মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
২০ কার্তিক ১৪৩২

বিপুল পরিমানে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ নারী গ্রেপ্তার

উদ্ধার করা মাদক
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২২ ১৫:৪৬

রাজধানীর মুগদা থেকে ২০১ বোতল ফেনসিডিল ও ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১০। এসময় মাদক রাখার অভিযোগে কল্পনা আক্তার (৪০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রোববার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এ ঘটনা হয়।

র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদে দক্ষিণ মুগদা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী কল্পনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ২০১ বোতল ফেনসিডিল ও ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা মাদকের মূল্য ৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার নারী জানান, সে একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবৎ মুগদাসহ আশেপাশের এলাকায় ফেনসিডিল গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য কেনা বেচা করে আসছে

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বিষয়:

দাউদকান্দির ধনাগোদা নদীতে কচুরিপানা, বাড়ছে দুভোর্গ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে প্রবাহমান ধনাগোদা নদীটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কচুরিপানার কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল। বিঘ্ন হচ্ছে মৎস্য আহরণ এবং নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য। একসময় নৌকা, ট্রলার ও মাছ ধরার জালে মুখর ছিল এই নদী। এখন সেই নদীর বুকজুড়ে কচুরিপানার বিস্তীর্ণ স্তর। যার ওপর দিয়ে নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করছে মানুষ। বিকেলবেলা নদীর মাঝখানে খেলাধুলা করছে এলাকার শিশু-কিশোররা। প্রাণবন্ত জলপথ আজ পরিণত হয়েছে সবুজে ঢাকা নিস্তব্ধ এক মাঠে।

নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় আশপাশের বাজারগুলোতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। স্থানীয় জেলেরা দীর্ঘদিন মাছ ধরতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নষ্ট হচ্ছে মাছের প্রজনন ক্ষেত্র, কমে যাচ্ছে নদীর জলজ প্রাণী। একই সঙ্গে নদীজীবী শতাধিক পরিবারের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

কচুরিপানায় নদীর তলদেশে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে পানি ধারণক্ষমতা। এর প্রভাবে আশপাশের কৃষিজমিতে পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাড়ছে জলাবদ্ধতা।

দাউদকান্দি উপজেলার শ্রীরায়েরচর ব্রিজ থেকে মতলব উপজেলার কালিরবাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জমে আছে কচুরিপানার স্তর। এর ওপর দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করে মানুষ। এদিকে ধনাগোদার খেয়াঘাট, দুর্গাপুর, বাংলাবাজার, রায়েরকান্দি, নন্দলালপুর, বাইশপুর, গাজীপুর মোড়, সাহেববাজার, টরকী, মাছুয়াখাল ও শাহপুরসহ সব জায়গায় একই চিত্র।

একসময় এই ধনাগোদা নদী ছিল বৃহত্তর মতলবের নৌপথের একমাত্র ভরসা। এখান দিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জগামী লঞ্চ ও পণ্যবাহী জাহাজ নিয়মিত চলাচল করত। কিন্তু গত পাঁচ-সাত বছরে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া, অবৈধ দখল ও মাছ ধরার ঝাঁক স্থাপনের কারণে নদীটি এখন মৃতপ্রায়।

এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত কচুরিপানা অপসারণ করে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ উন্মুক্ত করা হোক।

দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন আক্তার বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। এরই মধ্যে নদী অধিদপ্তরের কাছে বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। স্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আমরা কাজ করব। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কচুরিপানা অপসারণ ও অবৈধ ঝাঁক উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হবে।


কুষ্টিয়ায় হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার চরে সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে নিহত লিটনের পরিবার ও স্থানীয়রা মানববন্ধন করেছেন। গত সোমবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুরের রায়টায় পদ্মা নদীর পাড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত লিটনের পরিবার ছাড়াও কয়েকশ স্থানীয় নারী পুরুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে নিহত লিটনের পরিবার ও স্থানীয়রা মানববন্ধনের ব্যানারের ফেস্টুনে থাকা লিটনের ছবিতে হাত বুলিয়ে উচ্চ শব্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নিহত লিটনের পিতা জামিরুল প্রামানিক জানান, নদীর চরে গেজে ওঠা আমার নিজের জমিতে কাশবনে খড় কাটতে গেলে আমার ছেলেকে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে মাদককারবারী বিল্লাল মন্ডল, মুন্তাজ মন্ডল, জাকারিয়া পিন্টুসহ আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। আমি দোষীদের ফাঁসি দাবি করছি।

নিহত লিটনের মা আলেয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে আগে কসমেটিকস এর ব্যবসা করত। বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা পয়সা সব জমা দিয়ে রেখেছে। কিছুদিন পর ছেলে বিদেশ যাবে। বিল্লাল মন্ডল, মুন্তাজ মন্ডল, জাকারিয়া পিন্টু আমার কলিজার ধনকে কেড়ে নিয়েছে। আমি তাদের ফাঁসি চাই।

স্থানীয়রা বলেন, মুনতাজ ও বিল্লাল বাহিনীর ভয়ে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা চরের জমিতে ঠিকমতো চাষাবাদ করতে পারছে না। আবাদ করা ফসল ঠিকমতো ঘরে তুলতে পারছেন না। সন্ত্রাসীবাহিনীর সদস্যরা সবসময় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন। পুলিশ এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। এ কারণে তারা অনেকটা সন্ত্রাসীবাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। তারা অবিলম্বে এই বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর ভেড়ামারা উপজেলার রায়টা নতুনহাট এলাকার বাসিন্দা লিটন পদ্মাচরে নিজের জমিতে খড় কাটতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পদ্মায় ফেলে দেন।

পরের দিন ২৮ অক্টোবর নদী থেকে লিটনের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। দোলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।


গজারিয়ায় এবার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতি

৪৮ লাখ টাকার মালামাল লুট
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় একদিনের ব্যবধানে আবারো সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এবার উজেলার সাতকাহনিয়া গ্রামে বৃদ্ধ এক দম্পতির মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৪৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

গত সোমবার গভীর রাতে উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের সাতকাহনিয়া গ্রামে ব্যবসায়ী আলম মিয়ার বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী আলম মিয়া বলেন, ‘ব্যবসায়ী কাজে আমরা দুই ভাই পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকি। গত সোমবার বিকেলে পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে আসি। বাসায় ছিল আমার বৃদ্ধ বাবা-মা। রাতের খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে সঙ্ঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল জানালার গ্রিল কেটে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা অস্ত্রের মুখে বাবা-মাকে জিম্মি করে ঘরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা ও ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।

আলমের বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রিল কেটে যখন ডাকাতরা বাসায় প্রবেশ করে তখন আমার স্ত্রী বিষয়টি প্রথম খেয়াল করেন। বাসায় আমরা দুজনই ছিলাম। প্রথমে ডাকাত দলের ৬/৭ জন প্রবেশ করার পরে আরো ১৪/১৫ জন আসে করে। ডাকাত দলের সদস্যরা বিভিন্ন রুমে রুমে অবস্থান নেয় এবং আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আলমারি ও শোকেসের তালা খুলিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, এমন একটি খবর আমরাও পেয়েছি। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরআগে গত রবিবার রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়া এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনার সদস্য ফজলুল হকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। একই কায়দায় জানালার গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ৫৪ লাখ টাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।


আবারো তেঁতুলিয়ায় থেকে দেখা গেল কাঞ্চনজঙ্ঘা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

দেশের সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই স্থানীয়দের চোখে ধরা পড়েছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পর্বতমালা হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম নৈসর্গিক রূপ। ঝকঝকে কাঁচের মতো স্বচ্ছ নীল আকাশ আর পরিচ্ছন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে এই পর্বত দেখা মিলছে পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া থেকে। তবে গত মাসে খালি চোখেই ধরা পড়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ।

স্থানীয়রা জানান, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখা যাচ্ছে হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম নৈসর্গিক রূপ। খালি চোখেই দেখা গেল কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ।

বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। দূর থেকে পর্বতশৃঙ্গটি যেন আকাশের বুকে ধূসর প্রকাণ্ড পাহাড়ের ওপর একগুচ্ছ রঙিন আঁচড়। কখনো তা শ্বেতশুভ্র, কখনো সূর্য-কমলা। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা থেকে চলতি বছরও বেশ পরিষ্কারভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ দেখা যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখার জন্য অনেকেই এসব জেলায় ভিড় করছেন। ফেসবুকেও অনেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়ার ছবি পোস্ট করছেন।

পঞ্চগড়, তেঁতুলিয়া বাসিন্দা সোহরাব আলী, মোবারক হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছরই এই সময়ে আমাদের জেলা থেকে কম বেশি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। কিন্তু এই বছরের মতো এতো পরিষ্কারভাবে অনেক বছর দেখা যায়নি।’

তিনি জানান, ‘জেলার সব প্রায় সব জায়গা থেকেই শুভ্র সাদা বরফে আচ্ছাদিত পর্বতমালাটি দেখা যাচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো স্থান থেকে পর্বতমালার নিচের কয়েকটি শহরের ঘরবাড়ি, আলো, গাড়ি চলাচলও দেখা যাচ্ছে।’

কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্যটকদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় একটি আকর্ষণ। ভারতের অন্যতম শৈল শহর দার্জিলিং, ঘুম বা কালিম্পংয়ের প্রধান আকর্ষণ কাঞ্চনজঙ্ঘা। এটি ভারতের সিকিম ও নেপাল জুড়ে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ। এর উচ্চতা ৮,৫৮৬ মিটার বা ২৪, ১৬৯ ফুট।

কোথায়, কখন যাবেন বাংলাদেশ থেকে এই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণে যেতে হবে। পঞ্চগড়ের অন্তর্গত তেঁতুলিয়া দেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা। এই সদরের প্রাণকেন্দ্রে আছে একটি ঐতিহাসিক ডাকবাংলো। অনেক আগের এই স্থাপনাটির নির্মাণ কৌশল অনেকটা বিলেতি ভিক্টোরিয়ান ধাঁচের। কথিত আছে- এটি নির্মাণ করেছিলেন কুচবিহারের রাজা।

রোদের আলোয় চিকচিক করতে থাকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সেই মোহনীয় শোভা উপভোগ করার জন্য যেতে হবে শরতের শেষ কিংবা শীতের শুরুতেই। বিশেষ করে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়টাতে যাওয়া উত্তম। এই সময়টাতে আকাশ একদম পরিষ্কার থাকে। মেঘের সঙ্গে বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার লুকোচুরি খেলার কোনো উপায় থাকে না।


রাউজান ভয়ংকর মনে হলেও, সব সূচকে এগিয়ে: বিভাগীয় কমিশনার

রাউজান উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়া উদ্দীন।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 

চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেছেন, ‘রাউজানের পরিস্থিতি ভয়ংকর মনে হলেও, বাস্তবে সব উন্নয়ন সূচকে রাউজান এগিয়ে আছে। এখানে শুধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তুলনামূলক বেশি ঘটে। আমরা একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই, এজন্য রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ও সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি।’ গত সোমবার রাউজান উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ ও দুঃস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। রাউজান উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ। সঞ্চালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংছিং মারমা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন। বক্তব্য রাখেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুন নবী, মাধ্যমিক একাডেমি সুপারভাইজার সজল চন্দ্র চন্দ, সমাজসেবা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, সমবায় কর্মকর্তা মিন্টু বড়ুয়া, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জয়িতা বসু, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম হারুন আর রশিদ ও উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। পরে বিভাগীয় কমিশনার উপজেলা পরিষদে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় ইউএনও জিসান বিন মাজেদ টিভি ডিসপ্লের মাধ্যমে ‘সম্ভাবনাময় রাউজান’ শীর্ষক একটি উপস্থাপনা প্রদর্শন করেন, যেখানে রাউজানের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরা হয়। সরকারি কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ দপ্তরের সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন বিভাগীয় কমিশনারের সামনে। অনুষ্ঠান শেষে বিভাগীয় কমিশনার ইউএনও বাসভবনের পাশে নবনির্মিত ‘ফুলঝুরি পার্ক’ উদ্বোধন করেন।


কাউখালীতে কঠিন চীবর দানোৎসব পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি

রাঙামাটি জেলার কাউখালি উপজেলার বেতবুনিয়ায় অবস্থিত বেণুবন উত্তমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দানোৎসব। মঙ্গলবার দুপুরে বিহার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পশ্চিম সোনাইছড়ি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত নাইন্দাবাসা মহাথেরো।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারবিষয়ক উপপরিচালক মো. মোবারক হোসেন। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল বড়ুয়া মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক জুই চাকমা এবং কাউখালী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি পাইচিং মং মারমা।

কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন গজালিয়া জোতিবন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত রত্নপ্রিয় মহাথেরো এবং বিশেষ সদ্ধর্মদেশক ছিলেন শীলছড়ি অরণ্য ভাবনা কুঠিরের অধ্যক্ষ ভদন্ত সাধনানন্দ মহাথেরো। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রবাসী রিপন বড়ুয়া এবং উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জীবন বড়ুয়া। এর আগে সকালে অষ্টপরিস্কার, সংঘদান ও সদ্ধর্ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন বেতাগী সার্বজনীন রত্নাকুর বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ইদ্দিপিঞ্ঞা মহাথেরো।

অনুষ্ঠানে এলাকার কৃতি সন্তান প্রকৌশলী পবন বড়ুয়া নিশানকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে এলাকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘জীবে প্রেম করে যে জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। জীব হত্যা মহাপাপ। সৃষ্টিকে ভালোবাসা এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভক্তিই মানুষের প্রকৃত ধর্ম। আমরা যদি প্রেম, সম্মান ও শান্তির পথ অনুসরণ করি, তাহলে সমাজ, দেশ ও বিশ্ব উপকৃত হবে।’

পরে ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং পুণ্যার্থীরা চীবর দান করেন। এ সময় ‘সাধু, সাধু, সাধু’ ধ্বনিতে পুরো বিহার প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে।


কমলনগরে আশঙ্কাজনক বাড়ছে চুরি-ডাকাতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় ব্যাপকহারে বেড়েছে চুরি-ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা। রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহ উৎপাত। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হচ্ছে। বাড়ছে চুরি-ডাকাতি, ধর্ষণ, মাদক ও ইভটিজিং সহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড। গত এক বছর ধরে একের পর এক অপরাধ কর্মকাণ্ড যেন বেড়েই চলেছে। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছেনা চুরি ডাকাতি। প্রতিরাতে উপজেলার কোথাও না কোথাও চুরি-ডাকাতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকাবাসী।

সুত্র জানায়, উপজেলার চরকাদিরা, হাজিরহাট, চরফলকন, পাটারিরহাট, চরকালকিনি, চরমার্টিন, সাহেবেরহাট ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে চলছে একের পর এক চুরি ডাকাতি ও ধর্ষণের মত ঘটনা।

গত এক বছরে বেশ কিছু গণধর্ষণ, ধর্ষণ, ধর্ষণ চেষ্টা, কিশোরগ্যাং, চুরি ও ডাকাতির পাশাপাশি গরু চুরি, মানুষের বসত বাড়িতে চুরি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। বসতবাড়ির পানির কল, মটর, শাড়ি কাপড় কোন কিছুই বাদ যাচ্ছেনা চোরের হাত থেকে। জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও চলছে কিশোরগ্যাংয়ের মহড়া।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮১টি ওয়ার্ডের অলিগলিতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে কিশোরগ্যাংচক্র। এরা সংঘবদ্ধ হয়ে গভীর রাতে মানুষের গরু চুরি থেকে শুরু করে বসতবাড়িতে হানা দিচ্ছে, ঘটছে ধর্ষণের মত ভয়াবহ ঘটনা। এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ হলেও পুলিশ ধর্ষণে অভিযুক্তদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও বেশীরভাগ রয়েছে অধরা। চুরি ডাকাতির মামলায় আসামি গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ। এতে দিন দিন মানুষের মধ্যে আতংক ও উৎকন্ঠা বেড়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৮১টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও রয়েছে উদ্বেগ উৎকন্ঠায়। অন্যদিকে কমলনগর থানায় দালালের উৎপাদও বেড়ে গেছে।

সুত্রমতে: ২৯ অক্টোবর রাতে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। ১১ অক্টোবর চরকাদিরা ইউনিয়নের চরবসু এলাকায় চিপসের প্রলোভন দিয়ে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেন বশির সর্দার নামে এক ব্যক্তি। গত বছর ৯ ডিসেম্বর রাতে চরকাদিরা ইউনিয়নের বটতলী এলাকায় ফিল্মি স্টাইলে মাকে বেঁধে এক তরুণীকে ৪ জন মিলে ধর্ষণ করে। ১৫ অক্টোবর চরমার্টিন ইউনিয়নে খালা শাশুড়ীর সাথে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এছাড়া ২৯ অক্টোবর চরমার্টিন ইউনিয়নের আবুধাবি প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ওই বাড়ি থেকে ১৬ লাখ টাকার মালামাল ও ১৪ ভরি স্বর্ণ লুট করা হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চরফলকন গ্রামে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের ১২ জনকে অচেতন করে ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়। ২ এপ্রিল চরলরেন্স ইউনিয়নের বাঁশতলা এলাকায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। চরকাদিরা ইউনিয়নের চরবসু এলাকা থেকে কয়েকটি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। ৪ এপ্রিল তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১৯ ডিসেম্বর হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামে সৌদি প্রবাসীর বাড়ীতে পরিবারের সবাইকে হাত পাঁ বেঁধে ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়। ১২ আগস্ট চরলরেন্স ইউনিয়নের করইতলা এলাকায় আরেক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১৭ অক্টোবর রাতে হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ডাকাতি হয়। এসময় ডাকাতদল নগদ ৫ লাখ টাকা সহ ৮ ভরি স্বর্ণ অলংকার লুট করে। হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ইয়াসিন আরাফাতের বাড়িতেও চুরি হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ওয়ালি উদ্দীন মাসুদের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এভাবে প্রতিদিন উপজেলার কোথাও না কোথাও চলছে চুরি ডাকাতির ঘটনা। এসব ঘটনায় পুলিশ অপরাধী ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় জনমনে পুলিশ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।

চরমার্টিন ইউনিয়নের বাসিন্দা খবিরুল হক বলেন, মানুষের নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই, যেভাবে গণহারে চুরি ডাকাতি হচ্ছে-থানা পুলিশকে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছেনা। চুরি ডাকাতির পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনাও শুনতেছি। আমরা মেয়েদের নিয়ে চিন্তিত রয়েছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা গ্রাম পুলিশ দিয়ে নিয়মিত পাহারা দিচ্ছি। চুরি ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা সভায় বার বার বলেছি। এরপরেও কোন ভাবেই চুরি ডাকাতি বন্ধ করা যাচ্ছে না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশকে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।

কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কিছু চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ সাথে সাথে ব্যবস্থাও নিচ্ছে। থানায় আসা অভিযোগগুলো গ্রহন করে বেশ কিছু অপরাধী গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য অপরাধী ধরতে পুলিশ কাজ করছে।


৩৬ জুলাইয়ের পর রংপুরে প্রশাসনের নতুন দিগন্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রংপুর সংবাদদাতা

বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘৩৬ জুলাই’-একটি স্মরণীয় দিন। রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা আর অনিশ্চয়তার ঘনঘটায় যখন দেশের মানুষ আতঙ্কিত, ঠিক সেই সময় রংপুরে এসে দায়িত্ব নেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি প্রমাণ করেছেন-সত্যিকারের প্রশাসনিক নেতৃত্ব মানে শুধু অফিসের চেয়ারে বসে নির্দেশ দেওয়া নয়, বরং মাঠে নেমে মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

নিয়মিত পরিদর্শন, কঠোর শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে তিনি রংপুর জেলা প্রশাসনকে এনে দিয়েছেন এক নতুন রূপে।

সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে যেখানে আগে ছিল জটিলতা ও বিলম্ব সেখানে এখন গতিশীলতা ও দ্রুত সেবাদান নিশ্চিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নাগরিক সেবা কার্যক্রমে এসেছে গতি; ভূমি, সমাজসেবা, খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত হয়েছে নতুন আস্থা।

প্রতিটি সরকারি কর্মসূচিতে তিনি কেবল সভাপতির আসনে বসেন না, মাঠে গিয়েও বাস্তবতা যাচাই করেন। তিস্তা পাড়ের নদীভাঙন, দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনাকে দমন, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রম- সব ক্ষেত্রেই ডিসি রবিউল ফয়সাল আছেন সক্রিয়।

সাধারণ মানুষরা বলেন, ডিসি স্যার আসার পর আমরা সরকারের উপস্থিতি টের পাই। রংপুর সদর উপজেলার এক শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, আগে অভিযোগ জানালে মাসের পর মাস কোনো সাড়া পেতাম না। এখন ডিসি স্যারের নির্দেশে দুদিনেই ব্যবস্থা হয়। এটা আমাদের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা।

রবিউল ফয়সালের মূলনীতি, ‘জনগণের প্রতি জবাবদিহি’। অভিযোগ পেলে তিনি শুধু দাপ্তরিকভাবে নয়, সরেজমিনে যাচাই করে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেন। গণমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া বা সরাসরি ফোনে পাওয়া অভিযোগ তিনি নিজে মনিটর করেন। এই দায়িত্ববোধ ও মানবিক মনোভাবের কারণেই এখন রংপুরের মানুষ বলেন, ডিসি স্যার আছে বলেই, আমরা শান্তির ঘুম ঘুমাতে পারছি। ৩৬ জুলাইয়ের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত ভিশন বাস্তবায়নে তিনি রংপুরকে মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন। দুর্নীতি, অনিয়ম ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রশাসন গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি।

ভূমিহীনদের পুনর্বাসন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ নিয়োগ, বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রমে ন্যায়সংগত বিতরণ-সব ক্ষেত্রে তার দৃঢ় নেতৃত্বে এসেছে দৃশ্যমান সাফল্য।

শিক্ষার্থী মাহবুবা আখতার বলেন, স্কুল ও কলেজ পরিদর্শন, শিক্ষার মান উন্নয়নের উদ্যোগ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথোপকথন-এসবই দেখিয়ে দিয়েছে ডিসি স্যারের মানবিক মনোভাব।

স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্প পরিদর্শনে তার উপস্থিতি, সমস্যার সমাধানের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া-সবই প্রতীয়মান করে যে, প্রশাসন শুধু বেসরকরি হিসাব নয়, জনসেবায় নিবেদিত।

রংপুরের জেলার সাংবাদিকরা বলেন, ডিসি স্যার আছে বলেই প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা এসেছে। তার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে।

ডিসি রবিউল ফয়সাল বলেন, রংপুরের মানুষের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনা, সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া-এটাই আমার মূল লক্ষ্য। প্রশাসন হবে মানুষের, মানুষের কল্যাণে। ‘৩৬ জুলাই’ পরবর্তী প্রশাসনিক পরিবর্তনের ধারায় ডিসি রবিউল ফয়সালের নেতৃত্ব এখন রংপুরবাসীর আস্থার প্রতীক। তিনি হয়তো একদিন অন্য জেলায় বদলি হবেন, কিন্তু রংপুরের মানুষের মনে থেকে যাবে তার কর্মের স্বাক্ষর- একজন সৎ, মানবিক ও দৃঢ় জেলা প্রশাসকের প্রতিচ্ছবি হিসেবে।


তারাকান্দায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ ব্যুরো

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পাথারিয়া গ্রামে অবস্থিত ভাষা সৈনিক শামছুল হক কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ করেছেন কলেজটির একাধিক শিক্ষক, প্রতিষ্ঠাতা, জমিদাতা ও কয়েকজন কর্মচারি। অভিযোগকারীদের দাবি, অধ্যক্ষ নিজের ইচ্ছায় টাকার বিনিময়ে শিক্ষক-কর্মচারি নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যক্ষS স্বেচ্ছাচারি আচরণ করেন।

অভিযোগকারীদের আরও দাবি, গত মে মাস থেকে তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে না এসে পৃথম স্থানে একটি টিনের ঘর তৈরি করে কলেজ পরিচালনা করছেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনেকেই অধ্যক্ষের তৈরি করা নতুন ঘরে ক্লাস করছে আবার অনেকেই মূল ভবনের কাজ করছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীা বিপাকে পড়েছে। কলেজটির ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গত সোমবার সরেজমিনে ভাষা সৈনিক শামছুল হক কলেজে গিয়ে দুটি ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষক-কর্মচারিদের সঙ্গে কথা হয়। জানা যায়, ২০১৪ সালে পাথারিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় ভাষা সৈনিক শামছুল হক হক। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে এমপিও ভুক্ত হয়। এনটিআরসিএ এর নিয়ম অনুযায়ী ২০১৫ সালের পর থেকে এমপিওভুক্ত কলেজে শিক্ষক পদে কলেজ কতৃপক্ষের নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তবে কর্মচারি নিয়োগ দিতে পারবে। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠার পরপর কেবল একবারই ভাষা সৈনিক শামছুল হক কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষক দেয়। কলেজটিতে বানিজ্য বিভাগ না থাকায় ওই সময় এ বিভাগের কোন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে ২০২৩ সালে এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর জানা যায়, বানিজ্য বিভাগের কোন শিক্ষার্থী না থাকালেও এ বিভাগের তিনজন প্রভাষক এমপিওভুক্ত করা হয়। তাদের নিয়োগ দেখানো হয়েছে ২০১৫ সালে। এছাড়া বেসরকারি কলেজে নিয়ম অনুযায়ী দুইজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও নিয়ম ভেঙে অধ্যক্ষ আরও একজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এসব নিয়োগের বিনিময়ে অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান টাকা নিয়েছেন বলে একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ। সম্প্রতি কলেজের পৌরনীতির শিক্ষক মোখলেছুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায়তেও তিনি কলেজে যান প্রতিদিন। কিন্তু অধ্যক্ষের প্রতিষ্ঠিত টিনের ভবনে না যাওয়ার কারণে মোখলেছুর রহমানকে অনুপস্থিত দেখিয়ে তার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নতুন ভবনে না যাওয়ার কারণে একাধিক শিক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগে অর্থ আত্নসাৎ ও স্বেচ্ছাচারি আচরণের বিষয়টি উল্লেখ করে কলেজের শিক্ষকদের একাংশের পক্ষ থেকে এবং দুইজন কর্মচারি তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া নিয়ম ভেঙে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে তৃতীয় একজনকে নিয়োগ দেওয়া আদালতে মামলা করেছেন প্রথমে নিয়োগ পাওয়া দুইজন অফিস সহকারী ও কাম কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানা ও এমরান হোসেন।

কলেজটির পৌরনীতি বিভাগের শিক্ষক মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পরও নিয়মিত কলেজে গিয়েছি। অথচ অধ্যক্ষ আমার বেতন বন্ধ করে দিয়েছেন। অসুস্থ অবস্থায় বেতন বন্ধ থাকায় আমি অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছি।

কলেজের নিয়োগ বোর্ডের সদস্য শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ২০১৫ সালের নিয়োগ বোর্ডের আমি একজন সদস্য। বোর্ডের নিয়োগের বাইরে তিনি একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারি নিয়োগ দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। আমরা এসবের প্রতিবাদ করলে তিনি কলেজের মূল ক্যাম্পাস ছেড়ে নিজের পছন্দমত ঘর তৈরি করে কলেজ পরিচালনা করছেন। এটি কোন ভাবেই বৈধ না।

অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ৫ আগস্টের পর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে সাজানো মানববন্ধন করা হয়েছে। এরপর আমিসহ বেশির ভাগ শিক্ষককে কলেজে না যেতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাতে আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করে পৃথক স্থানে ভবন নির্মাণ করে কলেজের পাঠদান করে আসছি। বিষয়টি আমি স্থানীয় প্রশাসনকে প্রথমে মৌখিকভাবে এবং পরে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ সত্য নয়।

তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসাইন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্যাটি সমাধানের জন্য আমি উদ্যোগ নিয়েছি।


রূপগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্র-মাদক উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রবিন মিয়া (৩৫)-কে গ্রেপ্তার করে পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্পের আভিযানিক দল।

সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্পের একটি চৌকস দল গত রবিবার গভীর রাতে এই অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলভার, একটি দুই নলা বন্দুক, একটি ডামি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, দেশীয় ধারালো অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য- যার মধ্যে রয়েছে হেরোইন ২২২ গ্রাম, ইয়াবা ১৫৩ পিস ও গাঁজা ৫০০ গ্রাম।

অভিযান শেষে গত সোমবার রাতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সাল ইশতিয়াক।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সাল ইশতিয়াক বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে। রূপগঞ্জে পরিচালিত এ অভিযানে একটি বড় অস্ত্র ও মাদক চক্রের সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আটক রবিন মিয়ার বিরুদ্ধে আগে থেকেই ছয়টি মামলা রয়েছে। আমাদের কাছে রাজনৈতিক পরিচয় নয়, অপরাধই আসল পরিচয়। সন্ত্রাসী মানে সন্ত্রাসী এটাই মূল বিষয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, সন্ত্রাস দমন ও মাদক নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি তারিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর হাতে আটক রবিন মিয়াকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য জব্দ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।


নেত্রকোনায় ‘আমার চোখে জুলাই বিপ্লব’ শিরোনামে প্রকাশনা উৎসব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম, নেত্রকোনা

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং জেলা পরিষদের তত্বাবধানে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জুলাই গণঅভ্যূত্থান স্মরণে আইডিয়া প্রতিযোগিতা বাস্তবায়ন পরবর্তী ‘আমার চোখে জুলাই বিপ্লব’ শিরোনামে প্রতিবেদনের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে ‘আমার চোখে জুলাই বিপ্লব’ প্রকাশনার উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. কামরুল হুদা, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক মো. আরিফুল ইসলাম সরদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা বিনতে রফিক, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান নুরু এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী মুহাম্মদ আব্দুর রহিম রুহীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা


মাদারীপুরে রেইজ প্রকল্পের ‘কমিউনিটি আউটরিচ সভা’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাদারীপুর প্রতিনিধি

পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘রেইজ’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মাদারীপুরে এক বর্ণাঢ্য ‘কমিউনিটি আউটরিচ সভা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা অংকুর পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র (এনজিও) এর উদ্যোগে আয়োজিত এই সভাটি মঙ্গলবার মাদারীপুর জেলা স্টেডিয়ামের মূল ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।

‘রেইজ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ঋণ সহায়তা প্রদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে শহর ও উপ-শহর এলাকায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সভায় বক্তারা ‘রেইজ’ প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এ প্রকল্পটি তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে নিজস্ব উদ্যোগ গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি করছে। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো নতুন-নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওই এনজিও এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর তাপস কুমার সরকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জ্যেষ্ঠ হিসাবরক্ষণ কো-অর্ডিনেটর মো. ইখতিয়ার হোসেন ও রেইজ প্রকল্পের ফোকাল পারসন লাভলী খানম, মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের এ.এস.আই মো. শাফিনুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এরিয়া ম্যানেজার মো. মনিরুল হোসেন, শাখা ব্যবস্থাপক মো. সোহেল রানা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং বিভিন্ন পেশার শতাধিক অংশগ্রহণকারী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ওই এনজিও এর কর্মকর্তারা ও সুধীজনেরা ‘রেইজ’ প্রকল্পের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এর সফল বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।


পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশে বন্দি, নারী-শিশুসহ উদ্ধার ২৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে নৌপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশে অপহরণ করে বন্দি রাখা নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের যৌথ দল। গত সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জুম্মা পাড়া গহীন পাহাড় থেকে এসব ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় পাচারকারীদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় কোস্টগার্ড।

কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নৌপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে নারী ও শিশুসহ বেশ কিছু ব্যক্তিকে টেকনাফের বাহারছড়ার জুম্মা পাড়া পাহাড়ে পাচারকারীদের আস্তানায় বন্দি করে রাখা হয়েছে।

এ সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার রাত ১১টায় কোস্ট গার্ড এবং নৌবাহিনীর একটি যৌথ দল পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পাহাড়ে পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে পাচারের উদ্দেশে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২৫ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, অভিযান চলাকালীন যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের আটকের নিমিত্তে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান চলমান রয়েছে।


banner close