১৫ বছর বয়সে প্রতিমা নির্মাণে হাতেখড়ি। তখন অবশ্য বাবা-দাদাকে সহায়তাতেই সীমাবদ্ধ ছিল কাজ। বয়স ২০ বছর হলে নিজেই শুরু করেন প্রতিমা নির্মাণ। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেছে ৬০ বছর। শেরপুর সদরের বয়ড়া পরাণপুর পালপাড়ার মন্টুচন্দ্র পালের বয়স এখন ৮০। বংশপরম্পরায় কৈশোরে যে কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন, বয়োবৃদ্ধ হয়েও যে কাজ ছেড়ে দেননি। অভিজ্ঞ আঙুলের কারুকাজে এখনো নিপুণ প্রতিমা নির্মাণ করে চলেছেন তিনি। তার হাতে নির্মিত দেবী দুর্গাসহ লক্ষ্মী-সরস্বতী-কার্তিক-গণেশের প্রতিমা যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে ভক্তদের কাছে।
শারদীয় দুর্গোৎসব সামনে রেখে ফের ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন মন্টু চন্দ্র পাল। বয়ড়া পরাণপুর পালপাড়ার তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, এই বয়সেও কাদামাটি দিয়ে একটু একটু করে নিপুণ হাতে গড়ে তুলছেন দেবী প্রতিমা। সেই কাজ করতে গিয়ে শরীরে ক্লান্তি এলেও মনের আনন্দ তাকে ভুলিয়ে দেয় সেই ক্লান্তি।
৬০ বছর ধরে নিজ হাতে পালপাড়ার প্রতিমা তৈরির কারিগর মন্টুচন্দ্র পাল দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বাপ-দাদারা সবাই প্রতিমা বানাতেন। তাদের হাত ধরেই প্রতিমা বানানো শুরু। মা দুর্গার প্রতিমা তৈরি করে খুব আনন্দ পাই।’
মন্টুচন্দ্রের মতো তার ছেলেরাও বেছে নিয়েছেন প্রতিমা তৈরির কাজ। একই কাজে সহায়তা করে থাকেন পুত্রবধূরাও। কিন্তু বর্তমান সময়ে খরচের সঙ্গে কুলিয়ে এই পেশা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের জন্য।
মন্টু চন্দ্র বলেন, ‘এখন তো প্রতিমা তৈরিতে খরচ অনেক। কিন্তু প্রতিমার দাম তো আগের মতোই আছে। তাই লাভ খুব কম। এই লাভে প্রতিমা তৈরি করে কোনোভাবেই পোষায় না। তবে এ পেশা পূর্বপুরুষের পরম্পরার পেশা। তাই ছাড়তেও পারি না। এই বুড়ো বয়সে অন্য কিছু তো করতেও পারব না।’
প্রতিমা তৈরিতে শ্বশুরকে সহযোগিতা করছিলেন রেখা রানী পাল। তিনি বলেন, ‘আমার শ্বশুর ৬০ বছর ধরে এই কাজ করছেন। শ্বশুরের মতো আমরাও সবাই এ কাজ করছি। সব জিনিসের দাম বেশি। তাই এখন পোষায় না। সরকার আমাদের কিছু সাহায্য করলে খুব ভালো হয়।’
কদিন পরই শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবীদুর্গার আগমন ঘিরে তাই মন্টুচন্দ্র এবং তার ছেলে ও পুত্রবধূদের কাটছে ব্যস্ত সময়। একই চিত্র শেরপুরের অন্য কারিগরদেরও। তবে মন্টু চন্দ্রের মতো তাদেরও অভিযোগ, প্রতিমা তৈরি উপকরণের দাম বাড়ায় প্রতিমার খরচ বাড়লেও তারা কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না।
প্রতিমা কারিগর আদিত্য কুমার পাল বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে এ কাজ করছি। সব জিনিষের দাম বেশি। যে মজুরি পাই, এ টাকা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। এর আগে যে দামে প্রতিমা তৈরি করতাম, এখনো একই দামে করতে হচ্ছে। কিন্তু সব জিনিসের দাম তো বেড়ে গেছে। সেটা কেউ বোঝেন না।’
প্রতিমা কারিগরদের বাড়ি ঘুরে দেখা যায়, কাদামাটি দিয়ে দুর্গাসহ কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী আর সরস্বতীর অবয়ব অনেকটাই তৈরি এখন। এখন শুরু হবে রঙের আঁচড় দেয়ার কাজ। তারপর অলংকরণের মাধ্যমে মণ্ডপে যাওয়ার প্রস্তুত হবে প্রতিমাগুলো।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য থেকে জানা যায়, এ বছর শেরপুর জেলায় ১৬৩টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুর সদরে ৭৭টি, নালিতাবাড়ীতে ৩৬টি, নকলায় ২১টি, ঝিনাইগাতীতে ১৯টি ও শ্রীবরদী উপজেলায় ১০টি মণ্ডপ রয়েছে। ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসব।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এই হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে ডেন্টাল এক্স-রে মেশিন, ডেন্টাল চেয়ার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে দাঁত উঠানো, রুট ক্যানেল, ফিলিং, স্কেলিং ও দাঁতে ক্যাপ পড়ানোসহ গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাসেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটছে। এতে থাকায় চরম ভোগান্তি ও কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলা ছাড়াও জেলার পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল ও গোপালপুর উপজেলা থেকে প্রতিদিন শতশত রোগীরা এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা নেন। রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে শুধুমাত্র ব্যথা ও গ্যাসের ট্যাবলেট নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। ফলে প্রায় কার্যত ডেন্টাল চিকিৎসা সেবা অচল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, ডেন্টাল বিভাগ ছাড়াও হাসপাতালটি চিকিৎসক সংকটেও ভুগছে। হাসপাতালের ভেতরের পরিবেশ অনেকটা নাজুক। শৌচাগার দুর্গন্ধময় ও অপরিচ্ছন্ন এবং সেবাগ্রহীতারা প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ডেন্টাল চিকিৎসা নিতে আসা রোগী তানিয়া বেগম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি দাঁতে ব্যথায় ভুগছিলেন। পরে চিকিৎসা সেবা নিতে তিনি হাসপাতালে আসেন। চিকিৎসক তার দাঁত জানায় দাঁত তুলতে হলে আগে এক্স-রে লাগবে। কিন্তু এখানে এক্স-রে করার ব্যবস্থা নেই। পরে বাধ্য হয়ে বাহিরের ক্লিনিক থেকে তিনি এক্স-রে করেন।
অপর রোগী কাওছার মন্ডল বলেন, তাকে এক্স-রে করতে বাইরে যেতে বলা হয়েছে। তিনি গরিব মানুষ, তার কাছে টাকা নেই। হাসপাতাল থেকে শুধু প্যারাসিটামল দেওয়া হয়, এতে দাঁতের ব্যথা যায় না। তাছাড়া এ হাসপাতালে ব্যথা, গ্যাসটিক ও স্যালাইন ছাড়া কোনো ছাড়া তেমন কোনো ওষুধ মেলে না।
হাসপাতালে আসা এক রোগী বলেন, তিনি গরিব মানুষ, তার কাছে টাকা নেই। হাসপাতাল থেকে শুধু প্যারাসিটামল দেওয়া হয়, এতে দাঁতের ব্যথা যায় না। তাছাড়া এ হাসপাতালে ব্যথা, গ্যাসটিক ও স্যালাইন ছাড়া কোনো ছাড়া তেমন কোনো ঔষধ মেলে না। তাকে এক্স-রে করতে বাইরে যেতে বলা হয়েছে।
ভূঞাপুর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগের চিকিৎসক ডা. ওমর ফারুক জানান, তিনি একজন সহকারী চিকিৎমক নিয়ে প্রতিদিন শতাধিক জন রোগীকে দাঁতের চিকিৎসা দেন। কিন্তু ডেন্টাল বিভাগের এক্স-রে মেশিন, ডেন্টাল চেয়ার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নেই, যার কারণে তারা পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা দিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান আজাদ বলেন, এ হাসপাতালে ভূঞাপুর ছাড়াও আরও পার্শ্ববর্তী দুই উপজেলার রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসে। ফলে রোগীর চাপ বেশি। ডেন্টাল বিভাগের চিকিৎসক ও যন্ত্রপাতির সংখ্যা কম। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ডেন্টালের কিছু যন্ত্রাংশও বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ইতোমধ্যে তিনি উর্ধতন দপ্তরে জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাঁসের পিছু নিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে সাবাব মন্ডল (৩) ও তোহা মন্ডল (২) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের নতুনগ্রাম দিঘলাপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যাদুরচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সাবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুনগ্রাম দিঘলাপাড়া এলাকার শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। নিহত দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।
পারিবারিক-স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে শিশুদের বাবা ও মায়েরা ব্যস্ত ছিলেন গৃহস্থালির কাজ নিয়ে। এদিকে সাবাব মন্ডল ও তোহা মন্ডল নামের দুই শিশু খেলছিল। এমন সময় বাড়ির পালিত হাঁসের পিছু নিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন পানি থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা মাঠে নিহত দুই শিশুর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও ২৮ কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিএনপি থেকে মনোনিত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান, তার ছোট ভাই জামায়াতে ইসলামীর মনোনিত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফিউর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ না থাকায় নিহত দুই শিশুর মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে।
মাঠ ভরা সরিষা ফুলে স্বপ্ন বুনছে দুই জেলার কৃষক। এর মধ্যে মেহেরপুরে অনাবাদি ও দুই ফসলি জমিতে সরিষা আবাদ করে লাভের আশা করছেন চাষিরা। আর হেমন্তের কুয়াশায় সোনালি স্বপ্ন যশোরের কেশবপুরে সরিষা চাষে বাম্পার সম্ভাবনায় উৎসবে কৃষক। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত;
জুলফিকার আলী কানন মেহেরপুর থেকে জানান, মেহেরপুরে অনাবাদি ও দুই ফসলি জমিতে সরিষা আবাদ করে লাভের আশা করছেন চাষিরা। ভালো ফলন পেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। অনুকূল আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। কৃষকদের খরচ কমাতে ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে জেলা কৃষি বিভাগ দিয়েছে সব ধরনের সহযোগিতা। সরিষার ফুলের সঙ্গে কৃষকের আশার আলোও ছড়িয়ে পড়েছে মাঠময়। ভালো আবহাওয়া থাকলে এই মৌসুমে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে মেহেরপুরের কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে অন্যান্য আবাদের সাথে সরিষার রঙিন উৎসব। মাঠের দিকে তাকালেই চোখে পড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। একেবারে যেন হলুদের কারুকাজে সাজানো প্রকৃতি। বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার সবুজ পাতার ওপর হলুদের ঘ্রাণ; সেই সঙ্গে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। অনাবাদি ও দুই ফসলি জমিতে সরিষা আবাদ করে পরিবারে তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করার আশা করছেন চাষিরা।
মাইলমারী গ্রামের কৃষক আমাদের যেসব জমি অমন আবাদের পর কিছুদিন পড়ে থাকে সেসব জমিগুলোতে সরিষার আবাদ করি। এতে অল্প খরচে এবং চাষে নিজের বাড়ির তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি একটি মোটা অঙ্কের টাকা আয় হয়।
ভাটাপাড়া গ্রামের কৃষক ফরমান আলী বলেন, সরিষা আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি। তাই এই চাষের ফলে পতিত জমিটুকু থেকেও আমরা একটি মোটা অঙ্কের আয় করি।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এই খেত থেকে ১১ হাজার মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। সরিষা চাষে আগ্রহ তৈরি করতে জেলায় ৬ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সন্জিব মৃধা জানান, সরিষা তেলজাতীয় একটি আবাদ। আমন চাষের পর কিছুদিন জমি পতিত থাকে। সে সময় কৃষকরা এই চাষটি করে থাকেন। তারা অল্প খরচে অল্পদিনেই একটা ভালো আয় করেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষটি উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের প্রণোদনাসহ নানাভাবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে থাকি।
হারুনার রশীদ বুলবুল, কেশবপুর (যশোর) থেকে জানান: যশোরের কেশবপুর উপজেলার হেমন্তের সকাল। পাতলা কুয়াশার চাদর সরিয়ে নরম রোদ উঠতেই ফসলে দোলতে থাকা সরিষা ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন। বাতাসে ভাসে সরিষা ফুলের মাদকতাময় সুবাস। চারদিকে চোখ যতদূর যায় শুধুই হলুদের সমারোহ। প্রকৃতির এমন নৈসর্গিক রূপে সোনালি স্বপ্ন বুনছেন এখানকার কৃষকরা।
এ বছর কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে যেন সরিষা চাষের এক উৎসব নেমে এসেছে। আগাম জাতের বারি সরিষা চাষে যেমন ফলনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল, তেমনি কৃষকের মুখেও ফুটে উঠেছে আশার হাসি।
সরকারি প্রণোদনায় আবাদ বেড়েছে ৫০৫ হেক্টর। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর সরকারি প্রণোদনা হিসেবে ৪ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। গত বছর কেশবপুরে সরিষা আবাদ হয়েছিল ১ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে। আর চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে- যা গত বছরের চেয়ে ৫০৫ হেক্টর বেশি। লক্ষ্য ছিল ১ হাজার ৫৭০ হেক্টর, সেটি ছাড়িয়ে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে চাষ করেছে কৃষকরা।
বারি-১৪, বারি-৯, বারি বীনা-৯, বারি-১৮, বারি-১৭ ও টরি-৭ জাতের উচ্চফলনশীল সরিষা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। আগাম জাত হওয়ায় সরিষা কাটার পর একই জমিতে সহজেই বোরো ধানের আবাদ করা যায়। ফলে কৃষকরা একসঙ্গে দুই ফসলের লাভ তুলতে পারছেন।
৭০-৮০ দিনের মধ্যেই ঘরে তোলা যায় এই ফসল। মজিদপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, এই মৌসুমে নতুন করে টরি-৭, বারি-৯, বারি বীনা-৯, বারি-১৭ ও বারি-১৮ জাতের সরিষা চাষ শুরু হয়েছে। এসব জাত ৭০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। তাই কৃষকরা বোরো আবাদ শুরুর আগেই সরিষা কাটতে পারেন, ফলে সরিষা চাষে তারা ঝুঁকছেন বেশি।
কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি। পাঁজিয়া গ্রামের নিয়ামুল ইসলাম, কামরুল ও বিধান দাসসহ সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান ও আজিজুর রহমান জানান, গত বছর বৃষ্টির পানি বেশি থাকলেও ফলন কম ছিল। এ বছর পানি কম হলেও ফলন ভালো। বিঘাপ্রতি ৭-৮ হাজার টাকা খরচ করে ৬-৭ মণ সরিষা পাব বলে আশা করছি। বাজারদরও ভালো থাকবে।
আবহাওয়া অনুকূলে লক্ষ্য ছাগানোর আশাবাদী কৃষক অফিস। উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ মামুন বলেন, এবার কেশবপুরে ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠজুড়ে ভালো ফলনের আভাস মিলছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষকরা খুব সহজেই সরিষা ঘরে তুলতে পারবেন।
প্রকৃতির রূপ, কৃষকের পরিশ্রম আর সরকারি সহায়তায় কেশবপুরে সরিষা চাষ যেন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। হেমন্তের কুয়াশা ভেদ করে সোনালি সরিষার হাসি কৃষিজীবী মানুষের ঘরে আনতে পারে সমৃদ্ধির বার্তা।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ আঞ্চলিক সড়কগুলোতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খোলা ট্রাকে বালু-মাটি বহন করা হচ্ছে। সড়ক দিয়ে চলাচলরত পথচারী, চালক ও যাত্রীদের চোখে-মুখে বালু ঢুকছে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিদিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে ভরাট বালু ও কাটা মাটি ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে বহন করা হচ্ছে। এই বালু-মাটি বিভিন্ন বসতবাড়ির ভিটা উঁচুকরণ ও গর্ত ভরাটসহ ইট ভাটায় নেওয়া হয়। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ট্রাকে বালু-মাটি বহনের ক্ষেত্রে কাপড় দিয়ে ঢেকে বহন করার কথা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা না করে ইচ্ছেমতো বহন করছেন। ফলে চলন্ত গাড়ি থেকে বালু-মাটি উড়ে পথচারীদের চোখে-মুখে লাগছে। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। গাড়ির পেছনে থাকা যানবাহন বিশেষ করে মোটরসাইকেলচালকরা চোখে-মুখে বালু ঢুকে দুর্ঘটনার শিকার হন।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার কয়েক স্থানে স্থানীয় বেশ কিছু লোকজন বালু ব্যবসা করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন ফেরিতে ওঠানামা করছে। দৌলতদিয়ার ৫ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি বালুর চাতাল। ফেরি থেকে পরিবহন ওঠানামার সময় ওই চালাতের বালু বহনকারী ট্রাক থেকে ধুলা-বালু উড়ে চোখে-মুখে লেগে যাত্রীদের চরম বিড়ম্বনায় ফেলছে। বালু ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে সাহস পান না। আবার যানবাহন চালক বা সহকারী এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো ভয়ভীতি দেখানো হয়।
বাস চালক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ফেরিতে ওঠার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। সবাই জানালা আটকে গাড়িতে বসে থাকেন। মাঝে মাঝে এলোমেলো বাতাসে সড়কের পাশে থাকা স্তূপের বালু উড়ে চোখে-মুখে লাগে। এ সময় গাড়িতে থাকা যাত্রীরা চরম বিরক্তি প্রকাশ করে। চলতি পথে ফেরি ঘাটে ধুলা-বালুর সমস্যা নিয়ে কে কাকে কী বলবে? কোনও ঝামেলায় জড়াতে চান না বলে চুপচাপ সহ্য করেন।’
দৌলতদিয়া ঘাটে কথা হয় মোটরসাইকেল চালক সাজ্জাদ হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত আসতে কয়েক স্থানে দাঁড়াতে হয়েছে, সড়কে প্রচুর ধুলা-বালু উড়ছে। এগুলো সাধারণত ড্রাম ট্রাক থেকে সড়কে পড়ে ছিটে মানুষের চোখে-মুখে ও গায়ে লাগছে। প্রশাসনের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আরেক রিক্সা চালক মোবারক খাঁ বলেন, কি বলবো, কাকে বলব? বালু-মাটির ট্রাকগুলো সড়ক দিয়ে অনেক গতিতে চলাচল করে, কিছু বলতে গেলে ওরা আমাদের মারতে আসে। এদিকে কোন পুলিশ- প্রশাসনের কোন গাড়ি আটকাতে দেখিনা। আমরা গরিব মানুষ চুপ করে থাকি, কিছু করার নেই।
আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি. মিজানুর রহমান জানান, আমরা ইতিমধ্যে মাটি ও বালুবাহী ড্রাম ট্রাক, নসিমন, ইটবহনকারী ট্রলির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি, মহাসড়কে অবৈধ যানের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাথী দাস বলেন, ‘সড়কে খোলা গাড়িতে করে বালু-মাটি বহন করা ঠিক না। এতে চলন্ত গাড়ির পেছনে থাকা যাত্রী বা পথচারীদের চোখে-মুখে ধুলা-বালু ঢুকে সমস্যা হয়। উপজেলা প্রশাসন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুমিল্লার হোমনায় মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিশাদ (২৬) নামের এক সৌদি প্রবাসী যুবক নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তার বন্ধু ইফাত (১৫)। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ওয়াইব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নিশাদ রামকৃষ্ণপুর বাঁশগাড়ি গ্রামের মমিন মেম্বারের ছেলে। আহত ইফাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ঝুনারচর গ্রামের মো. জিলানীর ছেলে। দুর্ঘটনায় তার মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধু ইফাতকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াইব্রিজ এলাকায় ঘুরতে বের হয়েছিলেন নিশাদ। ব্রিজের ওপর উঠতে গিয়েই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশার সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন নিশাদ, তার মাথা ফেটে দুভাগ হয়ে যায়। স্বজনরা উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এমন হঠাৎ মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।’
নোয়াখালীর হাতিয়া থানাধীন চেয়ারম্যান ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড স্টেশন হাতিয়া। এতে উক্ত এলাকায় সন্দেহজনক ১টি ফিশিং বোটে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে বহনকৃত প্রায় ৩১ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের ২৪৭ বস্তা হলুদ, ২৩৩ বস্তা মাসকালাই ডাল, ৩২ বস্তা কাঠ বাদামসহ ১২ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।
বুধবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকাল ৪টা হতে আজ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বুধবার মধ্যরাত ২টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড স্টেশন হাতিয়া কর্তৃক এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জব্দকৃত বোট, আলামত ও আটককৃত পাচারকারীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চোরাচালান রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত জাহাঙ্গীর বাহিনী সুন্দরবনের শিবসা নদীর ছোট ডাগরা খাল এলাকায় কয়েকজন জেলেকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ‘কোস্ট গার্ড স্টেশন কয়রা’ কর্তৃক ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ওই এলাকা হতে ১টি একনলা বন্দুক, ৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ৭ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ জিম্মি থাকা ৮ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা বনের ভেতর পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করে।
উদ্ধারকৃত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা তাদের ৭ দিন ধরে জিম্মি করে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে নির্যাতন করছিল। পরে তাদের পরিবারের নিকট উদ্ধারকৃত জেলেদের হস্তান্তর করা হয় এবং জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জনান সিয়াম-উল-হক।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত রাখতে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত ৪২০০ কেজি ঘনচিনি আটক করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল, ঢাকা এর সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস চট্টগ্রামের গোয়েন্দা টিম কর্তৃক এ আটক সম্পন্ন হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এজাজ ট্রেডিং, ৪৭ হাজী নাদের হোসেন রোড, নামাবাড়ি, কেরানিগঞ্জ, ঢাকা, পটাশিয়াম ক্লোরাইড ঘোষণায় চীন থেকে একটি কন্টেইনারে ২২,০৮৮ কেজি পণ্য আমদানি করে, যা বিগত ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রাম বন্দরে অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক উক্ত পণ্যের খালাস স্থগিত করা হয় এবং গত ০৬/১১/২০২৫ তারিখে কায়িক পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষাকালে দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায় যার নমুনা উত্তোলনপূর্বক কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামের ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে উক্ত দুই শ্রেণির পণ্যের মধ্যে একটিতে ১৭,৮০০ কেজি পটাশিয়াম ক্লোরাইড পাওয়া গেলেও বাকি ৪২০০ কেজি পণ্যকে ঘনচিনি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক যা সাধারণ চিনির চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কনডেন্সড মিল্ক এবং শিশু খাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্ষতিকারক কৃত্রিম উপাদানটি ব্যবহার করে থাকে। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘনচিনির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য ক্যান্সারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর বিধায় সরকার আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুসারে পণ্যটিকে আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর বিধান মোতাবেক পণ্যচালানটি কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। উল্লেখ্য যে, বিগত ১৬/০৯/২০২৫ এবং ২৮/১০/২০২৫ তারিখে দুইটি পৃথক চালানে আমদানিকৃত প্রায় ১০০ টন ঘনচিনির দুইটি পণ্যচালান কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক করা হয়েছিল যার আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
সূত্রঃ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের দূরবর্তী টেপ্রীগঞ্জ এলাকায় কমলা চাষ করে নজর কেড়েছেন সুতপাড়া গ্রামের পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের ও আশপাশের এলাকার পৈতৃক ১০০ শতাংশ জমিতে তিনি প্রায় চার শতাধিক গাছ নিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি পরিপাটি কমলা বাগান।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের তেরপুপাড়া গ্রামের ‘আবরার অরেঞ্জ গার্ডেন’-এ গিয়ে দেখা যায়, জেলার নানা প্রান্ত থেকে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।
দর্শনার্থীরা জানান, কম দামের টাটকা কমলা, নিজ হাতে গাছ থেকে ফল ছিঁড়ে নেওয়ার সুযোগ এবং ছবি তোলার আনন্দই তাদের আগমনের প্রধান কারণ। প্রতিদিনই এখানে মানুষ এসে কমলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও ক্রেতা রাকিবুল ইসলাম রকি জানান, এই কমলাগুলো দেশের বাইরে থেকে আসা কমলার মতোই লাগছে। আমরা এখানে এসে দেখলাম দামও তুলনামূলক কম, এজন্য ভালোই লাগছে।
অপর এক দর্শনার্থী লালচান বাদশা জানান, দাম মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে আছে, আমরা বাগান ঘুরে দেখে ফল ছিঁড়ে খেলাম, মোটামুটি সুস্বাদু আছে।
বাগান পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় জানান, আমি বাগান দেখাশোনা ও পরিচর্যা করি। নভেম্বরের শেষের দিকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি, এখন ২০০/২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে কিনে নিয়ে যায়, আমার বেশ ভালো লাগে।
কমলা চাষে আগ্রহের কারণ ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাগান মালিক রংপুর বিভাগে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (পিবিআই) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি আমার বেশ আগ্রহ ছিল। শৈশবে প্রিয় বইও ছিল কৃষি শিক্ষা, সেখান থেকেই আগ্রহের জন্ম। এরই ধারাবাহিকতায় পরীক্ষামূলকভাবে ২০ শতক জমিতে প্রথম কমলা গাছ লাগাই।
পরে আশানুরূপ সাফল্য পেলে ধীরে ধীরে সহোদরদের নিয়ে প্রায় ১০০ শতক জমিতে কমলার চাষ শুরু করি। এই জাতটি সম্ভবত চায়না ও দেশির মিশ্রণ। আর এই অঞ্চলের মাটি বেলে-দোআঁশ। এখানে পার্শ্ববর্তী দার্জিলিং ও হিমালয়ের আবহাওয়ার সাথে মিল রয়েছে, তাই এখানেও কমলা চাষ হবে বলে মনে হয়েছে।
নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কমলা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, সাথে ভিটামিন সি-এর চাহিদাও পূরণ করছে। আর এখন অনেকেই কমলা চাষে আগ্রহী। কেউ চাইলে আমি গাছের চারা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ বলেন, এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কমলা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সঠিক পরিচর্যা করলে এখানকার চাষিরা ভালো ফলন পাবেন। আমরা নতুন কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিতে সবসময় প্রস্তুত।
চীনে নির্মিত ‘এমভি বাংলার নবযাত্রা’ নামে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) দ্বিতীয় নতুন জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে। বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে কেনা চীনের নানইয়াং শিপইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজটি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সমুদ্রে ট্রায়াল রান শুরু করবে। এতে বিএসসির বিশেষজ্ঞ টিম ও শিপইয়ার্ডের প্রকৌশলীরা অংশ নেবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে পণ্য পরিবহন শুরু করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিএসসির কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৩ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের এমভি বাংলার নবযাত্রার বহন ক্ষমতা ৬৩ হাজার ৫০০ টন। প্রথম জাহাজের মতো দ্বিতীয়টিরও ধারণ ক্ষমতা দৈর্ঘ্য ১৯৯ দশমিক ৯৯ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। জাহাজটি যুক্ত হলে বিএসসির বহরে মোট জাহাজের সংখ্যা পৌঁছাবে সাতটিতে। ২০১৯ সালের পর দীর্ঘ ছয় বছর নতুন জাহাজ কেনায় স্থবিরতা কাটিয়ে এ বছরে দুটি জাহাজ সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রায়ত্ত এ সংস্থা। এর মধ্যে এমভি বাংলার প্রগতি গত মাসেই বহরে যুক্ত হয়ে সেবা দেওয়া শুরু করেছে। দুটি নতুন জাহাজ বছরে ২০০ কোটি টাকার বেশি আয় বাড়াতে পারে। পাশাপাশি পালাক্রমে বছরে অন্তত ১৫০ নাবিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে বিএসসি কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা।
বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এবার প্রথমবারের মতো পুরোপুরি নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ কেনা হয়েছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দেখেছি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রাখার চেয়ে জাহাজে বিনিয়োগই লাভজনক। বোর্ড সভায় অনুমোদনের ছয় মাসের মধ্যে দুটি নতুন জাহাজ বহরে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এরই মধ্যে একটি জাহাজ হস্তান্তর করা হয়েছে। আরেকটি শিগগিরই বহরে যুক্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দরপত্রে শর্ত দিয়েছিলাম, যারা কার্যাদেশ পাবেন তাদের চুক্তি স্বাক্ষরের ছয় মাসের মধ্যে বিএসসির কাছে জাহাজ হস্তান্তর করতে হবে। আমাদের শর্তের সুফল পাওয়া গেছে। আমরা ছয় মাসের মধ্যে দুটি বৃহদাকারের নতুন জাহাজ বহরে যুক্ত করতে সক্ষম হচ্ছি।’
বিএসসির মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন জামাল হোসাইন তালুকদার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এমভি বাংলার নবযাত্রা’ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সমুদ্রে ট্রায়াল রান শুরু করবে। এতে বিএসসির বিশেষজ্ঞ টিম ও শিপইয়ার্ডের প্রকৌশলীরা অংশ নেবেন। বুঝে নেওয়ার পর যখন জাহাজটি বাণিজ্যিক চার্টারে যুক্ত হওয়ার একসপ্তাহ আগে আমাদের পরবর্তী টিম জাহাজটিতে জয়েন্ট করবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে পণ্য পরিবহন শুরু করবে বলে আশা করছি।’
বিএসসি সূত্র জানায়, প্রতিযোগিতামূলক দর যাচাই করে গত ৩ জুন আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হয়। কারিগরি মূল্যায়নে দুটি প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়। পরে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসির কাছ থেকে ৯৩৬ কোটি টাকায় দুটি জাহাজ কেনার অনুমোদন দেয়। চীনের শিপইয়ার্ডে নির্মিত হলেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে আমেরিকান কোম্পানি হেলেনিক ড্রাই বা ভেঞ্চারস।
এর আগে গত অক্টোবরের শেষের দিকে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে বিএসসি কেনা প্রথম নতুন জাহাজ ‘এমভি বাংলার প্রগতি‘। প্রতিদিন ২০ হাজার ডলারে (অর্থাৎ সাড়ে ২৪ লাখ টাকা) বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি তিন মাসের জন্য ভাড়ায় নেয় হংকংভিত্তিক একটি কোম্পানি। এমভি বাংলার নবযাত্রা যুক্ত হলে বিএসসির বহরে জাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে সাতটিতে। এর মধ্যে তিনটি তেল পরিবহন করা ট্যাংকার এবং ৪টি সাধারণ পণ্য পরিবহনের বাল্ক জাহাজ।
প্রসঙ্গত; ১৯৭২ সালের জুনে ‘এমভি বাংলার দূত’ জাহাজ চালুর মাধ্যমে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের ব্যবসা শুরু করে সরকারি সংস্থা ‘ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন-বিএসসি। ১৯৮২ সালে সংস্থাটির বহরে থাকা জাহাজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭টিতে, যা পরে ৩৮টিতে উন্নীত হয়। এরপর থেকেই সংস্থাটির বহরে জাহাজের সংখ্যা কমতে থাকে। সর্বশেষ ২০১৮ ও ২০১৯ সালে চীন সরকারের অর্থায়নে ১ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকায় ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছিল বিএসসি। এর মধ্যে একটি জাহাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়। পরে ওই জাহাজের বিমা বাবদ বিএসসি বড় অঙ্কের অর্থ পেলেও তার বহরে থাকা জাহাজের সংখ্যা কমে পাঁচটিতে নেমে আসে। নতুন জাহাজ দুটি ছাড়া বিএসসির বহরে যে পাঁচটি জাহাজ রয়েছে, সেগুলো ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কেনা। সংস্থাটির কাছে পুরোনো কোনো জাহাজ নেই।
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন ও র্যালি করেছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাইলস্টোন কলেজ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও র্যালির আয়োজক ছিলেন, ঢাকা মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, উত্তরা অঞ্চল।
র্যালিতে অংশগ্রহণকারী মাইলস্টোন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন বহন করে। মানববন্ধন ও র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক জহিরুল হক, উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি উত্তরা অঞ্চলের সাবেক সভাপতি লে. কর্নেল এম. আব্দুল খালেক (অব.), সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি মো. নাজমুল আলম এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
জনতা ব্যাংক পিএলসির ৮৬৭তম বোর্ড সভা গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ব্যাংকের পরিচালক বদরে মুনির ফেরদৌস, ড. মো. আব্দুস সবূর, আব্দুল মজিদ শেখ, আব্দুল আউয়াল সরকার, ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, মো. আহসান কবীর, মো. কাউসার আলম, অধ্যাপক ড. এ এ মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা, মো. ফয়েজ আলম ও মো. আশরাফুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট মহাব্যবস্থাপকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণ আদায়সহ ব্যাংকের অন্যান্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে নগদে লেনদেন করে আইফোন সেভেন্টিন―প্রো জিতে নিয়েছেন বরিশালের সানি বেপারী। নগদে ফিরে আসা বা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে তিনি এই উপহার জিতেছেন।
সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রতি মিনিটের প্রথম লেনদেনকারী গ্রাহককে ক্যাশব্যাক প্রদান করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ২০০ জনের বেশি গ্রাহক ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেয়েছেন।
পাশাপাশি সারপ্রাইজ রিচার্জ অফারে অংশ নিয়ে বোনাস রিচার্জ পেয়েছেন এক হাজারের বেশি গ্রাহক।
জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে এমন আকর্ষণীয় একটি উপহার পেয়ে সানী বেপারী বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি এরকম একটি পুরস্কার পাব, সেটিও আবার জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের কাছ থেকে। আমি অনেক বেশি আনন্দিত।’
গত ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া নগদের এই ক্যাম্পেইনে নিয়মিত লেনদেন না করা গ্রাহক যদি নগদে ফিরে লেনদেন করেন এবং কেউ নতুন নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করেন, তাদের জন্য থাকছে প্রতিদিন ক্যাশব্যাকসহ রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল ও আইফোনসহ হাজারও পুরস্কার জেতার সুযোগ।