জাকিয়া আহমেদ
ডেঙ্গু আবারও দেশজুড়ে ছড়িয়েছে। ৬৪ জেলার মধ্যে কেবল ছয় জেলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। ঢাকায় এবারও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। মৃত্যুও বেশি। তবে এডিস মশাবাহিত এই রোগ মহামারি আকার ধারণ করেছে কক্সবাজারে। এই পরিস্থিতির জন্য ঘনবসতিপূর্ণ রোহিঙ্গা শিবির ও তাদের অসচেতনতাকে দায়ী করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নথি এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে সর্বশেষ গত বছর এভাবে ৫৮ জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়েছিল। তার আগে ২০১৯ সালে ৬৪ জেলায়ই ডেঙ্গু ছড়ায়। সেবার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এবার অবশ্য প্রকোপ ততটা প্রবল না হলেও তা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর সঙ্গে নগরায়ণের একটা সম্পর্ক রয়েছে। দেশে নগরায়ণের হার বেড়েছে। তবে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়েনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। ডেঙ্গুর চিকিৎসাব্যবস্থা, মশক নিধন কর্মসূচিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ঢাকাকেন্দ্রিক। সচেতনতার ঘাটতি তো আগে থেকেই আছে। ফলে শুরুর দিকে ডেঙ্গু শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন নিয়মিতই দেশজুড়ে ছড়াচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ডেঙ্গুর মৌসুমও প্রলম্বিত হচ্ছে।
ঢাকায় রোগী সবচেয়ে বেশি, কক্সবাজারে মহামারি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এ বছর এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রাঙামাটি, বান্দরবান, নোয়াখালী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২ হাজার ৮৭৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ১৭ জন। কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪২ জন।
তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে হিসাব দিচ্ছে, প্রকৃত রোগীর সংখ্যা তার কয়েক গুণ বেশি। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুধু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা জানাচ্ছে। এটি স্পষ্ট হয় কক্সবাজারের পরিস্থিতি বিবেচনা করলেই।
কক্সবাজারে ডেঙ্গু শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই দিন আগে সাড়ে ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। সেই সঙ্গে একই ঘরে অনেক মানুষের বসবাস। তারা পানি জমিয়ে রাখে ঘরের ভেতরে। স্বাস্থ্য সচেতনতা একেবারেই নেই। এ জন্য এবার কক্সবাজারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি।
কক্সবাজারে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে মন্তব্য করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘এ রকম মহামারি যদি অন্যান্য জেলায়ও শুরু হয়, তাহলে বিপর্যয় ঘটবে। কাজেই এমন বিপর্যয়ের আগেই তা মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের তৈরি করা উচিত।’
দেশজুড়ে ডেঙ্গু ছড়ানোর কারণ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ডেঙ্গুর সঙ্গে নগরায়ণের সম্পর্ক রয়েছে। দেশের সব পৌরসভা, উপজেলা এবং জেলায় জেলায় নগরায়ণ হচ্ছে। সেখানে ভবনের পর ভবন হচ্ছে। সঙ্গে বাড়ছে অটোরিকশার গাড়ির টায়ার, ডাবের খোসা, প্লাস্টিকের প্যাকেটের মতো পানি জমতে পারে এমন বর্জ্য। ঢাকায় ডিসপোজাল ব্যবস্থা থাকলেও জেলা শহর কিংবা উপজেলা-পৌরসভা পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একেবারেই নেই। ফলে সেখানে পানি জমছে, এডিস মশা ডিম পাড়ছে, বংশবিস্তার ঘটাচ্ছে। এসব কারণেই সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে।
এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিজ এলাকা গাইবান্ধা পৌরসভার উদাহরণ দিয়ে বলেন, এই পৌরসভায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো সক্ষমতা নেই। এ চিত্র শুধু এখানকার নয়, পুরো দেশের। তাই পুরো দেশের জন্য এখন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়ন করা দরকার।
অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার সংশ্লিষ্টদের অভিজ্ঞতা বেশি, সক্ষমতা বেশি। এখানে ডেঙ্গুর ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিকিৎসকরাও অনেক অভিজ্ঞ। কিন্তু ঢাকার বাইরে এসব সুবিধা একেবারেই নেই। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে ঢাকাকেন্দ্রিক সবকিছু। এই ভাবনা থেকে বের হয়ে আসা দরকার। না হলে ভবিষ্যতে করোনা বা চিকুনগুনিয়ার মতো স্বাস্থ্য সমস্যার চেয়েও ভয়াবহ সমস্যা হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করা জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার দৈনিক বাংলাকে বলেন, কোনো জেলায় পাঁচজনের বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়, তাহলে ধরে নিতে হবে যে সেখানে ডেঙ্গু স্থানীয়ভাবে ছড়িয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সেটা ভয়ংকর আশঙ্কার। কেননা ঢাকার বাইরে মশক নিধন কর্মসূচি, চিকিৎসাব্যবস্থা এবং ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়লে তা মোকাবিলার সক্ষমতা নেই বললেই চলে। কক্সবাজারে এমনটাই লক্ষ করা যাচ্ছে।
কবিরুল বাশারের মতে, সক্ষমতার ঘাটতির কারণেই ডেঙ্গু এখন দেশজুড়ে ছড়াচ্ছে। কাজেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি কেবল ঢাকাকেন্দ্রিক না রেখে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।
আর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজির আহমেদের পরামর্শ হলো, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ যেমন শহর ও গ্রামে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে, সেভাবেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণেও তারা দায়িত্ব পালন করবে।
স্ট্রোকের মৃত্যুকে হত্যা বলে প্রচারণা এবং ঘরবাড়ি লুটপাট অগ্নিসংযোগ এবং কৃষি খামার লুটপাটের বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাগুরায় স্বামী ও সন্তানকে জড়িয়ে মিথ্যা হত্যা মামলা ও ঘরবাড়ি খামার ভাঙচুরের অভিযোগে মাগুরায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন হালিমা খাতুন নামে এক গৃহবধূ। গত বুধবার সকালে মাগুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গত ২৪ অক্টোবর শুক্রবারে সদর উপজেলার বলুগ্রামে জমিজমা নিয়ে সালিশের একপর্যায়ে বাদশা মোল্লা নামে এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে দাবি করেন তিনি। প্রতিপক্ষরা আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও তার ছেলে আবীর হোসেনসহ (১৭) তাদের পক্ষের ১৩ জন মিলে হাতুড়ি পেটা করে বাদশা মোল্লাকে মেরে ফেলেছে বলে মিথ্যা মামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী হালিমা খাতুন।
এই ঘটনার পর প্রতিপক্ষরা তাদের ১২০ বিঘার জমির উপরে স্থাপিত এগ্রোফার্ম ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর লুটপাট করেছে বলে দাবি করেন হালিমা। এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করেছেন বলে তিনি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, প্রায় ১০ বছর ধরে সদর উপজেলার বলুগ্রামে নিজের ক্রয়কৃত ও লিজ নেওয়া ১২০ বিঘা জমির উপরে এম ইন এগ্রো নামে একটি কৃষি মৎস্য ও হাঁস-মুরগির খামার গড়ে তোলেন তার স্বামী। শহরের বাড়ি থেকে দূর সম্পর্কের আত্মীয়দের গ্রামে গিয়ে তিনি খামারটি পরিচালনা করতেন। গত ২৩ অক্টোবর ওই গ্রামের হাসেম আলী, আসাদ মোল্লা, হাফিজার মোল্লা, সাঈদ মোল্লা ও আকাশ মোল্লাসহ একাধিক ব্যক্তি তাদের কেটে রাখা ধান জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
এ সময় হঠাৎ প্রতিপক্ষরা আনোয়ার হোসেনসহ তার লোকজনের উপরে হামলা চালায়। একপর্যায়ে তাদের আত্মীয় বাদশা মোল্লা স্ট্রোক করে মারা যায় বলে তারা জানতে পারেন। এ ঘটনার পর খামারে থাকা ৩০০ মণ ধানসহ কয়েক লাখ টাকার সম্পদ লুটপাট ও খামারে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করে প্রতিপক্ষরা। উপরন্ত তার স্বামী আনোয়ার হোসেন ও বড় ছেলে আবির হোসেনসহ ১৩ জনকে আসামি করে একটি মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করেছে প্রতিপক্ষরা।
আনোয়ার হোসেনের মা রহিমা খাতুন জানান, ওই দিন যে ব্যক্তি নিহত হন বাদশা মোল্লা তিনি আমার মামাতো ভাই। ভাগ্নের (আনোয়ারের) পক্ষেই তিনি সালিশ মীমাংসা করতে উপস্থিত হয়েছিলেন। হঠাৎ মারামারি বেধে যাওয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত আসামিদের খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।
খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ৪ হাজার ঘনফুট অবৈধ কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার বর্মাছড়িমূখ বাজার সংলগ্ন দেওয়ানপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার কাঠের বাজারমূল্য আনুমানিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) নিয়মিত টহল অভিযানের অংশ হিসেবে সেনা সদস্যরা এলাকাটিতে অভিযানে যান।
এতে টহলের উপস্থিতি টের পেয়ে কাঠ পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ কাঠ উদ্ধার করা হয়। যা পরে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়নের অধীন লক্ষীছড়ি জোনের সেনাসদস্যরা এই অভিযান পরিচালনা করে।
সূত্র আরো জানায়, বর্মাছড়িমুখ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের প্রভাব বিস্তারের সুযোগে অবৈধ কাঠ পাচারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চলে আসছে। সেনাবাহিনীর এই অভিযান সেই অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ।
নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, জনগণের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং অবৈধ চোরাচালান বন্ধে সেনাবাহিনী সর্বদা বদ্ধপরিকর। এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ‘এলাকাটিতে ইউপিডিএফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনা অভিযানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের মাধ্যমে তারা নিজেদের বেআইনি কর্মকান্ড আড়াল করার চেষ্টা করে থাকে।’
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিক ভাবে এসব সহায়তা প্রদান করা হয়।
২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে গম, সরিষা ও মুগ ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করেন উপজেলা কৃষিপূনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডাঃ তামান্না তাসনীম।
এসময় সুবিধাভোগী কৃষকদের উপস্থিতিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আউলিয়া খাতুন।
অন্যান্যের মাঝে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আশরাফুল্লাহ্, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সৈয়দ শাকিল আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অলি ভৌমিক, সুরাইয়া আক্তার, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, কৃষি উপ-সহকারী ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মোখলেছুর রহমান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (ব্লক সুপারভাইজার) মনজুরুল আলম, আয়নাল হক, সফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মোট ৭'শ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এদের মধ্যে ৬শ' জন কৃষকের মাঝে বিঘা প্রতি ১ কেজি সরিষা বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়। ৪০ জন কৃষকের মাঝে বিঘা প্রতি ২০ কেজি করে গম বীজ এবং ডিএপি ১০ কেজি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়। ৬০ জন কৃষকের মাঝে বিঘা প্রতি ৫ কেজি মুখ বীজ এবং ডিএপি ১০ কেজি ও ৫ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাঙ্গিয়ার পোতা গ্রামের মাঠ থেকে পা ও গলা বাঁধা অবস্থায় ইসাহাক আলী (৬৫) নামের এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে বংকিরা- রাঙ্গিয়ার পোতা সড়কের বটদাড়ির মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইসাহাক আলী রাঙ্গিয়ার পোতা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে রাস্তার পাশে ধান ক্ষেতে আইলে ইসাহাক আলীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দেয়। স্বজনরা এসে ইসাহাক আলীকে শনাক্ত করলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই আনিছুর রহমান বলেন, পাঁ বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে ইসাহাক আলীকে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা দ্রুত শনাক্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় ট্যাংক লরির চাপায় আয়েশা আক্তার (২২) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মো. খালেদ হোসেন (২৭) নামে এক যুবক।
নিহত আয়েশা আক্তার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উত্তর তাপাল বাড়িয়া গ্রামের মো. জাকির হোসেনের মেয়ে। আহত যুবক খালেদ হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মুজিববাগ এলাকার হাসান আলীর ছেলে।
আহত খালেদ হোসেন বলেন, তিনি ও আয়েশা সোনারগাঁও থেকে পঞ্চবটীর দিকে যাচ্ছিলেন। মৌচাক এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি বেপরোয়া গতির ট্যাংক লরি তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তারা দুজনই সড়কে ছিটকে পড়েন। সে সময় লরিটি আয়েশাকে চাপা দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, একটি ট্যাংক লরি পেছন দিক থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে আরোহী তরুণী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও ট্যাংক লরিটি জব্দ করি। তবে লরিচালক দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়। তাকে শনাক্ত ও আটক করার চেষ্টা চলছে। আহত যুবককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ পশ্চিম বিশারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন মেয়াদে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে অবসরে যাওয়া তিন প্রজন্মের তিনজন প্রধান শিক্ষককে অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
বিদায়ী সংবর্ধনা গ্রহণকারী তিন প্রজন্মের তিনজন প্রধান শিক্ষক হলেন, সন্তোশ কুমার, মো: ফজলুল আমিন, মো: সোহরাওয়ার্দী।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলার টবগী ইউনিয়নে পশ্চিম বিশারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এ বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, সাইফুল ইসলাম কামরুছ, পরিচালক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রনজিৎ চন্দ্র দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি), বোরহাউদ্দিন।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাখাওয়াত হোসাইন হাওলাদার, উপদেষ্টা সম্পাদক, দৈনিক বাংলাদেশ বানী, কাজী শহীদুল আলম নাসিম, যুগ্ন আহ্বায়ক, বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপি, কাজল মিয়া হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক, টবগী ইউনিয়ন বিএনপি, বশির আহমেদ, সভাপতি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, মানসুর হাওলাদার, জাকারিয়া আজম, অধ্যক্ষ, হাফিজ ইব্রাহিম মহাবিদ্যালয়, জসিমউদ্দিন হাওলাদার, চেয়ারম্যান, টবগী ইউনিয়ন পরিষদ, কামাল হাওলাদার, সাবেক চেয়ারম্যান, টবগী ইউনিয়ন পরিষদ, আঃ হান্নান মিঠু, সভাপতি, হাকিমুদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসা, তন্ময় শিকদার, সাধারণ সম্পাদক মলংচড়া ইউনিয়ন বিএনপি। এছাড়াও বিদ্যালয়টির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া কাপড় আনতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে মহিলা মাদ্রাসার সাত শিক্ষার্থী ও এক আয়া দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার বিকেলে পৌরসভার ভাদুঘর এলাকার দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং দুজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহতরা হলেন— নবীনগর উপজেলার তালগাটি গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে নুসরাত (১০), সিরাজগঞ্জ জেলার আবু সাইদের মেয়ে সাদিয়া খাতুন (৬), সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে রওজা আক্তার (১২), ভাদুঘর এলাকার কবির হোসেনের মেয়ে নুসরাত (১১), একই এলাকার কাবির মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৮), কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে উম্মে তাইসান (৫) এবং মাদ্রাসার আয়া আলেয়া বেগম (২২)।
মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, ভবনের চতুর্থ তলা থেকে একটি কাপড় নিচে পড়ে বিদ্যুতের তারে আটকে যায়। আয়া আলেয়া জানালা দিয়ে একটি স্টিলের পাইপ দিয়ে কাপড়টি নামানোর চেষ্টা করেন। পাইপটি তারে স্পর্শ করায় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে আগুনের ফুলকি মাদ্রাসার ভেতর ঢুকে গেলে দগ্ধ হয় শিক্ষার্থীরা।
তিনি আরও বলেন, “দুর্ঘটনার পরপরই আমরা আহতদের সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সবাই চিকিৎসাধীন আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিম খান জানান, “আটজন বার্ন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, বাকি দুইজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আজাহারুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুর রেজা জানান, “ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমরা জেনেছি, তদন্তের মাধ্যমে বিস্তারিত জানা যাবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে খড়ের মাঠ দখল নিয়ে দুই বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহতের ঘটনায় দু’দিন পর ঘটনাস্থলের সীমানা নির্ধারণ শেষে বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধায় দৌলতপুর এক দরফা থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল। মামলায় কাকন বাহিনীর প্রধান কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এদিকে ওই একই ঘটনায় ভেড়ামারা উপজেলার কাকন বাহিনীর সদস্য লিটন হত্যার মামলা এখনো হয়নি বলে জানা যায়।
এর আগে সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার পদ্মা চর এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী কাকন বাহিনী ও বাঘার মণ্ডল বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পদ্মায় জেগে ওঠা জমি ও খড় দখলকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী।
গোলাগুলিতে মণ্ডল গ্রুপের সদস্য আমান মণ্ডল (৩৬) ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত নাজমুল মণ্ডল (২৬) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। গুলিবিদ্ধ হয়ে মণ্ডল বাহিনীর প্রধান মুনতাজ মণ্ডল (৩২) ও রাকিব মণ্ডল (১৮) বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। নিহত ও আহতদের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের নিচ খানপুর গ্রামে।
পরদিন মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পদ্মা ঘাট থেকে লিটন (৩০) নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা নৌ পুলিশ। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত লিটন ঘোষপাড়া এলাকার মৃত জামরুল ঘোষের ছেলে। তিনি পেশায় কসমেটিকস ব্যবসায়ী এবং কাকন বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলির খোসা, তাজা গুলি ও রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে এলাকাটি কোন থানার আওতায় পড়বে তা নির্ধারণে জটিলতা দেখা দিলে রাজশাহী ও খুলনা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সারাদিন পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে বুধবার নিশ্চিত করা হয় যে ঘটনাস্থল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আওতাধীন। পরে নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পদ্মার চরাঞ্চলটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। তবে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাস্থলের সীমানা নির্ধারণ শেষে নিশ্চিত হয়েছি এটি দৌলতপুর থানার আওতাধীন এলাকা। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ গুলির খোসা ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অস্বচ্ছলদের স্বাবলম্বী করতে জাকেরদের মাঝে কর্মসংস্থান সহায়তা হিসেবে পুঁজি ও মূলধন বিতরণ করেছে হযরত শাহ্ চন্দ্রপুরী জাকের কল্যাণ ফাউন্ডেশন। বুধবার বাদ ফজর ফরিদপুরের সদরপুরে ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফে এ সহায়তা দেয়া হয়।
দরবার শরীফের গদীনশীন পীর ও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ্ সূফী সৈয়দ কামরুজ্জামান এই অনুদান প্রদান করেন। অস্বচ্ছলদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে একক আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী উপকরণ প্রদান করা হয়, যা তাদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করবে বলে ফাউন্ডেশন থেকে জানা যায়।
একই অনুষ্ঠানে দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা জামানার মোজাদ্দেদ হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ চন্দ্রপুরী (রহ.) নকশোবন্দী মোজাদ্দেদী পীর কেবলাজানের বেছালত উপলক্ষে আসন্ন বার্ষিক ওরছ শরীফের তারিখ ২০২৬ সালের ৭ জানুয়ারি রোজ বুধবার ঘোষণা করা হয়। ওরছ পাকের প্রস্তুতি উপলক্ষে গত মঙ্গলবার বাদ আসর থেকে বুধবার ফজর পর্যন্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ওয়াজ নসিহতের মধ্য দিয়ে জলসায়ে ওরছ পাক-এ-শাহ্ চন্দ্রপুরী অনুষ্ঠিত হয়। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশ-বিদেশের অসংখ্য মুরিদ, আশেক-জাকের ও ভক্তরা দরবার শরীফে সমবেত হতে থাকেন। বাদ জোহর থেকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ-কিয়াম, জিকির-আজকার ও শরিয়ত-তরিকত সম্পর্কিত ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাদ ফজর পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত ও আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের সুখ-শান্তি ও মহান আল্লাহর নৈকট্য কামনা করা হয়।
বাংলাদেল সুপ্রীম কোর্টের জ্যেষ্ঠ্য আইনজীবী ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল পিপিলস পার্টির (এনপিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা ১১ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক। বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার কুন্দশী চৌরাস্তা মোড়ে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বুধবার ধানের শীষের পক্ষে নড়াইল জেলা শহরে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি শোভাযাত্রা করেন। শহরের পুরানো বাস টার্মিনাল চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আদালত চত্বরে শেষ হয়।
পথ সভায় ড.ফরিদুজ্জামান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপিসহ আমার দলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে। হামলা-মামলা, বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ লুটপাট করে নেতাকর্মীদের পথের ফকির বানিয়েছে। বাড়ি-ঘরে কেউ রাতযাপন করতে পারেনি। আমি যেহেতু আইন পেশার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে দাড়িয়ে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, আমার বাড়িও ভাংচুরসহ লুটপাট করেছে। কিন্তু আমি মামলা করিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা বাংলার রাখাল রাজা বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের সঙ্গে আমার লন্ডনে দেখা এবং কথা হয়েছে। সেখানে মনোনয়নের ব্যাপারেও কথা হয়েছে। তিনি আমাকে এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ করতে বলেছেন। জনগণের কাছে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চাইতে বলেছেন।
পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এনপিপির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী সমমনা ১১ দলীয় জেটের প্রধান সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নড়াইল জেলা কমিটির সভাপতি শরীফ মুনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খান আনোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ। এ সময় নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. বেল্লাল হোসেন, নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল মোস্ত, এনপিপি লোহাগড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোল্যা বদিয়ার রহমানসহ ইউনিয়ন কমিটির নেতারা।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় ৩ জন নিহতের মামলা করা হয়েছে। মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় চরমপন্থি নেতা কাকন বাহিনীর প্রধান কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমানে রাজশাহীর বাঘায় বসবাসরত মণ্ডল বাহিনী ও দৌলতপুরের কাকন বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গোলাগুলির খবর পেয়ে নিকটস্থ বাঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ গুলির খোসা, কয়েকটি তাজা গুলি ও রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলটি কোন থানার আওতাধীন- তা নির্ধারণ করতে রাজশাহী ও খুলনা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সারাদিন মাঠে থাকেন, যার ফলে মামলা কার্যক্রমে বিলম্ব হয়। পরে নির্ধারিত হয়, ঘটনাস্থল কুষ্টিয়ার জেলার দৌলতপুর থানার আওতায়।
জানা গেছে, গোলাগুলিতে নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচ খানপাড়া এলাকার মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬) এবং শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল মণ্ডল (২৬)। নিহত ব্যক্তিরা মূলত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন; নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তারা বাঘার নিচ খানপাড়ায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।
অন্যদিকে সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পদ্মা ঘাট থেকে লিটন (৩০) নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা নৌপুলিশ। নিহত লিটনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি ওই ইউনিয়নের ঘোষপাড়া এলাকার মৃত জামরুল ঘোষের ছেলে। পেশায় তিনি কসমেটিকস ব্যবসায়ী ছিলেন এবং কাকন বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত।
দৌলতপুর থানার ওসি সোলাইমান শেখ বলেন, নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পদ্মার চরাঞ্চলটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সীমানা নিয়ে জটিলতা ছিল, আমরা সরেজমিনে তা নির্ধারণ করেছি- এটি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আওতাধীন এলাকা। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণে গুলির খোসা ও রক্তাক্ত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন মণ্ডল গ্রুপের নিহতের পরিবার। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
অভিযুক্ত কাকন বাহিনীর প্রধান কাকন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মাঝদিয়াড় গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয়ে পদ্মা নদীর বালুমহাল ও চরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতেন।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামে গত ৫৪ বছরেও তৈরি করা হয়নি পাকা সড়ক। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় এসব গ্রামের প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রায় তেমন মানোন্নয়ন হয়নি। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে কাদা এবং শুকনায় ধুলোবালির কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার টিটা-পানাইল, শিকারপুর, টিটা, ইকড়াইল ও কুমুরতিয়া গ্রামে ১০টি জামে মসজিদ, একটি কারিগরি কলেজ, দুটি উচ্চবিদ্যালয়, চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি সাব পোস্ট অফিস, দুটি বড় বাজার এবং ১০টির বেশি মাছ ও গবাদিপশু খামার রয়েছে।
এসব গ্রামের কৃষকরা উৎপাদিত কৃষিপণ্য, গাভীর দুধ এবং বাঁওড়ের বিপুল পরিমাণ মাছের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী কাশিয়ানী উপজেলা সদরের বাজারের প্রায় ৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করেন। এছাড়া আলফাডাঙ্গার সদর ও গোপালপুর বাজারসহ বিভিন্নস্থানেও এখানকার কৃষিপণ্যের কদর রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশার কারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সময়মতো ও অক্ষত অবস্থায় বাজারে নিতে পারছেন না, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় কৃষক ও অর্থনীতি।
স্থানীয় কৃষক নাছির মিয়া বলেন, ‘ভালো সড়ক না থাকায় সবজি ও দুধ মাথায় কিংবা বাইসাইকেলে করে কাদা-ধুলো পেরিয়ে কাশিয়ানী বাজারে নিয়ে যেতে হয়। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি, সরকার যেন এই গ্রামে পাকা সড়ক নির্মাণ করে মানসিক স্বস্তি এনে দেয়।’
ইকড়াইল গ্রামের বাসিন্দা মো. ‘ইমদাদুল হক বলেন, ইটের ভাঙা রাস্তা দিয়ে আমাদের সন্তানদের চলাচল করতে হচ্ছে। এলাকার মানুষ রাস্তার কারণে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। এখানকার মানুষ অন্য এলাকা থেকে ফিরে এসে আফসোস করে-আমাদের এলাকায় কেন একটিও পাকা রাস্তা নেই।’
ওই এলাকার টিটা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যাপীঠের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিউটি সুলতানা বলেন, ‘ভাঙা ইটের রাস্তার কারণে ভ্যান, অটোরিকশাও ঠিকমতো চলতে পারে না। তাই বাড়ি থেকে হেঁটে হেঁটে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হয়।’
টিটা গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান শিকদার বলেন, ‘একসময় এই পাঁচ গ্রাম ছিল মধুমতি নদী বেষ্টিত। এলাকাবাসীর উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে ২০২০ সালের মার্চ মাসে প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি ভাসমান (ড্রাম) সেতু নির্মাণ করা হয়, যা এখনো চলছে। সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি, এই অবহেলিত এলাকায় দ্রুত পাকা সড়ক নির্মাণ করা হোক। তাহলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি ও সমাজ নির্মাণে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।’
টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আবু সাইদ মিয়া বলেন, ‘অনেকবার রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানিয়েছি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। শুধু আশ্বাস মিলেছে; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী (স্থানীয় সরকার বিভাগ) রাহাত ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত আছি। প্রধান সমস্যা হলো, এই গ্রামে প্রবেশ করতে গেলে ঝুঁকিপূর্ণ ভাসমান সেতু পার হতে হয়, নয়তো বিকল্প একটি দুর্বল কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। রাস্তা পাকাকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ভারী রোলার সরঞ্জাম বর্তমানে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ওই এলাকার রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূল হলে এবং বর্ষা মৌসুম শেষ হলে আগামীতে টেন্ডারের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কার্পেটিং কাজ শুরু করা হবে। মধুমতি বাঁওড়ে স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে। আমরা গুরুত্ব বিবেচনা করে শিগগিরই পুনরায় প্রস্তাব পাঠাব।’
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল বলেন, ‘সড়ক বানাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এলজিইডি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, আপাতত সড়ক করার মতো পরিবেশ অনুকূল নয়। বর্ষা শেষ হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছানোর ব্যবস্থা হলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) কর্তৃক বাংলাদেশে মনোনীত এনজিও ‘রাইটস্ যশোর’ মাদারীপুর শাখার উদ্যোগে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন টিভি ও প্রিন্টিং মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য অভিবাসীদের ক্ষমতায়নে আই.ও.এমের ‘সিনেমা আঙিণা’ শীর্ষক সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ওই অনুষ্ঠানটি মাদারীপুর জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাদারীপুর ‘সিনেমেরিনা প্রকল্পের’ ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোখলেছুর রহমান পিন্টুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও ডিরেক্টর অব প্রোগ্রাম এস,এম আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংস্থার প্রধান কার্যালয় যশোর জেলা থেকে আগত প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েটস অমল বিশ্বাস, সিনিয়র মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার তারেক মাহমুদ, ডিরেক্টর অব প্রোগ্রাম-প্রদীপ দত্ত, মাদারীপুর জেলা ম্যানেজার ‘সিনেমেরিনা’ প্রকল্পের মো. মোখলেছুর রহমান পিন্টুসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এ সময় সংস্থার এফ,এস,টি,আই,পি প্রকল্পের মাদারীপুরের ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম অফিসার বায়োজিদ মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এতে জেলার বিভিন্ন টেলিভিশন, প্রিন্টিং ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার ২৩ জন সিনিয়র সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন বিটিভির সাবেক সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান বাদল, জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক সুবল বিশ্বাস, দৈনিক বাংলার সাংবাদিক শরীফ মো. ফায়েজুল কবীর, সাংবাদিক বেলাল রিজভী, সাগর তামিম, রিপন চন্দ্র মল্লিক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংস্থাটির জনকল্যামুখী সব কর্মকাণ্ড সাংবাদিকদের তুলে ধরার আহ্বান জানান।