শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
১১ পৌষ ১৪৩২

‘বাংলাদেশে অভিবাসন ব্যয় সবচেয়ে বেশি’

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মশালার আয়োজন করে ব্রাক। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:১৫

প্রতিবছর লাখ লাখ বাংলাদেশি কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে যান। কিন্তু বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে তথ্য সহজে না পাওয়ার কারণেই তারা দালালনির্ভর হয়ে পড়েন। আর এ কারণেই পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশেই অভিবাসন ব্যয় সবচেয়ে বেশি। বিপরীতে আয় সবচেয়ে কম।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত ‘নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশফেরতদের পুনঃকেন্দ্রীকরণ’বিষয়ক জেলা কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইলিয়াস মেহেদী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন এফ এম সাহাবুদ্দিন খান। আরও উপস্থিত ছিলেন অভিবাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ বিদেশফেরত অভিবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বমন্দার বাজারেও অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকার অন্যতম কারণ প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। প্রতিবছর ২০ লাখ তরুণ শ্রমবাজারে যুক্ত হন। যাদের বড় অংশ বিদেশে যান। কর্মী প্রেরণকারী ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি কাজ করছেন।

শরিফুল হাসান বলেন, ‘কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ উচ্চ অভিবাসন ব্যয়। বাংলাদেশ থেকে বিদেশ যাওয়ার খরচ সবচেয়ে বেশি। অথচ সেসব কর্মী আয় করেন সবচেয়ে কম। এর কারণ আমাদের মানুষ খুব বেশি সচেতন না। তারা মনে করেন বিদেশে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু দক্ষ হয়ে যাওয়া, বৈধভাবে যাওয়ার বিষয়ে তারা জানেন না।’

শরিফুল হাসান বলেন, ‘দেশের বেশির ভাগ রিক্রুটিং এজেন্সির অফিস রাজধানীতে হওয়ায় প্রান্তিক মানুষ সেখানে পৌঁছাতে পারেন না। তারা প্রতি পদে পদে দালালের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। বলা যায়, অভিবাসনের পুরো রিক্রুটটা দালালের ওপর নির্ভরশীল।’

ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইলিয়াস মেহেদী বলেন, সরকারি প্রতিটি সেক্টরে জনবল বেশি, কিন্তু সে তুলনায় নিয়ন্ত্রণ কম। বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো এত প্রচ্ছন্ন থাকে যে সেবাগ্রহীতারা কোথায় গিয়ে চাহিদা অনুযায়ী সেবা পাবেন, তা জানেন না আর জানারও চেষ্টা করেন না। তারা চান কীভাবে স্বল্প সময়ে, স্বল্প পরিশ্রমে বেশি টাকা উপার্জন করা যায়। তাই তারা উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নেয়ার ব্যাপারেও উদাসীন।

কর্মশালায় দুজন বিদেশফেরত ব্যক্তি তাদের প্রবাসজীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।


তারেক রহমানের বাসার সামনে নেতা-কর্মীরা

‘গণসংবর্ধনায় নেতাকে দেখতে পাইনি, তাই  বাসার সামনে এসেছি’ 
গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বরে তারেক রহমানের বাসার সামনে কয়েকজন নেতা-কর্মী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেখতে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই বাসার সামনে আসেন নেতা-কর্মীরা। সকালে গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়ির সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাসার সামনে আসা নেতা-কর্মীদের অনেকে বলছেন, গণসংবর্ধনায় লাখ লাখ মানুষের মাঝে তারেক রহমানকে ভালোভাবে দেখতে পাননি। এ জন্যই সকালে গুলশানের বাসার সামনে এসেছেন তারা। দীর্ঘ ১৭ বছর পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে ফিরেছেন। এতে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।

মো. ইসমাইল এসেছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার গণসংবর্ধনায় এসেছিলাম। নেতাকে ভালোভাবে দেখতে পাইনি। এ জন্য বাসার সামনে এসেছি। নেতার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এখানে এসেছি।

সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাসার সামনে অবস্থান করে দেখা যায়, চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ, র‍্যাব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাসাটির নিরাপত্তায় রয়েছেন। বাসার সামনেই রাখা হয়েছে তারেক রহমানকে বহনকারী লাল–সবুজ রঙের বাসটি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতা-কর্মীরা বাসার সামনে আসছেন। বাসার বিপরীত পাশের সড়কে অবস্থান করছেন তারা। কেউ কেউ মুঠোফোনে ছবি তুলছেন। গণমাধ্যমকর্মীরাও ভিড় করেছেন।

তারেক রহমানকে দেখতে সকালে বাসার সামনে আসেন ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য মো. মাঈনুদ্দিন। তিনি বলেন, সংবর্ধনায় অংশ নিতে দুই দিন আগে ঢাকায় এসেছি। চেয়ারম্যান সাহেবের বাসার সামনে ভিড় না করার জন্য দলীয় নির্দেশনা আছে। তারপরও একনজর দেখার জন্য এসেছি।

তারেক রহমান শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাদ জুমা বেলা ২টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য এবং তারেক রহমানের সপরিবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে ঢাকাসহ দেশের মসজিদে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া হয়।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার দুপুরে লন্ডন থেকে তারেক রহমান ঢাকায় আসেন। তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান সঙ্গে এসেছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) গণসংবর্ধনাস্থলে চলে যান। পুরো পথে বিপুল নেতা-কর্মী তাকে স্বাগত জানান। গণসংবর্ধনায় বক্তব্য দেন তারেক রহমান। এরপর অসুস্থ মা খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় আসেন। এখানেই সপরিবার থাকছেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য গুলশান অ্যাভিনিউর এই বাড়ি আগেই প্রস্তুত করা ছিল। ১৯৬ নম্বর বাড়িটি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের বাসভবন ‘ফিরোজা’র পাশে অবস্থিত।


নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন নিয়ে সংশয় দূর হয়েছে : প্রেসসচিব

আপডেটেড ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:১৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে হওয়া নিয়ে যে সংশয় ছিল তা দূর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রেসসচিব তার পোস্টে লিখেছেন, ‘সাধারণ নির্বাচন এবং গণভোট এখন আর মাত্র সাত সপ্তাহ বাকি —৪৯ দিন। আমি কখনো সন্দেহ করিনি যে নির্বাচন ঠিক সময়ে হবে, যদিও এমন কিছু মুহূর্ত ছিল যখন আমার উদ্দীপনার উদ্দীপনা কাটিয়ে উঠতে হয়েছিল।

গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা, যাহোক, ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন নির্ধারিত হবে কি না, তা নিয়ে সমালোচকদের যত সংশয় ছিল তা মুছে দিয়েছে।’

তিনি আরও লিখেন, ‘রেকর্ড ভঙ্গকারী জনতা সিজনের নিকৃষ্টতম কোন্দলকে উপেক্ষা করে ৩০০ ফুট উচ্চতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানাতে জড়ো হয়। এটি একটি নির্বাচনের জন্য দেশের প্রস্তুতির একটি স্পষ্ট প্রমাণ ছিল। দুয়েক দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করা হবে।

হাজার হাজার প্রার্থী তারপর দেশে ফিরবেন। প্রিন্টিং প্রেসগুলো কাজে গর্জন করবে। টেলিভিশন স্টেশনগুলোতে নির্বাচনী বিতর্ক শুরু হবে, যা গ্রামস্তরে পৌঁছে যাবে।’

বাংলাদেশ গভীর ক্ষত বহন করে—একটি চির-বিস্তৃত ফ্র্যাকচার, যা শুধুম একটি সত্যিকারের বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সারিয়ে তুলতে পারে।


১৫ বছর আগে সংসদে বলেছিলাম তারেক রহমান আসবেন : আন্দালিব রহমান পার্থ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম ‘তারেক রহমান আসবেন’, আর বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবেন তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর এখন বাংলাদেশে। আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম তারেক রহমান আসবেন, আর বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবেন তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। সেই সময় দাঁড়িয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সামনে কথাটা বলা সহজ ছিল না। আমি গণনা করে বলিনি, ভবিষ্যদ্বাণীও করিনি, কেবল দৃঢ় বিশ্বাস থেকে বলেছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল যে, তারেক রহমানের মতো জনগণের এক নেতার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন জজ সাহেবের কলমের খোঁচা দিয়ে নির্ধারিত হয় না, সেটা নির্ধারিত হয় আল্লাহর ইচ্ছায়, জনগণের মাধ্যমে সঠিক সময়ে।’

‘আজ সেই সময়- অভিনন্দন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। অভিনন্দন সারা বাংলাদেশের বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীকে। অভিনন্দন বাংলাদেশের জনগণকে।’


চাইনিজ লিটারেচার রিডার্স ক্লাবের যাত্রা শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি বা সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে চাইনিজ লিটারেচার রিডার্স ক্লাব।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বারিধারার আপন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টারে ক্লাবটির উদ্বোধন করা হয়।

চীনের রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-আয়োজনে এবং আপন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টারের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে দুদেশের সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও গভীর ও গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে চাইনিজ লিটারেচার রিডার্স ক্লাবের ফলক উন্মোচন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেং এবং চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-এর বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী।

বাংলাদেশের খ্যাতনামা লেখক, প্রকাশক, গবেষক ও সাহিত্যপ্রেমীরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী বলেন, ‘চীনের রয়েছে ৫ হাজার বছরের দীর্ঘ ইতিহাস ও সমৃদ্ধ সাহিত্য ঐতিহ্য। এই ক্লাবের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাঠকদের চীনা সাহিত্য সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি হবে।

এতে উভয় দেশের মধ্যে সাহিত্য বিনিময় আরও বাড়বে। এ উদ্যোগে চীনা দূতাবাস সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’

চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেং বলেন, ‘সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ভান্ডারকে ভিত্তি করে চাইনিজ লিটারেচার রিডার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এই প্ল্যাটফর্মে চীন-বাংলাদেশের লেখক, গবেষক ও পাঠকরা গভীর সংলাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উভয় দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের কৌশলগত দিক নির্দেশনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌছেছে। জনগণের মধ্যে বিনিময়- বিশেষ করে সাহিত্য ও চিন্তার আদান-প্রদান এই সম্পর্কের ভিত্তিকে আরও মজবুত করবে। বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের আওতায় ‘জনগণের সঙ্গে জনগণের সংযোগ’-এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ এই রিডার্স ক্লাব।’

জাতীয় গ্রন্থাগারের চাইনিজ বুক কর্নারে বাংলাদেশি লেখকদের অংশগ্রহণে নিয়মিত পাঠচক্র আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন কালচারাল কাউন্সেলর।


কুষ্টিয়ায় বিজিবির তৎপরতায় ‘১৪ ভারতীয় নাগরিক’ পুশ ইনে ব্যর্থ বিএসএফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।

এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’


শাহবাগে হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ

আপডেটেড ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫৮

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নিলে ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এই কর্মসূচিতে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন।

এর আগে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সংগঠনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দেশব্যাপী দোয়া-মোনাজাত ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। শাহবাগে অবস্থানকালে আন্দোলনকারীরা ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন। এ সময় তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অবরোধ চলাকালে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের ঘোষণা দেন যে, হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে তারা শাহবাগেই রাত্রিযাপন করবেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শেষে রিকশাযোগে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ১৫ ডিসেম্বর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং দেশজুড়ে বিচারের দাবিতে আন্দোলন দানা বেঁধে ওঠে।


ঘন কুয়াশায় লঞ্চ চলাচল বন্ধের নির্দেশ, দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে নৌ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের ভয়াবহ সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘন কুয়াশার মধ্যে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এই নির্দেশনা প্রদান করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় যে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিটি লঞ্চে ফগ লাইট ও সাইড লাইটের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সব নৌযানের ফিটনেস ও লাইসেন্স তদারকি করতে নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন উপদেষ্টা।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ঢাকা থেকে ঝালকাঠিগামী ‘অ্যাডভেঞ্চার-৯’ এবং ঘোষের হাট থেকে ঢাকাগামী ‘এমভি জাকির সম্রাট-৩’ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। চাঁদপুরের হাইমচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে রাত আড়াইটার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চারজন যাত্রী নিহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের ৫ জন কর্মীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে যাদের আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সদরঘাটে দুর্ঘটনাকবলিত এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি পরিদর্শন করেন নৌ উপদেষ্টা ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন। পরিদর্শনকালে তিনি নিহতের স্বজন ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে গভীর সমবেদনা জানান। তিনি ঘোষণা করেন যে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া দোষী মালিকপক্ষকেও তলব করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের পক্ষ থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিত করা যায়।


ঝালকাঠিতে হাদির স্মরণে দেওয়ালে দেওয়ালে গ্রাফিতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

নিজ জেলা ঝালকাঠিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন দেওয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তার সাহসী সংগ্রাম, প্রতিবাদী চেতনা ও আত্মত্যাগের গল্প। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী এই গ্রাফিতি কর্মসূচির আয়োজন করেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।

শহরের বিভিন্ন স্থানে আঁকা গ্রাফিতিগুলোতে উঠে আসে প্রতিবাদী স্লোগান ও মানবিক বার্তা। কোথাও লেখা ছিল—‌‘জান দেব, জুলাই দেব না’, ‘আবার কোথাও ‘আমি আমার শত্রুর সাথেও ন্যূনতম ইনসাফ করতে চাই’।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির রেখে যাওয়া সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ থেকে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবেই এই গ্রাফিতি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সামনে আরও এমন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওসমান হাদি ছিলেন আগ্রাসন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন কণ্ঠ। ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধেও তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তার সেই প্রতিবাদী আদর্শ ও স্মৃতি নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ।’


রাজশাহীতে মাসব্যাপী কুটিরশিল্প মেলা শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহীতে মাসব্যাপী ১৮তম বস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরীর কেন্দ্রীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার উত্তর পাশের মাঠে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। উইমেন এন্টারপ্রিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওয়েব)-এর ২২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ওয়েব রাজশাহীর উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলা চলবে আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়েব রাজশাহী শাখার সভাপতি মোসা. আঞ্জুমান আরা পারভীন লিপি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতি হাসেন আলী, জাতীয় দৈনিকের পত্রিকার সম্পাদক লিয়াকত আলী, জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক জিয়া উদ্দিন আহমেদ, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রাজশাহীর সভাপতি মরিয়ম বেগম।

এ ছাড়া ওয়েব রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার, প্রচার সম্পাদক মৌসুমী খাতুন, প্রচার সম্পাদক শামীমা সুলতানা মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সততা খাতুন, সদস্য বিপাশা দাসসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা ও নারী উদ্যোক্তা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে মোট ৪৫টি স্টল বসানো হয়েছে। মেলায় বেত ও বাঁশের তৈরি সামগ্রী, সিরাজগঞ্জের তাঁতবস্ত্র, গার্মেন্ট পণ্য, ক্রোকারিজ, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী, গিফট আইটেম ও ভ্যারাইটিস পণ্যসহ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের নানা পণ্য স্থান পেয়েছে। দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্যের পাশাপাশি আধুনিক নকশার পণ্যও দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই উদ্যোক্তাদের সরাসরি ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি করে। এতে উদ্যোক্তারা ন্যায্যমূল্য পান এবং কারিগররাও উৎসাহিত হন। একই সঙ্গে দেশীয় পণ্যের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়ে এবং বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমে।

দর্শনার্থীরাও মেলাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তাদের মতে, এক জায়গায় দেশীয় হস্তশিল্প ও তাঁত পণ্যের সমাহার থাকায় কেনাকাটা সহজ হচ্ছে। পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সঙ্গে আধুনিক নকশার সমন্বয় নতুন প্রজন্মকেও আকৃষ্ট করছে। মাসব্যাপী এই তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা রাজশাহী অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।


ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তিতে জমকালো আয়োজন

* নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফরিদপুর প্রতিনিধি

জমকালো নানা আয়োজনে নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পালিত হচ্ছে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান। যেখানে এক ডানায় মিলিত হয়েছে সাবেক ষাটোর্ধ্ব থেকে বর্তমান দশ বছরের নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীরা, যেন সকলেই শৈশবের স্কুল জীবনে মেতে উঠেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বেলুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা ও পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তীব্র শীত আর কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোর থেকেই স্কুল প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। সকলের অংশগ্রহণে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় কোরআন তেলাওয়াত, গীতাপাঠ, সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, শপথপাঠ ও অ্যাসেম্বেলি।

বেলা ১১টায় প্রায় সাত সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়কে প্রেসক্লাব মোড়, জনতা ব্যাংকের মোড়, থানা রোড, কাঠপট্টি, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ সড়ক ও কোর্ট চত্বর হয়ে স্কুলে গিয়ে শেষ হয়। এ ছাড়া প্রথমদিনের কর্মসূচি হিসেবে স্মৃতিচারণা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলবে।

ব্রিটিশ-ভারত সরকারি উদ্যোগে হাতে গোনা যে কয়টি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে তার একটি ফরিদপুর জিলা স্কুল। আজ থেকে ১৮৫ বছর আগে ১৮৪০ সালে যাত্রা শুরু করে এ বিদ্যালয়টি। শুরু থেকেই এ অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, আন্দোলন ও সংগ্রামে এ স্কুলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কালের পরিক্রমায় মর্যাদা ও গৌরবে আজও এ বিদ্যালয়টি এ অঞ্চলের একটি সেরা বিদ্যালয় হিসেবে তার স্বকীয় ভাবমূর্তি বজায় রেখেছে।

অনুষ্ঠানকে সার্থক করতে গঠন করা হয়েছে গৌরবময় ১৮৫ বর্ষ উদযাপন ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটি। ২১ সদস্যবিশিষ্ট এ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ফরিদপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান শামীম ও সদস্য সচিব ওয়াহিদ মিয়া কুটি। এর পাশাপাশি কাজের সুবিধার জন্য বিভিন্ন কাজের জন্য গঠন করা হয়েছে ১৮টি উপকমিটি।

উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘এ উৎসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের প্রাণের স্কুলের সমৃদ্ধ অতীত ও ঐতিহ্য সবার সামনে তুলে ধরা, পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে তাদের অতীত ও ঐতিহ্যর পরিচয় করিয়ে দেওয়া।

এছাড়া অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় নগর বাউল জেমস সংগীত পরিবেশন করবেন বলে আয়োজক কমিটি জানান।


টানা ছুটিতে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকের ঢল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বান্দরবান প্রতিনিধি

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিনের ছুটিসহ সাপ্তাহিক ছুটিতে পাহাড় প্রিয়দের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে পর্যটন নগরী বান্দরবান। জেলার মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি, তমাতুঙ্গীসহ সবগুলো দর্শনীয় স্থানে এখন পর্যটকের ভিড়। পাহাড়, নদী, ঝরনা আর প্রকৃতির অপরূপ রূপ দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা।

পর্যটকরা যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততা ভুলে কোলাহল মুক্ত পরিবেশে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে পর্যটকরা চাঁদের গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে।

জেলার মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিক লেক, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি, নীল দিগন্তসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এখন ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। বন্ধের দিন ছুটিতে বান্দরবানে ভ্রমণ করতে পেরে খুশি পর্যটকরা।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা থেকে বান্দরবানের মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে আসা পর্যটক মো. রায়হান বলেন, বান্দরবানের সৌন্দর্য অতুলনীয়। পাহাড়, মেঘ আর প্রকৃতির এমন দৃশ্য সত্যি বিরল।

ঢাকা থেকে বান্দরবানের নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণে আসা পর্যটক জেসমীন বলেন, ‘বড়দিনের তিন দিনের ছুটিকে ঘিরে বান্দরবান ঘুরতে আসলাম। বান্দরবান না আসলে বুঝতাম না এত সুন্দর এই জেলা। পাহাড়ের গঠন দেখে সত্যি মুগ্ধ হচ্ছি আর সেই সঙ্গে ঝরনা আর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির বসবাস দেখে নতুন শিক্ষা নিচ্ছি।’

এদিকে পর্যটকদের আগমনে জেলার বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল আর রিসোর্টগুলো ইতোমধ্যে শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে, দীর্ঘদিন পরে এমন ভরপুর পর্যটন মৌসুমে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

বান্দরবানের আবাসিক হোটেল হিলটনের ম্যানেজার তপন বড়ুয়া বলেন, ‘২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষে আমাদের ৭০ শতাংশ রুম বুকিং রয়েছে শুক্র ও শনিবার প্রায় ১০০ শতাংশ বুকিং হবে আশা করছি।’

বান্দরবানের আবাসিক হোটেল আরণ্যর ম্যানেজার মো. জিয়া বলেন, ‘খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিনের ছুটিসহ সাপ্তাহিক দুদিনের ছুটিতে বান্দরবানে পর্যটকদের উপচে পড়া ঢল পড়েছে আর আমাদের হোটেলে শতভাগ রুম বুকিং রয়েছে।’

বান্দরবান জেলা হোটেল-রিসোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘বান্দরবানে তিন দিনের বন্ধকে ঘিরে প্রচুর পর্যটক আগমন হচ্ছে আর পর্যটকদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে আমরা বান্দরবান জেলা হোটেল-রিসোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা কাজ করে যাচ্ছি।’

এদিকে পার্বত্য জেলা বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা আর পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোনের ইনচার্জ মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘বান্দরবানে সারাবছরই পর্যটকের আগমন ঘটে আর যেকোনো দিবস ও বন্ধে প্রচুর পর্যটক বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলার দর্শনীয় পয়েন্টগুলো ভ্রমণে ছুটে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। এর পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে। আমাদের নম্বরগুলো বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া আছে কোনো ট্যুরিস্ট কোথাও হয়রানির শিকার হলে সাথে সাথে আমরা ব্যবস্থা নেব। আশা করি পর্যটকরা নিরাপদে বান্দরবানে বেড়াতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটকরা যাতে বান্দরবান ভ্রমণ করে আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সে জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোন সদস্যরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।’

এদিকে খাগড়াছড়ি শহরের আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন, ‘তিন দিনের ছুটি এবং নতুন বছরকে উপলক্ষ করে আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র সাজানো হয়েছে। পর্যটকেরাও এসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।’

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি হোটেল–মোটেল ও গেস্টহাউস রয়েছে। ছুটিকে সামনে রেখে অধিকাংশ হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে গেছে। সাধারণত পর্যটকরা জেলার আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝরনা, দেবতার পুকুর, হর্টিকালচার পার্ক, তৈদুছড়া ঝরনা, বিডিআর স্মৃতিসৌধ, মায়াবিনী লেক, শান্তিপুর অরণ্য কুঠির ইত্যাদি জায়গা দেখার জন্য খাগড়াছড়িতে আসেন।

খাগড়াছড়ি মিলনপুর এলাকার হোটেল গাইরিংয়ের ব্যবস্থাপক প্রান্ত ত্রিপুরা বলেন, ‘তাদের সব কটি কক্ষ আগামী রোববার পর্যন্ত বুকিং রয়েছে।’ হোটেল অরণ্য বিলাসের ব্যবস্থাপক আহম্মদ রশিদ জানান, আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত তাদের হোটেলেও কোনো কক্ষ খালি নেই।

পর্যটকদের ভিড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শহরের বিভিন্ন দোকানিরাও। জেলার স্বপ্নচূড়া রেস্তোরাঁর কর্ণধার নেইম্রা মারমা বলেন, ‘ছুটি উপলক্ষে স্থানীয় ও বাইরের ক্রেতা বাড়ছে। ভিড় সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার ছায়েম মির্জা আজম বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ও মোড়ে নিরাপত্তার স্বার্থে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।’


তিতাস গ্যাসের বার্ষিক সভা : ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিতাস গ্যাস টি. এন্ড ডি. পিএলসি―র ৫ম বিশেষ সাধারণ সভা (EGM) এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৪৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ডিজিটাল প্লাটফর্মে (হাইব্রিড সিস্টেম) অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোঃ সাইফুল্লাহ পান্না, সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও চেয়ারম্যান, তিতাস বোর্ড সভাপতিত্ব করেন। এতে কোম্পানির পরিচালকমন্ডলী, পেট্রোবাংলা ও তিতাস গ্যাসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ এবং সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণ অংশগ্রহণ করেন।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তিতাস গ্যাস টি. এণ্ড ডি. পিএলসি―এর ব্যবস্থাপক (মিডিয়া ও জনসংযোগ) মো. আল আমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

আলোচ্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কোম্পানির ৪৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২% নগদ লভ্যাংশ এবং সরকারের Equity’র বিপরীতে Preference Share ইস্যুর সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।


সোনাইমুড়ী হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে বাড়ছে রোগীদের ভোগান্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নোয়াখালী উত্তর প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বর্তমানে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। যার ফলে দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।

তথ্য বলছে, ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ২০০৬ সালে কমপ্লেক্সটিকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। তবে, জনবল সংকটে উপজেলাবাসীকে চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছে না জনগুরুত্ব সম্পন্ন এ সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। এটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও সেবার মান বাড়েনি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য বলছে, হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি ও অবস) ডাক্তার সোহানা সিকদার বদলি হওয়ার পর ২ বছর ধরে এ পদটি শূন্য রয়েছে। জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষুবিদ্যা) দীর্ঘ বছর ধরে নেই। জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক্স) ডাক্তার ইমতিয়াজ অন্যত্র বদলি হওয়ার পর ৪ বছর ধরে পদটি শূন্য রয়েছে। জুনিয়র কনসেন্টেন্ড (কার্ডিওলজি) ডাক্তার ইকবাল দেড় বছর পূর্বে বদলি হওয়ার পর এ পদটি ও শূন্য রয়েছে। ১৭ জন মেডিকেল অফিসার পদের বিপরীতে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ৫ জন। ২১ জন নার্সের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে ৮ জনকে। ৪ জন মিডওয়াইফের কাজ করছেন মাত্র ১ জন। তিনটি নৈশপ্রহরী পদের মধ্যে রয়েছেন ১ জন। ৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর স্থলে রয়েছেন ৪ জন মাত্র। এভাবেই সব ক্ষেত্রেই জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার আবর্তে জোড়াতালি দিয়ে চলছে এ সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা।

হাসপাতালে সীমানা প্রাচীর নেই। ৩ জন নৈশপ্রহরীর স্থলে রয়েছেন ১ জন। বিভিন্ন সময় চুরি হয়ে যাচ্ছে রোগীদের মূল্যবান জিনিসপত্র। মূল ভবন ও আবাসিক কোয়ার্টারের দরজা, জানালা, গ্রিল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া সন্ধ্যার পরে মাদকসেবী ও বখাটেদের সীমাহীন উৎপাতে অনিরাপদ হয়ে ওঠে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা।

সেবাপ্রার্থী নাজমা বেগম বলেন,‘ তিনি গাইনি বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। কিন্তু কোনো ডাক্তার না থাকায় তাকে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।’ এভাবে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। শূন্য পদে দ্রুত জনবল নিয়োগের দাবি করেন তিনি।

কালিকাপুর গ্রামের সহিদ উল্লাহ বলেন, ‘তার স্ত্রী রজিনা আক্তারকে গাইনি বিশেষজ্ঞের দেখানোর উদ্দেশ্যে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় তারা প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।’

সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন জানান, হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ অনেকগুলো শূন্য রয়েছে। ১৭ জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে ডাক্তার সাদিক, তাহামিনা, রাফাত, সৌরভ ও মাসুদ দায়িত্ব পালন করছেন। এতে করে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, মেডিকেল অফিসার ও কর্মচারী নেই। গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় সিজার বিভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। নিরাপত্তার অভাবে।’ আবাসিক কোয়ার্টারে বসবাসকারীরা বাসার বরাদ্দ বাতিল করেছেন। প্রায় সময় রোগীদের মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মরিয়ম সিমি বলেন, ‘ডাক্তারসহ অন্যান্য কর্মচারী সংকট দীর্ঘদিনের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার চিঠি দিয়েছেন। লোকবল কম দিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে।’


banner close