বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ট্রেন আসতেই লাইনে শুয়ে পড়েন নারী, অতঃপর…

প্রতীকী ছবি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৩৭

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে শিরিনা বেগম (৫৩) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার উপজেলার বারইয়ারহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিরিনা বেগম ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার নিজকুঞ্জরা এলাকার নুরুল হুদার স্ত্রী।

সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপপরিদর্শক জহিরুল বলেন, ‘রেলে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসেছি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস যাওয়ার সময় হঠাৎ সামনে শুয়ে পড়েন ওই নারী। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ওই নারীর পরিবার লাশ নিয়ে যায়।’


তীব্র দাবদাহে মেহেরপুরে দেখা দিয়েছে পানি সংকট

বৃদ্ধ আব্দুর রহিম টিউবওয়েল চাপছেন; কিন্তু পানি উঠছে না। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর প্রতিনিধি

ছিয়াত্তর বছর বয়সি আব্দুর রহিম, বয়সের ভারে চলাফেরা করাটাই তার পক্ষে এখন কঠিন। স্ত্রীকে হারিয়েছেন দেড় যুগ আগে। পরিবারের সদস‍্য বলতে এক ছেলে, তাও থাকেন প্রবাসে। এ অবস্থায় রান্না বান্না থেকে শুরু করে সব কিছুই করতে হয় নিজেকে। জীবন যুদ্ধে তিনি কখনো দমে যাননি। তবে এবার হার মেনেছেন টিউবওয়েলের পানির কাছে। ১৫ থেকে ১৬ বার টিউবওয়েল চাপার পরেও মিলছে না এক গ্লাস পানি। তাই পানি সংকটের কারণে গোসল থেকে শুরু করে গৃহস্থালির সব কাজ হচ্ছে ব‍্যাহত। প্রচণ্ড গরমে তাই তিনি অধিকাংশ সময় বাড়ির পাশে থাকা মসজিদে গিয়ে পানির চাহিদা পূরণ করছেন।

গৃহবধূ ছানোয়ারা খাতুনের বাড়িতেও সপ্তাহ দুয়েক ধরে টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। প্রতিবেশীদের পরামর্শে মটর কিনে এনে টিউবওয়েলে সেট করেও মিলছে না পানি। খাওয়া থেকে ওজু, গোসল সব কিছুতেই বেগ পেতে হচ্ছে পানি সংকটের কারণে।

মেহেরপুরের গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের হস্তচালিত টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে এলাকায় পানির সংকট চরমে পৌঁছেছে। একদিকে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে পর্যাপ্ত পানির অভাবে বোরো চাষ ব্যাহত হচ্ছে।

এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললে তারা সুপেয় পানির সংকটের কথা জানান। বিশেষ করে মুজিবনগর উপজেলার, জয়পুর, আমদহ, তারানগর, বিশ্বনাথপুর, সদর উপজেলার শালিকা, আশরাফপুর, আমদাহ, বুড়িপোতা, আলমপুর এবং গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের আমতৈল, মানিকদিয়া, কেশবনগর, শিমুলতলা, রইয়েরকান্দি, সহড়াবাড়িয়া, মিনাপাড়া, ভোলাডাঙ্গা, কুমারীডাঙ্গা কাথুলি ইউনিয়নের গাঁড়াবাড়িয়া, ধলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই সুপেয় পানির সংকট প্রকট।

দীর্ঘ সময় ধরে অনাবৃষ্টি, ভূ-গর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার, অপরিকল্পিতভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তোলা এবং পুকুর-খাল-বিল ভরাটের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, গ্রীষ্মকাল শুরু না হতেই এবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। অথচ গ্রামে সুপেয় পানির জন্য নলকূপই শেষ ভরসা। তাই যেখানে পানি পাওয়া যাচ্ছে সেখানে এলাকার গৃহবধূ ও শিশুরা জগ, কলসি ও ঘড়া নিয়ে টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করছেন।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্যমতে, জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির স্তর প্রতিবছর ১০ থেকে ১১ ফুট নিচে নামছে। ১০ বছর আগেও এই এলাকায় ৬০ থেকে ৭০ ফুটের মধ্যে ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর পাওয়া যেত। অথচ এখন পানির জন্য যেতে হয় ৩০০ ফুটেরও বেশি গভীরে। ফলে অকেজো হয়ে পড়েছে হস্তচালিত অনেক টিউবওয়েল।

জেলায় গভীর-অগভীর মিলিয়ে ৯ হাজার ৯১৩টি নলকূপ আছে। এর মধ্যে অকেজো হয়ে পড়ে আছে ২ হাজার ২৩৯টি নলকূপ।

গাংনী উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামের পল্লি চিকিৎসক আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা দিয়ে বেড়াই। আজ ১০ দিন ধরে আমার বাড়ির নলকূপে পানি উঠছে না। রোদের মধ‍্যে সারাদিন গ্রাম গ্রাম ঘুরে বাড়ি এসে যদি পানি না পাই তাহলে কেমন লাগে? আমি তাই মসজিদের নলকূপে গিয়ে গোসল সেরে আসি। আর গিন্নি যায় পাশের বাড়িতে। বর্ষা শুরু হলে হয়তো এর সমাধান হবে।’

একই এলাকার দিনমজুর সিরাজ বলেন, ‘সারাদিন মাঠে কাজ করি। বাড়িতে দুটি গরুও পালন করি। গরু দুটির আজ কয়দিন গা ধুয়াতে পারিনি। আবার মাঠে এক বিঘা ধানের আবাদ আছে, তাতে সেচ দিতে গিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে। যেখানে দুই ঘন্টা মেশিনে পানি দিলে হয়ে যেতো। সেখানে এখন চারটা ঘণ্টা পানি দিয়েও হচ্ছে না।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গাসহ এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এখানে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মেহেরপুরের জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন বলেন, সুপেয় পানির সমস্যা নিরূপণে যেসব এলাকায় সংকট সেখানে ১০টি বাড়িকে কেন্দ্র করে একটি ৯০০ ফুট গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এসব এলাকায় ৫০০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে। তবে অতিবৃষ্টি ও পানির অপচয় রোধ করা না গেলে পানি সংকটের সমাধান মিলবে না।


দাবদাহে হাঁসফাঁস করছে সাফারি পার্কের প্রাণীরা

গাছের ছায়ায় ঝিমুচ্ছে সিংহ। ছবি: দৈনিক বাংলা। 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মোতাহার খান, শ্রীপুর (গাজীপুর)

পার্কজুড়ে সুনসান নীরবতা। প্রচণ্ড দাবদাহে দর্শনার্থীর সংখ্যা একেবারে নেই বললেই চলে। পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্তরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে এমনটাই দেখা গেছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সকল ইউনিটে।

কোর সাফারী পার্কে ঘুরে দেখা যায়, টানা তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস করছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রাণীকুল। পার্কের অপেক্ষাকৃত ছায়া যুক্ত স্থানে থাকতে চাচ্ছে প্রাণীরা। টানা খরায় পার্কের লেকগুলোতে কমে গেছে পানি। কর্তৃপক্ষ পানির সরবরাহ বাড়াতে চালাচ্ছেন প্রানান্ত চেষ্টা। আশার কথা তীব্র দাবদাহে দেশি-বিদেশি কোনো পশু পাখি অসুস্থ হয়ে পড়েনি। প্রাণীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিচর্যা করছে কর্তৃপক্ষ। দাবদাহ থেকে প্রাণীদের রক্ষা করতে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি যত্ন। পর্যাপ্ত পানির জন্য স্থানে স্থানে স্থাপন করা হয়েছে পাম্প।

পার্কের আফ্রিকান সাফারি ঘুরে দেখা গেছে, জেব্রার পাল একটু ছায়ার জন্য দৌড়াচ্ছে। দূরে বনের গভীরে ঠাঁই দাড়িয়ে আছে নীল গাই, গয়াল, ওয়াইলবিস্ট, হরিণের পাল। শাবক হরিণের জন্য দেওয়া হয়েছে পানির চৌবাচ্চাসহ বিশেষ ইনক্লুজার। সেডের ছায়ায় খাবার সামনে রেখে হাঁপাচ্ছে ভাল্লুক।

রয়েল বেঙ্গল বাঘের বেষ্টনীর খালে কমে গেছে পানি। বেষ্টনীর যে জায়গায় ছায়া আছে বাঘ ছুটছে সেখানে। কখনোবা খালের পানিতে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টাও করছে। আফ্রিকান সিংহ তীব্র রোদে ক্লান্ত হয়ে ঝিমাচ্ছে। বিশেষ গাড়িতে খুব কাছে গিয়ে দেখা গেছে সিংহ ছায়া যুক্ত গাছের নিচে আয়েশে ঝিমাচ্ছে। রোদের তীব্রতায় ময়ুর গুলো গাছের ছায়ায় পাখনা মেলে আছে। জলহস্তির বেষ্টনীতে কমে গেছে পানি। অল্প পানিতে দুটি জলহস্তি নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। উট পাখিগুলো সেডের ভেতর সামান্য ছায়ায় বসে থাকতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড খরা আর দাবদাহে পার্কের প্রাকৃতিক জলাধারগুলোতে কমে গেছে পানি।

পার্ক ঘুরে দেখা গেছে কর্তৃপক্ষ নিয়েছেন বিশেষ ব্যবস্থা। জলা ধারে পানি সরবরাহ বাড়াতে স্থাপন করা হয়েছে সাতটি সাবমারসিভল পাম্প। বিভিন্ন প্রাণীর বেষ্টনীতে স্থানে স্থানে স্থাপন করা হয়েছে কৃত্রিম জলাধার। এসব জলাধারে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করা হয়। আফ্রিকান সাফারিতে থাকা হিংস্র প্রাণীসহ সকল প্রাণীর গতিবিধি মনিটর করতে লাগানো হয়েছে সিসিটিবি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরায় প্রত্যেকটি প্রাণীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বনসংরক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে জানান, পার্কে বর্তমানে আটটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চারটি সিংহ,আটটি হাতি,প্রায় দেড় শত হরিণ, দুটি জিরাফ, নয়টি ননীলগাই,ত্রিশটি জেবরাসহ দেশি-বিদেশি দুর্লভ প্রাণী ও পাখি রয়েছে। তীব্র দাবদাহের কারণে পার্কের প্রাণিকুল এখন হাঁসফাঁস করছে। এসব পশু-পাখির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। হাতি, বাঘ, সিংহকে শান্ত রাখতে দিনে তিন চার বার গোসল করানো হচ্ছে। পানির সাথে সেলাইন,গ্লুকোজ দেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। চব্বিশ ঘণ্টা প্রাণীদের মনিটরিং করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে হিংস্র প্রাণীদের মনিটরিং করা হয়। এ ছাড়া পার্কে দুইটি জেব্রা ও দুটি গয়ালের সাবক রয়েছে। এদের বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে। দাবদাহের কারণে এখনো পার্কে কোন প্রাণী অসুস্থ্য হয়নি। তবে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে গেছে।


সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে: নিহত বেড়ে ৯

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

রাঙ্গামাটির সাজেকের শ্রমিকবাহী ডাম্পট্রাক খাদে পড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রিপল বাপ্পি চাকমা।

গতকাল বুধবার বিকেলে খাগড়াছড়ি হতে সাজেক উদয়পুর সীমান্তবর্তী সড়ক নির্মাণের জন্য ডাম্পট্রাকে ১৪ জন শ্রমিক জামান ইঞ্জিনিয়ার কোম্পানির ব্রিজের কাজে যাওয়ার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ঢালে পড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে ৬ জন মারা যান।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি খুবই দুর্গম এলাকা। আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

তবে মৃত ৯ জনের মধ্যে ২ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন- রামুর আব্দুর শুক্কুরের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৩৫) ও ইশ্বরগঞ্জ ময়মনসিংহের হাশেম ফকিরের ছেলে লালন মিঞা। বাকী ৭ জনের পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবার সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল।

তিনি বলেন, সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে করে শ্রমিক বহনকারী ট্রাকটি মূল স্টেশনে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় আরেকজন মারা যান।

তিরি আরও বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। হতাহতদের নাম ও পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।


যেভাবে সংসদ নির্বাচন করেছি, উপজেলায় সেভাবে ভোট হবে: ইসি আনিছুর

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করা হবে না। যেভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছি, সেভাবে এ নির্বাচন হবে। কোনোভাবে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে নিচে নামার সুযোগ নেই।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর পিটিআই মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা এবং রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সি আনিছুর বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগের ৯টি জেলার প্রতিটি উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে এবং বাকি জেলাগুলোর উপজেলা পরিষদে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এ নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না। কোনো কেন্দ্রে যদি ভোট কারচুপি বা অনিয়ম হয় তবে সে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ভোট বন্ধ করে দিতে পারবেন। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আইনের পক্ষে থেকে যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবে।

তিনি বলেন, গত নির্বাচন একই দিনে সম্পন্ন হলেও এবারের নির্বাচনে ব্যবস্থাপনার সুবিধা ও কৃচ্ছ্রতাসাধনে চারটি ভাগে নির্বাচন শেষ করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ৮ মে ১৫০টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি উপজেলাগুলোতে ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে। তবে বান্দরবান জেলার তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। দুর্গম, পাহাড়ি ও দ্বীপ এলাকাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটের আগের দিন নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হবে এবং বাকি উপজেলাগুলোতে ভোটের দিন সকাল ৮টার আগে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হবে এবং বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে।

ইসি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী থাকছে না এবং দলীয় প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। কাজেই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আশা করছি ভোটারের সংখ্যাও বাড়বে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা শেষ মুহূর্তে বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, চট্টগ্রামে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। কারণ বাতিল করার মতো উপাদানও ছিল। তাকে (মোস্তাফিজুর রহমান) সপ্তাহখানেক আগে থেকে নজরদারি করা হচ্ছিল। যখন তিনি থানায় ঢুকে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মারধর করছেন, সার্কেল এসপি তাকে নিবৃত্ত করতে পারছেন না, এরপর আর বসে থাকা যায়নি। তখন আমরা প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এ ক্ষেত্রেও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কোনো রকমের সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না।

ইসি আনিছুর রহমান নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের একটাই চাওয়া- নির্বাচনকে সুন্দর করতে হবে।
প্রিজাইডিং অফিসারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কেন্দ্রের সব দায়িত্ব পালন করবেন। ইচ্ছা করলে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন। আপনারা ভোটের দিন যে যেখানে থাকবেন, সর্বময় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। তবে তা আইনের পক্ষে হতে হবে। এতে যদি কোনো রকমের বিপদগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, আমরা আপনাদের পাশে আছি।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নুরে আলম মিনা, বিজিবি রিজিয়ন কমান্ডার মো. আজিজুর রহমান, ডিজিএফআই শাখা অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, আনসার ও ভিডিপি উপ-মহাপরিচালক মো. সাইফুল্লাহ রাসেল, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও জেলাপর্যায়ের অন্য কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।


তৃতীয় দিনও সড়ক অবরোধ চুয়েট শিক্ষার্থীদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় গত সোমবার মোটরসাইকেল আরোহী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ ছাত্রছাত্রী তথা নিহতদের সহপাঠীরা। আজ বুধবার চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভের সঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিও চালিয়েছেন।

নিহত শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেনের সহপাঠীরা জানান, চালক ও সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনাসহ ১০ দফা দাবি দিয়েছেন তারা। আর এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ সকালেই দুই সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো কাপ্তাই সড়কে অবস্থান নেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। রাস্তায় গাছ ফেলে, ব্যারিকেড দিয়ে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে নানান স্লোগান দেন তারা।

এদিকে বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বাস চালককে রাঙ্গুনিয়া থেকে আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার ছাত্র প্রতিনিধি, বাস মালিক সমিতি ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বৈঠক হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। সেখানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গত সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ-সংলগ্ন এলাকায় বাসের চাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন।

দুর্ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু নামে আরেক শিক্ষার্থী। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।

দুই শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় সোমবার রাতেই চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে নানা কর্মসূচি পালনে কাপ্তাইয়ের সঙ্গে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও বিদেশগামীদের যানবাহনগুলো যেতে দেন অবরোধকারীরা।


সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬, আহত ৮

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:১৯
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় ট্রাক খাদে পড়ে ৬ জন নিহত এবং আরও ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার বিকেলে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, সীমান্ত সড়কে কাজের উদ্দেশ্যে মিনি ট্রাকে করে ১৪ জন শ্রমিক গাজীপুর ও ময়মনসিংহ থেকে সাজেক গিয়েছিল। গতকাল বিকেলে কাজ শেষে উপজেলা সদরে ফেরার পথে পাহাড়ি খাদে পরে ঘটনাস্থলেই ৬ জন শ্রমিক মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সহায়তায় খাগড়াছড়ির দিঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি খুবই দুর্গম এলাকা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।’

বাঘাইছড়ি সার্কেল অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল চৌধুরীর দুর্ঘটনার বিষয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে ড্রাম ট্রাকে করে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ১০০ ফুট গভীর খাদে পরে গাড়ী দুমড়ে মুচড়ে যায়। স্থানীয়দের কাছে সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


একে একে চলে গেল পরিবারের পঞ্চম সদস্য সুজন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ১২ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের পরদিন ভোর ৪টার দিকে ভাসানটেকের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। নানি-মা-বাবা-বোনের পর চলে গেল শিশু সুজনও। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা পাঁচ জনে দাঁড়াল।

আজ বুধবার বেলা ২টায় ওই পরিবারের নয় বছর বয়সি সদস্য সুজনের (৯) মৃত্যু হয় বলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান। তার শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানান এই চিকিৎসক।

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় সুজনের মা সূর্য বানু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর দুদিন আগে ১৩ এপ্রিল তার মা মেহেরুন্নেছার মৃত্যু হয়। ১৬ এপ্রিল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুজনের বাবা লিটন মিয়া। আর সুজনের বোন লামিয়া মারা যায় গত ১৯ এপ্রিল।

পরিবারটির সর্বশেষ সদস্য সুজনের আরেক বোন লিজার চিকিৎসা চলছে বার্ন ইনস্টিটিউটে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এলাকাবাসী জানান, মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এতে ওই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন।

তাদের মধে সূর্য বানুর ৮২ শতাংশ, লিটনের ৬৭ শতাংশ, লামিয়ার ৫৫ শতাংশ, মেহরুন্নেচ্ছার ৪৭ শতাংশ, সুজনের ৪৩ শতাংশ ও লিজার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে যায় বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়।


হাজীগঞ্জে ট্রেনের নিচে সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে কোলের সন্তানসহ এক নারীর দ্বিখণ্ডিতলাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকালে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা লাকসামগামী সাগরিকা এক্সপ্রেসের নিচে এক বছরের শিশু সন্তান আব্দুর রহমানকে নিয়ে আত্মহত্যা করে তাহমিনা আক্তার (২৩)।

ঐ নারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধড্ডা দেওয়ানজি বাড়ির রফিকুল ইসলামের মেয়ে। গত ৫ বছর পূর্বে একই উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের স্বর্ণা এলাকার প্রবাসী মাসুদুজ্জামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। তাদের চার বছরের এক মেয়ে ও এক বছরের এক ছেলে সন্তান ছিলো।

গত এক মাস পূর্বে স্বামীকে তালাক দেয় তাহমিনা। স্বামী বিদেশ থেকে দেশে আসলে তার কিছু আপত্তিকর ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। নারী থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা না পেয়ে লজ্জা আর অপমানের ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় বলে জানা গেছে। চাঁদপুর রেলওয়ে পুলিশ শিশু ও মায়ের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

আত্মহত্যার আগে তাহমিনা তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী না করে রেখে যাওয়ার মেয়ের দায়িত্ব পরিবারকে নেওয়ার আহবান জানান।


চুয়াডাঙ্গায় আবারও তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রির ঘরে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

টানা কয়েকদিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালেও মাঝে জেলায় কিছুটা কমে তাপমাত্রা। তবে আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় আবারও বেড়েছে তাপমাত্রা। জেলার কয়েকটি জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ৪০ মিনিট গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত হয়, যা ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার রেকর্ড করে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। তবে, আজ বুধবার সকাল থেকে আবারও উত্তপ্ত হতে শুরু করে চুয়াডাঙ্গার জনপদ। আবারও তাপদাহ শুরু হওয়ায় জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি।

আজ বুধবার বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। তাপদাহে স্বস্তি মিলছে না কোথাও। গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে সেখানেও মিলছে না শান্তি। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। দাবদাহে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম।

দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, ‘এই তাপে ধানের ক্ষেত শুকি যাচ্চি। বেশি বেশি সেচ দিতি হচ্চি। দিনের বেলায় পাম্পে খুব একটা পানি উটচি না। রাতি পানি দিতি হচ্চি। তাছাড়া আম, লিচু, কলা সব নষ্ট হয়ি যাচ্চি। গরমে আমারও মাটে টিকতি পারচি নি।”

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকালের তুলনায় আজ তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বেড়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।


কতজন রোহিঙ্গা ভোটার হয়েছেন, জানতে চান হাইকোর্ট

হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারে বসবাসরত কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের ভেতর কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ তালিকা আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নে ভোটার হওয়া ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার কত রোহিঙ্গা নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তার তালিকা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। একই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয় রিটে। এ ছাড়া ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ রিট করেন।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ জন রোহিঙ্গা। তাদের তালিকাযুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়। এ ছাড়া একই ইউনিয়নে সাড়ে তিন শ রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।

বিষয়:

মিয়ানমারে সাজা ভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ১৭৩ বাংলাদেশী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৫৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি। আজ বুধবার বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘নেভাল শিপ চিন ডুইন’ জাহাজ থেকে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ এসব বাংলাদেশিদের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে নিয়ে গেলে তারা সেখানে পৌঁছায়।

কর্মকর্তারা জানান, মিয়ানমার ফেরত এই ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙ্গামাটি জেলার, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ফেরত আসাদের বিজিবি গ্রহণ করে পুলিশকে হস্তান্তর করা হবে। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে স্বজনদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা অগ্রবর্তী মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি একটি বিশেষ ট্রলারে কক্সবাজার এসে পৌঁছান।

দলটি কক্সবাজার পৌঁছার পরপরই ঘাট থেকে গাড়ি নিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় রওয়ানা হয়েছেন। যেখানে বিজিবির অধীনে রয়েছেন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা বাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য।

তাদের ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়ার জন্যই প্রতিনিধি দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে আশ্রয়রত সেনা ও বিজিপি সদস্যদের নিয়ে মিয়ানমারের ফেরত যাবে দলটি।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি ও সেনা সদস্যদের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন পালিয়ে এসেছিলেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশ এবং সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না।

তবে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানা গেছে।


রেল লাইনে বাস, প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৪৮
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনের ওপরে উঠে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাস ও ট্রাকচালকসহ ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সেখানে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারও যাত্রীরা।

বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় ঢাকাগামী আরপি এক্সপ্রেস নামে একটি বাস ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব দিকে যাওয়া একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনের ওপরে উঠে পড়ে। এ সময় মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে ডিউটিরত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরীসহ আরও বেশ কয়েকজন। তারা জানতে পারেন টাঙ্গাইল থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব রেলস্টেশনের দিকে আসছে। একপর্যায়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট জায়গায় ফোন করে ট্রেনটি থামানোর জন্য অনুরোধ জানান এসআই টিটু। পরে ট্রেনটি ঘটনাস্থলে এসে দাঁড়ালে বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের যাত্রীরা। এরপর দ্রুত বাসটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রেনের যাত্রী সবুজ আহমেদ ও হৃদয় ইসলাম বলেন, “হঠাৎ করে ট্রেনটি হাতিয়া নামক এলাকায় এসে থেমে যায়। পরে জানতে পারি, ‘এখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনে উঠে পড়েছে।’ ঘটনাস্থলে দ্রুত ট্রেনটি দাঁড় না করালে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আগেই অবগত হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় ট্রেনের যাত্রীরা।”

বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে বাসটি রেল লাইনে উঠে যায়। পরে দ্রুত পুলিশ কন্ট্রোলরুম বা রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে থামানো হয়। এতে করে ট্রেনের যাত্রীরা রক্ষা পায়।’

এসআই আরও বলেন, এ ঘটনায় বাসের ৪ জন যাত্রী ও ট্রাকের চালকসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাকটি সেতুর পূর্ব থানায় রাখা হয়েছে।


কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে তিনটি কোচ লাইনচ্যুত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:৫৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডুলহাজারা স্টেশনে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে ঈদ স্পেশাল ট্রেনের তিনটি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ট্রেনটি আটকা পড়ে তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের চকরিয়া রেলস্টেশনের ইনচার্জ মো. ফরহাদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ট্রেনটির কয়েকটি বগি কেবল লাইন থেকে সরে গেছে। ট্রেনে আসনের বিপরীতে ৫০০ যাত্রীর পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা আরও ৮০ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিজ ব্যবস্থাপনায় গন্তব্য রওনা হয়েছেন।’

ডুলাহাজারা স্টেশনের ইনচার্জ আবদুল মান্নান বলেন, ‘ঈদ স্পেশাল-৯ ট্রেনটি সকাল ৭ টায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পৌনে ১০টার দিকে ডুলাহাজারা স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ তিনটি কোচ লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘লাইনচ্যুত কোচগুলো লাইনে তুলতে সময় লাগবে। তবে বিকল্প থাকায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকবে না।’

বিষয়:

banner close