শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

মাদারীপুরের ৩৪ স্লুইসগেট ‘গলার কাঁটা’

ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সদর উপজেলার ‘মস্তফাপুর স্লুইস গেট’ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৮:৫৪

নদ-নদীর জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিকতা রক্ষা আর কৃষিকাজে জনমানুষের সুবিধার জন্য ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্লুইসগেট বসানো হয়েছে। মাদারীপুরেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতায় রয়েছে ৩৪টি স্লুইসগেট। কিন্তু মানুষের কাজে আসা তো দূরের কথা, ২৫টি স্লুইসগেট সম্পূর্ণভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে। বাকি ৯টি স্লুইসগেট মেরামতযোগ্য হলেও মেরামতহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর। পাউবোর ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়ানো স্লুইসগেটগুলোর কারণে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার সম্পদ।

এলাকাবাসী বলছেন, স্লুইসগেটগুলোকে কাজে লাগানো না গেলে সেগুলো ভেঙে জায়গাগুলো কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, স্লুইসগেট মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাচ্ছে না তারা। আর অন্য সব সরকারি দপ্তরের মতো জেলা প্রশাসন বলছে, ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেয়া হবে।

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, জেলায় ব্রিটিশ শাসনামলে কৃষিকাজে বছরজুড়ে পানি সরবরাহ করতে মাদারীপুর সদরের মস্তফাপুর এবং সমাদ্দার ও রাজৈর উপজেলার চৌকদার, আমগ্রাম ও রাজৈর গণউন্নয়ন এলাকায় বড় পাঁচটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। এরপর ১৯৮৪ সালে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কালকিনির উত্তর-দক্ষিণ দুই দিকে ছোট-বড় মিলে নির্মাণ করা হয় আরও ২৯টি স্লুইসগেট। এগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত বড় পাঁচটি স্লুইসগেট পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়েছে। আর কালকিনির ২৯টির মধ্যে কার্যক্রম বন্ধ ২০টি স্লুইসগেটের। বাকি ৯টি কিছুটা মেরামতযোগ্য।

মাদারীপুর সদরের স্লুইসগেটটি ‘মস্তফাপুর স্লুইসগেট’ নামে পরিচিত। পরবর্তী সময় এখানকার নদীতে পলি জমে ভিন্ন নৌপথ তৈরি হলে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে স্লুইসগেটটি। এর তিন মুখের কোনোটিতেই ডালা নেই। প্রতিটি ডালার মুখ ভাঙা। মুখের অংশগুলো কাটা ও গাছ-গাছালিতে ভরা। তাকালেই বোঝা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে স্লুইসগেটটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পাউবোর তদারকির অভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে স্লুইসগেটগুলো। মস্তফাপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে স্লুইসগেটটি পড়ে আছে। জরাজীর্ণ আর ঝোপ-ঝাড়ে পরিত্যক্ত জায়গা হিসেবে পড়ে রয়েছে। ফলে গেটের অন্য পাশ দিয়ে নৌপথ তৈরি হয়েছে। এই গেটগুলো থাকায় অন্যপাড়ের জায়গা নদীতে পরিণত হয়েছে। স্লুইসগেটটি এখন লাভের তুলনায় ক্ষতির কারণ হচ্ছে। পাউবোর কর্মকর্তারা জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তারা কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেননি।’

স্থানীয় তরুণ সাব্বির বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই দেখছি অকেজো হয়ে পড়ে আছে স্লুইসগেট। কৃষিকাজে সহায়তা তো দূরের কথা, এই গেটের কারণে বরং অন্যদিকের নদী ভাঙছে। এখন এই গেটটি উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে মূল নদীতে পানি প্রবাহিত হবে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কেউ এ দিকে নজর দিচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরালো ব্যবস্থা আশা করি।’

মাদারীপুরে ছোট-বড় মিলে ১৩টি নদ-নদী রয়েছে। এসব নদী থেকে পানি উত্তোলন করে কৃষিকাজে ব্যবহার করা হয়। স্লুইসগেট সচল থাকলে সারা বছরই নদীগুলোর পানি ব্যবহার করা যাবে বলে মনে করছেন প্রান্তিক চাষিরা। রাজৈর উপজেলার আমাগ্রাম এলাকার কৃষক মনোয়ার বয়াতী বলেন, ‘এ গেটে কোনো কাজ হয় না। বর্ষার সময় যেমন পানি আসে, তেমনি খরার সময়ও পানি আসে। পানি যে গেট দিয়ে ধরে রাখবে, তার কোনো ব্যবস্থাই নেই। এখন অকেজো হয়ে পড়ায় গেট জঙ্গলে পরিণত হয়ে আছে।’

পাউবো বলছে, নতুন প্রকল্প পেলে মেরামতযোগ্য স্লুইসগেটগুলো সচল করা যাবে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল কাদের খান বলেন, ‘মাদারীপুরে ছোট-বড় ৩৪টি পানিধারক গেট রয়েছে। এর মধ্যে ব্রিটিশ আমলে তৈরি গেটগুলো সম্পূর্ণ অকেজো। আর যেগুলো পরে নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে মাত্র ৯টি মেরামতযোগ্য। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে স্লুইসগেটগুলো পরিদর্শন করে গেছেন। নতুন প্রকল্প অনুমোদন হলে গেটগুলো মেরামত করে সচল করা হবে।’ তবে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়া গেটগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

জানতে চাইলে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘পাউবোর সঙ্গে কথা বলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কৃষি ও কৃষকদের কথা চিন্তা করে স্লুইসগেটগুলো সচল করতে সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া একান্ত প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি থাকলে তাও খুঁজে বের করা হবে। আর যেসব জায়গায় পানিপ্রবাহ নেই, সেগুলো প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা উচিত। সেগুলোও আমরা দেখব।’


জলবায়ু সংক্রান্ত আইসিজে'র মতামত বৈশ্বিক জলবায়ু নীতি পরিবর্তনে অনেক নৈতিক সাহস যোগাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রগুলোর বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) উপদেশমূলক মতামত বাধ্যতামূলক না হলেও বর্তমান বৈশ্বিক বৈরি রাজনৈতিক বাস্তবতার বিপরীতে জলবায়ু নীতি পরিবর্তনে অনেক নৈতিক সাহস যোগাবে। এটি আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণে চাপ সৃষ্টি করবে। এ চাপ বিবেচনায় নিয়ে রাষ্ট্রগুলোকে নীতিমালায় পরিবর্তন আনতেই হবে।”

আজ পরিবেশ অধিদপ্তরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রগুলোর বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত উপদেশমূলক মতামত বিষয়ে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন এমন একটি ইস্যু যেখানে শুধু সুশীল সমাজ নয়, তরুণ প্রজন্মকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। আজকের প্রজন্ম হয়তো টিকে যাবে, কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ না নিই, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনবে।”

উপদেষ্টা তার বক্তব্যে নদীভাঙন, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা, এবং স্থানীয় সরকারের সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “নদীভাঙনপ্রবণ এলাকায় পুনর্বাসন ছাড়া টেকসই সমাধান সম্ভব নয়। ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডকে আরও কার্যকর করতে হবে, যেখানে সরকার এবং এনজিও একসাথে কাজ করবে।”

তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ‘ন্যাচারাল রিসোর্স প্রটেকশন’ ও 'মরাল অবলিগেশন'-এর দৃষ্টিভঙ্গির কথাও তুলে ধরেন এবং উপদেষ্টা সবার প্রতি আহ্বান জানান—“আসুন, ১০-১২টি পরিবেশবান্ধব বার্তা তৈরি করে তরুণদের মাধ্যমে দেশের জন্য শক্তিশালী জলবায়ু বার্তা পৌঁছে দিই।”

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইনজীবী ও জলবায়ু পরিবর্তন নিগোশিয়েটর অ্যাডভোকেট হাফিজ খান। অধ্যাপক পায়াম আখভান, অধ্যাপক মেরি-ক্লেয়ার এবং নিকোল অ্যান ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ; পরিবেশ অঅধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড মো: কামরুজ্জামান ; ন্যাকমের নির্বাহী পরিচালক এস.এম. মুনজুরুল হান্নান খান; অ্যাকশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির; পিকেএসএস এর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ ফজলে রাব্বী সাদেক আহমেদ; পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো: জিয়াউল হক ও মির্জা শওকত আলী ; ব্রাকের পরিচালক লিয়াকত আলী ; সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মোঃ শামসুদ্দোহা; ফ্রেন্ডশিপের সিনিয়র পরিচালক কাজী আমদাদুল হক এবং ইয়ুথ নেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান প্রমুখ।

গোলটেবিল আলোচনায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, তরুণ প্রতিনিধি, পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।


মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়ক সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বন্দর ( নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কের দীর্ঘদিনের বেহাল অবস্থার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় জনতা। গত শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্দর নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে প্রায়ই যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে, এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তারা দ্রুত এই সড়ক সংস্কারের দাবি জানান এবং এ বিষয়ে দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানান। বিক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করে যাত্রীরা এবং পরিবহন শ্রমিকরাও অংশগ্রহণ করেন।

গণঅধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি মেহেবুবা আক্তার বলেন, “বহুবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাবেক সদস্যসচিব হৃদয় ভূইয়া বলেন, “এই সড়কে অতিরিক্ত ওজনের পরিবহন চলাচলের ফলে দ্রুত সড়কটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনুমোদনবিহীন এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি জানাচ্ছি।”

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, “সকাল ১০টা থেকে স্থানীয় ছাত্র-জনতা সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে আশ্বাস দেন যে, আগামী রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।”


নওগাঁয় ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক অভিভাবক সমাবেশ ও আলোচনা সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি 

জুলাই পুনর্জাগরণ উদযাপনের অংশ হিসেবে নওগাঁয় ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক চলচ্চিত্র প্রদর্শণ, অভিভাবক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নওগাঁর সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন এর আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া আফরিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবনুল আবেদীন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মাহফুজ আলম শ্রাবণের মা বেবি নাজনীন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সন্তানদের অনুপ্রেরনা দেওয়া মা হিসেবে তাসলিমা ফেরদৌস, নুর তাজসহ অন্যান্যরা।

এসময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদের পরিবারের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সন্তানদের অনুপ্রেরনা দেওয়া মায়েরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য জেলা প্রশাসক বলেন, জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে মমতাময়ী মায়েদের অবদান অনস্বীকার্য। আন্দোলনরে সময় মায়ের সামনে থেকে সন্তানকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, মা জানে না সে সন্তানকে মেরে ফেলা হবে কিনা গুম করা হবে। তারপরও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে মায়েরা তাদের সন্তানদের সাহস জুগিয়েছেন, সমর্থন দিয়েছেন এবং প্রয়োজনে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। যাতে তাদের সন্তানরা একটি বৈষম্যহীন সমাজে বেড়ে উঠতে পারে। মায়েরা শুধু সন্তানদের সাহস ও সমর্থন দেননি, বরং আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আন্দোলনকে সফল করতে সহায়তা করেছেন। অনেক মা আন্দোলনকারীদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন এবং তাদেরকে খাবার সরবরাহ করেছেন। এ ঘটনা গুলোকে আমাদের হৃদয়ে পুনর্জাগরণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে তোলে ধরতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।

এসময় জেলা প্রশাসক পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের সব জায়গায় সমান অংশ গ্রহণ ও সমান মর্যাদা নিশ্চিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।


দৌলতপুর সীমান্তে বিজেপির অভিযানে ৩২ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পৃথক তিনটি অভিযানে মাদকদ্রব্য, কারেন্ট জাল ও আতশবাজি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার ভোরে মহিষকুন্ডি আশ্রায়ন বিওপি এলাকার পুরাতন ঠোটারপাড়া পদ্মা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ৮ হাজার ৮০ পিস ইয়াবা ও ৭৭ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এসব মালামালের বাজারমূল্য প্রায় ২৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

এর আগে শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রামকৃষ্ণপুর বিওপির আওতাধীন মোহাম্মদপুর মাঠে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ২৪ বোতল মদ এবং ২৫৭ পিস ট্যাপেন্ডেবল ট্যাবলেট জব্দ করে বিজিবি। এসবের আনুমানিক বাজারমূল্য এক লাখ ১৩ হাজার ১০০ টাকা।

একইদিন রাত ১১টার দিকে চিলমারী বিওপির আওতাধীন শান্তিপাড়া মাঠ এলাকায় আরও একটি অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিজিবি সদস্যরা এক হাজার পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট এবং ১ হাজার ৮০ পিস আতশবাজি জব্দ করেন। যার বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ ২৭ হাজার টাকা।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মালিক বিহীন এসব জব্দকৃত কারেন্ট জাল তাৎক্ষণিকভাবে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে এবং মাদকদ্রব্যগুলো মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়নের মাদক স্টোরে জমা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে”


কমলগঞ্জে লেক থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা বাগান লেক থেকে রামলাল রবিদাস (৭৫) নামে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে উপজেলার শমশেরনগর দেওছড়া চা বাগানের ১২ নম্বর সেকশনের একটি লেক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রামলাল রবিদাস শমশেরনগর চা বাগানের বজ্রনাথ রবিদাসের ছেলে।


পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামলাল গোসল করতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজি করে কোথাও পায়নি। পরে লেকের পাড়ে দেখতে পাওয়া যায় রামলালের গামছা, জুতা ও সাবান। গোসল করতে গিয়ে লেকে ডুবে মারা গেছেন এমন ধারনা থেকে শুক্রবার শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি ও ফায়ারসার্ভিসের ডুবুরি সিলেট থেকে এসে লেকের পানি থেকে লাশ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মাসুদ আহমদ বলেন, ‌‘বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগানের লেকে রামলাল গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।পরে মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে জানিয়ে পরিবারের কাছে মরদেহ দেওয়া হয়েছে।’

=====


জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার (১লা আগস্ট) রাঙামাটি আসামবস্তি-রাঙ্গাপানি সংযোগ সড়কের দু'পাশে কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী পার ঘেঁষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে সংগঠনটি।
বার্ষিক বৃক্ষরোপণ-২০২৫ উপলক্ষ্যে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ ইমন ও দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মনির গাজী এর নেতৃত্বে দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আসামবস্তি-রাঙাপানি সংযোগ সড়ক ও আসামবস্তি মহিউছ সুন্নাহ ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বৃক্ষরোপণ করা হয়।
এসব গাছের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ, ফলদ, ঔষধীসহ সড়কে শোভাবর্ধনকারী বিভিন্ন গাছ।
“গাছ লাগাই, আগামীকে বাঁচাই”প্রতিপাদ্যকে ঘিরে কদম, কৃষ্ণচূড়া, হরতকি, বকুল, কাঠবাদাম, সোনালু, মহুয়া, নাগেশ্বরসহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করেন সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে তাদের এই উদ্যোগ। বৃক্ষ নিধন রোধ এবং পাহাড়ের সজীবতা ফিরাতে স্বেচ্ছাশ্রমে তারা কাজ করছে বলে জানান সংগঠনের সদস্যরা।


রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও পোর্ট অব প্রটোকল পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আমিনুল ইসলাম বনি-রাজশাহী

দেশের নৌপথ উন্নয়নে সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। নদীবন্দরগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও পোর্ট অব প্রটোকল পরিদর্শন করে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন এ কথা বলেন।
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রি জে: অব: ড. এম সাখাওয়া হোসেন বলেন, সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরের অবকাঠামো গত উন্নয়ন করতে উচ্চ পর্যায়ে আলাপ করতে হবে। এটা আমি পজিটিভলি দেখবো।
শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও পোর্ট অব প্রটোকল পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
এ সময় তিনি বলেন, নৌবন্দরের কার্যক্রম শুরু করার জন্য এনবিআরের অনুমোদনসহ অবকাঠামো উন্নয়ন ও রাস্তাঘাট প্রয়োজন। এই কার্যক্রমের সাথে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা জড়িত। কাজেই সকল পক্ষের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে অচিরেই নদীবন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ।এর আগে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন সরেজমিনে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর ও কোর্ট অব কল ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।


জুলাই গ্রাফিতি এঁকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে দ্বিতীয় আনোয়ারার বখতিয়ারপাড়া চারপীর আউলিয়া মাদ্রাসা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

ছোট্ট সিয়াম(১১)বাসার হেলিকপ্টারের আওয়াজ শুনে জানালার পাশে গিয়ে বাবাকে ডেকে দেখাচ্ছে বাবা দেখ হেলিকপ্টার অমনি একটি বুলেট এসে লাগল রায়হানের বুকে, বাবার চিৎকার! শাহবাগ উত্তাল,ছাত্র জনতার শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর রাজপথ,উত্তপ্ত রোধে হাঁপিয়ে উঠেছে সবাই,এসময় পানির বোতল নিয়ে হাজির মুগ্ধ,পানি লাগবে পানি...মুহুর্তেই বুলেটে ঝাঝড়া হয়ে গেলে মুগ্ধের বুক, মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মুগ্ধ। রংপুরে ছাত্র জনতার মিছিলে নির্বিচারে গুলি ছুড়ছে পুলিশ,মিছিলের সামনে গিয়ে বুক পেতে দিয়ে বুলেট বুকে নিয়ে সবাইকে রক্ষা করল আবু সাঈদ। আবু সাইদের বুকে বুলেট আটকে বেঁচে গেল গণতন্ত্র,রক্ষা পেল দেশ আর এতেই পালাতে হল ১৬ বছরের স্বৈরাশাসককে।

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অংগ্রহণে চট্টগ্রামে ২৪ এর রঙে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় এভাবেই তোলে ধরেন আনোয়ারা উপজেলার বখতিয়ার পাড়া চারপীর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। আর এতেই চট্টগ্রাম অঞ্চলে কলেজ পর্যায়ে ১৯৩ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মাদ্রাসাটি। এতে প্রথম স্থানে ব্রাক্ষ¥ণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ পেয়েছে১৯৭ নম্বর ও তৃতীয় স্থান অধিকারী খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ পেয়েছে ১৯০ নম্বর।

গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১১ জেলা ৩৩ টি কলেজ ও মদ্র্রাসার শিক্ষার্থী দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা চেতনায় জুলাই ধারণ করে গ্রাফিতি তুলে ধরে।

পরে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা মায়া, উম্মে জান্নাতুল মাওয়া সাইমা,নুসরাত শাহীন জেরিন,সুমাইয়া আক্তার মাহি ও মেহেরন্নেসা। প্রতিযোগী সকলেই খুবই স্বত:স্ফুর্ত অনুভূতি প্রকাশ করেন। তাদের ভাষায়,গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জুলাই শহীদদে প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁদের স্মরণ করতে পেরে আমরা গর্বিত।

উম্মে হাবিবা মায়া বলেন,জুলাই গণঅভ্যুথানের চেতনা আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে গ্রাফিতি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। গত বছর এই সময় যে সংগ্রামী যোদ্ধারা রক্তা দিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে, আন্দোলন করেছে, জীবন দিয়েছে তাদেরকে স্মরণ করি। আর সেই চিত্রই এই গ্রাফিতিতে ফুটে তোলার চেষ্ঠা করেছি।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাজী আবদুল হান্নান বলেন,প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকরা সব ধরণের সহযোগিতা করেছে। আমার আনন্দিত।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস হোসেন বলেন, বখতিয়ার পাড়া চারপীর আউলিয়া মাদ্রাসার এই অর্জনে পুরো উপজেলা গর্বিত। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে জুলাই চেতনা ধারণ করে রাখতে বিশেষ ভুমিকা রাখবে।


নওগাঁয় ১টাকায় একবেলা খাবারের ১৫০তম সপ্তাহ পালন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. সবুজ হোসেন নওগাঁ
নওগাঁর সামাজিক সংগঠন ফ্রেন্ডস প্যানেলের উদ্যোগে সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে ১টাকায় একবেলা ভরপেট খাবার আয়োজনের ১৫০তম সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ (১আগষ্ট) শুক্রবার দুপুরে শহরের মরছুলা উচ্চবিদ্যালয়ে ১৫০তম সপ্তাহ পূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী।

আলোচনাসভা শেষে ১টাকায় প্রায় ২০০জন এতিম, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে ভরপেট খাবার খাওয়ার অনুষ্ঠান হয়।
নওগাঁ ফ্রেন্ডস ক্লাবের সভাপতি রিমন আলী মৃধার সভাপতিত্বে এসময় সংগঠনটির উপদেষ্টা মানষ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, ছাত্র প্রতিনিধি ফজলে রাব্বি, আরমান হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

ফ্রেন্ডস প্যানেল নওগাঁর সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বলেন- আমরা দেখি রাস্তায় অনেক অসহায় মানুষ খাবার পায়না। বিশেষ করে শুক্রবারে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট হোটেল বন্ধ থাকে। এতে করে গরিব অসহায় মানুষ গুলো সেদিন দুপুরে খাবার পায়না। সে উপলব্ধি থেকে আমরা ফ্রেন্ডস প্যানেলের উদ্যোগে প্রতি শুক্রবার দুপুরে ১টাকায় খাবার বিতরন করে থাকি।
১টাকা দিয়ে কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক মানুষ আছে যারা সাহায্য নিতে চাননা বা অনেকে ফ্রি তে খাবার খেতে চাননা। যার ফলে আমরা ১টাকা মূল্যের বিনিময়ে খাবার দিয়ে থাকি।
সমাজের বিত্ত্ববানদের সহযোগিতা পেলে আগামিতে আরো বড় পরিসরে সপ্তাহে ৩-৪দিন খাবার বিতরণের এমন কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক।

“মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা” এমন স্লোগানে নওগাঁর ফ্রেন্ডস প্যানেলের সদস্যরা ১শ ৫০সপ্তাহ ধরে নিয়মিত ভাবে প্রতি সপ্তাহে ১টাকায় একবেলা ভরপেট খাবার আয়োজন করে আসছে।


পাঁচ শতাধিক ইয়াবাসহ দুই যুবক ডিবির জালে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হাসনাইন তালুকদার দিবস -ঝালকাঠি
ঝালকাঠি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে ৫৩০ পিচ ইয়াবা ট্যবলেটসহ দুই যুবক গ্রেফতার। পহেলা আগষ্ট রাতভর দু'ফায় মাদক উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দেন ডিবির এসআই মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
পুলিশ জানায়, প্রথম পর্যায়ে রাত দেরটার দিকে পৌর শহরের পালবাড়ী এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের নামের ২১ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করা হয়। পুলিশের ভাষ্যমতে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের জন্য জোবায়ের একটি গলির মুখে অবস্থান করছিলো।
পুলিশ আরো জানায়, ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদের পর জোবায়ের তাদেরকে জানায় সে ইয়াবা ট্যাবলেট পাইকারী দরে ক্রয় করে এলাকায় খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করেন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বন্ধু মো. তাসিন কাজী নামের ২৩ বছর বয়সী আরেক যুববকের নাম বলে দেয়। সে তাসিনের কাছে ইয়াবা রেখে এসেছে বলেও স্বিকার করেন।
রাতেই জোবায়েরকে সাথে নিয়ে শহরের কাপুরিয়া পট্টি এলাকায় তাসিন কাজীর বাসায় অভিযান চালনো হয়। তখন রাত সোয়া ২টা। ভেতর থেকে গেইট না খোলায় পুলিশ দুই ঘন্টা অপেক্ষা করেন। ভোর রাত চারটার পর গেইট খুললে জোবায়েরকে সাথে নিয়ে ফ্লাটে প্রবেশ করেন ডিবি পুলিশ।
ততক্ষণে জোবায়েরের রেখে যাওয়া ইয়াবা ট্যাবলেটের পোটলাটি জানালা দিয়ে ভবনের বাইরে ফেলে দেয় তাসিন। পুলিশের ভয়ে বন্ধু জোবায়ের রেখে যাওয়া ইয়াবা ফেলে দেয়ার কথা স্বিকার করার পরে তাসিন নিজেই বাহিরে গিয়ে ফেলে দেয়া ইয়াবার পোটলাটি কুড়িয়ে এনে দেয়।
পোটলাটি খোলা হলে দেখাযায় তার ভিতরে ৫৩০ পিচ ইয়াবা ট্যবলেট রয়েছে। যা জব্দ করছে ডিবিপুলিশ। এসময় তাসিন এবং জোবায়েরকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
গ্রেফতারকুত আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের পালবাড়ি এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। এবং গ্রেফতারকৃত অপর যুবক তাসিন কাপুরিয়া পট্টি এলাকার কাজী আবুল কালামের ছেলে।
ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন গনমাধ্যমকে জানান, দুই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঝালকাঠিতে মাদক উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।'


পটুয়াখালীতে এবি পার্টির উদ্যোগে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
জুলাই গনঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমার বাংলাদেশ পার্টি পটুয়াখালী জেলা শাখার উদ্যেগে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ড. আতহার উদ্দীন মিলনায়তনে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন দলটির কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আমার বাংলাদেশ পার্টি পটুয়াখালী জেলা শাখার আহবায়ক প্রফেসর ড. এ এস এম ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ মেজর আব্দুল ওহাব মিনার ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাসির। আলোচনা শেষে জুলাই আন্দোলনের প্রদর্শিত চিত্র ঘুরে দেখেন উপস্থিত সকলে।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এবি পার্টির সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, জুলাই ২৪ কে নিয়ে যেন ৭১ এর মত চেতনা ব্যাবসা না হয়। জুলাই থেকে শিখে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়বো। যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তাদের বাস্তবতা অওয়ামী লীগের মতো হবে। যারা নিজেদের বদলে নতুন বাংলাদেশের জন্য নতুন ভাবে কাজ করবেন তারা সকলের কাছে সমাদৃত হবেন।


মাগুরায় ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি ও টিয়ারশেলের সামনে উর্মি ছিলেন এগিয়ে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা :-
জুলাই -আগস্ট রক্তাক্ত আন্দোলনে মাগুরার ফ্যাসিস্ট পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলি ও টিয়ারসেলের সামনে ৪ আগস্ট জীবন বাজি রেখে রাজপথের মিছিলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন নারী নেত্রী উমবিয়া কুলসুম উর্মি ।
ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবিতে নারীদের সংগঠিত করে একের পর এক রাজপথে ছাত্র জনতার সাথে মিছিল পিকেটিং এ অংশ নিয়ে আলোচনায় উঠে আসেন মাগুরা জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও সাবেক নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর এই উর্মি। ৬০ উর্ধ্ব এই নারী তার নিজের বয়স ও শারীরিক অবস্থা চিন্তা না করে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে এবং তার সন্তানদের কথা চিন্তা করে তাদেরকে সাথে নিয়েই রাজপথে নেমে পড়েন । মিছিল এবং সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেওয়ার ভিডিও ও ছবি তার প্রমাণ।
তার সাথে কথা হলে তিনি আন্দোলনে কিভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তা নিজ মুখে বর্ণনা করেন - "ফ্যাসিস্ট সরকার যেদিন তার দোসর ও পুলিশ বাহিনী দিয়ে একের পর এক ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করছিল আমি সেদিন ঘরে বসে থাকতে পারিনি ।অন্যদের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লাম রাজপথে ।আমাদের একটাই দাবি ছিল "হাসিনা হটাও দেশ বাঁচাও' ৪ আগস্ট আমি আমার মহিলা কর্মীদের ফোন দিয়ে ডেকে আনি ।সেদিন আমার সাথে যোগ দেয় স্মৃতি, ইতি, সুমা ,জান্নাত , বিউটি ,পাপিয়া ,শারমিন এবং আমার কলেজ পড়ুয়া নাতনি জান্নাতুল মনিরা শর্মী সহ আরো অনেকে। ছাত্রসহ সাধারণ জনতার সাথে সেদিন আমরাও একটি মিছিল নিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী দোসরদের হাত থেকে পারনান্দুয়ালী এলাকা দখল করি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ঐদিন আমারই সামনে আমার মহল্লার ছোট ভাই ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বি গুলিবিদ্ধ হয় , হাসপাতালে নিয়েও তাকে বাঁচানো যায়নি। যা আমাকে এখনো ব্যথিত করে। ও গুলিতে আমিও মারা যেতে পারতাম। এছাড়াও শেষ বিকেলে রায় নগরের ফরহাদ নামে আরো একজনকে আমরা হারাই ।সেও আমার চোখের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। দুজন যুবককে যখন চোখের সামনে মারা যেতে দেখি তখন অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম ,আর ভাবছিলাম হে আল্লাহ এর শেষ কোথায় ? আল্লাহ আমাদেরকে নিরাশ করেননি ।পরের দিন ৫ আগস্ট খুনি হাসিনার পতন হলো যা ছিল আমাদের একটা অর্জন আমরা পেলাম আরো একটি স্বাধীনতা।
শুধু তাই নয়, হাসিনা পতনের পরপরই সারা দেশের ন্যায় মাগুরাতেও ব্যাপকহারে শুরু হয়ে গেল ভাঙচুর ও লুটতরাজ। সেটা বন্ধ করার জন্য আমি জেলার সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করতে সক্ষম হই।
সবশেষে নতুন বাংলাদেশ ফিরে পেলাম হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। ।
আমার প্রত্যাশা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হোক যেখানে সব ধর্ম বর্ণের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে এবং মত প্রকাশ করতে পারবে।
এরকম হাজারো নারীর গল্প আছে, যারা পুরুষের পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে কিন্তু তা অনেকটাই অজানা রয়ে যায় ।


ছাত্র-জনতার জুলাই গণ-অভ্যুত্থান উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান উদযাপন উপলক্ষ্যে জুলাই মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক আজ শুক্রবার সাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাইকেল র‍্যালিটি ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর থেকে শুরু হয়ে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগর ভবনে এসে শেষ হয়। ডিএসসিসির মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এঁর উপস্থিতিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ মাহবুব-উল-আলম র‍্যালির উদ্বোধন করেন।

সকাল ০৭:৩০ ঘটিকায় রবীন্দ্র সরোবর থেকে শুরু হওয়া এ র‍্যালিতে ১৯০ জন সাইক্লিস্টস এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নগরবাসী অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ মাহবুব-উল-আলম বলেন, "জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।" বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করার জন্য তিনি সরকারের পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানান।


ডিএসসিসি প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, "এই ঢাকাকে আগামী প্রজন্মের বাসযোগ্য করার জন্য পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।" পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রশাসক এ বিষয়ে নাগরিকদের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা কামনা করেন।

র‍্যালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয় প্রধান এবং ঢাকা ব্যাংকের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।


banner close