বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
২৪ আশ্বিন ১৪৩২

বেনাপোলে ই-গেট চালু, দাঁড়াতে হবে না লাইনে

বেনাপোল স্থলবন্দরে শনিবার ই-গেট সুবিধার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
৪ মার্চ, ২০২৩ ২১:০১
প্রতিনিধি, বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত : ৪ মার্চ, ২০২৩ ২০:৫৮

ঢাকা-চট্টগ্রামের পর দেশের অন্যতম স্থলবন্দর বেনাপোলে ইলেকট্রনিক গেট (ই-গেট) সুবিধা চালু হয়েছে। এর ফলে ই-পাসপোর্টধারীরা লাইনে না দাঁড়িয়ে নিজেই ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। সার্ভার ঠিক থাকলে সময় লাগবে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড।

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে শনিবার ই-গেট উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। জার্মানির সঙ্গে একটি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ই-পাসপোর্ট সুবিধা। একই প্রকল্পের অংশ হিসেবে বেনাপোলে ৪টি ই-গেট বসানো হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার ই-পাসপোর্ট ও ই-গেটের মাধ্যমে আধুনিক ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে দ্রুত ও নিরাপদ ইমিগ্রেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের সব সদস্য প্রধানমন্ত্রীর এ সুদুরপ্রসরী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেস্ট থাকবে।

বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পর্যায়ক্রমে দেশের ২২টি ইমিগ্রেশনে ই-গেট চালু করা হবে। ই-গেট ব্যবহারের প্রথম ধাপে প্রবেশ পথে যাত্রী নিজের ছবি, তথ্য ও বারকোডযুক্ত ই-পাসপোর্টের প্রথম পৃষ্ঠা স্ক্যান করবেন। তখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে যাত্রীর সব তথ্য যাচাই শেষে খুলে যাবে প্রথম গেইট। এরপর দ্বিতীয় ধাপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরাযুক্ত ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে যাত্রীর মুখমন্ডল মিললে খুলে যাবে দ্বিতীয় গেইট। সার্ভার এবং সিষ্টেম ঠিক থাকলে মাত্র ৩০-৪০ সেকেন্ডেই শেষ হবে একজন যাত্রীর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া। বাংলাদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এ সুবিধা পাবেন।

ই-গেট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহম্মেদ, স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।

ই-গেট উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেনাপোলে অনুষ্ঠিত এক মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী সমাবেশে যোগ দেন। পরে তিনি সাড়ে ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল উদ্বোধন করেন।


গোমতী নদীতে বালু উত্তোলনে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকৌশলীকে তিন মাসের দণ্ড
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা দক্ষিণ

কুমিল্লার গোমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ওই এলাকায় সরকারি বরাদ্দে নির্মাণাধীন সেতুতে বালু ব্যবহার করার অভিযোগে ‘হামীম ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড রাশেদুজ্জামান পিটার কোং’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রতিষ্ঠানটির এক প্রকৌশলীকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয। অভিযানটি পরিচালনা করেন আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান। সাজাপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর নাম ওহিদুল ইসলাম। তিনি গোলাবাড়ি ব্রিজ প্রকল্পের সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা জাহান বলেন ‘গোমতী নদীর গোলাবাড়ি পয়েন্টে এলজিইডির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি ব্রিজ নির্মাণের পাশাপাশি ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত এবং নদী ও সেতু উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনানুযায়ী ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ সময় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজারটিও জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন ভবিষ্যতে গোমতী নদী থেকে কেউ বালু উত্তোলন বা চরনিধন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


রাউজানে প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

চট্টগ্রামের রাউজানে কৃষকের মাঝে শাকসবজির বীজ সার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাউজানে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বসতবাড়ি ও মাঠে চাষযোগ্য শাকসবজির বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। গত বুধবার বেলা ১১ ঘটিকায় রাউজান কৃষি বিভাগীয় প্রশিক্ষণ হলে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির। সঞ্চালনা করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার সুশীল। বক্তব্য রাখেন সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনিসুল মোস্তফা, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিবু শংকর দে, মো. নাজিম উদ্দীন, সিকু কুমার বড়ুয়া, ইমরান হোসেন। এ সময় অন্যান্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে উপজেলার ৩৫০ জন কৃষকের মাঝে উফশী সবজির বীজ ও সার, ৭০০ জন কৃষক-কৃষাণিকে হাইব্রিড বীজ ও সারসহ উপজেলার ১০৫০ জন কৃষক-কৃষাণির হাতে বীজ ও সার প্রদান করেন অতিথিরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বর্তমানে যে জমিগুলো অনাবাদি আছে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সেগুলোতে শাক-সবজির আবাদ গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পতিত জমিতে ফলন করে একদিকে যেমন নিজেদের চাহিদা পূরণ হয় অপরদিকে উৎপাদিত শাক-সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।


জনবল সংকটে সোনাইমুড়ী পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, সেবা বঞ্চিত মানুষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী উত্তর

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ১১০টি জনবলের মধ্যে ৪৫টি পদই শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটের ফলে উপজেলা স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনাইমুড়ী উপজেলা মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) পদে ডাক্তার নুরুল আফসার ছিলেন। তিনি ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে পার্শ্ববর্তী ফেনী জেলায় বদলি হওয়ার পর এ পথটি শূন্য হয়।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী ৩টি পদই শূন্য রয়েছে। সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ৪টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। আমিশাপাড়া ইউনিয়নের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মমতাজ বেগম একাই সোনাপুর ও নাটেশ্বর ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা অনুমোদিত পদের ১০টি আছে ৬ জন, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ১০টি আছে ৮ জন, পরিবার কল্যাণ সহকারী ৫৯ জনের বিপরীতে ৪৩ জন কর্মরত আছেন। এছাড়া অফিস সহায়ক ২টির মধ্যে ২টি পদই শূন্য দীর্ঘ বছর। নিরাপত্তা প্রহরী ৪ জনের বিপরীতে ২ জন ও আয়া ১১ জনের বিপরীতে ৪ জন কর্মরত আছেন।

তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র চালু করেছে। এসব কেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে মা ও শিশুদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, টিকাদান, পরিবার পরিকল্পনা, ওষুধ সরবরাহসহ নানা ধরনের সেবা দেওয়া হয়। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এক কর্মচারী জানান, এ উপজেলায় জনবল সংকট থাকায় সেবা প্রদানে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে। এতে রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজনীন আক্তার বলেন, এখানে তীব্র জনবল সংকট রয়েছে। জন্ম বিরতিকরণ পদ্ধতির জন্য সকল প্রকার ওষুধ পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও ইউনিটকর্মী কম থাকায় সব মানুষের কাছে সেবা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।


মানবিক বাংলাদেশ গঠনে পিআর পদ্ধতি একটি অপরিহার্য নির্বাচন ব্যবস্থা

কুমিল্লায় জামায়াতের গোল টেবিল বৈঠক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, আগামীর মানবিক বাংলাদেশ গঠনে পিআর পদ্ধতি একটি অপরিহার্য নির্বাচন ব্যবস্থা। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ইতোমধ্যে মধ্যে ২৬টি দল পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছে। বাংলাদেশে রাজনীতিতে বিভাজন নয়, ঐক্য প্রয়োজন। সব রাজনৈতিক দল এই যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে। গত বুধবার রাতে নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় একটি পার্টি সেন্টারে কুমিল্লা মহানগর জামায়াত আয়োজিত ‘‌জুলাই জাতীয় সনদ ও পিআর পদ্ধতির ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল মতিন।

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারপতি আবদুস সাত্তার প্রেসিডেন্ট হলেন। কিন্তু এর কয়েক মাস পরেই এরশাদ ক্ষমতা দখল করলেন। এখন কোনো কোনো দল পিআরের বিপক্ষে বোঝাতে চায় নেপালের মতো আমাদের অবস্থা হবে। প্রেসিডেন্ট তো আপনাদের ছিল। আবদুস সাত্তার নির্বাচিত হওয়ার চার মাস পর এরশাদ তাকে জিম্মি করে ২৪ মার্চ ক্ষমতা দখল করলেন। এরপর ভোটার ছাড়া নির্বাচন করল। দিনের নির্বাচন রাতে করল। এরপর ডামি নির্বাচন করল। এই জন্যই আমরা অনেক চিন্তা করেই পিআর পদ্ধতি থ্রো করেছি।

এ সময় কুমিল্লা মহানগরের নায়েবে আমীর অধ্যাপক একেএম এমদাদুল হক মামুন, মহানগরী সেক্রেটারি মাওলানা মাহবুবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেল, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসাইনসহ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


পঞ্চগড়ে রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় গ্রামীণ কাঁচা সড়ক পাকাকরণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের দরুয়াপাড়া এলাকায় কমলাপুর লাঙ্গলগাঁও সড়কের পাশে এলাকাবাসীর এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান, পঞ্চগড় মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৪-এর সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী, শ্রমিক নেতা দুলাল, স্থানীয় রাজেদুল ইসলাম, জয়তুন, সয়ফুল, রাসেল, বেলাল, মানিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় কমলাপুর, দরুয়াপাড়া, লাঙ্গলগাঁওসহ কয়েকটি গ্রামের তিন শতাধিক পুরুষ-মহিলাসহ শিশুরা অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে কমলাপুর লাঙ্গলগাঁও সড়ক ধরে চলাচল করছি অন্তত তিন হাজারের বেশি মানুষ। এখানে ঢ়েমশিমারী পোলট্রি ফার্মের ভারী গাড়ি চলাচল করে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরা। অনেক সময় গাড়ি-সাইকেল নিয়ে মানুষজন গর্তে পড়ে গিয়ে আহত হন। এই সড়ক ধরে মানুষজন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে যায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিক উচ্চবিদ্যালয়, মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী এই রাস্তা ধরে চলাচল করে। কিন্তু খানাখন্দে তাদের চলাচলে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যদিও বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে রোলার করে সাময়িক সড়কটি সংস্কার করেছে। কিন্তু তা স্থায়ী নয়। আমরা চাই সড়কটি পাকাকরণের জন্য। বর্তমানে পোলট্রি ফার্ম রাস্তা দিয়ে ভারী গাড়ি নিতে চায় কিন্তু তাদের কারণে তো রাস্তা আবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা আন্দোলন করছি এ কারণে আমিনুলকে পা ছিড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছে ছাত্রদলের নেতা রাজু। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমরা তার বিচার চাই। আমরা চাই ফার্মের গাড়ি চলুক আমরা বাধা দেব না। কিন্তু তাদের গাড়ির কারণে সড়কে মানুষ চলাচল করতে পারে না। কেননা সড়কটি খুবই সংকীর্ণ। সড়কটি প্রশস্ত করে পাকাকরণ করা জরুরি। আর ফার্মের লোকজন আমাদের সাথে আলোচনায় বসুক। আমরা প্রশাসনের লোকজনসহ সবাই মিলে এর সুষ্ঠু সমাধান করব। তবে কোনো ছলচাতুরী করলে এর ফলাফল ভালো হবে না।

পরে পঞ্চগড় মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৪-এর সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী, শ্রমিক নেতা দুলাল হোসেন দ্রুত সবাই বসে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করেন স্থানীয়রা। তবে কোনো ছলচাতুরী করলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চরণ করেন তারা।


বর্ণিল সাজে কোটালীপাড়া পরিষদ লেক, দর্শনার্থীদের ভীড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল, কোটালীপাড়া

বর্ণিল সাজে সেজেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ লেক। একসময় যেখানে ছিল ময়লা আবর্জনা আর কচুরিপানার ভাগার আজ সেখানে দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য।

লেকের চারপাশে ফুটওয়াক তৈরি করা হয়েছে। লেকপাড়ে বসার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক রঙিন টুল। লেকে নামানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন চারটি প্যাডেল বোট। গত ৫ অক্টোবর লেকের সৌন্দর্যবর্ধন কাজ ও লেকবোট উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক।

এ সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার এস এম শাহজাহান সিরাজ, কৃষি অফিসার দোলন চন্দ্র রায়, কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন অফিসার আবু তাহের হেলালসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর থেকেই নানা বয়সের মানুষ ভীড় জমাচ্ছে অপার আনন্দে। লেকটি এখন পরিচিতি পেয়েছে বিনোদন স্পট হিসেবে।

আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সরেজমিন লেকপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, নানা বয়সের ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভীড় জমাচ্ছে প্যাডেল বোটে ওঠার জন্য। দর্শনার্থীদের জন্য লেকে নামানো হয়েছে চারটি প্যাডেল বোট। প্রতিটি বোটেই রাখা হয়েছে লাইফ জ্যাকেট।

৫ম শ্রেণির ছাত্রী লাবিবা বলেন, আমাদের ঘোরার কোনো জায়গা ছিল না। এখন এই লেকের বোটে চড়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। লেকের পাড়ে বসার জন্য খুব সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে।

কোটালীপাড়া কল্যাণ সংঘের সভাপতি সোহেল শেখ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লেকটির পুরো চেহারাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। নর্দমার কারণে এখানে মশার উপদ্রব্য ছিল। অব্যবস্থাপনার কারণে লেকের পাড়ে হাসপাতালে রোগীরা দুর্ভোগে ছিল। এখন শুধু এসবেরই অবসান হয়নি বরং কোটালীপাড়াবাসীর জন্য বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে।

কোটালীপাড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সমেন মজুমদার বলেন, প্যাডেল বোট দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয়, কারণ এটি একটি পরিবেশবান্ধব ও শান্ত বিনোদন। এর মাধ্যমে মানুষ জলজ জীবনকে বিরক্ত না করে শান্তভাবে লেকে ঘোরাঘুরি করতে পারে, যা একে পরিবার ও বন্ধুদের জন্য একটি উপভোগ্য অভিজ্ঞতায় পরিণত করে। কোটালীপাড়ার দক্ষিণ সীমান্তে মাচারতারা গ্রামে একটি শিশুপার্ক থাকলেও যাতায়াত সমস্যা ও দূরবর্তী হওয়ায় সেখানে নিয়মিত যাওয়া সম্ভব হয় না। উপজেলা পরিষদের এই লেকটি এখন সকলের মনের খোরাক জোগাবে।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক বলেন, লেকটিকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে আশা করছি এটি কোটালীপাড়াবাসীর জন্য একটি বিনোদন স্পট হিসেবে পরিচিতি পাবে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় লেকের চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। লেকের পাড়ে ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানগুলোর কারণে পানির বোতল, কাগজের প্যাকেটসহ নানা আবর্জনা লেকে ফেলে যাতে পানি দূষিত না হতে পারে এবং দর্শনার্থী ও পথচারীদের ভোগান্তির কারণ না সে জন্য পুরো লেকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাসহ দেখভাল করার লক্ষ্যে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে লেকে প্যাডেল বোড চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা জনসাধারণের কাছ থেকে নামমাত্র শুভেচ্ছামূল্যে নিয়ে লেকে প্যাডেল বোট পরিচালনা করবে।


ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোই ভরসা, স্থায়ী সেতুর দাবি পঞ্চগড় ও সখীপুরবাসীর

পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাওয়াই নদীর ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১নং অমরখানা ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত ও সাতমেড়া ইউনিয়নের সীমান্তে চাওয়াই নদীর ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো ও টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বাঘবেড়-গজারিয়া সড়কের গোহালিয়া খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকোতে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। এ দুই এলাকাবাসী দ্রুত স্থায়ী সেতুর নির্মাণের দাবি করেছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর তুলে ধরা হলো;

মিজানুর রহমান, পঞ্চগড় থেকে জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১নং অমরখানা ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত ও সাতমেড়া ইউনিয়নের সীমান্তে চাওয়াই নদীর ওপর একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকোই এখন এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে এই সাঁকোটি ভাঙা ও নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে, তবুও প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙাচোরা কাঠের সাঁকোটি দিয়ে স্থানীয়রা প্রতিদিন হেঁটে পার হচ্ছেন। সাইকেল ও মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে কৃষিপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মালপত্র পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।

খইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মানিক ও বোড বাজারের মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “এই ব্রিজটা প্রথমে বাঁশের সাঁকো ছিল। পরে আমাদের উদ্যোগে কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়। বর্ষাকালে পুরো সাঁকোটি পানির নিচে চলে যায়। যদি এটি পাকা করে দেওয়া হতো, আশপাশের সব গ্রামের মানুষ অনেক সুবিধা পেত।’

এক পথচারি বলেন, ‘আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। সরকার যদি ব্রিজটা করে দিত, তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হতাম।’

অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোছা. হাজরা খাতুন বলেন, ‘বর্ষাকালে সাঁকোটা ডুবে যায়। তখন স্কুলে যেতে ভয় লাগে, অনেক সময় যাওয়া হয় না। এতে পড়াশোনায় ক্ষতি হয়।’

ব্রিজ না থাকায় হাটে-বাজারে যেতে কষ্ট হয়। কোনো রোগী হাসপাতালে নিতে হলে আরও সমস্যা হয়। কৃষিপণ্য বিক্রি করতে আমাদের ৩-৪ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।’

স্থানীয়দের দাবি, এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শতাধিক মানুষ পারাপার করেন, ফলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তাদের দীর্ঘদিনের দাবি—খইপাড়ার কাঠের সাঁকোটি দ্রুত পাকা সেতুতে রূপান্তর করা হোক, যাতে এলাকার মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারে।

এক পাশে ১ নং অমর খানা ইউনিয়নের বোদিনাজোত বোর্ড বাজার। অপর পাশে ৬ নং সাতমেড়া ইউনিয়নের, কই পাড়া, ফকিরপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, পখিলাগা, জামুড়ি দুয়ার, দুই পাশের হাজারো মানুষের যাতায়াত এই কাঠের সাকো দিয়ে।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা এল,জি,ই,ডি, উপ সহকারী প্রকৌশলী কৃষ্ণ চন্দ্র রায়, তিনি জানান গ্রামীন অবকাঠামো রাস্তা ও ব্রিজ প্রকল্পে এল, জি,ই,ডি হেড অফিসে ছবি ও ভিডিও সহ দরখাস্ত করা হয়েছে

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বাঘবেড়-গজারিয়া সড়কের গোহালিয়া খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকোতে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ওই কাঁচা সড়কটি ও ভাঙাচোরা নড়বড়ে কাঠের সাঁকোটি পাকাকরণের। কিন্তু সে দাবি এখনো পূরণ হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হচ্ছে জনসাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, গোহালিয়া খালের উত্তরের শেষ সীমানায় কাঠের সাঁকোটিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লোকজন। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে ভ্যান গাড়িসহ কোনো ধরনের যানবাহন চলে না। মালপত্র পরিবহন করেত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীদের।

গজারিয়া গ্রামের নাছির উদ্দিন বলেন, এই ব্রিজটা প্রথম অবস্থায় বাঁশের সাঁকো ছিল। পরে আমাদের এলাকাবাসীর উদ্যোগে কাঠের সাঁকোতে রূপ দেওয়া হয়। বর্ষার সময় এই সাঁকো পুরোটা ডুবে যায়। এই ব্রিজটা যদি পাকাকরণ করা হয়, তাহলে আশেপাশের সকল গ্রামের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারব।

ওই গ্রামের অজুফা খাতুন বলেন, আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে যেতে সমস্যা হয়। সাধারণ মানুষের চলাচল করতে অসুবিধা হয়। সরকার যদি আমাদের ব্রিজটা করে দিত, তাহলে খুব উপকার হতো।

বাঘবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, খালের ওই পাড়ে আমাদের স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী আছে। এই সাঁকোটা বিভিন্ন সময় বাঁশ-কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই সাঁকোটার যদি স্থায়ী একটা সমাধান হতো, তাহলে ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে পারত।

সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, গোহালিয়া খালের ওপর যে কাঠের সাঁকোটি রয়েছে, বর্তমানে এলজিইডির কোনো প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত নেই। এটা ভবিষ্যতে নির্মাণের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কারিগরি রিপোর্ট প্রদান করব। অনুমোদনসাপেক্ষে এটা পরবর্তীতে উন্নয়ন হবে আশা করি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে কাজটি দ্রুত করার চেষ্টা করব।


ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি 

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার মি. পাওনকুমার তুলসিদাস বাদে ও দ্বিতীয় সেক্রেটারি মি. গৌরব কুমার আগারওয়াল বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। পরে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন রেজা সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং নবনির্মিত কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় দুই দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও সীমান্ত বাণিজ্যের সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়।

সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পরিদর্শন শেষে ডেপুটি হাইকমিশনার ও দ্বিতীয় সেক্রেটারি বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।

পরিদর্শনকালে বেনাপোল স্থলবন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও ইমিগ্রেশন অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন রেজা জানান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার এবং দ্বিতীয় সেক্রেটারি ভারতে যাওয়ার জন্য বেনাপোলে আসেন। এরই ফাঁকে তিনি এবং দ্বিতীয় সেক্রেটারি বেনাপোল বন্দর ও নবনির্মিত কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালটি ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।


জামালপুরে ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান (৫২) কে গ্রেফতারের দাবিতে ও সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে শহরের দড়িপাড়া বাইপাস মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম,বজলু মোল্লা,সাখাওয়াত হোসোন শুভ, আমির উদ্দিন সহ আরো অনেকে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে দড়িপাড়া এলাকায় শিশুটির বাবা-মা বাসায় না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী সিদ্দিক শিশুটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বিলকিছ বেগম বাদী হয়ে জামালপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা হলেও এখন পর্যন্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামি গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয়রা প্রায় এক ঘণ্টা জামালপুর–টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে, এতে উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় সাখাওয়াত হোসেন শুভ জানান, আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আসামীকে গ্রেফতার করতে না পারলে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।


ঐক্যবদ্ধভাবে তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান বাচ্চু মোল্লার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে ‘তারুণ্যনির্ভর আগামীর নতুন বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার থানার মোড় এলাকায় উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাচ্চু মোল্লা বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এই কর্মী সম্মেলন থেকেই আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে বিএনপিকে বিজয়ী করার অঙ্গীকার করছি।”

তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”

অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন থেকে কয়েক শতাধিক নেতৃস্থানীয় নেতাকর্মী ও দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।


সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় এখন টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদ ও চিত্র সাংবাদিক পারভেজ রহমান এর ওপর সন্ত্রাসি হামলার প্রতিবাদ ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে নওগাঁ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁয় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের আয়োজনে শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের পাশে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালিত হয়।

মানববন্ধনে সাপ্তাহিক প্রজন্মের আলোর সম্পাদক আব্দুর রহমান রিজভী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা সভাপতি ও বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও ডিবিসি’ জেলা প্রতিনিধি একে সাজু, ইনডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি সাদেকুল ইসলাম, সকালের সময় এর প্রতিনিধি মাহমুদুন নবী বেলাল, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল নয়ন, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি সবুজ হোসেন , দপ্তর সম্পাদক মাহাবুল আলম মারুফ ও

এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলী সহ অন্যরা। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন- সংবাদ সংগ্রহের সময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ক্যামেরা ভাঙচুর সহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলার সংবাদিক সংগঠনগুলো ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনগুলো। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের এখনো পুলিশ গ্রেফতার করছে না। পুলিশ প্রশাসনের নীবর ভূমিকা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। অবিলম্বে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানানো হয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা সভাপতি ও বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, সাংবাদিকরা জনগণের স্বার্থ রক্ষায় তথ্য সংগ্রহ ও কলম ধরতে পারছে না। দূর্নীতির বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা কলম ধরলে বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা হতে হচ্ছে। অনেকের প্রাণ চলে যাচ্ছে। এসময় সরকার কেন নীরব। বিষয়টি তদন্তপূর্বক দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানাই। শুধু এখন টিভির সাংবাদিক না, সাগর রুনি সহ যত সাংবাদিককে হত্যা ও নির্যাতন করা হয়েছে সবগুলোর বিচার হওয়া দরকার। শুধু আইনের আওতায় নিয়ে আসলে হবে না, শাস্তি দিতে হবে যেন আগামীতে কেউ সাংবাদিকদের ওপর হামলা করার সাহস দেখাতে না পারে।

সাপ্তাহিক প্রজন্মের আলোর সম্পাদক আব্দুর রহমান রিজভী বলেন- সমাজের রন্ধে রন্ধে দূর্নীতি। এসব দূর্নীতি যখন সামনে নিয়ে আসা হয় তখনই সাংবাদিকের ওপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় এবং হামলা চালানো হয়। সঠিক বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা বার বার হামলা করে পার পেয়ে যায়। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে রাষ্ট্র ব্যবস্থা এক সময় ভঙ্গুর হয়ে যাবে।


রূপগঞ্জে সড়কে মৃত্যুর মিছিল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ

গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বেপরোয়া বাইক চালিয়ে পড়ে যান মামুন (২২) মিয়া, ততক্ষনাৎ একটি প্রাইভেটকার তার মাথায় চাপা দেয়। স্পটেই মারা যান মামুন মিয়া। পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কসহ রূপগঞ্জের এসিয়ান হাইওয়ে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কগুলো এখন এক ভয়ংকর মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। পুলিশ বলছে বেপরোয়া গতিই ক্ষতির কারন। গতিই প্রতিনিয়নত কেড়ে নিচ্ছে তাজা তাজা প্রাণ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, গত মাসে শুধু ৩০০’শ ফুট সড়কেই প্রাণ হারিয়েছে ১১ জনেরও বেশি। সড়কটিতে মোটরসাইকেল চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনাও ঘটছে বেশি বেশি। গত পাঁচ বছরে সড়কটিতে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা যান ১৭৫ জন। পুলিশ বলছে, এসবের ৯০ শতাংশই মোটরসাইকেলে ঘটেছে।
স্থানীয় জনগন ও পুলিশের ভাষ্যমতে, রাত যত গভীর হয়, বাইকাররা তত বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে সড়কে। যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের কারণে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলাচল বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। অভিযান বন্ধ হওয়ার পর আবারও শুরু হয়েছে বেপরোয়া গতিতে বাইক চলাচল। সড়কে কয়েকটি চেকপোস্ট থাকলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বেপরোয়া বাইক চলাচল।
সড়কের এই নৈরাজ্য বন্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি জানিয়ে স্থানীয়রা বলছে, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা গেলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিনই এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার খবর জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এছাড়াও কিশোর-তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল রেসের কারণেও অহরহ সড়কে অকালে প্রাণ ঝরছে। গত ১৬ সেপ্টম্বর রাতে স্কুল ছাত্র কাব্য তার বন্ধু সুজানাকে নিয়ে ঘুরতে আসে পূর্বাচলের এই সড়কে। বউরারটেক এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেকে ডুবে যায়। ১৭ তারিখে সুজানার মরদেহ এবং ১৮ তারিখ কাব্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৮ তারিখে এই সড়কের সুলফিনা ভূঁইয়াবাড়ি ব্রিজে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যান আব্দুর রউফ ও সিপন নামের দুই ব্যবসায়ী।
শুধু দুর্ঘটনাই নয়, এসব সড়ক ঘিরে রয়েছে আরো নানা অনিয়ম। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, উল্টো পথে যানবাহন চলা থামছে না। হকারদের অবৈধ দখলদারিও রয়েছে এখানে। সেই সঙ্গে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করার চিত্র চোখে পড়ছে নিয়মিত। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয় না, যা নিরাপত্তাহীনতা আরো বাড়িয়ে তুলছে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সড়কের আশপাশে খোলা বাজার থাকায় সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিদের ভিড় থাকে। এ সময়ে রাজধানী ও আশপাশের এলাকার কিশোররা মাতাল অবস্থায় প্রতিযোগিতামূলকভাবে গাড়ি চালায় এই সড়কে। চেকপোস্টের অভাব ও প্রশাসনের নজরদারির শিথিলতার সুযোগেই তারা এমন ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে।
রূপগঞ্জ থানার অফিসারইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের লোকবলের সঙ্কট রয়েছে। তারপরও আমরা স্বাধ্যমত চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। টহল পুলিশ এসব সড়কে রাতে সক্রিয় থাকে। আগের চেয়ে অনেকটা দুর্ঘটনা কমে আসছে। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।


মেহেরপুরে কালোবাজারে পাচারের সময় সার জব্দ, খুচরা ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি

মেহেরপুরে সার সংকটে কৃষক দিশেহারা। বিভিন্ন ডিলারদের কাছে থেকেও সরকারি মুল্যে সার কিনতে পারছেননা। অথচ, ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের যোগসাজসে কালোবাজারে সেই সার পাচার হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর ) সকালে গাংনী উপজেলার বিএডিসির ডিলারের সার খুচরা ব্যবসায়ীর মাধ্যমে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহে পাচারের সময় জনতার আটক করেন। স্থানীয় জনতা গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসকে খবর দেন। উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। পরে সার ব্যবস্থাপনা সংশোধনী আইন ২০১৮ এর ৪ ধারায় দোষী সাবস্থ হওয়ায় খুচরা সার ব্যবসায়ী মের্সাস আলীম ট্রেডার্সের মালিক বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মাহাবুব হাসানকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও উদ্ধার হওয়া ১২ বস্তা টিএসপি সার স্থানীয় কৃষকদের মাঝে সরকারি মূল্যে তাৎক্ষণিক বিক্রি করেন।
এদিকে খুচরা সার ব্যবসায়ী মাহবুব হোসেন জানান, সে মুলত কীটনাশক ব্যবসায়ী। স্থানীয় বিসিআইসি সার ডিলার এনআর ট্রেডার্সরে মালিক এনামুল হকের কাছ থেকে গোপনে ১২ বস্তা সার কিনে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ গ্রামের খুচরা সার ব্যবসায়ী লাল মোহাম্মদের কাছে বিক্রি করেছি। তিনি আরও জানান,প্রত্যেকটা ডিলার আমাদের মত খুচরা সার ব্যবসায়ীদের কাছে গোপনে সার বিক্রি কেরেন। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে তাদের এনআইডি কার্ড জমা নিয়ে সার বিক্রি করি।
এদিকে স্থানীয়রা এলাকার জন্য বরাদ্দকৃত সার অন্যস্থানে কালোবাজারীর মাধ্যমে পাচার হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, আমরা ডিলারদের কাছে ধর্ণা দিয়েও সরকারি মূল্যে সার কিনতে পারছিনা। কিন্তু খুচরা দোকানে গেলে ১৪ শ টাকা বস্তার টিএসপি সার সাড়ে ২২ শ বা ২৩ শ টাকা দিলে দিচ্ছে। আবার গাংনীর সার কালোবাজারীর মাধ্যমে মেহেরপুর ও মুজিবনগর উপজেলার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যাচ্ছে। মার খাচ্ছে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
জানা গেছে, সার ডিলার এনামুল হকের বাড়ি গাংনী উপজেলা শহরে হলেও তিনি ধানখোলা ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এনামুল হক সার কৃষকদের মাঝে সরকারি মুল্যে বিক্রি না করে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় কালোবাজারে বিক্রি করে থাকেন।িইতোমধ্যে এলাকার ভূক্তভোগী কৃষকরা তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি বিভাগে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্ত অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেইনি জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ।
সার কালোবাজারী সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য কৃষি বিভাগ চেষ্টা করছে বলে জানালেন, গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার
ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি যেসব ডিলার সার কালোবাজারে দিচ্ছেন তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


banner close