বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
২২ কার্তিক ১৪৩২

নির্মাণাধীন সেতুর পাশে বালু তুলছেন যুবলীগ নেতা

ছোট যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর পাশ থেকে বালু তোলা হচ্ছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
২ এপ্রিল, ২০২৩ ১৭:০৯
প্রতিনিধি, জয়পুরহাট
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, জয়পুরহাট
প্রকাশিত : ২ এপ্রিল, ২০২৩ ০৮:২৭

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা এলাকায় ছোট যমুনা নদীর ওপর তৈরি করা হচ্ছে গার্ডার সেতু। এতে চলাচলের সুবিধা পাবেন নদী তীরবর্তী মানুষ। কিন্তু গার্ডার সেতুসংলগ্ন স্থান থেকে তোলা হচ্ছে বালু। এতে সেতুটি হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কা করছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ।

কুটাহারা-বাগজানা এলাকায় বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন আবু সাঈদ রনি। তিনি পাঁচবিবি উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক। সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ অভিযোগ দিয়েছিল ইউএনওকে। কিন্তু এরপর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন পাঁচবিবি উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম।

নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও নির্মাণাধীন ৯৬ মিটার গার্ডার সেতুর কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থায় মানুষ ও যানবাহন চলাচলে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। নির্মাণাধীন সেতুর নিচে মাটির রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে নদী পার হওয়া মানুষ ও যানবাহনের টোল আদায় করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুটাহারা-বাগজানা এলাকায় যমুনা নদীর ওপর এ সেতু নির্মিত হচ্ছে। সেতুর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। মেসার্স বিএইচবি লিমিটেড ও মেসার্স লিটন ট্রেডার্স নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়েছে। ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল কার্যাদেশ দেয়া হয়। সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া হয় ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর। তবে ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেননি। এরপর আরও দুই দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। এখনো প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ বাকি আছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর উত্তর দিকে প্রায় ৪০০ গজ দূরে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পশ্চিম অংশে রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা আজাদ হোসেন বাঁশের মাচা পেতে বসে আছেন। তিনি সেতুর নিচ দিয়ে বিকল্প রাস্তায় নদী পারাপার হওয়া মানুষ ও যানবাহন থেকে টোল আদায় করেন।

চকশিমুলিয়া গ্রামের ফিরোজ হোসেন বলেন, গার্ডার সেতুর পাশেই বালুর ঘাট ইজারা দেয়া আছে। সেখান থেকে প্রতিনিয়ত বালু তোলা হচ্ছে। এভাবে বালু তুলতে থাকলে সেতুটি হুমকির মুখে পড়বে।

সেতু নির্মাণের আগে নৌকায় যাত্রী পারাপারের জন্য খেয়াঘাটটি লিজ নিতেন রতনপুর গ্রামের আজাদ হোসেন। এবারও ৬০ হাজার টাকা দিয়ে বাগজানা ইউনিয়ন থেকে ঘাট ডেকে নিয়েছেন তিনি। সেতুর নিচের রাস্তা পারাপারের টোল আদায়কারী আজাদ হোসেন বলেন, সেতু নির্মাণের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিকল্প রাস্তা করে দেয়নি। এই রাস্তা বালুমহালের ইজারাদার করে দিয়েছেন। বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকায় ঘাট ইজারা নিয়েছেন। ঘাটের রাস্তা দিয়ে পারাপারে জনপ্রতি পাঁচ টাকা আর মোটরসাইকেলসহ অন্য ছোট্ট যানবাহনে ১০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়।

কুটাহারা-বাগজানা এলাকায় বালুমহাল ইজারা নেয়া যুবলীগ নেতা আবু সাঈদ রনি বলেন, এই বালুমহালটি ১২ লাখ ২০ হাজার টাকায় ইজারা নেয়া হয়েছে। ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা পড়েছে। বালুমহাল থেকে বালু তুলতে গেলে অনেক নির্দেশনা থাকে। এসব মেনে চললে বালু পাওয়া যাবে না। নদীখননের ফলে নদীতে তেমন বালু নেই। তাই পাশের জমিগুলো থেকে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে।

আবু সাঈদ আরও বলেন, সেতুর নিচে বিকল্প রাস্তাটি তিনি নিজে করে দিয়েছেন। এতে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেতুর ঠিকাদার রাস্তা করেছে কি না তা জানেন না।

সেতু নির্মাণের ঠিকাদার মো. লিটন বলেন, সেতুর নিচে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটি ভেঙে যাওয়ার পর নতুন করে অন্যরা বিকল্প সড়ক নির্মাণ করেছে।

পাঁচবিবি উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সেতুর খুব কাছেই নদীর পাশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে জায়গাটিতে পুকুরের মতো অনেক বড় গর্ত হয়েছে। নদীতে পানি বাড়লে নদীর স্রোত বৃদ্ধি পাবে। তখন বালু উত্তোলনের ওই স্থানে বড় ধরনের ঘূর্ণির সৃষ্টি হলে পানি বের হওয়ার সময় সেতুর পাশের রাস্তা ভেঙেও যেতে পারে। ফলে পানির ধাক্কা সেতুতে পড়বে। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

পাঁচবিবির ইউএনও বরমান হোসেন বলেন, যেখানে বালুমহাল ইজারা দেয়া হয়েছে, সেটা নির্মাণাধীন সেতু থেকে দূরে। তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়:

নওগাঁয় সালিশ বৈঠকে উপস্থিত থাকার জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি  

নওগাঁয় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত থাকার জেরে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে গোলাম হোসেন (৫২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের সুনলিয়া মালঞ্চি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত গোলাম হোসেন মালঞ্চি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

নিহতের চাচাতো ভাই নয়ন ইসলাম জানান, মালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ ও আজাদ নামে দুই ভাইয়ের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এবিষয়ে কিছুদিন আগে দুই পক্ষ একজন অ্যাডভোকেটের কাছে সালিশ বৈঠকে বসেন। সেখানে নিহত গোলাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন এবং আজাদের পক্ষে কথা বলেন। এই জেরে বুধবার রাতে গোলাম হোসেনের সাথে কথা-কাটাকাটি হয় হারুনুর রশিদের। একপর্যায়ে হারুনের ছেলে অন্তর এসে গোলাম হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নওগাঁর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এবিষয়ে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওসি আরও বলেন, এবিষয়ে একটি মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৫

দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস, বাসেরও সামনের দিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কথা ছিল পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে সমুদ্র দেখতে যাবেন। তাই তো মনের আনন্দে সকলে রওয়ানাও দিয়েছিল। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা সবাইকে সমুদ্রে না নিয়ে পরপারে নিয়ে গেলেন। এমনই এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটলো কক্সবাজারের চকোরিয়ায়।

সেখানে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের পাঁচজন আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত করে।

বুধবার সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

পুলিশ জানায়, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং তারা সবাই মিলে কক্সবাজার ঘুরতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই থেমে গেল সেই যাত্রা চিরতরে।

নিহতরা হলেন, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের বাতিসা এলাকার ব্যবসায়ী এনামুল হকের স্ত্রী রুমানা আকতার (৬০), তার মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী সাদিয়া হক (২৪), আমিনুল হকের স্ত্রী লিজা মজুমদার (২৫), তার মা রাশেদা শিল্পী (৫০), বোন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী ফারজানা মজুমদার (২৪)। আহত ব্যক্তিরা হলেন এনামুল হক, তার ছেলে মাইক্রোবাসের চালক আমিনুল হক ও তার শিশুসন্তান সাদমান (৬)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুমিল্লা থেকে কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসটি হাঁসের দিঘী ঢালায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির মারসা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে–মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান একই পরিবারের পাঁচজন।

নিহতদের স্বজন জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৮) বলেন, বুধবার ভোরে আমিনুল হক তার স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা–বোন, শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। আমিনুল হক নিজেই ব্যক্তিগত মাইক্রোবাসটি চালাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় পৌঁছালে চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আমিনুল হকের মা, বোন, স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালিকা মারা যান। আমিনুল, তার বাবা ও তার শিশু সন্তান গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘তাদের কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা ফেরার পথে চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকায় আমাদের বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু পথে সব শেষ হয়ে গেছে। দেখা হলো না সমুদ্র, আসা হলো না আমাদের বাড়িতে।’

মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, নিহত পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন নিহত রুমানা আকতারের ছেলে মুনীরুল হক। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’


নেত্রকোনায় নৃগোষ্ঠীর প্রত্যাশা বিষয়ক মতবিনিময় সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম, নেত্রকোনা

নেত্রকোণায় সেরা এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের আয়োজনে নেত্রকোনার পাবলিক হলে ‘নৃগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা: অংশীজনের প্রত্যাশা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নেত্রকোণার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল আজম। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অবস্থিত স্কুলগুলোতে বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ঐ জনগোষ্ঠী থেকে একজন করে আলাদা শিক্ষক নিয়োগ দেয়া গেলে তাঁদের ভাষা যেমন সংরক্ষণ হবে তেমনি মাতৃভাষায় তাঁদের প্রাথমিক শিক্ষাও নিশ্চিত হবে। এছাড়াও দেশের যেসব এলাকায় কালচারাল একাডেমি হয়েছে, সেগুলো শুধু কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে কাজ করতে পারে, গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণে এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে। সভায় ‘নৃগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা: অংশীজনের প্রত্যাশা’ বিষয়ক মুল আলোচনা পত্র উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একেএম মাজহারুল ইসলাম। নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন এশিয়া সাউথ প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন ফর বেসিক এন্ড অ্যাডাল্ট এডুকেশন এর ক্যাপাসিটি সাপোর্ট অ্যাডভাইজার কেএম এনামুল হক।সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক, নেত্রকোণা রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, লেখক ও গবেষক আলী আহমেদ খান আইয়ুব, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার পাল, গণসাক্ষরতা অভিযান ঢাকার প্রোগ্রাম অফিসার সিজুল ইসলাম, নেত্রকোণা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সরোজ মোস্তফা, জাগরণ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কেএমএ জ্যামী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেরা’র নির্বাহী পরিচালক এসএম মজিবুর রহমান। সেরা’র পরিচালক (প্রোগ্রাম) আলী উসমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার। সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা নৃগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা অর্জনে চ্যালেঞ্জ, সীমাবদ্ধতা এবং করণীয় নিয়ে তাদের মতামত এবং সুপারিশ তুলে ধরেন।


সারিয়াকান্দির প্রধান সড়ক মেরামতের প্রস্তাব বাতিলে এলাকাবাসী হতাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়া সারিয়াকান্দির অন্যতম প্রধান সড়ক বগুড়া-কড়িতলা সড়কের বেহাল দশা। সড়কটিতে হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুই উপজেলার লাখো মানুষের ভোগান্তি। কর্তৃপক্ষ বলছে সড়কটি মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পাশ হওয়ায় এলাকাবাসী হতাশ। এদিকে আবারো নতুন করে মেরামতের প্রস্তাব পাঠানোর কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়া-কড়িতলা সড়কের জোরগাছা সেতুর পশ্চিম থেকে কড়িতলা বাজার পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা একেবারেই বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কটিতে বিশালাকার হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও সড়কটির কিনারা ভেঙে বেশ বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস, ট্রাকসহ সকল ধরনের ভারি যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া সড়কটি দিয়ে গাবতলি এবং সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রায় লাখো মানুষ বগুড়া জেলা সদরে যাতায়াত করেন। সড়কটির হাজারো গর্ত ডিঙিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে এলাকাবাসীর ভোগান্তির কোনও শেষ নেই। বৃষ্টি হলে এসব গর্তগুলোতে পানি দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ফলে যাত্রীরা অনেক সময় কাঁদামাখা হয়ে চলাচল করেন। বিশেষ করে জোড়গাছা, সোনাপুর, গুলারতাইড়, কাশাহার উল্লেখযোগ্য।

জোড়গাছা গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক এম. তাজুল ইসলাম বলেন, সড়কটি দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করার কোনও জোঁ নাই। দীর্ঘদিন ধরেই সড়কের বেহাল দশা হলেও সড়কটির মেরামতের কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। সড়কটির বেহাল দশার কারণে এলাকাবাসীর ভোগান্তির কোনও শেষ নেই। দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার প্রয়োজন।

উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম সিপন বলেন, সড়কটির সংস্কারের জন্য সরকারের এমন কোনও দপ্তর নেই, যেখানে তিনি যাননি। তারপরও সড়কটির সংস্কার কেন হচ্ছে না। সড়কটির সংস্কার এলাকাবাসীর প্রধান দাবি। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হোক।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী তুহিন সরকার বলেন, সড়কটি সংস্কার করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবনাটি পাশ হয়নি। সারিয়াকান্দি থেকে ৯টি সড়ক সংস্কারের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ৪ টি রাস্তা সংস্কারের জন্য অনুমোদন পাওয়া গেছে। তার মধ্যে এ সড়কটি নেই। সড়কটির সংস্কারের জন্য পুনরায় প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।


কমলগঞ্জে রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু মহারাসলীলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে গত বুধবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব মহারাসলীলা শুরু হয়েছে। দুপুরে তুমুল আনন্দ-উৎসাহে ঢাক-ঢোল, খোল-করতাল আর শঙ্খ ধ্বনির মধ্য দিয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও তার সখী রাধার লীলাকে ঘিরে এ উৎসব শুরু হয়। শিশুদের রাখাল নৃত্য পরিবেশ করতে দেখা যায়। ভক্তরা নৃত্যরত শিল্পীদের বাতাসা ও টাকা উপহার দেন। উৎসব উপলক্ষে নানা ঐতিহ্যবাহী সাজে মেতেছে মণিপুরীপাড়া। মূল রাসলীলা রাত ১১টা থেকে শুরু হয়ে পরের দিন ভোর পর্যন্ত চলবে।

বাঁশ ও কাগজ কেটে বিশেষ কারুকাজে রাসের মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বসেন রাসধারী বা রাসের গুরু, সূত্রধারী ও বাদকরা। পাশাপাশি তিনটি মণ্ডপে তরুণীরা রাসলীলায় অংশ নিয়ে থাকেন।

রাসের সাধারণ ক্রম হচ্ছে সূত্রধারী কর্তৃক রাগালাপ ও বন্দনা, বৃন্দার কৃষ্ণ আবাহন, কৃষ্ণ অভিসার, রাধা ও সখীদের অভিসার, রাধা ও কৃষ্ণের সাক্ষাৎ ও মান-অভিমান, ভঙ্গীপারেং, রাধার কৃষ্ণ-সমর্পণ, যুগলরূপ প্রার্থনা, আরতির মতো বিষয়গুলো।

কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুরের শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় গোষ্ঠলীলা বা রাখাল নৃত্য। রাত ১১টায় জোড়া মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে রাসের মূল প্রাণ মহারাসলীলা।

এবার মাধবপুর জোড়া মণ্ডপে ১৮৩তম রাস উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে কমলগঞ্জের আদমপুরে মণিপুরী মৈতেই সম্প্রদায়ের আয়োজনে ৪০তম রাসোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রাসোৎসবকে ঘিরে মাধবপুর ও আদমপুরের মণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে সাদা কাগজের নকশার নিপুণ কারুকাজে। করা হয়েছে আলোকসজ্জাও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

রাসোৎসবকে কেন্দ্র করে কমলগঞ্জ মণিপুরী সংস্কৃতির এক বিশাল মিলনমেলায় পরিণত হয়।

মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বলেন, ‘এবার মাধবপুর জোড়া মণ্ডপে ১৮৩তম মহারাসলীলা উপলক্ষে বিকাল সাড়ে তিনটায় শুভেচ্ছা বিনিময় ও প্রদীপ প্রজ্বালনে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন।’


নান্দাইলে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা পুরস্কার বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা পরিষদ হলরুমে বুধবার উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা ও উপজেলা পর্যায়ে পঠন দক্ষতা যাচাই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওবায়দুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবু ইউসুফ খান এবং সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল্লাহ আল বাকী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেবেকা সুলতানা ডলি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসাররা, ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর, উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। সভায় প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা এবং পঠন দক্ষতা বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, শিশুদের পড়াশোনায় আগ্রহ সৃষ্টির জন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত পঠন দক্ষতা যাচাই প্রতিযোগিতা বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান ও বিশেষ অতিথিরা। অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন নান্দাইল উপজেলা শিক্ষা অফিস।


“দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল” সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিকমিশনের প্রধান কার্যালয়ে “দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল” সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানীগণ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগের সম্ভাবনা ও কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন এবং দেশের ভবিষ্যৎ পরমাণু কৌশল ও নীতি নির্ধারণে দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. মোঃ মজিবুর রহমান এবং বর্তমান সদস্য (ভৌত বিজ্ঞান) ড. দেবাশীষ পাল উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন মতবিনিময় সভায় দেশে জনকল্যাণে পরমাণু প্রযুক্তির প্রসার এবং একটি টেকসই পরমাণু কৌশল ও নীতি নির্ধারণে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মজিবুর রহমান মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব এবং কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দকে প্রাণবন্ত আলোচনায় অংগ্রহণ ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের কৌশল নির্ধারণে দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।


টাঙ্গাইলে রং মিশিয়ে মুগ ডাল বিক্রি ২ ব্যবসায়ীর ১ লাখ জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ছয়আনী বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ভেজাল ও প্রতারণার অভিযোগে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দেখা যায়, বাজারের কিছু ব্যবসায়ী মুগ ডালের নামে মথ ডাল বিক্রি করছে, পাশাপাশি ওই ডালে রং মিশিয়ে বাজারজাত করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় ছয়আনী বাজারের ‘মা লক্ষী এন্টারপ্রাইজ’ ও ‘অনিক এন্টারপ্রাইজ’ নামের দুই দোকানকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান রোমেল বলেন, ‘মুগ ডাল বলে মথ ডাল বিক্রি করা এবং তাতে রং মেশানো স্পষ্ট প্রতারণা। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন মিয়া।

ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, তারা পাইকারি বাজার থেকে যেভাবে ডাল সংগ্রহ করেন, সেভাবেই বিক্রি করেন। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

সাধারণ ক্রেতারা বলেন, বাজারে আসল ও নকল পণ্যের পার্থক্য করা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের নিয়মিত তদারকি থাকলে এমন প্রতারণা অনেকটাই বন্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

অভিযান শেষে ভোক্তা অধিদপ্তর জনস্বার্থে ভেজালবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করার আশ্বাস দিয়েছেন।


ছাগলে কলমি শাক খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ সেকান্দার খালী গ্রামে প্রতিবেশীর ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে মামুন মিয়া, তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, বাবা হুমায়ুন কবির বয়াতি ও মা মোরশেদা বেগম রয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে মামুন মিয়ার একটি ছাগল প্রতিবেশী নসা পঞ্চায়েতের খেতে লাগানো কলমি শাক খেয়ে ফেলে। এ ঘটনায় মামুনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও নসার স্ত্রী তাসমিমা বেগমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা একে অপরকে লাথি মারেন। পরে তাসমিমা বেগম হুমকি দিয়ে চলে যান। বিকেল তিনটার দিকে মামুন মিয়া ও তার স্ত্রী দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় ২০ থেকে ২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ঘরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা জানালা ও দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বেধড়ক মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ছাগল খেতে যাওয়া নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল। বিকেলে হঠাৎ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে ঢুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। তার ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার আর নগদ টাকা নিয়ে যায়।

মামুন মিয়া অভিযোগ করেন, নসা পঞ্চায়েত ও জালাল আহমেদ মৃধার নেতৃত্বে আল-আমিনসহ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়। বাবা-মা তাদের বাঁচাতে এলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে।

আহত হুমায়ুন কবির বয়াতি বলেন, ছেলে-বউয়ের চিৎকার শুনে ছুটে যাই, তখন আমাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।

প্রতিবেশীরা জানান, হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত ছিল এবং তারা বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।


শ্রীমঙ্গলে শিয়ালের কামড়ে ১২ জন আহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় একটি উন্মত্ত শিয়ালের আক্রমণে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আশিদ্রোন ইউনিয়নের শংকরসেনা, ফটকি, রামনগর এবং সিন্দুরখান ইউনিয়নের সাইটুলা গ্রামে ধারাবাহিকভাবে এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, অস্বাভাবিক আচরণকারী শিয়ালটি হঠাৎ করে পথচারী ও বাড়ির সামনে থাকা মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কামড়াতে শুরু করে। কেউ তাড়িয়ে দিতে গেলে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন, রাহিদ মিয়া (১০), আমেনা বেগম (৩০), নুরে আলম ফেরদাউস (১৩), মামুন মিয়া (২৫), রেহেনা আক্তার (২০), হোসাইন আহমদ (১৩), সুমন মিয়া (২৩), মো. আতিকুল (২১), নাঈম মিয়া (১৭), নাজমা বেগম (৪০), লুবনা বেগম (১৬) এবং রনি কুর্মী (২১)।

ভুক্তভোগীরা জানান, শিয়ালটি দ্রুত এসে পা, হাঁটু ও পায়ের পাতা লক্ষ্য করে কামড় দেয় এবং সরে যায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিনথিয়া তাসমিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, আহত ১২ জনকেই হাসপাতালে আনা হয়েছে। সবাইকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং তাদের অবস্থাও স্থিতিশীল।

স্থানীয়রা ধারণা করছেন, শিয়ালটি হয়তো জলাতঙ্কে আক্রান্ত ছিল। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিয়ালটি শনাক্ত ও ধরা নিয়ে তৎপরতা চলছে।


টেকনাফে বিএনপির নেতার মরদেহ ব্রিজ থেকে উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে মোহাম্মদ ইউনুস সিকদার (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী সংলগ্ন সড়কের আনোয়ার প্রজেক্ট নামক স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ইউনুস সিকদার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলী পাড়া এলাকার মো. কাশেমের ছেলে। তিনি সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য (মেম্বার) এবং উপজেলা আরাফাত রহমান খোকো ক্রীড়া সংসদের টেকনাফ উপজেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন।

জানা গেছে, সকালে পথচারীরা রঙ্গিখালী আনোয়ার প্রজেক্ট এলাকার পাশে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। তার পরনে শুধু একটি ফুল প্যান্ট ছিল, তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতের স্বজনরা জানান, ইউনুস সিকদার দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি আরাফাত রহমান খোকো ক্রীড়া সংসদের উপজেলা সভাপতি হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন। তবে তিনি কীভাবে রঙ্গিখালী এলাকায় গিয়েছিলেন এবং মৃত্যুর কারণ কী- তা তারা জানাতে পারেননি। স্বজনরা দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, ‘সকালে রঙ্গিখালী মৎস্য ঘেরের পাশে স্থানীয়রা এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।’

এদিকে, মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী। তিনি এক বিবৃতিতে দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।


চান্দিনা-বাগুর বাসস্ট্যান্ডে আবারও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা-বাগুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে সওজ বিভাগ। বুধবার সকাল ১১টার দিকে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের উভয় পাশে সওজের জায়গা দখল করে প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এসব দোকানিদের কাছ থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করত প্রভাবশালীরা।

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর একই স্থানে প্রথমবারের মতো অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় একই স্থানে নতুন দোকান গড়ে ওঠে। পরে গত ১৮ মে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে আবারও প্রায় দুই শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

তবে মাত্র ছয় মাস না যেতেই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পুনরায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় তৃতীয়বারের মতো এই অভিযান পরিচালনা করে সওজ বিভাগ।

উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভূইয়া। অভিযানে সহযোগিতা করেন হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ থানার ওসি রুহুল আমিন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম এবং সেনাবাহিনীর একটি টিম।

সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘মহাসড়কের চলাচল নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কেউ যেন পুনরায় সরকারি জায়গা দখল না করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা নিয়মিত নজরদারি রাখব।’

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, প্রশাসনের বারবার উচ্ছেদ অভিযানের পরও একই স্থানে অবৈধ দোকান গড়ে ওঠা দুঃখজনক। তারা দখলদারদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।


সরকার পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবস্থা প্রবর্তনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: শিল্প উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, সরকার দেশীয় শিল্পের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি চলমান ব্র্যান্ড সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য এটলাসের নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘এটলাস ইভি’ ইলেকট্রিক বাইক উৎপাদন ও বিপণনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে টঙ্গীর এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানায় নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘এটলাস ইভি’ নামক ইলেকট্রনিক মোটরসাইকেল বাজারজাতকরণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্তিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্প উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমান সরকার পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবস্থা প্রবর্তনে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটলাস বাংলাদেশের মতো একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের এই উদ্যোগটি ইলেকট্রিক ভেহিকেল সংক্রান্ত জাতীয় নীতি বাস্তবায়নে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি কেবল আমাদের কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করবে না জীবাশ্ম জ্বালনির পেছনে ব্যয় হওয়া মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, বাংলাদেশ ইস্পাত প্রকৌশল করপোরেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আলমসহ এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ডিলাররা। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা কারখানা সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।


banner close