কোভিড মহামারি শুরুর পর সরকার থেকে বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খাতে সাশ্রয়ের কথা বলা হলেও কর্মকর্তারা নিজেদের মনের মতো করে রুম ডেকোরেশন করেছেন। পুরোনো উইন্ডো শীতাতপ যন্ত্র (এসি) বাদ দিয়ে স্প্লিট এসি বসিয়ে নিচ্ছেন, যা বিদ্যমান সাশ্রয় নীতির পরিপন্থী।
সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের অফিসে ব্যবহারের জন্য আসবাব, স্টেশনারি ও ক্রোকারিজ এবং গাড়িতে ব্যবহারের জন্য সুগন্ধিসহ সর্বোচ্চ ৭৪ ধরনের সরঞ্জাম পাচ্ছেন। কোন গ্রেডের কর্মকর্তা বছরে এসব সরঞ্জামের কতটি করে পাবেন, সেই সংখ্যা ঠিক করে দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে পেনড্রাইভও রয়েছে, যা দাপ্তরিক কাজে তেমন একটা ব্যবহার হয় না।
বিশ্বব্যাপী কোভিড মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক মহামন্দার মধ্যে সরকার বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে খরচ কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু প্রাধিকার অনুযায়ী এখন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারীর দাপ্তরিক কার্যালয়ও শীতাতপনিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হচ্ছে। এর ফলে সচিবালয়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক অবকাঠামোর উন্নয়ন না করিয়ে নতুন শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপনের ফলে সচিবালয়ে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় ওই বছরের ১৫ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, মাঠপ্রশাসন, অধিদপ্তর, দপ্তর ও পরিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস আসবাব, অফিস সরঞ্জাম, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ এবং সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন প্রাপ্যতার প্রাধিকার পুনর্নির্ধারণ করে। এই প্রাধিকার অনুযায়ী, উপসিচব থেকে নিচের দিকে প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের দপ্তর শীতাতপনিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হয়। প্রাধিকার পুনর্নির্ধারণের আগে পর্যন্ত কেবল মন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবরা শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার করতে পারতেন।
প্রাধিকার অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ ৭৪ ধরনের সরঞ্জাম দেয়া হলেও খরচ কমাতে সেই তালিকা আর সংশোধন করেনি সরকার। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ২১ জুলাই এক চিঠিতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের নতুন শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র না বসানো, কক্ষে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন না করা এবং অতিরিক্ত লাইট স্থাপন না করার নির্দেশনা দিয়েছে।
দপ্তরে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জামের বাইরে উপসচিব থেকে জ্যেষ্ঠ সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরকারি গাড়িতে ব্যবহারের জন্য সুগন্ধিও সরকারিভাবে কিনে দেয়া হচ্ছে। প্রাধিকার অনুযায়ী, সচিবরা আটটি এবং অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবরা ছয়টি করে পত্রিকা-ম্যাগাজিন পাচ্ছেন। আর উপসচিবরা দুটি করে এবং সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিবরা একটি করে পত্রিকা পান।
গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত কোরবানির ঈদের আগে তারা সচিবালয়ের বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন করে দেখতে পান, অনেক কক্ষে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ও ফ্যান চলছে, জ্বলছে লাইট। রাতে ফ্যান বন্ধ না করায় একটি কক্ষের ফ্যানে আগুন ধরে যায়। এরপর গত ১২ জুলাই ইলেকট্রনিক ডিভাইস ঠিকমতো ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়ে গণপূর্ত বিভাগ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রশাসন শাখার উপসচিদের চিঠি দেয়। সেখানে বলা হয়, কাঠ ও বোর্ড ব্যবহার করে কক্ষে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন করায় দুর্ঘটনা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনার শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানোয় ননশিথেড কেবল ব্যবহার হচ্ছে। এমনটা হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যাবে।
সচিবালয়ে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় তার ৬০-৭০ শতাংশই শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহারে খরচ হচ্ছে বলে পূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রাখলে বিদ্যুৎ খরচ কমবে। কিন্তু প্রাধিকার অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানো হলে বিদ্যুতের খরচ কমানো সম্ভব নয়।
এসব বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম দৈনিক বাংলাকে বলেন, আমরা এখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি এবং তার সুফলও পাচ্ছি। প্রাধিকারে তো অনেক জিনিসের কথা বলা আছে। আপাতত আমরা নতুন করে কারও কক্ষে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র না বসানো এবং কক্ষ ইন্টেরিয়র না করার নির্দেশনা দিয়েছি।
প্রাধিকার অনুযায়ী কর্মকর্তারা যেসব সরঞ্জাম পাচ্ছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমাতে প্রাধিকারের তালিকা কমানোর চিন্তা আছে কি না, এই প্রশ্নে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, বিষয়টি নিয়ে যখন কথা উঠছে, আমরা এখন এ বিষয়ে ভাবব।
জটিলতা বাড়ছে:
সচিবালয়ে বর্তমানে এক হাজার ৯০০টি স্প্লিট ধরনের এবং ৭০০টি উইন্ডো ধরনের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানো আছে। এর বাইরে অর্থভবনে কেন্দ্রীয়ভাবে এক হাজার ২০০ টনের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র রয়েছে।
সচিবালয়ের কোন গ্রেডের কর্মকর্তারা নিজের কক্ষে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন করতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট করা নেই। ফলে যে যার মতো করে নিজের কক্ষ ডেকোরেশন করিয়ে নিচ্ছেন। এর ফলে আগে যেসব কক্ষে উইন্ডো ধরনের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র লাগানো ছিল, ডেকোরেশনের পর সেই যন্ত্র আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ওইসব কক্ষে নতুন করে স্প্লিট ধরনের শীতাতপ যন্ত্র লাগাতে হচ্ছে। আর কক্ষগুলো থেকে সরিয়ে ফেলা পুরোনো যন্ত্রগুলো অন্য কোথাও সংযোজন করা যাচ্ছে না।
সচিবালয়ে প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত সবাই একটি করে বৈদ্যুতিক কেটলি ব্যবহার করছেন। মূলত চা পানের জন্য প্রতিটি দপ্তরে এই কেটলি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এককেটি কেটলিতে একবার পানি গরম করতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল আসে, সেই টাকায় কেটলিতে গরম হওয়া পানির কয়েক গুণ পরিমাণ কাপ চা কিনে খাওয়া যায়।
প্রাধিকার অনুযায়ী যেসব সরঞ্জাম দেয়ার কথা, তার বাইরেও নানা ধরনের সরঞ্জাম কর্মকর্তাদের জন্য কিনতে হয়। সে ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে কেনাকাটা করতে হয়। কারণ প্রাধিকার ঠিক করে দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রশাসন বিভাগ কর্মকর্তাদের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনে তা স্টোরে পাঠায়, চাহিদা অনুযায়ী স্টোর থেকে সেগুলো বণ্টন হয়।
কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, প্রাধিকারের তালিকায় থাকা সব সরঞ্জামই কিনে স্টোরে রাখা হয়। প্রাধিকার অনুযায়ী তা কর্মকর্তাদের দেয়া হয়। প্রাধিকারে সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিবদের তিন মাসে একটি এবং প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের ছয় মাসে একটি করে পেনড্রাইভ নেয়ার বিধান আছে। প্রাধিকার অনুযায়ী নেয়ার সুযোগ আছে বলেই প্রয়োজন না থাকলেও সেসব সরঞ্জাম কর্মকর্তারা নিয়মিত নেন। মন্ত্রণালয়গুলো নিজেদের মতো করে তাদের কর্মকর্তাদের জন্য প্রাধিকার অনুযায়ী কেনকাটা করে করে এসব সরঞ্জামের পেছনে বছরে কত টাকা খরচ হয়, তা বের করা সম্ভব হয়নি।
সচিবালয়ের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মহিবুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে সরকার সবক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছে। সচিবালয়ে নতুন করে আর শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র না বসালে ভালোমতো বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রগুলো ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার উপরে রেখে চালালেও বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। কারণ সচিবালয়ে যত বিদ্যুৎ খরচ হয় তার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই খরচ হয় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের পেছনে।
শহিদ সবুজের স্ত্রী বলেছেন, আমরা শহিদ পরিবার ও আহত পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকবে আপনারা আমাদেরকে সুনজরে দেখবেন। আমার স্বামীর হত্যায় মামলা করেছি এবং ১৩ জন আসামী গ্রেফতার হয়েছে কিন্তু তাদের এখনো বিচার করা হয়নি। আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই, স্বৈরাচারের বিচার চাই। আ.লীগ ফ্যাসিস্টদের বিচার চাই। তাদের ফাঁসি ঝুলাতে চাই।
রবিবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ছাত্র-শিক্ষক সংহতি দিবস উপলক্ষে শহিদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে শহিদ সবুজের স্ত্রী এসব কথা বলেন।
শহিদ সবুজের স্ত্রী বলেন, আমার পরিবারের উপার্জন কর্তা একজনই ছিল তিনি আমার স্বামী। তিনি যখন আন্দোলনে গিয়েছিলেন তখন আমার ১ মাসের বাচ্চা ছিল। তিনি আমাদের পরিবারে ও বাচ্চার কথা চিন্তা না করে আন্দোলনে যোগদান করেছিল। আমার স্বামী দেশের জন্য লড়েছেন, জাতির জন্য লড়েছেন। ৫ আগস্টে বিজয় মিছিলের পর বাসায় অনেকে ফিরেছিল তখন আমার স্বামী ফিরে নাই। তিনি শহিদ হয়েছিলেন কিন্তু আমি দেখতে পারিনি। এই না দেখার বেদনা আমি বলে বুঝাতে পারবো না।
শহিদ রাকিবের পিতা বলেন, আমি অনুরোধ করছি শহিদদের স্মরণের জন্য এমন ব্যবস্থা যদি রাখা হয় তাহলে আমাদের সন্তানদের স্মরণ করতে পারবো সন্তুষ্ট হবো এবং কৃতজ্ঞ থাকবো আপনাদের কাছে।
শহিদ ইউসুফের মা বলেন, আমার বাবা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। আমি হাসপাতালে ছুটে যাই। তিনটা লাশ ছিল। আমার বাবার পা দেখে সনাক্ত করি। কিন্তু ওই যন্ত্রনা সহ্য করতে পারি নাই। এরপরও ছাত্র ভাইদের ডাকে সাড়া দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করি আন্দোলনে।
শহিদ পরিবারের আরেক সদস্য বলেন, আছরের নামাজের পর হঠাৎ শুনতে পাই আমার ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমার মা অস্বাভাবিক ভাবে কাঁদতে থাকেন। এই বেদনা নিয়ে বলতে চাই, ফ্যাস্টিটের অত্যাচার দেখে যাচ্ছি, থামছে না। এগুলো প্রথমত থামাতে হবে। থামানোর জন্য পদ্ধতি বের করতে হবে। কেউ অন্যায় করলে সেটা বিচার পাই না। ফেজবুকে ছেড়ে দেই, বিচার চাই, ফাসি চাই স্লোগানে সীমাবদ্ধ থাকি। আমরা এগুলো চাই না। আমরা কঠোর বিচার চাই, বিচার বিভাগীয় সংস্কার চাই।
উল্লেখ্য, জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
নেত্রকোনায় ৩ আগষ্ট ২০২৫ তারিখ রবিবার সকালে জেলা সদর উপজেলার হলরুমে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা ও জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে পারফরমেন্স বেইজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারী ইন্সটিটিউশনস স্কিল -এসইডিপি'র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে । সারা দেশে শিক্ষার মান উন্নয়নে ও শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ রূপে গড়ার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । নেত্রকোনা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক এর সভাপতিত্বে ও একাডেমিক সুপারভাইজার মো: আব্দুল আউয়ালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস ,বিশেষ অতিথির মধ্যে ছিলেন, নেত্রকোনার অতিথির জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন , নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার স্বপ্না রাণী সরকার । শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থী , অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তিন ক্যাটাগরিতে ৩০ জন পুরস্কার প্রদান করা হয় । এসইডিপি'র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন , জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন , সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক,নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার স্বপ্না রানী সরকার , রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক, লোক গবেষক গোলাম মোস্তফা , আবু আব্বাস কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, মৌজে বালী দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এমদাদুল হক ,আব্বাসিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি লতিফ হায়দার টিটু আব্বাস , অভিভাবক শিক্ষক হারুন অর রশিদ, দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অর্পিতা হক ঐশী , এন আকন্দ আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী আশরাফুজ্জামান প্রমূখ । প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন , শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করলেই হবে না, আমাদের কে মানুষের মত মানুষ হতে হবে । একজন ভালো মানুষ হয়ে পরিবার ,সমাজ , রাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য কাজ করতে হবে। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে । তিনি সকল কে সকল প্রকার মাদকাসক্ত থেকে বেরিয়ে এসে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান । বিশেষ অতিথির মধ্যে ছিলেন, নেত্রকোনার অতিথির জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন , নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার স্বপ্না রাণী সরকার।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার বাংলা ইউনিয়নের সহিলপুর থেকে নয়াপাড়া বাংলা এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বৈদ্যুতিক লাইনের বেহাল দশা জনমনে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী দ্রুত এই ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।নয়াপাড়া বাংলা এলাকার এই বিদ্যুৎ লাইনে কোনো বৈদ্যুতিক খুঁটি নেই, বরং নিম্নমানের বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে। এই লাইনটি বাঁশঝাড় ও লোকজনের চলাচলের রাস্তার পাশ দিয়ে গেছে। বিশেষ করে, বীণাপাণি বিদ্যাপীঠ স্কুলের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের পাশ দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। বীণাপাণি বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ অজিত কুমার সিংহ বলেন, "এই নিম্নমানের বৈদ্যুতিক খুঁটি দ্রুত সংস্কার করে নতুন বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি। এটি এলাকাবাসীকে চরম বিপদের হাত থেকে রক্ষা করবে।"
এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যেকোনো সময় একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, বিশেষ করে ঝড়-তুফানের এই মৌসুমে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। বাংলা নয়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত রায়বাড়ী ও ঐতিহ্যবাহী বীণাপাণি বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা জনাব অসীম কুমার রায়ও এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে গুরুত্বারোপ করেছেন। জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে জরাজীর্ণ ও চিকন বাঁশের খুঁটি দিয়ে নির্মিত এই লাইনের বেহাল দশা থেকে উত্তরণের মাধ্যমে সকল দুর্ঘটনা থেকে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন। নেত্রকোনা পিডিবি কর্তৃপক্ষ যাতে দ্রুত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার করে নতুন খুঁটির ব্যবস্থা নেয়, সে বিষয়ে এলাকাবাসী সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নড়াইল সদর উপজেলার চরশালিখা গ্রামে ৮৫ বছরের বৃদ্ধা ছিয়ারন নেসার জমি লিখে নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামবাসীর আয়োজনে শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে চরশালিখা গ্রামীণ রাস্তার তিনমাথায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন-বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাখা কাজী, ভুক্তভোগী ছিয়ারন নেসা ও তার ছেলে বাবু মোল্যা, মশিয়ার রহমান, নবীর হোসেন, লিটন শেখ, আব্দুর রহমান, মুরাদ হোসেনসহ অনেকে।
বক্তারা জানান, নাতনি কমলা বেগম চরশালিখা গ্রামে প্রায় ৪২ শতক বসতভিটার জমি লিখে নিয়ে নানী ছিয়ারন নেসাকে বাড়ি থেকে প্রায় এক সপ্তাহ আগে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন ছিয়ারন নেসার একমাত্র ছেলে বাবু মোল্যাসহ গ্রামবাসী।
প্রতিবেশিরা জানান, আড়াই মাসের সন্তান কমলাকে রেখে তার মা আনজিরা বেগম মারা যান। এরপর নানী ছিয়ারন নাতনি কমলাকে নিজের বুকের দুধ খাইয়ে বড় করেন। আদরের নাতনি কমলাকে নিজ গ্রাম চরশালিখায় বিয়ে দেন। এরপর নাতজামাইকে প্রায় সাত শতক জমি বিক্রি করে আট বছর আগে বিদেশ পাঠান। নাতনি কমলা বেগমের আবদারে বসতভিটার পাঁচ শতক জমি লিখে দিতে রাজি হন নানী ছিয়ারন। কিন্তু কমলা বেগম অপকৌশলে নানীর কাছ থেকে ৪২ শতক জমি লিখে নেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে বৃদ্ধা ছিয়ারন বেগমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে উল্টো নানিসহ প্রতিবেশিদের নামে সংবাদ সম্মেলন করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন কমলা বেগম। কমলা দাবি করে জানান, তিনি নানীর কাছ থেকে ফাঁকি দিয়ে জমি লিখে নেননি।
তবে গ্রামবাসী বলেন, ছিয়ারন নেসার অনেক জমিজমা থাকতেও আদরের নাতিকে সব জমি লিখে দিয়ে আজ পথে পথে ঘুরছেন। বাড়িতে উঠতে পারছেন না। নিজের ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে গ্রামে এ-বাড়ি, ও-বাড়ি খেতে হচ্ছে ছিয়ারন নেসাকে। অনেক কষ্টে বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হচ্ছে। ছিয়ারন নেসা ছেলে বাবুকেও মাথা গোঁজার মতো একটু জমি দিতে পারেননি। সব জমি তার নাতনি লিখে নিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ছিয়ারন নেসার ছেলে বাবুর সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। ঘটনাটি নড়াইল সদর থানা পুলিশ তদন্ত করছে। বৃদ্ধা ছিয়ারন নেসা যেন ন্যায়বিচার পান এই প্রত্যাশা করছেন গ্রামবাসী।
এদিকে সদর থানার এসআই সুকান্ত ও এএসআই জাবেদ বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমরা সরেজমিন তদন্ত করেছি। ভুক্তভোগীসহ গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
আবহমান গ্রাম বাংলার মাটি ও মানুষের কবি পল্লীকবি জসীম উদদীন স্মরণে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে "শতবর্ষে কবর" গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফরিদপুরের সাবেক ডিসি ও ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি জালাল আহমদ এর সভাপতিত্বে- ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর আবরার।
এসময় পল্লীকবি জসীম উদদীন এর কবর কবিতা ও তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে অলোচনায় অংশ নেন কথা সাহিত্যিক ও গবেষক আন্দালিব রাশদী, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পাখি বিশেষজ্ঞ, ইনাম আল হক, ভ্রমণ লেখক ও কথা সাহিত্যিক ফারুক মঈনুদ্দীন, নয়নজুলি প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী ড. মোহাম্মদ আলী খান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়, ডেইলী স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আলতাফ হোসেন, জুলাই যোদ্ধা ইমরান মাহফুজ সহ লেখক,সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকগণ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টাসহ অতিথিদেরকে ফুলেল শুভেচছা জানান ফরিদপুর মুসলিম মিশন প্রাক্তন ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য মোঃ কামাল উদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্যরা।
কুমিল্লার গোমতী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা ছয় (০৬) মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (০৩ আগষ্ট) দুপুরে বিচারপতি মজিবুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেন।
আদালত আদেশে বলেছেন, গোমতী নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় যেকোনো ধরনের দখলদারিত্ব কঠোরভাবে দমন করতে হবে। আদালত আরও বলেন, এই নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং জনস্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।
এই রিটের আবেদনকারী ছিলেন নদী রক্ষা ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। রিটকারীর পক্ষে শুনানী করেন, সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোর্শেদ।
তিনি বলেন, "গোমতী নদী এখন দখলদারদের দখলে চলে গেছে। নদী চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ সত্ত্বেও সেখানে গড়ে ওঠেছে অবৈধ দোকানপাট, স্থাপনা ও বাড়িঘর।
তিনি আরও বলেন, "আদালতের এই রায় শুধু গোমতী নয়, দেশের সব নদী রক্ষায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা আশা করছি প্রশাসন এখন আর দখলদারদের সঙ্গে আপস না করে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে।"
আদালতের নির্দেশে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, অন্যান্য সরকারি দপ্তরগুলোকে এই ছয় মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, আমি এখনো নির্দেশনা হাতে পাইনি। তবে আমরা নিয়মিত ভাবে ই গোমতীর দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়ে থাকি।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার বলেন, আমি রিটকারী আইনজীবীর সাথে কথা বলেছি এবং মহামান্য আদালতকে জানিয়েছি নদীর দুই তীরে সাড়ে পাঁচশোর বেশি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এগুলো উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যয় বাজেট পাঠানো হয়েছে। আমরা অর্থ বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করব।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সদর উপজেলার গোমতী নদীর দুই তীরের বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি।
কুষ্টিয়ায় পৃথক অভিযানে ১৫ লক্ষ টাকার জাল ও মাদক উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। এসময় মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ৩০০ কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল, ১০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০০ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট আটক করা হয় । রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি সূত্র জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর উপজেলার কাতলামারী এলাকায় ভোর ৫টার দিকে ব্যাটালিয়ন সদরের বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ৩০০ কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল উদ্ধার করে, যার আনুমানিক মূল্য ১২,০০,০০০ টাকা।
এর আগে গত ২ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর এলাকায় মাদক চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ১০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০০ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট আটক করেন বিজিবি। যার আনুমানিক মূল্য- ২,৯০,০০০ টাকা। আটককৃত মাদক ও জালের সর্বমোট মূল্য- ১৪,৯০,০০০ টাকা।
আটককৃত এসকল অবৈধ জাল এবং মাদকদ্রব্য ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন মাদক স্টোরে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান বিজিবি সূত্র।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি’র) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মাহবুব মুর্শেদ রহমান পিএসসি বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মাদক পাচারসহ সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ৪৭ বিজিবি। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
পরমাণু বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. এম শমশের আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম।
এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলীর অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
উল্লেখ্য, পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলী শনিবার (২রা আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
বর্ষার ভরা মৌসুমে মিলছেনা ইলিশের দেখা। শুন্য হাতে ফিরছে জেলে নৌকা গুলো। ফলে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়ার লক্ষাধিক জেলে পরিবারকে। চোখে মূখে হতাশা ও চিন্তার ছাপ। জেলে, শ্রমিক, ব্যাপারী ও আড়ৎদার সবার একই অবস্থা।
হাতিয়া উপজেলায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজারের মতো জেলে রয়েছে। যাদের জীবিকা সরাসরি জড়িত মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ও বিক্রির সাথে। এই জেলেদের মধ্যে প্রায় ৮০% ভাগ নির্ভর করে শুধুমাত্র ইলিশের মৌসুমের উপর। অথচ চলতি মৌসুমে জেলেরা বলছেন, মাছ ধরতে গিয়ে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এপ্রিল থেকে আগষ্ট পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুম। এসময় জেলেরা পুরোপুরি ভাবে ব্যাস্ত সময় পার করে ইলিশ শিকারে। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে ব্যাস্ত সময় পার করছে। নিঝুমদ্বীপ, বন্দরটিলা, সুইজের ঘাট, মোক্তারিয়া, দানারদোল, সূর্যমূখী, কাজিরবাজার বাংলাবাজার ও চেয়ারম্যানঘাট সহ দ্বীপের বড় ২০ টি ঘাটের ছোট বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে নৌকা নদীতে বিচরণ করছে। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো জেলেদের জালে মিলছে না কাংখিত ইলিশ। প্রতিদিনই শুন্য হাতে ঘাটে ফিরতে হচ্ছে তাদের। মৌসুমের বেশিরভাগ সময় ফেরিয়ে গেলেও এখনো লাভের মুখ দেখেনি তারা। অন্যদিকে নদীতে যেতে প্রতিদিনই যে ব্যয় হচ্ছে তাতে আর্থিক দেনার পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে পরিবারের দৈনন্দিন ব্যয় মিটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ঘাট গুলোতে হাঁকডাক নেই, দেখা দিয়েছে নিরব নিস্তব্দতা ও হতাশা।
সরেজমিনে উপজেলার সূর্যমূখী ঘাটে গিয়ে দেখাযায়, দক্ষিন পাশে খাল পাড়ে বসে আছেন করিম মাঝি (৫৮) নামে এক জেলে। কুশল বিনিময়ের এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।মূখের দাড়ি বেয়ে পড়তে থাকে চোখের পানি। করিম মাঝি বলেন, সিজনের শুরুতে ধার দেনা করে নদীতে নামি। যা মাছ পাই তা বিক্রি করে তেল খরচও মিটাতে পারিনা। এজন্য গত চারদিন নদীতে না গিয়ে ঘাটে বেকার বসে আছি। প্রতি সপ্তাহে এনজিও থেকে কিস্তির জন্য লোকজন আসেন। পরিবারের খরচ চলেনা। সমুদ্রে মাছ নেই চুলায় আগুন নেই।
করিম মাঝির মত অনেকে খাল পাড়ে দাড়িয়ে থেকে বসে সময় কাটাচ্ছেন। সবার মূখে হতাশার চাপ। কথা হয় সূর্যমূখী ঘাটের আব্দুর রব মাঝির সাথে । তিনি জানান, তার ইঞ্জিন চালিত নৌকায় ৮জন লোক কাজ করেন। গত দুই মাসে একটাকাও ভাগে পায়নি কেউ। একদিকে নৌকার খরচ অন্যদিকে সংসারের ব্যয় । সবমিলে দু মাসে একলাখ ৫০ হাজার টাকা দেনার মধ্যে পড়ে আছেন। এর মধ্যে দুজন লোক কাউকে না বলে গোপনে চট্রগ্রাম চলে গেছেন। এখন নৌকাটি ঘাটে পড়ে আছে। লোকের অভাবে নদীতে যেতে পারছেন না। তিনি আরো জানান, এই ঘাটে স্থানীয় ও বাহিরের মিলে ৫ শতাধিক ট্রলার রয়েছে। সব মিলে ৩০-৪০ টি ট্রলার নদীতে যায়। অন্যরা সবাই ঘাটে বেকার সময় পার করছে। মাছ না থাকায় কেউ এখন নদীতে যায়না।
সূযমূখী মাছ ঘাটের শ্রমিক সর্দার নুর ইসলাম জানান, তার অধিনে এই ঘাটে ৮৫ জন শ্রমিক কাজ করে। খালে কোন নৌকা বা ট্রলার এলে তারা টুরকিতে করে সেই মাছ ডাকের বাক্সে এনে দেয়। প্রতিদিন যে টাকা পায় তা ভাগ করে নেয়। এই বছর প্রথম থেকে মাছ নেই নদীতে। প্রতিদিন কাজ শেষে ভাগে ৩০-৪০ টাকা করে পায় শ্রমিকরা। এতে নিজেদের চা নাস্তাও হয় না। সংসার চালাতে হয় দেনা করে।
সূর্যমূখী ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মো: ফয়েজুর রহমান নান্টু বলেন, ৯৩ সাল থেকে মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত। এই বছরের মতো এতো কঠিন অবস্থা আর কখনো দেখিনি। মৌসুমের প্রথম থেকে মাছ নেই। অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অন্যত্র চলে গেছে। ঘাটে পড়ে থাকা অসংখ্য জেলে নৌকার জেলেরা পালিয়ে গেছে। ঘাটে সবার মূখে হতাশা। একধরনের নিরব হাহাকার চলেছে জেলে পল্লী ও মাছ ঘাটে। তিনি আরো বলেন, শুধু সূর্যমূখী ঘাটে নয় একই অবস্থা হাতিয়ার ২০টি ঘাটে। মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত সবাই অনেকটা দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও জেলেদের অভিযোগ , বরাদ্দকৃত প্রণোদনা ও চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম রয়েছে। প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হচ্ছেন সহায়তা থেকে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান দৈনিক বাংলাকে বলেন, 'এখনতো আমাবস্যা চলতেছে,এখন আগের তুলনায় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। জেলেরা যদি বলে মাছ পায়না এটা ঠিক না। আমিতো এখানে একবছর যাবৎ চাকুরী করি, জেলেরা সবসময় বলে মাছ পায়না। অনেকের লাভ লোকসানের বিষয় থাকতেই পারে। এটাতো নদীর মাছ চাষের না, এখানেতো আর পুরোপুরি হাত নাই।'
তিনি ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ার কারন হিসাবে জাটকা নিধন, মা ইলিশ ধরা ছাড়াও ডুবো চর, জলবায়ুর পরিবর্তন। এছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় কলকারখানার বর্জ্য নদীতে আসাতে মাছের বিচরণ অনিরাপদ হয়ে উঠছে বলে উল্লেখ করেন ।
নোয়াখালী জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ' আমি গত পরশু চেয়ারম্যানঘাট, নিঝুম দ্বীপ ও সূর্যমুখী ঘাটে গিয়েছি। জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে তবে তাদের আশানুরূপ পাচ্ছেনা। ইলিশ পরিপূর্ণভাবে আসে আগষ্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরে। আশাকরি সামনের এসময়ে তারা পর্যাপ্ত ইলিশ ধরতে পারবে।'
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সালিশি বৈঠকে ফখরুল ইসলাম (৫৮) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশ নুর আলম (৪২) ও মো.মুসলিম (৪৫) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে হাটহাজারী থানাধীন ১নং চসিকস্থ সন্দীপ কলোনির আমতলী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ফখরুল ইসলাম উল্লেখিত এলাকার ফয়জল মাওলার পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের ২৭ জুলাই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে উল্লেখিত এলাকার জান্নাতুল মায়মুনা রুমিকে ওই এলাকার রিফাত ও তার সহযোগী জাহিদ,বাদল,রিপন,আব্দুর রহমান জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে রিফাত জোরপূর্বক তাকে বিয়ের রেজিস্টারে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এদিকে ভিক্টিমের পরিবার জান্নাতুল মাইমুনা রুমিকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঘটনারদিন রাতেই হাটহাজারী মডেল থানায় জিডি করেন। এরপর হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে সেখানকার থানা পুলিশের সহযোগিতায় জান্নাতুল মাইমুনা রুমিকে উদ্ধার করে হাটহাজারী এনে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে শুক্রবার রাতে ছেলে মেয়ে উভয় পক্ষ একটি সমাধানের জন্য সন্দীপ কলোনীর আমতলী এলাকায় সালিশে বৈঠকে বসে। সেখানে এলাকার সমাজ প্রতিনিধি মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানার সময় ছেলে পক্ষ এবং মেয়ে পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ লেগে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মেয়ের বাবা ফখরুল ইসলামের উপর হামলা চালালে তিনি অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বৈকুন্ঠপুর গ্রামে শাবনাজ আক্তার (৩২) নামের এক নারীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে।
গত ৩০ জুলাই সকালে নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত শাবনাজ নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের মৃত আবুলের ছেলে মো. সোহাগ (৩৬) এবং তার ছেলে মো. শুভ (১৯)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগেও গত ৯ জুলাই দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে সোহাগ, গোলাপ, শুভ, রিনা ও সাবিনা ইয়াসমিন দলবদ্ধ হয়ে শাবনাজের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির বাগানে থাকা পেয়ারা, বাদাম ও আম গাছসহ বিভিন্ন ফলগাছ কেটে ফেলে। এ সময় শাবনাজ ও তার মা রশিদা বেগমকে বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়, যার ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা ও জখম হয়। অভিযুক্তরা ঘরের আলমারি ভেঙে আট আনার একটি স্বর্ণের চেইন (মূল্য আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা) ও বিদেশযাত্রার জন্য জমাকৃত নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। বাধা দিলে শাবনাজ ও তার মায়ের পোশাক ছিঁড়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে।
এ ঘটনায় শাবনাজের মা রশিদা বেগম বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ১ জনকে গ্রেপ্তার করলেও পরে জামিনে মুক্ত হয়ে গোলাপ বিদেশে চলে যায়। মামলার জেরে গত ২৯ জুলাই অভিযুক্তরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে শাবনাজের বাড়িতে গিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।
গত ৩০ জুলাই পাশের বিরোধপূর্ণ জমিতে মরিচ গাছ কাটতে গেলে শাবনাজ নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ ও তার ছেলে শুভ ধারালো হাসুয়া নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে শাবনাজের হাত ও মুখে গুরুতর জখম হয়। পরে তার তার ভাই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
ভুক্তভোগী শাবনাজ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমাকে এর আগেও একাধিকবার হামলা করেছে। কোথায় যাবো, কী করবো বুঝতে পারছি না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই সোহাগ, শুভ, গোলাপসহ কয়েকজন আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। আমার বিদেশ যাওয়ার জন্য জমাকৃত সব টাকা ও স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে। সেদিন আমাদের জমির মরিচ গাছ কেটে ফেলছিল, আমি বাধা দিতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি ও হাসুয়া নিয়ে আমাকে কোপাতে থাকে সোহাগ,শুভ আরো ২-৩ জন। চিৎকার করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি, তবুও তারা থামেনি। আমি ও আমার পরিবারের উপর একাধিক হামলার সঠিক বিচার চাই।”
শাবনাজের মা রশিদা বেগম (৬৫) বলেন, “বর্তমানে সোহাগ ও তার ছেলে শুভ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। কথায় কথায় বাড়ি থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমরা ভয়ে থানায় অভিযোগ করতেও পারি না। মামলা করায় আবারও মেয়ের উপর হামলা করে গুরুতর জখম করেছে। আমরা গরিব মানুষ, দয়া করে আমাদের বাঁচান।”
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমান বলেন, “জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে নারীর ওপর হামলার খবর পেয়েছি। তারা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার একমাত্র আন্তঃজেলা সংযোগ সড়ক মারিশ্যা–দিঘিনালা সড়কে পাহাড় ধসের কারণে রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাঘাইছড়ি - খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়কের ৯, ১০ ও ১৪ কিলোমিটার এলাকায় পাহাড় ধসে পড়েড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে । এতে চট্টগ্রামগামী শান্তি পরিবহনের একটি বাসসহ বেশ কয়েকটি ছোট-বড় যানবাহন আটকে পড়ে এবং ভোগান্তিতে পড়েন শতাধিক যাত্রী।
বাঘাইছড়ি পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শান্তি পরিবহনের লাইনম্যান গিয়াসউদ্দিন নাছির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,
এখন পর্যন্ত তিনটি স্থানে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। সব যানবাহন সড়কে আটকে আছে, এখনও মাটি সরানোর কাজ শুরু হয়নি।”
শান্তি পরিবহনের এক যাত্রী মো. আরমান বলেন, “সকাল থেকে গাড়িতে আটকে আছি, চারপাশে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে, বড় ধসের শঙ্কা থেকে যাচ্ছে।”
এদিকে, খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রিয়দর্শী চাকমা জানান, “পাহাড় ধসের খবর পেয়ে দ্রুত কর্মী পাঠানো হয়েছে। ধসের মাটি সরাতে কিছুটা সময় লাগছে।”
পরে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, “সকাল থেকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও এখন সড়ক যোগাযোগ সচল হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে।”
টানা বৃষ্টিতে বাঘাইছড়ির নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শওকত আলী (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
নিহত শওকত আলী ভাটপাড়া গ্রামের মৃত ফরাতুল্লাহ কাজীর ছেলে।
আজ রবিবার (৩ জুলাই) সকাল ১১ টার সময় নিজ জমির মটারের বিদ্যুৎ লাইনের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১ টার দিকে কৃষক শওকত আলী নিজের জমির মটার চালু করতে সুইচ দিতে যান। এসময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাত ও বুকের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তবে, একটি সূত্র জানান, কৃষক শওকত আলীর মটারের বিদ্যুতের লাইনটি দীর্ঘদিন যাবৎ ফুটো হয়ে ছিল। মাঝে মধ্যে সেখানে স্কসটেপ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে সেটি সচল রাখতেন। আজকেও সেই ফুটো জায়গায় স্কচটেপ মোড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।