দেশের বস্ত্রশিল্পের সুদিন ফিরিতে আনতে এখন থেকে প্রতি বছর প্রতি জেলায় মেলা আয়োজন করতে হবে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রোববার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) এর উদ্যোগে রাজধানীর করিম চেম্বারে পাঁচ দিনব্যাপি বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আমি ব্যবসায়িক দিক থেকে চিন্তা করেছি কিভাবে পাটশিল্পকে লাভজনক করা তোলা যায়। যখন মন্ত্রী হলাম, এই ভবনটি এবং পেছনের ভবনটি নিয়ে মেলা করতে চাইলাম। বললাম, প্রতিমাসে মেলা হবে। কিন্তু, তৎকালীন বিজেএমসির চেয়ারম্যান এত বেশি ভাড়া ধরলেন, যে উদ্যোক্তারা আসতে পারলেন না। তার কর্তৃত্বসুলভ আচরণের কারণে তখন এই মেলা করা সম্ভব হয়নি। তিনি তখন বিজেএমসি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, যা ছিল লোকসানি প্রতিষ্ঠান। এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডাকলেন। বছরে ১ হাজার কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। প্রাইভেট সেক্টরগুলি লাভ করছে, আমরা কেন পারছি না। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, আমরা লিজ দিয়ে বন্ধ হতে চাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো চালাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের তুলনায় আমরা মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবসা করি। সেখানে সরকারি জুটমিল নেই। অথচ, আমরা লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো চালিয়ে প্রাইভেট সেক্টরগুলোকে ওই সময়ে হেল্প করতে পারিনি। এখন অনেকগুলো মিল চালু হয়েছে। যেহেতু প্রাইভেট সেক্টরের উদ্যোগে চালু হচ্ছে, তারা দেখবেন ফরেন কারেন্সি অর্জন করবে। কারন তাদের সরকারি প্রতিষ্ঠানের মত এত অবলিগেশন নেই।’
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘আমাদের বিজেএমসি আছে, তাঁত বোর্ড, বস্ত্র অধিদপ্তর আছে। সবাইকে এই সেক্টরে অবদান রাখতে হবে। কারণ, এই শিল্প এসব সেক্টরের সঙ্গে জড়িত। এতে করে বেতন না পাওয়া জনিত ঝঞ্ঝাট থেকেও আমরা মুক্তি পাচ্ছি। নরমাল জুট প্রোডাক্ট নিয়ে আমরা খুব বেশি ভাল করতে পারব না, কাজেই বিশেষায়িত এইসব পণ্য নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
পরে, মন্ত্রী পাঁচ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং সবগুলো স্টল ঘুরে দেখেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরক্ত সচিব ও জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক রেখা রানী বালো এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা।
দেশের বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী ৩৩টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় পাটের তৈরি পরিবেশবান্ধব, দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় বিভিন্ন প্রকার বহুমুখী পণ্য প্রদর্শন করা হবে।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ'র হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। এবং উচ্চতর তদন্তের জন্য সুপারিশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে ফাইন্ডিং কমিটি।
রবিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কলা অনুষদ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে গঠিত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, ভিসেরা রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও সুরতহাল রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে তদন্ত রিপোর্ট সাবমিট করা হয়েছে।
ফ্যাক্টস উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, পুকুরে পানিতে পড়ার মৃত্যু আমরা পাইনি। অনুমিত করে বলা যায় পৌনে পাচঁটার আগ পর্যন্ত পুকুর পাড়ে সাজিদকে পাওয়া যায়নি।
ফোনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাজিদের ফোন নাম্বার দুইটা। ১৫ তারিখ রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে সাজিদ আব্দুল্লাহ শেষ কল করে যার স্থায়িত্ব ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড। এরপর আর কোন আউট গোইনং কল পাওয়া যায়নি। ১৬ তারিখে ৮ টা ৩০ মিনিটে সাজিদে ফোন কল দেখতে পাই যেটার স্থায়িত্ব ৯ সেকেন্ড এবং অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সাথে কথা হয়নি (সাজিদের বন্ধু ও রিপন আলী নামক ব্যক্তির কল ছিল)। এরপরে আবার সাজিদের বন্ধু রাত ৮ টা ৪৯ মিনিটে কল দেয় এবং কলের স্থায়িত্ব ছিল ২০ সেকেন্ড তবে অপর প্রান্ত থাকা ব্যক্তির সাথে কথা হয়নি। এবং কলগুলো কোন টাওয়ারে ম্যাচ করেছে সে সকল তথ্যসমূহ দিয়েছি। মেসেঞ্জার ও ওয়াটসআপ আমাদের হস্তগত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উচ্চতর তদন্ত সংস্থার দ্বারা এটা ঘটনার তদন্তের জন্য সুপারিশ করেছি। আমাদেরকে যে ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে সেই ১০ দিনের মধ্যে শেষ করেছি। এ কাজের সাথে ডাক্তার, পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী, সাজিদের সাথে সংযুক্ত ব্যক্তি, সংগঠন, জেলা কল্যাণ সকলের সাথে কথা বলা হয়েছে। তবে ক্রস ম্যাচিং এর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সময় অতিবাহিত হয়েছে। আমার টিম দিনরাত পরিশ্রম করে এ কাজটা সম্পন্ন করেছে। আমাদের কাজ ছিল ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং করা সেই কাজ সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
এর আগে ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তথ্য মতে, সাজিদের শরীরে কোনো বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। রিপোর্টে শ্বাসরোধের (asphyxia) ফলে সাজিদের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পোস্টমর্টেমের সময় থেকে আনুমানিক ৩০ ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ছয়টায় শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে সাজিদের মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। সাজিদ আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনকে (বাহা) লাল কার্ড প্রদর্শন করলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৩ আগষ্ট) সকালে কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনরত বাকৃবির পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা অনুষদের ফটকে তালা দিয়ে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরবর্তীতে তারা সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন করিডোরে এসে বাহা'কে লাল কার্ড প্রদর্শন করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা 'মানতে হবে কম্বাইন্ড', 'দিতে হবে কম্বাইন্ড', 'এক দফা, এক দাবি, কম্বাইন্ড কম্বাইন্ড' সহ নানান স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন (বাহা) এবং অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদ যৌথ এক বিবৃতিতে জানান, "অদ্য ৩১ জুলাই বেলা ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন মহোদয়সহ শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনুষদের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কর্তৃক ক্লাস-পরীক্ষাসহ অনুষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। শিক্ষার্থীদের এহেন কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এই কার্যক্রমে অনুষদের সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নেই। অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্রফেশনকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য একটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায় কতিপয় বিপথগামী শিক্ষার্থী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রফেশনকে হেয় করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। উপস্থিত সকলে এ কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানায় এবং এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের আহবান জানায়। সভায় অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্রফেশনের বিরাজমান সমস্যাসমূহ সমাধানে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্বান্ত গৃহীত হয়।"
এ বিষয়ে বাকৃবির পশুপালন অনুষদের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী হিমেলের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, 'গত ৩১ জুলাই বাহা কম্বাইন্ড ডিগ্রীর দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের 'কতিপয় বিপথগামী' এবং 'চলমান আন্দোলনটি কয়েকজন শিক্ষার্থীর কুপ্ররোচনায় হচ্ছে এবং এই আন্দোলনে সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নেই' বলে আখ্যায়িত করে একটি বিবৃতি প্রদান করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ শব্দচয়নের মাধ্যমে বিবৃতি প্রদানের প্রতিবাদে আমরা পশু পালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বাহা'কে লাল কার্ড প্রদর্শন করেছি এবং বাহার বিবৃতি প্রত্যাখান করেছি।'
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল থেকে ভেটেরিনারি সায়েন্স ও পশু পালন অনুষদকে একসঙ্গে করে কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বাকৃবির পশু পালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
নওগাঁ জেলা শাখা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এবারের নির্বাচন শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে তিনটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (৩ আগষ্ট) রাতে তফসিল ঘোষণা করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির নির্বাচন প্রধান সমন্বয়ক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশা।
নির্বাচনী তফসিলে জানানো হয়, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ৪ আগষ্ট, মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে ৪ আগষ্ট সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা।
জমা নেওয়া হবে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা। মনোনয়ন ফরম যাচাই বাছাই হবে ৪ আগষ্ট বিকাল ৩ টা থেকে ৪টায়।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ আগষ্ট বিকেল ৪টা থেকে বিকাল ৫টা। প্রতীক বরাদ্দ সন্ধ্যা ৬টায়। ভোট গ্রহণের তারিখ ১১ আগষ্ট বেলা ২টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
তফসিলে আরও উল্লেখ করা হয়, একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী একটি পদে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম রেজাউল ইসলাম রেজু। তিনি জানান, কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছেন। তফসিল অনুযায়ী সবকিছু হবে।
প্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ কাউন্সিল। তাই কাউন্সিলকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা। এরমধ্যে কাউন্সিলকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে উপ-কমিটি। কাউন্সিলে ১৪১৪ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন ও বিভিন্ন ইউনিট এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১০০০ ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন।
কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানো হবে- বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অন্তত ১০০ জন অতিথিকে।
এর আগে, ২০১০ সালে শহরের নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক হন জাহিদুল ইসলাম ধলু,সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন।সর্বশেষ ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়। সেখানে আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ও বায়েজিদ হোসেন পলাশকে সদস্য সচিব হিসেবে ৩১ সদস্য অনুমদিত হয় ।
এবারের কাউন্সিলকে ঘিরে লাখো নেতাকর্মীর সমাগম হবে বলে ধারণা আয়োজকদের।
গত বছর জুলাই আন্দোলনে সাভারে পুলিশের সাঁজোয়া যান (এপিসি) থেকে ফেলে শিক্ষার্থী শাইখ আস-হাবুল ইয়ামিনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশের সাবেক এএসআই মোহাম্মদ আলীকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৩ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম।
এর আগে সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এএসআই মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করে সাভার থানা পুলিশ। পরে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক পুলিশের সাবেক উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল।
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের এপিসি থেকে ফেলে দেয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রাজধানীর মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাইখ আস-হাবুল ইয়ামিন। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আন্দোলন আরও জোরদার হয়।
ইয়ামিনের বাড়ি সাভারের ব্যাংক টাউন আবাসিক এলাকায়। তিনি থাকতেন এমআইএসটির ওসমানী হলে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে রেল পথে পণ্য আমদানি বানিজ্যে বড় ধরনের ধবস নেমেছে। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেলপথে আমদানি হয়েছে মাত্র ১২ হাজার মেট্রিক টন পণ্য, সেখানে গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার মে:টন। অর্থাৎ এক বছরে আমদানি বানিজ্যে ঘাটতি হয়েছে ২৯ হাজার মে:টন।
বেনাপোল বন্দরের সাথে ভারতের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় একমাত্র বেনাপোল বন্দর দিয়েই রেল ও সড়কপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে আগ্রহী ব্যবসায়ীরা। রেলপথে পন্য আমদানি করলে সময় ও অর্থ কম লাগে পাশাপাশি নিরাপদে পন্যটি খালাশ করা যায়। তবে ২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ভারত সরকার একের পর এক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় অনেক আমদানিকারক রেল পথে তাদের পণ্য আমদানি করতে পারছেন না।
রেলযোগে বাংলাদেশী পণ্য ভারতে রপ্তানীর নির্দেশনা থাকলেও আজ পর্যন্ত তা চালু কার সম্ভব হয়নি। রেলে আমদানি করা পন্যগুলি খালাস করার জন্য বেনাপোল স্টেশনে এখনো নির্মাণ করা হয়নি কোনো সেড বা ইয়ার্ড । নানা প্রতিবন্ধকতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত থেকে মাত্র ১ হাজার ২৯৬টি ওয়াগনে ১২ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেলে আমদানি পণ্যের পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার মেট্রিক টন। বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ কমে দাড়িয়েছে ২৯ হাজার মেট্রিক টনে। সংকট কাটিয়ে বাণিজ্য পরিস্থিতির উন্নয়নে দুই দেশের সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল বন্দর দিয়ে সাধারনত খাদ্য শস্য, সার, কাগজ, মোটর গাড়ি, ট্রোক ও বাস চেসিস, তুলা আমদানি হয়ে থাকে।
রেলে আমদানি করা আমদানি কারকের প্রতিনিধি মেসার্স এম এম ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী মেহের উল্লাহ জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলে প্রচুর পরিমাণে আমদানি রয়েছে। পরবর্তীতে ডলার দেশে ডলার সংকট থাকায় এল সি কমে যায় এবং রেলে র মাধ্যমে আমদানি বাণিজ্য কমে যায়। এরপর ৫ আগস্টের পরে দু'দেশের সরকারের মধ্যে সম্পর্ক কেমন ভালো না থাকায় রেলে বাণিজ্য আস্তে আস্তে কমে গেছে। দু'দেশের সরকারের সম্পর্ক ভালো হলে আশা করা যাচ্ছে আগামীতে রেলে আমদানি বাণিজ্য বাড়বে। বেনাপোল এর বিশিষ্ট সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী হবিবর রহমান হবি জানান, গত এক বছর আগেও রেল পথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিবছর ১৫ থেকে ২০ ওয়াগণ আমদানি হয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে রেলে আমদানি অনেকটাই কমে গেছে। রেলে আমদানি হলে আমদানিকারকের খরচ অনেকটাই কম লাগে। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন হলে আবারও দু'দেশের মধ্যে রেলের ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হবে। রেলের আমদানি রপ্তানি শুরু হলে হয়রানীর কমার সাথে সাথে অর্থনৈতিকভাবে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে বলে আমি মনে।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান,জুলাই, আগস্ট আন্দোলনের ফলে এবং পরবর্তীতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে ট্রেন যোগে ভারত থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫ টি ট্রেন আসতো পরবর্তীতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সেখানে ২ থেকে ৩ টি ট্রেনে এসে দাড়িয়েছে। এর ফলে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছর থেকে ২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রায় ২৯ হাজার মেট্রিক টন মালামাল কম এসেছে। এর ফলে রেলওয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে আড়াই কোটি টাকা।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এক কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার তেঁতুলিয়া মিনি স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশে মাগুড়া গ্রামের পাকা রাস্তা থেকে তাঁদেরকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কসাল বাড়ি গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে (২৪) ও অপরজন ঠাকুরগাঁও জেলার ভূল্লিবাজার থানার ভূল্লিবাজার গ্রামের
মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হারুনুর রশিদ (৩২)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেঁতুলিয়া মডেল থানার এসআই আসাদুজ্জামান ও এসআই মোশারফ হোসেন এবং সঙ্গীয় ফোর্স এ অভিযানে তেঁতুলিয়া মিনি স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশে মাগুড়া গ্রামের পাকা রাস্তা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় । আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং তারা বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মূসা মিয়া জানান, তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মাদক নির্মূলে পুলিশের নিয়মিত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে সন্তানদের সামনে স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামী মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রবিবার (৩ আগস্ট) রাতে ঘাতক মেহেদী হাসানকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গত রবিবার সকালে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার জেলখানা মোড় এলাকায় স্ত্রী কাকুলি আক্তারকে ছুরি দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান স্বামী মেহেদী হাসান। অভিযুক্ত স্বামী মেহেদী হাসান উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাদীঘি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে পৌরসভার জেলখানা মোড় এলাকার একটি ভাড়াবাসায় বসবাস করছিলেন।
র্যাব-১৪ এর সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার কাওছার বাঁধন বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর মেহেদী পালিয়ে যায় এলাকা ছেড়ে। পরে সে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় আত্মগোপন করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কোনাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে (ডব্লিউসিএল) রানার্সআপ হয়েছে পাকিস্তান। এই আসরেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে কথাই লড়াইয়ে জড়াতে হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের। এসব কারণেই এরপর থেকে আর এই আসরে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বর্জন করেছিল ভারত লিজেন্ডস। গ্রুপ পর্বে ম্যাচ বর্জনের পর সেমি ফাইনালেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ায় খেলতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। ফলে সেমিতে না খেলেই ফাইনালের টিকিট পায় পাকিস্তান। আর এমন কাণ্ডে সমালোচনার মুখোমুখি হয় দুই দলই।
টুর্নামেন্টে এমন পরিস্থিতি হওয়ায় আয়োজকদের নিয়ে সমালোচনা করেছে পিসিবি। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, আয়োজকদের কয়েকটি সিদ্ধান্ত তাদের অংশগ্রহণের পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
পিসিবি বলেছে, ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত কোনো ক্রিকেটীয় কারণে হয়নি, বরং সুনির্দিষ্ট জাতীয়তাবাদী ধারণাকে তুষ্ট করে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের ক্রিকেটারদের আমরা এমন আসরে অংশ নিতে দিতে পারি না, যেখানে খেলাধুলার চেতনাকে ছাপিয়ে যায় বিকৃত রাজনীতি, স্পোর্টসম্যানশিপ ও ভদ্রলোকের খেলার ধারণাটিকেই যা খাটো করে তোলে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাসে জুলাই মাসে ২.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ১.৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাথে আলাপকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সরকার অনাবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) দেশে অর্থ প্রেরণে উৎসাহিত করতে আইনি চ্যানেলকে সহজতর করায় দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মতে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য সরকারি এবং অনানুষ্ঠানিক বিনিময় হারের মধ্যে ব্যবধান হ্রাস, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে দেশপ্রেমের নতুন অনুভূতির মতো কারণগুলো অন্যতম।
জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
তথ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে উক্ত সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ আলহাজ্ব নুরুল আমিন এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র লংঘন করে একতরফা সিদ্ধান্তে কাজ করার প্রতিবাদে ৩ আগষ্ট রবিবার বেলা ২ টায় সাতক্ষীরা পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজন করেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাডঃ মোঃ নুরুল আমিন । এসময় সংবাদ সম্মেলনে
উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পি,পি, এ্যাডঃ শেখ আব্দুস সাত্তার , সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জি,পি, এ্যাডঃ অসীম কুমার মন্ডল , সাতক্ষীরা নারী শিশু কোর্টের বিশেষ পি,পি, এ্যাডঃ শেখ আলমগীর আশরাফ , সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ এ্যাডঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম (৫) , নির্বাচিত সদস্য এ্যাডঃ আসাদুর রহমান বাবু , নির্বাচিত সদস্য এ্যাডঃ সুনিল কুমার ঘোষ ।
আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ আকবর আলী, এ্যাডঃ এ বি এম সেলিম, এ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র বল্লভ, এ্যাডঃ আলতাফ হোসেন, এ্যাডঃ মিজানুর রহমান বাপ্পী, এ্যাডঃ শাহরিয়ার হাসিব , এ্যাডঃ এস,এম,সোহরাব হোসেন বাবলু, এ্যাডঃ তোহা কামাল উদ্দিন হীরা, এ্যাডঃ সরদার সাইফ , এ্যাডঃ আবু সাইদ রাজা, এ্যাডঃ জি,এম,ফিরোজ আহমেদ, এ্যাডঃ জাহাঙ্গীর আলম , এ্যাডঃ ইমরান শাওন, এ্যাডঃ তারিফ ইকবাল অপু, এ্যাডঃ রেজাউল ইসলাম, এ্যাডঃ রফিকুল ইসলাম খোকন, এ্যাডঃ সাইফুল ইসলাম সোহেল , এ্যাডঃ ওয়ালীউল্যাহ, এ্যাডঃ আইয়ুব আলী।
যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ নুরুল আমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলছে না । তিনি আরো বলেন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্রয় কমিটির দায়িত্ব / আহবায়ক যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ নুরুল আমিন কিন্তু কয়েক লক্ষ টাকার জিনিষ ক্রয় করা হয়েছে যুগ্ম সম্পাদক কিছু জানে না । তিনি আরো বলেন আইনজীবী সমিতির আয় হচ্ছে কিন্তু আইনজীবীদের সঞ্চয় তহবিলে টাকা নেওয়া হচ্ছে না, লভ্যাংশ দেওয়া হচ্ছে না এবং নতুন আইনজীবী দের সঞ্চয় তহবিল দিতে হবে। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত যার যে দায়িত্ব তাকে সেই দায়িত্ব বুঝায়ে দিতে হবে এবং নির্বাচিত প্রত্যেক কে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। নতুবা ভবিষ্যতে বৃহৎ আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুলিশের অভিযানে ২৩ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা শহরে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলো । আজ রোববার বিকাল সাড়ে ৪ টায় তাদেরকে কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়।
গতকাল শনিবার রাত ১০ টা থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত শহর এলাকায় এই অভিযান চলে। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সবুজ (২৩) হেলাল (২৫), নাঈম (২৩), রায়হান (২০), আরাফাত (৩৩), ওসমান (১৮), সোহেল মিয়া (২৮), মো. ফুল মিয়া (৩৬), হৃদয় (২৫), রনি মিয়া (৩২), বিল্লাল মিয়া (২০), সানি (৩৩), বিজয় (২৮), সুমন (২০), মাহিন (২১), নামিন (২০), মনির হোসেন (২৮), ফরহাদ (২৫), আকাশ (৩২), গোলাম মোস্তফা (৪২), জনি (২৬), দুলাল (৪৫)।
এবিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফূয়াদ রুহানী জানান, শহরে চুরি, ছিনতাই, মাদক বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার রাতভর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৬ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্য কারো কারো নামে থানায় ছিনতাই মামলা আছে, একজন ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। কয়েকজনের নামে নতুন মামলাও হয়েছে। ভৈরব শহরের আইন শৃংখলা ঠিক রাখতেই অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সন্ধ্যা হলেই বালু নদের তীরে, নীলা মার্কেঠে জলে ওঠে লাল নীল বাতি। মাটির চুলায় লাকড়ি দিয়ে রান্না শুরু হয় হাঁসের মাংস আর বিভিন্ন ধরনের পিঠা। আর এগুলো তৈরি করেন নারীরা এবং পরিবেশনও করেন নারীরা। স্থানীয়রা বলেন, শুধু শীতেই এখানে কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। মাংস দিয়ে পিঠা বিক্রি করে এখানে শতাধিক নারী স্বাবলম্বী।
শীত, গ্রীস্ম, শরৎ আর হেমন্ত সব মৌসুম বাঙালি জাতির বিলাসী আহার-বিহারের মৌসুমও। বছরজুড়ে হাজারো ধরনের পিঠাপুলি তৈরির ধুম পড়ে যায়। অঞ্চলভেদে ঘরে ঘরে তৈরি করা হয় কত রংবেরঙের পিঠাপুলি। তবে সময় এবং মানুষের রুচির মধ্যে অনেক পার্থক্য এসেছে। এক সময় বাহিরের খাবাওে অরুচি থাকলেও এখন ঘরে তৈরি খাবার খেয়ে আভ্যন্ত বাঙালি ক্রমেই ঘরের বাইরে তৈরি খাবার খেতেও অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। বাঙালির এই খাদ্য রুচি পরিবর্তনের কথা ভেবে অঞ্চলভেদে গড়ে উঠেছে বিশেষ খাবারের বিশেষ রেস্টুরেন্ট। তেমনি কয়েক বছর ধরে শীত মৌসুমে শীতের খাবারের মেন্যুর শীর্ষ পর্যায়ে স্থান পেতে শুরু করেছে হাঁসের মাংস। এসব হাঁসের মাংস রান্নার ধরন ও স্বাদও আলাদা।
তেমনি রান্না করা হাঁসের মাংসের জন্য বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান হয়ে উঠেছে ৩০০ ফিট ঘিরে পূর্বাচলে বালু নদের পাশের ময়েজ উদ্দিন চতুর ও নীলা মার্কেট। ঢাকা-রূপগঞ্জ সড়কের ৩০০ ফিট এলাকায় স্টেডিয়ামের পাশে বালু নদের তীর ঘেঁষে গ্রামীণ এ বাজারের অবস্থান। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলে তরুণ-তরুণীরা, বন্ধু-বান্ধব কিংবা অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখানে হাজির হন রান্না করা হাঁসের মাংস দিয়ে চাপটি খেতে।
রাজধানী বাড্ডা থেকে এসেছেন শামিম-মুন্নি দম্পতি। তাঁরা বলেন, হাঁস তো বাসায় বসেই খাওয়া যায়। কিন্তু পূর্বাচলে খাওয়ার মজাই আলাদা। গ্রামীণ পরিবেশে খাওয়া ও ঘোরাঘুরি দুটোই হয়। ডেমড়ার মীরপাড়া থেকে এসেছেন আবিদ হাসান ও তাঁর বন্ধুরা। আবিদ বলেন, 'আমরা সব বন্ধু মোটরবাইকে করে পূর্বাচলে এসেছি হাঁসের মাংস খেতে। শুনেছি এখানকার হাঁসের মাংস খুবই স্বাদ।
গ্রামীণ আবহে সেখানকার দোকানগুলোয় হাঁসের মাংস রান্না করা হয় মাটির চুলায়। রান্নায় ব্যবহার করা হয় স্থানীয় উপকরণ। অনেক ভোজনরসিক মাটির চুলায় এই হাঁস রান্নার ঘ্রাণে বিমোহিত হন। দল বেঁধে হাঁসের মাংস দিয়ে চাপটি, রুটিসহ বিভিন্ন পিঠা খেতে পূর্বাচলে ৩০০ ফিটের ময়েজ উদ্দিন চত্বর ও নীলা মার্কেট ভোজনরসিকদের কাছে বিশেষ স্থান হয়ে উঠেছে।
সপ্তাহের ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার ছাড়াও যেকোনো বন্ধের দিন যেখানে ভোজনরসিকদের ভিড় লেগে যায়। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোজনরসিকদের এই ভিড় অব্যাহত থাকে। গ্রামীণ পরিবেশে দেশি হাঁসের মাংসের সঙ্গে আতপ চালের চাপটি কিংবা চিতই পিঠা ভোজনরসিকদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শীত আসলেই শীতের খাবারের নতুন এই ট্রেন্ড হাঁসের মাংস খেতে দলে দলে ভোজনরসিকরা ছুটে যান নীলা মার্কেট এলাকায়।
৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ের পাশে পূর্বাচল সেক্টর-১-এ বিশাল এলাকাজুড়ে মার্কেকটির অবস্থান। ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ে এমনিতেই রাজধানীবাসীর কাছে দর্শনীয় স্থান। তার পাশে নীলা মার্কেটের মজাদার হাঁসের মাংস মানুষের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ায় রাজধানীর আশপাশের এলাকাগুলো থেকেও আনকে দল বেঁধে সেখানে হাঁসের মাংসের স্বাদ নিতে চলে আসেন। সেখানকার অসংখ্য দোকানের যেকোনো একটায় ইচ্ছামতো বসে উপভোগ করা যায় দেশি হাঁসের বিচিত্র স্বাদ। সঙ্গে রয়েছে বাহারি পিঠাও।
নীলা মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশে সারি সারি দোকান, যার প্রায় প্রতিটি দোকানেই পাওয়া যায় গরু, মুরগীসহ হাঁসের মাংস। রান্নার জন্য প্রতিদিন দুপুরের মধ্যেই শেষ করা হয় হাঁস কেটে মাংস ধোয়ার কাজ। সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় মাটির চুলায় রান্না। তখন সেখানকার চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে হাঁস রান্নার ঘ্রাণ। দেখা গেছে ছুটির দিনে সেখানে আলেয়ার পিঠাঘরে রান্না হচ্ছে ২৫টি হাঁস। আরো ১০টি মজুদ করা আছে। শিউলি আক্তার তাঁর পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় প্রায় আড়াই বছর ধরে সেখানে ব্যবসা করছেন। খাবার মজাদার হওয়ায় শুরু থেকেই তিনি ভোজনরসিকদের কাছে জনপ্রিয়। কথায় কথায় জানালেন, ছুটির দিনগুলোতে বিকেল থেকে রাত ১টা পর্যন্ত তাঁর দোকানে বেচাবিক্রি চলে। ২৫০ টাকার এক প্লে¬ট মাংসে থাকে একটি লেগ পিসসহ মোট পাঁচ পিস মাংস, সাথে ঝোল। নীলা মার্কেটের বিশেষত্ব হলো সেখানকার মাংস রান্না হয় মাটির চুলায়। আর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় শুকনা কাঠ। এ কারণে খাবারের স্বাদ ভিন্ন হয় বলে জানালেন সেখানকার দোকানিরা।
ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে অনেকে দোকানের সাইন বোর্ডে লিখে রেখেছেন 'লাকড়ি দিয়ে মাটির চুলায় রান্না হয়।' 'নিমন্ত্রণ পিঠা ঘরে' রান্না করছিলেন খালেদা আক্তার। মাটির চুলার বিশেষত্ব সম্পর্কে তিনি বললেন, 'মাটির চুলায় কাঠ দিয়া রান্নাডা হইতে টাইম লাগে। আস্তে আস্তে রান্না হয়। এ জন্য খাবারডা মজা হয়। আর হাঁসের মাংস তো অনেক সময় নিয়া রান্না করা লাগে। মাংস শক্ত থাকলে খাইয়া মজা নাই।
'বউ-শাশুড়ি পিঠা ঘর'-এর মালিক বন্যা আক্তার বলেন, 'আমাদের লোক আছে। ওরা ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা থেকে হাঁস দিয়ে যায়। একদম দেশি হাঁস। হাওরে যেগুলো পালা হয়। আমাদের দোকানে প্রতিদিন রান্না করা ৫০ থেকে ৬০টি হাঁসের মাংস বিক্রি হয়।'
শীতে একটু বেশি জমে ব্যবসা। 'অনন্যা খাবারঘর'-এর মালিক জাকির মিয়া বললেন, 'নীলা মার্কেটে দেড় শ থেকে দুই শ দোকান রয়েছে। যারা হাঁসের মাংস। বিক্রি করে। শীতে সবচেয়ে বেশি জমজমাট হয় এই বাবসা। শীতে হাঁস ভুনা দিয়ে পিঠা খেতে অনেকে পছন্দ করে। এই মৌসুমে এক মাসে আমার প্রায় দুই শ থেকে আড়াই শ হাঁস লাগে'।