শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

উল্টে যাওয়া ট্রাকের চাপায় নিহত ৪

ট্রাকটি উল্টে একটি বাজারে ঢুকে পড়ে। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত : ২ অক্টোবর, ২০২২ ১২:১৬

নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রাকের চাপায় চারজন নিহত হয়েছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ এলাকায় রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, একটি গ্যাস পাম্প থেকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা গ্যাস নিয়ে রায়পুরার বারৈচারের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেটগামী একটি ট্রাক ওই অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। তখনই ট্রাকটি উল্টে পাশে থাকা একটি বাজারে ঢুকে পড়ে।

এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান আরও দুজন। আহত আরও পাঁচজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় ও ভৈরবের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন উপজেলার মাহমুদাবাদ মেশিনঘর এলাকার আলাউদ্দিন মিয়া ছেলে সিদ্দিক মিয়া, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মো. সিদ্দিক মিয়া, বেলাব উপজেলার পুরাদিয়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম (অটোরিকশার যাত্রী)। তাৎক্ষণিক অপর নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।


 চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চট্টগ্রামের বায়েজিদে টেক্সটাইল এলাকার একটি জুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট।

শুক্রবার বিকেলে আগুনের এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, কারখানাটি বিদেশি মালিকানাধীন বলে শুনেছি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।


জমির জন্য বাবাকে দাফনে বাধা ছেলের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে জমির জন্য বাবাকে দাফন করতে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছেলের বিরুদ্ধে। বাবার জন্য খোড়া কবরে ছেলে নিজে শুয়ে কবর দিতে বাধা দেয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সম্পন্ন হয় দাফনকাজ।

শুক্রবার নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের যাদুরহাট বাটুল টারিতে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ওই এলাকার মজিবুর রহমান মারা যাওয়ার পর তার ছেলে এমন ঘটনা ঘটায়। জমি রেজিস্ট্রি না করে দিয়েই মৃত্যুবরণ করায় ছেলে নওশাদ আলী বাবার দাফনে বাধা দেয়।

স্থানীয়রা জানায়, মুজিবুর রহমানের দুই স্ত্রী রয়েছে। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ২ শতাংশ ও ছোট ছেলেকে ৫ শতাংশ জমি লিখে দেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের মধ্যে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে মৌখিকভাবে ৩ শতাংশ জমি দেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে তিন ছেলেকে দেওয়া জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় বাবার লাশ আটক করে কবরে শুয়ে পড়ে কবর দিতে বাধা দেয় ছেলে নওশাদ আলী।

চাপড়া ইউনিয়নের পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘জমি লিখে না দেওয়ায় বাবাকে কবর দিতে বাধা প্রদানের ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তার দাফনকাজ সম্পন্ন হয়।’


সাজেকে পণ্যবাহী মাহেন্দ্র খাদে, চালকের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে পণ্য পরিবহনের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে এক মাহেন্দ্রচালকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে ভ্যালির কংলাক পাহাড়ে যাওয়ার সময় পণ্যবাহী মাহেন্দ্রটি নিয়ন্ত্রণ হারালে চালক নিহত হয়।

নিহত চালক চাঁন মিয়া (৩৫) দীঘিনালা উপজেলার উত্তর রশিক নগর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে।

জানা যায়, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারালে এতে থাকা অন্য দুজন লাফ দিয়ে নেমে যায়, তবে রক্ষা হয়নি মাহিন্দ্র চালকের। অন্তত ১৫০ ফুট পাহাড়ের নিচে পড়ে গাছের সাথে আটকে যায় গাড়িটি। এতে মাথা ফেটে ঘটনাস্থলেই নিহত হন চালক।

সাজেক থানার ওসি আবুল হাসান খান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


হাতেভাজা মুড়িতে জীবিকা

মুড়ি তৈরির কাজ করছেন কারিগররা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)

পবিত্র মাসে রমজান মাস এলে বেড়ে যায় মুড়ির কদর। ফলে মুড়ি কারিগর ও ব্যবসায়ীরা বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকেন রমজান মাসের জন্য। আবার অনেকে মৌসুমি ব্যবসা হিসেবে এ মাসে মুড়ি উৎপাদন ও বিক্রি করে থাকেন।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া, মাইস্তা, নগরবাড়ী, দৌলতপুর, লুহুরিয়া, সিংহটিয়া ও মাছুয়াহাটিসহ প্রায় ১৫টি গ্রামে তাই মুড়ি তৈরির ধুম পড়েছে। এসব গ্রামের প্রায় কয়েকশ পরিবার হাতেভাজা মুড়ি বিক্রি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এই মুড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের প্রায় ৮-১০টি জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে।

একজন মুড়ি কারিগর এক দিনে ১ থেকে দেড় মণ চালের মুড়ি ভাজতে পারেন। প্রতি মণ চালে ২২ থেকে ২৩ কেজি মুড়ি হয়। প্রতি কেজি মুড়ি পাইকারি ৯০-১০০ টাকা এবং খুচরা ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। মূলত গ্রামের নারীরাই হাতে ভেজে গুণগত মানসম্মত মুড়ি তৈরি করেন।

মুড়ির কারিগরদের তথ্যমতে, প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ টাকার হাতেভাজা মুড়ি উৎপাদন এবং কেনাবেচা হয়। তবে পরিশ্রমের লাভ বেশির ভাগই চলে যায় মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।

দৌলতপুর গ্রামের রাধা রানী মোদক বলেন, ‘আমি ৩৫ বছর ধরে মুড়ি ভাজি। ধান সেদ্ধ করে রোদে শুকানোর পর আবার সেই ধান মেশিনে মাড়াই করে মুড়ি ভাজার জন্যে চাল তৈরি করা হয়। পরে সেই চাল দিয়ে লবণ জলের মিশ্রণে আগুনে তাপ সহ্য করে মুড়ি ভাজতে অনেক পরিশ্রম হয়। সবকিছুর দাম বেশি। পরিশ্রমের তুলনায় লাভ তেমনটা হয় না।’

অধীর মোদক বলেন, ‘মুড়ি ভাজার প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৩০০ টাকা। এক মণ ধানের মুড়ি ভাজতে খড়ি, লবণ, যাতায়াত ও ধান ভাঙানোর খরচ আরও ১৫০ টাকা। সব খরচ বাদে বেশি লাভ হয় না। এক মণ ধানের মুড়ি ভাজলে ৪০০-৫০০ টাকা লাভ হয়, তা দিয়ে চলে না। আমরা সরকারি সহযোগিতা চাই। প্রতিবছরই চিৎকার করে বলি। কিন্তু কোনো কাজ হয় না।’

তবে প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না হাতেভাজা মুড়ি উৎপাদনকারীরা। মেশিনে মুড়ি ভাজতে সময় কম লাগে কিন্তু তুলনামূলক লাভ বেশি। ফলে হাতেভাজা মুড়ি উৎপাদনকারীরা দিন দিন এ কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় ধাবিত হচ্ছেন।

সততা মুড়ির মিলের স্বত্বাধিকারী শংকর চন্দ্র মোদক বলেন, ‘রমজানে আমরা অনেক সময় মোবাইলেও মুড়ির অর্ডার নিয়ে সরবারহ করে থাকি। তা ছাড়া নির্দিষ্ট বাজারে স্থায়ী গ্রাহকরা মুড়ি কিনে থাকেন। রমজান ছাড়া বছরের অন্য সময়ে অর্ধেকে নেমে আসে বেচাবিক্রি।’

শংকর মোদক আরও বলেন, ‘আমরা প্রতি কেজি মুড়ি ৭০ টাকায় বিত্রি করি। খুচরা ৮০-৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। ৫০ কেজি চালের বস্তায় ৪৩-৪৪ কেজি মুড়ি হয়। রমজান মাসে আমাদের মিলে গড়ে ১ লাখ টাকার কেনাবেচা হয়ে থাকে।’

এদিকে মেশিনের সাহায্যে বিপুল পরিমাণ মুড়ি উৎপাদিত হলেও হাতেভাজা মুড়ির চাহিদা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। মেশিনে ভাজা মুড়ি সাদা ও লম্বা করতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ইউরিয়া কিংবা সোডা ব্যবহারের অভিযোগ থাকায় একশ্রেণির মানুষ সব সময় বিষমুক্ত হাতেভাজা মুড়ি খুঁজে থাকেন।

দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান মজনু বলেন, নারান্দিয়ায় মুড়ি কেনাবেচার একটি নির্দিষ্ট বাজার দরকার। সরকার থেকে হাতেভাজা মুড়ি উৎপাদনকারী ব্যক্তি এবং পরিবারগুলোকে বিশেষ ঋণ সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন।

উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার বলেন, টাঙ্গাইল তথা বাংলাদেশের মধ্যে মুড়ি উৎপাদনের অন্যতম স্থান কালিহাতীর নারান্দিয়া। এখানকার উৎপাদিত লাখ লাখ টাকার মুড়ি সারা দেশে সরবরাহ হচ্ছে। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ প্রয়োজন।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ‘কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়ার হাতেভাজা মুড়ির চাহিদা ও সুনাম রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত প্রান্তিক মানুষদের অবশ্যই সরকারি সাহায্য করার সুযোগ আছে। তাদের তালিকা করে কম সুদে ঋণ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে সাহায্য করার উদ্যোগ নেব। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানকার হাতেভাজা মুড়ির ব্র্যান্ডিং ও আরও প্রচার প্রসারের জন্য জিআই অবেদন করা হবে।’


কুলাউড়ায় গাছের সঙ্গে বাঁধা কিশোরীর লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৯ মার্চ, ২০২৪ ১৬:০৬
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একটি টিলায় জঙ্গলের ভেতর গাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো বাঁধা অবস্থায় রেখা বেগম (২০) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের নওয়াবাগান এলাকায় ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, এটি হত্যাকাণ্ড। রেখা ওই ইউনিয়নের পশ্চিম সিংগুর গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক আগে একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে রিয়াজ মিয়ার সঙ্গে রেখার বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে রেখাকে ২ মাস আগে রিয়াজ তালাক দেয়। গত ২৭ মার্চ হঠাৎ রেখার বাড়িতে এসে তাকে নিয়ে যায় রিয়াজ। এরপর থেকে রেখা নিখোঁজ ছিল। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা নওয়াবাগানের একটি টিলায় জঙ্গলের ভেতর গাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো বাঁধা অবস্থায় রেখাকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুরের দিকে রেখার লাশ উদ্ধার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য ময়নুল হক সোনা মিয়া বলেন, ‘রিয়াজ খারাপ চরিত্রের লোক। এলাকায় তার বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।’

কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু বলেন, ‘স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও প্রাথমিক অবস্থায় এটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। রেখার সাবেক স্বামী রিয়াজও পলাতক রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’


নতুন আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে সারিয়াকান্দি পর্যটন কেন্দ্র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তাজুল ইসলাম, সারিয়াকান্দি (বগুড়া)

উপজেলার যমুনা নদীকে কেন্দ্র করে যে কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো সদর ইউনিয়নের দীঘলকান্দি গ্রামের প্রেম যমুনার ঘাট। কালিতলা ঘাটের সৌন্দর্য আরও বাড়াতে পর্যটন মন্ত্রণালয় ইকোনোমিক জোন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। সেই সঙ্গে যমুনা নদী শাসনের জন্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন স্পার ও হার্ড পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। এগুলো হলো সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধ, সদরের প্রেম যমুনার ঘাট, হাটশেরপুরের হাসনাপাড়া স্পার, নিজ বলাইল স্পার ও কুতুবপুরের দেবডাঙা এবং কুতুবপুর বাজারের পূর্ব পাশের স্পার।

দীঘলকান্দি হার্ড পয়েন্টটি সিঁড়ি করে নির্মাণ করার জন্য এটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। ফলে এখানে প্রতিদিন শত শত এবং বর্ষাকালে হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে। তাই স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা পছন্দের এই স্পটের নামকরণ করেছেন প্রেম যমুনা ঘাট, যা উপজেলার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হয়ে উঠেছে। এই প্রেম যমুনার ঘাটে পর্যটকদের বসার জন্য ৮টি ছাউনিসহ বেঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রয়াত সাংসদ আব্দুল মান্নান ও বর্তমান সাংসদ সাহাদারা মান্নানের ছবি আঁকা রয়েছে। সম্প্রতি ফিস পাস এলাকাতেও দুইটি ছাউনিসহ বেঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে, যা পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট কারবে।

এ ছাড়া পুরো কাঠামো এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য বর্ধনকারী বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। পুরো কাঠামোর বড়বড় সিসি ব্লক এবং সিমেন্টের খুঁটিতে বিচিত্র ধরনের রং করা হয়েছে। এতে এ পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়েছে। এ ছাড়া এ কেন্দ্রে কয়েক মাস আগে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে কালিতলা ও প্রেম যমুনার ঘাটে উন্নত ওয়াশ ব্লকও নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় এ পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আগমনও বেড়েছে।

স্থানীয় চা দোকানি মোমিন মিয়া বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এখানে পর্যটকদের জন্য বসার বেশ ভালো পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে। তাই এখানে আগের চেয়ে পর্যটকের আগমনও বেড়ে গেছে। এতে দোকানের বেচাকেনাও বেড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, উপজেলাটি পর্যটনকেন্দ্রিক হওয়ায় এখানে বিভিন্ন সময়ে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। সম্প্রতি পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার লক্ষে কালিতলা ঘাট এলাকায় সৌন্দর্য বন্ধনের কাজ হাতে নিয়েছে। এতে করে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক গণমাধ্যমকে জানান, বিভিন্ন সময়ে যমুনা নদী ভাঙনের হাত থেকে সারিয়াকান্দির জনপদকে রক্ষার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের স্পার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ এবং গ্রোয়েন বাঁধ নির্মাণ করে। এগুলো দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে পর্যটকদের আগমন ঘটে। তারা একই সাথে যমুনা নদীর সৌন্দর্যও উপভোগ করেন। এ পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সৌন্দর্য বাড়াতে নানা ধরনের কাজ চলমান। ভবিষ্যতে এখানে একটি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।

বিষয়:

লামায় চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য ১১ প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ শুরু

লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. নুরুল করিম আরমান, লামা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সারা দেশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে ডামাডোল। এ নির্বাচনে কে কোন পদে লড়বেন- এমন আলোচনা এখন বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সর্বত্র।

এবার সারা দেশে ভোট গ্রহণ হবে চার ধাপে। কোন ধাপে, কোন উপজেলায়, কবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে তারও একটি তালিকা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী জেলার বৃহত্তর লামা উপজেলায় মে মাসের দ্বিতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এ তারিখ ঘোষণার পরপরই নির্বাচনকে ঘিরে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা গেছে। এদের মধ্যে কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস, কেউবা ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে গণসংযোগ, আবার আড্ডা-আলোচনাসহ নানা পরিবেশে প্রার্থিতার জানান দিয়ে দোয়া ও সমর্থন চেয়ে নিচ্ছেন।

শুধু উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপি-সমর্থক এক সম্ভাব্য প্রার্থী ছাড়া অন্য দল থেকে এখন পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) কিংবা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে মনোনয়ন ও প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে দুজন সম্ভাব্য প্রার্থী জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।

যে দুজন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী পদে অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন, তাদের মধ্যে একজন হলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এ ছাড়া দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্তে এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার সম্মতি দিলে উপজেলা বিএনপির মো. জাকের হোসেন মজুমদার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন মজুমদারের বড় ছেলে। দলীয়ভাবে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতিও তিনি।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বর্তমান উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কি রানী দাশের কথাও শোনা যাচ্ছে। তিনি উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি। গত নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব লিটন দাশের সহধর্মিণী তিনি।

আরেক প্রার্থী হলেন পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শীলেরতুয়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক বৈশালী বড়ুয়া। তার স্বামী উজ্জল বড়ুয়া ওষুধ ব্যবসায়ী ও পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুপালং গ্রামের সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারের মেয়ে বৈশালী বড়ুয়া। তার বাবা অরবিন্দ বড়ুয়া উখিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

আরেক প্রার্থী পৌর শহর মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমা বেগম। তিনি উপজেলার ইয়াংছামুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজেম উদ্দিনের সহধর্মিণীও।

অন্যদিকে উপজেলা শহরের ব্যবসায়ী উজ্জল কান্তি দাশের সহধর্মিণী শিল্পী দাশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাশের মেয়ে তিনি।

এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উপজেলা শাখার সভাপতি শারাবান তহুরাও নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন আবারও নির্বাচন করবেন বলে শোনা গেছে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মো. আবু তাহের মিয়ার ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের সভাপতি। এ পদে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মোহাম্মদ ইসমাইলের ছোট ভাই নাছির উদ্দিনের নামও সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় উঠে এসেছে। উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন নাছির উদ্দিন।

আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী মিয়ার ছেলে আব্বাস উদ্দিন সেলিম। উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-বিষয়ক সম্পাদকও তিনি। এ ছাড়া পৌরসভা এলাকার নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীরের ছেলে ওসমান গনি শিমুলও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। জাতীয় পার্টির লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সমন্বয়ক তিনি।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তফসিল ঘোষণা না হলেও লামা উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের গায়েও লেগেছে নির্বাচনী হাওয়া।

তবে ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। পৌরসভা এলাকার ভোটার মোহাম্মদ আলমগীর, লামা সদর ইউনিয়নের ভোটার আনোয়ারা বেগম, ফাইতং ইউনিয়নের হামিদা বেগম, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ভোটার অনারাম ত্রিপুরার মতে, নির্বাচন এলেই কেবল নেতাদের পা পড়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপদে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের আনাগোনা বেড়ে যায়। নির্বাচন চলে গেলে এসব নেতারা আর খোঁজখবর রাখেন না। তবে এবারের নির্বাচন প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের নির্বাচন হবে বলে জানান তারা। কারণ দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না হলে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ভোট দিতে পারবেন বলেও জানান তারা।

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী না থাকায় উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামালকেই পুনরায় দলীয়ভাবে মনোনীত করা হয়। তবে পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আমির হোসেন জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পাতানো এ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিএনপি। কাজেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কোনো নেতা-কর্মী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে লামা উপজেলা পরিষদ গঠিত। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮২ হাজার ২১৩ জন। তিনি আরও বলেন, এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে লামা উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিষয়:

পদ্মায় লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল সোয়া ৭টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবক মানিকগঞ্জ শিবালয় উপজেলার শিবালয় ৩ নং ট্রাক টার্মিনালের পাশে আসগর আলী শেখের ছেলে মো. ফিরোজ শেখ (২৮)। তিনি সেলফি পরিবহনে সহকারীর কাজ করতেন।

লঞ্চঘাটে থাকা স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ সকালে সোয়া ৭টার দিকে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যায়। তখন আশেপাশের লোকজন গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও দৌলতদিয়া নৌ পুলিশকে খবর দেন। পরে সকাল সাড়ে ৮টার পর গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও আরিচার ডুবুরি দল এসে ৯টার দিকে তাকে উদ্ধার করে।

বাবা আজগর আলী শেখ বলেন, ‘আমার ছেলের ছোটবেলা থেকেই মৃগী রোগের সমস্যা ছিল। গোয়ালন্দে গতকাল রাতে আমার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সকালে বাড়ি ফেরার সময় দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের পন্টুনে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করার সময় মৃগী রোগ উঠলে নদীতে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. সাবেকুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদ পেয়ে দ্রুত লঞ্চঘাটের ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

দৌলতদিয়া নৌ পুলিশের এসআই মো. ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সোয়া ৭টার দিকে সংবাদ পাই লঞ্চঘাটে পন্টুন থেকে এক যুবক নদীতে পড়ে গেছে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ফায়ার স্টেশনকে জানাই। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে তাকে উদ্ধার করে। মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষ হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

বিষয়:

কাভার্ডভ্যান-লরিতে আগুন: নিহত ১, আহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভুঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে চলন্ত কাভার্ডভ্যানের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা লরির সঙ্গে সংঘর্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় মো. আব্দুর রহিম (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি কাভার্ডভ্যানের চালক এবং রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামগঞ্জ গ্রামের মৃত মুনছের আলীর ছেলে।

আহত হয়েছে দুইজন। তারা হলেন, কাভার্ডভ্যান চালকের সহকারী শাকিল (২৫) ও নোমান (২৪)। আহত দুইজনই একই উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার জোকারচর এলাকার অদূরে কামাক্ষামোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন জানান, ঢাকাগামী কাভার্ডভ্যানটির সামনের চাকা ফেটে গেলে গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরবঙ্গগামী একটি লরির সাথে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে মুহুর্তেই গাড়ি দুটিতে আগুন ধরে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তিনি আরও জানান, আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে দুইপাশের সড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ি দুটি সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়ার পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ জানান, কনটেইনারবাহী লরি ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইটি গাড়িতে আগুন লেগে যায়। একজন হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। আহত ২ জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


জুনে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ

কুমিল্লায় প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

আগামী জুন মাসের মধ্যেই ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করবে সরকার। সে জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।

শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রুমানা আলী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

রুমানা আলী বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেউ যেন প্রতারিত না হয় কিংবা কেউ যেন প্রতারণা না করতে পারে সে জন্য সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সেখানে খুব ভালোভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে।’ তবে এ বছর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর খানসহ কলেজটির অন্যান্য শিক্ষক জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।


মানিকগঞ্জে যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশপথে যানজট নিরসন ও পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যেগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও পৌর সুপার মার্কেটের সামনের সড়ক ও ফুটপাত থেকে শতাধিক হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মো. তসলিম মিয়া ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানাসহ থানা পুলিশ ও পৌরসভার কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্যানেল মেয়র তসলিম মিয়া জানান, পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ও শহরের যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কারন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্থায়ী কিছু ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল করে ব্যবসা করে আসছে। এতে করে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারীদের ভোগান্তীতে পড়তে হয়।

তিনি আরও জানান, পথচারীদের সুবিধার্থে যানজট দূর করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান।

বিষয়:

বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত, আহত চার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৪৭
ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার উজানপাড়ায় বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ত্রিশালের উজানপাড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের উজানপাড়ায় ইউটার্ন নেওয়ার সময় সিএনজিটিকে একটি যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুই বছরের শিশু রুবাইয়া এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সিএনজির চালক শরিফুল ইসলাম (৩৩) ও অজ্ঞাত আরেক যাত্রী মারা যান।

নিহত সিএনজি চালক শরিফুল উপজেলার চিকনা মনহর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।

আহতরা হলেন, রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মনি আক্তার (৪৫), একই গ্রামের শামীম আহমেদের স্ত্রী সাহিদা আক্তার (৪৫)। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।


বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১১:০৯
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে সীমান্তের হাঁপানিয়া এলাকায় ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পোরশা থানা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ ১৬ বিজিবির পোরশা উপজেলার নিতপুর বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বিএসএফের সঙ্গে বুধবার দিনভর যোগাযোগ করেন তারা।

তিনি আরও জানান, রাত ১০টায় সীমান্তের হাপানিয়া এলাকার ২৩৬নং পিলারের কাছে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আল আমিনের মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে পোরশা থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের কেদারি পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার ইন্সপেক্টর সুভাষ চন্দ্র মিনা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত এলাকায় গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে ভারতের মালদা জেলার মিলমারি এলাকায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি যুবক আল আমিন।

বিষয়:

banner close