বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

উন্নয়নের মূল স্রোতে ভূমিহীনরা

আশ্রয়ণের ঘরের সামনে বসে বেতের ঝুড়ি তৈরি করছেন এক দম্পতি। গত রোববার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। ছবি: দৈনিক বাংলা
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর
প্রকাশিত
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর
প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০২৩ ০৯:০৮

‘শেখ সাব আমাগো লাইগা দ্যাশ স্বাধীন করছিল। স্বাধীনের পর দ্যাশের জন্নি (জন্য) কাজও শুরু করছিল। কিন্তুক আমরা শেখ সাবরে বাঁচাইব্যের পারি নাই। ম্যালা দিন শেখের বেটি দ্যাশে আসতে পারে নাই। এখন আল্লায় তারে সরকার বানানোর জন্নি ক্ষমতা দিছে। শেখের বেটি আমাগো জন্নি ঘর বানাই দিতেছে। শেখের বেটিরে আল্লায় বাঁচায়ে রাহুক (রাখুক)।’

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুরাইচ ইউনিয়নের জয়দেবপুর এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন অশীতিপর আলতাফ ফকির। তার মতো অনেক গৃহহীন-ভূমিহীন প্রবীণকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর দেয়া হয়েছে। এতে তাদের স্থায়ী ঠিকানার পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফরিদপুর অঞ্চলের বয়োবৃদ্ধ ও প্রবীণরা ‘শেখ সাব’ নামে ডাকেন। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন ‘শেখের বেটি’।

ফরিদপুরে সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ‘স্বপ্ননগর’। এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রায় ৩০০ ঘর তৈরি করা হয়েছে। স্বপ্ননগরে ঘরের পাশাপাশি এখানকার বাসিন্দাদের জন্য স্থাপন করা হয়েছে একটি মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাছের বাজার। আলফাডাঙ্গার ওপর দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীর ভাঙনের কবলে যারা নিঃস্ব হয়েছেন, পরিবারসহ তারাই আশ্রয় পেয়েছেন এই স্বপ্ননগরে।

স্বপ্ননগর প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন ছবেদা বেগম (২১)। স্বামী রাসেল মোল্যা একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী। দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে রাস্তার পাশে ঘর তুলে থাকতেন। এখন নিজেদের ঠিকানা পেয়েছেন। জীবনসংগ্রামকে এগিয়ে নিতে এই ঘর তাদের কাছে জিয়নকাঠির সমতুল্য।

ছবেদা বেগম বলেন, ‘আগের থাইক্যা অহন অনেক ভালোই আছি। এই হাঁস-মুরগি পালতেছি। গতবার ১০ হাজার টাকা বেঁচছি। এই বছরও ছয় হাজার টাকার বেঁচছি। এহনো আমার কাছে ২০ হাজার টাকার হাঁস-মুরগি আছে। স্বামীর রোজগার আর আমার এই আয় দিয়্যা এহন আমাগের আয়-উন্নতি হইতেছে। সরকারের এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে আইস্যা এহন নিজেগের জীবনডারে গুছায় নিবার পারতেছি।’

সরেজমিনে স্বপ্ননগর আশ্রয়ণ প্রকল্পে গেলে সেখানের বাসিন্দারা গত এক বছর সময়ে তাদের জীবন যাপনের চিত্র তুলে ধরেন। তারা বলেন, এক বছর আগেও তারা ছিলেন ভূমিহীন। মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। আগে সন্তানদের নিয়ে এখানে-সেখানে আশ্রয় খুঁজতেন। এখন ঘরের সঙ্গে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থাও হয়েছে।

স্বপ্ননগরে ঘর পেয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী সচিন দাস (৬৫)। স্ত্রী সবিতা দাসকে (৫৬) নিয়ে এখন বাঁশ ও বেতের বিভিন্ন গৃহস্থালি পণ্য তৈরি করেন। এর মধ্যে রয়েছে ধামা, কুলা, খলই ও ডালা। সচিন বলেন, ‘আগেও হাতে তৈরি এসব জিনিসপত্র বেঁচে দিন চলত। কিন্তু নিজের কোনো ঠিকানা না থাকায় ভরসা ছিল না। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই হওয়ায় নিজেরা এসব বিক্রি করে সংসার গোছানোর স্বপ্ন দেখতেছি।’ তবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) সহায়তা করলে তিনি আরও এগিয়ে যেতে পারবেন বলে জানান।

ছবেদা বেগম ও সচিন দাসদের মতো অনেকেরই জীবন বদলে যাওয়ার গল্প তৈরি হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে। আগে তারা যেসব ঘরে থাকতেন, সেগুলোর দিকে তাকালে ভেসে উঠত কবি জসীমউদ্‌দীনের সেই ‘আসমানীদের ভেন্না পাতার ছানির’ চিত্র।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলায় সব মিলিয়ে প্রায় সাত হাজার ভূমিহীন পরিবার এ পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী হয়েছেন। এসব পরিবার তাদের নিজ নিজ আঙিনায় এরই মধ্যে কৃষি ও হাঁস-মুরগির খামার গড়ে তুলছেন। বাড়ির উঠানে লাগানো হয়েছে পুঁইশাক ও শিমসহ নানা সবজি।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, গত দেড় বছরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের নিয়ে একটি শুমারি করেছি। তাতে দেখা গেছে, আগে তাদের মাসিক উপার্জন ছিল গড়ে ছয় হাজার টাকা। আশ্রয়ণ প্রকল্পে আসার পর তা বেড়ে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকার মতো হয়েছে। এখানে প্রশিক্ষণ দেয়ায় তাদের দক্ষতা বেড়েছে। তারা সন্তানদের শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে মানুষ করতে পারছেন। সব মিলিয়ে তাদের স্বাস্থ্য, গড় আয়ু, শিক্ষা ও আয় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে।

জেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯৭ শতাংশ ঘরে এখন মানুষজন বসবাস করছেন। বাকি ৩ শতাংশ ঘরের মানুষ কাজের প্রয়োজনে বাইরে গেছেন। তার পরও কোনো ঘর খালি থাকলে তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুনদের দেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত কর্মকর্তারা জানান, দেশের আশ্রয়হীনরা যখন আত্মমর্যাদা হারাতে বসেছিল, ঠিক তখনই সরকার তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই উদ্যোগ যেমন মানবিক তেমনই সংবিধানের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের পদক্ষেপ। এখন তারা উন্নয়নের মূল স্রোতে ফিরে মানসম্মত জীবন যাপনের মাধ্যমে আত্মমর্যাদাশীল নাগরিকে পরিণত হবেন।

বিষয়:

গাইবান্ধায় অটোচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আইয়ুব আলী দুলা (৫২) নামে এক অটোচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টার টার দিকে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সিন্টাজুরি এলাকা হতে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা।

তিনি বলেন, ‘সোমবার দিনগত রাত ১টার দিকে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সিন্টাজুরি এলাকায় এক অটোচালকের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ ওই রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি রাত পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১২টার মধ্যে ঘটানো হয়েছে। মরদেহের পাশ থেকে অটোটিসহ চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং চালকের পরিহিত পোশাকের ভেতরে থাকা কিছু নগদ টাকাও পাওয়া গেছে। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা এবং প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে মনে হচ্ছে ঘটনাটি পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটানো হতে পারে, ছিনতাই নয়।’

এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ জড়িতদের শনাক্ত এবং তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’

বিষয়:

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা টোল আদায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

ঈদের আর মাত্র বাকি দুইদিন। ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৬ টা থেকে মঙ্গলবার ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ৪২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং যার মোট টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৩৬ লাখ ৬ হাজার ৮৫০ টাকা।

এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ২৭ হাজার ২৩২টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা এবং সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১৬ হাজার ১৯৫ টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকা।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে প‌রিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগ‌তিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর উপর এক‌টি বাস নষ্ট হওয়ায় পাঁচ মি‌নিট বন্ধ ছিল প‌রিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন‌্য প‌রিবহনগুলোতে ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়েছে। প‌রিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখ‌তে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দা‌য়িত্ব পালন কর‌ছেন।

বিষয়:

বাগেরহাটে কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ১, আহত ৩

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৪৮
বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সময় গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে জেলার কচুয়া উপজেলা চরসোনাকুড় গ্রামে মো. আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাট শহরের বাসস্টান্ড এলাকায় বিলবোর্ড ভেঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের উপর পড়ে বাসের চালকসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

রোববার সকাল সাড়ে ৯টার এ ঘূর্ণিঝড়ে জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, কচুয়া ও বাগেরহাট সদর উপজেলার কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। সেই সাথে বিধ্বস্ত কয়েক শত কাঁচা ও আধা কাঁচা বাড়িঘর। ঝড়ে গাছ পড়ে ও বিদ্যুৎতের খুটি উপড়ে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ে জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলাগুলোতে গাছপালা উপড়ে পড়ার পাশাপাশি কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে ও বিদ্যুৎতের খুটি উপড়ে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পুরো জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ।’

তিনি বলেন, ‘জেলার প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮ লাখ টাকা ও ৬শ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে।’

বিষয়:

ঘরের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে দুই শতাধিক গৃহহীন পরিবারের

গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গাগড়া এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে দুই শতাধিক বাড়ি। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মীর আনোয়ার আলী, রংপুর

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মুজিববর্ষের ৪র্থ ধাপে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রীর এমন অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করা হচ্ছে। সারা দেশের ন্যায় গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গাগড়া এলাকায় গৃহ নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও নাহিদ তামান্না মর্ণেয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গাগড়া এলাকায় ২১০ টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য মুজিব শতবর্ষের ঘর নির্মাণ কাজ তদারকি করছেন। প্রতিটি পরিবারের জন্য ২ শতাংশ জমির ওপর ২টি সেমি পাকা ঘর, ১টি রান্না ঘর ও ১টি টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এতে করে ২১০টি পরিবারের ঘর নির্মাণ করতে মোট ব্যয় হবে ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ঘরগুলোর প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইউএনও।

সরেজমিনে উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গাগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, প্রবেশদ্বারে লাগানো রয়েছে প্রকল্পের তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড। উঁচু জমিতে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে বাড়িগুলোর নির্মাণ কাজ চলছে। এরই মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশংসা করে জানান, প্রকল্পের ঘরগুলো এখন মানসম্মতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘর তৈরিতে উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সব সময় তদারকি করছেন, কাজের নির্মাণ সামগ্রী এবং নির্মাণ কাজ মানসম্মত। এক সাথে অনেকগুলো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করায় প্রকল্পটির সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে, যা দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। ছোট ছোট ঘর নির্মাণে উন্নত সামগ্রী ব্যবহার করায় দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। অসহায় মানুষগুলো তাদের দুঃখ কষ্ট ভুলে গিয়ে রঙিন এ ঘরে বসবাস করার যে স্বপ্ন দেখছিলেন তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল দেশের কোন মানুষ গৃহহীন বা না খেয়ে থাকবে না, তাই তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের ঘোষণা অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় গঙ্গাচড়া উপজেলায় ঘর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেন, ‘ঘর নির্মাণ কমিটি নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে নিয়জিত আছেন। আমি কাজগুলো সব সময় তদারকি করছি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মনিটরিং অফিসার এসে নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরগুলো খুবই কঠোরভাবে মনিটরিং করা হয় এবং সচিত্র প্রতিবেদন রাখা হয়। প্রকল্পের কাজ নিয়মানুযায়ী সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।’

বিষয়:

নানার বাড়ির পাশে মিলল শিশুর লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নিখোঁজের এক দিন পর সাকিব সিকদার (১০) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাচঁরুখী গ্রামে নানা বাড়ির পাশ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সাকিব রুপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকার জিকু সিকদারের ছেলে।

আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ জানান, ১৭-১৮ দিন আগে শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে উপজেলার পাঁচরুখী গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে আসে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে তার মা তাকে ব্লেড আনতে বাজারে পাঠান। এরপর থেকে সে আর বাড়ি ফিরেনি। এদিকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তার নানাদের নতুন বাড়ির পাশে শিশুটির লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। সে সামান্য বাকপ্রতিবন্ধী ছিল।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।


ফেনীতে ট্রাক-ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মুহুরীগঞ্জে আজ সকালে রেলপথ পারাপারের সময় বালুবোঝাই ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন বালুমহাল এলাকায় চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের একজন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কাউয়ারাকা গ্রামের আবুল হাওলাদারের ছেলে ট্রাকচালক মো. মিজান (৩২)। অপর নিহত ট্রেনযাত্রীর নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার জাকির হাসান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকটি অন্তত ১০০ মিটার সামনে গিয়ে পড়ে। গেইটম্যান মো. সাইফুল ট্রেন অতিক্রম করার সময় সেখানে ছিলেন না।

ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক শাহ আলম জানান, রেললাইনের উপর পড়ে থাকা দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক সরিয়ে নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরপর ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম ট্রেন দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়:

বিদ্যুতের খুঁটিতে মোটরসাকেলের ধাক্কা: স্বামী-স্ত্রী নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ ব্যুরো

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিদ্যুতের খুঁটিতে মোটরসাকেলের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীকুড়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, কুড়িগ্রামের রৌমারির জনাব আলীর ছেলে সাইদুর রহমান (২৮) ও তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২২)।

বিষয়টি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল হক।

তিনি বলেন, ‘ভোরে ঈদের ছুটিতে সাইদুর তার স্ত্রীকে মোটরসাইকেলে নিয়ে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থেকে নিজ বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারিতে যাচ্ছিলেন। সকাল ৮টার দিকে হালুয়াঘাটের লক্ষ্মীকুড়া বাজার এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে দ্রুত গতির মোটরসাইকেলটি ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সাইদুর। পরে আশপাশের লোকজন সোনিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।’

মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন এবং এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি মো. মাহবুবুল হক।

বিষয়:

ঈদযাত্রা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলে ধীর গতি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঈদে ঘরমুখো মানুষের যানবাহনের অত্যাধিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। ফলে গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার জুড়ে যান চলাচলে ধীরগতি দেখা গেছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এবং কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশেও এমন অবস্থা রয়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া পাখির মোড় এবং তেতৈতলা হাঁস পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ঢাকামুখী লেনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কুমিল্লামুখী লেনে ধীর গতিতে যান চলাচল হচ্ছে। গজারিয়া অংশের ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজট রয়েছে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি এবং নারায়ণগঞ্জের অংশেও যানজট রয়েছে।

ফেনীগামী প্রাইভেটকারচালক নুরুল হক বলেন, ‘কাঁচপুর থেকেই জ্যামে পড়ি আমরা। কাঁচপুর থেকে গজারিয়ার ভবেরচরে আসতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেল। রাস্তায় কোথাও এক্সিডেন্ট হয়েছে বা গাড়ি নষ্ট হয়েছে এরকম কিছু দেখলাম না কিন্তু রাস্তায় প্রচুর যানবাহন।’

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যানজট নয়, তবে যানবাহনের ধীর গতি রয়েছে। মহাসড়কে একটি গাড়ি বিকল হয়েছিল তা আমরা সরিয়ে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মূলত ঈদযাত্রা শুরু হওয়ায় যানবাহনের অত্যাধিক চাপই ধীরগতির কারণ। হাইওয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’


রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির চেষ্টা, আহত ৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির চেষ্টায় দূর্বৃত্তের হামলায় দুই আনসার সদস্যসহ ৫ জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। আত্মরক্ষার্থে আনসার সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়লে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।

বুধবার রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের গেটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-মহা ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে ৫০-৬০ জনের একটি সশস্ত্র দল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের গেট দিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রবেশের চেষ্টা করে। বাঁধা দিলে অস্ত্রধারীরা গেটে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের উপর হামলা করে। এসময় নিরাপত্তাকর্মীদের ডাক চিৎকারে আনসার সদস্যরা ছুটে গেলে তাদের উপরও হামলা করে ডাকাত দল। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসার সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে ডাকাল দলটি পালিয়ে যায়। ডাকাত দলের হামলায় দুই আনসার সদস্যসহ ৫ জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের হামলায় দুই আনসার সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ৩ জনকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাস বলেন, ‘অস্ত্রধারীদের হামলায় ৫ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। পুলিশ হামলাকারীদের শনাক্ত ও আটকে অভিযান শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

বিষয়:

গজারিয়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:১১
গজারিয়া ( মুন্সীগঞ্জ ) প্রতিনিধিঃ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের ভিটিকান্দি এলাকায় রাস্তা পার হবার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন।

বুধবার সকাল ৯টার দিকে ভিটিকান্দি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলের চালক, গুরতর অবস্থায় তাকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

নিহতের নাম মো. ইব্রাহিম (৬০)। তিনি গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি গ্রামের হাবু শিকদারের ছেলে বলে জানা গেছে। মোটরসাইকেল চালকের নাম মাহবুব (২৮)। তিনি গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের মুদারকান্দি গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাস স্ট্যান্ড এলাকা দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন পথচারী ইব্রাহীম। এসময় ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী একটি মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দিলে সেটি পথচারী ইব্রাহিমকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। আহত হয় মোটরসাইকেল চালক মাহবুব। তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছেন স্থানীয়রা।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল চালক মাহবুবকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আহত মোটরসাইকেল চালককে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক প্রাইভেট কারটিকে সনাক্তের করার চেষ্টা চলছে।’


জানালার গ্রিল কেটে পৌরভবনের টাকা চুরি

আপডেটেড ২ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৩৮
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা ভবনে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরচক্র ভবনের দুই পাশের জানালার গ্রিল কেটে স্টিলের আলমারি ও ফাইল কেবিনেট ভেঙ্গে নগদ ছয় লাখ টাকা চুরি করেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার অফিসের কর্মচারীরা এ ঘটনা দেখতে পান।

নৈশ প্রহরী খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি সোমবার সারারাত ভবনেই ছিলাম। সকালে বিশেষ কাজে এতবারপুর যাওয়ার পর অফিস থেকে ফোন করে জানান অফিসে চুরি হয়েছে! কিভাবে কী হয়েছে আমি কিছুই জানি না।’

পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে পাম্প চালক ইব্রাহীম খলিল মজুমদার অফিসে এসে এ ঘটনা দেখেন এবং অন্যান্য কর্মচারীরা নিজ নিজ কক্ষে প্রবেশ করে এ ঘটনা দেখেন। এতে হিসাব রক্ষকের কক্ষ, বাজার শাখা, কর ও লাইসেন্স শাখার কক্ষের সাতটি স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা লুটে নেয় চোররা। সোমবার দিনগত রাতের কোনো এক সময়ে ওই চুরির ঘটনা ঘটে।’

চান্দিনা পৌরসভার মেয়ে মো. শওকত হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে চোর চক্রকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছি।’

চান্দিনা থানার ওসি আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন, ‘আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এ ঘটনায় পৌরসভা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

বিষয়:

ভোলায় ২০৫ মণ মাছ জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভোলা উপজেলা সদরের ভেদুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে ২ শ ৫ মণ মাছ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের একটি দল। সোমবার রাত ৯টার দিকে ফেরিঘাট এলাকার একটি মিনি ট্রাক থেকে ২’শ মণ পোয়া ও ৫ মন ইলিশ জব্দ করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন এইচ এম এম হারুন-অর-রশিদ আজ সকালে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি সদর উপজেলার তুলাতুলি এলাকা থেকে মাছ নিয়ে ফেরিঘাটের দিকে আসে ট্রাকটি। এটি বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিল।’

অভিযান চালিয়ে মাছ উদ্ধারের পর মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ট্রাক ড্রাইভারকে।

তিনি আরও বলেন, ‘জব্দ করা মাছ রাতেই স্থানীয় এতিমখানা, মাদ্রাসা ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়।’

ইলিশ সম্পদের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মার্চ ও এপ্রিল এ দুই মাস ভোলার মেঘনা এবং তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকার দুটি অভয়শ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।

বিষয়:

কলমাকান্দায় পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত 

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নেত্রকোণা প্রতিনিধি

নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল ইসলাম সবুজ মারা যান।

নিহত যুবকের নাম জহিরুল ইসলাম সবুজ (২৮)। সে পেশায় একজন ভাড়ায় মোটরসাইকেলচালক। নিহত সবুজ নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে।

সোমবার সকালে কলমাকান্দা উপজেলার রাজাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে জহিরুল মোটরসাইকেল করে তিন বস্তা চিনি নিয়ে কলমাকান্দা সদরে আসছিল। পথে রাজাপুর এলাকায় আসামাত্রই বিপরীত দিক থেকে আসা সাদা রংয়ের একটি পিকআপ গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে করে জহিরুল পিকআপ গাড়ির নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি দেখে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমন পাল তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পিকআপ গাড়িটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।’

বিষয়:

banner close