ) প্রতিনিধিঃ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের ভিটিকান্দি এলাকায় রাস্তা পার হবার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন।

বুধবার সকাল ৯টার দিকে ভিটিকান্দি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলের চালক, গুরতর অবস্থায় তাকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

নিহতের নাম মো. ইব্রাহিম (৬০)। তিনি গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি গ্রামের হাবু শিকদারের ছেলে বলে জানা গেছে। মোটরসাইকেল চালকের নাম মাহবুব (২৮)। তিনি গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের মুদারকান্দি গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাস স্ট্যান্ড এলাকা দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন পথচারী ইব্রাহীম। এসময় ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী একটি মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দিলে সেটি পথচারী ইব্রাহিমকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। আহত হয় মোটরসাইকেল চালক মাহবুব। তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছেন স্থানীয়রা।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল চালক মাহবুবকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আহত মোটরসাইকেল চালককে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক প্রাইভেট কারটিকে সনাক্তের করার চেষ্টা চলছে।’


জানালার গ্রিল কেটে পৌরভবনের টাকা চুরি

আপডেটেড ২ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৩৮
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা ভবনে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরচক্র ভবনের দুই পাশের জানালার গ্রিল কেটে স্টিলের আলমারি ও ফাইল কেবিনেট ভেঙ্গে নগদ ছয় লাখ টাকা চুরি করেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার অফিসের কর্মচারীরা এ ঘটনা দেখতে পান।

নৈশ প্রহরী খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি সোমবার সারারাত ভবনেই ছিলাম। সকালে বিশেষ কাজে এতবারপুর যাওয়ার পর অফিস থেকে ফোন করে জানান অফিসে চুরি হয়েছে! কিভাবে কী হয়েছে আমি কিছুই জানি না।’

পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে পাম্প চালক ইব্রাহীম খলিল মজুমদার অফিসে এসে এ ঘটনা দেখেন এবং অন্যান্য কর্মচারীরা নিজ নিজ কক্ষে প্রবেশ করে এ ঘটনা দেখেন। এতে হিসাব রক্ষকের কক্ষ, বাজার শাখা, কর ও লাইসেন্স শাখার কক্ষের সাতটি স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা লুটে নেয় চোররা। সোমবার দিনগত রাতের কোনো এক সময়ে ওই চুরির ঘটনা ঘটে।’

চান্দিনা পৌরসভার মেয়ে মো. শওকত হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে চোর চক্রকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছি।’

চান্দিনা থানার ওসি আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন, ‘আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এ ঘটনায় পৌরসভা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

বিষয়:

ভোলায় ২০৫ মণ মাছ জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভোলা উপজেলা সদরের ভেদুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে ২ শ ৫ মণ মাছ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের একটি দল। সোমবার রাত ৯টার দিকে ফেরিঘাট এলাকার একটি মিনি ট্রাক থেকে ২’শ মণ পোয়া ও ৫ মন ইলিশ জব্দ করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন এইচ এম এম হারুন-অর-রশিদ আজ সকালে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি সদর উপজেলার তুলাতুলি এলাকা থেকে মাছ নিয়ে ফেরিঘাটের দিকে আসে ট্রাকটি। এটি বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিল।’

অভিযান চালিয়ে মাছ উদ্ধারের পর মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ট্রাক ড্রাইভারকে।

তিনি আরও বলেন, ‘জব্দ করা মাছ রাতেই স্থানীয় এতিমখানা, মাদ্রাসা ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়।’

ইলিশ সম্পদের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মার্চ ও এপ্রিল এ দুই মাস ভোলার মেঘনা এবং তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকার দুটি অভয়শ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।

বিষয়:

কলমাকান্দায় পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত 

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নেত্রকোণা প্রতিনিধি

নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল ইসলাম সবুজ মারা যান।

নিহত যুবকের নাম জহিরুল ইসলাম সবুজ (২৮)। সে পেশায় একজন ভাড়ায় মোটরসাইকেলচালক। নিহত সবুজ নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে।

সোমবার সকালে কলমাকান্দা উপজেলার রাজাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে জহিরুল মোটরসাইকেল করে তিন বস্তা চিনি নিয়ে কলমাকান্দা সদরে আসছিল। পথে রাজাপুর এলাকায় আসামাত্রই বিপরীত দিক থেকে আসা সাদা রংয়ের একটি পিকআপ গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে করে জহিরুল পিকআপ গাড়ির নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি দেখে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমন পাল তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পিকআপ গাড়িটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।’

বিষয়:

banner close