বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
১০ পৌষ ১৪৩২

চোরাচালানে বন্দি বন্ধন এক্সপ্রেস

আপডেটেড
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৫:২০
রাশেদুর রহমান, বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত
রাশেদুর রহমান, বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৮:৫৯

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন এখন চোরাকারবারিদের দখলে। বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে চোরাকারবারিরা। ট্রেনে করে লাখ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য ভারত থেকে আসছে অবাধে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সামনেই চোরাচালান পণ্য পাচারের প্রতিযোগিতা চলে বেনাপোল রেলস্টেশনে।

চোরাকারবারিদের দমনে মাঝে মাঝে কাস্টমস, র‌্যাব ও বিজিবি অভিযান চালিয়ে ভারতীয় পণ্য জব্দ করলেও কমছে না তাদের দৌরাত্ম্য। গত দুই দিনে কাস্টমস ও র‌্যাব খুলনা-কলকাতা বন্ধন ট্রেনের যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় ৯১ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে।

২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রা শুরু হয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের। কলকাতা-খুলনা চলাচলকারী ট্রেনটি রোব ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে দুদিন চলাচল করে। বর্তমানে এ ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রীরই চোরাকারবারি। প্রতিবার ট্রেনে করে ৫০৭ জন করে যাত্রী যাতায়াত করে দুই দেশের মধ্যে। ট্রেনটি আন্তর্জাতিক হলেও নেই তেমন কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা। চোরাচাকারবারিরা বেনাপোল, যশোর ও খুলনা এলাকার হওয়ায় অন্য যাত্রীদের সিটের ওপর চোরাই পণ্য তুলে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। মাঝেমধ্যে টাকা-পয়সাও কেড়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন ভ্রমণকারীরা।

আলাদা রুটে যাতায়াত

ট্রেনটি ধারণক্ষমতার দ্বিগুণসংখ্যক যাত্রীসহ চোরাচালান পণ্য নিয়ে যাওয়া-আসা করছে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি। তবে এসব চোরাকারবারি যাওয়ার সময় যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে আর ফিরে আসে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে। ফলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্টেশনে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার না থাকায় বিজিবি ও পুলিশের সামনে চোরাচালান পণ্য নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায় তাদের। অথচ যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিং করার পরও ব্যাগ তল্লাশি করা হয় এমন অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। বিশেষ করে বন্ধন এক্সপ্রেস বেনাপোল স্টেশনে আসার পরপরই বহিরাগত চোরাচালানিরা ঘিরে ফেলে প্লাটফর্ম। মাঝেমাঝে চোরাচালান পণ্য জব্দ করতে গিয়ে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে।

পুলিশের নীরব ভূমিকা

গতকাল সকালে ভারত থেকে আসা জাহিদুর রহমান জানান, বন্ধন ট্রেনে সাধারণ যাত্রীর চলাচলের পরিবেশ নেই। ট্রেনের সব বগি চোরাকারবারিদের দখলে থাকে। চোরাকারবারিরা একেক জন পাঁচ থেকে ছয়টি কম্বলসহ একাধিক লাগেজ নিয়ে ট্রেনের সিটের ওপর ইচ্ছামতো রেখে দেয়। যাত্রীরা কিছু বললে তারা বাজে ব্যবহার করে থাকে। বেশি খারাপ ব্যবহার করে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। ১৪ থেকে ১৫ জনের দল বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য নিয়ে ট্রেনে ওঠে। এদের কিছু বললেই গালিগালাজ করে। ট্রেনের ভেতর রেলওয়ে পুলিশ থাকলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করে। এভাবে চলতে থাকলে এ ট্রেনে সাধারণ যাত্রী চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।

বেনাপোল রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়কোবাদ বলেন, ‘বন্ধন ট্রেনের কোনো যাত্রী যাতে কারও দ্বারা হয়রানির শিকার না হন তার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকি। যাত্রীরা আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন, সেটা সঠিক নয়। ট্রেনের ভেতর কোনো যাত্রী অন্য যাত্রীকে বিরক্ত করার ঘটনা আমরা জানতে পারলে সেটা সমাধান করে থাকি।’

কোটি টাকার পণ্য জব্দ

বেনাপোল কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার আব্দুল রশিদ মিয়া জানান, খুলনা-কলকাতা চলাচলকারী বন্ধন ট্রেনের যাত্রী এখন চোরাকারবারি। এসব চোরাকারবারি ট্রেনের পরিবেশ নষ্ট করছে। এটা আন্তজার্তিক মানের ট্রেন হলেও চোরাকারবারিদের কারণে যাত্রীদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। চোরাকারবারিদের দমনে বন্ধন ট্রেনে অভিযান চালিয়ে গত দুই দিনে প্রায় ৯১ লাখ টাকার ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের পণ্য জব্দ করা হয়েছে।

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। তবে ট্রেনে লাগেজ পার্টির (চোরাকারবারি) সংখ্যা বাড়ছে ক্রমেই। এরাই রেলওয়ে স্টেশনে বিশৃঙ্খলা করছে। বিজিবি স্টেশনে উপস্থিত থাকলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করে থাকে। বিষয়টি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মাহাবুবুর রহমান জানান, ‘ট্রেনের ভেতর কী হচ্ছে, আমরা সেটা জানব কেমন করে? তা ছাড়া আমরা ট্রেন স্টেশনে ডিউটি পালন করি কিন্তু ট্রেনের ভেতর উঠি না। বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে ঝামেলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’

বিষয়:

সোনাইমুড়ী হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে বাড়ছে রোগীদের ভোগান্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নোয়াখালী উত্তর প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বর্তমানে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। যার ফলে দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।

তথ্য বলছে, ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ২০০৬ সালে কমপ্লেক্সটিকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। তবে, জনবল সংকটে উপজেলাবাসীকে চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছে না জনগুরুত্ব সম্পন্ন এ সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। এটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও সেবার মান বাড়েনি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য বলছে, হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি ও অবস) ডাক্তার সোহানা সিকদার বদলি হওয়ার পর ২ বছর ধরে এ পদটি শূন্য রয়েছে। জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষুবিদ্যা) দীর্ঘ বছর ধরে নেই। জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক্স) ডাক্তার ইমতিয়াজ অন্যত্র বদলি হওয়ার পর ৪ বছর ধরে পদটি শূন্য রয়েছে। জুনিয়র কনসেন্টেন্ড (কার্ডিওলজি) ডাক্তার ইকবাল দেড় বছর পূর্বে বদলি হওয়ার পর এ পদটি ও শূন্য রয়েছে। ১৭ জন মেডিকেল অফিসার পদের বিপরীতে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ৫ জন। ২১ জন নার্সের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে ৮ জনকে। ৪ জন মিডওয়াইফের কাজ করছেন মাত্র ১ জন। তিনটি নৈশপ্রহরী পদের মধ্যে রয়েছেন ১ জন। ৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর স্থলে রয়েছেন ৪ জন মাত্র। এভাবেই সব ক্ষেত্রেই জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার আবর্তে জোড়াতালি দিয়ে চলছে এ সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা।

হাসপাতালে সীমানা প্রাচীর নেই। ৩ জন নৈশপ্রহরীর স্থলে রয়েছেন ১ জন। বিভিন্ন সময় চুরি হয়ে যাচ্ছে রোগীদের মূল্যবান জিনিসপত্র। মূল ভবন ও আবাসিক কোয়ার্টারের দরজা, জানালা, গ্রিল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া সন্ধ্যার পরে মাদকসেবী ও বখাটেদের সীমাহীন উৎপাতে অনিরাপদ হয়ে ওঠে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা।

সেবাপ্রার্থী নাজমা বেগম বলেন,‘ তিনি গাইনি বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। কিন্তু কোনো ডাক্তার না থাকায় তাকে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।’ এভাবে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। শূন্য পদে দ্রুত জনবল নিয়োগের দাবি করেন তিনি।

কালিকাপুর গ্রামের সহিদ উল্লাহ বলেন, ‘তার স্ত্রী রজিনা আক্তারকে গাইনি বিশেষজ্ঞের দেখানোর উদ্দেশ্যে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় তারা প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।’

সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন জানান, হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ অনেকগুলো শূন্য রয়েছে। ১৭ জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে ডাক্তার সাদিক, তাহামিনা, রাফাত, সৌরভ ও মাসুদ দায়িত্ব পালন করছেন। এতে করে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, মেডিকেল অফিসার ও কর্মচারী নেই। গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় সিজার বিভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। নিরাপত্তার অভাবে।’ আবাসিক কোয়ার্টারে বসবাসকারীরা বাসার বরাদ্দ বাতিল করেছেন। প্রায় সময় রোগীদের মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মরিয়ম সিমি বলেন, ‘ডাক্তারসহ অন্যান্য কর্মচারী সংকট দীর্ঘদিনের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার চিঠি দিয়েছেন। লোকবল কম দিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে।’


নির্বাচন সামনে রেখে দৌলতপুরে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ৮ হাজার টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় মাঠে নেমেছে প্রশাসন।

এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এই অভিযান চলে। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ কুমার দাশ।

​অভিযান চলাকালে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন না থাকায় ৪টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসাথে জানানো হয়, এই জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তদের ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

​নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ কুমার দাশ জানান, নির্বাচনকে ঘিরে কেউ যেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে না পারে, সেজন্য এই অভিযান নিয়মিত চলবে। তিনি সাধারণ মানুষকে আইন মেনে চলে প্রশাসনকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।


কনটেইনার-কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন রেকর্ড

# জেটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের তাগিদ ব্যবহাকারীদের
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

ট্যারিফ বাড়ানো নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি, শুল্ক কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি ও পরিবহন ধর্মঘটসহ নানা বাঁধা পেরিয়ে চলতি বছর কনটেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে চট্টগ্রাম বন্দর। তবে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দরের নৌচ্যানেলে নিয়মিত ড্রেজিং এবং জেটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের তাগিদ বন্দর ব্যবহারকারীদের।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৩৩ লাখের বেশি কনটেইনার এবং ১৩ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন কার্গো পণ্য। একই সঙ্গে বন্দরে ভিড়েছে ৪ হাজার ৩০০টিরও বেশি জাহাজ, যা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর আমিন আহমেদ আবদুল্লাহ দৈনিক বাংলাকে বলেন, চলতি বছর জাহাজ, কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং—সব ক্ষেত্রেই আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চার হাজারের বেশি জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। বাল্ক কার্গোর ক্ষেত্রে ১৩ কোটি ২৭ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পণ্য এবং ৩৩ লাখের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং সম্পন্ন হয়েছে। অর্থবছর শেষে কনটেইনারের সংখ্যা ৩৪ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, কাস্টমসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় করে ইয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা দূর করে উদ্ভাবনী উদ্যোগ নেয়ার ফলেই এই নতুন মাইলফলক স্পর্শ করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যে বন্দরের গেট ও পিয়ারসাইড অপারেশন অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি দেশের ২১টি বেসরকারি অফডকও বছর শেষ হওয়ার আগেই কনটেইনার ও বাল্ক কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এসব অফডকে বছর শেষে রফতানিতে প্রায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং আমদানিতে প্রায় ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বিপ্লব দৈনিক বাংলাকে বলেন, ২০২৪ সালের সঙ্গে তুলনা করলে ২০২৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ও বেসরকারি অফডকগুলোকে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। এর মধ্যে পরিবহন ধর্মঘট ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি উল্লেখযোগ্য। তবে এসব বাধা অতিক্রম করেই এগিয়ে চলছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।

তিনি আরও বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও বাণিজ্যের ধারাবাহিকতার কারণে আমদানি ও রফতানি-উভয় ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি এসেছে। তবে রফতানির তুলনায় আমদানিতে প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে, কারণ দেশের উন্নয়ন প্রকল্প ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। স্টেকহোল্ডারদের নিরলস প্রচেষ্টা ও দায়িত্বশীলতার ফলেই এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

অপরদিকে প্রায় ৩৯ বছর পর ২০২৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে গিয়ে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, প্রতিযোগী দেশগুলোর বন্দরের তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দর ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। এ কারণে ট্যারিফ বাড়ানোর পাশাপাশি সেবার মান বাড়াতে হবে।

বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান বলেন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারত কিংবা ভিয়েতনামের তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দরের খরচ বেশি। ব্যবহারকারীরা বেশি অর্থ পরিশোধ করলেও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সেবার উন্নতি প্রত্যাশিত হারে হচ্ছে না। মূল্য বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেবার মানে দৃশ্যমান উন্নয়ন প্রয়োজন।

দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৯৩ শতাংশই সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তাই বাণিজ্যের স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দরের নৌচ্যানেলে নিয়মিত ড্রেজিং এবং জেটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে নাব্য সংকট কাটিয়ে অন্তত ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে জিসিবির মতো ইয়ার্ডে গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জাম স্থাপন জরুরি বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহাকারীরা।

বছরে এর আর্থিক পরিমাণ দুই লাখ কোটি টাকারও বেশি। আন্তর্জাতিক শিপিং সাময়িকী লয়েড লিস্টের হিসাবে, বিশ্বের ব্যস্ততম একশটি বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬৮তম।


গজারিয়ায় পুলিশের টহল গাড়িতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, সার্জেন্টসহ আহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হাইওয়ে ও থানা পুলিশের টহলরত দুটি গাড়িতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় হাইওয়ে পুলিশের এক সার্জেন্টসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটির চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বালুয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলো, গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট আহসান হাবিব ও কনস্টেবল নয়ন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, মহাসড়কে দায়িত্ব পালনকালে হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশের দুটি টহল গাড়ি বালুয়াকান্দি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার পাশে অবস্থান করছিল। এ সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টহলরত গাড়ি দুটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পুলিশের দুটি গাড়িই মহাসড়কের ওপর উল্টে যায় এবং হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট আহসান হাবিব, কনস্টেবল নয়ন আহত হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটির চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার ফলে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে কিছু সময়ের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল সিকদার জানান, টহলরত দুটি গাড়ি মহাসড়কের পাশে অবস্থান করছিল। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান সজোরে গাড়ি দুটিকে ধাক্কা দিলে থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের দুটি গাড়িই উল্টে যায়। এতে হাইওয়ে পুলিশের এক সার্জেন্ট ও এক পুলিশ সদস্য আহত হন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, 'দুর্ঘটনার পর যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'


টঙ্গীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে জুলাই যোদ্ধা সুরভী গ্রেফতার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কথিত জুলাই যোদ্ধা তাহরিমা জান্নাত সুরভী (২১) গ্রেফতার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে বারোটার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন টেকপাড়া এলাকার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সুরভী ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।

যৌথবাহিনীর কাছে গ্রেফতার হওয়া সুরভী বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পুলিশ জানায়, সুরভীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় নাইমুর রহমান দুর্জয় নামের এক যুবকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলায় চাঁদাবাজি, অপহরণ করে অর্থ আদায় ও ব্ল্যাকমেইলিং-এর মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন বলেও দাবি পুলিশের।

উল্লেখ্য, গ্রেফতার তাহরিমা জান্নাত সুরভী নিজেকে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিতেন। অভিযান শেষে তাকে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।


নওগাঁয় ৩ দিনব্যাপী ‘আর্ট ক্যাম্পিং’ শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

দৃশ্যকলার বহুত্ব ও সৃজনশীলতাকে ধারণ করে নওগাঁয় প্রথমবারের মতো ‘দৃশ্যকলা’ নওগাঁর উদ্যোগে ৩দিন ব্যাপী ‘নওগাঁ আর্ট ক্যাম্প ২০২৫’ এর ছবি আঁকা প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় মুক্তির মোড় জেলা পরিষদ পার্কে এর উদ্বোধন করেন নওগাঁর বর্ষীয়ান ও প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মোঃ রেজাউল হক।

তিন দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্পে নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত চিত্রশিল্পীরা অংশগ্রহণ করে সরাসরি শিল্পকর্ম সৃজনের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের সামনে উন্মুক্ত করেন শিল্পের নান্দনিক জগৎ। এতে প্রথম দিনে প্রায় ৪০জন বিভিন্ন বয়সী শিশু-কিশোর ছবি আকাঁ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেন।

উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁর গুণীশিল্পী ও সংস্কৃতিজন কেডিয়ানের সভাপতি আনিছুর রহমান, মো: বদরুজ্জামান, সাবেক অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম খান, সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি এ্যাডভোকেট ডিএম আব্দুল বারী, জহির রায়হান চলচিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক রহমান রায়হান। এছাড়াও রাজা ফকির, রবু শেঠ, আব্দুর সাত্তারসহ আরো শিল্পীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

আয়োজনটির উদ্যোক্তা দৃশ্যকলা নওগাঁর সভাপতি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রবিউল করিম বলেন- ষড়ঋতুর এই বাংলার প্রকৃতি যেমন বহুরূপী ও বৈচিত্র্যে ভরপুর, তেমনি আমাদের সংস্কৃতির নানান উপাদানও সমানভাবে সমৃদ্ধ। সেই সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ ও নান্দনিক অংশ জুড়ে রয়েছে দৃশ্যকলা, যেখানে রঙ, রেখা ও কল্পনার মেলবন্ধনে প্রকাশ পায় মানুষের অনুভব, ইতিহাস ও জীবনদর্শন।

“এই আর্ট ক্যাম্প শুধুমাত্র একটি আর্ট ক্যাম্প বা আনুষ্ঠানিক আয়োজন নয়। এটি মূলত শিল্পচর্চা বৃদ্ধির একটি চলমান প্রক্রিয়া।"

দৃশ্যকলা নওগাঁর সাধারণ সম্পাদক তাহমিদুর রহমান মনন বলেন- এই ধরনের শিল্পভিত্তিক আয়োজন নতুন প্রজন্মকে সৃজনশীলতার পথে উৎসাহিত করবে এবং বাংলার শিল্পচর্চাকে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের লক্ষ্য-যেন তরুণ ও যুব সমাজ বাংলার নিজস্ব শিল্প, সংস্কৃতি ও দৃশ্যকলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে এগিয়ে নিতে পারে। ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

‘নওগাঁ আর্ট ক্যাম্প’ নওগাঁর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে এবং দৃশ্যকলার ধারাকে আরও সুদৃঢ় ও গতিশীল করে তুলবে এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের।


শতবর্ষ পূর্তিতে বৃদ্ধরাও হয়ে ওঠেন কিশোর-কিশোরী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

১৯৪৫ সালে এসএসসি পাস করেছেন আবদুল মালেক। ১৯৬৯ সালে পাস করেছেন জমির আলী। ১৯৮০সালে পাস করেন কোহিনূর আক্তার। কারও বয়স ৯৬ বছর, কেউ ৭৫ বছর বয়সের। কেউবা ৬০ বছরের। স্কুলের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে এসে সহপাঠীদের পেয়ে এসব বৃদ্ধরাও হয়ে ওঠেন কিশোর-কিশোরী। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বহুমূখী উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে এই দৃশ্য দেখা মিলে। বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাবেক ছাত্র অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ আবুল বাশার।

ইঞ্জি. শাহেদুজ্জামান ও ডা. রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব শামসুল হুদা ও প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম।

স্মৃতিচারণ করেন ১৯৪৫ সনের প্রবীণ ছাত্র আবদুল মালেক আখন্দ, ইঞ্জি. আব্দুল মালেক, সাবেক সভাপতি কাজী আবদুল ওয়াদুদ, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন, সালেহ আহমেদ, মো. আখতারুজ্জামান, আজীবন দাতা সাংবাদিক মোসলেহ উদ্দিন, শিল্পপতি মিজানুর রহমান ইকবাল মোর্শেদ, আবু মুসা ভূইয়া, বাসস কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া, মাসুদ পারভেজ, জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন, ডা. মীর হোসেন মিঠু, শাহানা আক্তার প্রমুখ।

কেক কাটার পর ‘সোনালি সোপান’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন আহবায়ক ও অতিথিরা।

উল্লেখ্য -১৯২৬ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন ভরাসার গ্রামের বরম উদ্দিনের ছেলে দানবীর আফসার উদ্দিন।


বন্ধ বরিশাল বিভাগের অভ্যন্তরীণ ১৫ নৌপথ

* নদ-নদীতে ডুবোচর, নাব্য সংকট
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরিশাল প্রতিনিধি

নদীবেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চলের জনপদ, একসময় পরিচিত ছিল নৌযোগাযোগের জন্য। তবে নিরাপদ, স্বল্প খরচ ও আরামদায়ক এ যাতায়াত ব্যবস্থা এখন বিলুপ্তির পথে। নদ-নদীতে ডুবোচর, নাব্য সংকট ও অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের কারণে বরিশাল বিভাগের অভ্যন্তরীণ নৌপথগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অন্তত ১৫টি অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলো এখনো সচল রয়েছে যাত্রী সংকট ও অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয়ে সেসব রুট বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

নৌপথে চলাচলকারীরা বলছেন, এক দশক আগেও বরিশাল থেকে বরগুনা, চরদোয়ানী, মহিপুর, পটুয়াখালী, কালাইয়া, লালমোহন, বাহেরচর, বোরহানউদ্দিন, ভাষানচর-হিজলা, মুলাদীসহ বিভিন্ন নৌপথে নিয়মিত চলাচল করত শতাধিক লঞ্চ। সেখানে বর্তমানে সচল রয়েছে মাত্র চারটি রুট। তাও পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নয়। বর্তমানে বরিশাল-ভোলা, মজুচৌধুরীর হাট ও লক্ষ্মীপুর রুটে মাত্র ছয়টি লঞ্চ চলাচল করছে। নাব্য সংকটের কারণে যেকোনো সময় এসব রুটও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শীত মৌসুম এলেই মেঘনা, কীর্তনখোলা ও তেঁতুলিয়া নদীতে সৃষ্টি হয় অসংখ্য ডুবোচর। চলতি মৌসুমে মেঘনার বিভিন্ন অংশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এসব ডুবোচর। বিশেষ করে কাটাখালি থেকে রহমতখালি পর্যন্ত নৌপথে নাব্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। একাধিকবার লঞ্চ মাঝ নদীতে আটকে পড়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।

লঞ্চ শ্রমিকরা জানান, অনেক সময় ২ ঘণ্টা অতিরিক্ত ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের সময় নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ গুণতে হচ্ছে প্রতিটি ট্রিপে। নাব্য সংকট, যাত্রীস্বল্পতা ও বাড়তি জ্বালানি ব্যয়ে লঞ্চগুলো এখন মালিকদের কাছে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে লঞ্চ বিক্রি করে দিয়েছেন অথবা বন্ধ রেখেছেন। নদীপথ বন্ধ হওয়ায় যাত্রীরাও ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

এদিকে নৌপথ সচল রাখতে নিয়মিত ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়ে আসছেন লঞ্চ মালিক ও যাত্রীরা। তবে অভিযোগ রয়েছে, যেসব ড্রেজিং কার্যক্রম হয়, তা অপরিকল্পিত ও খণ্ড খণ্ডভাবে করা হয়। ফলে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যায় না।

লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল সংস্থা বরিশালের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘প্রতি বছর ড্রেজিং হয় ঠিকই, কিন্তু যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেখানে কাজ হয় না। পলি জমে আবার নৌপথ বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে চলতে থাকলে অভ্যন্তরীণ নৌযোগাযোগ পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্য বলছে, বরিশালের একতলা লঞ্চঘাট, বুখাইনগর নালা, নদীবন্দর ও হিজলার মৌলভীরহাট চ্যানেলে ড্রেজিং চলমান। এছাড়া মেহেন্দিগঞ্জের পাতারহাট পুরোনো স্টিমার ঘাট, মুলাদীর নয়াভাঙ্গলী নদী, ভোলার চরফ্যাশনের কচ্ছপিয়া খাল, বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলার ত্রিশ গোডাউন এলাকায় ড্রেজিং শেষের পথে।

লঞ্চ মাস্টাররা জানান, নাব্য সংকটের কারণে এ বছর বাহেরচর ও ভাসানচর রুট বন্ধ হয়ে গেছে। একই কারণে কয়েক বছর আগে বরিশাল থেকে গলাচিপা, বরগুনা, পাথরঘাটা, কালাইয়া, চরকলমি, ঘোষেরহাট, কালীগঞ্জ, চরদুয়ানী ‍ও তুষখালী রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে বরিশাল থেকে ভোলা, পাতারহাট, লাহারহাট, লক্ষ্মীপুর, মেহেন্দিগঞ্জসহ কয়েকটি রুটে ছোট লঞ্চ চলাচল করছে। তবে নাব্য সংকট তীব্র হলে বাকি রুটগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে।

ড্রেজিং বিভাগ জানায়, বরিশাল বিভাগে নদ-নদী ড্রেজিংয়ের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। তবে চলতি বছরে বরাদ্দের পরিমাণ জানাতে পারেননি বরিশাল অফিসের কর্মকর্তারা। বরাদ্দের পুরো অর্থই ড্রেজিংয়ে খরচ হয়েছে। তবে নদ-নদীতে অতিরিক্ত পলি জমার কারণে নাব্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বরিশাল ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন-উর-রশীদ বলেন, ‘নদীর পলির কারণে নাব্য সংকট দেখা দেয়। বরাদ্দ অনুযায়ী ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতে বরাদ্দের সবটুকু ব্যবহার করে নদীপথ সচল রাখার চেষ্টা করা হবে।’


দিনাজপুরে প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর জমি দখলের অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মিজানুর রহমান, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ২নং মন্মথপুর ইউনিয়নে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর পৈতৃক বসতভিটা ও আবাদি জমি প্রতারণার মাধ্যমে লিখে নেওয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে এলাকা। অভিযুক্ত শ্রী নৌতন চন্দ্র দাস ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিশাল মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার,এসি ল্যান্ড, পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ ঘটিকায় দেউল চাকলাপাড়া এলাকায় এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে শ্রী কালিয়াচন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে প্রায় দুই শতাধিক স্থানীয় মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন , গত ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ সকালে দেউল চাকলাপাড়া গ্রামের মৃত তারনী কান্ত দাসের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলে শুভ চন্দ্র দাসকে (২৩) প্রয়োজনীয় কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান প্রতিবেশী নতুন চন্দ্র সরকার ও তার সহযোগীরা। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিবন্ধী শুভকে ফুসলিয়ে এবং মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার বাবার নামীয় মোট ৯১ শতক জমি দলিল (নং-৬৫৪৫/২০২৫) মূলে নিজের নামে লিখে নেন নৌতন চন্দ্র দাস।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিবন্ধীর মা অঞ্জলি রানী, বোন শিল্পী রানী ও মঞ্জু রাণী, মন্মথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী রবিউল ইসলাম নান্নু, মোঃ বেসার, মোঃ বক্কর এবং কাকা সন্তোষ দাসসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বক্তারা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত নতুন চন্দ্র দাস, আ:লীগের দোসর ও তার সহযোগীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এই জমি আত্মসাৎ করেছেন।

ভুক্তভোগী মা অঞ্জলি রানী জানান, জমি লিখে নেওয়ার বিষয়টি জানার পর তিনি নৌতন চন্দ্র দাস এর বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করতে উদ্যত হন নৌতন চন্দ্র দাস এর বাবা অমূল্য চন্দ্র ও ভাই লিটন। এসময় ইউনিয়ন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আঃ ওয়াদুদ আলী শাহ্ উপস্থিত থেকে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শুভ চন্দ্র দাস-এর মা অঞ্জলি রানী বাদী হয়ে নৌতন চন্দ্র দাস, আওয়ামী লীগ নেতা আঃ ওয়াদুদ আলী শাহ্ সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার,এসি ল্যান্ড,পার্বতীপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলের ভবিষ্যৎ রক্ষায় এবং হারানো জমি উদ্ধারে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় মা।


তারেক রহমানের সমাবেশে যাওয়ার পথে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা জেলা প্রতিনিধি

তারেক রহমানের সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি রিজওয়ান আমিন সিফাতকে মটরসাইকেলের গতিরোধ করে নামিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।

নিহত রিজওয়ান আমিন সিফাত (২৮) ভোলা সদর উপজেলার ক্লোজার বাজার এলাকার বাসিন্দা ও ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হাওলাদারের পুত্র।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ক্লোজার বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত সিফাতের মা ইয়ানুর বেগম জানান, আমার ছেলে তারেক রহমানের সমাবেশে যাওয়ার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হয়। সিফাত মটরসাইকেল চড়ে লঞ্চঘাটে যাওয়ার পথে আওয়ামীলীগের হেলাল মেম্বারের নির্দেশে তার দুই ছেলে হাসিব ও সাকিব আমার ছেলেকে মটরসাইকেল থেকে নামিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হাসিব আমার ছেলের মুখ চেপে ধরে রাখে আর সাকিব তার পেটে ছুরি দিয়ে স্বজোড়ে আঘাত করতে থাকে এতে আমার ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। হত্যাকান্ডে জড়িতদের সাথে আপনাদের পারিবারিক কোনো শত্রুতা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নিহত সিফাতের মা জানান, তাদের সাথে আমাদের পারিবারিক কোনো শত্রুতা নেই। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। এছাড়া তিনি প্রশাসনের কাছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবী জানান।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক কোন্দলে নয় জমিসংক্রান্ত দ্বন্ধের জেড়ে সিফাত হাওলাদারের উপর হাসিব ও সাকিব হামলা করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই সিফাত হাওলাদারের সাথে হাসিব ও সাকিবদের জমিজমা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এর জেড়ে ঘটনার দিন দুপুরে হাসিব ও সাকিবের সাথে সিফাতের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যার দিকে তারা কয়েকজন সিফাত হাওলাদারকে একা পেয়ে তার উপর হামলা করে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে সিফাতের চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে, ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।


লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড: ছোট বোনের পর মারা গেলেন বড় বোন স্মৃতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও না ফেরার দেশে চলে গেলেন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর একই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল স্মৃতির ছোট বোন ৮ বছর বয়সী আয়েশা আক্তার। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্মৃতির শরীরের ৯০ শতাংশই দগ্ধ হয়েছিল, যার ফলে প্রথম থেকেই তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন ছিল। এই ঘটনায় তাঁদের মেজো বোন বিথীও সামান্য দগ্ধ হলেও প্রাথমিক চিকিৎসার পর সে বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে ভবানীগঞ্জের চরমনসা গ্রামের সুতারগোপ্তা এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত বাইরে থেকে বসতঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় এবং পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে ঘরের ভেতরে থাকা সবাই আটকা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় শিশু আয়েশা এবং দগ্ধ হন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন ও তাঁর দুই মেয়ে। পরে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্মৃতি ও বিথীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

ঘটনার পর লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দরজায় তালা দেওয়া বা পেট্রোল ঢালার বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে তদন্তের সময় পুলিশ আগুনের ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনটি তালা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত তালার মধ্যে দুটি তালাবদ্ধ এবং একটি খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী জানিয়েছেন, মামলাটি বর্তমানে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে এবং আগুনে পেট্রোল ব্যবহারের কোনো আলামত ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই বোনের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।


রোড সেফটির রিপোর্ট : চট্টগ্রাম শহরে ৮ বছরে সড়কে নিহত ৬৬২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির হার দিন দিন উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আট বছরে নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৬৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পথচারীরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ছিলেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত ‘চট্টগ্রাম সিটি রোড সেফটি রিপোর্ট–২০২৫’— এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনের সম্মেলন কক্ষে প্রতিবেদনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এটি চট্টগ্রামে পুলিশি তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত তৃতীয় সড়ক নিরাপত্তা প্রতিবেদন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) মো. হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ওয়াহিদুল হক চৌধুরী এবং চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান সোহেল।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে ২৯ শতাংশ। বিশেষ করে ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রাণহানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই হার প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও তা নগরের সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই স্পষ্ট করে।

৮ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পথচারীর সংখ্যা ৩৬৩ জন, যা মোট মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি। একই সময়ে পথচারী মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। পথচারীদের পর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ছিলেন দুই ও তিন চাকার যানবাহনের চালক ও আরোহীরা; এ শ্রেণিতে নিহত হয়েছেন ১৯৫ জন।

প্রতিবেদনটিতে নগরের ২০টি উচ্চঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বড়পোল মোড়, অলংকার মোড়, সিইপিজেড গেট, সিটি গেট, নিউমার্কেট বাসস্টপ, কালামিয়া বাজার বাসস্টপ ও সাগরিকা গোলচত্বর। এসব এলাকায় দ্রুত বিজ্ঞানভিত্তিক যাচাই-বাছাই করে সড়ক নকশার ত্রুটি চিহ্নিত ও পুনর্নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে।

পথচারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফুটপাত প্রশস্ত করা, উঁচু জেব্রা ক্রসিং নির্মাণ, নিরবচ্ছিন্ন ফুটপাত, স্পিড হাম্প ও পথচারী দ্বীপ স্থাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪ বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সড়ক নিরাপত্তা শুধু আইন প্রয়োগের বিষয় নয়, এটি নগর পরিকল্পনা ও সড়ক নকশার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। সিএমপি ইতোমধ্যে রোড সেফটি সেল গঠন করেছে এবং দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহে একটি মানসম্মত পদ্ধতি চালু করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ওয়াহিদুল হক চৌধুরী বলেন, রোড সেফটি সেলের মাধ্যমে দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। ভবিষ্যতে এই সেলই নিয়মিত সড়ক নিরাপত্তা প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে, যা নীতিনির্ধারক ও নগর পরিকল্পনাবিদদের জন্য দিকনির্দেশক হবে।


১৫ বছরে সৌর প্রকল্পে ৩ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম : টিআইবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ১৫ বছরে ৬টি সৌর প্রকল্পে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ কার্যালয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এ তথ্য জানিয়েছে।

‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির কর্মকর্তা নেওয়াজুল মওলা ও আশনা ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অনিয়ম তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌর প্রকল্প (সরকারি), সৌর প্রকল্প (আইপিপি) সংশ্লিষ্ট ৬টি খাতে অতিরিক্ত প্রকল্প ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে।

পিডিবির হিসাব অনুযায়ী, সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রতি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড়ে ৮ কোটি টাকা প্রয়োজন হলেও গবেষণার আওতাভুক্ত ৬টি প্রকল্পে প্রতি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড়ে ১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা বেশি ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে; যা গড়ে দেড় গুণেরও বেশি। এই প্রকল্পগুলোতে প্রয়োজনের চেয়ে ২ হাজার ৯২৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করা হয়েছে।

হিসাব কষে দেখা গেছে, ৬টি প্রকল্পে ৪ হাজার ৪৩ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন হলেও ব্যয় করা হয়েছে ৬ হাজার ৯৭০ কোটি ৮ লাখ টাকা।

টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষেত্রবিশেষে, সরকারি প্রকল্প সরকারি জমিতে স্থাপিত হলেও (ভূমি অধিগ্রহণ ও ইজারার বিষয় না থাকা স্বত্ত্বেও) প্রতি মেগাওয়াট ইউনিট স্থাপনে ব্যয় ১৪ কোটি ৮ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে, যা দেশের অন্যান্য সৌর প্রকল্পের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যয়বহুল।

টিআইবি গবেষণার আওতাভুক্ত বিদ্যুৎখাতের ৫টি প্রকল্পে শুধু ভূমি ক্রয় এবং ক্ষতিপূরণ প্রদানে ২৪৯ কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের মাত্র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রক্রিয়াগত অস্পষ্টতা রেখে বিদেশি বিনিয়োগের নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বাতিল করা হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কর প্রণোদনা, শুল্ক ছাড়, ভ্যাট ছাড়, বিমায় প্রণোদনা যথেষ্ট কম বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগ ঘাটতির কথা উল্লেখ করা হয় টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে।

গবেষকরা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের ৩ হাজার ২৮৭ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩১টি আনসলিসিটেড নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের ‘লেটার অব ইন্টেন্ট (এলওআই)’ বাতিল করেছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে ইতোমধ্যেই ১৫টি প্রকল্পের জমি কেনা ও কর প্রদানসহ অফেরতযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে।

৪টি প্রকল্পে বিদেশি কোম্পানির সরাসরি বিনিয়োগ আছে, যার ২টিতে শতভাগ মালিকানা বিদেশি কোম্পানির হাতে রয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি রয়েছে। নতুন করে ৫৫টি প্যাকেজে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি প্যাকেজে শুধু একটি করে দরপত্র পাওয়া গেছে এবং ১৩টি প্যাকেজে কোনো দরপত্র পাওয়া যায়নি। তাই নতুন দরপত্রে ‘রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি’ না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি সীমিত হয়ে গেছে।

টিআইবি বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রিন ফাইন্যান্সিং’ এর আওতায় নবায়নযোগ্য খাতের জন্য আলাদা একটি স্কিম থাকলেও দীর্ঘ ও জটিল আবেদন প্রক্রিয়াসহ নানাবিধ কারণে ব্যস্তবিক ব্যবহার খুবই সীমিত।

গবেষণায় বলা হয়, দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবকাঠামো (বিস্তৃত এলাকা) ব্যবহার করে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের সুযোগ থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও বিনিয়োগের ঘাটতি থাকায় তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী সংস্থা যেমন এডিবি ও বিশ্বব্যাংক সরকারি খাতের চেয়ে বেসরকারি খাতের নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী হয়েছে। এতে সরকারি খাতের ভূমিকা সীমিত হয়ে গেছে। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিকল্পনা বেসরকারি খাত, বিশেষ করে আইপিপিভিত্তিক উদ্যোগকে কেন্দ্র করে তৈরি হলেও এ খাতে তাদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে আকর্ষণীয় প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরি করেনি সরকার।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি-২০২৫ এ নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের রূপরেখা তৈরি না করার কথা বলে টিআইবি।

টিআইবি বলছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর সর্বোচ্চ ৯৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১১ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা) প্রয়োজন হবে। ২০৩০ সালের পর থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৭ হাজার ২৮০ কোটি টাকা) প্রয়োজন হবে। কিন্তু অর্থায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট ও সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা নেই সরকারের।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনায় নীতি সংক্রান্ত অসঙ্গতি ও দুর্নীতি দৃশ্যমান। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে প্রাধান্য না দেওয়া, জীবাশ্ম জ্বালানিতে অতিরিক্ত নির্ভরতা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার অভাব দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের পথে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। এ অবস্থা বজায় থাকলে ২০৫০ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন হয়ে যাবে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশে বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা প্রায় ৯৫ শতাংশ, বিপরীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভরতা ৪ শতাংশের বেশি নয়। অর্থাৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত সব সময় অবহেলিত হয়েছে।


banner close