বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৫ ভাদ্র ১৪৩২

৯০ বছর বয়সী সবাই পাবেন বিশেষ ভাতা

সব প্রবীনই পাবেন বিশেষ ভাতা। ছবি: সংগৃহীত
শহীদুল ইসলাম
প্রকাশিত
শহীদুল ইসলাম
প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৮:৩২

শহীদুল ইসলাম

৯০ বছরের বেশি বয়সী সব মানুষকে বিশেষ ভাতা দেবে সরকার। প্রথমে ২ লাখ ৫ হাজার প্রবীণকে এই ভাতার আওতায় আনা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৯০ বছরের বেশি বয়সী সব মানুষকে দেয়া হবে বিশেষ বয়স্ক ভাতা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধি ঠিক করেছে দিয়েছে। সেখানে বয়স্ক ভাতাসংক্রান্ত বিষয়গুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, সেই পথরেখাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এখন ৫৭ লাখ মানুষকে মাসে ৫০০ টাকা করে বয়স্ক ভাতা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার জনের বয়স ৯০ বছরের বেশি। ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার প্রবীণকে বিশেষ বয়স্ক ভাতা হিসেবে মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। আর ২০২৫ সালের মধ্যে ৯০ বছরের বেশি বয়সী দেশের সব মানুষকে বিশেষ বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ গতকাল বুধবার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ৯০ বছরের বেশি বয়সী সব প্রবীণকে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশেষ বয়স্ক ভাতা দেয়া হবে। এজন্য একটি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে।

নীতিমালা প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ৯০ বছর বয়স হওয়ার পর দেশের সব নাগরিকই বিশেষ বয়স্ক ভাতার আওতায় আসবেন। তবে কেউ এই ভাতা নিতে না চাইলে তাকে এর আওতাভুক্ত করা হবে না। নীতিমালার আওতায় বিশেষ বয়স্ক ভাতা বিতরণে কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে। যারা এই ভাতা নিতে চান সেই কর্মসূচিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এখন যারা বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন তাদের মধ্যে থেকে ৯০ বছর বয়সীদের আলাদা করার পর তারা শুধু বিশেষ বয়স্ক ভাতা পাবেন।

এখন দেশের ২৫০ উপজেলায় শতভাগ মানুষকে মাসে ৫০০ টাকা করে বয়স্ক ভাতা দেয়া হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মপরিধি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের মধ্যে দেশের সব উপজেলার শতভাগ মানুষকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এখন যারা বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন আগামী অর্থবছর থেকে তাদের ভাতার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। কত টাকা করে ভাতা বাড়ানো হবে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে।

প্রবীণদের অবস্থার উন্নয়নে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর থেকে সরকার বয়স্ক ভাতা দেয়া শুরু করে। প্রথমে মাসে ১০০ টাকা করে এই ভাতা দেয়া হলেও ১০ ধাপে তা বাড়িয়ে এখন ৫০০ টাকা করা হয়েছে।


দেশের জীব-বৈচিত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে ৬৯টি বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতি!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের জীব-বৈচিত্রের জন্য ক্রমশ হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদ, মাছ, পাখি, কীটপতঙ্গসহ অন্যান্য প্রাণী।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত ৬৯টি বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতি শনাক্ত হয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে ৪৬টি উদ্ভিদ, ১৬টি মাছ, ৫টি কীটপতঙ্গ এবং শামুক ও পাখিসহ অন্যান্য প্রাণী।

আগ্রাসী এসব প্রজাতির অধিকাংশই দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো থেকে এসেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে, ইচ্ছাকৃত, অনিচ্ছাকৃত অথবা দুর্ঘটনাবশত এসব আগ্রাসী প্রজাতিগুলো দেশে ঢুকেছে, যা এখন স্থানীয় প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে কেয়ার বাংলাদেশ (কেবি) আয়োজিত ‘জার্নালিস্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন’ -কর্মশালায় উপস্থাপিত তথ্য থেকে এসব চিত্র উঠে আসে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মুঈদ।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন, কেবির এশিয়া অঞ্চলের ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন ম্যানেজার আজমত আব্বাস, বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. সালেহ আহমেদ ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. দিলরুবা শারমিন। উপস্থিত ছিলেন ডিএই–এর সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডলসহ অনেকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশি আগ্রাসী আগাছা পার্থেনিয়াম (Parthenium hysterophorus) বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের জন্য নতুন হুমকি হয়ে উঠেছে। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার এ আগাছা দ্রুত বংশবিস্তার করে মাঠ, রাস্তার ধারে ও পতিত জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতির মাছ স্থানীয় প্রজাতির মাছের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে এবং প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন হ্রাসে এরা মারাত্মক ভূমিকা রাখছে।

গবেষকরা বলছেন, পার্থেনিয়াম কৃষিজমির উর্বরতা কমিয়ে দেয় এবং ধান, গম, ভুট্টা, সবজি ও ডালশস্যসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন হ্রাস ঘটায়। এতে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। শুধু তাই নয়, এ আগাছা মাটির ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য বদলে দিয়ে স্থানীয় ঘাস ও গাছপালা জন্মাতে বাধা দেয়। ফলে দেশীয় উদ্ভিদ প্রজাতি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

মানুষ ও পশুপাখির জন্যও পার্থেনিয়াম সমান ক্ষতিকর। এটি থেকে নির্গত রাসায়নিক উপাদান ত্বক ও শ্বাসতন্ত্রে অ্যালার্জি, হাঁপানি, চুলকানি এবং চোখে প্রদাহের মতো রোগ সৃষ্টি করে। গবাদিপশু যদি এ আগাছা খায় তবে দুধের মান নষ্ট হয় এবং উৎপাদন কমে যায়।

বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতির মাছের মধ্যে ১৯৮০-এর দশকে মাছ চাষের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আনা হয় আফ্রিকান ক্যাটফিশ (Clarias gariepinus)। কিন্তু এই রাক্ষুসে মাছ দেশীয় ছোট মাছ ব্যাপক হারে কমিয়ে দেয়।

২০১৪ সাল থেকে এর চাষ ও বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও এখনও অবৈধভাবে বাজারে পাওয়া যায়। আরও ভয়াবহ হলো, এটি দেশীয় হাঁটুয়া মাছের সঙ্গে সংকরায়িত হয়ে ভবিষ্যতে জিনগত বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ।

একইভাবে পিরানহা, যা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ, দেশীয় মাছের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছিল। সাকারমাউথ ক্যাটফিশ (Hypostomus plecostomus) যা স্থানীয়ভাবে সাকার ফিশ, রোহিঙ্গা মাছ নামে পরিচিত। এটি মূলত অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছ হলেও এখন নদী-নালায় ছড়িয়ে পড়েছে। এটি দূষিত পানিতেও বেঁচে থাকে, খাবারের জন্য দেশীয় মাছের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এবং নদীর তলদেশে গর্ত করে পাড় ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

এছাড়া বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য আনা বিদেশি কার্প মাছ, যেমন বিগহেড, সিলভার ও কমন কার্প, এখন প্রাকৃতিক জলাশয়ে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে। এগুলো দেশীয় প্রজাতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার সুযোগ কেড়ে নিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এসব বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদ, মাছ ও অন্যান্য প্রাণী দেশে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাংলাদেশের দেশীয় মাছ ও সামগ্রিক জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে।


টেকনাফে মানবপাচারকারী আটক, ২ কিশোর উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফে এনে মিয়ানমারে পাচারের সময় দুই কিশোরকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় মানবপাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তি আশ্রিত রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানিয়েছে বিজিবি। গত সোমবার সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান। আটক হওয়া রোহিঙ্গা যুবকের নাম মো. রাসেদ (১৮)। তিনি উখিয়ার কুতুপালং ১ নম্বর ক্যাম্পের সি-১৩ ব্লকের বাসিন্দা ছৈয়দ আলমের ছেলে। উদ্ধার হওয়া দুই কিশোর হলো কক্সবাজার শহরের লালদীঘির পাড় এলাকার আইয়ুব খানের ছেলে মো. মাহিম (১৫) এবং একই এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল (১৬)।

লে. কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, সম্প্রতি টেকনাফ সীমান্তে সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। গত সোমবার সন্ধ্যায় নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টা চলছে- এমন খবর পেয়ে বিজিবি কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে অভিযান চালায়।

তিনি বলেন, ‘বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পাচারকারী পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়।’

আটক রোহিঙ্গা যুবক মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জমিতে ভবন নির্মাণ, কাজ বন্ধ করল প্রশাসন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কোটি টাকার জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ, কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খানের নির্দেশে হলদিয়া ইউনিয়নের অফিস বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে, ১৯৬৭ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁশবাড়িয়া নদীর পাড়ে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া এলাকায় ৫৪/বি পোল্ডারে প্রায় ১০ একর জমি অধিগ্রহণ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করেন। ওই বাঁধের ওপর ভরসা করে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ, গবাদিপশু ও ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেয়ে আসছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের দুপাশে ইমারত নির্মাণ করায় বাঁধ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে বাঁধ ধসে ভয়াবহ প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তারা দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানান।

দখলদার কবির মল্লিক দাবি করেন, তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি নিয়েই ভবন নির্মাণ করছেন। তবে অনুমতির কোনো কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। অন্যদিকে লিবিয়া প্রবাসী লিটন হাওলাদারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। হলদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মো. সাদিক মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন জানান, কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হান্নান প্রধান বলেন, বাঁধের জমি দখল করে ভবন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতি করে কেউ অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলতে পারবে না।


ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মাকে হত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। হত্যার মূল আসামি মো. মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঢাকায় পালিয়ে যাবার সময় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোবারক হোসেন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত. আবদুল জলিলের ছেলে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঝাড়-ফুক করার সুবাদে মোবারক হোসেন সুমাইয়া আফরিনদের বাসায় যাতায়াত করতেন। গত রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুমাইয়াদের ভাড়া বাসা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকায় নেলি কটেজ নামক বাসায় প্রবেশ করেন মোবারক। এরই মধ্যে মোবারক তাদের বাসায় ঝাড়ফুঁক করে পানি ছিটিয়ে বেরিয়ে যান। আবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। যা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, মোবারক তাদের বাসায় থাকাকালীন সময়ে এক পর্যায়ে সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সুমাইয়ার মা বাধা দেন। এতে মোবারক ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়াকে এক ঘরে আটকে মা তাহমিনা বেগমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে বালিশ চাপায় হত্যা করেন। এরপর সুমাইয়াকে তার রুমে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় সুমাইয়া প্রতিরোধ করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। হত্যার পর মোবারক সুমাইয়াদের ঘর থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ হয়েছে কিনা বিষয়টি ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহত সুমাইয়া আরফিন (২৩) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা ও কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে। গত সোমবার সকালে ওই বাসা থেকে সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।


কুমিল্লায় হারিয়ে যাচ্ছে মাছ ধরার ঐতিহ্যবাহী ফাঁদ চাই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তারিকুল ইসলাম তরুণ, কুমিল্লা দক্ষিণ

বর্ষা মৌসুমে টইটম্বুর পানির সঙ্গে উজান থেকে ভেসে আসা দেশীয় মাছ—বজুরী, টেংরা, ঢেলা, দারখিলা, কটকটি, বাইলা, পুটি, সেলবেলা, চান্দা, বৈইচা, পাবদা, শিং, কৈ, টাকি, চেধূরী, এলকোনা, খৈইলশা, ভাংলা, কাটাইড়া, বাতাইয়া, চিংড়ি, বাইম, গুতুমসহ নানান প্রজাতির মাছ একসময় খাল-বিল-জমিতে ডিম ছাড়ার জন্য ছুটে আসত। সেই সময়ে গ্রামের ছেলেরা মাছ ধরার জন্য নানান ফাঁদ পাতত। এর মধ্যে অন্যতম ছিল আনতা, বেউর ও চাই, আনতা। যা আজ বিলুপ্তির পথে।

তবে এখনো কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুর আনতা হাট সেই পুরনো স্মৃতি ধরে রেখেছে। রামচন্দ্রপুর, দক্ষিণ বাঙ্গরা ও মালাই বাঙ্গরা বাজার, হাটখোলা, ইলিয়াটগঞ্জ, চান্দিনার নোয়াবপুর, বর্ষা মৌসুমে বাঁশের তৈরি আনতা বিক্রির ধুম পড়ে যেত কিন্তু পূর্বে ন্যায় দেশীয় মাছ না থাকায় আস্তে আস্তে এসব মাছ ধরার ফাঁদ তৈরিতে কৃষক, জেলে আগ্রাহ হাচ্ছে। শুধুই মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ, যা এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয়।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ও মানভেদে প্রতিটি আনত ৩০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্ষার শেষ দিকে এ ফাঁদের চাহিদা আরও বেড়ে যেত। ব্যবসায়ীরাও মৌসুমে ভালো লাভের আশা করত। এন তেমন একটা চোখে পড়ে না, রামচন্দ্রপুরের আনতা ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, ‘প্রতি হাটে আমি ৬০ থেকে ৭০টি আনতা বিক্রি করি কিন্তু যখন মাছের ভরা মৌসুম ছিল তখন সারাবছর লোক নিয়োগ করে বিভিন্ন বাড়িতে আনতা তৈরি করতাম। দূর-দূরান্ত থেকেও ক্রেতারা আসত। আর তেমন বিক্রি না থাকায় ব্যাবসা অনেক কমে গেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মাছ জমির আইল ধরে নামতে শুরু করে, তখন আইলে আনতা পুঁতে রাখলেই সহজে মাছ ধরা পড়ে। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় আমরা খুশি হতাম, আমাদের দাবি আনতা, বেউর, চাই, উছা, পেলুন।এই ফাঁদ তৈরিতে সরকার ভর্তুকি দিয়ে অল্প আয়ের মানুষ দের বাচিয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি বাঁশ শিল্প বেচে থাকবে।

স্থানীয় মাছ বিক্রেতা মতিন মিয়া জানান, তিনি প্রতি মৌসুমে ৫-৬টি আনতা কেনেন। আনতা দিয়ে প্রতিদিন ২-৩ কেজি মাছ ধরা পড়ে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে তিনি ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন।

শুধু মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে অনেকের জীবিকার উৎস। আনতা তৈরি ও বিক্রি করে বহু পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। আবার এর সাহায্যে ধরা মাছ বিক্রি করে অনেকেই বাড়তি আয় করছে। ছোট-বড় সবাইকে মাছ ধরার আনন্দে মাতিয়ে তোলে এই দেশীয় কৌশল, যা আজও মুরাদনগরের গ্রামীণ জীবনের অনন্য ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।


গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ ও কুইজ প্রতিযোগিতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহর গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংক (পিএল সি) এর স্কুল ব্যাংকিং কর্মশালার আওতায় ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ গফরগাঁও মহিলা কলেজে বৃক্ষরোপণ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার ( ৯সেপ্টন্বর) ১১টায় মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
বৃক্ষরোপণ শেষে মহিলা কলেজ হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গফরগাঁও মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেক,পূবালী ব্যাংক (পিএলসি) গফরগাঁও উপশাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামানসহ কলেজের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ। কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল খালেক ব্যাংক কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গাছ আমাদের জীবনের অংশ,গাছ ছাড়া আমাদের জীবন ও পরিবেশের কথা চিন্তাও করতে পারিনা,অধিক পরিমানে গাছ লাগান প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে দেশকে বাচাঁন।
আলোচনা শেষে কলেজ শিক্ষার্থীদে মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।


চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার চাঁদপুর উত্তর মতলব থানাধীন মোহনপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ করা হয়। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

জব্দকৃত অস্ত্রের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।


বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের উদ্যোগে স্পেশাল অ্যাডুকেশন নিডস অ্যান্ড ডিজাবিলিটিস (সেন্ডর) কার্যক্রম বাস্তবায়নের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনীম।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিশুদের মাঝে ৪ জনকে হুইল চেয়ার, ২ জনকে শ্রবণ যন্ত্র, ১০ জনকে চশমা ও একজনকে জুতা জোড়া প্রদান করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রমজান আলী, লুৎফুন্নেছা, মনিরা খাতুন, আরিফুল ইসলাম, কাপাসিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেলী নাসরিন, একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ধরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুল ইসলামসহ শিশুদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।


নড়াইলে নতুন পুলিশ সুপারের যোগদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

নতুন কর্মস্থল নড়াইলে যোগদান করেছেন পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম। মঙ্গলবার তিনি যোগদান করেন। তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল সূত্রে জানা গেছে মো. রবিউল ইসলাম ২০০৬ সালে ২৫তম বিসিএস হিসেবে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। তিনি ৩ বছর র‌্যাব বিভাগে দায়িত্ব পালন করার পর বরিশাল সদরে এএসপি (সার্কেল) হিসেবে ২ বছর ছিলেন। দুবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করেন। এছাড়া ২০১৩-১৪ এবং ২০১৭-১৮ এই দুবার আফ্রিকার মুসলিম দেশ সুদানে শান্তি মিশনে যাওয়ার সুযোগ পান। নড়াইলে জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে প্রথম দায়িত্ব পেলেন এই মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা। শিক্ষাগত জীবনে তিনি ২০০২ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অনুষদ থেকে স্নাতক ও ২০০৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

পুলিশ ক্যাডার হিসেবে প্রথম বারের মতো একটি জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি মহান সৃষ্টিকর্তার ওপর অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, পুলিশ সুপারের মতো গুরু দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব। এ পেশাটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা বলে তিনি মনে করেন। নড়াইল জেলার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রাণপন চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ জন্য তিনি নড়াইলবাসীর সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করেছেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুনেছি নড়াইল একটি শিল্প, সাংস্কৃতিক, রাজনীতি, মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়াঙ্গনে মোড়ানো একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত জেলা। বিশ্বখ্যাত মানবদের বাস এখানে । প্রতিটি সেক্টরে তাদের সরব বিচরণ থাকায় এই জেলা বিশ্বায়নে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছে। এ জন্য তিনি ওই সকল গুণী মানুষদের শ্রদ্ধা ও সালাম জানান। তিনি আশা করেন, নড়াইলের মানুষ তার কর্মকাণ্ডে সার্বিক সহযোগিতা করলে নতুন মাত্রায় এই জেলাকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।


জামালপুরে মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শোভাযাত্রা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার এ উপলক্ষে র্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল জামালপুর জেলা শাখা। শহরের স্টেশন রোডস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে তমালতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আয়োজিত সমাবেশে জেলা মহিলা দলের সভাপতি মোছা. সেলিনা বেগমের সভাপতিত্বে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মোছা. ছাঈদা বেগম শ্যামাসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ১৫ বছর সাধারণ মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। এখন বাংলাদেশের মানুষ তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অধীর অপেক্ষায় বসে আছে। তাই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান বক্তারা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। ৩১ দফার মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তের পরিবর্তনের কথা বলা আছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে ‘পরিবার কার্ড’ করা হবে, সরকার প্রতিটি পরিবার কার্ডে যত সুযোগ-সুবিধা দেবে তা পরিবারের মহিলা সদস্যদের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।


কল্পনাও করিনি, এইদিন দেখতে হবে: জমিদারের নাতনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

‘সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছি বলে কভু অভাব জিনিসটা চোখে পড়েনি। আমার ঠাকুর দা, রামধন ছিলেন জমিদার। বাবা কেশব চন্দ্র ধর- ছিলেন জমিদার পুত্র। ঠাকুর দা মারা যাওয়ার পর জমিদারির হাল ধরেন বাবা। যদিওবা ঠাকুরদার হাতে গড়া আমাদের জমিদার বাড়িতে আমার জন্ম। জন্মের পর থেকে দেখেছি আমার পরিবারের জমিদারির প্রভাব। প্রথমে ঠাকুরদা। পরে বাবার! বাবা কেশব চন্দ্র ধর ১৯৫৫ সালের ৬ জুন মারা যান। বাবা যতদিন ছিলেন ততদিন জমিদারি ছিল। কিন্তু এখন আর সে জমিদারি নেই। এইদিন দেখতে হবে তা কখনো কল্পনাও করিনি! কি দিন ছিল আর কি হয়ে গেল! যে জমিদার বাড়ীতে শতাধিক কর্মচারি বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকত, সে বাড়িতে আমরা কয়েকজন বসবাস করি। ‘কান্না জড়িত কন্ঠে এভাবে এদিন আর সেদিনের কথা বলছিলেন রামধন জমিদারের নাতনি একাশি বছরের বৃদ্ধা ছবি ধর।

এক সময়ের প্রভাবশালী জমিদার বাড়ির পরিদর্শনকালে জানা যায়, সেদিনের ইতিহাস আর আজকের বাস্তবতা! জমিদার বাড়ি মানেই্ অপূর্ব কারু কাজ করা বিশাল ভবন। গেইট থেকে শুরু করে বিশাল ভবনের দেওয়ালগুলোর পরতে পরতে সৌন্দর্যের ছোঁয়া। ইতিহাস ও ঐতিহের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক নাম। অন্য বাড়ীর চেয়ে একটু হলেও বেশি সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায় রাউজানের ডাবুয়া এলাকার রামধন জমিদার বাড়ি।

রাউজান উপজেলার প্রভাবশালী জমিদারদের মধ্যে একজন ছিলেন রামধন জমিদার। অগাদ বিত্তের জমিদার রুপার থালা, বালতি, কেঁতলি ব্যবহারসহ অভিজাত শ্রেণির ভোগবিলাসীতা জীবন যাপনের তাদের কথা সর্বজন স্বীকৃত। তার শাসন আমলে জমির খাজনা আদায় করে ব্রিটিশ সরকারের নিকট প্রদান করা হতো। যদিওবা প্রজাদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থের একটি বড় অংশ জমিদাররা ব্যয় করত নিজেদের প্রমোদ ও বিলাসীতায়। তৎকালীন রুপার টাকা দ্বারা খাজনা আদায় করা হতো। খাজনা প্রদানকারী প্রজাদের উৎসাহিত করতে এক জোড়া নারকেল, একবিড়া পান আর বাতাশা প্রদান করা হতো। রাউজান উপজেলার ডাবুয়া এলাকার শাসনভার ছিল রামধন জমিদারের নিকট। এলাকার লোকজন জমির খাজনা প্রদানে ব্যর্থ হলেই জমির মালিক হতেন জমিদার নিজেই। আর সেই সুযোগকে কাজে লগিয়ে জমিদার গড়ে তুলেছিল দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য কৌশলে বহুব্যয়ে নির্মিত রামধন ভবন। এছাড়াও আশপাশে পুকুর, রমধর দিঘী, বাড়ির সামনে তোরণ, চুন সুরকি দিয়ে তৈরি কাচারিঘর, জমিদারের আনন্দ মহল, নাচখানা ও মন্দির। কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া জমিদার বাড়িটি ধ্বংসস্তূপের মাঝে টিকে আছে। জমিদার বাড়ির কিছু অংশ সংস্কার করে রামধরের নাতি-নাতনিসহ কয়েকজন বংশধর বসবাস করেন। জমিদার রামধর ও রামগতি ধরের বংশ ধরের মধ্যে অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে ও রাজধানীতে বসবাস করছেন। পূজার সময় কিংবা পরিবারিক অনুষ্ঠানে তারা এখানে আসেন। জমিদার বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত ভবন, মন্দির দিঘী এখনো জমিদারের স্মৃতি বহন করছে।

জানা গেছে, ডাবুয়া জগন্নাত হাট, ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, চিকদাইর পুলিশ ফাড়ি সহ রাউজান আর আর এসি মডেল হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রয়েছে এ জমিদার বংশের।

তথ্য সূত্র মতে, ১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধের পর ১৭৬০ সালের ১৫ অক্টোবর তৎকালীন নবাব মীর কাসেমের মোহরাঙ্কিত সনদের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে সমর্পন করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে। এর পর থেকে রাউজান ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। মধ্যযুগে চট্টগ্রামে বহু ছোট-খাঁটো জমিদারের উদ্ভব হয়েছিল।

ফলে এখানে দুর্গরক্ষী যে সকল সৈন্যদের রাখা হতো বেতনের পরিবর্তে তাদের জন্য কিছু কিছু জমি বরাদ্ধ করা হতো। সামরিক জায়গার প্রথা উঠে যাওয়ার পর সকল জমির খাজনা সৃষ্টি করা হয়েছিল। আসলে জমিদারি কিংবা ক্ষমতা সব সময় ক্ষণস্থায়ী। জমিদারির জৌলুস যে কতটা আরামদায়ক তার অবসান ঘটলেই বোঝা যায় আসলে কতটা বেদনাদায়ক। এমন কথাই মুখে মুখে ফিরছিলো জমিদার বাড়িতে আসা অনেকের।


চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও দামের প্রভাব নেই বাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি

দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আসছে ভারতীয় চাল। গত ২১ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭১ টি ভারতীয় ট্রাকে মোট ২ হাজার ৪৮৫ টন চাল এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে। সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ফলে দেশে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে ও বাজারে দামের কোনো প্রভাব নেই। আগের সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বন্দরের চাল আমদানিকারকরা জানান, চাল আমদানিতে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা আমদানি অব্যাহত রেখেছেন। যার কারণে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে চাল দেশে ঢুকছে। তবে দামের কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছেনা।

জানা গেছে, প্রায় দুমাস আগে ইরি-বোরো মৌসুম শেষ হয়েছে। কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত ধানের আবাদ হলেও দেশের বাজারে হঠাৎ করেই দাম বাড়তে থাকে। তাই দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সরকার বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই অবস্থায় গত ১২ আগস্ট আমদানিকারকদের নামে বরাদ্দ ইস্যু করে চাল আমদানি করার জন্য অনুমতি দেয়। এরপর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে মেসার্স উষা ট্রেডিং, মেসার্স মৌসুমী ট্রেডার্স, মেসার্স হাজী মুছা করিম এন্ড সন্স, মেসার্স গণী এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স প্রিয়ম এন্টারপ্রাইজ নামের আমদানিকারকরা সাধারণত ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন।

প্রসিদ্ধ চাল আমদানিকারক গণী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ জানান, তার প্রতিষ্ঠানের নামে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে চাল আসা শুরু হওয়ায় পাইকারী ও খুচরা বাজারে কিছুটা দাম কমেছে। এভাবে আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি সরকারের কাছে চাল আমদানি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।

নাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, চার মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় বেনাপোল বন্দরে চাল আমদানি শুরু হওয়ায় বন্দরটিতে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। আশা করা যাচ্ছে এবার চালের দাম কমে আসবে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, গত দুই সপ্তাহে ৭১ ট্রাকে ২ হাজার ৪৮৫ টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ২১ আগস্ট ৯ টি ট্রাকে ৩১৫ টন, ২৪ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ২৭ আগস্ট দুটি চালানে ১২ ট্রাকে ৪২০ টন, ২৮ আগস্ট ৩ ট্রাকে ১০৫ টন, ৩০ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ৩১ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ১ সেপ্টেম্বর ১২ ট্রাকে ৪২০ টন, ২ সেপ্টেম্বর ১৪ ট্রাকে ৪৯০ টন, ৩ সেপ্টেম্বর ৩ ট্রাকে ১০৫ টন এবং গত সোমবার রাত ১১ টার দিকে ৬ ট্রাকে ২১০ টন চাল আমদানি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমদানিকৃত চাল দ্রুত ছাড়করণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল এই বন্দর দিয়ে সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল।


সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। আজ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ গুলশান-২ এ শান্তা হোল্ডিংস কর্তৃক ১৬ তলা নির্মাণাধীন একটি ভবনে নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য এ সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে ৭৫ জন নির্মাণ শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন, বিএফএম (এস), সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান, পিএফএম; নির্মাণাধীন ভবনের চিফ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার মেজর (অবঃ) হাফিজ আল আসাদ ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সকাল ১১:০০ ঘটিকায় ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন উপস্থিত হলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ফায়ার সার্ভিস, ঢাকার সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। শান্তা হোল্ডিংসের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন নির্মাণাধীন ভবনের চিফ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার মেজর (অবঃ) হাফিজ আল আসাদ। এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন। এর পর তিনি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শুরু করেন।

বেলা ১২:৩০ ঘটিকায় তত্ত্বীয় আলোচনা শেষে স্মোক ইজেক্টর ও এয়ার ভেন্টিলেটর ব্যবহার করে কিভাবে সেপটিক ট্যাংকে বাতাস দেয়া যায় বা কিভাবে সেপটিক ট্যাংক হতে ভেতরে থাকা দূষিত বাতাস বা গ্যাস অপসারণ করা যায় তা প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে কিভাবে আগুন নেভানো যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন কিভাবে নেভানো যায় তার কৌশল প্রদর্শন ও চর্চা করানো হয়। দুপুর ১৩:০০ ঘটিকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট মুন্সীগঞ্জে একটি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় ৩ জন শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হিসাব অনুযায়ী গত ৫ বছরে সেপটিক ট্যাংক ও সুয়ারেজ লাইন দুর্ঘটনায় ২২৮ জন নিহত হয়েছেন।


banner close