মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত

ভাটিয়ারীতে ময়মনসিংহগামী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:০১

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে ময়মনসিংহগামী যাত্রীবাহী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিজয় এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।

মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধারে কাজ চলছে। অন্য লাইন সচল আছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

লাইন পরিবর্তনের সময় এ ঘটনা ঘটে বলে পরিবহন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।


ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বিআরটিসির বাড়তি ৫৫০ বাস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদ যাত্রায় ঢাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফেরেন। সারা দেশের প্রায় সব রুটেই যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ থাকে। তাই নিয়মিত বাস সেই বাড়তি যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাওয়ার পাশাপাশি কঠিনও হয়ে পড়ে। যাত্রীদেরও প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য অনেক কষ্ট করে বাড়ি যেতে হয়। এবার মানুষের সেই কষ্টের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি) ঈদযাত্রায় যুক্ত করতে যাচ্ছে বাড়তি ৫৫০টি বাস। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পরিবহনে অংশ নেবে ঢাকায় চলাচল করা বিআরটিসির এই বাসগুলো।

আজ সোমবার সকালে মতিঝিল বিআরটিসি ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঈদ উপলক্ষে গত সপ্তাহে মিটিং করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঢাকা শহরে আমাদের ৬০০টি বাস আছে। এখান থেকে ঢাকা শহরের জন্য ৫০টি বাস রেখে বাকি ৫৫০টি বাস ঈদ সার্ভিসে রাখা হবে। এ ছাড়া আমাদের বাকি দূরপাল্লার বাসগুলো নিয়মিত চলবে। এবার ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বহরের গাড়িগুলোর মাত্র ৩৪টির লিজে আছে। আমরা আর গাড়ি লিজে চালাব না। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। ২০২০ সালে ১ হাজার ৮২৫টি বাসের মধ্যে ৮৮৫টি বাস অনরুট ছিল। ২০২১ সালে ১ হাজার ৭৬২টি বাসের মধ্যে অনরুট ছিল ১ হাজার ১০৬টি, ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৩৩টি বাস এবং ২০২৩ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৫৩টি বাস অনরুট ছিল।’

বিআরটিসি বর্তমানে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিআরটিসি একসময় অলাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমানে এটি একটি লাভজনক। গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ যাত্রী বেড়েছে। আগে ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ১০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বেতন দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের নতুন ডিপোও লাভজনকভাবে চলছে।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, শিগগির স্মার্ট স্কুল সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে ঢাকায়। এরই মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল থেকে স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস চালু হবে বলেও উল্লেখ করেন।


রূপগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে ১০ বছরে ১৭ খুন

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০৪:৩০
রাসেল আহমেদ, রূপগঞ্জ

রূপগঞ্জের সর্বত্র এখন কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। ২১টি কিশোর গ্যাংয়ের প্রায় সাড়ে ৪০০ সদস্য গোটা রূপগঞ্জ দাবড়ে বেড়াচ্ছে।

এখানে পাড়ায় পাড়ায় গড়ে উঠেছে মাস্তান গ্রুপ। ক্ষমতাসীন দলের বা সহযোগী সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে কিশোরদের একটি অংশ এলাকার ‘প্রভাবশালী’ বড় ভাইদের ছত্রছায়ায় করছে নানা অপরাধ। গ্রুপে গ্রুপে দ্বন্দ্বে খুনোখুনি পর্যন্ত হচ্ছে। বাড়ছে হানাহানি সংঘাত। দল বেঁধে মাদক সেবন করছে যত্রতত্র। পিছিয়ে নেই ধর্ষণের মতো অপরাধেও। বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত অপরাধকাণ্ডের তদন্তে বেরিয়ে আসছে উঠতি বয়সি তরুণদের নাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রূপগঞ্জে ২১টি গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কিং মাস্টার, ডি কোম্পানি, টাইগার গ্যাং, টেনশন গ্যাং, ডেঞ্জার গ্রুপ, সুইচ গ্রুপ, স্যাভেজ গ্রুপ, কুড়াল গ্রুপ, পিনিক গ্যাং, হাতুড়ি গ্যাং, সজীব গ্যাং, আমির গ্যাং, ইভান গ্যাং, পাটানী গ্যাং, আলেক্স গ্রুপ, সেভেন স্টার গ্রুপ, ইয়াং স্টার, কসাই গ্যাং, লাদেন গ্যাং ও বাবা গ্যাংসহ নানা গ্রুপ।

থানা পুলিশ, নিহতের পরিবার ও পত্রপত্রিকা সূত্রে জানা গেছে, রূপগঞ্জে গত ১০ বছরে কিশোরদের হাতে ১৭ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর ভোলাব পাইস্কা এলাকায় তিন কিশোর বন্ধু মিলে হত্যা করে কিশোর মাওলাকে। একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ঘুম ভাঙিয়ে দেওয়ায় দাউদপুরের দুয়ারা এলাকায় কিশোর ছোট ভাই জামিল পায়েল হত্যা করে তার বড় ভাই আশরাফুলকে। ২০১৪ সালের ৩ মে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৩নং ওয়ার্ডের মাদকাসক্ত কিশোর ছেলে আব্দুল কাদিরের হাতে তার বাবা জাহাঙ্গীর আলম হত্যার শিকার হন। ২০২১ সালের ৩ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ায় গোলাকান্দাইল বেড়িবাঁধ এলাকায় দুই দল কিশোর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সানি (১৭) নিহত হয়। ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে প্রেমসংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই কিশোরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সজীব নিহত হয়। ২০২০ সালে কিশোরদের হাতে কায়েতপাড়া এলাকায় আনোয়ার হোসেন ও শিংলাব এলাকায় কিশোর সাইফুল ইসলামের হাতে তার মা দেলোয়ারা বেগম নিহত হয়। ২০২২ সালের ১৭ জুন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চনপাড়া পুনর্বাসন এলাকায় কিশোর দু’ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সজল নামে এক কিশোর নিহত হয়। ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি দাউদপুর কাজীরবাগ এলাকায় কিশোর বন্ধুদের হাতে মাহিম খুন হয়। ২০১৩ সালের ১১ মে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের মৃত আমানউল্লার মেয়ে শান্তা মণিকে পিটিয়ে হত্যা করে কিশোর বখাটেরা। সে ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। জাঙ্গীর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈম হোসেনকে ২০১৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গলা কেটে হত্যা করে তার কিশোর বন্ধুরা। একই বছরের ৪ জুন হত্যার শিকার হন মিঠাব এলাকার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নেয়ামুল হক নাঈম। তাকেও তার কিশোর বন্ধুরা হত্যা করে। ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর আয়েত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রিয়াংকা আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করে কিশোর বখাটে। ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি খুনের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র পারভেজ আহম্মেদ জয়।

সূত্র জানায়, এলাকায় রাজনৈতিক দলের আধিপত্য বিস্তার করতেও কাজ করে এসব গ্রুপের অনুসারীরা। দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে এই আশায় স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের মাঝেমধ্যেই কাছে টানেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিজেদের বড় ও প্রভাবশালী বলে উপস্থাপন করতে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানো, বাইক রাইডিং, অনলাইন ক্যাম্পিং, দেয়াল লিখনের মাধমে গ্যাংগুলো গড়ে উঠছে। এরপর মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, দল বেঁধে মাদকসেবন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, এমনকি মাদক কারবারেও জড়িয়ে পড়ছে এসব গ্রুপ। প্রতিটি দলে ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে অন্তত ১০-১৫ জন করে থাকছে। স্থানীয়পর্যায়ে প্রভাব বিস্তার করে অপরাধ করতে মহল্লার বড় ভাই এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা এসব দলনেতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাদের হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে এবং দখল ও চাঁদাবাজিতে দল ভারী করে উঠতি বয়সি এই অপরাধীরা। বস্তির দিনমজুর থেকে শুরু করে ধনীর দুলালরা এই চোরাবালিতে নিজের অজান্তেই পা দিচ্ছে।

মানবাধিকার, আইন, অপরাধ ও সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্যাংগুলোকে যারা ব্যবহার করছে, তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ওই কিশোরদের সংশোধনেও গুরুত্ব দিতে হবে। এই কিশোর গ্যাংয়ের কাছে রয়েছে দেশি অস্ত্রের ছড়াছড়ি, এমনকি অত্যাধুনিক বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র। পারিবারিক বন্ধন ক্রমেই শিথিল হয়ে যাওয়া, সামাজিক অবক্ষয়, অস্থিরতা কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা।

নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল বলেন, ‘কিশোর সংশোধন আইন আছে। কিন্তু যে হারে কিশোর গ্যাং বেড়েছে আরও কঠোর আইন হওয়া দরকার।’

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘কিশোর গ্যাং অনেকটা কমে গেছে। বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।’


ভেঙে দেওয়ার পরও চলছে ইটভাটার কার্যক্রম

ঘুমধুমে বন্ধ করে দেওয়ার দুই দিন পর থেকে দিব্যি চলছে অবৈধ ইটভাটা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:১৫
মো. শাফায়েত হোসেন, বান্দরবান

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে অবৈধ ইটভাটায় প্রতিদিনিই পোড়ানো হচ্ছে হাজার হাজার মণ বনের গাছ। এতে ধ্বংস হচ্ছে বনায়ন। কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। আর প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে এসব অবৈধ ভাটা- এমন অভিযোগ করে ক্ষতিকর ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের।

লামা উপজেলার ফাইতং একটি ইউনিয়নে অবৈধভাবে ২৮টি ইটভাটায় প্রকাশ্যে চলছে ড্রাম চিমনি ও পাকা চিমনির ইটভাটার কার্যক্রম।

নীতিমালা লঙ্ঘন করে বনের মধ্যে ও লোকালয় এবং কৃষিজমিতে গড়ে উঠেছে পাহাড়ে এসব ইটভাটা। অবৈধ ইটভাটার ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পরিবেশ। উজাড় হচ্ছে আরণ্যক প্রকৃতি। অধিকাংশ ইটভাটা গড়ে উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে, লোকালয়ে, বনাঞ্চল ঘেঁষে ও উর্বর কৃষি জমিতে। অধিকাংশ পাহাড় বিধ্বংসী ইটভাটায় পরিণত হয়েছে। আবার অনেকেই আর্থিকভাবে সাময়িক লাভবান হওয়ার আশায় অনেক কৃষক তাদের ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়রা। ইটভাটার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি ইটভাটায় ইট পোড়াতে দৈনিক প্রায় ৪০০ মণ তাজা কাঠ প্রয়োজন। সে হিসাবে ২৮টি ইটভাটায় দৈনিক সাড়ে ১১ হাজার মণ কাঠ বনবিভাগকে ম্যানেজ করে ইটভাটায় জ্বলছে।

এভাবে গেল বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত জ্বলবে। ইট প্রস্তুত মৌসুম শুরুর আগে রাজনৈতিক নেতারা ও সব প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুরো মৌসুম চলছে সব অবৈধ ইটভাটা। বছরের পর বছর এসব অবৈধ ইটভাটা আইনের তোয়াক্কা না করে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখলেও প্রশাসন, বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর শক্ত কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামেমাত্র অভিযান চালিয়ে আর্থিক জরিমানা করা হলেও পরদিনই আবারও ভাটাগুলো বহাল তবিয়তে তাদের অবৈধ কাজ শুরু করে দেয়। সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় তিনটি ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে দাবি করে পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু অভিযানের দুই দিন পর ওই ইটভাটাগুলো পুনরায় কাজ শুরু করে, এখনো দিব্যি কার্যক্রম চালাচ্ছে।

এদিকে জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবহৃত হচ্ছে বনের কাঠ আর কাঁচামাল হিসেবে জলাশয়ের মাটি ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবহৃত হচ্ছে পাহাড়ের মাটি। এ জন্য এক্সকাভেটর দিয়ে দিন-রাত কাটা হচ্ছে বড় বড় পাহাড় আর উজাড় হচ্ছে শত শত একর বনভূমি। ইট তৈরিতে পাহাড়ের মাটি ও বনের কাঠ ব্যবহার করায় একদিকে যেমন ধংস হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ তেমনি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারাও। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। অতিরিক্ত ইট বোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে যাতায়াতের সরকারি রাস্তা। ফলে ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ ও স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীরা। অন্যদিকে ইটভাটায় পাহাড়ের মাটি ব্যবহারের কথা অস্বীকার ও সরকারি নিয়মানুযায়ী কয়লার চুল্লি দিয়ে ইটভাটা তৈরিতে অধিক খরচ হওয়ায় নিয়ম মানা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ফাইতং ইটভাটা মালিকরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, ‘যত্রতত্রভাবে ইটভাটা গড়ে ওঠায় তার ইউনিয়নে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিয়েছে এবং পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। ইটভাটার মালিকরা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো আইন-কানুন মানে না। গায়ের জোরে সব কাজ করে। প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ ছোট-বড় ট্রাক দিয়ে ইট পরিবহনের দায়ে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সব রাস্তা ভেঙে গেছে।

একটি ইউনিয়নে ২৮টি ইটভাটায় সব বড় বড় সব পাহাড় সাবাড় করে ফেলছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সবুজ পাহাড় বেষ্টিতে পরিবেশ ও বায়ুদূষণ করে চলছে অবৈধ ভাটাগুলো। প্রকাশ্যে পাহাড় ও ফসলি জমি কাটা এবং জ্বালানি হিসেবে বনের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে খুব কাছাকাছি এলাকায় অন্তত ৫টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ সরওয়ার হারেজের মালিকানাধীন কেআরই, সাজু বড়ুয়ার ডিএসবি, ফরিদ আহম্মদের বিবিএম, জয়নাল আবেদীনের জেএসবি ও আবুল কালামের মালিকানাধীন কেআরএস ইটভাটার কোনোটির লাইসেন্স ও পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। প্রশাসন মাঝেমধ্যে এসব ইটভাটায় অভিযান চালালেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ চোখে দেখেনি স্থানীয়রা। অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ সরওয়ার হারেজ প্রশাসন ম্যানেজ করেই এই ইটভাটাগুলো চালাচ্ছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘বান্দরবানের একটি ইটভাটারও বৈধ অনুমতি নেই। উচ্চ আদালতের ১০টি রায় আছে। প্রতিটি রায় ভিন্ন ভিন্ন। সরকারি উন্নয়ন কাজের জন্য ইটের প্রয়োজন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ জেলায় কোনো ইটভাটা পরিচালনা করা যাবে না। হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানোর পরদিনই আবারও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চালু হয় ভাটা।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফখরউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এক দশক ধরে অবৈধভাবে বান্দরবানের ইটভাটাগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। চলতি বছরেও ইটভাটাগুলোর সরকারি অনুমতি ও পরিবেশ ছাড়পত্র নেই।’

তবে এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৯ সাল থেকে ২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পাহাড় কাটা ও ইটভাটা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৪১ ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। তবে ২০১৩ সালে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন হওয়ার পর বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় কোনো ইটভাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এর পরও অবৈধভাবে চলছে ইটভাটা।


টাঙ্গাইলে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত

ট্রেনটির এক ব‌গির চার‌টি চাকা লাইনচ্যুত হ‌য়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতি‌নি‌ধি

টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেল‌স্টেশ‌নে পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের দুটি ব‌গি লাইনচ্যুত হ‌য়েছে। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘ‌টে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তখনো ঢাকার সঙ্গে উত্তরব‌ঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল‌স্টেশ‌নের মাস্টার (বু‌কিং) রেজাউল ক‌রিম ও বঙ্গবন্ধ‌ু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত ক‌রে‌ছেন।

ওসি ব‌লেন, পঞ্চগড় থে‌কে ছে‌ড়ে আসা পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেন‌টি যাত্রাবিরতি শে‌ষে ঢাকার দি‌কে যাওয়ার সময় দুটি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের চাকায় ত্রুটির কার‌ণে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘ‌টেছে।


আমবাগান থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৮ মার্চ, ২০২৪ ১৭:২৩
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে একটি আমবাগান থেকে ২৬ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের হছাইল এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত তরুণীর শরীরে ও কপালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রউফ সরকার।

তিনি বলেন, ‘সকালে স্থানীয় একটি আমবাগানে ওই তরুণীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে মরদেহের সুরতহাল শেষে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং নিহতের পরিচয় জানতে চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে তাকে কেউ শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।’

বিষয়:

নওগাঁয় হাজতির মৃত্যু

আপডেটেড ১৮ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৫৪
নওগাঁ প্রতিনিধি 

নওগাঁয় সামিরুল সরদার (২২) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। সামিরুল সরদার নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার তেমুখ সাপুরাপাড়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে।

জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি সান্তাহার রেলওয়ে থানার করা মাদক মামলায় কারাগারে আসেন সামিরুল সরদার। এরপর আজ ভোরে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরেই তার মৃত্যু হয়।

জেল সুপার আরও জানান, তার মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালেই রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

বিষয়:

মোটরসাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক মাদরাসা শিক্ষকসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের মল্লিকবাড়ির স্টান্ডের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া এলাকার নুর মোহাম্মাদের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (৫২) ও পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা উমেদপুর এলাকার মালেক শেখের ছেলে মো. হাসিব শেখ (২৫)।

আহতদের নাম নুরু ও আরিফ বলে জানা গেছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের মল্লিকবাড়ির স্টান্ডের সড়কে পিরোজপুর থেকে একটি মোটরসাইকেল পাড়েরহাটের দিকে যাচ্ছিল। অন্যটি ইন্দুরকানী থেকে পিরোজপুরে আসছিল। মল্লিকবাড়ি এলাকায় আসলে একজন পথচারীকে সাইড দিতে গিয়ে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা দুই মোটরসাইকেলের ৪ জন আরোহীকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার জানান, দুইজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এছাড়া দুইজনের অবস্থা গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

বিষয়:

জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: সহপাঠি ও প্রক্টরের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের একদিন ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে কুমিল্লার একটি আদালত।

সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিক শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কুমিল্লার কোতয়ালী থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার রাতে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল ডিএমপির কাছ থেকে দুজনকে কুমিল্লায় নিয়ে আসে। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে নেয় হয়। শনিবার রাতে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে মামলা করেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।

গত শুক্রবার রাতে কুমিল্লা নগরের বাগিচাগাও এলাকার ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। আত্মহত্যার আগে তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে মৃত্যুর জন্য জবির তৎকালীন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে দায়ী করেন। এরপর দায়ীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাতেই জবি প্রশাসন অবন্তিকার সহপাঠি ও সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেয়। পরদিন তাদের গ্রেপ্তার করে ডিএমপি।


ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে ২ জনের মৃত্যু, আহত ৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন জন। রোববার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরী গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহত ও আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরী গ্রামের বিলে রোববার রাতে ১০-১২ জনের একটি দলকে দেখে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। স্থানীয় কয়েকজন তাদের দেখতে পেয়ে মসজিদে মাইকে ডাকাত বলে ঘোষণা দেয়। পরে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এসময় তারা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে ধরে গণপিটুনি দেয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়। অন্যরা পালিয়ে বিলের বিভিন্ন পুকুরের পানিতে ঝাঁপ দেয়। পরে তাদের পুকুর থেকে তুলে আরও তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনের লাশ উদ্ধার করে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন জানান, দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত তিন দিন ধরে সাদিপুর ইউনিয়নের কাজহরদী ও কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরি এলাকায় ডাকাতরা বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। গত শুক্রবার রাতে সাদিপুর ইউনিয়নের কাজহরদী গ্রামে বাড়ির মালিককে কুপিয়ে দুই বাড়িতে ডাকাতি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে যায়।


গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফারণের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে আরও দুইজন মারা গেছেন। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত শিশুসহ পাঁচজন মারা গেলেন।

এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে দগ্ধ দুজন শ্রমিক মারা গেছেন। তাদের একজনের নাম মইদুল ইসলাম (২৫)। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বেড়াখোলা এলাকার ছাবেত খাঁর ছেলে। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে একটি গুদামে কাজ করতেন।

অপরজনের নাম আরিফুল ইসলাম (৪৫)। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে। তিনিও তার পরিবার নিয়ে ওই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বাস করতেন। আগুনে মইদুলের শরীরের ৯৫ ভাগ এবং আরিফুলের ৭০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।

ওই দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ। তিনি জানান, এর আগে মৃত শিশুটির পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। গ্রামের বাড়িতে লাশ নেওয়া ও দাফনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৃত দুই শ্রমিকের পরিবারকেও একইভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।

এর আগে গত শনিবার সকাল ৯টার দিকে আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনসুর আলী (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। আগুনে তার শরীরের শতভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি রাজমিস্ত্রি ছিলেন। মনসুর আলীর বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সালদাহ উত্তরপাড়া এলাকায়।

একই দিন রাত পৌনে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তায়েবা নামের পাঁচ বছরের এক শিশু মারা যায়। সে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সদর এলাকার সজল মিয়ার মেয়ে। আগুনে তার শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সোলায়মান মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মারা গেছেন। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের হোসেন মোল্লার ছেলে। আগুনে তার শরীরের ৯৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। সোলাইমানের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কালিয়াকৈরেই থাকতেন।

এরও আগে গত বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কালিয়াকৈর উপজলার তলিরচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই এলাকার শফিক খান নামের এক ব্যবসায়ী জমি ভাড়া নিয়ে কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। ওই বাড়িতে সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের একটি দোকান থেকে তিনি একটি সিলিন্ডার কিনে আনেন। সেই সিলিন্ডার লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকলে তিনি সিলিন্ডারটি পাশের রাস্তায় ছুড়ে ফেলেন। সেখানে ইফতার তৈরির এক চুলার আগুনের সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় আশপাশের উৎসুক শিশু, নারী ও পুরুষের শরীরে আগুন লেগে ৩৬ জন দগ্ধ হন।

ঘটনাটি তদন্ত করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট হুমায়ুন কবিরকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে কালিয়াকৈর উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ ও গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিনকে কমিটির সদস্য করা হয়। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


স্বামী-স্ত্রী মিলে চুরি করেন সরকারি ওষুধ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খুলনা ব্যুরো

ছবি: দৈনিক বাংলা

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওষুধ চুরি করে পাচারের সময় হাসপাতালের এক কর্মী ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়।

আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে (মেডিসিন) এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন সালেহা বেগম ও তার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক। সালেহা ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে অবৈতনিক কর্মী হিসেবে কাজ করেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মার্চ প্রসূতি বিভাগের অপারেশন টেবিলের নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়। ওই ঘটনার পর ওষুধ চুরি ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ ৫-৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ওষুধ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের হাতেনাতে আটক করেন কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা।

ওই হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক চিকিৎসক হুসাইন শাফায়াত জানান, মাত্র কয়েক দিন আগেই প্রসূতি বিভাগের টেবিলের নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ ওষুধ জব্দ করে নার্সিং ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট। এ ঘটনায় তিনজন চিকিৎসককে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি তাদের তদন্ত কাজ করছেন। এরপর থেকে হাসপাতালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সে কারণেই গতকাল আবার ওষুধ জব্দ করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও জনান, আটক দুজনকে থানায় সোপর্দ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তারাও আইনের আওতায় আসবে।

সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আব্দুল হাই বলেন, ওষুধ চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই নারী ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ইখতিয়ার উদ্দিন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালের নভেম্বরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি অপারেশন থিয়েটারে মজুত করা বিপুল পরিমাণ ওষুধ ও মালামালসহ আউট সোর্সিং কর্মচারী মনিরা বেগমকে আটক করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নিয়োজিত আনসার সদস্যরা। তার দেওয়া তথ্যে, ১৪টি ড্রয়ার থেকে ৪২ ধরনের বিপুল পরিমাণ রোগীদের ওষুধ জব্দ করা হয়। এরপর গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে অভিযুক্ত আউট সোর্সিং কর্মচারীকে বরখাস্ত ছাড়াও অন্য দুজন আউট সোর্সিং কর্মচারী জাহিদ ও মুকুলকে চাকরিচ্যুত করার সুপারিশ করেন।

তবে ওটি ইনচার্জ নার্সকে শুধু কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওষুধ চুরির সঙ্গে জড়িতদের বড় কোনো শাস্তি না হওয়ায় বারবার একই অপরাধ ঘটছে।


১০ টাকায় আট পদের ইফতার বাজার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

রমজানে নামমাত্র দশ টাকার বিনিময়ে ৩ শতাধিক মানুষ পেয়েছে আট পদের ভরপুর ইফতার বাজার। ব্যতিক্রমী এই ‘১০ টাকায় ইফতার বাজার’ উদ্যোগের দেখা মিলেছে মুন্সীগঞ্জে।

গতকাল শনিবার সকালে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার স্বর্ণগ্রাম রাধানাথ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পেঁয়াজ, ডাল, খেজুর, চিনি, তেল, চিড়া, ছোলা বুট ও মুড়ির স্টল নিয়ে বসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন। সঙ্গে সরবরাহ করা হয় বাজারের ব্যাগ। এ সময় দেখা যায়, প্রতিজন ক্রেতা লাইনে দাঁড়িয়ে ১০ টাকার বিনিময়ে প্রথমে ব্যাগ সংগ্রহ করেন। এরপর পৃথক স্টল থেকে প্রতিটি পণ্য এক কেজি করে সংগ্রহ করেন। ক্রেতাদের সহায়তায় প্রতি স্টলেই ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

এ সময় বিক্রমপুর মানব সেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক হিরা জানান, দরিদ্র মানুষের আত্মসম্মানের কথা মাথায় রেখে পণ্যগুলো বিনা মূল্যে না দিয়ে ধরা হয়েছে নামমাত্র মূল্য। আর বাজার থেকে কেনার অনুভূতি দিতে সাজানো হয়েছে স্টল। প্রথম ধাপে ৩ শতাধিক মানুষের মাঝে পণ্য বিতরণ করা হয়েছে। সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে পুরো রমজানজুড়েই এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ইচ্ছা আছে।

ইফতার বাজারে আসা আরফান নেসা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি বিধবা। মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকি। বাজারের যে অবস্থা তাতে খুব কষ্টে আছি। ১০ টাকায় এখন কাঁচা মরিচও পাওয়া যায় না। সেখানে এতগুলো পণ্য পেয়ে আমি খুব খুশি।’

স্থানীয় পয়সাগাঁও এলাকার মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমাগো দেশে রোজা আসলেই বাজারে সবকিছুর দাম বাইড়া যায়। এর মধ্যেও সামান্য ১০ টাকায় এতকিছু পামু কল্পনাও করি নাই। বড়লোক যারা আছে তারাও যদি আগাইয়া আহে আমাগো মতো গরিবরা কয়টা খাইয়া বাঁচবো।’

মূলচর এলাকার ষাটোর্ধ্ব নারী রেজিয়া বেগম বলেন, ‘১০ টেকায় আট পদ পাইছি। এই জামানায় এই কথা বাসায় গিয়া কইলে কেউ বিশ্বাসই করব না। কইবো ভিক্ষা কইরা আনছি। কিন্তু না, আমি কিনা নিছি এতকিছু, এইটা আমার গর্ব।’

৩ বছর ধরে রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষের সেবায় ১০ টাকার বিনিময়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে বিক্রমপুর মানব সেবা ফাউন্ডেশন নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। পাশাপাশি ঈদুল ফিতরের দিন ১০ টাকায় গরুর মাংস বিতরণ, প্রতিবছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেধাবৃত্তি উৎসব এবং বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড করে থাকে সংগঠনটি।


বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন লাইনচ্যুত

আপডেটেড ১৭ মার্চ, ২০২৪ ১৫:২৪
কুমিল্লা প্রতিনিধি

গরমে রেললাইন বেঁকে গিয়ে কুমিল্লায় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন তেজের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চাঁদপুর অভিমুখী ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।

তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী এবং অন্যান্য রুট থেকে চট্টগ্রামমুখী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার।

তিনি জানান, এদিন নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে ময়মনসিংহ অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসে। চৌদ্দগ্রামের গুণবতী স্টেশন পার হয়ে নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশনে প্রবেশের সময় আউটারে ট্রেনটির একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। হঠাৎ গরমের কারণে এমন হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়েছেন কিনা, তা জানতে পারিনি। ট্রেনটিকে উদ্ধারে লাকসাম থেকে আরেকটি ট্রেন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম অভিমুখী লাইন সচল আছে। ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বিষয়:

banner close