শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২

কলাবতীর গল্প রাধাবতীর মুখে

মণিপুরি তাঁতবস্ত্র দিয়ে শাড়ি তৈরি করছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল মাঝেরগাঁওয়ের মণিপুরি তাঁতশিল্পী রাধাবতী দেবী। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
৫ এপ্রিল, ২০২৩ ২৩:৩২
সালাহ্উদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার
প্রকাশিত
সালাহ্উদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার
প্রকাশিত : ৫ এপ্রিল, ২০২৩ ২৩:৩২

১৫ দিনের চেষ্টায় প্রথমবারের মতো কলাগাছের আঁশ থেকে তৈরি সুতার সঙ্গে তাঁতের সুতা মিশিয়ে ১২ হাত লম্বা একটি শাড়ি বুনেছেন। ‘কলাবতী’ নামের সেই নতুন শাড়ির খবর দেশ-বিদেশে চমক জাগিয়েছে। এই কৃতিত্বের দাবিদার মণিপুরি তাঁতশিল্পী রাধাবতী দেবীর।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল মাঝেরগাঁও গ্রামে থাকেন রাধাবতী। এলাকায় তাঁতি দেবী ওস্তাদ হিসেবে খ্যাতি আছে তার। সেই ১৯৭৫ সাল থেকে মণিপুরি তাঁতবস্ত্র তৈরির কাজ করছেন। হাতে-কলমে শিখিয়েছেন অনেককে। ৬৬ বছর বয়সী রাধাবতী জানান, কমলগঞ্জে তিনিই প্রথম শুরু করেন তাঁতবস্ত্র তৈরি। মাফলার, ওড়না, শাড়ি, গামছা, উত্তরীয়, থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন পোশাক তিনি বানাতেন। জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাঝেরগাঁও থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা সেগুলো কিনে নেন। সারা দেশের বিভিন্ন বাজারে এই তাঁতবস্ত্র বিক্রি হয়, কখনো কখনো বিদেশেও রপ্তানি হয়।

কলাবতী নামের শাড়িটি বানাতে রাধাবতীর কারিগরির পাশাপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছিল উল্লেখযোগ্য। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজি কয়েক মাস আগে খোঁজ করে রাধাবতী দেবীকে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়ে যান। বান্দরবানের কর্মকর্তারা তাকে কলাগাছের আঁশের সুতায় তৈরি ব্যাগ, জুতা, পাপোশ, ফুলদানি, ফাইল কভার, কলমদানিসহ নানা হস্তশিল্পসামগ্রী দেখিয়ে অনুরোধ করেন কলাগাছের সুতা দিয়ে একটি শাড়ি বুনন করে দিতে। কলাবতী প্রথমে চিন্তায় পড়ে যান। পরে ভাবলেন, এ সুতোয় অন্যান্য জিনিস বুনন সম্ভব হলে শাড়ি কেন নয়? তারপর সাহস করে রাজি হয়ে গেলেন। কলাগাছের আঁশের কিছু সুতা সঙ্গে করে কমলগঞ্জে নিজ বাড়িতে নিয়ে এলেন। তাঁত সুতার সঙ্গে মিশিয়ে প্রথমে একটি ওড়না বুনলেন। উৎসাহ আরও বেড়ে গেল। নিজ বাড়ি থেকে তাঁতের সুতা নিয়ে বান্দরবানে গিয়ে শুরু করেন কাঙ্ক্ষিত শাড়িটির বুননকাজ। এক কেজি কলার আঁশের সুতার সঙ্গে তাঁত সুতার সংমিশ্রণ করে টানা ১৫ দিনের চেষ্টায় সফল হলেন। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজের উদ্যোগও সাফল্য পেল। রাধাবতী দেবীর আশা, সবকিছু ঠিক থাকলে কলার সুতা থেকে আগামীতে আর কম সময়ে ও কম খরচে আরও মসৃণ ও উন্নতমানের শাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক আরও কয়েকটি শাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে রাধাবতীকে জানিয়েছেন। এমনকি তাকে দিয়ে কলার সুতার শাড়ি তৈরির একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার চিন্তাও ওই কর্মকর্তার রয়েছে। বান্দরবানে কলাগাছের আঁশের সুতার সরবরাহ প্রচুর। তাই স্থানীয় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে কলার সুতা দিয়ে ব্যাগ, জুতা, পাপোশ, ফুলদানি, ফাইল কভার, কলমদানিসহ হস্তশিল্পসামগ্রী তৈরি করে পর্যটকদের কাছে বিক্রি করছেন ও বিদেশে রপ্তানি করছেন।

মণিপুরি তাঁতশিল্পী রাধাবতী দেবী একসময় সিলেটে থাকতেন। সেখানকার মীরা বাজার এলাকায় সমবায় অফিসের তাঁতবস্ত্র বুনন শেখানোর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। তখন স্থানীয় অনেক মেয়েকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বস্ত্র বুনন উদ্যোক্তা বানিয়েছেন। তাদের অনেকে আজ প্রতিষ্ঠিত।

অবিবাহিতা রাধাবতী দেবী বাবার বাড়িতে থাকেন ছোট ভাইয়ের সঙ্গে। ছোট ভাই অবসরপ্রাপ্ত মাধমিক শিক্ষক রঞ্জিত সিংহের সংসার চালাতে রাধাবতী তাঁতবস্ত্র তৈরি করে সহায়তা করেন। তিনি আদমপুরে তেতইগাঁও রসিদ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে মাত্র নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। বাড়িতে টকটকি (কাঁঠের তাঁত মেশিন) দিয়ে মণিপুরি বস্ত্র বুনন করেন। তাঁতবস্ত্র তৈরির কাজে ১৯৮৬ সালে প্রথম ভারতের মণিপুরের ইম্ফলে প্রশিক্ষণ নেন। পরে কমলগঞ্জের মাধবপুরে মণিপুরি ললিতকলা একাডেমিতে ২০১০ সালে একাধিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সেই থেকে তিনি এখন মণিপুরি তাঁতবস্ত্র বুননে এলাকায় একজন ওস্তাদ (গুরু) হয়ে গেছেন। সেই সূত্রে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁতবস্ত্র মেলায় তিনি মণিপুরি তাঁতবস্ত্র উপস্থাপনও করেছেন। সম্প্রতি কলাগাছের সুতায় শাড়ি বুননে তার কৃতিত্বের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর তিনি গত রোববার সকালে গ্রামে ফিরলে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকরা তার খোঁজ নিতে আসেন।

রাধাবতী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বান্দরবানের জেলা প্রশাসক কলার সুতার শাড়িটি তৈরির পর প্রধানমন্ত্রীকে দেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমি বলেছি প্রথম শাড়িটি তেমন ভালো হবে না। আমি আমার মনের মতো করে শাড়ি বানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেব।’

কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল মাঝেরগাঁও গ্রামে ইন্দো বাংলা এবং ভানুবিল মাঝেরগাঁও কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজমের উদ্যোগে গত সোমবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাধাবতী দেবীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, স্থানীয় নারীদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে কলাগাছ থেকে আঁশ তৈরি ও পরবর্তী সময়ে সেই আঁশ থেকে হস্তশিল্প ও শৌখিন দ্রব্যাদি তৈরির জন্য জেলা প্রশাসন একটি পাইলট প্রকল্প নেয়। সেই প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৪০০ নারীকে কয়েক দফায় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ভাতা দেয়া হয়, যাতে তারা আগ্রহী হন। প্রকল্পটি এখন উপজেলা পর্যায়েও সম্প্রসারিত করা হয়েছে। স্বল্প সময়ে উন্নতমানের শাড়ি তৈরির জন্য জেলা প্রশাসন দুটি মেশিনের আবেদন পাঠাচ্ছে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে। এ দুটি মেশিন পাওয়া গেলে বাণিজ্যিকভাবে এই শাড়ি তৈরি করে বাজারজাত করা যাবে। ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের আমতলী পাড়াতে কলাগাছের বাকল থেকে সুতা তৈরির উদ্ভাবনী প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।


গনঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পটুয়াখালীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি

জুলাই গনঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পটুয়াখালীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

৩৬ জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশহিসেবে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে এক শহীদ এক বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। এসময় পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার জাহিদ, সিভিল সার্জন মোঃ খালেদুর রহমান মিয়া, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জুলাই যোদ্ধাবৃন্দ এবং গন্যমান্য ব্যাক্তবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসন ও উপকুলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালীর আয়োজনে এ কর্মসূচীতে জেলার গেজেটভুক্ত ২৪ জন শহীদের স্মৃতি সংরক্ষনে ২৪ টি বৃক্ষ রোপন এবং প্রতিটি বৃক্ষের পাশে শহীদের নামসহ তার অবদানের তথ্য সম্বিলিত ফলক স্থাপন করা হয়। এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে ২৪ এর গনঅভ্যুত্থ্যানে শহীদগন তাদের জীবন আত্মহুতি দিয়েছেন। তাদের এ অবদান ভোলার নয়। যারা জীবন দিয়েচেন তাদের আর ফিরে পাওয়া যাবেনা তবে এই বৃক্ষ দীর্ঘ বছর তাদের স্মৃতি বহন করবে।


নরসিংদীতে দেশ টেলিভিশনের সাংবাদিকের উপর হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সালমা সুলতানা, নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে দেশ টেলিভিশনের সাংবাদিক আকরাম হোসেন ও তার পরিবারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা হলো সমাজের দর্পণ। তারা লেখনির মাধ্যমে সমাজের দুর্নীতি ও অনিয়ম তোলে ধরেন। যার কারণে সাংবাদিকদের ক্ষমতাবানদের চক্ষু স্থূলে পরিণত হতে হয়। আকরাম হোসেন একজন সাহসি সাংবাদিক। তিনি দেশ টিভির মাধ্যমে নরসিংদীর রাঘব বোয়ালদের অনিয়ম ও দুর্নীতি তোলে ধরেছেন। যার কারণে অনেকে তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে প্রাণনাশের উদ্দেশ্য আকরাম ও তার পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়। এতে অল্পের জন্য সে রক্ষা পায়। এঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজের মাধ্যমে দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও তারা জামিন নিয়ে বের হয়ে এসেছে। পুলিশ এখনও ঘটনার মূল হোতাকে চিহ্নিত করতে পারছেন না। যার কারণে আকরাম এখনও হুমকির মুখে রয়েছে। আমরা অবিলম্বে মূলহোতাকে আইনের আওতায় ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক মো: খায়রুল ইসলাম, শাহাদাৎ হোসেন রাজু, তৌকির আহমেদ, ফাহিমা খানম, আশিকুর রহমান, মোস্তাক আহমেদ, শরিফ ইকবাল রাসেল, শামীম মিয়া, তৌহিদুর রহমান মিঠু, হৃদয় খান, এনামুল হক রানা, সুজন বর্মণ, আমিনুর রহমান সাদি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শহরের বাসাইল এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশের হাসান সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দেশ টেলিভিশনের সাংবাদিক আকরাম হোসেন ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় অল্পের জন্য সপরিবারে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। এ সময় হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।


মাগুরায়  জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননার বিরুদ্ধে  প্রতিবাদ  জাসাসের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা প্রতিনিধি

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদে মাগুরায় জাসাসের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার ঘন্টা ব্যাপী মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) । মাগুরা জেলা শাখার শতাধিক নেতাকর্মী এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা শাখার আহবায়ক এডভোকেট কাজী মিহির, সদস্য সচিব ফেরদৌস রেজা, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ হাসান খান কিজিল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান শামীম, হাসানুর রহমান হাসু, জেলা ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রশিদ, জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক স্মৃতি খাতুন প্রমূখ।

বক্তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন শহীদ জিয়া ও তার পুত্র বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের নামে কোন ধরনের অবমাননা বরদাস্ত করা হবে না প্রয়োজনে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।


‘দেশ সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য নির্বাচিত সরকার দরকার’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল হাসান, নাটোর প্রতিনিধি

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যখন প্রধান উপদেষ্টার সাথে লন্ডনে বৈঠক করেছেন, তখনই একটি রাজনৈতিক দল মনে হলো ভেঙ্গে পড়েছেন। তারেক রহমানের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক সেই রাজনৈতিক দল মেনে নিতে পারছেনা। সেই রাজনৈতিক দলের অতিত ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক আছে।

দুলু আরও বলেন, একটা দেশ সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য নির্বাচিত সরকার দরকার। দেশের জনগণ ভোট দিয়ে যাদের ক্ষমতায় বসাবে। সেই দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হবে। এ দেশের জনগণ তিনশ’ আসনের মধ্যে বিএনপিকে যদি ২৫০ আসনে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে। তারপরেও তারেক রহমান সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন।

শনিবার দুপুরে নাটোরের আলাইপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এর জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। কর্মী সম্মেলন জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় জাসাসের আহবায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান বলেন, তারেক রহমান বলেছেন একটা অদৃশ্য শক্তি আমাদের পেছন থেকে ছুঁড়ি মারবে। বিগত কয়েতদিনের হত্যাকান্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। যাতে দেশে নির্বাচন বিলম্বিত হয়। কারণ ষড়যন্ত্রকারীরা জানে নির্বাচন হলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।

সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান বাবুল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা জাসাসের প্রস্তাবিত সভাপতি মেহেদি হাসান, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বাউল আব্দুল খালেক সরদারসহ দলের নেতাকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।


যথাযোগ্য মর্যাদায় বুয়েটে অনুষ্ঠিত হলো জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়,বুয়েট-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫। উক্ত অনুষ্ঠানমালা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫ আয়োজক কমিটি” শীর্ষক একটি কমিটি গঠন করা হয়।আয়োজক কমিটির উদ্যোগে ২দিন ব্যাপী (১৫-১৬জুলাই,২০২৫)সমন্বিত জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষ্যে বুধবার (১৬ জুলাই-২০২৫) বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বুয়েটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান ও আন্দোলনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.আব্দুল হাসিব চৌধুরী। অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে বুয়েটের ঘটনাবলীর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

উপাচার্য বলেন,‘‘জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি শুধু স্মৃতি হিসেবেই থাকবে না আজ এখান থেকে সেই প্রতিজ্ঞা আমাদের করতে হবে। আমরা দেখেছি বর্বরতা;আমরা দেখেছি পিটিয়ে হত্যা করার মত ঘটনা।পুনর্জাগরণ এর জন্য যারা যুদ্ধ করেছে,নিহত হয়েছে,আহত হয়েছে তাদের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য আমাদেরকে সকল প্রকার বর্বরতা এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা চেয়েছিলাম নৈতিক সোসাইটি তৈরি করতে,সে পথেই আমাদের এগোতে হবে। তা নাহলে এই বলিদান,আত্নাহুতির কোন মূল্য থাকবে না। আমি শুধু মুখে মুখে বলবো আর সেটা কাজকর্মে প্রকাশিত হবে না,তাহলে কিন্তু কোন লাভ হবে না এবং উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে;আত্মাহুতি দেয়া বিফলে যাবে। আমরা দ্বিতীয় বার সুযোগ পেয়েছি,তৃতীয়বার আমাদের জন্য সে সুযোগ নাও আসতে পারে।”

বুয়েট শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,‘‘গত কয়েকদিন আগে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করার পরে প্রতিবাদ করার জন্য বুয়েট এবং ঢাবি থেকে একটা মিছিল এর আয়োজন করা হয়েছিলো,যা যথাযথভাবে প্রতিবাদ করারই কাজ কিন্তু প্রতিবাদে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার কোনোভাবেই কাম্য নয়।প্রতিবাদ এর বিষয়ে আমরা অবশ্যই প্রতিবাদ করবো,কিন্তু সেটা নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে নয়।আশা করি আমরা আবার সেই ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবো এবং আমাদের যে দায়িত্ব আমরা সেটা নিজ নিজ জায়গা থেকে পালন করবো। দেশের উন্নয়নে আমরা সকলের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবো। বুয়েটে অনুষ্ঠিত জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ২০২৫ সফল হোক এই কামনা করছি।”

উপ-উপাচার্য বলেন,‘‘বিগত ৭৫ বছরে ৫টা গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশে ঘটে নাই। জনগণের জীবন যখন শুকনো পাতার মতো হয়ে যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন,নির্যাতন শোষণ হয়,তখন তার ফলে একটি স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল তৈরি করে। সকল গণঅভ্যুত্থানে এটাই বারবার ঘটতে দেখা যায়। ১৪ জুলাই যখন কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের রাজাকারের নাতি-পুতি বলা হচ্ছিল তখন বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা। তখন বুঝতে পেরেছিলাম এখানে স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হচ্ছে,দাবানল সৃষ্টি হতে পারে। ১৫ জুলাই যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা করা হয় এবং ১৬ জুলাই আবু সাঈদকে অদম্য সাহসিকাতার সাথে দুই হাত সম্প্রসারিত করে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়ে মৃত্যুবরণ করতে দেখি তখনই বুঝতে পেরেছিলাম বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। এই বাঁধ ভাঙার ঘটনা আমরা ১৯৭১ সালেও দেখেছি। ইতিহাস বলে কোন দেশের সরকার যখন সমগ্র জনগণকে শত্রু বিবেচনা করে তখন সেই সরকার আর টিকে থাকতে পারে না।

এই আন্দোলনের সময় বুয়েটের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী,ছাত্র-ছাত্রী সকলের অংশগ্রহণে ৩০ জুলাই,২০২৪ তারিখে বুয়েটে সবচেয়ে বড় মিছিলের আয়োজন করা হয়।বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,সত্য ভাষণে যে শক্তি আছে,অশ্লীলতায় সেই শক্তি নেই। শক্তিহীন মানুষ তার অশ্লীল বাক্য দিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে চায়,বুয়েট শিক্ষার্থীরা এই কাজ করতে পারে না,পূনর্জাগরণে বুয়েট এই দেশকে অতীতেও পথ দেখিয়েছে ভবিষ্যতেও দেখাবে। তিনি বুয়েট শিক্ষার্থীদের সেভাবেই তৈরি হওয়ার পরামর্শ দেন।”

অনুষ্ঠানে বুয়েটের অনুষদের ডিন,শিক্ষক,শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ আন্দোলনে তাদের স্মৃতিচারণ ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

সবশেষে ছোট পরিসরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।


নীলফামারীতে রাতের আধারে দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের চারটি গরু চুরি

আপডেটেড ১৯ জুলাই, ২০২৫ ১৯:১৬
নাসির উদ্দিন শাহ্ মিলন, নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে গোয়াল ঘরের দুয়ার ভেঙ্গে আনুমানিক ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের চারটি গরু চুরি করেছে চোরেরা। শনিবার (১৯ জুলাই) রাত দুইটার পর সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের আরাজি ইটাখোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার মনাহার ইসলাম নামে এক ভ্যান চালকের গোয়ালঘর থেকে দুইটি ষাড়, একটি গাভীন দেশী জাতের গরু ও একটি অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরু চুরি করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গরুকে গোয়াল ঘরে রেখে তালাবদ্ধ করে রাখে পরিবারের সদস্যরা। শনিবার সকালে উঠে গোয়াল ঘর থেকে গরু বের করতে যায় মনাহারের মা জাহানারা বেগম। সেখানে গিয়ে দেখে গোয়াল ঘরের দুয়ার ভাঙ্গা। ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় একটি গরুও নেই। স্থানীয়রা ছুটে আশে পাশে অনেক খোজাখুজি করলেও গরুর আর সন্ধান পাওয়া যায় না।

ভুক্তভোগী মনাহার ইসলাম বলেন,‘রাত আনুমানিক আড়াইটা থেকে পাঁচটার মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে ধারনা করছি। কারন আমরা রাত ১টা পর্যন্ত জেগেই ছিলাম। আমার চারটি গরুর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ২লাখ ৩৫ টাকা। গরুগুলো ছিল আমার জীবনের সকল সঞ্চয়। গরুগুলো চুরি হওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার আর কোনো সঞ্চয় নেই। সব চোরে নিয়ে গেছে। থানায় অভিযোগ দিয়েছি, দেখি পুলিশ কি করে।’

জানতে চাইলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম.আর সাঈদ বলেন,‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’


শহীদদের রক্তের বিনিময়ে মুক্ত হয়েছে দেশ: নওগাঁয় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি, কালেরকণ্ঠের সম্পাদক, কবি হাসান হাফিজ বলেছেন- ২৪ এর জুলাইয়ে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে একটা মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় না হলে আমরা সুন্দর বাংলাদেশ পেতাম না।

নওগাঁয় দুইদিন ব্যাপী শেষ হলো লেখক সম্মেলন ও কাহ্নপা সাহিত্য পদক পুরস্কার। দ্বিতীয় দিনে নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ এর আয়োজনে লেখক সম্মেলন ও কাহ্নপা সাহিত্য পদক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সদর উপজেলা হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অরিন্দম মাহমুদ।

কবি হাসান হাফিজ বলেন- আদি বাংলা ভাষার নির্দেশন শুরু হয় কাহ্নপা দিয়ে। যা নওগাঁয় অবস্থিত। এজন্য ৬৪ জেলার মধ্যে শীর্ষ জেলা নওগাঁ। প্রসিন্ধ এ জেলায় আসতে পেতে আমার খুবই ভালো লাগছে। এমন একটি সাহিত্য নির্ভর আয়োজনে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আসলে সাহিত্য চর্চা ব্যক্তি ও সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে মানুষ জ্ঞান অর্জন করে, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং সমাজের প্রতি আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এছাড়াও, সাহিত্য চর্চা মানুষের ভাষার দক্ষতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং যোগাযোগ করার ক্ষমতা উন্নত করে। সাহিত্য চর্চা চালিয়ে যেতে হবে।

সীমান্তে হত্যা নিয়ে তিনি বলে- আমরা সীমান্তে কোন হত্যা চাইনা। নওগাঁ সীমান্তে হত্যার মত ঘটনা মাঝেই মাঝেই ঘটে। আমরা রক্তাক্ত চাই না। সেটা বন্ধ করতে হবে। সেজন্য উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে।

লেখক সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লেখকদের আগমনে মিলনমেলায় পরিণত হয়। লেখক সম্মেলনে দুইজন কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক মজিদ মাহমুদ এবং প্রথিতযশা নিভৃতচারী অনুবাদক, হরর গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও কবি খসরু চৌধুরী কাহ্নপা সাহিত্য পদক পুরস্কার প্রদান করা হয়। যেখানে পদকের অর্থমূল্য, পদক, সম্মাননাপত্র ও উত্তরীয় প্রদান করা হবে।

এসময় কবি ও গল্পকার মাহফুজ ফারুক ও কবি রিমন মোরশেদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- নওগাঁ জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল, পৌরসভা প্রশাসক টি.এম.এ মমিন, কবি আতাউল হক সিদ্দিকী, কবি ও প্রাবন্ধিক আমিনুল ইসলাম, সমাজসেবক ও বিএনপি নেতা মাসুদ হাসান তুহিন, কালের কণ্ঠের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন, কথা সাহিত্যিক রবিউল করিম, সাংবাদিক কায়েস উদ্দিন, সাংবাদিক ফরিদ উদ্দিন ও সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়ন, সভাপতি অরিন্দম মাহমুদসহ অন্যরা।

আয়োজকরা জানান- নওগাঁর সহিত্য বিষয়ক সংগঠন নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ এর উদ্যোগে চতুর্থবারের মত সাহিত্য সম্মেলন হয়। সারাদেশ হতে আগত শতাধিক কবি-সাহিত্যিকরা উপস্থিতি ছিলেন। চর্যাপদের অন্যতম কবি কাহ্নপা যিনি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে বসে চর্যাপদ রচনা করেছেন তার নামে পদকটি প্রবর্তিত করা হয়েছে। এ পদকের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের সুত্রপাত বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে শুরু হয়েছে যা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা হবে। এছাড়া সুস্থ সমাজ বির্নিমানে নতুন প্রজন্ম শিল্প সাহিত্যের সাথে সম্পৃক্ত হবে এবং মানবিক হয়ে উঠবে। এতে করে সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা দুর হবে।


নানা আয়োজনে গাজীপুরে হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

আপডেটেড ১৯ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪২
মোঃ কামাল হোসেন বাবুল ,গাজীপুর প্রতিনিধি

নানা আয়োজনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী নুহাশ পল্লীতে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো ও মোনাজাত শেষে মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের বলেন, সব লেখকদেরই স্বপ্ন থাকে বই থাকবে পেঙ্গুইন পাবলিকেশনে। হুমায়ূন আহমেদ জীবিত থাকার সময় ইচ্ছে ছিল তার বই পেঙ্গুইন প্রকাশণী থেকে প্রকাশিত হবে। আজ আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, পেঙ্গুইন পাবলিকেশনের সাথে আমাদের চুক্তি হয়েছে, খুব শিগগিরই পেঙ্গুইন পাবলিকেশন থেকে হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশিত হতে দেখবো।

তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদের প্রতিষ্ঠা করা নুহাশ পল্লীকে তিনি যে ভাবে রেখে গেছেন সেটা সে ভাবেই সংরক্ষণ করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। নুহাশপল্লী স্যুটিং স্পট নয়, এটি গাছে ও ও পাখির অভায়রণ্য। গত ১৩ বছরে অন্তত ৫০টি বিরল প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। এখনো কোথাও দূর্লভ গাছ পেলে তা নুহাশ পল্লীতে এসে লাগানো হয়।

শাওন আরো বলেন, হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি যাদুঘর তৈরির কথা বারবার বরা হয়। স্মৃতি যাদুঘর করতে যে পরিমাণ আর্থিক সক্ষমতা থাকা দরকার তা নুহাশ পল্লীর এখনো গড়ে উঠেনি। আর্থিক সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা চলছে। আমরা না পারলে হয়তো পরবর্তী প্রজন্ম সেটা করতে পারবে।

দুপুরে মিলাদ মাহফিল শেষে এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের খাদ্য বিতরণ করা হয়। ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

সকাল থেকে আশপাশের বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্ররা নুহাশ পল্লীতে এসে কোরআন তেলাওয়াত করেন। পরে তারা কবর জিয়ারত ও দোয়ায় অংশ নেন। কর্মসূচিতে অংশ নিতে শুক্রবার হুমায়ূন আহমেদের দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতসহ স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন নুহাশ পল্লীতে এসে অবস্থান নেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ছেলে নিষাদ, নিনিতসহ নুহাশ পল্লীর কর্মকর্তা কর্মচারি এবং হুমায়ূনভক্ত ও দর্শনার্থীরা হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং কবরের পাশে ফাতেহা পাঠ ও দোয়ায় অংশ নেন।

এসময় অন্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ধী প্রকাশণীর প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ নাছের, কাকলি প্রকাশনীর নাসির আহমেদ সেলিম, নুহাশপল্লীর তত্ত¡াবধায়ক সাইফুল ইসলাম বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।

দুপুরে নুহাশ পল্লীতে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের খাদ্য বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।


কুলাউড়ায় মাছ শিকারের সময় ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সালাহ্উদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে মাছ শিকারের সময় চোরাকারবারি সন্দেহে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মধ্য রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক বিওপির হরিপুর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে বিএসএফ।

আটককৃতরা হলেন, সোহাগ মিয়া (২৩), মাসুক আলী মন্টুরি (২০) ও সিপার আহমদ (২২। তারা সবাই উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

আটককৃতদের পরিবার সুত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে সোহাগ, মাসুক ও সিপার মাছ শিকার করছিলো বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতর শরীফপুর ইউনিয়নের হরিপুর এলাকায় এসময় বিএসএফ এসে তাদেরকে চোরাকারবারি সন্দেহে আটক করে নিয়ে যায়।

বিএসএফের হাতে আটক মাসুক আলীর ভাই ময়নুল মিয়া বলেন, রাতে তারা বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে মাছ শিকার করার সময় ১৫-২০ জন বিএসএফ এসে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে ভারত থেকে আমার ভাই জানায় যে, তাদের সেখানের থানায় রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি বিজিবির শরিফপুর ক্যাম্পকে জানিয়েছি তারা বলেছেন, বিষয়টি দেখতেছেন।

এ বিষয়ে শরীফপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হারুন মিয়া বলেন, আমি শুনেছি রাতে তারা মাছ শিকার করতে গিয়েছিলো। পরে তাদেরকে বিএসএফ এসে ধরে নিয়ে গেছে।

৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বলেন, এই ধরণের ঘটনা শুনেছি তবে আজ সারাদিন ধরে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। পরিবারের কেউই আসেনি বা ভারতের বিএসএফও কোন কিছু জানায়নি।


নীলফামারীতে গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছাত্র জনতার স্মরণে মৌন মিছিল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী প্রতিনিধি

জুলাই আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছাত্র জনতার স্মরণে নীলফামারীতে মৌন মিছিল ও দোয়া মাহফিল করেছে বিএনপি । শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে। এরপর দলীয় কার্যালয়ে ফিরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে জেলা বিএনপির নবাগত আহ্বায়ক মীর সেলিম ফারুকের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা প্রধান হক বাচ্চু, সদস্য সচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আখতারুজ্জামান জুয়েল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দেওয়া ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ এ দেশের গণতন্ত্রের আন্দোলনে অনন্য দৃষ্টান্ত। শহীদদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।

এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সেফাউল জাহাঙ্গীর শেপু, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ানুল হক বাবু, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান খান রিনো, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মগনি মাসুদুল আলম দুলাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোরশেদ আযম, সদস্য সচিব শিহাবুজ্জামান শিহাব চৌধুরী, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রাশেদ রেজাউদ্দৌলা রাশেদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নুর আলম, জামিয়ার রহমান সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


কাপ্তাই হ্রদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে উন্নয়নে জোর – রাঙামাটিতে দুই উপদেষ্টার মতবিনিময়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাপ্তাই হ্রদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে—এমন আহ্বান জানিয়ে রাঙামাটিতে মতবিনিময় করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

শুক্রবার বিকেলে বার্গী লেক ভ্যালী থেকে শুভলং ঝর্ণা, শুভলং বাজার ঘুরে স্পিডবোটযোগে স্টেডিয়াম ঘাট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য ঘুরে দেখেন তাঁরা। এসময় দুই উপদেষ্টার সহধর্মিণী, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্যের মূল উৎস কাপ্তাই হ্রদ ও পাহাড়। এই লেককে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে মৎস্য উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা গেলে স্থানীয় জনগণ সরাসরি উপকৃত হবে।”

অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণে এ অঞ্চলের মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছিল, কিন্তু এখন সময় এসেছে এই লেকের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের। এটি এক ধরনের স্বর্ণখনি—যা সঠিকভাবে ব্যবহারে পাহাড়ের উন্নয়ন সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার সকল সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে । পাহাড়ি-বাঙালি সব সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও জানান, “কৃষি খাতসহ নানা দিক দিয়ে পাহাড়ি জনগণ এখনও পিছিয়ে। বর্তমান সরকার এই পিছিয়ে পড়া জনগণের জন্য সকল পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না, মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে চাই।” এই মতবিনিময় কাপ্তাই হ্রদকে ঘিরে


গাইবান্ধায় অপহৃত কিশোরী উদ্ধার অভিযানে র‍্যাবের ওপর হামলা, গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, কারাগারে ৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অপহৃত এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে র‍্যাবের একটি দল। এতে আহতও হয় র‍্যাবের ৫-৭ জন সদস্য। এসময় র‍্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়ে এবং অভিযান শেষে প্রধান অপহরণকারী লিয়ন বাবুসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এই উত্তেজনাকর ঘটনা ঘটে।

অপহরণকারী লিয়ন বাবু (২২) উপজেলার চাঁদপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের মো. নান্নু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ, র‍্যাব ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে লিয়ন উপজেলার গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের কুড়ি পাইকা গ্রামের শাহীন মিয়ার স্কুল পড়ুয়া ১৩ বছরের কিশোরী মেয়ে শারিয়া মোসতারিনকে অপহরণ করে সে। এ ঘটনায় মোসতারিনের পরিবারের পক্ষ থেকে ওইদিন রাতেই গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।

ওই মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃতত কিশোরীকে উদ্ধারে যায়

র্যাব। এসময় অপহরণকারীর স্বজন ও সহযোগীরা হামলা চালিয়ে অপহরণকারীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে র‍্যাব সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। হামলায় র‍্যাবের অন্তত ৫-৭ জন শারীরিকভাবে সদস্য আহত হয়। একপর্যায়ে র‍্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়ে। অভিযান শেষে প্রধান অপহরণকারী লিয়ন বাবু ও তার প্রতিবেশী ওই গ্রামের জাহাঙীর আলমের ছেলে মুন্না মিয়া (২১) ও মৃত তোয়াফেলের ছেলে তাজুল ইসলামসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

র‍্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মো. নওশের আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা নয়াপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালান। অভিযানে ১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী শারিয়া মোসতারিনকে উদ্ধার করা হয়, যাকে গত ১১ জুলাই অপহরণ করে লিয়ন বাবু (২২) নামের এক যুবক। র‍্যাবের অভিযানের সময় লিয়নের স্বজন ও স্থানীয় সহযোগীরা একযোগে হামলা চালায়। তারা লিয়নকে ছিনিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে র‍্যাব সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল ছোঁড়ে ও সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ চালায়। এতে বেশ কয়েকজন র‍্যাব সদস্য আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র‍্যাব সদস্যরা ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে লিয়নের দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করে।

তিনি আরও বলেন, আহত র‍্যাব সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “র‍্যাব অভিযান চালিয়ে ভিকটিম ও অভিযুক্তদের থানায় হস্তান্তর করেছে। আজ (শুক্রবার) সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, আজ শুক্রবার র্যার তাদের ওপর হামলা সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে ওই এলাকার ২৮ জন নামীয়য় এবং ৫০-৬০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। র্য্যাবের মামলায় ওই দুই আসামীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।


সুনামগঞ্জে ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবি, বৃদ্ধার মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে শামছুন্নাহার (৭০) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। নিহত বৃদ্ধা নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত আজিজ মিয়ার স্ত্রী।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, আজ (শুক্রবার) সকালে স্বরসতীপুর থেকে ছাদযুক্ত একটি নৌকায় ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে মধ্যনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। নৌকাটি পিপড়াকান্দা ব্রিজের নিচে পৌঁছালে প্রবল স্রোতে নৌকাটি হঠাৎ করে ডুবে যায়। অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও শামছুন্নাহারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা তল্লাশি চালিয়ে নৌকার ছাদের ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে বৃদ্ধার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিছে পুলিশ।


banner close