ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার শাকিব উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
একই সঙ্গে ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আজ রোববার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসককে চিঠি পাঠিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওর বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার শাকিব উদ্দিনের ঘুষের বিনিময়ে কাজের সংবাদ তথ্য জানা যায়। বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে।
ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, একজন সেবাগ্রহীতা সদ্য অনুমোদিত নামজারী (খারিজ) করতে এলে রাণীশংকৈল উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার শাকিব উদ্দীন সেবাগ্রহীতাকে বলেন, ‘নামজারিতে একটি নাম ভুল হয়েছে, সেটি সংশোধন করতে হবে এবং সব মিলে ১ হাজার টাকা লাগবে, এর কম হবে না। কারণ সংশোধন করতে হলে এটি উপরে পাঠাতে হবে, সেখানে টাকা চাবে।’
এমতাবস্থায় সেবা গ্রহীতা ৭০০ টাকা দেন এবং বাকি টাকা কাজ হলে দেবেন বলে জানান। কিন্তু এই কাজের জন্য কোনো ফি নির্ধারণ করা নেই।
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপের দক্ষিণ-সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্য ও নির্মাণ সামগ্রীসহ ২২ জন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর বিকেলে কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন শাকিব মেহবুব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়- একটি চক্র বাংলাদেশি পণ্যের বিনিময়ে ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য মিয়ানমার থেকে দেশে আনার পরিকল্পনা করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার রাত ১টার দিকে কোস্ট গার্ডের জাহাজ জয় বাংলা সেন্টমার্টিন ছেড়াদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে সন্দেহজনক দুটি ফিশিং ট্রলার থামিয়ে তল্লাশি চালানো হলে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রায় ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৬০০ বস্তা মটর ডাল ও ৬৫০ বস্তা সিমেন্ট জব্দ করা হয়। এ সময় পাচারে জড়িত ২২ জনকে আটক করা হয়। জব্দকৃত মালামাল, ট্রলার ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোস্ট গার্ডের ওই কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, পাচার ও চোরাচালান রোধে কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাদীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে দিনব্যাপী আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাদীপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এই আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সাদীপুর উচ্চবিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আবুল বাশার মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৩ সদর আসনের বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক মো. হানিফ মনণ্ডল, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বেনজীর আহমেদ তাবরিজ, সাদীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম মিয়াসহ অন্যান্যরা।
আনন্দ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কুচকাওয়াজ ও মনোঙ্গ ডিসপ্লে প্রদর্শন ও নানা খেলার অয়োজন করে। পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে আনন্দ উৎসবের সূচনা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, গত বছরেই ফ্যাসিবাদীর শাসন শেষ হয়েছে। আমরা একটি নতুন সময়ে পর্দাপন করেছি, নতুন একটি ফরিদপুর পেয়েছি। কিন্তু আমাদের মাঝে এখনো সেই ফ্যাসিবাদী পেতাত্বারা রয়েছে। তাদের ব্যাপারে আমাদের সবসময়ই সচেতন থাকতে হবে। দেশে অনেক ষরযন্ত্র চলছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে। এ মুহূর্তে আমাদের নির্বাচনটি হওয়া খুবই জরুরি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। এ সময় চৌধুরী নায়াব ইউসুফ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের ফেজবুক ও অনলাইন ছেড়ে পড়াশোনা বিশেষভাবে মনোনিবেশ করতে হবে। পড়াশোনার জন্য সময় ব্যয় করতে হবে। কারণ আগামীতে তোমাদেরই দেশের জন্য বড় ভূমিকা রাখতে হবে।
মাগুরা জেলা প্রশাসককে বিদায় জানাতে প্রেসক্লাব সম্মেলন কক্ষে এক শুভেচ্ছা বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বিকালে এ সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় ফুল এবং ক্রেস্ট দিয়ে জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলামকে বিদায় শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম মাগুরার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের দিক তুলে ধরে বলেন ৫ আগস্টের পর মাগুরার প্রশাসনিক পরিস্থিতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল তারপর আমি জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে আসার পর সর্বস্তরের মানুষের সমন্বয়ে মাগুরাকে একটি উন্নত জেলা হিসেবে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। তিনি আরও বলেন, মাগুরা ডায়াবেটিস হাসপাতালের উন্নয়ন মেডিকেল কলেজের ভূমি অধিগ্রহণের সমস্যার সমাধান করেছি।
এছাড়া তিনি মাগুরার চক্ষু হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালের উন্নতি এবং মাগুরা কালেক্টরেট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও সূর্যমুখী শিশু বিদ্যালয়ের মেধাবী ও গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি কল্যাণ ফান্ড গঠন করেন। মাগুরায় খেলাধুলার মান উন্নত করতে বিভিন্ন ইভেন্টে টুর্নামেন্ট চালু করা হয়। মাগুরা শিল্পকলা একাডেমির উন্নয়নে তার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া জুলাই আগস্টে শহীদ পরিবার ও আহতদের সঠিক তালিকা করে তাদের আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। তিনি বিভিন্নভাবে মাগুরায় উন্নয়নের চেষ্টা করে গেছেন এবং এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ সময় মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ কলিন্স, দপ্তর সম্পাদক শেখ ইলিয়াস মিথুন, সাংবাদিক শরীফ তেহেরান টুটুলসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা তার কাজের প্রশংসা করে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
সচেতন নাগরিক কমিটি, ইয়েসগ্রুপ (সনাক) ও এসিজি মাদারীপুর শাখার সদস্যদের সমন্বয়ে টিআইবির সহায়তায় মাদারীপুরে স্থানীয় পর্যায়ে দর্নীতিবিরোধী অভিজ্ঞতা বিনিময়ে বৃহস্পতিবার সরকারি সমন্বিত অফিস ভবনের মাল্টিপারপাস হল রুমে এক আলোচনা সভা ও মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। সচেতন নাগরিক কমিটি মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি খান মো. শহীদের সভাপতিত্বে ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শাহাদাত হোসেন লিটনের সঞ্চালনায় এসময় দুর্নীতি প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বক্তব্য রাখেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর জেলা শাখার সভাপতি মো. এনায়েত হোসেন নান্নু, ইয়েস গ্রুপ (সনাক)-এর জেলা শাখার আহ্বায়ক আঞ্জুমান জুলিয়া, জেলা সনাকের সহসভাপতি আন্না আক্তার, সুজনের সদস্য কুমার লাভলুসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশাল বাংলাদেশের ঢাকাস্থ কো-অর্ডিনেটর মো. আতিকুর রহমান, ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর মাহান-উল-হক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রবীণ শিক্ষক মহাদেব বর্মন, প্রফেসর (অব.) মো. মকবুল হোসেনসহ মাদারীপুর জেলা শাখার অন্যান্য প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দুর্নীতি আজ সমাজে এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠান আর বাকি নাই। এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে দুর্নীতিবাজরা অপ্রতিরোধ্যভাবে দুর্নীতি চালিয়ে যাবে। টিআইবি এ জন্য ২০০১ সাল থেকে প্রথমে ৯ জন সদস্য নিয়ে ঢাকায় কাজ শুরু করলেও সারাদেশে আজ এর সদস্য সংখ্যা ১২ হাজারেরে উপরে। দুর্নীতিবিরুদ্ধে ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে, সামাজিক, সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়েও আন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নাই। রন্ধ্রে-রন্ধ্রে আজ দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। দেশ থেকে ২৮ লাক কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। লন্ডনে বিগত সরকারের একজন মন্ত্রীর ৩৬০টি ফ্লাট বাড়ির খবর পাওয়া গেছে।
বক্তারা আরও বলেন, ভূমি অফিস, বিআরটিএ, রেজিস্ট্রি অফিস, পাসপোর্ট অফিসসহ সকল অফিসে দুর্নীতির খবর হরহামেশা পাওয়া যায়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বাংলার মাদারীপুর প্রতিনিধি শরীফ মো. ফায়েজুল কবীরসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার পথে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত কলেজ ছাত্র শাহেদ মজুমদার লিশান বুধবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন। ঢাকার নিউরো সাইন্স হসপিটালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। লিশান বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুনকরা গ্রামের আবদুল মন্নান মজুমদারের একমাত্র ছেলে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের জেঠাতো ভাই সৈকত মজুমদার
জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফাঁসিয়াখালী ঢালা এলাকায় গত ৫ নভেম্বর বুধবার সকালে চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সাথে কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান লিশাসনের বোন ফারজানা মজুমদার লিজা, ফারহানা মজুমদার টিজা, মা রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী, বোনের শাশুড়ী রুমি বেগম ও ননদ সাদিয়া পাটোয়ারী। আহত হন লিশান মজুমদার, দুলাভাই উদয় পাটোয়ারী ও ভাগিনা সানাদ পাটোয়ারী। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও প্রশাসন আহতদেরকে উদ্ধার শেষে চকরিয়া ও কক্সবাজারের হাসপাতালে ভর্তি করায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য লিশান মজুমদারকে প্রথম দুইদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় লিশান মজুমদারকে বুধবার সকালে ঢাকার নিউরো সাইন্স হসপিটালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। আগে স্ত্রী ও দুই মেয়ের পর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পিতা আবদুল মন্নান মজুমদার বাকরুদ্ধ।
বুধবার সন্ধ্যায় নিহতের প্রতিবেশি সাংবাদিক আবু বকর সুজন বলেন, একটি দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন সদস্য মারা যাওয়ায় একা হয়ে পড়েছেন আবদুল মন্নান মজুমদার।
২০২১ সালের জুন মাস নাগাদ দেওয়ানগঞ্জের জিল বাংলা চিনিকলটিতে ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ ছিল। পুঞ্জীভূত ঋণের সুদসহ বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৭০৬ কোটি ২ লাখ টাকায়। পুঞ্জীভূত ওই ঋণের বিপরীতে শুধু ২০২৫ সালের জুন মাসে সুদ দিতে হয়েছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তিন বছরের সুদের সামারী হিসেব করলে দেখা যায়, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের জুন মাসে ৮৪ কোটি এক লাখ টাকা সুদ দিতে হয়েছে। যার কারণে প্রতি অর্থ বছরে মিলটির লোকসানের বোঝা বড় হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিল বাংলা চিনিকল লিমিটেড উৎকৃষ্ট মানের চিনি উৎপাদনকারী ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বাজারে এ মিলের উৎপাদিত চিনির ব্যাপক চাহিদা। দেশের অন্যান্য মিলগুলোর তুলনায় জিল বাংলা চিনিকলে চিনি উৎপাদনের হার সর্বাধিক।
বিগত পাঁচ বছরের তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২০-২১ মৌসুমে ৬.৬৪, ২০২১-২২ মৌসুমে ৭, ২০২২-২৩ মৌসুমে ৬.৬১, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৬.০৪ এবং সর্বশেষ ২০২৪-২৫ আখ মাড়াই মৌসুমে মিলটির চিনি উৎপাদনের হার ছিল ৬.৩৮ শতাংশ। এরপরও প্রতি অর্থবছরে চিনিকলটিকে গুনতে হচ্ছে বিপুল পরিমাণ লোকসান। কর্তৃপক্ষের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে পুঞ্জীভূত ঋণের সুদ দিতে গিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে মিলটিকে।
জিল বাংলা চিনিকল লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) শরিফ মো. জিয়াউল হক জানান, ২০২১ সালের জুন মাস নাগাদ মিলটিতে ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ ছিল। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ২১৬ কোটি এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের ২৩৪ কোটি টাকা। বর্তমানে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০৬ কোটি ২ লাখ টাকায়। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ২৭৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য খাতে ১৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের কাছে ২৪৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। তার বিপরীতে গত ২৩ সালের জুন মাস নাগাদ ২৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, ২৪ সালের জুন মাস নাগাদ ২৬ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং ২০২৫ সালের জুন মাস নাগাদ ৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা সুদ দিতে হয়েছে। সুদ মওকুফ করা হলে মিলটির লোকসান ৭০ শতক কমে আসবে বলে দাবি তার।
গত পাঁচ বছরের আখ মাড়াই, চিনি উৎপাদন ও লাভ-লোকসানের রেকর্ড অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২০-২১ মৌসুমে ৭২ দিনে ৫৮ হাজার ৯৫১ টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করে ৩ হাজার ৯০৮.৫০ টন চিনি। ওই মৌসুমে লোকসান ৬৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ২০২১-২২ মৌসুমে ৪৪ দিনে ৩৫ হাজার ৬৯৮ টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করে ২ হাজার ৪৯৮ টন। ওই মৌসুমে লোকসান ৫২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ২০২২-২৩ মৌসুমে ৪১ দিনে ৩৫ হাজার ১৭১.৬৬ টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করে ২ হাজার ৩২২ টন। ওই মৌসুমে লোকসান ৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৫২ দিনে ৪৪ হাজার ৯৮৮ টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করে ২ হাজার ৭১৭ টন। ওই মৌসুমে লোকসান ৪৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ মাড়াই মৌসুমে ৮৩ দিনে ৭২ হাজার ৭৯ টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করে ৪ হাজার ৫৯৯ টন। ওই মৌসুমে লোকসান ৪৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
জিল বাংলা চিনিকল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি একেএম রায়হানুল আজীম ইমরানের ভাষ্য, পুঞ্জীভূত ঋণের সুদ দিতে গিয়ে প্রতি অর্থবছরে বাড়তি লোকসানের মুখে পড়ছে মিলটি। এ অবস্থায় স্বল্প মূলধনের নতুন ‘প্রজেক্ট বাই প্রোডাক’ উৎপাদন করতে পারলে মিলটি লাভবান হবে। পুঞ্জীভূত ঋণের সুদ মওকুফ করে স্বল্পমূলের প্রজেক্ট বাই প্রোডাক্ট উৎপাদনের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
জিল বাংলা চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মো. কাওছার আলী সরকার জানান, দেশের অন্যান্য চিনিকলের তুলনায় জিল বাংলা চিনিকলে চিনি আহরণের হার সর্বাধিক। এরপরও পুঞ্জীভূত ঋণের কারণে মিলটিকে প্রতি বছর লোকসান দিতে হচ্ছে। সুদ মওকুফ করে মিলটিতে শিল্পে বহুমুখী করা হলে মিলটি লাভজনক শিল্পে রূপান্তরিত হবে। সুদ মওকুফের দাবি তার।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় জিল বাংলা চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তরিকুল আলমের সঙ্গে। তিনি জানান, জিল বাংলা চিনি কল লিমিটেড বাংলাদেশের সর্বপেক্ষা উৎকৃষ্টমানের চিনি উৎপাদনকরী প্রতিষ্ঠান। পুঞ্জীভূত ঋণের কারণে মিলটিকে প্রতি বছর লোকসানের বোঝা টানতে হচ্ছে। পুঞ্জীভূত ঋণের সুদ মওকুফের জন্য সদরদপ্তরে জানিয়েছেন বিগত এমডিরা। সরকার সদয় হয়ে ঋণের সুদ মওকুফ করলে মিলটি লোকসান একেবারেই কমে আসবে।
মাদারীপুরের শিবচরে হত দরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে গাভী বিতরণ ও গাভী পালন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩, নভেম্বর) সকালে স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (ভিডিএস) এর উদ্যোগে ও বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে এ কর্মসুচি পরিচালিত হয়।
এসময় বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭টি হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ৭টি গাভী বিতরণ ও উপকার ভোগীদের গাভী পালন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো: সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ,এম ইবনে মিজান। তিনি উপকারভোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বিনামূল্যে প্রাপ্ত গাভীগুলোর যথাযথ যত্ন নিবেন, তাহলে সেগুলো হৃষ্টপুষ্ট ও বড় হয়ে বাচ্চা দেবে, দুধ দেবে। আপনাদের অর্থনৈতিক চাকা সচল হবে। আপনারা গাভীগুলো যেনো আবার অগোচরে বিক্রি করে না দেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (ভিডিএস) এর পরিচালক এ,বি,এম মাহবুব হোসেন বাদল এর সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা হরিশ চন্দ্র বোস, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ বেল্লাল হোসেন, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা এ,বি,এম, সৌরভ রেজা শিহাব। এছাড়াও বাঁশকান্দি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র মৃধা,বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্য,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে,ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (ভিডিএস) একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী (NGO) সংগঠন। বিগত ১৯৮৫ সাল থেকে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সেবা, স্যানিটেশন, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে সফলতার সাথে কাজ করে আসছে।
রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মাঠের পাশে পানির পাম্পের সামনে ফুটপাতে একটি ড্রাম থেকে এক ব্যক্তির খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যে ড্রামে লাশ পাওয়া গেছে পাশেই আরেকটি ড্রাম ছিলো যেখানে চাল পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে মরদেহ পাওয়া ব্যক্তির পরিচয় প্রথমেই জানতে পারেনি পুলিশ। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, বিশেষ শাখা এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ঘটনাস্থলে পৌঁছে খণ্ডিত মরদেহের সুরতহাল করে।
জানা যায়, নিহত ব্যক্তির নাম মো. আশরাফুল হক, বয়স ৪৩। তার পিতার নাম মো. আব্দুর রশিদ এবং মাতার নাম মোছা. এছরা খাতুন। বাড়ি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার গোপালপুর নয়াপাড়ায়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর জানান, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে একটি ভ্যান ড্রামগুলো ফেলে চলে যায়। ড্রামের ভেতর থেকে এক ব্যক্তির খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আমরা তদন্ত শুরু করেছি এবং দেখতে চেষ্টা করছি কে বা কারা এই ড্রামগুলো রেখে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দু-একদিন আগে হত্যার পর হত্যাকারীরা এখানে ড্রামে করে মরদেহ ফেলে গেছে। খণ্ডিত মরদেহের গলা থেকে পা পর্যন্ত সবকিছুই আলাদা করা।’
স্থানীয়রা জানান, হাইকোর্টের পাশে জাতীয় ঈদগাহ মাঠের কাছে একটি ভ্যান এসে দুটি নীল রঙের ছোট ড্রাম ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা ড্রামগুলো দেখে সন্দেহ করলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ড্রামগুলো খোলার পর প্রথমে মনে হয় যে ড্রামগুলোতে চাল রাখা আছে। কিন্তু পরে ড্রামের ভেতরে মানুষের খণ্ডিত দেহের অংশ দেখতে পান।
পুলিশ ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, মরদেহের আঙুলের ছাপ থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং মরদেহটি মোট ২৬টি টুকরোয় খণ্ডিত ছিল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম বলেন, জাতীয় ঈদগাহ মাঠের পাশে দুটি ড্রাম পাওয়া গেছে- একটিতে লাশ, অন্যটিতে চাল। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ড্রামগুলো খোলার পর প্রথমে মনে হয় যে ড্রামগুলোতে চাল রাখা আছে। কিন্তু পরে ড্রাসের ভেতরে মানুষের খণ্ডিত দেহের অংশ দেখতে পান।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলামের বদলিজনিত বিদায় উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সুধীজনরা। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বিপিএম, সিভিল সার্জন ডা. শামীম কবীর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ পারভেজ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিএনপি মনোনীত মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মনোয়ার হোসেন খান, জেলা জামায়াতের মাগুরা-২ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এমবি বাকের, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, মাগুরা বারের সভাপতি শাহেদ হাসান টগর, ইসলামী আন্দোলন মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল, ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ওসমান গনি সাঈফী, মাগুরা জজ আদালতের জিপি মঞ্জুরুল হাসান, মাগুরা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মহশীন ফকির, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর কবীর, উপপরিচালক যুব উন্নয়ন ইলিয়াসুর রহমানসহ জেলা পর্য়ায়ের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাশ্বতী শীল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আব্দুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মাহবুবুল হক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী হাসিনা মমতাজ, মাগুরা এখন এসে আই সহকারী পরিচালক রাজিব হাসান, প্রমুখ। বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম তার বিদায়ী বক্তব্যে মাগুরার বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা মাগুরা জেলার সুধীজন এবং জনগণের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং মাগুরার উন্নয়নে সকলকে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান।
রূপগঞ্জের চুরি ডাকাতির উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। কখনো বাড়িঘরে, আবার কখনো দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। এসব চোর-ডাকাতের আতঙ্কে রূপগঞ্জবাসী এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি ৮-১০টি চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও প্রতিকার মিলছে না।
হঠাৎ করেই রূপগঞ্জে ছিনতাই, ডাকাতি ও চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন এলাকায়। অতি সম্প্রতি পরপর তিন দিনে ১০টি বাড়িতে, মসজিদ মহাসড়কে ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও গরু চুরির একাধিক ঘটনা ঘটছে। লাগাতার চুরির ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
জানা গেছে ‘১২ নভেম্বর বৈরাগ বাড়ীর টেক থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ জনকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে স্থানীয় জনতা পুলিশে দেয়। একই দিনে গোলাকান্দাইল এলাকা থেকে এক অটো চোরকে আটক করে জনগণ। এভাবে প্রতি রাতেই ঘটছে চুরি ডাকাতির ঘটনা। পুলিশের নীরব ভূমিকায় জনমনে আতঙ্ক নেমে আসছে। পাশাপাশি মহাসড়কেও ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।
রূপগঞ্জের আব্দুল মতিন মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার গোটা রূপগঞ্জের মানুষ। ২৮ অক্টোবর কায়েতপাড়া এলাকা থেকে ৪টি গরু নিয়ে গেছে ও আরো গোয়ালের ২টি গরু ছেড়ে দেয় চোরের দল। কায়েতপাড়ার তরিকুলের বাড়ি থেকে তিনটি মোবাইল ফোনসহ অর্ধলক্ষাধিক টাকা চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। ২২ আক্টোবর ফয়সালে ঘরের টিন কেটে ইলেকট্রিক ফ্যান, আলমারি চুরি কওে নেয়, আলী আহম্মদেও গ্যাসের চুলা ও কাহারের ঘর থেকে চালের বস্তা এবং রান্নার হাড়ি পাতিল নিয়ে নেয় চোরের দল।
সচেতন মহল মনে করেন, রূপগঞ্জে মাদকের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় চুরি ডাকাতি আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে। মাদক বিক্রিতে কোনো প্রকার বাধা না থাকায় এবং দ্রুত অনেক টাকার মালিক হওয়ার লোভে রূপগঞ্জে আজ ঘরে ঘরে মাদক ব্যবসায়ী তৈরি হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ বিষয়ে প্রশাসন একেবারেই নির্বিকার।
থানা সূত্রে জানা যায়, এ বছরের ১২ নভেম্বর উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকার যুবদল নেতা ইসমাইলের পায়ে গুলি করে ও পিটিয়ে জখম করে সাথে থাকা সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। ইসমাইলের মা বাদী হয়ে এ ব্যাপারে থানায় মামলা রুজু করেছেন। কিন্তু আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভয়ভ্রীতি ও প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে।
১৮ অক্টেবর রাতে কুশাব এলাকার আয়াত আলীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দলের সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তিন লাখ টাকা ও ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। এ ঘটনায় মামলা হলেও তারা রয়ে যায় অধরা।
একইভাবে ১৬ অক্টোবর গভীর রাতে উপজেলার দক্ষিণ রূপসীর দেলোয়ারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা পরিবারের লোকজনকে মারধর করে স্বর্ণালঙ্কারসহ এক লাখ টাকার মালপত্র লুটে নেয়। এর আগে ২০ অক্টোবর উপজেলার ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়ে ডাকাতরা ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৩০ হাজার টাকা লুটে নেয়। ২ নভেম্বর উপজেলার শামীম নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়ে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার এবং একটি প্রাইভেটকার লুটে নেয় ডাকাতরা।
১ নভেম্বের রূপগঞ্জ উপজেলা সদরে নয়ন চন্দ্র দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ সময় ৯০ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালপত্র লুট হয়।
১৫ অক্টেবর ঢাকা বাইপাস সড়কের পূর্বাচলে প্রাইভেটকারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা ৪০ হাজার টাকাসহ প্রায় দুই লাখ টাকার মালপত্র লুটে নেয়। গত ৫ নভেম্বর রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া বাজারে চারটি জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় বাজার কমিটি থানার নম্বরে ফোন দিয়ে সাড়া না পেয়ে ৯৯৯-এ কল দেন। ততক্ষণে চারটি দোকানের ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ অর্থ লুটে নেয় ডাকাতরা।
একইভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাসুম মিয়া, ফকির চান, শাহাদাত, আসলাম মোল্লাসহ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া বেড়েছে সাধারণ কৃষক ও খামারির গোয়াল থেকে গরু চুরির ঘটনা।
২০ অক্টোবর নবী হোসেন নামে এক কৃষকের দুটি গরু, ৬ নভেম্বর আমানাউল্লাহ নামে এক কৃষকের দুধের গাভিসহ আটটি গরু, গত ২৩ অক্টোবর রাতে ছালেমের ৮টি গরু, ১৭ অক্টোবর চান মিয়ার ৫টি গরু, একই এলাকার বেলায়াতের তিনটি গাভি, ৩ নভেম্বর আলম হোসেনের চারটি গরু নিয়ে যায় চোররা। এসব বিষয়ে থানা পুলিশের কাছে মামলা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ নিয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমত আমাদের লোকবল কম। তারপরও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। চুরি ডাকাতি ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। আমাদের টহল টিম প্রতি রাতেই টহল দিচ্ছে। পুলিশ সব সময় অপরাধ দমনে তৎপর রয়েছে।
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু রোধে সাঁতার প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন। দুপুরে গাংনী উপজেলার ধানশিঁড়ি রিসোর্টের সুইমিংপুলে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল সালাম।
সাঁতার প্রশিক্ষণে অংশ নেয় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো আনোয়ার হোসেন, মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রট হাবিবুর রহমান, গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিদ হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও লুৎফন নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন, গাংনী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আল নুরানি, সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান।
প্রশিক্ষণার্থীরা বলেন, ‘পর্যাপ্ত জলাশয় ও পুকুর না থাকায় আমরা সাঁতার শেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে এই আয়োজন করায় আমরা উপকৃত হব।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল সালাম বলেন, প্রতি বছর মেহেরপুর জেলায় পানিতে ডুবে অনেক শিশু মারা গেছে। মৃত্যুর ঘটনা হৃদয়বিদারক। জেলায় পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকায় শিশুরা সাঁতার শেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে পানিতে ডুবে বারবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এতে সচেতন মহল ও অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। এ কারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা শহরে ও গাংনীতে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কী কারণে এবং কারা তাকে হত্যা করল এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটেরচর ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। নিহত ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের নাম রতন আহমেদ (২২)। তিনি বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের ভাড়াটিয়া আব্দুল জলিলের ছেলে। স্থায়ী ঠিকানা বগুড়াতে হলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, নিহত রতন আহমেদ ভাটেরচর বাস স্ট্যান্ড-সংলগ্ন গজারিয়া জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘদিন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন। সাম্প্রতি তিনি এই হাসপাতাল ছেড়ে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকার বারাকা হাসপাতলে যোগ দেন। পরিবার নিয়ে গজারিয়া উপজেলার বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামে ভাড়া থাকায় নিয়মিত এখান থেকে মদনপুরে যাতায়াত করতেন। রাত ১০ পর্যন্ত ডিউটি শেষ করে প্রতিদিন রাত সাড়ে ১০-১১টার দিকে বাসায় ফিরতেন তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার রাত ১১টার দিকে ভাটেরচর ব্রিজের পশ্চিম দিকের ঢালে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান কয়েকজন। ছুরি জাতীয় কিছু দিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করা হয়েছিল। স্থানীয়দের মধ্যে একজন ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ গজারিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গজারিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই তার মৃত্যু হয়। তার হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের পিতা আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমার ছেলের সাথে মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা যা যা ছিল কিছুই পাওয়া যায়নি। হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে তার সাথে থাকা জিনিসপত্র সব নিয়ে গেছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে থানায় মামলা করব।’
গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম বলেন, ‘রাত ১১টার পর-৯৯৯ থেকে একটি কল পেয়ে আমরা সেখানে ছুটে যাই। আমরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাই। কেউ তাকে ধারালো ছুরি জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করে ফেলে গেছে বলে মনে হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
‘আমি জেলে না। দিন মজুরি কাজ করে সংসার চালাই। রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে আমার নামে একটি জেলে কার্ড করিয়েছি। এই বছর আমার এলাকার আকতার মেম্বারকে তিন হাজার টাকা দিয়ে উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে একটি বকনা বাছুর পেয়েছি।’ এই কথাগুলো অকপটে স্বীকার করেছেন চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলী আকবর। আকতার একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। টাকার বিনিময়ে বকনা বাছুর দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। এসব তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হয়েছে। এসবের সাথে আমি জড়িত না।’
জেলে না হয়েও জেলে তালিকায় নাম উঠেছে কৃষক বাবুল রাড়ীর। পেয়েছেন বকনা বাছুর। তিনি আমিনাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এমন তথ্য অনুসন্ধানে সরজমিনে দেখা গেছে বকনা বাছুরটি তার গোয়াল ঘরে বাঁধা রয়েছে। বাছুরটি কোথা থেকে এবং কিভাবে পেয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রায় ৯ মাস আগে মৎস্য অফিস থেকে একটি বাছুর দিয়েছে। মৎস্য অফিসে স্ট্যাম্প বাবত ৬০০ টাকা দিয়েছি ও নিজাম ভাইকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। আমাকে চাল দিবে বলে আমার নামের জেলে কার্ডটি নিজাম ভাই নিয়ে গেছে। আমাকে চাল দেয়নি এবং কার্ডটিও ফেরত দেয়নি। আমি ২০ বছর যাবত কৃষি কাজ করছি।’ কার্ডটি কিভাবে আপনার নামে হয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকার মিঠু চেয়ারম্যান জেলে তালিকায় আমার নাম লেখাইছে এবং আমার নামে জেলে কার্ড হয়।’
কৃষক বাবুলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কিভাবে বকনা বাছুর দিয়েছেন? জানতে চাইলে নিজাম বলেন, আমি বাবুলের কাছ থেকে টাকা নেইনি। তবে অন্য লোকের মাধ্যমে মৎস্য অফিসে তার কাগজপত্র পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে সে কিভাবে অফিস থেকে বাছুর এনেছে তা আমার জানা নাই।
দিনমজুর আলী আকবর ও কৃষক বাবুলের মতো অনেকেই টাকার বিনিময়ে বকনা বাছুর বিতরণ তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ করেছেন। তবে এদের মধ্যে অধিকাংশই জেলে নয়, অন্য পেশার মানুষ। জেলে তালিকায় দেখা গেছে, ওয়ার্ড নম্বরবিহীন কিছু জেলের নাম রয়েছে। যদিও সরেজমিনে ওই জেলেদের কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে পৌরসভাসহ ২১ ইউনিয়নে ১৭৪ জন তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে ৪ কিস্তিতে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানায়, মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মস্থানের লক্ষ্যে উপকরণ হিসেবে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞায় জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকে, তখন তারা বেকার হয়ে যায়। পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সরকার এই উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, ‘বকনা বাছুর বিতরণ হয়েছে কয়েক মাস আগে। টাকার নেয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে এই বিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথিকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।