শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
৮ ভাদ্র ১৪৩২

ধামরাইয়ে সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম

সাংবাদিক শামীম খান।
আপডেটেড
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২৩:৪০
প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২৩:৩৫

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুসারীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি শামীম খানকে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের পরিবারের অভিযোগ, উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদের মোল্লা ও তার ভাতিজা আবু বক্করসহ ৭-৮ জন এ হামলা চালিয়েছে।

শামীম খানের ছেলে ইমরান খান বলেন, শনিবার সকালে ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে যান শামীম খান। হাতকোড়া গ্রামে কর্মসূচি চলাকালে সেখানে উপস্থিত হয়ে গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদের মোল্লা ও তার ভাতিজা আবু বক্করসহ ৭-৮ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শামীমের ওপর হামলা চালায়। হামলায় শামীমের হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

ইমরান বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে চেয়ারম্যানের কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করায় ক্ষিপ্ত ছিলেন চেয়ারম্যান ও তার ভাতিজা আবু বক্কর। আগের সেই ক্ষোভ তারা থেকে বাবার ওপর হামলা চালায়।’

অভিযোগের বিষয়ে কাদের মোল্লা বলেন, ‘শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে। আমরাও দুটি ভাগে ভাগ হয়ে শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি পালন করি। বারবাড়িয়ায় থেকে আমি ইউনিয়ন পরিষদে চলে আসি। পরে জানতে পারি আমাদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হাতকোড়া গ্রামে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মুখোমুখি অবস্থানে ও মারামারিতে শামীম খান আহত হয়েছেন।’

ধামরাই থানা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠুভাবে কর্মসূচি পালন করি। যুবদলের মুরাদ অপর একটি মিছিল বের করে। পরে মুরাদের মিছিল আওয়ামী লীগের একটি মিছিলের কাছাকাছি গেলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দেয়। এসময় তারা শামীম খানকে মারধর করে।’

সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. রাশেদুল হক বলেন, ‘আহত শামীম খানের নাকে এবং হাতে একাধিক সেলাই দেয়া হয়েছে। তিনি পায়েও আঘাত পেয়েছেন।’

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। এখনো কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বিষয়:

হিলি বন্দরে কাঁচা মরিচ আমদানি বেড়েছে, কমেছে দাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়েছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মরিচ আমদানির করায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এতে গত দুইদিনে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচে দাম কমেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

আজ শনিবার হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, গত কয়েক দিনে এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ট্রাক কাঁচা মরিচ ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। আজ দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ১৫ ট্রাক কাঁচা মরিচ দেশে প্রবেশ করেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও কয়েক ট্রাক এই বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকবে।

হিলি বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, দেশে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারি সিদ্ধান্তে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। এতে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার এক দিনে রেকর্ড পরিমাণ ২৯টি ট্রাকে ২৩৯ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের বেশ কয়েকটি ট্রাক দেশে প্রবেশ করেছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, টানা বৃষ্টি আর বন্যার কারণে কৃষকের মরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে মরিচের সঙ্কট দেখা দেয়। তাই চাহিদা অনুযায়ী ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে।

হিলি বন্দর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহেও মরিচের কেজি পাইকারি বাজারে ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এসব মরিচ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বগুড়া, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, আমদানিকারকরা ভারত থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছেন ৭০ থেকে ৮০ রুপিতে। যা দেশে ৯৭ থেকে ১০৮ টাকা। এর উপর কেজি প্রতি শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ৩৭ টাকা। শুল্ক কমানো গেলে আমদানি ব্যয়ও কমে আসবে। তখন বাজারেও দাম কমবে। ক্রেতারা কম মূল্যে কাঁচা মরিচ কিনতে পারবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার এএসএম আকরম হোসেন সম্রাট জানায়, গত এক সপ্তাহের এই বন্দর দিয়ে ৭২ ট্রাকে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে ৬১৮ টন। শনিবার সকাল থেকেই কাঁচা মরিচের ট্রাক দেশে প্রবেশ করেছেন। কাস্টমস বিভাগ তাৎক্ষণিক ট্রাকগুলো খালাসের ব্যবস্থা করছে। এতে প্রতিদিনের আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ দ্রুত দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে।


যদি জনগণ চায় তবে আমরাই সরকার গঠন করব: ডা. তাহের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সাধারণ মানুষ ইসলামকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমি নির্বাচনের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। যদি জনগণ চায় তবে আমরাই সরকার গঠন করব।

তিনি বলেছেন, ইসলামী সমমনাদের এক মঞ্চে আনার বিষয়ে সবাই একমত। বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা অনেক সময় পিআর বুঝেন না, কিন্তু সাধারণ মানুষ বিষয়টি ভালোভাবেই বোঝে। কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন ও বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে ইতোমধ্যে অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই সুখবর আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী কুমিল্লা ফানটাউনে জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. তাহের বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালুর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, প্রয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে হ্যাঁ/না ভোটের মতো পদ্ধতিও গ্রহণ করা হতে পারে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন- কুমিল্লা মহানগরীর আমির ও কুমিল্লা ৬ সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।

কুমিল্লা মহানগরীর দুরবস্থার প্রসঙ্গ টেনে ড. তাহের বলেন, আমি কান্দিরপাড় থেকে ডুলিপাড়া ফানটাউনে আসতে ৪৫ মিনিট সময় নিয়েছি। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে ৫ মিনিটের বেশি লাগার কথা নয়।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালুর বিষয়ে জামায়াত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী। প্রয়োজনে বিকল্প ফরম্যাটেও কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোনো দল যদি মনে করে আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত জয়ী হবে তাহলে বোঝা যায় জেতার জন্য তারা কোনো একটা মেকানিজম করছে। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশকে সংকট থেকে বের করে আনতে পারবে। জনগণ যাকে চাইবে তারাই জয়ী হবে।

মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মাহবুবুর রহমান এবং সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগরীর নায়েবে আমির অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, যুব বিভাগের সভাপতি কাজী নজির আহমেদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগর সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন মোল্লা, মোতাহার আলী দিলাল, ভিপি মুজিবুর রহমান, কুসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক এ জি এস শহিদুল্লাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সবুজ প্রমুখ।


ভুল চিকিৎসায় হাত-পা হারানো শিশু তানভীর মারা গেছেন

আপডেটেড ২৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৫৪
ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা প্রতিনিধি

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আকিব ফার্মেসিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যাকমো (SACMO) চিকিৎসক শফিকুল ইসলামের ভুল চিকিৎসায় হাত-পা হারানো শিশু তানভীর (৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার (২২ আগষ্ট) দিবাগত রাত ২:৩০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিশুটির বাবা মো: মোসলেম।

তানভীরের বাবা মোসলেম কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমার বুকের ধন আর নেই, আমাদের সবাইকে ফাকি দিয়ে আমার কলিজা আল্লাহর মেহমান হয়ে গেছে। আমার ছেলেটা পঙ্গু হয়েও যদি এই দুনিয়ায় বেচে থাকতো তাকে কোলে-পিঠে করে তার খেদমত করতাম। ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের সকল চেষ্টাকে হার মানিয়ে গতরাত আড়াইটার দিকে আমার মানিক দুনিয়া থেকে বিদায় নিছে।

এদিকে শিশু তানভীরের মৃত্যুর খবরে তার গ্রামের বাড়ি কাচিয়া ইউনিয়নের ফুলকাচিয়া গ্রাম সহ পুরো উপজেলায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আজ আছর বাদ জানাযা নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত গত ৪ মাস আগে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আকিবের ফার্মেসিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যাকমো শফিকুল ইসলামের ভুল চিকিৎসার পর থেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেন তানভীর। এরপর তার জীবন বাচাতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির চার হাত-পা কেটে ফেলা হয়।

এ ঘটনায় শিশুটির মা গত ১৬ জুলাই ভোলা জেলা দায়রা জজ আদালতে স্যাকমো শফিকুল ইসলাম ও ফার্মেসি মালিক আকিবের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ স্যাকমো শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে, তিনি এখনো ভোলা জেলা কারাগারে রয়েছে। এ মামলার অন্যতম আসামি আকিব কে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।


কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পানিবন্দী পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ শরীফ উদ্দিন জুয়েলের

আপডেটেড ২৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:০৭
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিদর্শনায় ঢাকা উত্তর মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েলের নেতৃত্বে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পানিবন্দী অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০০০ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়।

এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খাদ্যসামগ্রী, বিশুদ্ধ পানি, এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়।

শরীফ উদ্দিন জুয়েল ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সময় বলেন, "বর্তমান দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে বিএনপি সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। আমাদের দলের পক্ষে এটা শুধু ত্রাণ বিতরণ নয়, মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা প্রদর্শন।"

তিনি আরো বলেন, "পানিবন্দী মানুষের সঠিক সহায়তা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত রাজনীতি।"

এছাড়া, তিনি স্থানীয় যুবদল, ছাত্রদল এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ত্রাণ বিতরণে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।

ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ আলতাফ হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহব্বায়ক আবিদ হাসান সরকার মন্টি সরকার, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউর রহমান মাসুম, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক আরিফুর রহমান নান্নুসহ যুবদল, ছাত্রদল এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ত্রাণ সহায়তা বিতরণে অংশগ্রহণকারী অসহায় বানভাসি মানুষরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি জানান।


কুমিল্লায় ইউটার্নে দুর্ঘটনা বাবা মা দুই ছেলে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, বন্ধ হচ্ছে ইউটার্ন 

আপডেটেড ২৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৫৫
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার ইউটার্নে লরির নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় হানিফ পরিবহনসহ লরির অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউ টার্ন থেকে সকল যানবাহন ঘুরে আসতে হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান।

তিনি জানান, পদুয়ার বাজার ইউটার্ন এলাকাটি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হাইওয়ে পুলিশ ও ভারতের জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক একটি সমন্বিত সভা রয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে।

সেখান থেকে সমন্বিত ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত এই ইউটার্নটি বন্ধ থাকবে।

কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার উপ পরিদর্শক মোঃ আনিসুর রহমান জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরে পদুয়ার বাজার ইউটার্নে চলন্ত লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারকে চাপা দিলে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়। এই ঘটনায় নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহন এবং লরির চালকসহ অন্যান্য অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সদর দক্ষিণ থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

কাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ারবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্নে সিমেন্ট বাহি লরির নিচে প্রাইভেট কার চাপা পরে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়। এছাড়াও একই সময়ে ওই লরির সামনের অংশের নিচে চাপা পড়ে সিএনজির তিন যাত্রী আহত হয়। নিহতরা হলেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী(৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম(৬৫), তার৷ বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০)ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম(৪৫)। প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন আবুল হাশেম।


পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে অ্যাসিড হামলার শিকার অটোরিকশা চালক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মাত্র ৭০০ টাকা পাওনা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আবির মিয়া (২৬) নামে এক অটোরিকশাচালকের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে তাকে 'চোর' অপবাদ দিয়ে জোরপূর্বক মাথা নেড়া করে দেওয়া হয়। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।

আহত আবির মিয়া নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামের আরফাত আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি গুরুতর অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।

আবির মিয়া জানান, নবীনগরের আলিয়াবাদ গ্রামের অটোরিকশাচালক ওবায়দুল মিয়ার কাছে তার ৭০০ টাকা পাওনা ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় দেখা হলে তিনি টাকা চাইলে ওবায়দুল তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির একপর্যায়ে ওবায়দুল তার গায়ে অটোরিকশার ব্যাটারির অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। পরে আরও কয়েকজন মিলে তাকে 'চোর' অপবাদ দিয়ে মাথা কামিয়ে হেনস্তা করে।

স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম বলেন, "এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"


রংপুর অঞ্চলে লাভজনক হয়ে উঠছে চীনাবাদাম চাষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রংপুর অঞ্চলে কৃষকদের কাছে লাভজনক হয়ে উঠছে চীনাবাদাম চাষ। রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলার কৃষকরা এ বছরের রবি ও সদ্য সমাপ্ত খরিফ-১ মৌসুমে রেকর্ড ২৩ হাজার ১২ টন চীনাবাদাম উৎপাদন করেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত চীনাবাদাম পাইকারদের কাছে মানভেদে মণ প্রতি (প্রতি ৪০ কেজি) ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৪০০ টাকা বিক্রি করতে পারছে। চীনাবাদাম চাষে উচ্চ মুনাফা পাওয়ায় আনন্দিত এ অঞ্চলের কৃষকরা।

রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত রবি মৌসুমে এই অঞ্চলে ৫ হাজার ৭৬১ হেক্টর জমি থেকে ১২ হাজার ৩৮০ টন চীনাবাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু কৃষকরা শেষ পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৭৯ হেক্টর জমিতে চীনাবাদাম চাষ করেছে এবং গত রবি মৌসুমে ১১ হাজার ৯২৮ টন উৎপাদন করেছে।’

একইভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খরিফ-১ মৌসুমে এই অঞ্চলের রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলার জন্য ৫ হাজার ৩৮৪ হেক্টর জমি থেকে ১১ হাজার ৪৭০ টন চীনাবাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।

কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সদ্য শেষ হওয়া খরিফ-১ মৌসুমে কৃষকরা ৫ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে চীনাবাদাম চাষ করেছে এবং ১১ হাজার ৮৪ টন ফসল উৎপাদিত হয়েছে।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত উচ্চ-ফলনশীল জাতের চীনাবাদাম চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান খাদ্য খাতে চীনাবাদামের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাম্পার ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় চাষের মূল জমি এবং বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে চীনাবাদামের চাষের হার বাড়িয়েছে।’

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পিএইচডি ফেলো মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘প্রতি একর জমিতে ২২ থেকে ২৮ মণ চীনাবাদাম উৎপাদন করে কৃষকরা ৮০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে চরের সাধারণ কৃষক এবং সাধারণ মানুষ চীনাবাদাম চাষকে লাভজনক অর্থকরী ফসল হিসেবে বিবেচনা করে এর প্রতি ঝুঁকছে। চীনাবাদাম চাষ তাদের জীবিকা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটিয়েছে।’

এছাড়াও খাদ্য ও কৃষি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও ভালো দামের কারণে চাষের জমি এবং নদী তীরবর্তী বিশাল বালুকাময় চরাঞ্চলে প্রতি বছর চীনাবাদাম চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রংপুর সিটি মার্কেটের চীনাবাদাম ব্যবসায়ী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ গত খরিফ-১ মৌসুমে জাত ও মান ভেদে কৃষকরা প্রতি মণ চীনাবাদাম ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘রংপুরের পাঁচটি জেলার গ্রামাঞ্চলের স্থানীয় বাজারে কৃষকদের কাছ থেকে চীনাবাদাম কিনে আমরা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে মণ প্রতি ৪ হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করি।’

রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার আনোয়ারুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, ইয়াসিন আলী, সাইদুল ইসলাম, নুরুল হক এবং মোহাম্মদ আলী বলেন, গত রবি ও খরিফ-১ মৌসুমে তারা চীনাবাদামের বাম্পার ফলন পেয়েছেন এবং দামও ভালো ছিল।


চট্টগ্রামে ‘মব’ সৃষ্টি করে তিন কিশোরকে বেঁধে মারধর, একজন নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে তিন কিশোরকে চোর সন্দেহে বেঁধে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই এক কিশোর নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চেইঙ্গার সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধারণা, পূর্বের বিরোধ থেকে চোর সন্দেহের নাটক সাজিয়ে পেটানো হয়েছে।

নিহত কিশোরের নাম মো. রিহান মহিন (১৫)। সে একই গ্রামের সাগর আলী তালুকদার বাড়ির মুদিদোকানি মুহাম্মদ লোকমানের ছেলে। পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই কিশোর তিন বন্ধুসহ এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। পরে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ করে পেটানো হয়েছে। এ ঘটনায় রিহানের দুই সমবয়সী বন্ধু মুহাম্মদ মানিক ও মুহাম্মদ রাহাত গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, নিহত রিহান বাবার মুদি দোকানে সহযোগী হিসেবে কাজ করত। গত বৃহস্পতিবার তারা চট্টগ্রাম নগরে বেড়াতে যায়। রাতে তারা বাড়ি ফিরছিল। তিনটার দিকে বাড়ির কাছে এলে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা সাত থেকে আটজন যুবক তাদের চোর আখ্যা দিয়ে ধাওয়া দেন। এরপর এ তিনজন দৌড়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে যুবকেরা ধরে এনে সেতুর ওপর আনেন। এরপর তিন কিশোরকে রশি দিয়ে বেঁধে ‘মব’ করে বেধড়ক মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই রিহানের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা গুরুতর আহত মানিক ও রাহাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। আর দুপুরে রিহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ওই তিন কিশোর নগরে বেড়াতে গিয়ে মধ্য রাতে বাড়ি ফিরছিল। কেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। পরিবারকে মামলা করতে বলা হয়েছে। পুলিশ মূল হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

ওসি নুর আহমদ বলেন, ‘একই গ্রামের যুবকেরা হামলা করায় এটিকে গণপিটুনি বা চোর সন্দেহ মনে হচ্ছে না। তাদের মধ্যে হয়তো কোনো বিরোধ বা শত্রুতা থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে।’


ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ইবিতে ইকসু গঠন আন্দোলন নামে নতুন প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন ও রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘ইকসু গঠন আন্দোলন’ নামে নতুন প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে (ক্যাফেটেরিয়া) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা আরম্ভ করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে আজ শনিবার অবস্থান কর্মসূচি ও ইকসু গঠনের পক্ষে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর গ্রহণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্লাটফর্মটি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের দাবি- ২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা যখন বারংবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছাত্র সংগঠন গুলোকে ইকসু গঠনের দাবি নিয়ে যেতে দেখেছি, তখন আমরা বারবার আশায় বুক বাবলেও প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন না থাকার দোহাই দিয়ে ইকসু গঠনে অনাগ্রহ দেখিয়েছে।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, আইনে না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে ইকসু গঠন করা সম্ভব। কিন্তু অজানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার ইকসু গঠনে অনীহা দেখিয়েছে। অথচ আমাদের চব্বিশের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নয় দফার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিলো- প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইকসু গঠনের স্বার্থে প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো ব্যানার বা কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্লাটফর্মটি। তবে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা সংবাদ সম্মেলনটি সবার প্রতিনিধিত্ব করে কিনা প্রশ্ন উঠেছে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি- ইকসু গঠনের জন্য নারী শিক্ষার্থী, সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।


কেশবপুরে জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভেরচী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় ও খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ভিলেজ পলিটিক্সের ফাঁদে পড়ে গত ৪৬ বছরেও সরকারি কোন বহুতল ভবন পাইনি বিদ্যালয়টি। ফলে প্রয়োজনীয় ক্লাসরুম না থাকায় ৩০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলেও আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে শিক্ষার্থীরা।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান, ১৯৮৪ সালে কেশবপুর উপজেলার ভেরচী বাজার সংলগ্ন ভেরটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর এলাকার দানশীল কয়েকজন ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতায় তিন রুম বিশিষ্ট একটি টিনসেড আধাপাকা ঘর নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় চেয়ার, বেঞ্চ ও টেবিল জোগাড় করে সেখানে পাঠদান শুরু হয়। প্রায় ২০০ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পথচলা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০৫ জন। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৫ জন এবং ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন ৭ জন। সব নিয়মকানুন মেনে বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১৯৮৬ সালের ০১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করেন। চারটি গ্রামের মাঝখানে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ায় দিন দিন ছেলে মেয়েদের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি ভবন বা ক্লাসরুম। সেই পুরাতন টিনশেড দিয়েই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ৬ষ্ট শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় সংখ্যা ৩০৫ জন। কিন্তু জরাজীর্ণ পুরাতন ওই ভবনে রয়েছে মাত্র তিনটি ক্লাসরুম। সেখানে বসার ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষকরা ৮ম, ৯ম ও ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান ভবনের বারান্দায় এবং খোলা আকাশের নিচে। এছাড়া ছেলে মেয়েদের ব্যবহারের জন্য নেই প্রয়োজনীয় ওয়াসরুম বা কমনরুম। ফলে নানা সমস্যার মধ্যে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।

প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র পাল বলেন, প্রতিষ্ঠানের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হয়। একটি বহুতল ভবন বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।


আখাউড়া ম্যারাথনে অংশ নিলেন দেশের ৩০০ দৌড়বিদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ‘মাদকমুক্ত আখাউড়া গড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের দৌড়বিদদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আখাউড়া ম্যারাথন। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দুই ক্যাটাগরির ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন দেশের তিন শত দৌড়বিদ। আখাউড়া রানিং কমিউনিটির আয়োজনে এই ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

পুর্ব আকাশে সূর্য উঠার আগেই উপজেলা পরিষদ মাঠে হাজির হতে থাকেন দৌঁড়বিদরা। সকাল ছয়টায় শুরু হয় দৌঁড়। ১০ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহনকারিরা উপজেলা-কলেজপাড়া-নারায়ণপুর-খালাজুড়া-আনোয়ারপুর রোড-কল্যাণপুর-চানপুর পথে পাঁচ কিলোমটার গিয়ে একই পথে ফিরে আসেন। পাঁচ কিলোমিটারে অংশগ্রহণকারীরা কলেজপাড়া-নারায়ণপুর-খালাজুড়া-আনোয়ারপুর রোডে আড়াই কিলোমিটার গিয়ে ফিরে আসেন। দুই ক্যাটাগরিতে ৬জনকে ক্রেস্টের পাশাপাশি নগদ অর্থ পুরস্কৃত করা হয়। অংশগ্রহণকারী সবাইকে মেডেল ও টি-শার্ট দেওয়া হয়।

আয়োজকদের অন্যতম মো. রুবায়েদ খান বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এ প্রতিযোগিতা। এর মাধ্যমে আমরা সমাজে মাদকবিরোধী বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের আয়োজন সফল হয়েছে। আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করে রাখা প্রতিযোগিরা বেশ আনন্দের সঙ্গে এতে অংশ নেয়।’


সিরাজগঞ্জে সরকারি ৩৫ বস্তা চাল উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ চৌহালীর এনায়েতপুরে সরকারি বরাদ্দের ৩৫ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় নৌকা ঘাট থেকে সরকারি ভর্তুকি মূল্যের ১৫ টাকা কেজি দরের চাল গুলো উদ্ধার করা হয়।

উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সরকারি ভর্তুকিমূল্যে দেওয়া চাল কিছু অসাধু ব্যক্তি ক্রয় করে বিক্রির উদ্দেশে গুদামে মজুদ করেছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চালগুলো উদ্ধার করা হয়।

বর্তমানে চালগুলো জব্ধ করে সৌদিয়া চাঁদপুরের ইউনিয়ন ইউপি সদস্য জনাব মো. পরান বেপারীর জিম্মায় রাখা হয়েছে এবং এনায়েতপুর থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে নিলামের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হবে।

অভিযানে এনায়েতপুর থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে এলাকায় আলোচনা চলছে, এ চালগুলো এনায়েতপুর থানাধীন ১৩ নম্বর জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে থাকা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের অবৈধভাবে বিক্রি করা চাল। চাল পরিবহনের নৌকার মালিক এবং এর সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করলেই প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।


বিচ্ছিন্ন জনপদ গুয়াগাছিয়ায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চারদিক থেকে মেঘনা নদী দ্বারা পরিবেশিত, মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এক জনপদ গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেছে প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ঐতিহাসিক উদ্যোগ বলে আখ্যায়িত করছে স্থানীয়রা।

জানা যায়, সড়কপথে গজারিয়া উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা গুয়াগাছিয়া। ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ছাড়া সেখানে যাওয়ার কোন উপায় নেই। সন্ধ্যার পর অথবা বৈরি আবহাওয়ায় ট্রলার বন্ধ হয়ে গেলে নদী পার হতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় ওই এলাকার বাসিন্দাদের। ইউনিয়নটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সেভাবে। রাস্তাঘাট না থাকার কারণে সেখানে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনা করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তো। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি কম থাকায় সেখানে তৈরি হয়েছে কয়েকটি নৌডাকাত গ্রুপ। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মেঘনা নদীতে চলাচলকারী নৌযান থেকে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ওই নৌডাকাত গ্রুপের সদস্যরা। সম্প্রতি অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জেরে নৌডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর হাতে খুন হয় ডাকাত সর্দার বাবলা, স্যুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ। এরপর আবারো আলোচনায় আসে গুয়াগাছিয়ার নিরাপত্তার বিষয়টি।

গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সেখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প, একটি নৌপুলিশ ফাঁড়ি এবং একটি কোস্টগার্ড স্টেশন নির্মাণে উদ্যোগের কথা জানায় প্রশাসন। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সেখান একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হলো।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে ক্যাম্পটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালু করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম, গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. হামিদা মুস্তফা, গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ, গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.শহীদুল ইসলাম।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। যাক আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে অবশেষে আমরা কাজটি শুরু করতে পারলাম। আশা করছি এখন থেকে গুয়াগাছিয়ায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে পুলিশ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন’।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ করে রাতের আঁধারে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে এই ক্যাম্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।’

মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, এবার গুয়াগাছিয়ায় সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা কমে আসবে। যেহেতু সার্বক্ষণিক পুলিশ এখানে অবস্থান করবে যেকোনো ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে।


banner close