বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:৪৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে, কখনও কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। তারা (বিএনপি) জানে যে, সঠিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা হত্যা, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসতে অভ্যস্ত। এটাই বাস্তবতা।

জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চেয়েছিলেন তারা কারা? আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে।

শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলেছেন, জনগণ নির্বাচনে অবাধে তাদের ভোট দেবে এবং বিএনপিকে আশ্বস্ত করেছেন যে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

‘আমি মনে করি, তারা (বিএনপি) সত্যিই চিন্তিত যে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। কারণ, তারা ভোট কারচুপি এবং ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাচ্ছে না। অন্যথায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই,’ উল্লেখ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দেবে। ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন এমন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি, এটা তাদের দলের সিদ্ধান্ত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। যদি কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারায় তাহলে কার কি করার আছে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম একটি আধুনিক পদ্ধতি এবং বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ব্যবহৃত হয়। আমরা দেখেছি, যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে দ্রুত নির্বাচনের ফলাফল পাওয়া যায় এবং মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে।


সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীক শহীদুলের পরিবারের নেই স্থায়ী নিবাস

ছবিতে সর্ব বামে (বৃত্তে) সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীক শহীদুল।
আপডেটেড ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০৫:৩১
মো. রুবেল আহমেদ, গোপালপুর (টাঙ্গাইল)

‘রাজাকার-আলবদর থাকে আজ রাজপ্রাসাদে, আমি শহীদুল ইসলাম বীরপ্রতীক থাকি একটা কুইড়াঘরে (কুঁড়েঘরে) তার কারণ কী?’ ক্ষোভে ২০০৩ সালে ধারণ করা এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছিলেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সূতী গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে শহীদুল ইসলাম। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্ম হলেও অনেক সাহসী ও বুদ্ধিমান ছিলেন। তাই তো দেশকে হানাদার মুক্ত করতে ১২ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন কাদেরিয়া বাহিনীর কমান্ডার আনোয়ার হোসেন পাহাড়ির অধীনে।

কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, দেশের সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীক শহীদুল ইসলাম লালুর পরিবারের নেই স্থায়ী নিবাস, সন্তানদের জন্য নেই চাকরির ব্যবস্থা। তিনি কুলির কাজ ও খাবার হোটেলের কাজ করে অনেক কষ্টে কাটিয়েছেন জীবনের অধিকাংশ সময়।

দৈনিক বাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীকের পরিবার বসবাস করছেন ঢাকার মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন প্রকল্পের সরকারি জমিতে। প্রথম সন্তান মুক্তা বেগম (৩৫) পেশায় গৃহিণী, স্বামীর বাড়ি রাজশাহীর নাটোরে। দ্বিতীয় সন্তান আক্তার হোসেন (৩২) পেশায় গাড়িচালক, তৃতীয় সন্তান সোহাগ হোসেন (২৭) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সদ্য গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন। চতুর্থ সন্তান শিখা আক্তার (২০) ঢাকার একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভারতে ট্রেনিং চলাকালে সর্বকনিষ্ঠ হওয়ায় সহযোদ্ধারা তাকে লালু তার চেয়ে বয়সে বড় শ্যামলকে ভুলু নামে ডাকতে শুরু করেন। দেশে ফিরলে তার বুদ্ধিমত্তায় একাধিকবার মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণে বাঁচেন। কাদেরিয়া বাহিনীর কমান্ডারের নির্দেশে, চতুর শহীদুল ইসলাম ছদ্মবেশ ধারণ করেন। কৌশলে এক রাজাকারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে গোপালপুর থানা কম্পাউন্ডের, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বাংকারে ঢুকে পড়েন। তার কৌশল ও দুঃসাহসিক গ্রেনেড হামলায় একাধিক বাংকার ধ্বংস করলে গোপালপুর থানা হানাদার মুক্ত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক উপাধি দেয়। রাইফেলের সমান উচ্চতা হওয়ায় ভারতে প্রশিক্ষণ চলাকালে তাকে স্টেনগান চালনা ও গ্রেনেড ছোড়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কাদেরিয়া বাহিনী ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অস্ত্র সমর্পণ করা হয়। স্টেনগান জমা দানকালে অত্যন্ত সাহসী ১২ বছরের কিশোর শহীদুলের বীরত্বের কথা শুনে, মুগ্ধ হয়ে তাকে কোলে তুলে নেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছবিটি সামরিক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। যখন সহযোদ্ধাদের কাছ থেকে লালুর বাংকার ধ্বংসের কথা শুনলেন তখন বঙ্গবন্ধু তাকে আদর করে কোলে তুলে নিয়ে বলেছিলেন, ‘বীর বিচ্ছু’।

শৈশবে শহীদুল ইসলামের বাবা-মা, মুক্তিযুদ্ধের সময় এক ভাই-এক বোনের মৃত্যু হয়। দরিদ্রতায় উপায়ান্তর না দেখে মুক্তিযুদ্ধের পর ২ ভাইকে রেখে জীবিকার তাগিদে বাড়ি ছাড়া হন তিনি। ঢাকার সোয়ারিঘাটে বালু টানা, ঠেলা গাড়ি চালানো, রাজমিস্ত্রীর হেলপারের কাজ, শেষে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কুলির কাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে কুলির কাজ শেষে হোটেলে কাজ শুরু করেন। যাযাবর অবস্থায় বিয়েও করেন, এক কন্যা ও এক পুত্র জন্ম নেওয়া সেই সংসার স্থায়ী হয়নি। পরবর্তীতে কুমিল্লায় হোটেলে কাজ করা অবস্থায় সহকর্মীকে জীবনের সব ঘটনা খুলে বলেন। ২ সন্তানকে নিয়ে ওই সহকর্মীর সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর চলে যান। ১৯৯৬ সালে সেই সহকর্মীর নিকটাত্মীয় মালা বেগমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির পুত্রসন্তান সোহাগ হোসেনের জন্মের পর সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয়। ঢাকার পোস্তগোলায় এসে নিজের খাবার হোটেল চালু করার কিছুদিনের মধ্যেই, ১৯৯৮ সালে জটিল কিডনি রোগে আক্রান্তের কথা জানতে পারেন। কোনো উপায় না পেয়ে, কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ঢাকার বাসার ঠিকানা জোগাড় করে দেখা করেন। পরিচয় পাওয়ার পর আবেগাপ্লুত বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বুকে জড়িয়ে নেন। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করান, উপস্থিত সহযোদ্ধাদের নির্দেশ দেন তার কাগজপত্র সংগ্রহ করতে। কাদেরিয়া বাহিনীর যোদ্ধা বীরপ্রতীক আবদুল্লাহকে নির্দেশ দেন, ঢাকার মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন প্রকল্পে শহীদুলের পরিবারের জন্য জায়গা দিতে। সে অনুযায়ী তার পরিবারের ঠাঁই হয় সেখানে। চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হন শহীদুল ইসলাম। কাগজপত্র সংগ্রহের পর জানতে পারেন তিনি বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা‌, তিনিই সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীক। ডাক পড়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে অন্য দুই ভাই তাকে খুঁজে পায়। কিছুদিন পর জন্ম হয় আরেক কন্যা শিখার।

অসুস্থতার কারণে শেষ সময়ে কোনো কাজকর্ম করতে পারেননি, শুভাকাঙ্ক্ষীদের অর্থে চলেছে চিকিৎসা ও পরিবারের খরচ। ২০০৯ সালে ২৫ মে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

বীরপ্রতীক শহীদুল ইসলামের স্ত্রী মালা বেগম দৈনিক বাংলাকে বলেন, আমার স্বামীর জীবদ্দশায় ভাতাপ্রাপ্ত ছিলেন না, তাই শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় চিকিৎসা করাতে হয়েছে। তার মৃত্যুর পর ৪ সন্তানকে অনেক কষ্টে লালন-পালন করি, এরপর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে গেলে ২০১৪ সালে ২ হাজার টাকা ভাতা চালু হয়। মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন প্রকল্পের সরকারি জমিতে একাধিক রুম বানিয়ে ভাড়ার টাকায় সন্তানদের বড় করি। সন্তানদের শিক্ষিত করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার দাবি তিনি যেন সন্তানদের জন্য উপযুক্ত চাকরি ও আমাদের স্থায়ী নিবাসের ব্যবস্থা করে দেন।

তিনি আরও বলেন, ‘নিজ এলাকার মানুষের থেকে তার তেমন মূল্যায়ন পায়নি, এই ক্ষোভে তিনি মৃত্যুর আগে কখনো গোপালপুর যাননি। তবে সন্তানদের নিয়ে আমি একাধিকবার গোপালপুর গিয়েছিলাম।’

সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীকের সন্তান সোহাগ হোসেন বলেন, ‘মানুষের মৌলিক চাহিদার একটি বাসস্থান। আমরা বিশেষ পরিবারের সন্তান হলেও ঢাকার মিরপুরে সরকারি জমিতে বসবাস করছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি স্থায়ী বাসস্থান ও আমাদের জন্য উপযুক্ত চাকরির ব্যবস্থা যেন উনি করেন।’ তবে নিয়মিত সরকারি রেশন ও ভাতা পাচ্ছেন বলেও জানান তারা।

গোপালপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমরেন্দ্রনাথ সরকার বিমল বলেন, সূতী মীরপাড়ায় গোপালপুরের একমাত্র বীরপ্রতীক শহীদুল ইসলামের জন্ম হলেও, এখানে তার বাড়িঘর নেই। তার পরিবার এখানে এসে কিছু চাননি, তাই বীর নিবাসসহ অন্যান্য সুবিধাদি পাননি। তার পরিবার বীরপ্রতীক ভাতা পাচ্ছেন।

গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীরনিবাস তৈরি করে দেওয়ার একটি প্রকল্প চলমান আছে। গোপালপুরে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৬২টি বীরনিবাস নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৬টি নির্মাণাধীন রয়েছে। তাকে আবেদন করে রাখতে বলেন। পরের অর্থবছরে আবার যদি বরাদ্দ আসে তবে হয়তো এগুলো পাঠাতে পারব। আমার যতদূর জানা আছে বর্তমান যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবিত অবস্থায় আছেন প্রাথমিকভাবে তাদের এটা দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত ওয়ারিশ হিসাবে যারা আছেন, তারা পেয়েছেন বলে আমার জানা নেই। তারপরও পর্যাপ্ত তথ্য পেলে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি লিখতে পারব।’


বান্দরবানে অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবানে সাম্প্রতিক ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলা শাখার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে ওই শাখার ভল্ট থেকে দেড় কোটি টাকা লুটপাটের চেষ্টা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। কিন্তু তারা টাকা নিতে ব্যর্থ হয়।

পরদিন বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় লুটপাট করে তারা।

পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ পর্যন্ত রুমা ও থানচি থানায় ৮টি মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় গত ৭ এপ্রিল পার্বত্য এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান শুরু হয় এবং তখন থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়কারী চেওসিম বমসহ অর্ধশতাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।


মিয়ানমার সেনা-বিজিপির আরও ১৩ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে

সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে এবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তিন সীমান্ত দিয়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর ১৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে তিন দিনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর মোট ২৯ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আসে বলে জানিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বলেন, ‘সকালে নতুন করে ১২ জন পালিয়ে আসেন। এর মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুজন এবং জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন প্রবেশ করেন।’

তিনি বলেন, ‘পালিয়ে আসারা বিজিপি ও সেনাবাহিনীর সদস্য। তবে কোন বাহিনীর কতজন সদস্য তা বলা যাচ্ছে না। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

পরে মঙ্গলবার দুপুরে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে বিজিপির আরও এক সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান শরীফুল।

এর আগে সোমবার দুপুরে বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসেন।

শরীফুল বলেন, রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বিজিপির ১৪ সদস্য পালিয়ে আসেন। নতুন করে আসা ২৯ জনকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আগে থেকে ১৮০ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মিয়ানমারের মোট ২০৯ জন সেখানে রয়েছেন।

আগের ১৮০ জনের মধ্যে ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩৩০ জন; যাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

বিষয়:

ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ ব্যুরো

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়কে উপজেলার কোদলধর এলাকার হিমালয় পেট্রোল পাম্পের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

বিষয়টি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী।

ওসি বলেন, ‘যাত্রীবাহী শেরপুরগামী বাসটি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কোদলধর এলাকার হিমালয় পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস দুইটি খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই নারীসহ দুই যাত্রী নিহত হন। এতে আহত হন অন্তত ২৫ জন। তাদের মধ্যে স্থানীয়রা ১০ থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।’

ওসি আরও বলেন, ‘বাসের নিচে আরও মরদেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রেকার দিয়ে খাদে পড়া বাস দুটি উদ্ধারের কাজ করছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’


ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল ১৩ জনের

আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৪৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফরিদপুরে পিকআপ ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে সদর উপজেলার কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সকালে ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। অন্যদিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে জেলা সদরে যাচ্ছিল পিকআপ ভ্যানটি। পথে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় পিকআপটিকে ধাক্কা দেয় বাস। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।

ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাকি দুজন।


রেলওয়ের জলাশয় ভরাট করে দখল

রেলওয়ের ৬৬ শতক জলাশয় ভরাট করে দখলে রেখেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০৬:০১
আওয়াল শেখ, খুলনা

রেলওয়ের ৬৬ শতক জলাশয় ভরাট করে দখলে রেখেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। অজুহাত দেওয়া হয়েছে- খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়রের নির্দেশে সেখানে পার্ক বানানো হবে। তাই পুলিশে অভিযোগ দিয়েও সেই সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারছে না রেলওয়ে। তবে কেসিসি থেকে জাননো হয়েছে, সেখানে কোনো নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়নি। আর কাউন্সিলের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে কিছুই জানেন না মেয়র।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, খুলনা নগরের খালিশপুর এলাকায় খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পশ্চিম পাশের ৬৬ শতক রেলওয়ের জমি রয়েছে, যা কয়েক বছর আগে স্থানীয় জনি মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। ওই জমি জলাশয় হওয়ায় ইজারার শর্তে উল্লেখ ছিল তা ভরাট করা যাবে না। তবে ইজারা নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে ভরাট হয়ে যায়।

রেলওয়ের যশোর ও খুলনার ভূমি কর্মকর্তা মহসিন আলী বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলরের নির্দেশে ওই জমি ভরাট করা হয়েছে। জনি মিয়ার এই জলাভূমি রক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল। তবে তিনি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্নার সঙ্গে যোগসাজশ করে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ফেলেছেন।

শর্ত ভঙ্গ করে ভূমি ভরাট করায় ওই জনি মিয়ার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর সরকারি রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) স্টেশনে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল ভূমি কর্মকর্তা। তবে প্রভাবশালী কাউন্সিলরের চাপে পুলিশ কিছুই করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে মহসিন আলী বলেন, তৎকালীন ভূমি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম জিআরপি থানায় যে ডায়েরি করেছিলেন, স্তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। ওই সময়ে কাউন্সিলর মুন্না ও তার লোকজন তাদের প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত বন্ধ করে দেয়। অবশেষে রেলওয়ের ৬৬ শতক জমির পুরো জলাশয়টি ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যায়।

গত সপ্তাহে ওই জমিটি পরিদর্শন করে সেখানে দেখা যায়, বর্তমানে জলাশয়টি সমতল মাঠে পরিণত হয়েছে। কিছু শ্রমিক এটি সমতল করেছেন।

কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ওই জমিতে শিশুপার্ক, কাউন্সিলর কার্যালয়, দোকানপাট ও বহুতল মার্কেট নির্মাণ করা হবে।

এলাকার বাসিন্দা ইমতিয়াজ শেখ বলেন, এই জমিটি যখন ভরাট করা হয়েছিল, তখন কাউন্সিলর মুন্না কেসিসির প্যানেল মেয়র ছিলেন। তাই প্রকাশ্যে জমি ভরাট করলে তাকে বাধা দেওয়ার মতো কেউ ছিল না।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছিলাম রেলওয়ের কর্মকর্তারা এখানে এসেও অসহায়বোধ করেছিলেন। মুন্না স্পষ্ট তাদের বলেছিলেন এটি কেসিসির মালিকানাধীন একটি পরিত্যক্ত জমি এবং তারা শিশুদের জন্য একটি পার্কসহ সেখানে কিছু স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। তখন রেলওয়ের কর্মকর্তারা পুলিশের সহায়তা নেন।’

এ বিষয়টি নিয়ে কথা হয় খুলনার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী মৃধা সঙ্গে। তিনি বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলর দাবি করেছিলেন যে, ড্রেন সংস্কারের সময় জমে থাকা মাটি ফেলার জায়গা নেই, তাই কেসিসি মেয়রের নির্দেশে তারা মাটি দিয়ে জলাশয়টি ভরাট করছেন।
যোগাযোগ করা হলে আমিনুল ইসলাম মুন্নাও দাবি করেন, কেসিসি মেয়রকে জানানোর পর তিনি জলাশয় ভরাট করেছেন।

তিনি বলেন, ‘জলাশয়টি একটি মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল, যা স্থানীয়দের উপদ্রব সৃষ্টি করছিল। তাই আমি মেয়রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম এবং জনগণের স্বার্থে জলাশয়টি ভরাট করে দিয়েছি। অদূর ভবিষ্যতে সেখানে একটি শিশুপার্ক নির্মাণ করা হবে।’
অনুমতি ছাড়া রেলওয়ের জমিতে জলাশয় ভরাট করা ঠিক কি না, জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম জানান ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ওই জমিতে সিটি করপোরেশনের পার্ক স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা নেই। জমি ভরাট ও দখলের ব্যাপারে মেয়রের কোনো কিছুই জানেন না।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল। তিনি বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে জলাশয় দখল করে নিলেন। আর জমির মালিক পুলিশের আশ্রয়েও তা রক্ষা করতে পারল না। এখানে আইন অন্ধদৃষ্টির ভূমিকা রেখেছে।

এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের বিভাগীয় ভূমি সম্পত্তি কর্মকর্তা (পাকশী জোন) মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘যারা জলাশয়টি ভরাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ইতোমধ্যে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে জায়গাটির চারপাশে বেড়া দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’


ভৈরব নদে ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লাসহ কার্গোডুবি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদে এমভি সাকিব বিভা-২ নামের কয়লাবোঝাই একটি কার্গো ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে প্রায় ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লা ছিল। গত রোববার নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকার নোনাঘাট নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জেএইচএম গ্রুপ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্দোনেশিয়া থেকে ওই কয়লা আমদানি করে অভয়নগরের নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় এনেছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি মাদার ভেসেলে কয়লা আমদানি করে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া পয়েন্টে রাখা হয়। মাদার ভেসেল থেকে এমভি সাকিব বিভা-২ নামের একটি কার্গো জাহাজে ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লাবোঝাই করা হয়। গত শুক্রবার অভয়নগরের নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উদ্দেশ্যে জাহাজটি যাত্রা করে। শনিবার সন্ধ্যায় নদীবন্দর এলাকার নোনাঘাট নামক স্থানে পৌঁছায়।

এমভি সাকিব বিভা-২ জাহাজের মাস্টার বিল্লাল হোসেন বলেন, জাহাজ ঘোরানোর সময় নদের মাটির সঙ্গে তলদেশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এতে জাহাজের তলা ফেটে যায়। রোববার সকাল থেকে জাহাজে পানি প্রবেশ করতে থাকে। সকালে নদীতে ভাটা থাকায় পানি ধীরে ধীরে ঢুকতে শুরু করে। এক পর্যায়ে জাহাজ ডুবে গেলে আমি, সুকানিসহ জাহাজে থাকা ১১ সদস্য নদীর তীরে উঠি।

কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জেএইচএম গ্রুপের নওয়াপাড়া অফিসের লজিস্টিক ম্যানেজার রাহুল দেব গণমাধ্যমকে জানান, আজ সোমবার থেকে কয়লা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে না।

এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, ভৈরব নদে কয়লাবোঝাই একটি কার্গো জাহাজ আংশিক ডুবে গেছে এমন সংবাদ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী করণীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়:

সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষিত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:০৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী এবার (২০২৪ সালে) ১০ জিলহজ বা কোরবানির ঈদ হতে পারে জুন মাসের ১৬ তারিখ।

সেই হিসেবে বাংলাদেশের কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখ।

বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত এই সকল দেশের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

ধর্মমতে মহান আল্লাহ মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানির নির্দেশ দেন। আদেশের পর তিনি সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানির সিদ্ধান্ত নেন। এতে আল্লাহ খুশি হন এবং ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত পশু কোরবানি করেন।


রাজধানীর হাতিরঝিলে আত্মহত্যা করল যুবক

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবারের সঙ্গে রাগারাগী করে অভিমানে রাজধানীর হাতিরঝিলের পানিতে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। হাতিঝিলে ভাসমান অবস্থায় সেই যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম ফয়েজ কাদের চৌধুরী (২৩)। তিনি রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন বলে জানায় পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আওলাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, মৃত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে রাগারাগী করে অভিমানে তিনি হাতিরঝিলের পানিতে আত্মহত্যা করেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাতিরঝিল রামপুরা ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আওলাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত আওলাদ হোসেন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। রোববার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পরিবারের সঙ্গে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যান তিনি। সোমবার হাতিরঝিলে ভাসমান অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’


ঈদ ও নববর্ষে পদ্মাসেতুতে ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা টোল আদায়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঈদের ছুটিতে (৮ থেকে ১৪ এপ্রিল) পদ্মাসেতু হয়ে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৮ এপ্রিল ২০ হাজার ৮৫১ টি, ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৭০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি ও ১৪ এপ্রিল ১১ হাজার ৬২৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ সাতদিনে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে সাতদিনে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৪৯টি, ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি ও ২৩ হাজার ৩০১ টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ১০ কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা। এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

এসব তথ্য দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এক মিনিটের জন্য সেতুতে যান পারাপার বন্ধ হয়নি। নির্বিঘ্নে পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করতে পারছে।


জয়পুরহাটে ব্রিজের নিচ থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের তুলসীগঙ্গা নদীর বটতলী ব্রিজের নিচ থেকে জনি হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) জনি হোসেন সকালে তার খালার বাড়ির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বাহির হন। বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তুলশীগঙ্গা নদীর বটতলী ব্রিজের নিচে স্থানীয় লোকজন একজনের মরদেহ দেখতে পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্রিজ এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় জমতে থাকে। একজন মরদেহটি শনাক্ত করে পরিবারকে জানালে পরিবারের লোকজন এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জনি হোসেন ব্রিজ থেকে পড়ে মারা গেছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’


কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন, সরবরাহ বিঘ্নিত

আপডেটেড ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:৪৮
সিলেট ব্যুরো

সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে দমকল বাহিনী।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেখানকার এক প্রকৌশলী জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। এরপর তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন লাগার খবরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ আশপাশে আতঙ্ক ঝড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ তালতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, 'কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডে সিলেটের অনেকই জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।'

আগুনের কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে সঞ্চালন স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

সিলেট তালতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার শহিদুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সোয়া ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। অগ্নিকান্ডের কারণে বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।


মাকে গাছে বেঁধে রেখে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নুর মোহাম্মদ (১৮) নামে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে টাকা চুরির অভিযোগে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় ওই তরুণের মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এ ঘটনায় ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, নিহত নুর মোহাম্মদ নোয়াখালীর সুধারাম থানার আন্দারচর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। তিনি ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনের বাড়িতে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করতেন। তাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার মঈন উদ্দিন ছাগলনাইয়ার বাথানিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

নুর মোহাম্মদের মা বিবি খতিজা জানান, অভাবের কারণে চার বছর আগে নুর মোহাম্মদকে মঈন উদ্দিনের বাড়িতে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজে দিয়ে যান তিনি। তার মাসিক বেতন ধরা হয়েছিল দুই হাজার টাকা। গত চার বছরে তাকে ব্যাংক কর্মকর্তা কখনো ছুটি দেননি। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথাও বলতে দিতেন না। সেই ক্ষোভ থেকে গত ২৭ রমজান ব্যাংক কর্মকর্তার বাসা থেকে ৮০ হাজার টাকা ভর্তি একটি খাম চুরি করে নিয়ে নুর মোহাম্মদ নোয়াখালীর বাড়ি চলে আসেন।

বিবি খতিজা জানান, বাড়ি আসার পর থেকে মুঠোফোনে মঈন উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা তাদের হুমকি দিতে থাকেন। তাদের অব্যাহত হুমকিতে ঈদের পরদিন (গত শুক্রবার) তিনি নিজে ছেলেকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে যান এবং চুরি করে নেওয়া টাকা ফেরত দেন।

নুর মোহাম্মদের মা অভিযোগ করে বলেন, ‘বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মঈন উদ্দিনের চার ভাই মিলে তার ছেলেকে পেটাতে শুরু করেন। বাঁধা দিলে তারা তাকেও মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। শুক্রবার সারা রাত দফায় দফায় তার ছেলেকে পিটুনি দেন এবং পরদিন শনিবারও মারধর করেন। বিকেলে তাদের মারধরে মারা যান নুর মোহাম্মদ।’

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের যদি অন্যায় থাকে, তাহলে তারা তাকে পুলিশে দিতে পারত। আমি তাদের কাছে আমার ছেলের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। তবু তাদের মন গলেনি। আমি এ হত্যার বিচার চাই।’

এ ঘটনায় গতকাল রোববার বিকেলে নুর মোহাম্মদের মা বিবি খতিজা ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ছাগলনাইয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, ‘ওইদিন রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ি থেকে নুর মোহাম্মদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’

ওসি হাসান ইমাম আরও বলেন, ‘নিহতের পিঠ, কোমর, হাত, পাসহ পুরো শরীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতে নুর মোহাম্মদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। গতকাল রোববার বিকেলে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ওসি বলেন, ‘নুর মোহাম্মদকে হত্যার অভিযোগে হওয়া মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মঈদ উদ্দিন নুর মোহাম্মদকে মারধরের কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার পর থেকে ওই মামলার অপর আসামিরা পলাতক। তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।’


banner close