শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
১১ পৌষ ১৪৩২

টঙ্গীতে ভবন থেকে পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড
১৯ মার্চ, ২০২৩ ১৭:১০
প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত : ১৯ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৫৯

গাজীপুরের টঙ্গীতে বহুতল ভবন থেকে পড়ে কামরুন নাহার (৪১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী নাজিমুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে টঙ্গী ভরান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। টঙ্গী পূর্ব থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।

কামরুন নাহার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছোট হরণ গ্রামের মৃত হাজি আব্দুল গনি মিয়ার মেয়ে। সপ্তাহখানেক আগে তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে টঙ্গীর ভরান এলাকায় স্বামী নাজিমুদ্দিনের চিলেকোঠার বাসায় বেড়াতে আসেন।

টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন ফারুক জানান, টঙ্গীর ভরান এলাকার ওই আটতলা ভবনের চিলেকোঠায় বাস করতেন নাজিমুদ্দিন। তিনি কেয়ারটেকার হিসেবে বাড়িটি দেখাশোনা করতেন। সপ্তাহখানেক আগে গ্রাম থেকে বেড়াতে আসেন স্ত্রী কামরুন নাহার। শনিবার দিবাগত রাতে ওই ভবনের অষ্টম তলা থেকে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে, সেই সঙ্গে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে স্বামী নাজিমুদ্দিনকে আটক করে।

মহিউদ্দিন ফারুক আরও জানান, ভবনের মালিক জাহাঙ্গীর মৃত কামরুন নাহারের বড় ভাই। জাহাঙ্গীর প্রবাসে থাকায় কামরুন নাহারের স্বামী নাজিমুদ্দিন ওই বাড়িটি দেখভাল করতেন। আটতলার চিলেকোঠার বারান্দায় কোনো রেলিং নেই। পাশের একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ভবন থেকে কামরুন নাহারের পড়ে যাওয়ার দৃশ্য পাওয়া গেছে। তবে তিনি দুর্ঘটনাবশত পড়ে গেছেন না কি, কেউ ফেলে দিয়েছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনিব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিষয়:

কুষ্টিয়ায় বিজিবির তৎপরতায় ‘১৪ ভারতীয় নাগরিক’ পুশ ইনে ব্যর্থ বিএসএফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।

এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’


শাহবাগে হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ

আপডেটেড ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫৮

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নিলে ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এই কর্মসূচিতে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন।

এর আগে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সংগঠনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দেশব্যাপী দোয়া-মোনাজাত ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। শাহবাগে অবস্থানকালে আন্দোলনকারীরা ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন। এ সময় তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অবরোধ চলাকালে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের ঘোষণা দেন যে, হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে তারা শাহবাগেই রাত্রিযাপন করবেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শেষে রিকশাযোগে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ১৫ ডিসেম্বর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং দেশজুড়ে বিচারের দাবিতে আন্দোলন দানা বেঁধে ওঠে।


ঘন কুয়াশায় লঞ্চ চলাচল বন্ধের নির্দেশ, দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে নৌ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের ভয়াবহ সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘন কুয়াশার মধ্যে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এই নির্দেশনা প্রদান করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় যে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিটি লঞ্চে ফগ লাইট ও সাইড লাইটের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সব নৌযানের ফিটনেস ও লাইসেন্স তদারকি করতে নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন উপদেষ্টা।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ঢাকা থেকে ঝালকাঠিগামী ‘অ্যাডভেঞ্চার-৯’ এবং ঘোষের হাট থেকে ঢাকাগামী ‘এমভি জাকির সম্রাট-৩’ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। চাঁদপুরের হাইমচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে রাত আড়াইটার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চারজন যাত্রী নিহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের ৫ জন কর্মীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে যাদের আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সদরঘাটে দুর্ঘটনাকবলিত এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি পরিদর্শন করেন নৌ উপদেষ্টা ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন। পরিদর্শনকালে তিনি নিহতের স্বজন ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে গভীর সমবেদনা জানান। তিনি ঘোষণা করেন যে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া দোষী মালিকপক্ষকেও তলব করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের পক্ষ থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিত করা যায়।


ঝালকাঠিতে হাদির স্মরণে দেওয়ালে দেওয়ালে গ্রাফিতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

নিজ জেলা ঝালকাঠিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন দেওয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তার সাহসী সংগ্রাম, প্রতিবাদী চেতনা ও আত্মত্যাগের গল্প। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী এই গ্রাফিতি কর্মসূচির আয়োজন করেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।

শহরের বিভিন্ন স্থানে আঁকা গ্রাফিতিগুলোতে উঠে আসে প্রতিবাদী স্লোগান ও মানবিক বার্তা। কোথাও লেখা ছিল—‌‘জান দেব, জুলাই দেব না’, ‘আবার কোথাও ‘আমি আমার শত্রুর সাথেও ন্যূনতম ইনসাফ করতে চাই’।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির রেখে যাওয়া সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ থেকে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবেই এই গ্রাফিতি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সামনে আরও এমন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওসমান হাদি ছিলেন আগ্রাসন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন কণ্ঠ। ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধেও তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তার সেই প্রতিবাদী আদর্শ ও স্মৃতি নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ।’


রাজশাহীতে মাসব্যাপী কুটিরশিল্প মেলা শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহীতে মাসব্যাপী ১৮তম বস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরীর কেন্দ্রীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার উত্তর পাশের মাঠে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। উইমেন এন্টারপ্রিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওয়েব)-এর ২২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ওয়েব রাজশাহীর উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলা চলবে আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়েব রাজশাহী শাখার সভাপতি মোসা. আঞ্জুমান আরা পারভীন লিপি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতি হাসেন আলী, জাতীয় দৈনিকের পত্রিকার সম্পাদক লিয়াকত আলী, জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক জিয়া উদ্দিন আহমেদ, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রাজশাহীর সভাপতি মরিয়ম বেগম।

এ ছাড়া ওয়েব রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার, প্রচার সম্পাদক মৌসুমী খাতুন, প্রচার সম্পাদক শামীমা সুলতানা মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সততা খাতুন, সদস্য বিপাশা দাসসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা ও নারী উদ্যোক্তা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে মোট ৪৫টি স্টল বসানো হয়েছে। মেলায় বেত ও বাঁশের তৈরি সামগ্রী, সিরাজগঞ্জের তাঁতবস্ত্র, গার্মেন্ট পণ্য, ক্রোকারিজ, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী, গিফট আইটেম ও ভ্যারাইটিস পণ্যসহ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের নানা পণ্য স্থান পেয়েছে। দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্যের পাশাপাশি আধুনিক নকশার পণ্যও দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই উদ্যোক্তাদের সরাসরি ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি করে। এতে উদ্যোক্তারা ন্যায্যমূল্য পান এবং কারিগররাও উৎসাহিত হন। একই সঙ্গে দেশীয় পণ্যের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়ে এবং বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমে।

দর্শনার্থীরাও মেলাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তাদের মতে, এক জায়গায় দেশীয় হস্তশিল্প ও তাঁত পণ্যের সমাহার থাকায় কেনাকাটা সহজ হচ্ছে। পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সঙ্গে আধুনিক নকশার সমন্বয় নতুন প্রজন্মকেও আকৃষ্ট করছে। মাসব্যাপী এই তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা রাজশাহী অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।


ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তিতে জমকালো আয়োজন

* নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফরিদপুর প্রতিনিধি

জমকালো নানা আয়োজনে নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পালিত হচ্ছে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান। যেখানে এক ডানায় মিলিত হয়েছে সাবেক ষাটোর্ধ্ব থেকে বর্তমান দশ বছরের নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীরা, যেন সকলেই শৈশবের স্কুল জীবনে মেতে উঠেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বেলুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা ও পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তীব্র শীত আর কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোর থেকেই স্কুল প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। সকলের অংশগ্রহণে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় কোরআন তেলাওয়াত, গীতাপাঠ, সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, শপথপাঠ ও অ্যাসেম্বেলি।

বেলা ১১টায় প্রায় সাত সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়কে প্রেসক্লাব মোড়, জনতা ব্যাংকের মোড়, থানা রোড, কাঠপট্টি, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ সড়ক ও কোর্ট চত্বর হয়ে স্কুলে গিয়ে শেষ হয়। এ ছাড়া প্রথমদিনের কর্মসূচি হিসেবে স্মৃতিচারণা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলবে।

ব্রিটিশ-ভারত সরকারি উদ্যোগে হাতে গোনা যে কয়টি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে তার একটি ফরিদপুর জিলা স্কুল। আজ থেকে ১৮৫ বছর আগে ১৮৪০ সালে যাত্রা শুরু করে এ বিদ্যালয়টি। শুরু থেকেই এ অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, আন্দোলন ও সংগ্রামে এ স্কুলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কালের পরিক্রমায় মর্যাদা ও গৌরবে আজও এ বিদ্যালয়টি এ অঞ্চলের একটি সেরা বিদ্যালয় হিসেবে তার স্বকীয় ভাবমূর্তি বজায় রেখেছে।

অনুষ্ঠানকে সার্থক করতে গঠন করা হয়েছে গৌরবময় ১৮৫ বর্ষ উদযাপন ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটি। ২১ সদস্যবিশিষ্ট এ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ফরিদপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান শামীম ও সদস্য সচিব ওয়াহিদ মিয়া কুটি। এর পাশাপাশি কাজের সুবিধার জন্য বিভিন্ন কাজের জন্য গঠন করা হয়েছে ১৮টি উপকমিটি।

উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘এ উৎসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের প্রাণের স্কুলের সমৃদ্ধ অতীত ও ঐতিহ্য সবার সামনে তুলে ধরা, পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে তাদের অতীত ও ঐতিহ্যর পরিচয় করিয়ে দেওয়া।

এছাড়া অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় নগর বাউল জেমস সংগীত পরিবেশন করবেন বলে আয়োজক কমিটি জানান।


টানা ছুটিতে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকের ঢল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বান্দরবান প্রতিনিধি

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিনের ছুটিসহ সাপ্তাহিক ছুটিতে পাহাড় প্রিয়দের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে পর্যটন নগরী বান্দরবান। জেলার মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি, তমাতুঙ্গীসহ সবগুলো দর্শনীয় স্থানে এখন পর্যটকের ভিড়। পাহাড়, নদী, ঝরনা আর প্রকৃতির অপরূপ রূপ দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা।

পর্যটকরা যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততা ভুলে কোলাহল মুক্ত পরিবেশে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে পর্যটকরা চাঁদের গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে।

জেলার মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিক লেক, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি, নীল দিগন্তসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এখন ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। বন্ধের দিন ছুটিতে বান্দরবানে ভ্রমণ করতে পেরে খুশি পর্যটকরা।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা থেকে বান্দরবানের মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে আসা পর্যটক মো. রায়হান বলেন, বান্দরবানের সৌন্দর্য অতুলনীয়। পাহাড়, মেঘ আর প্রকৃতির এমন দৃশ্য সত্যি বিরল।

ঢাকা থেকে বান্দরবানের নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণে আসা পর্যটক জেসমীন বলেন, ‘বড়দিনের তিন দিনের ছুটিকে ঘিরে বান্দরবান ঘুরতে আসলাম। বান্দরবান না আসলে বুঝতাম না এত সুন্দর এই জেলা। পাহাড়ের গঠন দেখে সত্যি মুগ্ধ হচ্ছি আর সেই সঙ্গে ঝরনা আর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির বসবাস দেখে নতুন শিক্ষা নিচ্ছি।’

এদিকে পর্যটকদের আগমনে জেলার বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল আর রিসোর্টগুলো ইতোমধ্যে শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে, দীর্ঘদিন পরে এমন ভরপুর পর্যটন মৌসুমে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

বান্দরবানের আবাসিক হোটেল হিলটনের ম্যানেজার তপন বড়ুয়া বলেন, ‘২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষে আমাদের ৭০ শতাংশ রুম বুকিং রয়েছে শুক্র ও শনিবার প্রায় ১০০ শতাংশ বুকিং হবে আশা করছি।’

বান্দরবানের আবাসিক হোটেল আরণ্যর ম্যানেজার মো. জিয়া বলেন, ‘খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিনের ছুটিসহ সাপ্তাহিক দুদিনের ছুটিতে বান্দরবানে পর্যটকদের উপচে পড়া ঢল পড়েছে আর আমাদের হোটেলে শতভাগ রুম বুকিং রয়েছে।’

বান্দরবান জেলা হোটেল-রিসোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘বান্দরবানে তিন দিনের বন্ধকে ঘিরে প্রচুর পর্যটক আগমন হচ্ছে আর পর্যটকদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে আমরা বান্দরবান জেলা হোটেল-রিসোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা কাজ করে যাচ্ছি।’

এদিকে পার্বত্য জেলা বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা আর পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোনের ইনচার্জ মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘বান্দরবানে সারাবছরই পর্যটকের আগমন ঘটে আর যেকোনো দিবস ও বন্ধে প্রচুর পর্যটক বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলার দর্শনীয় পয়েন্টগুলো ভ্রমণে ছুটে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। এর পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে। আমাদের নম্বরগুলো বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া আছে কোনো ট্যুরিস্ট কোথাও হয়রানির শিকার হলে সাথে সাথে আমরা ব্যবস্থা নেব। আশা করি পর্যটকরা নিরাপদে বান্দরবানে বেড়াতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটকরা যাতে বান্দরবান ভ্রমণ করে আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সে জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোন সদস্যরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।’

এদিকে খাগড়াছড়ি শহরের আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন, ‘তিন দিনের ছুটি এবং নতুন বছরকে উপলক্ষ করে আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র সাজানো হয়েছে। পর্যটকেরাও এসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।’

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি হোটেল–মোটেল ও গেস্টহাউস রয়েছে। ছুটিকে সামনে রেখে অধিকাংশ হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে গেছে। সাধারণত পর্যটকরা জেলার আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝরনা, দেবতার পুকুর, হর্টিকালচার পার্ক, তৈদুছড়া ঝরনা, বিডিআর স্মৃতিসৌধ, মায়াবিনী লেক, শান্তিপুর অরণ্য কুঠির ইত্যাদি জায়গা দেখার জন্য খাগড়াছড়িতে আসেন।

খাগড়াছড়ি মিলনপুর এলাকার হোটেল গাইরিংয়ের ব্যবস্থাপক প্রান্ত ত্রিপুরা বলেন, ‘তাদের সব কটি কক্ষ আগামী রোববার পর্যন্ত বুকিং রয়েছে।’ হোটেল অরণ্য বিলাসের ব্যবস্থাপক আহম্মদ রশিদ জানান, আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত তাদের হোটেলেও কোনো কক্ষ খালি নেই।

পর্যটকদের ভিড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শহরের বিভিন্ন দোকানিরাও। জেলার স্বপ্নচূড়া রেস্তোরাঁর কর্ণধার নেইম্রা মারমা বলেন, ‘ছুটি উপলক্ষে স্থানীয় ও বাইরের ক্রেতা বাড়ছে। ভিড় সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার ছায়েম মির্জা আজম বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ও মোড়ে নিরাপত্তার স্বার্থে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।’


তিতাস গ্যাসের বার্ষিক সভা : ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিতাস গ্যাস টি. এন্ড ডি. পিএলসি―র ৫ম বিশেষ সাধারণ সভা (EGM) এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৪৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ডিজিটাল প্লাটফর্মে (হাইব্রিড সিস্টেম) অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোঃ সাইফুল্লাহ পান্না, সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও চেয়ারম্যান, তিতাস বোর্ড সভাপতিত্ব করেন। এতে কোম্পানির পরিচালকমন্ডলী, পেট্রোবাংলা ও তিতাস গ্যাসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ এবং সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণ অংশগ্রহণ করেন।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তিতাস গ্যাস টি. এণ্ড ডি. পিএলসি―এর ব্যবস্থাপক (মিডিয়া ও জনসংযোগ) মো. আল আমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

আলোচ্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কোম্পানির ৪৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২% নগদ লভ্যাংশ এবং সরকারের Equity’র বিপরীতে Preference Share ইস্যুর সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।


সোনাইমুড়ী হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে বাড়ছে রোগীদের ভোগান্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নোয়াখালী উত্তর প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বর্তমানে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। যার ফলে দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।

তথ্য বলছে, ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ২০০৬ সালে কমপ্লেক্সটিকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। তবে, জনবল সংকটে উপজেলাবাসীকে চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছে না জনগুরুত্ব সম্পন্ন এ সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। এটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও সেবার মান বাড়েনি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য বলছে, হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি ও অবস) ডাক্তার সোহানা সিকদার বদলি হওয়ার পর ২ বছর ধরে এ পদটি শূন্য রয়েছে। জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষুবিদ্যা) দীর্ঘ বছর ধরে নেই। জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক্স) ডাক্তার ইমতিয়াজ অন্যত্র বদলি হওয়ার পর ৪ বছর ধরে পদটি শূন্য রয়েছে। জুনিয়র কনসেন্টেন্ড (কার্ডিওলজি) ডাক্তার ইকবাল দেড় বছর পূর্বে বদলি হওয়ার পর এ পদটি ও শূন্য রয়েছে। ১৭ জন মেডিকেল অফিসার পদের বিপরীতে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ৫ জন। ২১ জন নার্সের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে ৮ জনকে। ৪ জন মিডওয়াইফের কাজ করছেন মাত্র ১ জন। তিনটি নৈশপ্রহরী পদের মধ্যে রয়েছেন ১ জন। ৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর স্থলে রয়েছেন ৪ জন মাত্র। এভাবেই সব ক্ষেত্রেই জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার আবর্তে জোড়াতালি দিয়ে চলছে এ সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা।

হাসপাতালে সীমানা প্রাচীর নেই। ৩ জন নৈশপ্রহরীর স্থলে রয়েছেন ১ জন। বিভিন্ন সময় চুরি হয়ে যাচ্ছে রোগীদের মূল্যবান জিনিসপত্র। মূল ভবন ও আবাসিক কোয়ার্টারের দরজা, জানালা, গ্রিল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া সন্ধ্যার পরে মাদকসেবী ও বখাটেদের সীমাহীন উৎপাতে অনিরাপদ হয়ে ওঠে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা।

সেবাপ্রার্থী নাজমা বেগম বলেন,‘ তিনি গাইনি বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। কিন্তু কোনো ডাক্তার না থাকায় তাকে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।’ এভাবে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। শূন্য পদে দ্রুত জনবল নিয়োগের দাবি করেন তিনি।

কালিকাপুর গ্রামের সহিদ উল্লাহ বলেন, ‘তার স্ত্রী রজিনা আক্তারকে গাইনি বিশেষজ্ঞের দেখানোর উদ্দেশ্যে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় তারা প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।’

সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন জানান, হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ অনেকগুলো শূন্য রয়েছে। ১৭ জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে ডাক্তার সাদিক, তাহামিনা, রাফাত, সৌরভ ও মাসুদ দায়িত্ব পালন করছেন। এতে করে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, মেডিকেল অফিসার ও কর্মচারী নেই। গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় সিজার বিভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। নিরাপত্তার অভাবে।’ আবাসিক কোয়ার্টারে বসবাসকারীরা বাসার বরাদ্দ বাতিল করেছেন। প্রায় সময় রোগীদের মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মরিয়ম সিমি বলেন, ‘ডাক্তারসহ অন্যান্য কর্মচারী সংকট দীর্ঘদিনের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার চিঠি দিয়েছেন। লোকবল কম দিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে।’


নির্বাচন সামনে রেখে দৌলতপুরে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ৮ হাজার টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় মাঠে নেমেছে প্রশাসন।

এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এই অভিযান চলে। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ কুমার দাশ।

​অভিযান চলাকালে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন না থাকায় ৪টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসাথে জানানো হয়, এই জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তদের ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

​নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ কুমার দাশ জানান, নির্বাচনকে ঘিরে কেউ যেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে না পারে, সেজন্য এই অভিযান নিয়মিত চলবে। তিনি সাধারণ মানুষকে আইন মেনে চলে প্রশাসনকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।


কনটেইনার-কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন রেকর্ড

# জেটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের তাগিদ ব্যবহাকারীদের
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

ট্যারিফ বাড়ানো নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি, শুল্ক কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি ও পরিবহন ধর্মঘটসহ নানা বাঁধা পেরিয়ে চলতি বছর কনটেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে চট্টগ্রাম বন্দর। তবে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দরের নৌচ্যানেলে নিয়মিত ড্রেজিং এবং জেটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের তাগিদ বন্দর ব্যবহারকারীদের।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৩৩ লাখের বেশি কনটেইনার এবং ১৩ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন কার্গো পণ্য। একই সঙ্গে বন্দরে ভিড়েছে ৪ হাজার ৩০০টিরও বেশি জাহাজ, যা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর আমিন আহমেদ আবদুল্লাহ দৈনিক বাংলাকে বলেন, চলতি বছর জাহাজ, কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং—সব ক্ষেত্রেই আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চার হাজারের বেশি জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। বাল্ক কার্গোর ক্ষেত্রে ১৩ কোটি ২৭ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পণ্য এবং ৩৩ লাখের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং সম্পন্ন হয়েছে। অর্থবছর শেষে কনটেইনারের সংখ্যা ৩৪ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, কাস্টমসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় করে ইয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা দূর করে উদ্ভাবনী উদ্যোগ নেয়ার ফলেই এই নতুন মাইলফলক স্পর্শ করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যে বন্দরের গেট ও পিয়ারসাইড অপারেশন অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি দেশের ২১টি বেসরকারি অফডকও বছর শেষ হওয়ার আগেই কনটেইনার ও বাল্ক কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এসব অফডকে বছর শেষে রফতানিতে প্রায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং আমদানিতে প্রায় ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বিপ্লব দৈনিক বাংলাকে বলেন, ২০২৪ সালের সঙ্গে তুলনা করলে ২০২৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ও বেসরকারি অফডকগুলোকে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। এর মধ্যে পরিবহন ধর্মঘট ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি উল্লেখযোগ্য। তবে এসব বাধা অতিক্রম করেই এগিয়ে চলছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।

তিনি আরও বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও বাণিজ্যের ধারাবাহিকতার কারণে আমদানি ও রফতানি-উভয় ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি এসেছে। তবে রফতানির তুলনায় আমদানিতে প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে, কারণ দেশের উন্নয়ন প্রকল্প ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। স্টেকহোল্ডারদের নিরলস প্রচেষ্টা ও দায়িত্বশীলতার ফলেই এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

অপরদিকে প্রায় ৩৯ বছর পর ২০২৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে গিয়ে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, প্রতিযোগী দেশগুলোর বন্দরের তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দর ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। এ কারণে ট্যারিফ বাড়ানোর পাশাপাশি সেবার মান বাড়াতে হবে।

বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান বলেন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারত কিংবা ভিয়েতনামের তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দরের খরচ বেশি। ব্যবহারকারীরা বেশি অর্থ পরিশোধ করলেও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সেবার উন্নতি প্রত্যাশিত হারে হচ্ছে না। মূল্য বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেবার মানে দৃশ্যমান উন্নয়ন প্রয়োজন।

দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৯৩ শতাংশই সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তাই বাণিজ্যের স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দরের নৌচ্যানেলে নিয়মিত ড্রেজিং এবং জেটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে নাব্য সংকট কাটিয়ে অন্তত ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে জিসিবির মতো ইয়ার্ডে গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জাম স্থাপন জরুরি বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহাকারীরা।

বছরে এর আর্থিক পরিমাণ দুই লাখ কোটি টাকারও বেশি। আন্তর্জাতিক শিপিং সাময়িকী লয়েড লিস্টের হিসাবে, বিশ্বের ব্যস্ততম একশটি বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬৮তম।


গজারিয়ায় পুলিশের টহল গাড়িতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, সার্জেন্টসহ আহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হাইওয়ে ও থানা পুলিশের টহলরত দুটি গাড়িতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় হাইওয়ে পুলিশের এক সার্জেন্টসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটির চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বালুয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলো, গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট আহসান হাবিব ও কনস্টেবল নয়ন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, মহাসড়কে দায়িত্ব পালনকালে হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশের দুটি টহল গাড়ি বালুয়াকান্দি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার পাশে অবস্থান করছিল। এ সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টহলরত গাড়ি দুটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পুলিশের দুটি গাড়িই মহাসড়কের ওপর উল্টে যায় এবং হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট আহসান হাবিব, কনস্টেবল নয়ন আহত হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটির চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার ফলে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে কিছু সময়ের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল সিকদার জানান, টহলরত দুটি গাড়ি মহাসড়কের পাশে অবস্থান করছিল। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান সজোরে গাড়ি দুটিকে ধাক্কা দিলে থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের দুটি গাড়িই উল্টে যায়। এতে হাইওয়ে পুলিশের এক সার্জেন্ট ও এক পুলিশ সদস্য আহত হন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, 'দুর্ঘটনার পর যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'


টঙ্গীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে জুলাই যোদ্ধা সুরভী গ্রেফতার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কথিত জুলাই যোদ্ধা তাহরিমা জান্নাত সুরভী (২১) গ্রেফতার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে বারোটার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন টেকপাড়া এলাকার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সুরভী ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।

যৌথবাহিনীর কাছে গ্রেফতার হওয়া সুরভী বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পুলিশ জানায়, সুরভীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় নাইমুর রহমান দুর্জয় নামের এক যুবকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলায় চাঁদাবাজি, অপহরণ করে অর্থ আদায় ও ব্ল্যাকমেইলিং-এর মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন বলেও দাবি পুলিশের।

উল্লেখ্য, গ্রেফতার তাহরিমা জান্নাত সুরভী নিজেকে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিতেন। অভিযান শেষে তাকে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।


banner close