শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

খামারির ১১ গরু তুলে নিয়ে বেচে দিল পুলিশ

ছবি: দৈনিক বাংলা
শাহরিয়ার হাসান
প্রকাশিত
শাহরিয়ার হাসান
প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৮:২৯

খামার থেকে ডাকাতি হয়েছিল সাতটি গরু। মামলার পর পুলিশ সেই গরুগুলো উদ্ধার করে। কিন্তু ওই সাতটি গরুর সঙ্গে অন্য তিন খামারির আরও ১১টি গরু নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। ডাকাতির গরুগুলো পুলিশ অভিযোগকারীকে ফেরত দিলেও অভিযানের নামে নিয়ে আসা বাকি গরুগুলো ফেরত দেয়নি। উল্টো দুই খামারিকে জেলে পাঠিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, ১০ দিন জেলা পুলিশ লাইনসে আটকে রাখার পর ১১টি গরু বিক্রি করে দিয়ে টাকা ভাগ করে নিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, ভুক্তভোগী পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী; এমনকি মামলার বাদীও নিশ্চিত করেছেন তিন খামারি তাদের গরু ফেরত পাননি।

গত বছরের ৪ ডিসেম্বরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সাতটি গরু ডাকাতি হয়। অভিযোগ পেয়ে সেগুলো উদ্ধারের পর সংবাদ সম্মেলন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এ এইচ এম আব্দুর রকিব। প্রায় ১০ মাস পর গরু উদ্ধারের ঘটনা মনে করতে পারলেও উদ্ধারের নামে নিয়ে আসা ১১টি গরুর কথা মনে করতে পারছেন না এই পুলিশ কর্মকর্তা। গত বুধবার দৈনিক বাংলাকে তিনি বলেন, ‘কয়টা গরু উদ্ধার হয়েছে, সে কথা আপনি যদি এসপিকে জিজ্ঞাস করেন, সেটা নজরে থাকার কথা না। পুলিশ গরুগুলো বেচে দিয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয়।'

পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ এম ফজল-ই-খুদা।’ তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, তথ্যপ্রমাণ নিয়ে ১১টি গরু ফেরত দেয়া হয়েছিল। তবে সুজন নামের এক ব্যক্তির খামার থেকে বেশ কয়েকটি গরু উদ্ধার করা হয়ে থাকতে পারে। সুজন নিজেই ডাকাতদের সহযোগী ছিলেন। তার গরু কোনটি, আর কোনগুলো ডাকাতির, সেটা বোঝা মুশকিল ছিল। এরপরেও প্রকৃত মালিককে গরু ফেরত দেয়া হয়েছিল।

তবে বাংগাবাড়ীর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আশরাফুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সেদিন রাতে পুলিশ তাকে ফোন করে সুজনের বাড়িতে নিয়ে যায়। তারা দুটি চোরাই গরু কেনার অভিযোগে সুজনের খামার থেকে ১০টি গরু নিয়ে যায়। আমি জানি, ওখানে আটটি গরু সুজনের পালের। এরপর সুজন গরু ফেরত পেতে একাধিকবার থানা ও এসপির অফিসে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু পায়নি।’

যেভাবে ডাকাতি

গোমস্তাপুর থানা সূত্র বলছে, উপজেলার পাবর্তীপুর ইউনিয়নের জিনারপুর গড়বাড়ি এলাকায় আশরাফুল ইসলামের বাড়ির খামারে গরু ডাকাতি হয়। বাড়িতে মাদক আছে বলে ওই দিন রাত দেড়টার দিকে তল্লাশি শুরু করে পাঁচজন লোক। এ সময় গরুর মালিক আশরাফুল ও তার স্ত্রীকে বেঁধে বাড়ির পাশের ধানখেতে রাখা হয়। পরে খামার থেকে ৭টি গিয়ে গরু নিয়ে চলে যায় তারা। বাড়িতে তল্লাশির আগে ওই সব লোক নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছিল।

এরপর খামারির গরু উদ্ধারে নামে পুলিশ। তারা ডাকাত দলের সদস্য গোমস্তাপুর উপজেলার মো. মিলন হোসেন (৩২), মো. নুরুজ্জামান (৩৮), মো. রহমত আলী (৩২), মো. মুনসুর আলীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া শিবগঞ্জ উপজেলার কুরবান আলী (২৮) ও জয়পুরহাট জেলার মো. মানিককেও (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। ডাকাতরা গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই গরুগুলো বিক্রি করে দেয়।

যেভাবে বিক্রি হয় গরু

ডাকাতরা বর্ডার থেকে আনা এনেছে বলে গরুগুলো শিশাটোলা গ্রামের খাইরুল নামের এক গরু ব্যবসায়ীর কাছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। খায়রুল জানান, গরুগুলো কেনার পর তিনি শিশাটোলা গ্রামের সুজন মাস্টার ও সুজন আলীর কাছে দুটি করে এবং মনসুর (গরু ব্যবসায়ী), হুদা ও দুরুল মিস্ত্রির কাছে একটি করে গরু বিক্রি করেন। পুলিশ খায়রুলের কাছ থেকে গরুগুলো উদ্ধার করে এবং মুনসুর ও সুজন মাস্টারকে আটক করে।

চোরাই গরু কেনা ও ডাকাতিতে সহযোগিতা করার অভিযোগে সুজন আলীকে ১০টি গরুসহ আটক করা হলেও আদালতে চালান দেয়ার সময় তার হেফাজতে একটি গরু ছিল বলে আদালতকে জানায় পুলিশ। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সুজনকে আদালতে হাজির করে জেলে পাঠানো হয়। মাস তিনেক জেলে থেকে জামিন পান তিনি।

সুজন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ খায়রুলের কাছ থেকে কেনা দুটি গরু ডাকাতির বলে জানায়। ওই দুটি গরুর সঙ্গে আমার বাড়ি থেকে আরও আটটি গরু নিয়ে যায় পুলিশ। আর ফেরত পাইনি।’

গরুর সংখ্যায় গরমিল

ডিবি ও গোমস্তপুর থানার পুলিশের অভিযানে দুই দফায় সাতটি গরু উদ্ধারের কথা বলা হলেও স্থানীয়দের দাবি, তিন দফার অভিযানে পুলিশ ১৮টি গরু নিয়ে যায়। ৭টি গরু ফেরত দিলেও ১১টি রেখে দেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে বাংগাবাড়ীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘পুরো ঘটনা জানি। পুলিশ এখনো ১১টি গরু ফেরত দেয়নি। এসব গরু সুজনের পালের তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’

খামারিদের দাবি, পুলিশ ১১টি গরু শহরের এক গরু ব্যবসায়ীর কাছে সাড়ে চার লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। গরু বিক্রির টাকা জেলা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি আবদুর রব নাহিদ]


পদ্মায় লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল সোয়া ৭টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবক মানিকগঞ্জ শিবালয় উপজেলার শিবালয় ৩ নং ট্রাক টার্মিনালের পাশে আসগর আলী শেখের ছেলে মো. ফিরোজ শেখ (২৮)। তিনি সেলফি পরিবহনে সহকারীর কাজ করতেন।

লঞ্চঘাটে থাকা স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ সকালে সোয়া ৭টার দিকে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যায়। তখন আশেপাশের লোকজন গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও দৌলতদিয়া নৌ পুলিশকে খবর দেন। পরে সকাল সাড়ে ৮টার পর গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও আরিচার ডুবুরি দল এসে ৯টার দিকে তাকে উদ্ধার করে।

বাবা আজগর আলী শেখ বলেন, ‘আমার ছেলের ছোটবেলা থেকেই মৃগী রোগের সমস্যা ছিল। গোয়ালন্দে গতকাল রাতে আমার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সকালে বাড়ি ফেরার সময় দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের পন্টুনে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করার সময় মৃগী রোগ উঠলে নদীতে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. সাবেকুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদ পেয়ে দ্রুত লঞ্চঘাটের ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

দৌলতদিয়া নৌ পুলিশের এসআই মো. ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সোয়া ৭টার দিকে সংবাদ পাই লঞ্চঘাটে পন্টুন থেকে এক যুবক নদীতে পড়ে গেছে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ফায়ার স্টেশনকে জানাই। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে তাকে উদ্ধার করে। মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষ হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

বিষয়:

কাভার্ডভ্যান-লরিতে আগুন: নিহত ১, আহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভুঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে চলন্ত কাভার্ডভ্যানের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা লরির সঙ্গে সংঘর্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় মো. আব্দুর রহিম (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি কাভার্ডভ্যানের চালক এবং রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামগঞ্জ গ্রামের মৃত মুনছের আলীর ছেলে।

আহত হয়েছে দুইজন। তারা হলেন, কাভার্ডভ্যান চালকের সহকারী শাকিল (২৫) ও নোমান (২৪)। আহত দুইজনই একই উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার জোকারচর এলাকার অদূরে কামাক্ষামোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন জানান, ঢাকাগামী কাভার্ডভ্যানটির সামনের চাকা ফেটে গেলে গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরবঙ্গগামী একটি লরির সাথে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে মুহুর্তেই গাড়ি দুটিতে আগুন ধরে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তিনি আরও জানান, আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে দুইপাশের সড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ি দুটি সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়ার পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ জানান, কনটেইনারবাহী লরি ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইটি গাড়িতে আগুন লেগে যায়। একজন হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। আহত ২ জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


জুনে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ

কুমিল্লায় প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

আগামী জুন মাসের মধ্যেই ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করবে সরকার। সে জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।

শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রুমানা আলী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

রুমানা আলী বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেউ যেন প্রতারিত না হয় কিংবা কেউ যেন প্রতারণা না করতে পারে সে জন্য সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সেখানে খুব ভালোভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে।’ তবে এ বছর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর খানসহ কলেজটির অন্যান্য শিক্ষক জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।


মানিকগঞ্জে যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশপথে যানজট নিরসন ও পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যেগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও পৌর সুপার মার্কেটের সামনের সড়ক ও ফুটপাত থেকে শতাধিক হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মো. তসলিম মিয়া ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানাসহ থানা পুলিশ ও পৌরসভার কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্যানেল মেয়র তসলিম মিয়া জানান, পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ও শহরের যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কারন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্থায়ী কিছু ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল করে ব্যবসা করে আসছে। এতে করে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারীদের ভোগান্তীতে পড়তে হয়।

তিনি আরও জানান, পথচারীদের সুবিধার্থে যানজট দূর করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান।

বিষয়:

বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত, আহত চার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৪৭
ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার উজানপাড়ায় বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ত্রিশালের উজানপাড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের উজানপাড়ায় ইউটার্ন নেওয়ার সময় সিএনজিটিকে একটি যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুই বছরের শিশু রুবাইয়া এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সিএনজির চালক শরিফুল ইসলাম (৩৩) ও অজ্ঞাত আরেক যাত্রী মারা যান।

নিহত সিএনজি চালক শরিফুল উপজেলার চিকনা মনহর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।

আহতরা হলেন, রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মনি আক্তার (৪৫), একই গ্রামের শামীম আহমেদের স্ত্রী সাহিদা আক্তার (৪৫)। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।


বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১১:০৯
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে সীমান্তের হাঁপানিয়া এলাকায় ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পোরশা থানা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ ১৬ বিজিবির পোরশা উপজেলার নিতপুর বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বিএসএফের সঙ্গে বুধবার দিনভর যোগাযোগ করেন তারা।

তিনি আরও জানান, রাত ১০টায় সীমান্তের হাপানিয়া এলাকার ২৩৬নং পিলারের কাছে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আল আমিনের মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে পোরশা থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের কেদারি পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার ইন্সপেক্টর সুভাষ চন্দ্র মিনা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত এলাকায় গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে ভারতের মালদা জেলার মিলমারি এলাকায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি যুবক আল আমিন।

বিষয়:

নোয়াখালীতে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৭:১৩
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও এক শ্রমিক।

বুধবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ-দাগনভূঞা সড়কের মীর বাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবুল কালাম (৩৫) উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, ‘নিহত কালাম পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। সকালে হেঁটে দাগনভূঞার তালের চারা এলাকার কাজ করতে যাওয়ার পথে একটি অ্যাম্বুলেন্স পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিষয়:

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার।

উচ্ছেদকৃত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩টি খাবার হোটেল, কনফেশনারী এবং মুদি দোকানসহ ৩০টি স্থাপনা।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন বলেন, ‘৬৮ শতাংশ সম্পত্তির উপর ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পাকা স্থাপনা রয়েছে। বন্দরের সম্পত্তিতে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সবগুলো স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।’


নারায়ণগঞ্জে বাসের ধাক্কায় পুলিশ সদস্য নিহত

আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৮:৫৭
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দায়িত্ব পালনকালে বাসের ধাক্কায় আব্দুল গফুর নামের এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছনবাড়ি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল গফুর নারায়ণগঞ্জের ট্রাফিক বিভাগের (কনস্টেবল নং ৯৬১) কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায় ও তার বাবার নাম দুলু মণ্ডল।

স্থানীয়রা জানায়, মহাসড়কে দায়িত্ব পালনকালে নরসিংদী থেকে ঢাকামুখী একটি বাস পুলিশ সদস্য আব্দুল গফুরকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, ‘ভুটানের রাজা আড়াইহাজারে আসার ফলে পুরো উপজেলায় সড়ক ও মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ তৎপর ছিলেন। এ সময় দায়িত্বপালনকালে ট্রাফিক পুলিশের সদস্য আব্দুল গফুরকে পেছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দেয়। পরে তার মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’


জমে উঠেছে শেরপুরের ঈদবাজার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে জমে উঠেছে ঈদবাজার। মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের ব্যস্ততা। সব বয়সি মানুষের মধ্যে এখন ঈদবাজার নিয়েই যত ভাবনা।

ঈদকে সামনে রেখে বিপণি বিতান, মার্কেটগুলো এখন নতুন নতুন দেশি-বিদেশি হরেক রকম জামা-কাপড়ে ঠাসা। দোকানগুলো ক্র‍েতার ভিড়ে জমজমাট। ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড়, জুতো, প্রসাধনীসামগ্রী কিনতে ব্যস্ত মানুষ। বিশেষ করে পরিবারের কর্তারা ব্যস্ত পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে। শপিংমলগুলোতে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা।

ঈদের জামায় এবার মেয়েদের আলিয়া কাট, সারারা, নাইরা চলছে বেশি। ছেলেদের দৃষ্টি বেশি পাঞ্জাবির দিকে।

নারগিস নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘পরিবারের সদস্যের জন্য প্রায় ১৫ হাজার টাকার কাপড় কিনলাম। গতবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। যা সামর্থ্যে কুলাচ্ছে তাই কেনার চেষ্টা করছি।’

ছোট্ট জাবিরা বলে, ‘আমি মার সাথে মার্কেটে এসেছি। আলিয়া কাট জামাটা দেখছি। এটা আমার খুব পছন্দের। বান্ধবীরাও এটা কিনেছে। এই জামাটাই আমি নিব।’

ব্যবসায়ীরা জানান, ১০ রমজানের পর থেকেই তাদের ব্যবসা জমে উঠছে। বর্তমানে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বিভিন্ন মার্কেটে এখন চলছে জমজমাট বেচাকেনা। শিশু, পুরুষ ও মহিলাদের পছন্দের কাপড়-চোপড়ের দোকানগুলোতে এখন বেশ ভিড়। সামনের মাসের শুরুতে জুতা ও প্রসাধনীর দোকানগুলোতে ভিড় আরও বাড়বে।

জননী বস্ত্রালয়ের মালিক চন্দন কুমার বলেন, মার্কেটগুলোতে টাঙ্গাইলের সুতি, জামদানি, জর্জেট এবং সিল্ক শাড়ির চাহিদা এবার অনেক বেশি।

জে আর ফ্যাশনের জিহাদ বলেন, আলিয়া কাট জামার এবার ব্যাপক চাহিদা।

এদিকে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে ফুটপাতগুলোতেও। বলতে গেলে ফুটপাতেই এখন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রদের ঈদের প্রধান বাজার। শ্রমিকশ্রেণির অনেকেই চাঁদ রাতে অথবা ১-২ দিন আগে কেনাকাটা করে। স্বল্প বেতনভোগী ও খেটে খাওয়া মানুষকেও আপাতত কেনাকাটায় খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।

বস্ত্র মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিকিকিনি করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আর জিনিসপত্র‍ের দাম মানুষের হাতের লাগালের মধ্যেই আছে। তাই মানুষ ঈদবাজারে আগে থেকেই ঝুঁকে পড়েছে।


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের উচ্ছেদ অভিযান

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা যায়।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহাসড়কের পাশে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মহাসড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা দখল করে বসা দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানের পর মহাসড়কে নিরবিচ্ছিন্ন যান চলাচল দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন স্থানীয় লোকজন।

কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুম সরদার বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশের বিভিন্ন অফিসারদের সমন্বয়ে পরিচালিত এ উচ্ছেদ অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চলাচলরত যাত্রী ও সচেতন মহল। আমাদের এ উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।’


মৌলভীবাজারের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট: বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি এলাকার ভাঙারপার গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হওয়ার ঘটনা ঘটে।মর্মান্তিক এই ঘটনা পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সেই শোকের মধ্যে পরিবারের শেষ এবং একমাত্র বেঁচে থাকা সোনিয়া আক্তারও (১২) আজ বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের পর সেও মারা গেছে বলে সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

সোনিয়া উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমানের মেয়ে। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনেরও মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে বেঁচে ছিল।

মামা আবদুল আজিজ বলেন, গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়।

ওই ঘরের ওপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিল। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে বসতঘরের চালের ওপর পড়ে ঘরটি বিদ্যুতায়িত হয় এবং আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরিন বেগম, মেয়ে সামিয়া, মেঝ মেয়ে সাবিনা ও ছেলে সায়েমের মৃত্যু হয়।


ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৭ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১১:৫৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ইঞ্জিন ও দুটি বগির ৮ চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিলো। এই ঘটনার প্রায় ৭ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার সকাল ৭টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ।

তিনি জানান, ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঈশ্বরদী হতে খুলনাগামী তেলের খালি ওয়াগন নিয়ে একটি ট্রেন রওনা করলে তা ঈশ্বরদী লেভেল ক্রসিং গেইট অতিক্রম করে বিপরীত দিক থেকে পুশিং এ আসা মালবাহী শানটিং ওয়াগনে আঘাত করে। এতে মালবাহী ২টি ওয়াগনের ৮ চাকা এবং লোকোমোটিভের সবগুলো চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সকাল ৭টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ কারখানা থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন প্রথমে মালবাহী ট্রেনকে উদ্ধার করে। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর তেলবাহী ট্রেনকে উদ্ধার করা হয়। এখন সব রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে দুই ট্রেনের দুই চালকসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।


banner close