শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
৯ কার্তিক ১৪৩২

বিদ্যালয়ের মাঠ খুঁড়ে টাওয়ার

আপডেটেড
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৫:১৮
প্রতিনিধি, বরগুনা
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, বরগুনা
প্রকাশিত : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৯:৫৪

বরগুনা সদরে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে শহীদ মিনার ভেঙে একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানের টাওয়ারের নির্মাণকাজ চলছিল। পরে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের বাধায় কাজ বর্তমানে বন্ধ আছে।

মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি করে তারা এ কাজ করছে। গত বুধবার মাঠে মাটি খননের কাজ শুরু হলে স্থানীয়রা তাতে বাধা দেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি হলো সদরের কদমতলা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থানীয়রা জানান, এখানে একটি খেলার মাঠের চারপাশজুড়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সেখানে কলেজ লাইব্রেরির পাশে ১২০ ফুট উচ্চতার টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। তখন বাধা দেয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠান তিনটির মাঠের পশ্চিম কোণে একটি শহীদ মিনার, গভীর নলকূপ, একাধিক ফলদ, বনজ গাছ ও শৌচাগার। টাওয়ার স্থাপনের উদ্দেশ্যে মাটি খননের কাজ করতে গিয়ে এগুলো ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর শহীদ মিনারের একাংশ ভেঙে পাশে আরেকটি শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ চলছে।

শিক্ষার্থীরা বলে, বিকেল হলে তারা এই মাঠে খেলাধুলা করে। টাওয়ার হলে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যালয়টি সাবেক শিক্ষার্থী জিয়াউল হক। বর্তমানে তিনিও শিক্ষকতায় নিয়োজিত। জিয়াউল বলেন, ১৯৬৪ সালের দিকে তার দাদা এই বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেন। কদমতলা বাজারসংলগ্ন অনেক জমি থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রধান অন্যায়ভাবে লাভবান হতে টাওয়ার নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন। টাওয়ার হলে শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকিতে পড়বে।

কদমতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ইমাদুল হক গাজী বলেন, এলাকায় টাওয়ারটি প্রয়োজন। তবে এলাকায় আরও জমি আছে। বিদ্যালয়ের মাঠে টাওয়ার বসানো ঠিক হবে না।

কদমতলা বাজার কমিটির সভাপতি শাহজাহান মুন্সী বলেন, স্কুলমাঠে না হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠের দক্ষিণ পাশে টাওয়ার হলে ভালো হয়। তবে দাবি থাকবে এলাকায় টাওয়ার হোক।

ঠিকাদার মো. রাকিব বলেন, গত বুধবার বিকেলে শ্রমিকরা মাটি কাটা শুরু করেন। স্থানীয়রা বাধা দিয়েছেন। এরপর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
টাওয়ার স্থাপন প্রকল্পে মোবাইল ফোন অপারেটর থেকে নিযুক্ত প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি হয়েছে। প্রতিবছর ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে কদমতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এ বি এম বশির উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
হাইস্কুল ও কলেজের সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানতাম না। আমার আগে আমার বড় ভাই সভাপতি ছিলেন। চুক্তি হলে তার সময় হয়েছে।’

বরগুনার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর কোনো সুযোগ নেই।

বিষয়:

বিয়ের প্রলোভনে সাগরযাত্রা, ৪৪ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ উদ্ধার

আপডেটেড ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:২৪
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের পাহাড়ি এলাকা থেকে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়,টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের পিনিস ভাঙা পাহাড়ি এলাকায় সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশুকে জড়ো করে রাখা হয়েছে। খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত টানা অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ২৭ জন নারী, ১২ জন শিশু, ২ জন রোহিঙ্গা পুরুষ এবং ৩ জন স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিক। এদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা শরণার্থী, যারা টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতেন। উদ্ধার হওয়া ২২ জন নারী জানিয়েছেন, তারা বিয়ের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।
রোহিঙ্গা তরুণী আসমিদা (১৭) জানান, “আমার বাবা নেই, শুধু মা আছেন। আমাদের আত্মীয়-স্বজন মালয়েশিয়ায় থাকে। তাদের মাধ্যমে মোবাইলে এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। সেই ছেলেকে বিয়ে করতে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলাম।”
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্র দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় দরিদ্র মানুষদের বিদেশে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করছে। তারা উচ্চ বেতনের চাকরি, উন্নত জীবনের আশ্বাস এবং বিনা খরচে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে নারী ও শিশুদের পাহাড়ে এনে জিম্মি করে রাখে। এরপর তাদের পরিবার থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে এবং সুযোগ বুঝে সাগরপথে পাচারের পরিকল্পনা করে।
স্টেশন কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন,
“অভিযানের খবর পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া নারী-পুরুষ ও শিশুদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হবে।


প্রায় তিন মাস পর দৃশ্যমান হলো ঝুলন্ত সেতু, পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি
প্রায় তিন মাস পর রাঙামাটির আইকন ঝুলন্ত সেতু আবারও দৃশ্যমান হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে শুরু করায় অবশেষে ৮৬ দিন পর সেতুর পাটাতন থেকে পানি সরে গেছে। দীর্ঘ বিরতির পর শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে পর্যটক ও স্থানীয়দের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সেতু এলাকা।
সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থীরা সেতুতে হাঁটতে ও ছবি তুলতে দেখা গেছে। বিকেলের দিকে পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স এলাকায় পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
পর্যটন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতু। এরপর নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ সময় অনেক দর্শনার্থী ভ্রমণে এসে আইকনিক এ স্থাপনাটি না দেখে হতাশ হয়ে ফিরে যান।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন,
“প্রায় তিন মাস পর সেতু থেকে পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন করেছি। আজ থেকেই সেতুটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কিছু সংস্কারের কাজ বাকি আছে, তবে পর্যটন মৌসুম সামনে থাকায় আশা করছি, গত তিন মাসের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারব।”
স্থানীয় পর্যটক রুবেল দত্ত বলেন,
“অনেক দিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলাম সেতুটি দেখার জন্য। আজ আবার সেতু দিয়ে হাঁটতে পারছি, খুব ভালো লাগছে। ছবি তোলার সুযোগও মিলছে।”
আরেক দর্শনার্থী মমতা চাকমা বলেন,
“পরিবার নিয়ে এসেছি। অনেক দিন পর ঝুলন্ত সেতু ঘুরে দেখছি, মনে হচ্ছে রাঙামাটির পুরনো সৌন্দর্য ফিরে এসেছে।”
রাঙামাটির এই বিখ্যাত ঝুলন্ত সেতু পর্যটকদের কাছে শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি পার্বত্য জেলার অন্যতম আকর্ষণ ও পরিচয়ের প্রতীক।


ইসকন নিষিদ্ধ চায় শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভে উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি প্রতিনিধি

হিন্দুত্ববাদী চক্র কর্তৃক মুসলিম নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট, গাজীপুরে আশামনি ধর্ষণ, খতিব মুহিবুল্লাহকে অপহরণ, চট্টগ্রামের আলিফ হত্যা সহ ইসকনের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে ‘মুসলিম শিক্ষার্থী’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে একই স্থানে সমবেত হন এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

এসময় বক্তারা বলেন, ' পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইসকন নামক এই বিষফোঁড়া, ভারতের দালাল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অতিসত্বর এই বাংলাদেশ থেকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি, ফ্যাসিস্ট আমলে ইসকন এদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো নিয়ন্ত্রণ করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে তারা ইসকনদের জায়গা করে নিয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় থেকে একদম রুট-লেভেল পর্যন্ত ইসকন পরিকল্পিতভবে তাদের লোকদের ঢুকিয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে এই বাংলাদেশ থেকে ইসকন'কে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকনকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, এদেশের তাওহীদি জনতা এবং ছাত্র সমাজ কখনো মেনে নিবে না। 'জেন-জি' যদি একবার ইসকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেঁটে-পড়ে তাহলে এই বাংলায় ইসকনের কবর রচিত হতে বাধ্য।'

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, ‘ইসকন এই বিশ্বে ধর্ম প্রচার করছে না বরং তারা ধর্মের ছদ্মবেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদকে প্রচার এবং প্রসার করার জন্য মাঠে নেমেছে। মুসলিম মা বোনদের নিয়ে তামাশা করছে। ইসকনের মত সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। সিঙ্গাপুর আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে বলা হয়েছে ইসকন তাদের ধর্ম প্রচারের কোন সংগঠন না। তারা উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রচার-প্রসারের জন্য এখানে আদা জল খেয়ে নেমেছে।’


আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রেস সচিব

আপডেটেড ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:২০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা :-

আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সরকারের উপর দেশি-বিদেশি কোন চাপ নেই। তারা গণহত্যার জন্য এখনো ভুল স্বীকার করেনি।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ফ্রী ফেয়ার একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে সব দল একসাথে অংশগ্রহণ করবে।
বিগত শেখ হাসিনার সময়ের প্রতিটি নির্বাচনে তাদের পছন্দমত প্রার্থী কেনাবেচা হয়েছে। তাতে জনগণের কোন অংশগ্রহণ ছিল না।
শুক্রবার সকালে মাগুরা শহরের নবগঙ্গা পার্কে জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ পারভেজ।
তিনি আরও জানান, জুলাই সনদ বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ঐক্যমত পোষণ করেছে। যে কয়েকটি দল এখনো স্বাক্ষর করেনি, তাদেরও সম্মতি রয়েছে।

জাতীয় ঐক্যমতের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে বা পরে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এ বিষয়ে সরকার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, “জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারিতে। আরপিওতে ‘না ভোট’ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে একক প্রার্থী থাকলেও জনগণ প্রয়োজনে তাকে প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ পায়।


অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে পটুয়াখালীতে আনন্দ শোভাযাত্রা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ১৫% বাড়ী ভাড়া প্রজ্ঞাপণ জারী হওয়ায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ র‌্যালী করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশীজোট পটুয়াখালী জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকগণ।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শহরের পৌরসভা চত্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট পটুয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক আয়োজনে র‌্যালীটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পটুয়াখালী সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে পটুয়াখালী সদর উপজেলা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট আহবায়ক মো. অহিদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব মো. সাখাওয়াত হোসেন এর সঞ্চালনায় ধন্যবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশীজোট পটুয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক এবং আনুষ্ঠানের সভাপতি সাইফুল মজিদ মোঃ বাহাউদ্দিন।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছোটবিঘাই মোক্তার ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ কামরূল আহসান, ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান, হাজীখালী আলিম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোঃ ফারুকুজ্জামান, খাসেরহাট স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ রশির উদ্দিন,জেলা শাখার সমন্বয়ক মোঃ সাজেদুল ইসলাম বাহাদুর, আবদুল কাউয়ুম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন,আলহামদুলিল্লাহ মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট শতকোটি শুকরিয়া আদায় করছি। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই প্রিয় অধ্যক্ষ আজিজুল হক স্যারকে এবং পটুয়াখালী জেলার শিক্ষক ভাইদের যারা কষ্ট করে আমাদের আন্দোলন কে সফল করেছেন।যাদের নাম না বললেই নয়। সৈয়দ কাইয়ুম ভাই, বশির স্যার,শফিক স্যার,মুস্তাফিজ স্যার,অহিদ সারওয়ার স্যার,মাসুম ছোট ভাই সাখাওয়াত, মাসুদ, জলিল স্যার সহ অনেক অনেক স্যারদের।সবাই দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যতে শিক্ষকের যে কোন নায্য দাবি আদায় করতে সবাই একসাথে কাজ করতে পারি।


চসিকে ফ্যাসিবাদী আ. লীগ আমলে লুটপাটের অভিযুক্ত চারজন

অধিকতর তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুদক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালুদ্দিন হাওলাদার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) একটি উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অধিকতর তদন্ত শেষে চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ইমপ্রুভমেন্ট পোর্ট কানেকটিং রোড প্রকল্পের (অলংকার থেকে নিমতলা পর্যন্ত) কাজে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে এ চার্জশিট দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. বেনজীর আহম্মদ।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ১. কুমিল্লার ঝাউতলার বাসিন্দা ও মেসার্স জাকির এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাকির হোসেন, ২. ইউসিবিএল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীন স্পেশাল অ্যাসেটস ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের কর্মকর্তা মো. সরোয়ার আলম, ৩. চসিকের তৎকালীন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এবং ৪. এনআরবি ব্যাংক কুমিল্লা শাখার তৎকালীন এভিপি ও শাখা প্রধান মোহাম্মদ তোফায়েল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১০ মে দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ারুল হক এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চসিকের ওই প্রকল্পে আর্থিক অনিয়ম ও সরকারি ক্ষতিসাধন করেন। প্রকল্পের কার্যাদেশ পাওয়ার পর নিয়মিত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অবৈধভাবে ‘আমমোক্তার’ নিয়োগের মাধ্যমে কাজ হস্তান্তর এবং অসমাপ্ত অবস্থায় প্রকল্প বন্ধ রাখার কারণে সরকারি ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে দুদকের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, আসামি মো. জাকির হোসেন নিজেকে ‘রানা বিল্ডার্স অ্যান্ড সালেহ আহম্মেদের’ ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয়ে ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখার মাধ্যমে প্রায় ২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তারা সরাসরি সহযোগিতা প্রদান করেন। এর আগে মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে দুদক একবার চার্জশিট দাখিল করলেও আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে নতুন তদন্তে আরও তথ্য উদঘাটিত হওয়ায় হালনাগাদ চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে দুদকের তদন্তাধীন এবং বর্তমানে চসিক প্রশাসনের সঙ্গে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। প্রকল্পের সব আর্থিক কার্যক্রম ছিল তৎকালীন কর্মকর্তাদের সময়কার। বর্তমান প্রশাসন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রকল্পে কঠোর আর্থিক তদারকি ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।


পৌর প্রশাসকের নির্দেশ মানছে না ঠিকাদার!

ড্রেন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌর এলাকায় ড্রেন নির্মাণে ঢালাইতে সিলেকশন বালু না দেওয়া, পরিমাণে সিমেন্ট, রড কম ও নিম্ন মানের সামগ্রী দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পৌর প্রশাসক চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও ঠিকাদার তা উপেক্ষ করে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে সোনাইমুড়ী পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল আজিম জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর এলাকায় ড্রেন নির্মাণের টেন্ডার হয়। ৩২টি পৌর সভায় পানি সরবরাহ ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রনমেন্টাল সেনিটেশন প্রকল্পের ৪ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ পায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে আনোয়ার হোসেন। ওই ঠিকাদার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে যেন-তেনভাবে ড্রেনের নির্মাণকাজ চালিয়ে যায়। বিগত সরকার পতনের পর ওই ঠিকাদার গা ঢাকা দেয়। গত দেড় বছর পূর্বে এই কাজটি পুনঃটেন্ডার হয়। নোয়াখালী জনস্বাস্থ্য বিভাগের ঠিকাদার রিদি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকার আবু তাহের কাজটি পায়।

পৌর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ড্রেন নির্মাণে শিডিউল ও ড্রয়িং মোতাবেক কাজ করছেনা ঠিকাদার। রড কম, সিলেকশন বালু না দেয়, নিম্নমানের কনক্রিট, সিমেন্ট তুলনামূলক কম দিয়ে যেন-তেনভাবে ড্রেন নির্মাণ করছে ঠিকাদার। হাটু পরিমাণ পানির মধ্যে ড্রেনের সাইট ঢালাই করছে। আবার ঢালাই খোলার পর বিভিন্ন স্থানে রড দেখা যাচ্ছে।

এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েকবার নির্মাণকাজ বন্ধ করলেও ঠিকাদার মানছে না।

নোয়াখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের নিম্ন সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ সত্য। তা অল্প দিনেই বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোনাইমুড়ী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) নুরুল আলম মানিক জানান, তাদের কাছে এই কাজের কোনো শিডিউল ও ডিজাইন নেই। তিনি পৌরসভা থেকে মৌখিক তদারকি করছেন। ড্রেনের কাজ শেষে পৌর কর্তৃপক্ষ বুঝে নেবেন। তবে তিনি ড্রেন নির্মাণে অনিয়মের সত্যতা স্বীকার করেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিদি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবু তাহেরের বক্তব্য নিতে একাধিকবার করেও তাকে পাওয়া যায়নি। প্রকল্প এলাকায়ও তিনি নেই।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। কেউ পৌর প্রাশাসক ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ করলেও কাজ হবে না। তিনি তাদের কোনো তোয়াক্কা করেন না বলে জানান।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক নাছরিন আক্তার বলেন, ড্রেন নির্মাণে অনিয়ম হচ্ছে এ সত্য। কয়েকবার ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ করতে বললেও শোনেনি। তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে অবহিত করলেও তারা কর্ণপাত করছে না। বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ায় কাজ বন্ধ করতে বললেও তা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার।

নোয়াখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্মাণ কাজে অনিয়ম হচ্ছে তিনি শুনেছেন। অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকল্প এলাকায় লোক পাঠিয়েছেন।


সিরাজগঞ্জের সেই ধর্ষণের প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নাইম হোসেনকে (২০) কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২)। চাঞ্চল্যকর এই মামলার ৬ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি নাঈমসহ গ্রেপ্তার হয়েছে চারজন। গত বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে র‌্যাব-১২ ও র‌্যাব-১১-এর যৌথ অভিযানিক দল তিতাস থানার জিয়ারকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার নাইম হোসেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে র‍্যাব-১২-এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব-১২-এর উপঅধিনায়ক মো. আহসান হাবিব বলেন, ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকে নাইম পলাতক ছিল। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর কুমিল্লার তিতাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা। গ্রেপ্তার নাইমকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের বাসিন্দা ৭ম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ওই কিশোরী (১৪) মাদ্রাসা থেকে বাইরে বের হলে ওই কিশোরীকে ছয়জন যুবক জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নেয়। তাকে জামতৈল সেন্ট্রাল পার্কের পাশে ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে ধর্ষণ করে নাইম। কিশোরীর চিৎকার যেন বাইরে না যায় সে জন্য বাকি আসামিরা সাউন্ডবক্সে উচ্চ স্বরে গান বাজায়। পাশবিক নির্যাতনে কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষক ও তার বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার বিশেষ অঙ্গ রিপায়ার করা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই মামলার এজাহার নামীয় তিন আসামি মো. আকাশ (২১), মো. আতিক (২৩) ও মো. নাজমুল হক নয়নকে (২৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর 

ফরিদপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের হলরুমে প্রফেসর এবিএম সাত্তার ফাউন্ডেশন ট্রাস্টবিষয়ক শিক্ষা সেমিনার গত বুধবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠানে ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম মো. বদরুদ্দোজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক প্রফেসর এবিএম সাত্তার। শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর তারিক হোসেন খান। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সেমিনার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিনা সিরাজী। পরে শুরু হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহনাজ পারভীন, সহকারী শিক্ষক প্রতিমা বিশ্বাস, লাইব্রেরিয়ান মোছা. আশশেফা নাসরীন, সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল, আইসিটি সহকারী শিক্ষক আলমগীর মোল্লা, সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক রেহেনা বেগম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহা. আতাউর রহমান, প্রভাষক অ বা ভূ মশিউর রহমান মিয়া, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফ হোসেন ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সরকারি অধ্যাপক মো. মুবিনুর রহমান। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ প্রফেসর এবিএম সাত্তার। বিশেষ অতিথি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর তারিক হোসেন খান। এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম মো. বদরুদ্দোজার সমাপনী বক্তব্যের মধ্যে শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।


টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমাম পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গী থেকে নিখোঁজ হওয়া বিটিসিএল জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিবুল্লাহ মাদানীর সন্ধান পাওয়া গছে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় জেলা সদরের হেলিপ্যাড বাজার এলাকার একটি রাস্তার পাশে গাছের সাথে লোহার শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর আগে গত বুধবার ফজর নামাজের পর হাটাহাটি করতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। দিনভর খোঁজে না পেয়ে রাতে তার স্বজনরা টঙ্গী পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এলাকাবাসী জানান, মাওলানা মুহিবুল্লাহ জুমার নামাজে সনাতন সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন ও হিন্দু ছেলেদের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুসলিম মেয়েদের সতীত্ব নষ্টকরাসহ সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে জুমার খুতবায় নিয়মিতভাবে সচেতনতামূলক বয়ান রাখতেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেওয়া হয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে গত বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন। বেলা ১১টা পর্যন্ত তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি খোলা থাকলেও সোয়া ১১টার পর মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় জেলা সদরের হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় তাকে গাছের সাথে হাত-পা লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে বলে নিশ্চিত করেন মাওলানা মুহিবুল্লাহের ছেলে আব্দুল্লাহ।

এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, মাওলানা মুহিবুল্লাহ মাদানীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, উদ্ধারকৃত স্থান থেকে ইমাম সাহেবকে নিরাপদে নিয়ে আসতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। থানার অসার পর তার সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানাতে পারব।


শেরপুর বিএনপি নেত্রীর হরিজন পল্লীতে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের সজবরখিলার হরিজন পল্লীর পাচঁ শতাধিক বাসিন্দাদের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ করা হয়েছে। ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা ২২ অক্টোবর রাতে এসব শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ করেন।

এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম ও শহর বিএনপির সদস্য সচিব জাফর আলীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

২১ অক্টোবর রাতে হরিজন পল্লীর সামনে ২০১৮ সালের বিএনপির আলোচিত এমপি প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কার এক নির্বাচনী পথ সভায় হরিজন পল্লীর গৃহবধূ অরুনা ভাস্কর চোখের জলে তাদের দুঃখ দুর্দশার গল্প তুলে ধরেন। আর তার এ বক্তব্য ভাইরাল হয়ে যায়। পরে ২২ অক্টোবর রাতে ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা হরিজন পল্লীর সবার জন্য একবেলা খাবার খাওয়ান এবং সবাইকে শাড়ি ও লুঙ্গি উপহার দেন।

এ সময় তিনি বলেন, সামনে নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে আর তিনি এমপি নির্বাচিত হন, তবে হরিজন পল্লীকে আধুনিক পল্লী হিসেবে গড়ে তুলা হবে এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।

এতে খুশি হন হরিজন পল্লীর বাসিন্দারা। এ সময় অরুনা ভাস্কর বলেন, ‘আমরা আজ খুশি হয়েছি। আমাদের দুঃখ প্রিয়াঙ্কা আপা বুঝতে পেরেছেন। আমি বলব, আপা আমাদের ভুইলা যাইয়েন না।’

জবাবে সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমরা হরিজন পল্লীর লোকজনকে কাছে টেনে নিয়েছি। এমপি হই আর না হই কখনো দূরে ঠেলে দেব না।’


ধুলোয় আচ্ছন্ন পঞ্চগড় পৌর শহর

দ্রুত সমস্যার সমাধান চান ভুক্তভোগী এলাকাবাসী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পঞ্চগড় পৌর শহরে চলাচলে দুর্ভোগ সড়কে বালি ভর্তি ট্রাক ও ট্রাক্টর গাড়ির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বালিবাহী গাড়িগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠিকমতো ঢাকা বা পরিষ্কার না করেই চলাচল করছে, ফলে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছে বালি ও ধুলো। এতে পথচারীদের চোখে বালি পড়ছে, সৃষ্টি হচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক ও টলি বালি পরিবহন করছে। এসব গাড়ির পেছন কোনো ঢাকা নেই। চলাচলের সময় বালি উড়ে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে, রাস্তায় ধুলো জমে যাচ্ছে, সামান্য বাতাসেই আশপাশের দোকানপাট ও পথচারীরা ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, বালিভর্তি ট্রাকগুলো যদি পরিষ্কার করে বা ঢাকা দিয়ে পানির ব্যবহার করা হইত এইতো রাস্তায় তারপর রাস্তায় নামতো, তাহলে এত সমস্যা হতো না। কিন্তু তারা যেভাবে বালি ছিটিয়ে চলে, এখন রাস্তায় হাঁটাচলাও কষ্টকর হয়ে গেছে।

স্কুল শিক্ষক মনি আক্তার বলেন, শিশুদের চোখে প্রতিদিনই বালি ঢুকে যায়। অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছে। পৌরসভা বা প্রশাসনের উচিত বিষয়টি দ্রুত নজরে আনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পঞ্চগড় পৌরসভার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা বিষয়টি জানি। যারা নিয়ম না মেনে বালি পরিবহন করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুব দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পঞ্চগড় পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পৌরসভার ঝাড়ুদার কর্মী আছেন ৩৮ জন। শহরের পরিচ্ছন্নতা কাজে রয়েছে বড় তিনটি ময়লা বহনকারী গাড়ি, একটি মাঝারি গাড়ি, একটি ছোট জরুরি গাড়ি এবং চারটি থ্রি-হুইলার। এছাড়া সড়কে পানি ছিটানোর জন্য একটি গাড়ি রয়েছে, যা বর্তমানে নষ্ট হয়ে আছে।

পঞ্চগড় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী প্রনব চন্দ্র দে বলেন, পানি ছিটানোর গাড়িটি নষ্ট হয়ে আছে। খুব দ্রুতই তা মেরামত করা হচ্ছে।

পঞ্চগড় পৌরসভার প্রশাসক সীমা শারমিন বলেন, ‘শহরের ধুলোবালি কমানোর জন্য সড়কে পানি ছিটানো হবে। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে কার্যক্রম চালু হবে।

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আর এম ও ডা. মো. রহিমুল ইসলাম বলেন, ধুলো থেকে সাধারণত ডাস্ট অ্যালার্জি হয়। ছোট শিশু, বয়স্ক এবং জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি বেশি বিপজ্জনক। শ্বাসকষ্ট, হাঁচি, কাশি ও অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শহরবাসীর দাবি, অবিলম্বে পৌরসভা ও প্রশাসনের সমন্বয়ে বালিবাহী গাড়িগুলোর ওপর কঠোর নজরদারি চালিয়ে রাস্তায় ধুলাবালি ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে শহরবাসী স্বস্তিতে চলাচল করতে পারেন।


ভোলার বোরহান উদ্দিনে মেডিকেল ক্যাম্পেইন এবং বরিশালের কালিগঞ্জে অনিবন্ধিত জেলেদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূল এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের দুর্যোগ মোকাবিলা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছে। দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের বিভিন্ন সময় মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে কোস্ট গার্ড।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড বেইস ভোলা কর্তৃক ভোলার বোরহান উদ্দিন থানাধীন কোতবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। উক্ত মেডিকেল ক্যাম্পেইনে ২৮৩ জন অসহায়, গরীব, দুঃস্থ ও শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

একইসাথে সকাল ১১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন কালিগঞ্জে অনিবন্ধিত ১০০ জেলেদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় মৎস্যজীবীগণ। মতবিনিময় সভায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ, মা ইলিশ রক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা ও মৎস্যজীবীদের সমস্যা এবং উত্তরণের পদক্ষেপ সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনসেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।


banner close