বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
২৩ আশ্বিন ১৪৩২

চট্টগ্রামে পাহাড়ধস, বহু হতাহতের আশঙ্কা

ফাইল ছবি
আপডেটেড
৭ এপ্রিল, ২০২৩ ২০:৪৯
প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত : ৭ এপ্রিল, ২০২৩ ১৮:৩০

চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকায় পাহাড়ধসে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে আকবর শাহ থানার বেলতলি ঘোনা এলাকায় এই পাহাড়ধস ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এনামুল হক। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে কাজ করছি। হতাহতের সংখ্যা এখনো জানানো যাচ্ছে না।’

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমাদের টিম একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।’

বিষয়:

মধুপুর গড়ে নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সুবিধাভোগীদের ছাগল প্রদান

মধুপুর গড়ে নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির সুবিধাভোগীদের ছাগল বিতরণ করছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সমতল এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের মাঝে ছাগল বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে মধুপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের ব্যবস্থাপনায় এ বিতরণ কার্যক্রম হয়।

উপজেলার গাছাবাড়ি মিশনারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মধুপুরের সহকারি কমিশনার ভূমি রিফাত আনজুম পিয়া। মধুপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডা. শহিদুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন। এর আগেও এ প্রকল্পের কর্মসূচিতে প্রশিক্ষণসহ জীবনমান উন্নয়নে হাঁস, মুরগী, ভেড়া, গরু, ছাগল বিতরণও করা হয়েছে। সুবিধাভোগীরা এবার ছাগল পালনে এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সমতল এলাকার লাল মাটিতে গারো, কোচ, বর্মণদের বসবাস। এ এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর গারো কোচ বর্মণদের জীবনমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে সরকারের প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাণীসম্পদ বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে । আলোচনা সভা ও বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মধুপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুজ্জামান, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সভাপতি অজয় এ মৃ, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন একাংশের সভাপতি রঞ্জিত নকরেক, মধুপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান ও জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক দলের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পবিত্র সিমসাং প্রমুখ।

পরে এ প্রকল্পের ১৫০ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে ৫০ জনকে দুইটি করে ছাগল বিতরণ করে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গবাদিপশুর তড়কা রোগের ভ্যাকসিন প্রদান ও সচেতনতা লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম করা হয়।


গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াত নেতাদের মতবিনিময় সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (চজ) নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুষ্টিয়া জেলা শাখা। দলটির নেতারা মনে করেন, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোটারদের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটবে, সংখ্যালঘু ও নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। বুধবার দিকে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব মত প্রকাশ করেন জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।

কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরার সদস্য ও যশোর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ খন্দকার এ.কে.এম আলী মুহসিন।

কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের প্রচার-মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক ও কুষ্টিয়া শহর জামায়াতের আমীর এনামুল হকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও কুষ্টিয়া-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আব্দুল গফুর, ইসলামি চিন্তাবিদ ও জামায়াত মনোনীত কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মুফতি আমীর হামজা, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজা উদ্দিন জোয়ারদার, কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরার সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, দৌলতপুর উপজেলা আমীর ও জামায়াত মনোনীত কুষ্টিয়া-১ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ বেলাল উদ্দীন, কুষ্টিয়া-৪ আসনের প্রার্থী আফজাল হোসেন এবং কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

এ সময় কুষ্টিয়ার সাংবাদিক নেতারা, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়েও নেতাদের প্রতি দাবি জানান সাংবাদিকরা।


মুরাদনগরে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা দক্ষিণ

কুমিল্লার মুরাদনগরে ৫২তম জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরিশিক্ষা ক্রীড়া সমিতির গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলা স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরিশিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে কবি নজরুল মিনার প্রাঙ্গণে এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খাঁন।

সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিন কাদের খাঁন, একাডেমিক সুপারভাইজার কোহিনুর বেগম, কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান, সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম, নুরুন্নাহার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা হাছিনা আক্তারসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা।


কুষ্টিয়ার মিরপুরে কচুর লতি চাষ করে স্বাবলম্বী অনেকে

নারী উদ্যোক্তা আসমা খাতুনের ভাগ্য বদল
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে বারি পানি কচু-১ জাতের লতি কচুর চাষ করে নারী উদ্যোক্তা আসমা খাতুনের ভাগ্য বদলে গেছে। বর্ষার পানিতে ডুবে যাওয়া নিচু জমিতে সাধারণত কৃষকের চাষাবাদের আগ্রহ থাকে না। তবে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাঁড়ারা গ্রামের সেই জমিগুলোতে এখন সার্থকভাবে চাষ হচ্ছে লতি কচু। স্যাঁতসেতে নিচুও পানিযুক্ত জমিতে লতি কচুর আবাদ করে নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও এলাকার কৃষককে চাষে উদ্বুদ্ধ করতে প্রেরণা জোগাচ্ছে আসমা খাতুন। এলাকাটি ভেড়ামারা উপজেলা লাগোয়া হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরাও তাদের নিচু জমিতে লতি কচু আবাদের জন্য আগ্রহ দেখিয়ে আসমা খাতুনের সরণাপন্ন হচ্ছেন।

যশোর অঞ্চলের টেকসহ কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় বাণিজ্যিকভাবে লতি কচু চাষে উদ্যোগ নেন তিনি। গত ২০ মার্চ মিরপুর কৃষি অফিসের মাধ্যমে উন্নত জাতের বারি পানি কচু-১ এর চারা সংগ্রহ করে খাঁড়ারা ব্লকে ২০ শতক জমিতে তিনি এর চাষাবাদ শুরু করেন। অল্প সময়ে ভালো ফলন আর সুস্বাদু ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন খরচের চেয়ে লতি কচু চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় কচু চাষে অনেক ভালো সাফল্য পেয়েছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আসমা খাতুন খুবই খুশি। মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে তিনি এই কচু চাষ করে অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি কচুর লতি বিক্রি করছেন। প্রতি সপ্তাহে দুবার করে কচুর লতি বিক্রি করেন তিনি। প্রতিবারে ৫০ কেজি করে তিনি কচুর লতি বাজারে নিয়ে যান। প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে তিনি এ কচুর লতি বিক্রি করে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা এনেছেন।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার কচুর লতি বিক্রি করেছি বিক্রি করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরও ১ লাখ টাকা কচু বিক্রির করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

বারি পানি কচু-১ জাতের কচু আবাদ করছেন আমাদের গ্রামের আসমা খাতুন নামের একজন নারী। এই জাতের কচু চাষ করে তিনি নারী উদ্যোক্তা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন, এখন অনেক নারীই আসমা খাতুনের দেখা দেখি এই লতি কচুর চাষ করছেন।

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, লতি কচুর ফলন ভালো, স্বাদ উন্নত এবং বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অল্প খরচে অধিক মুনাফার জন্য ক্রমে কৃষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

মিরপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার ময়নুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাঁড়ারা ব্লকে জমিতে লতি কচুর চাষ হচ্ছে এবং প্রতি বছরই এখানে আবাদ বাড়ছে। সাধারণ কৃষক ছাড়াও নারীরা এই লতি কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, বর্ষায় নিচু জমিতে লতি কচুর চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। সরকারিভাবে যশোর অঞ্চলের টেকসহ কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা এখন এই ফসলকে অর্থকরী সবজি হিসেবে বিবেচনা করছে। সঠিক পরিচর্যায় অতি দ্রুত এর ফলন পাওয়া যায়। পুরুষদের পাশাপাশি এখন অনেক নারী উদ্যোক্তাও তৈরি হচ্ছে।


সড়কের পাশে ময়লার ভাগার, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নরসিংদীর মানুষ

প্রতিদিন গড়ে উৎপন্ন হয় ২১০ মেট্রিক টন বর্জ্য, নেই কোনো আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

ডাম্পিং স্টেশন ভরাট হয়ে যাওয়া নরসিংদী শহরের পাশে নতুন বাসটার্মিনালের সামনে দিয়ে নরসিংদী মদনগঞ্জ সড়কের উভয়পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। এতে করে সড়কের উভয় পাশে গড়ে উঠেছে বিশাল ময়লার ভাগার। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ময়লা-আর্বজনার স্তূপ। আর এ ময়লার স্তূপের দুর্গন্ত অনেক দূর পর্যন্ত ছড়াচ্ছে। ফলে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে পথচারীসহ এলাকার বসবাসকারী মানুষ।

জানা গেছে, ১৯৭২ সালে তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে যাত্রা শুরু করে নরসিংদী পৌরসভা। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এটি ছিল দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা। সময়ের পরিবর্তনে ২৬/৮/১৯৯৬ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয় নরসিংদী পৌরসভা। অথচ সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে এখনো পিছিয়ে রয়েছে এ পৌর এলাকা। নরসিংদী পৌরসভাটি ১০.৩২ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট। জরিপ মোতাবেক, এ পৌরসভায় বসবাস করেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৭১১ জন মানুষ। এখানে প্রতিদিন গড়ে ২১০ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হলেও সেগুলো অপসারণের জন্য নেই কোনো আধুনিক ব্যবস্থা কিংবা বড় ধরনের ডাম্পিং স্টেশন। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা সাধারণ পথচারী, শিক্ষার্থী এবং যানবাহনের যাত্রীরা পড়েছে চরম বেকায়দায়। নাকে রুমাল, মাক্স দিয়ে মুখ ঢেকে ও দুর্গন্ধ ঠেকানো যাচ্ছে না।

ফলে এ ময়লার আবর্জনার মধ্য দিয়েই সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী এবং যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া এ সড়কের পাশে গড়ে ওঠা অনেক শিল্পকারখানা ও বসতবাড়ির লোকেরা ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাদের এখানে বসবাস করা বা শিল্পকারখানা পরিচালনা করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

দেশের খ্যাত স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান আমানত শাহ গ্রুপের স্বত্বাধিকারী আলহাজ মো. হেলাল মিয়া জানান, এ সড়কের পাশে আমানত শাহ গ্রুপের প্রায় ১শত বিঘা জমি রয়েছে। এ জমিতে শিল্পকারখানা গড়ে তুলার জন্য সেটও নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় নরসিংদী পৌরসভার সমস্ত ময়লা আবর্জনা এখানে এনে ফেলা হচ্ছে। প্রায় অর্ধ কিলোমিটার জমিতে ময়লা ফেলে বিরাট স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ফলে এখানকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। এখানে শিল্পকারখানা গড়ে তুলা তো দূরের কথা, দুর্গন্ধে কাছেই যাওয়া যায় না। ময়লা আবর্জনার কারণে এখানে শিল্পকারখানা গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে আমানত শাহ গ্রুপের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

আলহাজ মো. হেলাল মিয়া গণমাধ্যমকে আরও বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে তিনি বেশ কয়েকবার নরসিংদী পৌর প্রশাসকের সাথে আলাপ করেছেন। প্রতিবারই পৌর প্রশাসক এখান থেকে ময়লা আবর্জনা সরিয়ে ফেলার আশ্বাস দিচ্ছেন। অথচ কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

সড়কের পাশের বাড়ির মালিক মো. ইমাম হোসেন জানান, ময়লা আবর্জনার গন্ধে এখানকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। আমাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে এখানে বসবাস করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে ঘুমাতে হয় এবং খাবার খেতে হয়। ঘর থেকে বের হতে হলে মুখে এবং নাকে রুমাল দিয়ে ঢেকে বের হতে হয়। এমনিভাবে আর কতদিন চলা যায়। তাই অতিদ্রুত এখান থেকে ময়লা আবর্জনা দূরে কোথাও নিয়ে ফেলার জন্য তিনি নরসিংদী পৌর প্রশাসকের প্রতি আহ্বান জানান।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও নরসিংদী পৌরসভার প্রশাসক মনোয়ার হোসেনের সাথে আলাপ করলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, নরসিংদী মদনগঞ্জ সড়কের ৫নং ব্রিজের পাশে নরসিংদী পৌরসভার ৩ একর জমিতে একটি ডাম্পিং স্টেশন রয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ ময়লা আবর্জনা জমছে সে পরিমাণে ডাম্পিং স্টেশনটি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল এবং ডাম্পিং স্টেশনটি বর্তমানে ভরাট হয়ে গেছে। বর্তমানে এ সড়কের উভয় পাশে সরকারি জায়গায় ময়লা ফেলা হচ্ছে। এ অবস্থা থাকবে না, অচিরেই এর একটা সুরাহা করা হচ্ছে। এখানে বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য ২১ কোটি ব্যয়ে একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। শুধু ওয়ার্ক অর্ডার বাকি রয়েছে। এটি হয়ে গেলেই আর কোনো সমস্যা থাকবে না বলে আমি মনে করছি।


প্রতি ঘণ্টায় বাস সার্ভিস চালুর দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে প্রতি ঘণ্টায় বাস সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন ‘আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থী জোট’। বুধবার ইবি পরিবহন প্রশাসকের নিকট দেওয়া এক লিখিত আবেদনে এ দাবি করেন জানান।

আবেদনে বলা হয়েছে, আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা ও পরামর্শ করেছি। তাদের প্রয়োজনীয় ও প্রাণের দাবি, পরিবহন পুলে ঘণ্টা প্রতি বাস সার্ভিস সংযুক্ত করা। এমন সার্ভিস চালু হলে অনেক শিক্ষার্থীর সময় নষ্ট কম হবে এবং শিক্ষার্থীদের সময়গুলো প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত হবে। তাই শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে পরিবহন পুলে ঘণ্টা প্রতি বাস সার্ভিস চালু করার অনুরোধ করছি।

এ সময় ‘আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘যে সকল শিক্ষার্থীরা নিয়মিত কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ থেকে এসে ক্লাস করেন এবং ক্যাম্পাসের যে সকল শিক্ষার্থী শহরে টিউশনিসহ অন্যান্য প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। বর্তমান শিডিউল অনুযায়ী তারা অনেক ভোগান্তিতে পড়ে এবং তাদের সময় অপ্রয়োজনীয় ভাবে নষ্ট হয়। আমরা সে জন্য পরিহন প্রশাসক স্যারের সাথে দেখা করে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বলেছি এবং তিনি আশ্বস্ত করেছেন আগামী সাত কার্যদিবসের। ভেতরে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করবেন। আশা করি এটি চালু হলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের মূল্যবান সময় যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারবে।

পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ বলেন, এর আগেও শিক্ষার্থীরা মৌখিক দাবি জানিয়েছিল। ফরমালি আজকে একটা প্রতিনিধি টিম এসে লিখিত দাবি জানিয়েছে। আমরা অবগত আছি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


চাকসু নির্বাচনে ৩৩ দফা সংস্কারের প্রতিশ্রতি

‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোটের’ ইশতেহার ঘোষণা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ ইশতেহার ঘোষণা করেছে। ইশতেহারে ১২ মাসে ৩৩ দফা সংস্কারের প্রতিশ্রতি দিয়েছে তারা। ৩৩ দফার মধ্যে রয়েছে, আবাসন সংকট নিরসন ও উন্নয়ন, শাটল ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন, নিরাপদ বাস সার্ভিস চালু, সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিতকরণ, সেশনজট নিরসন, কটেজ-মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের সুবিধা নিশ্চিত, নিয়মিত চাকসু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন, মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও নারীবান্ধব কমনরুম প্রতিষ্ঠা করা।

ইশতেহারে আরও উল্লেখ রয়েছে, যৌন হয়রানি ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধ, শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি, গবেষণায় উৎসাহ ও বরাদ্দ বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীবান্ধব লাইব্রেরি, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা, সাশ্রয়ী চিকিৎসা সুবিধা, নিরাপদ ও গ্রিন ক্যাম্পাস, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার প্রসার, প্রেয়ার রুম উন্নয়ন এবং সকল জাতিগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির কথাও রয়েছে। এছাড়া প্রশাসনিক অটোমেশন চালু, উচ্চশিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট সুযোগ বৃদ্ধি, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার ও বৃত্তি, টিএসসি ও সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, শরীর চর্চার সুযোগ সম্প্রসারণ, লিগ্যাল এইড সেল গঠন, অফিসিয়াল ই-মেইল ব্যবস্থার সহজলভ্যতা, অ্যালামনাই সমন্বয়, মেন্টাল হেলথ কাউন্সিল গঠন এবং অন-ক্যাম্পাস জবের ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয় ইশতেহারে।

প্যানেলটি ইশতেহারের মধ্যে নয়টি ফোকাস পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে, যেখানে আবাসন, যাতায়াত, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, নিরাপদ ও গ্রিন ক্যাম্পাস, সেশনজট নিরসন, অটোমেশন, শিক্ষা-গবেষণা ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন, নারীবান্ধব ক্যাম্পাস এবং ওয়েলফেয়ার কার্যক্রম।

গত মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী ইব্রাহীম রনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদেও ইব্রাহীম রনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও বাস্তব সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে ৩৩টি দফা সংস্কারের ইশতেহার ঘোষণা করেছি। আগামী ১২ মাসের মধ্যেই এসব দফা বাস্তবায়নে কাজ করব।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব, এজিএস পদপ্রার্থী সাজ্জাত হোসেন মুন্নাসহ অন্যান্য সদস্যরা।


শেরপুরে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেলেন ৪শ কৃষক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

২০২৫-২৬ অর্থবছরে রবি মৌসুমে কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বসতবাড়ি ও মাঠে শীতকালীন শাক-সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে শেরপুর সদরের ১৪টি প্রান্তিক ৮০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ সার ও বীজ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ কর্মসূচির ড়উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মুসলিমা খানম নীলু, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার নুসরাত জাহান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো আনোয়ার হোসেন।

শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিস জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রবি মৌসুমে কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বসতবাড়ি ও মাঠে শীতকালীন শাক সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউনিয়নের প্রান্তিক ৮০০ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের উদ্যেগ নেয় জেলা কৃষি বিভাগ। যেখানে বসতবাড়িতে শাক-সবজি চাষের জন্য ৩০০ জন কৃষক বেগুন, পালংশাক, লালশাক, মটরশুটি, লাউ, মুলাসহ রাসায়নিক সার পাবেন। এছাড়া মাঠে উপযুক্ত স্থানে সবজি চাষের জন্য ৮০ জন কৃষক পাবেন লাউ বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি। পাশাপাশি ১৪০ জন কৃষক ২০ শতাংশ জমির জন্য পাবেন ৪০ গ্রাম হাইব্রিড সবজি বীজসহ রাসায়নিক সার। সদরের চরাঞ্চলের ১৪০ জন কৃষক পাবেন, ২০ শতাংশ জমির জন্য ৬০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়া বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি। এছাড়া ১৪০ জন কৃষক পাবেন ২০ শতাংশ জমির জন্য ৪০ গ্রাম হাইব্রিড শসার বীজসহ প্রত্যেককে ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএপি সার।


উপদেষ্টা আসার খবরে পর্দা দিয়ে ঢাকলেন ময়লার স্তূপ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে অর্ন্তবর্তী সরকারের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রালয়ের বর্তমান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আসবে বলে সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্য চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। পরে সড়ক পথে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইলে উদ্যোশে রওনা দেন।

বন্দরনগর ভৈরব একটি বাণিজ্য এলাকা হওয়ায় আশেপাশের কয়েক জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেনে চড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে প্রতিদিন হাজারও মানুষ রেলওয়ে স্টেশন সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। তা ছাড়া শহরের ঘোড়াকান্দা পলাশের মোড় এলাকায় অবস্থিত ৩টি স্কুল রয়েছে এতে প্রায় হাজারও শিক্ষার্থী প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে হয়। শহরের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশনে যাওয়ার সড়কটির পাশে ঘোড়াকান্দা পলাশ মোড়ে প্রতিদিন ৩০-৪০ টন ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়ক দিয়েই চলাচল করা ট্রেনের যাত্রী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, আজকে সরকারের একজন উপদেষ্টা আসবে বলে কাপড়ের পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া ময়লার স্তূপ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ব্লিসিং পাউডার ছড়ানো হয়েছে যেন দুর্গন্ধ না ছড়ায়।

পৌর শহরের ঘোড়াকান্দা এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যেতে এই সড়ক দিয়ে যেতে হয়। সড়কটির পাশে রেলের পুকুরে অবাধে ময়লা আর্বজনা ফেলে ভরাট করছে। এতে ময়লা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে জনমনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

ভৈরব পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর মো.রফিকুল ইসলাম রোকন জানান, পৌরসভার নির্দিষ্ট ডাপিং ব্যবস্থা না থাকায় শহরের ময়লা আর্বজনা সড়কের পাশে রেলের জায়গায় ফেলতে হয়। আমরা প্রতিদিনই ময়লা আর্বজনা স্তূপে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকি। আজকে সরকারের রেলপথ উপদেষ্টা আসবেন বলে কাপড়ের পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। যাতে ভৈরবে আগত অতিথিদের চোখে না পড়ে।


টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে বরিশালের রাজিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরিশাল ব্যুরো 

মাত্র ১৮ বছর বয়সেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন বরিশালের ভাটার খাল এলাকার রাজিয়া। ফুসফুসে পানি জমে যাওয়া ও টিবি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত এই তরুণী এখন বিছানায় কাতরাচ্ছেন। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

বরিশাল নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের ভাটার খালবস্তি এলাকার দিনমজুর আবদুল রাজ্জাক ফকিরের মেয়ে রাজিয়া। প্রায় পাঁচ মাস আগে হঠাৎ জ্বর ও কাশিতে ভুগতে শুরু করেন তিনি। প্রথমে স্থানীয় ফার্মেসির ওষুধে জ্বর কমলেও কাশি কমছিল না। পরে ডাক্তারের পরামর্শে পরীক্ষা করলে জানা যায়, তিনি টিবিতে আক্রান্ত। চিকিৎসা নিতে নিতে ফুসফুসে পানি জমে যায়। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও অভাবের কারণে তা করা সম্ভব হচ্ছে না।

যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত রাজিয়া বলেন, ফুসফুসে পানি জমে গেছে। ডাক্তার বলেছেন, অপারেশন করা খুব জরুরি। কিন্তু আমার কাছে কোনো টাকা নেই। আল্লাহ যতদিন বাঁচিয়ে রাখেন, ততদিনই বাঁচব। মাঝে মাঝে কষ্টে মনে হয়, মরে যাই।

রাজিয়া বলেন, রোগে আক্রান্ত শুনে স্বামী আমাকে আর সন্তানকেও ছেড়ে গেছে। এখন মেয়েটার মুখটাও দেখতে পারি না। একজন মায়ের জন্য এর চেয়ে বড় কষ্ট কিছু হতে পারে না।

বাবা রাজ্জাক ফকির বলেন, বয়সের কারণে এখন কাজ করতে পারি না। আগের মতো ভ্যান চালাতে পারি না। আমার মেয়ের টিবি ধরা পড়ার পর তার স্বামী ৩ বছরের সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। মেয়ে এখন আমার কাছে পড়ে আছে, অথচ চিকিৎসার খরচ জোগাতে পারছি না। এটা এক অসহ্য কষ্ট।

অসহায় বাবা রাজ্জাকের চোখে এখন একটাই আকুতি মেয়েটাকে বাঁচাতে দেশের বিত্তশালীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। চিকিৎসায় সাহায্য পাঠাতে বাবা আবদুল রাজ্জাক ফকিরকে ০১৭৬২-৫৫২৮৭৯ এই নম্বরে ফোন করার অনুরোধ জানিয়েছেন।


পাবনায় ১৩৬ জনের নামে চার্জশিট দাখিল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবু সাইদ চেয়ারম্যানসহ ১৩৬ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ মামলায় বিভিন্ন সময় ৩৫ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত।

পাবনা জেলা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম সরওয়ার খান জুয়েল বলেন, রাতেই তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই ফোনে জানিয়েছেন। চার্জশিটের কোনো কপি বা অনুলিপি এখনো হাতে পাইনি। এ মামলার এজাহারে ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সম্ভবত একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। এ ক্ষেত্রে তদন্তে আরও ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহার থেকে কারও নাম বাদ যায়নি বলে জেনেছি। এজাহারের কপি হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে শহরের ট্রাফিক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ হামলা ও গুলি চালান বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় সদরের চর বলরামপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে ও পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম (১৮) এবং হাজিরহাট বেতেপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও শহরের সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহবুব হোসেন নিলয় (১৬) নিহত হন।


ফেনীতে ৪ লাখ ২৫ হাজার শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে শিশু কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে ‘টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশনবিষয়ক’ দিনব্যাপী কনসালটেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‎বুধবার জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ফেনী সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

‎অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালিযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তর তথ্য ও সম্প্রচার মন্তনালয়ের মহাপরিচালক ফয়জুল হক।

ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম সভাপতিত্বে ও জেলা তথ্য অফিসার এস এম আল আমিনের সঞ্চালনায় ‎কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ফাউন্ডেশন ফেনীর উপপরিচালক নাজমুস সাকিব, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদুল হাসান। টাইফয়েড টিকাদান বিষয় নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রনয় কুমার চক্রবর্তী।

এছাড়া জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

ওরিয়েন্টেশনে ‎সভাপতি ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম তার বক্তব্যে বলেন, টাইফয়েড টিকা রেজিস্ট্রেশনে বাংলাদেশের মধ্যে ২য় স্থানে রয়েছে ফেনী জেলা। জেলায় ৪ লাখ ২৫ হাজার শিশুর টিকা দেওয়ার লক্ষে ইতোমধ্যে ৩ লাখ ৮ হাজার শিশুর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম চলছে।

প্রধান অতিথি গণযোগাযোগ অধিদপ্তর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফয়জুল হক বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে কেউ টাইফয়েডের টিকা নিতে চাইলে টিকার মান নিশ্চিত হবে না। তা ছাড়া এই টিকার জন্য অনেক টাকা খরচ করতে হবে। কিন্তু সরকার যে টিকা দিচ্ছে তা নিরাপদ, হালাল এবং বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।


সোনাইমুড়ীতে ডিজিটাল এক্সেরে উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ৭ বছর ধরে এক্স-রে মেশিন বন্ধ থাকার পর আবার রোগীদের নির্ভুল চিকিৎসাসেবা দিতে চালু হলো ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইশরাত জাহান এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

উপজেলা হেলথ কেয়ার প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন, ডাক্তার শফিকুর রহমান, তাহামিনা আলম, সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম, এক্সরে টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ সেলিম, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইপিআই ইলিয়াস মামুন প্রমুখ।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ১৯৯২ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে ব্যবস্থা চালু হয়। কিন্তু চালুর পর থেকেই মেশিনটি কয়েকবার মেরামত করা হয়। গত ৭ বছর ধরে এক্সরে মেশিন বিকল হাওয়ায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে অতিরিক্ত ফি দিয়ে এক্সে-রে করাতে বাধ্য হন রোগীরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইশরাত জাহান বলেন, এক্স-রে মেশিন চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র পাঠানোর পরে এই আধুনিক (৫০০ এম এম) মেশিনটি হাসপাতালে দিয়েছেন। নোয়াখালীর অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে এ উন্নত মানের এক্সরে মেশিন নেই। রোগীরা সরকারি ফি দিয়ে এখানে এক্সেরে করতে পারবেন। তবে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনে রোগীদের রোগ নির্ণয়ে সুবিধা হবে।


banner close