সোমবার, ৫ মে ২০২৫
২২ বৈশাখ ১৪৩২

ডাকঘর থেকে পৌনে দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ

আপডেটেড
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৫:১০
তবিবর রহমান, যশোর
প্রকাশিত
তবিবর রহমান, যশোর
প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৯:৪৬

১৭ জন গ্রাহকের সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা ছিল না। ওই সব অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না করেও অফিসের নথিতে টাকা জমা দেখান যশোর প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার আব্দুল বাকী। এরপর তিনি গ্রাহকদের স্বাক্ষর নকল করে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এক বছর ধরে কৌশলে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা সরিয়ে নেন পোস্টমাস্টার আব্দুল বাকী। একইভাবে গত ২ ফেব্রুয়ারি আরেকজন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার সময় ধরা পড়েন তিনি। পুলিশ গত শুক্রবার আব্দুল বাকীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে।

২০২২ সালের ২ জানুয়ারি যশোর প্রধান ডাকঘরের প্রধান পোস্টমাস্টার হিসেবে যোগ দেন আব্দুল বাকী। ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৭ জন গ্রাহকের সঞ্চয়ী হিসাব থেকে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা তুলে নেন তিনি। ডেপুটি পোস্টমাস্টার, দায়িত্বপ্রাপ্ত অপারেটর ও ১৭ আমানতকারীর ভুয়া স্বাক্ষর ব্যবহার করে স্টাফ অপারেটর আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে তিনি এই জালিয়াতি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

যশোর প্রধান ডাকঘরের কর্মকর্তারা বলেন, ২ ফেরুয়ারি যশোর উপশহরের মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তির সঞ্চয়ী হিসাব থেকে ১৩ লাখ টাকা ওঠানোর চেষ্টা করেন আব্দুল বাকী। বিষয়টি ডেপুটি পোস্টমাস্টার মেহেরুন্নেছার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। তখন তিনি আব্দুল বাকীর কাছে কিছু কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু কাগজপত্র না দিয়ে আব্দুল বাকী লেজার খাতা ফ্লুইড দিয়ে মুছে তা ৫ ফেব্রুয়ারি সঞ্চয় শাখায় ফেরত দেন। এরপর ডেপুটি পোস্টমাস্টার মেহেরুন্নেছা আগের এসবি-২৪৩৭ নম্বরের হিসাবের লেজারের তথ্য শিডিউলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন, এর আগে যে টাকা ওঠানো হয়েছে সেখানে তা এন্ট্রি করা নেই এবং লেজারের তথ্যগুলোও একই হাতের লেখা। তখন তিনি বিষয়টি যশোর ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মিরাজুল হককে জানান।

মিরাজুল হক বলেন, অনিয়মের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল (তদন্ত) খন্দকার মাহাবুব হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়। তদন্ত কমিটি ১৭ জন গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা উত্তোলনের তথ্য পেয়েছে। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা দৈনিক বাংলাকে বলেন, যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে জালিয়াতি করে টাকা তোলা হয়েছে, সেসব অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ছিল। অল্প টাকা থাকায় এসব গ্রাহক বইগুলো কাউন্টারে রেখেছিলেন। আব্দুল বাকী বিভিন্ন সময় কাউন্টার থেকে বইগুলো নিয়ে এসব হিসাবের লেজার খাতায় টাকা এন্ট্রি দেখিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি কোনো টাকা জমা করেননি।

এই জালিয়াতির বিষয়ে যশোর প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার গোলাম রহমান পাটওয়ারী গতকাল শনিবার কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে কবে কোন হিসাব থেকে কত টাকা তুলে নেয়া হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্য ও দক্ষিণাঞ্চলের সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল (নিরাপত্তা) ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রধানের নেতৃত্বে তদন্ত দল বিষয়টি তদন্ত করছে। গতকালও যশোর প্রধান ডাকঘরে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। ১৭ জন গ্রাহকের হিসাব ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের তথ্য মিলেছে। এ জন্য আব্দুল বাকীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আরও তথ্য যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে। এ জন্য আমরা আরও কাগজপত্র দেখছি। এরপর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।’

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত শুক্রবার মধ্যরাতে আব্দুল বাকীকে আটক করে ৫৪ ধারায় জবানবন্দি নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুদককে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক আল আমিন বলেন, ‘আব্দুল বাকীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে থানা থেকে কাগজপত্র দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা মামলা করতে প্রধান কার্যালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় আছি।’

+

বিষয়:

চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৬

চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতির সরঞ্জামসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জন আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ মে) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

আটক হওয়া ডাকাতদের কাছে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, পুলিশি পোশাক, ওয়াকিটকি, ইয়াবা ট্যাবলেট ও ডাকাতির অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন—রুবেল রানা (২৯), আজিজুর মন্ডল (৩৬), শিলন মোল্লা (২১), সবুজ আলী মিঠু (৩০), মনিরুল ইসলাম (৪০) ও মারুফ শেখ (২০)। তারা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা।

পুলিশ জানিয়েছে, লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে খাসকররা যাওয়ার পাকা সড়কে একটি ডিজেলের দোকানের সামনে মাইক্রোবাসে একদল অস্ত্রধারী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মাইক্রোবাসটি ঘিরে ফেলে এবং তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১টি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ২টি তালা কাটার যন্ত্র, ৫টি মাস্টার চাবি, ১টি পুলিশের জ্যাকেট, ১টি ওয়াকিটকি সদৃশ্য মোবাইল সেট, ৫০ পিস ইয়াবা, ১টি মোবাইল ফোন ও ঢাকা মেট্রো-গ-১২-৩০৯৭ নম্বরের একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান। ঘটনার পর আলমডাঙ্গা থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদক আইনে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।


রাজশাহী বিভাগের ৬১ চালকলের লাইসেন্স বাতিল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী ব্যুরো

গত মার্চের ১৯ তারিখে চাল না দেওয়া ও চাল সংগ্রহে চুক্তি না করায় রাজশাহী বিভাগে ৯১৩টি চালকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে খাদ্য বিভাগ। রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য বিভাগ থেকে চাল সংগ্রহ মৌসুম শেষ হওয়ার পর সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এই সুপারিশ পাঠানো হয়। সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেও চাল সরবরাহ না দেওয়ায় রাজশাহী বিভাগের ৬১টি চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ হয়েও কোনো চাল সরবরাহ করেনি এসব চালকল মালিকরা। এছাড়া চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে অসহযোগিতাকারী ৯১৩টি চালকলকেও সাবধান করা হয়েছে।

খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সাথে চুক্তি করেও ঠিকভাবে চাল সরবরাহ দেয়নি এমন চালকলের সংখ্যা ১৬২টি। এর মধ্যে চুক্তির ৮০ ভাগ চাল দিয়েছে এমন চালকলের সংখ্যা ৩০টি। ৫০ ভাগ চাল দিয়েছে- এমন চালকলের সংখ্যা ৭১টি। আর চুক্তিবদ্ধ হয়েও কোনো চালই দেয়নি এমন চালকলের সংখ্যা ৬১টি। এছাড়া, ব্যবসা করলেও চাল সরবরাহের চুক্তি না করা চালকলগুলোরও লাইসেন্স বাতিল করেছে খাদ্য বিভাগ।

রাজশাহী খাদ্য অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহী বিভাগে আমন সংগ্রহ ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫৬,৩৫৯ টন, সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৩৯৫ টন (লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৭%), সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ২৬৩ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে ৯৪ হাজার ৭০৭ মেট্রিক টন। আর আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৮৯১ মেট্রিক টন। সংগ্রহ হয়েছে ১৯ হাজার ৫২৯ মেট্রিক টন।

৬১টি চালকলের মধ্যে যারা সিদ্ধচালের কোনো চালই প্রদান করেনি- এমন চালকল রাজশাহীর একটি, নওগাঁয় ৮টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ তিনটি, পাবনায় ১১টি, বগুড়ায় ৩৪টি ও জয়পুরহাটে তিনটি। আর আতব চাল দেয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি মিল। এর আগে এসব চালকল মালিকদের ব্যাখ্যা তলব করা হয়। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এসব চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

রাজশাহী খাদ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি উপপরিচালক ওমর ফারুক বলেন, সরকারি যেকোনো কাজে চুক্তিবদ্ধ হলে তা বাস্তবায়ন না করতে পারলে অপরাধ বলে গণ্য হবে। যেসব মিল চুক্তি করেও ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ চাল সরবরাহ করেছে, তাদের জামানত থেকে জরিমানা কেটে নেওয়ার আর যারা কোনো চাল সরবরাহ করেনি, তাদের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছিলাম। রাজশাহী বিভাগের যে সব মিল চাল দেয়নি বা চুক্তিযোগ্য ছিল কিন্তু চুক্তি করেনি- এমন মিল ৯১৩টি মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে দিয়েছিলাম। এদের মধ্যে ৬১টি চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাকিদের শোকজ করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারা চাল সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।


খাস খতিয়ানে যাওয়া পশুরহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর জলঢাকায় ইজারাবিহীন খাসে যাওয়া মীরগঞ্জ হাট-বাজারে গরু-ছাগল ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সরেজমিনে গিয়ে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, সরকারি খাস খতিয়ানে যাওয়া মীরগঞ্জ হাট-বাজারের পশুরহাটে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গরু ক্রেতার কাছ থেকে রশীদ ফি ৬০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত ২০০ টাকা চাঁদাসহ গরু প্রতি মোট ৮০০ টাকা আদায় করছেন হাট-বাজারের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ। এ হাট-বাজারে প্রশাসনের কাউকে দেখা না গেলেও সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুইজন ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক হাট বাজারের অফিসে উপস্থিত হতে দেখা যায়। তারা হলেন গোলনা ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম ও কাঁঠালী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। মীরগঞ্জ হাট-বাজারের টোল আদায়ের মুল দায়িত্বে ছিলেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে হাটে এসেছি। তারা আমাদের চাপে ফেলে হাটের টোল আদায় করছেন। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করেছি।

তারা কারা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। সংবাদকর্মীদের দেখে হাট-বাজারের থাকা ক্রেতা বিক্রেতা এগিয়ে এসে বলেন, গত ৩টা হাটে শুধু গরু ক্রেতার কাছে রশীদের ফি বাবদ ৬০০ টাকা নিয়েছেন। আর যারা গরু বিক্রেতা ছিলাম আমাদের কাছ তেকে কোন প্রকার চাঁদা নেয়নি। কিন্তু আজকের হাটে গরু ক্রেতার কাছে রশীদের মাধ্যমে ৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছে বিধি পরিপন্থি অতিরিক্ত ২০০ টাকা চাঁদা নেয়। হাটের লোকজন আমাদের কাছে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে অতিরিক্ত ২০০ টাকা চাঁদা নিচ্ছেন। একপর্যায়ে একদল লোক দৌড়ে এসে সংবাদকর্মীদের ওপর চড়াও হয় এবং আক্রোশমুলক গালমন্দ করতে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা এবং হত্যার হুমকি প্রদর্শন করেন।

লোকমুখে জানা যায়, তারা উপজেলা বিএনপির একাংশ একটি গ্রুপের বাহিনী। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরের বাংলা ১৪৩২ সালে উপজেলার ২৬টি হাট ইজারা দেওয়ার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরমধ্যে ১৭টি হাটের দরপত্র জমা হলে বিধিমোতাবেক দরপত্র দর দাতাদের মধ্যে হাট-বাজার গুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ৯টি হাটের কোন দরপত্র জমা না হওয়ায় হাট-বাজার গুলো খাস খতিয়ানে চলে যায়। খাস খতিয়ানে যাওয়া হাট-বাজার গুলো হলো, মীরগঞ্জ হাট-বাজার, পাঠানপাড়া হাট-বাজার, হলদিবাড়ী নালারপাড় হাট-বাজার, হলদিবাড়ী জয়বাংলা হাট-বাজার, নবাবগঞ্জ হাট-বাজার, ডিয়াবাড়ী হাট-বাজার, বালারপুকুর চৌধুরীর হাট-বাজার, হরিশ্চন্দ্রপাঠ হাট-বাজর, খুটামারা রহমানিয়া হাট-বাজার ইত্যাদি। এই হাটগুলো বর্তমানে উপজেলা প্রশাসন তাদের নিজেদের নিয়োগকৃত জনবল দিয়ে হাট-বাজারের টোল আদায় করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন বলেন, লিখিতভাবে কাউকে হাট-বাজার দেওয়া হয়নি। কিন্তু খাস খতিয়ানের হাট-বাজারে কিছু লোকের সহযোগিতা নিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ২০০ টাকা টোল আদায়ের কোন এখতিয়ার নেই। যদি এরকম কোনো প্রমাণ আপনারা দিতে পারেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

দুর্নীতির অভিযোগে, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সেনেরচর শাহসুফি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামানকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এরপর মাদ্রাসার প্যাডে ও স্ট্যাম্পে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিলাম লিখে স্বাক্ষর দেন অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান।

রবিবার (৪মে) বেলা ১২টায়, মাদ্রাসা অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আজকের মধ্যে নগদ ২০লাখ টাকা বুঝিয়ে দিয়ে অফিস ত্যাগ করবেন। এর মধ্যেই গোপালপুর থানা থেকে পুলিশ এসে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যান।

অত্র মাদরাসার ইবতেদায়ী সহকারী শিক্ষক মৌলভী আব্দুল খালেক বলেন, অধ্যক্ষের নামে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ আছে। দুর্নীতির টাকায় বিভিন্ন স্থানে টাইলস করা বাড়ি বানিয়েছে। অধ্যক্ষ কাউকে কোন হিসাব দেয় না। হিসাব চাওয়ার কারনে সে সকল শিক্ষকদের নামে মামলা করেছে।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, প্রিন্সিপাল স্যার অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছে, অন্য স্যারদের নামে মামলা করেছে এবং নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসে না। আমরা আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরৎ ও প্রিন্সিপালের পদত্যাগ চাই।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি, অধ্যক্ষকে ইউএনও অফিসে আনা হয়েছে। এখনো বসা হয়নি, কিছুক্ষণ পর বসা হবে তারপর বিস্তারিত বলতে পারবো।

অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, ঠিকমতো ক্লাস হচ্ছেনা বলে ছাত্ররা আমাকে মাদরাসায় ডেকে নিয়ে যায়, আজকে মাদরাসায় যাওয়ার পর পদত্যাগপত্র ও টাকা দিতে হবে। পদত্যাগপত্রে এসব লিখে নিয়েছে।

ইউএনও মো. তুহিন হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় আটক ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।

রবিবার (৪ মে) রাতে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রবিউল হাসান।

ডিসি রবিউল ইসলাম জানান, হামলার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যান্য দোষীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

তবে তিনি আটক হওয়া ওই দুই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি।

এছাড়া, জিএমপি কমিশনারের নির্দেশে হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন বলেও জানান ডিসি রবিউল।

তিনি বলেন ‘হামলাকারী যেই হোন না কেন, আমরা তাদের খুঁজে বের করব এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’

তিনি জানান, হাসনাতের সঙ্গে কথা বলার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এ সময় তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে হাসনাত শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।

এছাড়া তার (হাসনাত) থেকে অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এর আগে রবিবার সন্ধ্যার দিকে গাজীপুর থেকে ঢাকার দিকে ফেরার পথে চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে হাসনাতের গাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান এনসিপির আরেক নেতা আব্দুল হান্নান মাসউদ।

হামলায় গাড়ির কাচ ভেঙে আঘাত পান হাসনাত, তবে গুরুতর আহত হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই হামলার প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা গাজীপুরে মশাল মিছিল করেন। মিছিলে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।


ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের একশত পরিবারের মাঝে ২০ লক্ষ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ইউনিসেফ-বাংলাদেশের স্টাফ এসোসিয়েশন সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনীর একশত পরিবারের মাঝে ২০ লক্ষ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

রবিবার (৪ মে ) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো. বাতেন, ইউনিসেফ চট্টগ্রামের রিজিওনাল হেড মাধুরী ব্যানার্জি।

ফেনী সদর উপজেলার ৪০টি, ছাগলনাইয়া উপজেলার ২৫টি, ফুলগাজী উপজেলার ২০টি ও পরশুরাম উপজেলার ১৫টি সর্বমোট ১০০টি পরিবারকে এই আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। ১০০টি পরিবারের প্রত্যেকটি পরিবারকে ২০ হাজার টাকা মোট ২০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।

উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে -যেসব পরিবারে গোল্ডেন সিটিজেন কার্ড (সুবর্ণ কার্ড) সহ প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে; যেসব পরিবারে এসএএম শিশু, চরম-দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবার, বন্যার কারণে বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যেসব পরিবারের মহিলা প্রধান এবং যারা ইতোপূর্বে সরকারি সহায়তা পাননি তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।


দালালের খপ্পরে সৌদি গিয়ে নিখোঁজ দুই ভাই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজবাড়ীর জালদিয়া গ্রামের দুই ভাই সোহেল মোল্লা ও ইকবল মোল্লা দালালের মাধ্যমে এক বছর আগে ১০ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি গিয়ে কাজ না পেয়ে উল্টো নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

তিন মাস ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছে পরিবার। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবার। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ভুক্তভোগীরা হলেন— উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের জালদিয়া গ্রামের কামাল মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা ও মৃত ইয়াছিন মোল্লার ছেলে ইকবাল মোল্লা। তারা সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।

কামাল মোল্লা বলেন, ‘গ্রামের প্রতিবেশী মনিরদ্দিন মোল্লা ও তার শ্যালক মামুন মোল্লা ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথম দফায় গত বছরের ৫ মার্চ নগদ ছয় লাখ ও ২৬ মে ব্যাংকের মাধ্যমে আরও চার লাখসহ মোট ১০ লাখ টাকা নিয়ে ছেলে সোহেল ও ভাতিজা ইকবলকে সৌদি আরব পাঠান। সেখানে কাজ না পেয়ে উল্টো তারা দালাল চক্রের নির্যাতনের শিকার হন।’

‘কাজ দেওয়ার আশ্বাসে চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি মনিরদ্দিন ও মামুন তাদের কাছ থেকে আরও দুই লাখ টাকা নেন। এরপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে সোহেল ও ইকবলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিন মাস ধরে তাদের খোঁজ না মেলায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবার দুটির।’

এমতাবস্থায় ২৭ এপ্রিল রাজবাড়ীর মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে দুই দালালের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন সোহেল মোল্লার স্ত্রী রিনা আক্তার।

রিনা আক্তার বলেন, ‘তিন মাস ধরে স্বামী ও দেবরের খোঁজ নেই। মনিরউদ্দিন ও মামুন আবার আমাদের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করছেন। টাকা দিলে স্বামী ও দেবরকে এনে দেবেন। আমরা তাদের মোট ১২ লাখ টাকা দিয়েছি। নতুন করে ১০ লাখ টাকা কোথায় পাব।’

ইকবাল মোল্লার স্ত্রী সেলিনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী ও ভাসুর বেঁচে আছে নাকি মারা গেছেন জানি না। তিন মাস ধরে যোগাযোগ নেই। আমার দুই মেয়ে ও ভাসুরের ছোট এক মেয়ে রয়েছে।’

‘বাচ্চারা সবসময় কান্নাকাটি করে, তাদের বাবাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমরা অনেক খুব কষ্টে দিন পার করছি। সরকারের কাছে দাবি, আমার স্বামী ও ভাসুরকে দেশে ফেরত এনে দিক।’

সোহেলের মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমরা ছেলে দুটিকে ফেরত চাই। আর দালালদের কঠিন শাস্তি চাই। যাতে দালালদের খপ্পড়ে পড়ে আমাদের মতো অন্য কোনো পরিবার সর্বশান্ত না হয়।’

অভিযুক্ত মামুন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সোহেল ও ইকবলকে যে কোম্পানিতে কাজ দিয়েছিলাম তারা সেখানে কাজ না করে পাসপোর্ট ফেরত চায়। এজেন্সির মাধ্যমে কোম্পানির কাছ থেকে তাদের পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছি। এখন আর তাদের বিষয়ে আমার কোনো দায়ভার নেই।’

মামলার ব্যাপারে পিবিআই ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আদালত এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কাগজ হাতে পায়নি। পাওয়া মাত্র অফিসার নিয়োগ দিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় তদন্ত করে প্রকৃত সত্যকে সামনে আনা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে থাকি। তবে কর্মসংস্থানের জন্য যারা বিদেশে যাবেন, তাদের দালালদের মাধ্যমে না গিয়ে জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরো ও বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে প্রচলিত নিয়ম মেনে বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দেব।’


যশোরে ১০ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

যশোরের শার্শা উপজেলায় ১০টি সোনার বারসহ শুভ ঘোষ (৩৫) নামে যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম।

আটক শুভ ঘোষ মনিকগঞ্জের সুনীল ঘোষের ছেলে।

পুলিশ জানায়, পুলিশের একটি দল বাঁগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে শুভ ঘোষ নামে এক যুবককে আটক করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের পকেট থেকে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। স্বর্ণের বারগুলো সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে শুভ ঘোষ মনিকগঞ্জ থেকে বাঁগআচড়ায় আসে।

এছাড়া জব্দ করা স্বর্ণের ওজন এক কেজি ১৯২ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা বলে জানায় পুলিশ।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘যুবকের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং আদালতে সোর্পদ করা হবে। স্বর্ণের বারগুলো ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হবে।’


বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসঃ বিজেআইএম এর সিম্পোসিয়াম অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) শনিবার (৩ মে) বিকেলে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায় একটি সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত দর্শকদের সাথে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণমাধ্যমের অবস্থা নিয়ে একটি প্রশ্নোত্তর ‍পর্বে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক শরীফ খিয়াম আহমেদ।

দ্বিতীয়ার্ধে দিবসটি উপলক্ষে ছয়জন বিশিষ্ট সাংবাদিক একটি প‍্যানেল আলোচনায় অংশ নেন যেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সেলিম সামাদ, সাংবাদিক আয়শা কবীর, সাংবাদিক এবং গবেষক এম আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক ওমর ফারুক, সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ ও সাংবাদিক জায়মা ইসলাম। তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশী সাংবাদিকতার জগতের পরিবর্তন এবং অভিযোজন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য।

বিজেআইএমের আহ্বায়ক স্যাম জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সদস‍্য সচিব মুহাম্মদ আলী মাজেদ।

প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে শফিকুল আলম নবীন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা মন খুলে লিখতে থাকেন। যত লিখবেন, সাংবাদিকতা তত শক্তিশালী হবে। সরকার তত ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং গণতন্ত্র তত শক্তিশালী হবে।"

স‍্যাম জাহান তার বক্তব্যে বলেন, “সম্ভবত অনেক অনেক বছরের মধ্যে এবারই প্রথম কিংবা হয়তো একেবারেই প্রথমবারের মতন বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস যথেষ্ট ঘটা করে বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে। এবং এর উদযাপনের আয়োজক হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”

অনুষ্ঠানে বিজেআইএম সদস্য তাসনীম খলিল ও তাঁর সংবাদমাধ্যম নেত্রনিউজের পাওয়া সাম্প্রতিক স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত শোরেনস্টাইন এওয়ার্ড করতালির সাথে উদযাপন করা হয়।

মুহাম্মদ আলী মাজেদ বলেন, “আজকের দিনে আমাদের লক্ষ্য হলো বিগত বছরগুলোতে আমরা এদেশে সাংবাদিকতায় কি সমস্যা মোকাবেলা করেছি সেগুলোর উপর আলোকপাত করা, সেই সাথে সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত নীতি পালনে আমরা কোথায় কোথায় আরো ভালো মোকাবেলা করতে পারতাম। কারণ মুক্ত গণমাধ্যম বলতে শুধু বহিঃশক্তি থেকে প্রভাবমুক্ত থাকা না, একই সাথে নিজেদের ভেতরের পক্ষপাত থেকে মুক্ত থাকা।”

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এর এশিয়া বিষয়ক সমন্বয়ক বেহ লিহ য়ি বিজেআইএম এবং বাংলাদেশের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "গত বছর দেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সময় আপনাদের প্রতিবেদন বিশ্বকে অবহিত রেখেছিল… আমি আশা করি এই নতুন যুগ আপনার কাজ করার জন্য আরও স্বাধীনতা এবং সুযোগ নিয়ে আসবে এবং সিপিজে এই যাত্রায় আপনার পাশে থাকবে।"

সিম্পোজিয়ামে উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ গণমাধ্যম ও অধিকারকর্মী, রাজনীতিবিদ, কলামিস্ট, ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ জনগণ। স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।


পতেঙ্গায় নারী ও শিশুসহ ৩৫ রোহিঙ্গা আটক

শনিবার দুপুরের দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সাগরতীরবর্তী খেজুরতলা বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ ৩৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র‌্যাব। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সাগরতীরবর্তী খেজুরতলা বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ ৩৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

আজ শনিবার দুপুরের দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা সবাই নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং অবৈধভাবে সেখান থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামে আসে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ আর এম মুজাফফর হোসেন জানান, আটকদের মধ্যে ১৯ জন শিশু রয়েছে। তারা শুক্রবার রাতে দালালের সহায়তায় ক্যাম্প থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করে এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে র‌্যাব তাদের পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করে।

পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা পুরুষ জানান, ভাসানচরের স্থানীয় দুই দালাল প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে তাদের ক্যাম্প থেকে বের করে। এরপর রাত ১টার দিকে একটি নৌকায় করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় তারা।

ভোরে পতেঙ্গায় পৌঁছানোর পর দালালরা তাদের ফেলে পালিয়ে যায়। তাদের পরিকল্পনা ছিল সড়কপথে কক্সবাজারের উখিয়ায় পৌঁছানো, তবে তার আগেই তারা ধরা পড়ে।


সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ মে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট আগামী ১৪ মে থেকে শুরু হচ্ছে। এ দিন ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের মদিনার উদ্দেশে উড়াল দিবে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট।

বাংলাদেশ বিমানের সিলেটের ম্যানেজার শাহনেওয়াজ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিলেটের হজযাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এ বছর পাঁচটি ফ্লাইট সরাসরি সিলেট থেকে পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ফ্লাইট যাবে সরাসরি মদিনায়। বাকি চারটি ফ্লাইট ২৩, ২৫, ২৬ ও ২৯ মে সিলেট-জেদ্দা রুটে পরিচালিত হবে।

রোড টু মক্কা কর্মসূচির অধীনে হজ্জ যাত্রীদের জন্য দুই দেশের ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্নের সুযোগ থাকলেও সিলেট থেকে পরিচালিত ফ্লাইটের যাত্রীদের সৌদি ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরে করা হবে।

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সিলেট জোনের সভাপতি মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান জানান, সিলেট থেকে এ বছর ২৭ শ মুসল্লী হজে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৫ জন সিলেট থেকে বিমানের ফ্লাইটে এবং অন্যরা যাবেন ঢাকা থেকে।

এ অঞ্চলের হজযাত্রীদের নিবন্ধনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সিলেটের তিনটি শীর্ষ এজেন্সির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।


ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান

৫০০ জন মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অংশগ্রহণ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আজ শনিবার (০৩ মে) খিঁলগাও উত্তর শাহজাহানপুর এলাকায় মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এর উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্থানীয় সোসাইটির জনগন এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

উত্তর শাহজাহানপুর আবাসিক এলাকা, ঝিল ও সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়।

সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের মশক কর্মীদের দ্বারা উত্তর শাহজাহানপুর আবাসিক এলাকা, ঝিল ও সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়।

পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্ষার মৌসুমকে মাথায় রেখে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা দুটি স্তরে কার্যক্রম শুরু করেছি, প্রথমটি হলো নিয়মিত মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। দ্বিতীয়টি হল বিশেষ মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম এবং জনগনকে সম্পৃক্তকরণ জনসচেতনতামূলক র‍্যালি যা পর্যায়ক্রমে ডিএসসিসির দশটি অঞ্চলে পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যে যাত্রাবাড়ী ও ধানমন্ডিতে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

প্রশাসক আরো বলেন, নগরবাসীকে সচেতনত হতে হবে এবং বাসার ভেতরে, ফুলের টব, চৌবাচ্চা ও বারান্দায় জমে থাকা পানি তিনদিনের ভেতরে নিজ উদ্যোগে ফেলে দিতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন এবং নগরবাসীকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

এ ছাড়াও অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক একটি র‍্যালি হয়।


পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো: জিল্লুর রহমান, সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞা সহ সকল বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


শিক্ষার আলো পৌঁছাতে দুর্গম পাহাড়ে বিজিবির স্কুল

বান্দরবানের দুর্গম ত্রীমতিপাড়ায় প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছে বিজিবি। ছবি: বিজিবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পার্বত্য বান্দরবানের দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকার শিক্ষাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে বান্দরবানের দুর্গম ত্রীমতিপাড়ায় প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছে বিজিবি।

আজ শুক্রবার বিজিবির আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদী দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, পার্বত্য বান্দরবানের দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকার শিক্ষাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে বিজিবির আলীকদম ব্যাটালিয়নের (৫৭ বিজিবি) ব্যবস্থাপনায় ওয়াংরাইপাড়া বিওপির উদ্যোগে থানচির রেমাক্রি ইউনিয়নের দুর্গম সীমান্তবর্তী ত্রীমতি কারবারী পাড়ায় প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার তিনি (অধিনায়ক) বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি ২৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে প্রাথমিক পাঠ্যবই, শিক্ষা উপকরণ, বিস্কুট ও চকলেট বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে এলাকার হতদরিদ্র আরও ২০টি পরিবারকে মশারি বিতরণ করা হয় এবং আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, অত্যন্ত দুর্গম এই ওয়াংরাইপাড়ায় আগে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় এলাকার ৫টি পাড়ার ৪২টি পরিবারের শিশুরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। বিজিবির তত্ত্বাবধান ও আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় কারবারী ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্মিত এই বিদ্যালয়টি গতকাল উদ্বোধন করা হলো। বিজিবির এ উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কারবারী ও সাধারণ জনগণ।

এ বিষয়ে আলীকদম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আরও বলেন, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বিজিবি কেবল সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বই পালন করছে না‌ বরং মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিজিবি সবসময়ই বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পাহাড়ী ও বাঙালিদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ়করণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই ধারাবাহিকতায় দুর্গম এই সীমান্তবর্তী এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলো বিজিবি।


banner close