মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

কিশোর হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কালাম কালু। ছবি: দৈনিক বাংলা
পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত
পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২২:৫১

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় রফিকুল ইসলাম নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকেই ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে তাদের আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ এস এম নূরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— আবুল কালাম কালু (৩৩) ও মো. হারুণ (৩৫)। তারা পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার দক্ষিণ কলারন গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মো. জহুরুল ইসলাম জানান, এ মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে দুই ভাই আবুল কালাম কালু ও মো. হারুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি তিন আসামি জামাল হোসেন, কবির হাওলাদার ও নিপুন শেখকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামী আবুল কালাম কালু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আরেক আসামি হারুণ পলাতক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মো. হালিমের ছেলে রফিকুল ইসলাম (১৩) তার মা সেলিনা বেগমের সঙ্গে ইন্দুরকানী উপজেলায় তার মামা মোদাচ্ছের আলী হাওলাদারের বাড়িতে থাকত। ২০০৬ সালের ৮ মার্চ পূর্বশত্রুতার জের ধরে রফিকুলকে বাড়ির কাছে একটি খালপাড়ে গলা কেটে হত্যা করেন কালাম ও হারুন।

এপিপি জানান, ওই দিনই নিহত কিশোরের মামা মোদাচ্ছের আলী হাওলাদার ইন্দুরকানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ইন্দুরকানী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বারী মনোরঞ্জন ২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।


ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল ১৩ জনের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফরিদপুরে পিকআপ ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে সদর উপজেলার কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সকালে ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। অন্যদিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে জেলা সদরে যাচ্ছিল পিকআপ ভ্যানটি। পথে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় পিকআপটিকে ধাক্কা দেয় বাস। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।

ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাকি দুজন।


রেলওয়ের জলাশয় ভরাট করে দখল

রেলওয়ের ৬৬ শতক জলাশয় ভরাট করে দখলে রেখেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০৬:০১
আওয়াল শেখ, খুলনা

রেলওয়ের ৬৬ শতক জলাশয় ভরাট করে দখলে রেখেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। অজুহাত দেওয়া হয়েছে- খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়রের নির্দেশে সেখানে পার্ক বানানো হবে। তাই পুলিশে অভিযোগ দিয়েও সেই সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারছে না রেলওয়ে। তবে কেসিসি থেকে জাননো হয়েছে, সেখানে কোনো নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়নি। আর কাউন্সিলের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে কিছুই জানেন না মেয়র।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, খুলনা নগরের খালিশপুর এলাকায় খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পশ্চিম পাশের ৬৬ শতক রেলওয়ের জমি রয়েছে, যা কয়েক বছর আগে স্থানীয় জনি মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। ওই জমি জলাশয় হওয়ায় ইজারার শর্তে উল্লেখ ছিল তা ভরাট করা যাবে না। তবে ইজারা নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে ভরাট হয়ে যায়।

রেলওয়ের যশোর ও খুলনার ভূমি কর্মকর্তা মহসিন আলী বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলরের নির্দেশে ওই জমি ভরাট করা হয়েছে। জনি মিয়ার এই জলাভূমি রক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল। তবে তিনি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্নার সঙ্গে যোগসাজশ করে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ফেলেছেন।

শর্ত ভঙ্গ করে ভূমি ভরাট করায় ওই জনি মিয়ার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর সরকারি রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) স্টেশনে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল ভূমি কর্মকর্তা। তবে প্রভাবশালী কাউন্সিলরের চাপে পুলিশ কিছুই করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে মহসিন আলী বলেন, তৎকালীন ভূমি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম জিআরপি থানায় যে ডায়েরি করেছিলেন, স্তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। ওই সময়ে কাউন্সিলর মুন্না ও তার লোকজন তাদের প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত বন্ধ করে দেয়। অবশেষে রেলওয়ের ৬৬ শতক জমির পুরো জলাশয়টি ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যায়।

গত সপ্তাহে ওই জমিটি পরিদর্শন করে সেখানে দেখা যায়, বর্তমানে জলাশয়টি সমতল মাঠে পরিণত হয়েছে। কিছু শ্রমিক এটি সমতল করেছেন।

কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ওই জমিতে শিশুপার্ক, কাউন্সিলর কার্যালয়, দোকানপাট ও বহুতল মার্কেট নির্মাণ করা হবে।

এলাকার বাসিন্দা ইমতিয়াজ শেখ বলেন, এই জমিটি যখন ভরাট করা হয়েছিল, তখন কাউন্সিলর মুন্না কেসিসির প্যানেল মেয়র ছিলেন। তাই প্রকাশ্যে জমি ভরাট করলে তাকে বাধা দেওয়ার মতো কেউ ছিল না।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছিলাম রেলওয়ের কর্মকর্তারা এখানে এসেও অসহায়বোধ করেছিলেন। মুন্না স্পষ্ট তাদের বলেছিলেন এটি কেসিসির মালিকানাধীন একটি পরিত্যক্ত জমি এবং তারা শিশুদের জন্য একটি পার্কসহ সেখানে কিছু স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। তখন রেলওয়ের কর্মকর্তারা পুলিশের সহায়তা নেন।’

এ বিষয়টি নিয়ে কথা হয় খুলনার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী মৃধা সঙ্গে। তিনি বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলর দাবি করেছিলেন যে, ড্রেন সংস্কারের সময় জমে থাকা মাটি ফেলার জায়গা নেই, তাই কেসিসি মেয়রের নির্দেশে তারা মাটি দিয়ে জলাশয়টি ভরাট করছেন।
যোগাযোগ করা হলে আমিনুল ইসলাম মুন্নাও দাবি করেন, কেসিসি মেয়রকে জানানোর পর তিনি জলাশয় ভরাট করেছেন।

তিনি বলেন, ‘জলাশয়টি একটি মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল, যা স্থানীয়দের উপদ্রব সৃষ্টি করছিল। তাই আমি মেয়রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম এবং জনগণের স্বার্থে জলাশয়টি ভরাট করে দিয়েছি। অদূর ভবিষ্যতে সেখানে একটি শিশুপার্ক নির্মাণ করা হবে।’
অনুমতি ছাড়া রেলওয়ের জমিতে জলাশয় ভরাট করা ঠিক কি না, জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম জানান ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ওই জমিতে সিটি করপোরেশনের পার্ক স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা নেই। জমি ভরাট ও দখলের ব্যাপারে মেয়রের কোনো কিছুই জানেন না।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল। তিনি বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে জলাশয় দখল করে নিলেন। আর জমির মালিক পুলিশের আশ্রয়েও তা রক্ষা করতে পারল না। এখানে আইন অন্ধদৃষ্টির ভূমিকা রেখেছে।

এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের বিভাগীয় ভূমি সম্পত্তি কর্মকর্তা (পাকশী জোন) মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘যারা জলাশয়টি ভরাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ইতোমধ্যে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে জায়গাটির চারপাশে বেড়া দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’


ভৈরব নদে ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লাসহ কার্গোডুবি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদে এমভি সাকিব বিভা-২ নামের কয়লাবোঝাই একটি কার্গো ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে প্রায় ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লা ছিল। গত রোববার নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকার নোনাঘাট নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জেএইচএম গ্রুপ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্দোনেশিয়া থেকে ওই কয়লা আমদানি করে অভয়নগরের নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় এনেছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি মাদার ভেসেলে কয়লা আমদানি করে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া পয়েন্টে রাখা হয়। মাদার ভেসেল থেকে এমভি সাকিব বিভা-২ নামের একটি কার্গো জাহাজে ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লাবোঝাই করা হয়। গত শুক্রবার অভয়নগরের নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উদ্দেশ্যে জাহাজটি যাত্রা করে। শনিবার সন্ধ্যায় নদীবন্দর এলাকার নোনাঘাট নামক স্থানে পৌঁছায়।

এমভি সাকিব বিভা-২ জাহাজের মাস্টার বিল্লাল হোসেন বলেন, জাহাজ ঘোরানোর সময় নদের মাটির সঙ্গে তলদেশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এতে জাহাজের তলা ফেটে যায়। রোববার সকাল থেকে জাহাজে পানি প্রবেশ করতে থাকে। সকালে নদীতে ভাটা থাকায় পানি ধীরে ধীরে ঢুকতে শুরু করে। এক পর্যায়ে জাহাজ ডুবে গেলে আমি, সুকানিসহ জাহাজে থাকা ১১ সদস্য নদীর তীরে উঠি।

কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জেএইচএম গ্রুপের নওয়াপাড়া অফিসের লজিস্টিক ম্যানেজার রাহুল দেব গণমাধ্যমকে জানান, আজ সোমবার থেকে কয়লা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে না।

এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, ভৈরব নদে কয়লাবোঝাই একটি কার্গো জাহাজ আংশিক ডুবে গেছে এমন সংবাদ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী করণীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়:

সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষিত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:০৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী এবার (২০২৪ সালে) ১০ জিলহজ বা কোরবানির ঈদ হতে পারে জুন মাসের ১৬ তারিখ।

সেই হিসেবে বাংলাদেশের কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখ।

বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত এই সকল দেশের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

ধর্মমতে মহান আল্লাহ মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানির নির্দেশ দেন। আদেশের পর তিনি সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানির সিদ্ধান্ত নেন। এতে আল্লাহ খুশি হন এবং ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত পশু কোরবানি করেন।


রাজধানীর হাতিরঝিলে আত্মহত্যা করল যুবক

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবারের সঙ্গে রাগারাগী করে অভিমানে রাজধানীর হাতিরঝিলের পানিতে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। হাতিঝিলে ভাসমান অবস্থায় সেই যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম ফয়েজ কাদের চৌধুরী (২৩)। তিনি রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন বলে জানায় পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আওলাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, মৃত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে রাগারাগী করে অভিমানে তিনি হাতিরঝিলের পানিতে আত্মহত্যা করেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাতিরঝিল রামপুরা ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আওলাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত আওলাদ হোসেন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। রোববার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পরিবারের সঙ্গে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যান তিনি। সোমবার হাতিরঝিলে ভাসমান অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’


ঈদ ও নববর্ষে পদ্মাসেতুতে ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা টোল আদায়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঈদের ছুটিতে (৮ থেকে ১৪ এপ্রিল) পদ্মাসেতু হয়ে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৮ এপ্রিল ২০ হাজার ৮৫১ টি, ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৭০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি ও ১৪ এপ্রিল ১১ হাজার ৬২৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ সাতদিনে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে সাতদিনে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৪৯টি, ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি ও ২৩ হাজার ৩০১ টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ১০ কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা। এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

এসব তথ্য দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এক মিনিটের জন্য সেতুতে যান পারাপার বন্ধ হয়নি। নির্বিঘ্নে পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করতে পারছে।


জয়পুরহাটে ব্রিজের নিচ থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের তুলসীগঙ্গা নদীর বটতলী ব্রিজের নিচ থেকে জনি হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) জনি হোসেন সকালে তার খালার বাড়ির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বাহির হন। বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তুলশীগঙ্গা নদীর বটতলী ব্রিজের নিচে স্থানীয় লোকজন একজনের মরদেহ দেখতে পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্রিজ এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় জমতে থাকে। একজন মরদেহটি শনাক্ত করে পরিবারকে জানালে পরিবারের লোকজন এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জনি হোসেন ব্রিজ থেকে পড়ে মারা গেছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’


কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন, সরবরাহ বিঘ্নিত

আপডেটেড ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:৪৮
সিলেট ব্যুরো

সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে দমকল বাহিনী।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেখানকার এক প্রকৌশলী জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। এরপর তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন লাগার খবরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ আশপাশে আতঙ্ক ঝড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ তালতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, 'কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডে সিলেটের অনেকই জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।'

আগুনের কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে সঞ্চালন স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

সিলেট তালতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার শহিদুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সোয়া ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। অগ্নিকান্ডের কারণে বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।


মাকে গাছে বেঁধে রেখে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নুর মোহাম্মদ (১৮) নামে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে টাকা চুরির অভিযোগে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় ওই তরুণের মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এ ঘটনায় ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, নিহত নুর মোহাম্মদ নোয়াখালীর সুধারাম থানার আন্দারচর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। তিনি ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনের বাড়িতে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করতেন। তাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার মঈন উদ্দিন ছাগলনাইয়ার বাথানিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

নুর মোহাম্মদের মা বিবি খতিজা জানান, অভাবের কারণে চার বছর আগে নুর মোহাম্মদকে মঈন উদ্দিনের বাড়িতে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজে দিয়ে যান তিনি। তার মাসিক বেতন ধরা হয়েছিল দুই হাজার টাকা। গত চার বছরে তাকে ব্যাংক কর্মকর্তা কখনো ছুটি দেননি। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথাও বলতে দিতেন না। সেই ক্ষোভ থেকে গত ২৭ রমজান ব্যাংক কর্মকর্তার বাসা থেকে ৮০ হাজার টাকা ভর্তি একটি খাম চুরি করে নিয়ে নুর মোহাম্মদ নোয়াখালীর বাড়ি চলে আসেন।

বিবি খতিজা জানান, বাড়ি আসার পর থেকে মুঠোফোনে মঈন উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা তাদের হুমকি দিতে থাকেন। তাদের অব্যাহত হুমকিতে ঈদের পরদিন (গত শুক্রবার) তিনি নিজে ছেলেকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে যান এবং চুরি করে নেওয়া টাকা ফেরত দেন।

নুর মোহাম্মদের মা অভিযোগ করে বলেন, ‘বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মঈন উদ্দিনের চার ভাই মিলে তার ছেলেকে পেটাতে শুরু করেন। বাঁধা দিলে তারা তাকেও মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। শুক্রবার সারা রাত দফায় দফায় তার ছেলেকে পিটুনি দেন এবং পরদিন শনিবারও মারধর করেন। বিকেলে তাদের মারধরে মারা যান নুর মোহাম্মদ।’

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের যদি অন্যায় থাকে, তাহলে তারা তাকে পুলিশে দিতে পারত। আমি তাদের কাছে আমার ছেলের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। তবু তাদের মন গলেনি। আমি এ হত্যার বিচার চাই।’

এ ঘটনায় গতকাল রোববার বিকেলে নুর মোহাম্মদের মা বিবি খতিজা ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ছাগলনাইয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, ‘ওইদিন রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ি থেকে নুর মোহাম্মদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’

ওসি হাসান ইমাম আরও বলেন, ‘নিহতের পিঠ, কোমর, হাত, পাসহ পুরো শরীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতে নুর মোহাম্মদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। গতকাল রোববার বিকেলে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ওসি বলেন, ‘নুর মোহাম্মদকে হত্যার অভিযোগে হওয়া মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মঈদ উদ্দিন নুর মোহাম্মদকে মারধরের কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার পর থেকে ওই মামলার অপর আসামিরা পলাতক। তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।’


গাইবান্ধায় অটোচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আইয়ুব আলী দুলা (৫২) নামে এক অটোচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টার টার দিকে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সিন্টাজুরি এলাকা হতে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা।

তিনি বলেন, ‘সোমবার দিনগত রাত ১টার দিকে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সিন্টাজুরি এলাকায় এক অটোচালকের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ ওই রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি রাত পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১২টার মধ্যে ঘটানো হয়েছে। মরদেহের পাশ থেকে অটোটিসহ চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং চালকের পরিহিত পোশাকের ভেতরে থাকা কিছু নগদ টাকাও পাওয়া গেছে। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা এবং প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে মনে হচ্ছে ঘটনাটি পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটানো হতে পারে, ছিনতাই নয়।’

এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ জড়িতদের শনাক্ত এবং তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’

বিষয়:

প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচন: আজ মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আজ সোমবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, মনোনয়নপত্র অনলাইনেই দাখিল করতে হবে। জামানতের টাকাও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। কাজেই সম্পূর্ণ সিস্টেমটাই অনলাইনে হবে।

এ ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এ ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন।

মোট চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনের পরবর্তী দুই ধাপের ভোট আগামী ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।


আরও ৯ বিজিপি সদস্য মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলো

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কয়েকজন বিজিপির সদস্য। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতের জের ধরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও নয় সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ রোববার সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। বর্তমানে তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন ১৭৯ জন বিজিপি সদস্য। তারাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছেন। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

আর গত ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসেন ৩৩০ জন। তাদের মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।

আজ ৯ বিজিপি সদস্য আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, মিয়ানমারের নয়জন বিজিপি সদস্য সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। একসঙ্গে নয়, বিভিন্ন সময়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।


সিলেটের পর্যটন খাত ঈদ উপলক্ষে চাঙা

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দেবাশীষ দেবু, সিলেট

কিছুদিন মন্দাবস্থার পর ঈদ উপলক্ষে চাঙা হয়ে উঠেছে সিলেটের পর্যটন খাত। ঈদের ছুটিতে ব্যাপকসংখ্যক পর্যটক এসেছেন সিলেটে। এতে খুশি পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা।

আগামী কয়েক দিন এই চাঙাভাব অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দুটি গন্তব্য গোয়াইনঘাটের জাফলং ও কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর। এ দুই জায়গাতেই ঈদের দিন থেকে পর্যটকদের ঢল নেমেছে, তবে ঈদের দিনের চেয়ে তার পরের দিন পর্যটক সমাগম আরও বাড়ে।

জাফলংয়ের পর্যটন খাতের উদ্যেক্তারা জানান, ঈদ মৌসুমে জাফলংয়ে আট থেকে ১০ লাখ পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন তারা।

জাফলং, সাদাপাথর ছাড়াও বিছনাকান্দি, রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট, পানতুমাই ঝরনা, লালাখাল ও সিলেটের বিভিন্ন চা বাগানে বৃহস্পতিবার থেকেই পর্যটকদের ঢল নামে। সিলেটের বেশির ভাগ হোটেল-রিসোর্ট এখন অতিথিতে পূর্ণ।

সিলেট শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে সাদাপাথর। সাদা পাথুরে নদীর শীতল জল আর পাশেই দিগন্ত বিস্তৃত মেঘালয় পাহাড়। প্রকৃতির এ অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। ঈদ মৌসুমে পর্যটক সমাগম আরও বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

ঈদুল ফিতরের পরের দিন শুক্রবার সাদাপাথরে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের কারণে নদীতে পা ফেলার অবস্থা নেই। ভিড়ের কারণে অনেকে নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ছিলেন; নামতে পারছিলেন না পানিতে।

সাদাপাথর ঘুরতে আসা কুমিল্লার শিউলি বেগম বলেন, ‘এই পরিবেশ অপরূপ। যে কেউ আসলে মন ভালো হয়ে যাবে।’

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থেকে আসা রাজেল মিয়া বলেন,‘দুপুরে সাদাপাথরে এসেছি। সাদাপাথরের ধলাই নদীর শীতল স্পর্শ মনকে চাঙা করে দিয়েছে। সত্যিই অসাধারণ জায়গা। অবসর পেলেই চলে আসি।’

পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট রিজিয়নের পরিদর্শক আখতার হোসেন বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। সাদাপাথরে এই ঈদে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক ঘুরতে আসছেন।

‘আমাদের কয়েকটি টিম সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে। পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন।’

সিলেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য জাফলং। শনিবার জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে মেঘ-পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা।

জাফলংয়ে সকাল থেকেই দলবেঁধে পর্যটকেরা ঘুরতে আসেন। নদীতে নেমে কেউ কেউ গোসল করতে ব্যস্ত। আর নৌকা পার হয়ে অনেকের গন্তব্য মায়াবী ঝরনা, খাসিয়া পল্লি ও চা বাগানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।

পর্যটক সুজন আহমেদ বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যরা মিলে ঘুরতে এসেছি। জাফলং ভীষণ ভালো লেগেছে।

‘পাহাড় আর পাথরের সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করেছে, তবে বৃষ্টিতে একটু ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।’

এদিকে পর্যটকদের চাপে সিলেটের হোটেল-মোটেলগুলোতে কক্ষ খালি ছিল না। ব্যস্ততা দেখা গেছে রেস্তোরাঁগুলোতেও। পর্যটকের সমাগমে খুশি এখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।

জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে জাফলংয়ে অনেক পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও ভালো হয়েছে।

‘এখানকার কোনো হোটেল-রিসোর্টেই এখন কক্ষ খালি নেই। আগামী কয়েক দিন পর্যটক সমাগম বেশি থাকবে বলে আশা করছি।’

পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে টুরিস্ট পুলিশ, থানা-পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ রতন শেখ বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে সকাল থেকেই পর্যটকে মুখরিত ছিল জাফলং। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়াও পর্যটকরা বেড়াতে এসে যাতে কোনোভাবেই ভোগান্তিতে না পড়েন, সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।’


banner close