বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

মাদারীপুরে আগুনে ৬ ঘর পুড়ে ছাই

মাদারীপুরের কালকিনির রামারপোল-নামার চর গ্রামে ৬টি ঘর আগুনে ভস্মীভূত। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিনিধি, মাদারীপুর
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, মাদারীপুর

মাদারীপুরের কালকিনিতে অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সোমবার দুপুরে রান্না ঘরের চুলা থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার জানি‌য়ে‌ছে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও ফায়ার সার্ভিস অফিস জানিয়েছে, উপজেলার কয়ারিয়া এলাকার রামারপোল-নামার চর গ্রামের কাজী বাড়িতে একটি রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুন লাগে। এই আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে করিম কাজী, রহিম কাজী, ছালাম কাজীসহ ছয়টি বসত ঘর ও ঘরের সব জিনিস জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। পরে আগুনের শিখা দেখে কালকিনি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ভুক্তভোগী ছালাম কাজী বলেন, ‘আগুন আমাদের নিঃস্ব করে দিয়ে গেছে। এখন আমরা পরিবার নিয়ে যাব কোথায়? বসবাড়ি হারিয়ে এখন পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আছি।

কয়ারিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান মন্টু বলেন, চুলা থেকে আগুন লেগে ৬/৭টি পরিবার শেষ হয়ে গেল। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অফিসের কর্মকর্তা মো. খোকন জানান, উপজেলা সদর থেকে কয়ারিয়া এলাকা অনেক দূরে হওয়ায় আমরা ঘটনাস্থলে যেতে যেতে বেশ কয়েটি ঘর পুড়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে পুড়ো গ্রাম চলে যেত।


পাবনার বালু ব্যবসায়ীকে গাইবান্ধায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা

নদী থেকে বালু উত্তোলন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অবৈধভাবে বলগেট ব্যবহার করে বালু তোলার অভিযোগে লিটন মিয়া (৩৪) নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সুন্দরগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান।

এর আগে একই দিন বেলা পৌনে ১২টার দিকে সুন্দরগঞ্জের কাপাশিয়া ইউনিয়নের কছিম বাজারের মোশাররফের ঘাট এলাকা এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মাসুদুর রহমান। অভিযুক্ত লিটন মিয়া পাবনা সদরের ইসলাম সাথী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

সহকারী কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, অভিযুক্ত লিটনের বাড়ি পাবনা জেলায়। তিনি কাপাশিয়ার স্থানীয়দের সহযোগিতায় অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা করতেই সুন্দরগঞ্জে বসবাস শুরু করেন। লিটন দীর্ঘ দিন ধরে সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে নদী থেকে বালু তুলে বিভিন্নভাবে বিক্রি করতেন। স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

এসি ল্যান্ড জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বাল্কহেড ব্যবহার করে বালু তোলা ও কৃষিজমির ভাঙনসহ নদী তীরের ক্ষতি করায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে অভিযুক্তকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

বিষয়:

ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মারধর, সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন কুমার রায়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২২ মার্চ, ২০২৩ ০০:১৬
প্রতিনিধি, ফরিদপুর

ফরিদপুরে আলোচিত সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন কুমার রায়কে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। একই সঙ্গে তাকে সংগঠন থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় তিনজনকে মারধরের অভিযোগ ছিল রায়মোহনের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে র‍্যাব-৮-এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা সদরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে রায়মোহনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাতেই তাকে সালথা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে মঙ্গলবার ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ থেকে রায়মোহনকে অব্যাহতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন কুমার রায়কে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সাদিক বলেন, গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা রায়মোহনের সঙ্গে একটি মেয়ের চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই মাস আগে তাদের সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে গত ১০ মার্চ দুই পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা সালিশ করেন। সেখানে সমাধানের পরিবর্তে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান।

এ ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। এরপর ১৩ মার্চ রায়মোহনকে দ্রুত বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে তরুণী পরিবার। একই দিন জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে রায়মোহন রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করতে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়। পরে এ ঘটনায় সালথা থানায় মামলা হয়।

তবে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে মামলার এজাহারে ওই তরুণীর বাবা উল্লেখ করেন, ছাত্রলীগ নেতা রায়মোহন তার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিলেন। আদতে তার মেয়ের সঙ্গে রায়মোহনের কোনো সম্পর্ক ছিল না। গত ১০ মার্চ ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় তিনি ওই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেন।


গণধর্ষণের মামলা মিথ‍্যা প্রমাণিত, আইনজীবীর স্ত্রী কারাগারে

নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, নওগাঁ

নওগাঁয় গণধর্ষণের মামলা মিথ‍্যা প্রমাণিত হওয়ায় এক আইনজীবীর স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-২-এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ নির্দেশ দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২-এর স্পেশাল পিপি এ‍্যাডভোকেট মকবুল হোসেন জানান, কারাগারে যাওয়া ওই নারীর স্বামীর নাম অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম। ওই নারী বদলগাছী উপজেলা কোলা ইউনিয়নের গয়রা গ্রামের মোজাহার আলীর মেয়ে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কারাগারে যাওয়া ওই নারী নিজেকে বিধবা পরিচয় দিয়ে একই গ্রামের হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ২০১৩ সালে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে এ বছরের ৯ মার্চ এক রায়ে মামলাটি সম্পূর্ণভাবে মিথ‍্যা প্রমাণিত হয়ে সব আসামি বেকসুর খালাস পান।

এরপর মিথ‍্যা মামলা করার দায়ে হাবিবুর রহমান গত ২০ মার্চ নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ আদালতে ১৭/৩ ধারায় মামলা করলে ওই নারী আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়:

শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা: চার শিক্ষকসহ পাঁচজন কারাগারে

আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় চার শিক্ষকসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২২ মার্চ, ২০২৩ ০০:১৬
প্রতিনিধি, নওগাঁ

নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাত হোসেনকে (১৪) আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় চার শিক্ষকসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

সোমবার বিকেলে তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমতিয়াজুল ইসলাম।

তারা হলেন কীর্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজাহারুল ইসলাম (৫৬), সহকারী শিক্ষক মো. সাজেদুর রহমান সাজু (৪৩), সুবল মণ্ডল (৩৯), মো. নজরুল ইসলাম (৫১) ও দাসকান্দি গ্রামের মৃত হক সাহেবের ছেলে মিঠু। মামলার এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. স্মরণ শাহরিয়ার (১৬), হৃত্বিক (১৬), রিয়াদ হোসেন (১৬)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৩১ মে সকালে স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কীর্ত্তিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিফাত হোসেনকে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্মরণ শাহরিয়ার, হৃত্বিক ও রিয়াদ হোসেন মারধর করে। ঘটনাটি সিফাত তার পরিবারকে জানালে ওই দিনই সিফাতের বাবা মিজানুর রহমান প্রধান শিক্ষক আজহার আলীর কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বিষয়টিতে কর্ণপাত না করে উল্টো সিফাতকেও মারপিট করতে বলেন, নতুবা হাতে মেয়েদের চুড়ি পরে থাকতে বলেন।

এদিকে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী স্মরণ শাহরিয়ারের বাবা সাজেদুর রহমান শিক্ষার্থী সিফাতকে গালিগালাজ করেন এবং স্কুল থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকি দেন। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুবল মণ্ডল ও নজরুল ইসলামও সিফাতকে নিয়ে হাসাহাসি করেন। এভাবে উপহাসের পাত্র হওয়ায় তীব্র মনঃকষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরে ওই দিন রাতেই কীটনাশক খায় সিফাত। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন (১ জুন) দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে নওগাঁ আমলি আদালতে ওই বছরের ৯ জুন মামলা দায়ের করেন।

বিষয়:

পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজে নবীন বরণ

পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২২ মার্চ, ২০২৩ ০০:০৫
প্রতিনিধি, পঞ্চগড়

স্নাতক (পাস) ও স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিল পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ। মঙ্গলবার কলেজ চত্বরে এ নবীন বরণ অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান। তিনি বলেন, পড়ালেখা করে ভালো ফলাফল করে কলেজ ও এলাকাকে আলোকিত করতে হবে। সরকারি মহিলা কলেজ বরাবরই ভালো ফল করে আসছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মেয়েরা সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে পারবে।

কলেজের অধ্যক্ষ নাজির হোসেন মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এমআর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলওয়ার হোসেন প্রধান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ।

এর আগে রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে প্রবীণ শিক্ষার্থীরা নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন। শেষে কলেজের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি, সুধীজন, সাংবাদিক, বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

রাজশাহীতে ৪ ওয়ান শুটারগানসহ দুই অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক

র‌্যাবের হাতে আটক দুজন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীতে চারটি ওয়ান শুটারগানসহ দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা।

সোমবার রাতে নগরীর বেলপুকুর রেলক্রসিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও এক বোতল ফেনসিডিল, একটি মোটরসাইকেল ও নগদ আট হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।

আটক দুজন হলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার হাঁসবাড়িয়া গ্রামের রেজাউল করিম (৩৮) ও শেরপাড়া গ্রামের আবু রায়হান ওরফে তোতা (৩০)।

র‍্যাব-৫-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৫-এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল নগরীর বেলপুকুর রেলক্রসিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ এই দুজনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে নগরীর বেলপুকুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়:

গার্ল-ইন-স্কাউট ডে ক্যাম্পে বাল্যবিবাহ রুখে দেয়ার শপথ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গার্ল-ইন-স্কাউট ডে ক্যাম্প। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২২ মার্চ, ২০২৩ ০০:০৮
প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

বাল্যবিবাহ, মাদকসহ সামাজিক নানা অসঙ্গতি দূর করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে গার্ল-ইন-স্কাউট ডে ক্যাম্প। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কল্যাণপুর, হর্টিকালচার সেন্টারে মঙ্গলবার দিনব্যাপী এ আয়োজনে জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গার্ল ইন স্কাউটের ৩০টি দল অংশ নেয়।

সকালে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পাপিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটসের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সহসভাপতি মুসফিকুর রহমান, সহকারী কমিশনার আশরাফুল আম্মিয়া সাগর, জেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রশিদ, জেলা স্কাউট লিডার খসুরু পারভেজ, জেলা কাব লিডার কে এ এম মাহফুজুর রহমানসহ অন্যরা।

দিনব্যাপী আয়োজনে গার্ল-ইন-স্কাউটের সদস্যরা স্কাউটিং সম্পর্কে ধারণা নেয়ার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে নিজেদের সম্পৃক্ত করা ও বাল্যবিবাহ, মাদকসহ সামাজিক নানা অসঙ্গতি দূর করতে ভূমিকা রাখার শপথ নেন। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয়।


প্রতিপক্ষের হামলায় শিক্ষার্থী নিহত, সংঘর্ষে আহত ২ পুলিশ

নিহত শহীদুলের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, মাগুরা

মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের গাংনী গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় শহিদুল ইসলাম (২১) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার জের ধরে স্থানীয় গ্রামবাসীর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন তিনজন। পুলিশ আট গ্রামবাসীকে আটক করেছে।

সোমবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত শহীদুল গাংনী গ্রামের বাদশা মোল্লার ছেলে। তিনি মাগুরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেকাট্রনিক্স বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিহত শহিদুল ইসলামের ভাই আব্দুল কাদেরসহ স্বজনরা বলছেন, সদরের কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের গাংনী ও পাটখালী পাশাপাশি দুটি গ্রাম। এলাকার আধিপত্য নিয়ে কুচিয়ামোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রহমান ও কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মন্টুর ছেলে বিপ্লব হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। আব্দুর রহমান ও বিপ্লব হোসেন দুজনেই স্থানীয় সামাজিক দলের নেতা। ১৫ দিন আগে ভিলেজ পলিটিক্স নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে স্থানীয় গাবতলা মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্ট ছিল। এ অনুষ্ঠান নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিভক্ত দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ হয়। চলমান এই বিরোধের জের ধরে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল।

স্থানীয়রা বলছেন, এরই একপর্যায়ে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুর রহমানের সমর্থক শহিদুল ইসলাম ও মানিক মোল্লা স্থানীয় বাজার থকে বাড়ি ফেরার পথে পাটখালী তেতুল তলা এলাকায় পৌঁছালে বিপ্লব হোসেনের সমর্থক গাংনী গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে আম্মানসহ একদল ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের দুজনকে কুপিয়ে জখম করেন। সেখানেই শহীদুল ইসলামের মৃত্যু হয়। আহত মানিক মোল্লাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে মাগুরা সদর থানা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় গ্রামবাসীর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে রকিবুল ও মাছুম বিল্লাহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জব্বারুল ইসলাম জানান, সামজিক বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গাংনী গ্রামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরেকজন। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে রকিবুল ও মাছুম বিল্লাহ নামে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে আট গ্রামবাসীকে আটক করেছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েনসহ টহল অব্যাহত রয়েছে।

বিষয়:

পতিত জমিতে সুখের নিবাস

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামে দুই একর জমির ওপর ১০০টি পরিবারের জন্য নির্মিত হয়েছে আশ্রয়ণের ঘর। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২১ মার্চ, ২০২৩ ২৩:১৭
আমানউল্লাহ আমান, সিলেট গোয়াইনঘাট থেকে

একসময় ছিল পতিত জমি। সেচের অভাবে হতো না ফসল। দখলে ছিল ভূমিদস্যুরা। সেই জমিতেই নির্মিত হয়েছে শত ঘর। ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের ঠিকানা এখন এই পতিত জমি।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামে দুই একর জমির ওপর ১০০টি পরিবারের জন্য নির্মিত হয়েছে আশ্রয়ণের ঘর। তৈরি হয়েছে নতুন রাস্তা। কাটা হয়েছে খাল। বসতির সঙ্গে গড়ে উঠেছে দোকান। আর এ সবের সঙ্গে সঙ্গে জেগে উঠছে অসহায় মানুষের বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্ন।

মঙ্গলবার প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের প্রাক্কালে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। যার বদলে বেঁচে থাকার স্বপ্ন পেয়েছে বাস্তব রূপ- সেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজেদের ভাগ্য বদলের কথা বলতেই যেন এই প্রস্তুতি। নতুন ঘর ধুয়েমুছে পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি গাছ লাগিয়েছেন অনেকেই। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালনে স্বাবলম্বী হওয়ার সংগ্রামী চেষ্টার গল্পই যেন বলবেন আশ্রয় পাওয়া মানুষেরা।

অভাবী মানুষরা নিজের বাড়ির আঙিনা পরিষ্কারের পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থল সাজাতে হাত লাগিয়েছেন। শিশুরা মেতেছে নতুন ঘর পাওয়ার আনন্দে। বাড়ির আঙিনায় খেলাধুলা করেই কাটছে তাদের সময়।

সারা দেশে সরকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর করে দিচ্ছে গৃহহীনদের। বেশ কয়েক ধাপে এরই মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘এ উপজেলায় সর্বমোট ১১ শ একটি ঘর নির্মাণ করেছি। ইতিমধ্যে ৮৯৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আর ১২৪টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ে এগুলো হস্তান্তর হবে। আজ অনলাইনে যুক্ত হয়ে নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১০০টি ঘর উদ্বোধন করবেন।’

তিনি আরও জানান, পুরো প্রকল্পের এলাকা হচ্ছে ৫ একর ৩৬ শতাংশ জায়গায়। এই প্রকল্পের মানুষ একই সঙ্গে পুকুর ও খাল পাচ্ছে। খালি জায়গায় তাদের জন্য কৃষি প্লট করা হয়েছে। এক হাজার ফলজ, বনজ ও ওষুধ গাছ লাগানো হয়েছে। একই সঙ্গে তারা যেন মৌসুমী সবজি চাষ করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের খালের পানির বদৌলতে পতিত জমিও চাষাবাদের আওতায় এসেছে।

ইউএনও বলেন, ‘আমাদের পকল্পের পুরো জায়গা ভূমিদস্যুদের হাতে ছিল। বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমার মোকাবিলা করে আমরা এ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি। এটি একটি বন্যাকবলিত এলাকা। সে বিষয়টিও মাথায় রেখে প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। টেকসই ঘর নির্মাণ করার জন্য কোনো অংশেই আমরা ছাড় দেইনি। সাম্প্রতিক বন্যায় যেসব মানুষ তাদের সর্বস্ব হারিয়েছেন, তাদেরই আমরা এখানে ঘর বরাদ্দ দিচ্ছি।’

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামের শরিফ উদ্দিন দুই বছর আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছেন। আগে খাস জমিতে মাটির ঘর ছিল। তার স্ত্রী শাহানা বেগম (৩৫) বলেন, ‘আগে মাটির ঘর ছিল। কোনো রকম থাকা যেত। নতুন ঘর পাওয়ায় আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। দুই বছর আগে আমাদের একটি গরু ছিল। এখন ৬টি গরু আছে।’

একই গ্রামে এক বছর আগে আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছেন হোসেন আহমেদ। তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম বলেন, ‘আগে এখানে ছোট একটা ঘর ছিল। ঝুপড়ির মতো। বৃষ্টি হলে ঘরে পানি পড়ত। খুব কষ্ট করছি। অসহায় দেখে সরকার ঘর দিয়েছে। আগের চেয়ে এখন আমরা অনেক ভালো আছি। স্বামী দিনমজুরি করে আর আমি বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন করি। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চির ঋণী।’

একই গ্রামে ঘর পেয়েছেন রুকিয়া বেগম। স্বামী আবদুল্লাহ পাথরের কাজ করেন। আগে বাসা ভাড়া দিয়ে থাকতেন। ফলে সঞ্চয়, সন্তানের লেখাপড়ার জন্য আর কিছুই অবশিষ্ট থাকত না।

তিন সন্তানের জননী রুকিয়া বলেন, ‘ছেলেমেয়ে তিনজন। তাদের মাস্টার বানানোর ইচ্ছে আছে। নতুবা তাদের সরকারি চাকরি করাতে চাই।’

বুধবার ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ জেলার ৩টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ হস্তান্তর করবেন। এগুলো হলো- গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বানারীপাড়া পৌরসভায় উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্প।

প্রকল্পের অধীনে ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২ শতক জমিসহ সেমিপাকা একক ঘর পাচ্ছেন গৃহহীন মানুষেরা।

তথ্যমতে, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে হস্তান্তরিত ঘরের সংখ্যা ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি। চতুর্থ পর্যায়ে অবশিষ্ট নির্মাণাধীন ঘরের সংখ্যা ২২ হাজার ছয়টি।

বিষয়:

ধর্ষণের পর শিশুর মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয় দুজন

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২১ মার্চ, ২০২৩ ২৩:১২
প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান মীমকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা জানান, ধর্ষণের পর তারা শিশুটির মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার গামারিতলা ইউনিয়নের কলসিন্দুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. সজিব (১৫) ও মো. ইসরাফিলের ছেলে মো. ইউসুফ (১৯)। সোমবার রাতে ধোবাউড়া সদর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।

আদালত পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গ্রেপ্তার দুজনকে ময়মনসিংহের মুখ্য ৫ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক ইকবাল হোসাইনের আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে ইউসুফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। গ্রেপ্তার সজিবের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে গাজীপুরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নিহত নুসরাত জাহান মীম (১১) একই গ্রামের দিনমজুর খোকন মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান বলেন, হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করে শিশুটির পরিবার। এ ঘটনায় চারজনকে আটকের পর দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বিষয়:

ইউপি নির্বাচনে সংঘর্ষ: পুলিশের গুলিতে আহত একজনের মৃত্যু

নিহত ইয়াসিন সেখের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২১ মার্চ, ২০২৩ ২৩:১৬
প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ সদরের লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে পুলিশের গুলিতে আহত ইয়াসিন সেখের (৩২) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত ইয়াসিন সেখ পেশায় ট্রলিচালক। তিনি সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামের রাজ্জাক সেখের ছেলে।

নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত এক হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা দুটি করা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে স্থানীয় পুরুষরা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামে ইয়াসিনের বাড়িতে পৌঁছায় তার মরদেহ। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

সোমবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গণেশ বিশ্বাস পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া ইভিএম ছিনতাইয়ের ঘটনায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন প্রিসাইডিং অফিসার সেলিম তালুকদার।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরমানিকদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা জেলা সদরে ফিরছিলেন। এ সময় পরাজিত তিন প্রার্থী মতিয়ার রহমান ফকির, পলু মোল্লা ও ইব্রাহিম কাজী নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালালে আহত হন ইয়াসিন সেখ (৩২), কালাম শেখ (৩৫), ও সম্রাট মোল্লা (৩২)। এর মধ্যে ইয়াসিন ও কালামকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ জানান, লতিফপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে সদর থানার ওসি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ওসির গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।


‘আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে’

রনি আকতারের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, চকরিয়া (কক্সবাজার)

কক্সবাজারের পেকুয়ায় কলেজছাত্রী রনি আকতারের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পেকুয়া সদরের চৌমুহনীতে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় রনি আকতারের মা অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মানববন্ধনে রনির মা খালেদা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ১৩ মার্চ সাতকানিয়ায় ডেকে নিয়ে যায় আমিনুর রহমান। বিয়ের কথা বললে পরদিন আমিনুরের মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজনরা তাকে নির্যাতন করে হত্যা করে। এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচণায় মামলা রুজু করে।’

খালেদা বেগম আরও বলেন, ‘আমার মেয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে আসামিরা। তাকে দাফনের আগে যারা গোসল করিয়েছে, তারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে আঁতকে উঠেছে। তার বুকের দুপাশ, ঘাড় ও দুই হাতে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।’

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, নিহত রনি আকতার পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাইছড়ি এলাকার জাকের আহমদের মেয়ে। তিনি পেকুয়ার বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৩ মার্চ সকালে কলেজে যাওয়ার পথে রনিকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমিনুর রহমান সাতকানিয়ার বারদোনা গ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে যান। পরদিন ভোরে সাতকানিয়া থানা পুলিশ সেখান থেকে রনির লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ওইদিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে সাতজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়। মামলার আসামিরা হলেন— চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা এলাকার সাব্বির আহমদের ছেলে আমিনুর রহমান, তার ভগ্নিপতি মো. এনাম, ভাই মো. ফারুক, বোন হাছিনা আকতার ও নাছিমা আকতার এবং পেকুয়া সদরের শেখেরকিল্লাহ ঘোনার আবদুল হামিদ ও মো. কায়েস।

এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদনে কীটনাশক পানে রনির মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করে পুলিশ। এ বিষয়ে রনির মা খালেদা বেগম বলেন, নির্যাতনে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে হত্যাকারীরা, যেন আত্মহত্যা বলে চালানো যায়।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, রনিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে যদি হত্যার আলামত আসে, অবশ্যই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে এবং সে ধারায় অভিযোগপত্র দেয়া হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পেকুয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা আজমগীর, সাংবাদিক এফ এম সুমন, বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তণ ছাত্র পরিষদের নেতা তারেক নাজেরী, টৈটং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল হোসেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তফা মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা মো. বাহাদুর ও নিহত কলেজছাত্রী রনি আকতারের বাবা জাকের আহমদ।


ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত

ঘটনার পরই সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২১ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৩৩
প্রতিনিধি, কক্সবাজার

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে দুই রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে উখিয়ার বালুখালীর ১৩ নং ক্যাম্পের জি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন ১৩ নং ক্যাম্পের জি ব্লকের বেচা মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ রফিক (৩০) ও মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ রফিক (৩৪)। এর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলে এবং অপরজনকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৮) নামে আরেক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বালুখালীর ১৩ নম্বর ক্যাম্পে জি ব্লকে ১৫-১৬ জনের একদল সন্ত্রাসী তাদের এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান রফিক (৩০)। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান অপর রফিক (৩৪)। ইয়াছিন নামে আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।’

৮ এপিবিএনের সহকারী পরিচালক (এএসপি) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি এপিবিএন ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।’


banner close