মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৮ আশ্বিন ১৪৩২

এসপির ভাড়া দেয়া বাড়িতে নকল সারের কারখানা

কারখানার সামনে ট্রাকে লোড করা টিএসপি সারের বস্তা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আরিফুজ্জামান তুহিন
প্রকাশিত
আরিফুজ্জামান তুহিন
প্রকাশিত : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৯:২৯

  • আরিফুজ্জামান তুহিন

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাভারের হেমায়েতপুরে ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সারের একটি নকল কারখানা সিলগালা করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাড়ে পাঁচ বছর পরে এসেও ওই কারখানায় আবার নকল সার পাওয়া গেছে। কারখানাটি থেকে নকল সার নিয়ে বগুড়ার সরকারি বাফার গোডাউনে গিয়ে সম্প্রতি একটি চালান ধরা পড়েছে।

ওই সময় সার কারখানাটির মালিক ছিলেন যমুনা মিশ্র ফার্টিলাইজারের মালিক সাইদুর রহমান। সিলগালার পর আবারও কারখানা চালু করে সেখানেই নকল সারের ব্যবসা করছিলেন তিনি। সিলগালা হওয়া কারখানাটি দুই বছর আগে চালু হয়েছিল।

দৈনিক বাংলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পুলিশের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) ঢাকার কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে কারখানাটি চালাচ্ছিলেন সাইদুর রহমান। বছর দুয়েক এটি সিলগালা অবস্থায় ছিল। তারপর আবারও ভাড়া নিয়ে একই কাজ করছিলেন তিনি।

সাভার থানার হেমায়েতপুরের আলীপুর ব্রিজসংলগ্ন ৫৩ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে গোডাউনটির অবস্থান। বাড়িটি চারপাশ উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। রয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। সেখানেই তৈরি হয় নকল সার। গোডাউনটির মালিক মিজানুর রহমান এখনো ঢাকার কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবেই কর্মরত আছেন।

এসপি মিজানের বিরুদ্ধে ২০১২ ও ২০১৭ সালে দুটি পৃথক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ ছিল, তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদ আয় করেছেন। নকল সারের কারখানা পরিচালনা করেছেন। ওই দুটি অভিযোগ থেকেই তিনি মুক্তি পান।

টেলিফোনে এসপি মিজানুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমি সেটা আরেকজনকে ভাড়া দিয়েছি। সেখানে কী হয় সেটা আমি জানি না।’ এর আগেও তো এই একই ব্যক্তি সেখানে নকল সার তৈরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন, তাহলে আবার কেন ভাড়া দিলেন, জানতে চাইলে তিনি এর কোনো উত্তর দিতে চাননি।

সরেজমিনে নকল সারের সন্ধানে

গত ২৭ আগস্ট চট্টগ্রামের পতেঙ্গা টিএসপি কমপ্লেক্স থেকে ছেড়ে আসা ১৭টি ট্রাকের মধ্যে ১২টি ট্রাক ২৮ আগস্ট সকাল ১০টার মধ্যে হেমায়েতপুরে সাইদুর রহমানের গোডাউনে এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে ছয়টি ট্রাকের সুনির্দিষ্ট সন্ধান নিতে পেরেছে দৈনিক বাংলা। এগুলো হলো ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-০৫৮৭, ঢাকা মেট্রো-ট-১১-১০৪১, ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৯৩২৩, ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৫৩৮৫, ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-০৮৯৯ ও ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৩০১৫। ওপরে ট্রাকগুলোর মধ্যে মেট্রো-ট-১৮-৩০১৫ নম্বরের ট্রাকটিতে গত ২৮ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টায় নকল সার আনলোড করা হয়। নকল সার আনলোডের ভিডিও এই প্রতিবেদক গোপনে ধারণ করেন।

গত ২৮ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত এই প্রতিবেদক কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, হাজার হাজার নকল সারের বস্তা। ট্রাক থেকে আসল সার নামিয়ে আলাদা করে স্তূপকারে রাখা হয়েছে। আর নকল সারের বস্তার মুখ সেলাই করে তোলা হচ্ছে ট্রাকে। নকল টিএসপি কারখানার ভেতরে দেখা যায়, এসিডি মিশিয়ে চুন নরম করা হচ্ছে। তারপর একটি হাঁড়িতে সেই চুন ফেলা হচ্ছে। হাঁড়ি যন্ত্রের সাহায্যে ঘুরছে। কিছু সময় পর সেখান থেকে অবিকল টিএসপি সার বের হচ্ছে। সেই টিএসপি সার শুকানোর পর বস্তায় ভরা হচ্ছে। এরপর সরকারি আসল সার ট্রাক থেকে নামিয়ে সেখানে নকল সার তোলা হচ্ছে।

নকল সারের কারখানা চালানোর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাঈদুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এটা আগে করতাম এখন করি না।’

২৮ আগস্ট এই প্রতিবেদক কারখানার ভেতর গিয়ে নকল সার উৎপাদন এবং ট্রাকে বোঝাই করার দৃশ্য ভিডিও করেছে জানালে সাইদুর রহমান বলেন, এখন থেকে আর করব না। চলেন আমরা কোথাও দেখা করি। যেখানে আসতে বলবেন সেখানে আসব।

বগুড়ায় নকল সার যেভাবে ধরা পড়ল

দৈনিক বাংলার এই প্রতিবেদক বগুড়ার বাফার গোডাউনের ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামালকে গত ২৯ আগস্ট সকাল ১০.৩০টায় সুনির্দিষ্ট ৬টি ট্রাকের নম্বর দিয়ে জানান, ট্রাকে আসল সারের বদলে নকল সার এসেছে। এই সারগুলো পরীক্ষা করার অনুরোধ জানান তিনি।

টেলিফোনে মোস্তফা কামাল দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ট্রাকে আসা সার দেখে আমার নকল মনে হয়নি। তারপরও দেখব।’

এ প্রসঙ্গে তাকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, ‘নকল সার দেখে বোঝার সুযোগ নেই। আপনাকে নকল বুঝতে গবেষণাগারে পাঠাতে হবে।’

গত ২৯ আগস্ট সকালে বগুড়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল রাজশাহী মৃত্তিকা সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠান নমুনা সার। রাজশাহী মৃত্তিকা সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো নমুনা সারের বিষয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন আসে, সেখানে বলা হয় ওই সার আসল নয়, নকল। এদিনই এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের তিন মাথা রেলগেট এলাকায় বাফার গুদাম চত্বর থেকে ১৩ জনকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২)।

গত শুক্রবার বগুড়া বাফার টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় নকল সার দেয়ার অভিযোগে এমএইচআরের মালিক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বাকি ১৬ ব্যক্তি হলেন ট্রাকের চালক ও চালকের সহকারী।

নকল সারের হোতা যারা

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মালিকানাধীন চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় টিএসপি সার কারখানার সার দেশের ২৬টি বাফার গোডাউনে ট্রাকে করে পৌঁছে দেয়ার কাজ পেয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে এম.এইচ.আর করপোরেশন ও সৈয়দ এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে আসল সার বদলিয়ে নকল সার গছিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

চলতি বছরের গত ১৭ মার্চ টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মোহাম্মদ সোলায়মান সৈয়দ এন্টারপ্রাইজের মালিক আহসান হাবিবসহ আরও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় সরকারি টিএসপি পরিবহনকালে চুরি করে নকল টিএসপি দেয়ার অভিযোগে মামলা করেন।

ভেজাল সারে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা

ঢাকার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের দুজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিএসপি ফসফেট সমৃদ্ধ রাসায়নিক সার। এ সারে শতকরা ২০ ভাগ ফসফরাস, ১৩ ভাগ ক্যালসিয়াম এবং ১.৩ ভাগ গন্ধক থাকে। ফসফরাস ফসলের শিকড়ের বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বিশিষ্ট মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ড. মো. মকবুল হোসেন টেলিফোনে বলেন, নকল সারে যে উপাদান থাকার কথা সেটা থাকে না। এখন গাছে নানান ধরনের নিউট্রিয়েন্টস বা অনুখাদ্যের প্রয়োজন হয়। যদি গাছ সেগুলো পর্যাপ্ত না পায় তাহলে গাছের ফলন কমে যাবে। কৃষক টিএসপি ভেবে টাকা দিয়ে সার কিনল কিন্তু সেটি আসলে টিএসপি না। এটা কৃষকের সঙ্গে প্রতারণা।


জীবন যুদ্ধে হার মানেনি সখীপুরের আ. গণি মিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বুড়িচালা গ্রামের আ. গণি মিয়া (৬৭)। ১৮ বছর আগে দুটি চোখই অন্ধ হয়ে যায় তার। হতদরিদ্র্য আ. গণি মিয়া চোখের চিকিৎসা করাতে না পারায় এক পর্যায়ে অন্ধত্ব বরণ করতে হয় তাকে।

তবে জীবনযুদ্ধে হার মানেননি তিনি। চোখে দেখতে না পেলেও নিপুণ হাতের মননশীলতার ছোঁয়ায় করে চলেছেন বাঁশ ও বেতের কাজ। তৈরি করছেন কুলা, চাটাই, টুকরি, টেপারি,ডালা, চালুনিসহ বাঁশ ও বেতের নানান জিনিস। প্রতিদিন সামান্য আয় দিয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করেন তিনি।

জীবন সংগ্রামে অদম্য লড়াকু আ. গণি মিয়াকে দেখে অনেকেই হতচকিত হয়ে পড়েন। প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর কঠোর পরিশ্রমে আ. গণি মিয়া হাল ধরেছেন সংসারের। হস্ত ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের এই কাজে তাকে সহযোগিতা করার মতো কেউ নেই। পাশে থাকেন বহু দিন ধরে প্যারালাইজড হওয়া শয্যাশায়ী স্ত্রী হাউসী বেগম (৬২) ।

দৃষ্টিহীন হয়েও গণি মিয়া ভিক্ষা করতে চাননি কখনো। ১৮ বছর আগে হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি। পৃথিবীর আলো দেখা বন্ধ হলেও থেমে নেই তার জীবনযুদ্ধ।

জঙ্গল থেকে বাঁশ কুড়িয়ে আনেন, ইশারায় কেটে চিরে বানান কুলা, টেপারি আর ঝুড়ি। প্রতিদিন আলিশার বাজারে বসে সেগুলো বিক্রি করেন। কাজ করার ফাঁকে গেয়ে ওঠেন ধর্মীয় গজল কিংবা গান- কেউ শোনে, কেউ পাশে বসে থাকে। হয়তো এটুকুই তার বেঁচে থাকার আনন্দ।

দিনশেষে হাতে আসে মাত্র ৭০–৮০ টাকা। সেই টাকায় চলে দুই বুড়ো মানুষের খাবার, ওষুধ আর নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ। সংসারে দুই ছেলে থাকলেও তারা প্রবাসে গিয়ে ভুলে গেছেন বাবা-মায়ের কষ্টের কথা। আর্থিক সহায়তা নেই, খোঁজখবরও নেই নিয়মিত। তবুও অভিমান গোপন করে মেনে নিয়েছেন জীবনের কঠিন বাস্তবতা।

প্রতিবেশী জাকির হোসেন বলেন, গণি ভাই অনেক পরিশ্রমী মানুষ। চোখে দেখতে পান না, কিন্তু মনের চোখে আলো খুঁজে পান। কখনো কারো কাছে হাত পাতেন না। বাঁশ কেটে কুলা বানিয়ে বাজারে বিক্রি করেই সংসার চালান। তবে স্ত্রী অসুস্থ থাকায় কষ্টটা বেড়েছে অনেক।

এলাকাবাসী মাঝে মাঝে সাহায্যের হাত বাড়ালেও তা যথেষ্ট নয়। সামান্য সরকারি সহযোগিতা কিংবা কোনো বিত্তবান মানুষের সহায়তা পেলেই হয়তো এই দম্পতির জীবনে একটু স্বস্তি ফিরতে পারে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ জানান, ‘গণি মিয়াকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। তার মতো দৃষ্টিহীন মানুষ এত কষ্টের মধ্যেও হস্তশিল্প তৈরি করছেন- এটি নিঃসন্দেহে অনুকরণীয় উদাহরণ।’


দুর্গোৎসব ঘিরে নড়াইলে জমে ওঠেছে কেনাকাটা

সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
নড়াইল শহরের বিপনিবিতানে কেনাকাটা করছেন।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলে জমে ওঠেছে শারদীয় দুর্গোৎসবের বাজার। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার থাকায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করছেন ক্রেতা সাধারণ। এবার মেয়েদের কাছে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে পাকিস্তানের তৈরি পোশাক সারারা, লেহেঙ্গা।

দুপুরের পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্রেতা সাধারণ প্রতিদিন শহরের রূপগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন বিপনিবিতানগুলোতে কেনাকাটার জন্য ভিড় করছেন। সঙ্গে নিচ্ছেন ছেলে-মেয়েদেরও পোশাক। তাদের পছন্দের পোশাক কেনাকাটা করছেন।

অনেক ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ গত বছরের তুলনায় এবারের পূজার বাজার দর একটু বেশি। দোকানিরা এ কথা স্বীকার করে বলছেন বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেচাকেনা করতে হচ্ছে। তবুও বেচাকেনা বেশ ভালো।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি পূজামণ্ডপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা হয়েছে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। সম্মিলিত সহযোগিতায় এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হবে। ওই সভায় বেশিরভাগ পূজামণ্ডপের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত পূজায় মেয়েদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ছিল ভারতের কিরণমালা এবং বাজিরাও। তারও আগে ছিল পাখি। আর এবার বাজার মাতাচ্ছে সারারা ও লেহেঙ্গা। এছাড়া ক্যাবাচি, শিপন, আফগানি নামের পাকিস্তানি থ্রি-পিসও তরুণীদের নজর কেড়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম তরুণদের বেলায়। তাদের পছন্দ দেশীয় পাঞ্জাবি। এর মধ্যে লিমিট ও আড়ংয়ের পাঞ্জাবিগুলো রয়েছে পছন্দের শীর্ষে। তবে প্যান্টের বাজারে রয়েছে জিন্স, থাই, চায়না ও ফরমালের প্রচুর চাহিদা।

শহরের রূপগঞ্জ বাণিজ্যিক এলাকার গার্মেন্ট মালিক দীপক কুমার জানান, নতুনত্বের ছোঁয়া এসেছে পূজার বাজারে। মেয়েদের জন্য নামীদামি পোশাকের ছড়াছড়ি রয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানি পোশাকগুলো সর্বনিম্ন দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা দামের পোশাক কিনছেন মেয়েরা।

শহরের আলতাপ হোসেন, ভূইয়া শপিংমলসহ শুভেচ্ছা ফ্যাশন, নিউ ফ্যাশন পয়েন্ট, সোনলী বস্ত্রালয়, আল-আমিন বস্ত্রালয়, বাংলাদেশ বস্ত্রালয় ঘুরে দেখা গেছে, পূজার কেনাকাটা করতে প্রচুর ভিড় জমেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন জুতা, জুয়েলারি, কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতাসাধারণ।

জুয়েলারি দোকানগুলোতে ভিড় নেই বললেই চলে। দিলীপ জুয়েলার্সের মালিক দিলীপ কুমার বলেন, ঈদের বাজার মন্দা। তেমন বিক্রি হচ্ছে না। আল-আমিন বস্ত্রালয়ের মালিক আবুল কালাম, সোনালী বস্ত্রালয়ের মালিক অবতার কুমার বলেন, জামদানী ও কাতানের পাশাপাশি দেশি প্রিন্টের শাড়িও চাহিদাও রয়েছে। বেচাকেনা মুটামুটি চলছে।

নড়াইলের নবাগত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়। এটি আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতীক। তিনি পূজা উদযাপন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান। এ জন্য প্রতিটি থানা এবং পুলিশ ফাঁড়িকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুর্গোৎসবকে নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সমস্ত জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। প্রতিটি মণ্ডপে আনছার (পুরুষ ও মহিলা) পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ থাকছে। এর পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স ‍হিসেবে থাকছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।


প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রকাশ করল ইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে পোস্টাল ব্যালটে (আইটি সাপোর্টেড) ভোটিংয়ের জন্য নিবন্ধন এবং ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল সোমবার ইসির ওয়েবসাইটে এ প্রক্রিয়ার নমুনা প্রকাশ করা হয়। এতে ‘পোস্টাল ভোটিংয়ের (আইটি সাপোর্টেড) তালিকাভুক্তি প্রক্রিয়া এবং পোস্টাল ভোটিংয়ের (আইটি সাপোর্টেড) ভোটদান প্রক্রিয়া’র বিষয় তুলে ধরা হয়।
পোস্টাল ভোটিংয়ের (আইটি সাপোর্টেড) নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এরই মধ্যে জানিয়েছেন, প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভোটারদের জন্য পোস্টাল ভোটিংয়ের (আইডি সাপোর্টেড) নিবন্ধনের জন্য পোস্টাল ভোট বিডি নামে অ্যাপ চালু করবে।
ভোটের জন্য নিবন্ধন করতে গুগল প্লে-স্টোর অথবা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে মোবাইল অ্যাপ POSTAL VOTE BD ডাউনলোড করা যাবে এবং মোবাইলে ইনস্টল করতে হবে।
এই অ্যাপের মাধ্যমে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অনলাইনের নিবন্ধনে সহজ কয়েকটি ধাপে আবেদন সম্পন্ন করা যাবে। এগুলো হলো প্রথমে Postal Vote BD অ্যাপ চালু করতে হবে; দেশ নির্বাচন বাছাই (বাংলাদেশ ছাড়া) করতে হবে; নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে; মোবাইলে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) যাবে; ওটিপি ইনপুট দিয়ে নম্বর যাচাই করতে হবে; ছবি তুলতে হবে ভোটারের। লাইভ ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে; জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে সেলফি তুলতে হবে; রেজিস্ট্রেশনের জন্য এনআইডির ছবি তুলতে হবে, যা যাচাই হবে; পাসপোর্টের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই হয়ে যাবে; বিদেশে অবস্থানরত ঠিকানা দিতে হবে, যে ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পেপার যাবে; অ্যাকাউন্ট যাচাই করার পর নিবন্ধিত হবে; এরপর পোস্টাল ব্যালট ডাকযোগে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন ভোটার।

পোস্টাল ভোটিংয়ে (আইটি সাপোর্টেড) ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া
ইসির নির্ধারিত খাম পাওয়ার পর তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভোট দিয়ে ফিরতি খামে পাঠানোসহ কয়েকটি ধাপ তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হলো ব্যালট পেপার পৌঁছতে অ্যাপে দেওয়া ঠিকানা তুলে ধরা হবে; ভোট দিতে ইসির নির্দেশনাবলি পাওয়া যাবে; মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করতে হবে; নিজের ছবি তুলতে হবে; খামের ওপর কিউআর কোড স্ক্যান করে পর্যায়ক্রমে ধাপগুলো ফলো করতে হবে।


পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আগামীকাল বুধবার থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৯ দিন সারাদেশের ৩১ হাজার ৫৭৬ পূজামণ্ডপে মোতায়েন থাকবেন ২ লক্ষাধিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার-ভিডিপি সদস্য।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই বিশাল নিরাপত্তা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্বে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ সদরদপ্তর এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যাদের যথাযথ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি নিরাপত্তা দায়িত্ব পালনে সতর্কতা, আন্তরিকতা ও জনগণবান্ধব মনোভাবের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ২ লাখ তরুণকে ইতোমধ্যে গণপ্রতিরক্ষার নতুন ধারায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিসেবে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নব সংযোজিত এভিএমআইএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব সদস্যের রেজিস্ট্রেশন ও হালনাগাদ তথ্য যাচাই করে পূজার নিরাপত্তা দায়িত্ব নির্ধারণ করা হচ্ছে। উৎসবকালীন দায়িত্ব পালনে যথাযথতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বাহিনীর এসটিডিএম সফটওয়্যার প্রবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়া পূজা উৎসবে কুচক্রী মহলের গুজব প্রতিরোধ ও সব অশুভশক্তি মোকাবেলায় ডিউটিরতদের জন্য ঘটনার রিপোর্ট কার্যক্রম চালু করায় নিরাপত্তা পরিধি বৃদ্ধি হয়েছে।
পাশাপাশি, দক্ষ ও যোগ্য সদস্য-সদস্যদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাহিনী সর্বস্তরে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা ও দায়বদ্ধতায় যেকোনো প্রভাবক হতে মুক্ত রাখার ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে পূজামণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ভিত্তিতে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আটজন, গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে ছয়জন এবং সাধারণ পূজামণ্ডপে ছয়জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দেশের ৬৪ জেলায় ৯২টি ব্যাটালিয়ন আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম মোতায়েন থাকবে।
প্রতিটি টিমে ছয়জন করে সদস্য থাকবেন, যারা নিয়মিত টহল পরিচালনা ছাড়াও যেকোনো আপতকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবেন।
এবারের নিরাপত্তা কার্যক্রমকে আরো কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে মোতায়েনকৃত সদস্যরা তাদের নির্ধারিত দায়িত্বের পাশাপাশি ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপস’-এর মাধ্যমে দুর্ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট করবেন। এসব তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সর্বদা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় গৃহীত সুসমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে পূজা উৎসব শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপন সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।


ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৪০ হাজার বডিক্যাম কেনা হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরা (বডিক্যাম) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন কর হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরিকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডিক্যাম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইউএনডিপির মাধ্যমে এসব ক্যামেরা কেনা হবে। এর জন্য কত খরচ হবে তা নিদির্ষ্ট করে না বললেও কয়েকশত কোটি টাকা ব্যায় হবে বলে তিনি জানান।

এর আগে গত ৯ আগষ্ট রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চপর্যায়ের সভায় বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনা নিয়ে আলোচনা হয়। এর পরের দিন প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে দ্রুত এসব ক্যামেরা কেনার তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ওই সময় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বডিক্যামগুলো দ্রুত ক্রয় ও হাজার হাজার পুলিশ সদস্যের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা (যা সাধারণত বডিক্যাম নামে পরিচিত) সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই ডিভাইসগুলো হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে।


জয়পুরহাটে দুই ভুয়া ডিবি সদস্য আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি 

জয়পুরহাটে সদর উপজেলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভুয়া পরিচয় দেওয়ায় দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মাধাইনগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশের লোগো সম্বলিত একটি সেফটি ভেস্ট ও হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করা হয়েছে।

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তামবিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আটকরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মাধাইনগর গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান (৪০) ও জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের দেওগ্রামের মোজাম্মেল মণ্ডলের ছেলে মজনু মণ্ডল (৩৯)।

পুলিশ ও মাধাইনগর বাজারের লোকজন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার পর মশিউর ও মজনু বাজারে এসে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে লোকজনদের ভয়ভীতি দেখায়। তাদের কাছে পুলিশের লোগো সম্বলিত একটি সেফটি ভেস্ট ও হ্যান্ডকাপ ছিল। তাদের কর্মকাণ্ড সন্দেহ হলে বাজারের লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এ সময় দুইজনই এলোমেলো কথাবার্তা বলতে শুরু করেন এবং ডিবি পুলিশের পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।


দৈনিক বাংলায় সংবাদ প্রকাশ, অপসারণ হলো ঘাঘর নদীর বাঁধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

দৈনিক বাংলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে কোটালীপাড়া-গোপালগঞ্জ খালের ঘাঘর মুখে থাকা বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম বিল্লাহ উপস্থিত থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় খালের এই বাঁধ অপসারণ করেন। এসময় কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিয়ার রহমান হাওলাদার ও বাঁধ স্থাপনকারী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

জানাগেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ১৫ কোটি ৪৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ব্যয়ে পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ খাল খনন শুরু হয় গত বছরের ১ আগস্ট থেকে। কাজের সমাপ্তি হবে ২০২৭ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর। আতাউর রহমান খান লিমিটেড নামে বগুড়ার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খালটি খননের লক্ষে ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ দেয় এক বছর আগে। বর্ষা মৌসুম থাকায় খাল খননের কাজ এখন বন্ধ থাকলেও বাঁধ অপসারণ না করায় খাল দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে যায়। খালে বাঁধ থাকায় আসন্ন দুর্গাপূজায় বিজয়াদশমীর দিনে ঘাঘর নদীতে প্রতীমা বির্সজন নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।

বিষয়টি নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক বাংলায় `ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ অপসারণের দাবি ‘ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম বিল্লাহ বাঁধটি অপসারনের উদ্যোগ নেন।

উপজেলার তারাশী কর্মকার বাড়ী সর্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি গোশাই কর্মকার বলেন, বাঁধটি অপসারণ করায় প্রতীমা বিসর্জন নিয়ে আমাদের যে শঙ্কা ছিল তা দূর হয়েছে। এজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দৈনিক বাংলাকে ধন্যবাদ জানাই।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম বিল্লাহ বলেন, খালটিতে বাঁধ থাকার কারনে প্রতীমা বির্সজনে প্রতিবন্ধকতা হতে পারে এই সংবাদ পাওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ অপসারনের ব্যবস্থা করেছি। আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয় সে লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।


গোয়ালন্দে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানি যুবকের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. আরাফাত মোল্লা (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।

নিহত আরাফাত মোল্লা উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কালাম মোল্লার ছেলে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নতুন ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আরাফাত রাজবাড়ী জেলা জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাবের সদস্য ও রক্তদাতা ছিলেন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টার দিকে আরাফাত মোটরসাইকেল যোগে উপজেলার মাখন রায়ের পাড়া এলাকায় নতুন ব্রিজ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেলে তার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে হলে আরাফাতের মাথা ও দেহ নতুন ব্রিজের রেলিং এর সাথে সজোড়ে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে, পরে সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসাপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় তার মরদেহ নিজ বাড়িতে আনা হয়। পরে বিকাল ৩টার দিকে বাড়ির পাশে পূর্ব তেনাপঁচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাযা নামাজ শেষে কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি তদন্ত মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল দুটি থানায় রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।

এদিকে, আরাফাত মোল্লার মৃত্যুতে জাকের পার্টির জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মী ও গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাবের সদস্যসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে সবাই শোক জানিয়েছে।


ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যু মা-মেয়ের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মইনুল হক মৃধা, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকায় মারা যায় জয়ন্তী মন্ডল (৩৩) এবং সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জয়ন্তী মন্ডলের মেয়ে প্রতিভা মন্ডল (৩)।

তারা রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বাঘুটিয়া গ্রামের সমির মন্ডলের স্ত্রী জয়ন্তী মন্ডল ও তার মেয়ে প্রতিভা মন্ডল।

জয়ন্তী মন্ডলের ভাতিজা বিপুল মন্ডল বলেন, সমির মন্ডল স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। সেখান থেকে গত বুধবার জ্বরে আক্রান্ত হয় জয়ন্তী মন্ডল ও তার মেয়ে প্রতিভা মন্ডল। অসুস্থ অবস্থায় তাদের ঢাকার মহাখালি আয়েশা মেমোরিয়াল স্পেশালাইজড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে জয়ন্তী মন্ডল মারা যান। একদিন পর সোমবার সন্ধ্যায় তার কন্যা প্রতিভা মন্ডল মারা যায়।

তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি।জয়ন্তী মন্ডল ও তার কন্যা প্রতিভা মন্ডল ঢাকাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


দৌলতপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও ঢাকা উত্তর মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের আল্লারদর্গা বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন।

এ সময় তিনি স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মতবিনিময় করেন এবং তাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন। আলোচনার সময় তিনি বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা দাবির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশের মানুষের হারিয়ে যাওয়া ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে আমাদের এই কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থার বিপরীতে এই কর্মসূচি জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।

জুয়েল আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমেই এ দেশে একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক পরিবর্তন সম্ভব। মানুষের সহযোগিতা, সচেতনতা এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক রূপান্তর দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।


গজারিয়ায় মার্কেটে ডাকাতি করতে এসে জনতার হাতে আটক ৩ ডাকাত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া ( মুন্সীগঞ্জ)  প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় একটি মার্কেটে ডাকাতি করতে এসে জনতার হাতে আটক হয়েছে তিন ডাকাত। তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটার দিকে গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মোহাম্মদ আলী প্রধান প্লাজায় এই ঘটনা ঘটে।

আটকৃকতরা হলোঃ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার দলাশ গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে জালাল (৩৪), একই জেলার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে রফিক (১৮) ও নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর গ্রামের সৈকত উদ্দিনের ছেলে রবিন (৩৩)।

বিষয়টি সম্পর্কে মার্কেটের ব্যবস্থাপক সুমন প্রধান বলেন, ' অন্যান্য দিনের মতো আমাদের মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মী বিপ্লব সকাল আটটায় গেটের তালা খুলে মার্কেটের পঞ্চম তলায় আমাদের অফিসে প্রবেশ করে। এই সুযোগে কৌশলে ডাকাত চক্রের কয়েকজন মার্কেটের ভেতরে প্রবেশ করে ৩য় তলার একটি মোবাইলের শো-রুমের তালা ভাঙার চেষ্টা করতে থাকে। এসময় মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মী বিপ্লব পঞ্চম তলায় আমাদের অফিস রুমের মনিটরে সিসিটিভির ফুটেজে ডাকাতদের তৎপরতা বিষয়টি লক্ষ্য করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি আমাকে জানালে আমি-সহ কয়েকজন মার্কেটে প্রবেশ করে তাদের ঘেরাও করে ফেলি। এ সময় ২/৩জন কৌশলে পালিয়ে গেলেও আমরা তিনজনকে আটক করি। তাদের পুলিশের সোপর্দ করা হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম শুভ বলেন,' আটক তিনজনকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের কারো আঘাতই গুরতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের পুলিশের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে'।

এদিকে জনতার হাতে আটক তিন ডাকাত জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই মার্কেটে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল তারা। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল মার্কেটের মোবাইলের শো-রুম থেকে মোবাইল লুট করা। সেই পরিকল্পনা থেকেই আজকে তারা ডাকাতির চেষ্টা করে।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ার আলম আজাদ বলেন,' খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উত্তেজিত জনতা আটক তিন ডাকাতকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন'।


মেহেরপুরে মুদি দোকানের সামনে রাখা ছিলো পলিথিনে মোড়ানো দুটি ককটেল 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের কামরুজ্জামান লিপুর দোকানের সামনে থেকে দুটি বোমার সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার(২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয়রা দোকানের সামনে বস্তু দুটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। কামরুজ্জামান লিপু রূপসী বাংলা ক্লাবপাড়া এলাকার মৃত রহিতউল্লার ছেলে।

দোকান মালিক কামরুজ্জামান লিপু জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমি-জায়গা নিয়ে আমার চাচাদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে তাদের কাছ থেকে একাধিকবার হত্যার হুমকিও পেয়েছেন তিনি। তার দাবি, হয়তো ভয় দেখানোর জন্যই তার দোকানের সামনে এসব বোমা সদৃশ্য বস্তু রাখা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বলেও জানান। এই যে দুটি ককটেল রাখা হয়েছে এর ওজন প্রায় দেড় কেজি হবে। এটি যদি বিষ্ফোরণ হয় তাহলে আর বাচার উপাই থাকবে না।

স্থানীয় বাসিন্দা চায়ের দোকানি আইন উদ্দিন, আমাদের গ্রাম যেনো একটা বোমের গ্রাম। তিন মাস ব‍্যাবধানে এই গ্রামে তিন জায়গাই বোমা উদ্ধার হলো আমরা আতঙ্কের মধ‍্যে বসবাস করছি। আমার চায়ের দোকানে পাশেই কারা যেনো রাতের আধারে পলিথিনে মোড়ানো দুটি ককটেল বোমা রেখে গেছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বোমা সদৃশ্য বস্তুগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে তদন্ত চলছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গাংনী পুলিশের ওসি তদন্ত মামুন বলেন,রাতের আধারে লিপু স্টোরের সামনে কেবা কারা দুটি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু রেখে গেছে। আমরা তদন্ত করছি। আমাদের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস‍্যরাও এসেছেন। তদন্ত শেষে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


পাবনার সাঁথিয়ায় শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা

সাঁথিয়ায় মানববন্ধনে হামলা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার সাঁথিয়ায় দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর পক্ষ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা করেছে।

সোমবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে দুর্নীতিবাজ পরিছন্নতাকর্মী তারেকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা চালায়। তারা উপজেলা ভূমি অফিসের ভেতরে ঢুকলে সেখানেও মারধর করা হয়। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সোহেল আহত হন।

জানা যায়, উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পরিছন্নতাকর্মী (ঝাড়ুদার) তারেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অফিসে দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। সোমবার অভিযোগের শুনানি ছিল উপজেলা ভূমি অফিসে। এলাকাবাসী উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে দুর্নীতিবাজ পরিছন্নতাকর্মীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে দাঁড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিছন্নতাকর্মী তারেক, নাগডেমরা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নুরুজ্জামান, সদস্য সচিব ফকরুল ইসলাম তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে মানববন্ধনকারী সোহেল রানা আত্মরক্ষার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের ভেতরে আশ্রয় নেন। তারা ভূমি অফিসের ভেতরে ঢুকেই সোহেল রানাকে বেদম মারধর করেন। সোহেল রানা ছোট পাথাইলহাট গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে। আহত অবস্থায় সোহেলকে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পরিছন্নতাকর্মী তারেক এবং নাগডেমরা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নুরুজ্জামান, সদস্য সচিব ফকরুল ইসলাম তাদের নেতাকর্মী নিয়ে ভূমি অফিসের ভেতরে গিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। আপনারা ভূমি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সব সত্যতা পেয়ে যাবেন।

নাগডেমরার সাধারণ মানুষ বলেন, ‘এই পরিছন্নতাকর্মী তারেক ৫ আগস্ট ২৪ সালের আগে ফ্যাসিস্টের দোসরদের সাথে মিলেমিশে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে ইনকাম করেছে। সে এখন আবার বিএনপি নেতাকর্মীদের কাঁধের ওপর ভর করে অপকর্মগুলো করে যাচ্ছে। এই জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা দুর্নীতিবাজ পরিছন্নতাকর্মী তারেকের পক্ষ নিয়ে মানববন্ধনকারীদের মারধর করেছে।

সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. সাদিয়া সুলতানা বলেন, তাদের আজকে একটা শুনানি ছিল। শুনানির আগেই তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।


banner close