রোববার, ৩ আগস্ট ২০২৫
১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

রেকর্ড বৃষ্টিতে ডুবেছে খুলনা

রেকর্ড বৃষ্টিতে খুলনা শহরজুড়ে এমন জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত
খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:০৭

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে খুলনায়। একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে খুলনা শহরের অধিকাংশ সড়কে দুই থেকে তিন ফুট পানি জমেছিল। এতে দীর্ঘক্ষণ যানচলাচল বন্ধ ছিল শহরের অনেক এলাকায়।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থে‌কে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় রেকর্ড ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টাতেই বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় এত বেশি বৃষ্টি হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই চলতি বছরেও এক দিনে খুলনায় এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।’

আমিরুল আজাদ বলেন, ‘ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরি হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাতসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হচ্ছে।’

আবহাওয়া অফিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সৃষ্ট মেঘমালা ক্রমে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। ফলে ঝড়ো হাওয়া এখন কমে গেছে। বর্তমানে খুলনায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার। আগামী তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

ভারী বৃষ্টির কারণে খুলনা শহরের রয়্যাল মোড়, সাতরাস্তা মোড়, মডার্ন মোড়, ময়লাপোতা, শিববাড়ী, সোনাডাঙ্গা, নিরালা, দৌলতপুর, রূপসা, মুজগুন্নী, নতুনরাস্তা ও বয়রাসহ অধিকাংশ এলাকায় দুই থেকে তিন ফুট পানি জমেছিল। আবা‌সি‌ক বাড়ি, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানগুলোর নিচতলায় পানি প্রবেশ করেছিল।’

খুলনা মহানগরীর রূপসা এলাকার বাসিন্দা এহতেশামুল হক শাওন বলেন, ‘আমরা ১৯৮৭ সালে বাড়ি বানিয়েছি। কখনো আমাদের বাড়ির নিচতলায় পানি ওঠেনি। তবে গত রাতে এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে যে, বাড়ির নিচতলায় পানি ঢুকে গেছে।’

নিরালা এলাকার বাসিন্দা বদোরউদ্দীন বলেন, ‘শহরের অনেক ড্রেনের কাজ চলছে। সে কারণে বৃষ্টির পানি আটকে পড়েছে। তাতেই দুর্ভোগ বেড়েছে। এ ছাড়া শহরের নদীগুলো বেদখল রয়েছে। সেখান থেকে পানি নামতে পারে না। ফলে দুর্ভোগও কমে না।’

খুলনা সিটি করপোরেশনের সুপারেনটেনড্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে খুলনার অধিকাংশ রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছিল। আমাদের কর্মীরা দ্রুত বিভিন্ন ড্রেনের নালা ছাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে পানি সরে গেছে।’


পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলীর মৃত্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার শোকপ্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সচিবালয় প্রতিবেদক

পরমাণু বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. এম শমশের আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম।

এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলীর অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

উল্লেখ্য, পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলী শনিবার (২রা আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।


ভরা মৌসুমে ইলিশের আকাল,চিন্তিত লক্ষাধিক জেলে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 মাহবুবুর রহমান,নোয়াখালী

বর্ষার ভরা মৌসুমে মিলছেনা ইলিশের দেখা। শুন্য হাতে ফিরছে জেলে নৌকা গুলো। ফলে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়ার লক্ষাধিক জেলে পরিবারকে। চোখে মূখে হতাশা ও চিন্তার ছাপ। জেলে, শ্রমিক, ব্যাপারী ও আড়ৎদার সবার একই অবস্থা।

হাতিয়া উপজেলায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজারের মতো জেলে রয়েছে। যাদের জীবিকা সরাসরি জড়িত মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ও বিক্রির সাথে। এই জেলেদের মধ্যে প্রায় ৮০% ভাগ নির্ভর করে শুধুমাত্র ইলিশের মৌসুমের উপর। অথচ চলতি মৌসুমে জেলেরা বলছেন, মাছ ধরতে গিয়ে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে।

এপ্রিল থেকে আগষ্ট পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুম। এসময় জেলেরা পুরোপুরি ভাবে ব্যাস্ত সময় পার করে ইলিশ শিকারে। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে ব্যাস্ত সময় পার করছে। নিঝুমদ্বীপ, বন্দরটিলা, সুইজের ঘাট, মোক্তারিয়া, দানারদোল, সূর্যমূখী, কাজিরবাজার বাংলাবাজার ও চেয়ারম্যানঘাট সহ দ্বীপের বড় ২০ টি ঘাটের ছোট বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে নৌকা নদীতে বিচরণ করছে। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো জেলেদের জালে মিলছে না কাংখিত ইলিশ। প্রতিদিনই শুন্য হাতে ঘাটে ফিরতে হচ্ছে তাদের। মৌসুমের বেশিরভাগ সময় ফেরিয়ে গেলেও এখনো লাভের মুখ দেখেনি তারা। অন্যদিকে নদীতে যেতে প্রতিদিনই যে ব্যয় হচ্ছে তাতে আর্থিক দেনার পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে পরিবারের দৈনন্দিন ব্যয় মিটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ঘাট গুলোতে হাঁকডাক নেই, দেখা দিয়েছে নিরব নিস্তব্দতা ও হতাশা।

সরেজমিনে উপজেলার সূর্যমূখী ঘাটে গিয়ে দেখাযায়, দক্ষিন পাশে খাল পাড়ে বসে আছেন করিম মাঝি (৫৮) নামে এক জেলে। কুশল বিনিময়ের এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।মূখের দাড়ি বেয়ে পড়তে থাকে চোখের পানি। করিম মাঝি বলেন, সিজনের শুরুতে ধার দেনা করে নদীতে নামি। যা মাছ পাই তা বিক্রি করে তেল খরচও মিটাতে পারিনা। এজন্য গত চারদিন নদীতে না গিয়ে ঘাটে বেকার বসে আছি। প্রতি সপ্তাহে এনজিও থেকে কিস্তির জন্য লোকজন আসেন। পরিবারের খরচ চলেনা। সমুদ্রে মাছ নেই চুলায় আগুন নেই।

করিম মাঝির মত অনেকে খাল পাড়ে দাড়িয়ে থেকে বসে সময় কাটাচ্ছেন। সবার মূখে হতাশার চাপ। কথা হয় সূর্যমূখী ঘাটের আব্দুর রব মাঝির সাথে । তিনি জানান, তার ইঞ্জিন চালিত নৌকায় ৮জন লোক কাজ করেন। গত দুই মাসে একটাকাও ভাগে পায়নি কেউ। একদিকে নৌকার খরচ অন্যদিকে সংসারের ব্যয় । সবমিলে দু মাসে একলাখ ৫০ হাজার টাকা দেনার মধ্যে পড়ে আছেন। এর মধ্যে দুজন লোক কাউকে না বলে গোপনে চট্রগ্রাম চলে গেছেন। এখন নৌকাটি ঘাটে পড়ে আছে। লোকের অভাবে নদীতে যেতে পারছেন না। তিনি আরো জানান, এই ঘাটে স্থানীয় ও বাহিরের মিলে ৫ শতাধিক ট্রলার রয়েছে। সব মিলে ৩০-৪০ টি ট্রলার নদীতে যায়। অন্যরা সবাই ঘাটে বেকার সময় পার করছে। মাছ না থাকায় কেউ এখন নদীতে যায়না।

সূযমূখী মাছ ঘাটের শ্রমিক সর্দার নুর ইসলাম জানান, তার অধিনে এই ঘাটে ৮৫ জন শ্রমিক কাজ করে। খালে কোন নৌকা বা ট্রলার এলে তারা টুরকিতে করে সেই মাছ ডাকের বাক্সে এনে দেয়। প্রতিদিন যে টাকা পায় তা ভাগ করে নেয়। এই বছর প্রথম থেকে মাছ নেই নদীতে। প্রতিদিন কাজ শেষে ভাগে ৩০-৪০ টাকা করে পায় শ্রমিকরা। এতে নিজেদের চা নাস্তাও হয় না। সংসার চালাতে হয় দেনা করে।

সূর্যমূখী ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মো: ফয়েজুর রহমান নান্টু বলেন, ৯৩ সাল থেকে মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত। এই বছরের মতো এতো কঠিন অবস্থা আর কখনো দেখিনি। মৌসুমের প্রথম থেকে মাছ নেই। অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অন্যত্র চলে গেছে। ঘাটে পড়ে থাকা অসংখ্য জেলে নৌকার জেলেরা পালিয়ে গেছে। ঘাটে সবার মূখে হতাশা। একধরনের নিরব হাহাকার চলেছে জেলে পল্লী ও মাছ ঘাটে। তিনি আরো বলেন, শুধু সূর্যমূখী ঘাটে নয় একই অবস্থা হাতিয়ার ২০টি ঘাটে। মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত সবাই অনেকটা দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।

এছাড়াও জেলেদের অভিযোগ , বরাদ্দকৃত প্রণোদনা ও চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম রয়েছে। প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হচ্ছেন সহায়তা থেকে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান দৈনিক বাংলাকে বলেন, 'এখনতো আমাবস্যা চলতেছে,এখন আগের তুলনায় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। জেলেরা যদি বলে মাছ পায়না এটা ঠিক না। আমিতো এখানে একবছর যাবৎ চাকুরী করি, জেলেরা সবসময় বলে মাছ পায়না। অনেকের লাভ লোকসানের বিষয় থাকতেই পারে। এটাতো নদীর মাছ চাষের না, এখানেতো আর পুরোপুরি হাত নাই।'

তিনি ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ার কারন হিসাবে জাটকা নিধন, মা ইলিশ ধরা ছাড়াও ডুবো চর, জলবায়ুর পরিবর্তন। এছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় কলকারখানার বর্জ্য নদীতে আসাতে মাছের বিচরণ অনিরাপদ হয়ে উঠছে বলে উল্লেখ করেন ।

নোয়াখালী জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ' আমি গত পরশু চেয়ারম্যানঘাট, নিঝুম দ্বীপ ও সূর্যমুখী ঘাটে গিয়েছি। জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে তবে তাদের আশানুরূপ পাচ্ছেনা। ইলিশ পরিপূর্ণভাবে আসে আগষ্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরে। আশাকরি সামনের এসময়ে তারা পর্যাপ্ত ইলিশ ধরতে পারবে।'


হাটহাজারীতে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাবলু দাশ,হাটহাজারী( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সালিশি বৈঠকে ফখরুল ইসলাম (৫৮) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশ নুর আলম (৪২) ও মো.মুসলিম (৪৫) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে হাটহাজারী থানাধীন ১নং চসিকস্থ সন্দীপ কলোনির আমতলী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ফখরুল ইসলাম উল্লেখিত এলাকার ফয়জল মাওলার পুত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের ২৭ জুলাই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে উল্লেখিত এলাকার জান্নাতুল মায়মুনা রুমিকে ওই এলাকার রিফাত ও তার সহযোগী জাহিদ,বাদল,রিপন,আব্দুর রহমান জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে রিফাত জোরপূর্বক তাকে বিয়ের রেজিস্টারে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এদিকে ভিক্টিমের পরিবার জান্নাতুল মাইমুনা রুমিকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঘটনারদিন রাতেই হাটহাজারী মডেল থানায় জিডি করেন। এরপর হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে সেখানকার থানা পুলিশের সহযোগিতায় জান্নাতুল মাইমুনা রুমিকে উদ্ধার করে হাটহাজারী এনে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে শুক্রবার রাতে ছেলে মেয়ে উভয় পক্ষ একটি সমাধানের জন্য সন্দীপ কলোনীর আমতলী এলাকায় সালিশে বৈঠকে বসে। সেখানে এলাকার সমাজ প্রতিনিধি মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানার সময় ছেলে পক্ষ এবং মেয়ে পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ লেগে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মেয়ের বাবা ফখরুল ইসলামের উপর হামলা চালালে তিনি অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


নওগাঁয় নারীকে এলোপাতাড়ি  কুপিয়ে জখম করলেন বাবা ছেলে

আপডেটেড ৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:২৫
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বৈকুন্ঠপুর গ্রামে শাবনাজ আক্তার (৩২) নামের এক নারীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে।

‎ গত ৩০ জুলাই সকালে নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত শাবনাজ নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের মৃত আবুলের ছেলে মো. সোহাগ (৩৬) এবং তার ছেলে মো. শুভ (১৯)।

‎স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগেও গত ৯ জুলাই দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে সোহাগ, গোলাপ, শুভ, রিনা ও সাবিনা ইয়াসমিন দলবদ্ধ হয়ে শাবনাজের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির বাগানে থাকা পেয়ারা, বাদাম ও আম গাছসহ বিভিন্ন ফলগাছ কেটে ফেলে। এ সময় শাবনাজ ও তার মা রশিদা বেগমকে বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়, যার ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা ও জখম হয়। অভিযুক্তরা ঘরের আলমারি ভেঙে আট আনার একটি স্বর্ণের চেইন (মূল্য আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা) ও বিদেশযাত্রার জন্য জমাকৃত নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। বাধা দিলে শাবনাজ ও তার মায়ের পোশাক ছিঁড়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে।

‎‎এ ঘটনায় শাবনাজের মা রশিদা বেগম বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ১ জনকে গ্রেপ্তার করলেও পরে জামিনে মুক্ত হয়ে গোলাপ বিদেশে চলে যায়। মামলার জেরে গত ২৯ জুলাই অভিযুক্তরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে শাবনাজের বাড়িতে গিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।

‎গত ৩০ জুলাই পাশের বিরোধপূর্ণ জমিতে মরিচ গাছ কাটতে গেলে শাবনাজ নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ ও তার ছেলে শুভ ধারালো হাসুয়া নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে শাবনাজের হাত ও মুখে গুরুতর জখম হয়। পরে তার তার ভাই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

‎ভুক্তভোগী শাবনাজ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমাকে এর আগেও একাধিকবার হামলা করেছে। কোথায় যাবো, কী করবো বুঝতে পারছি না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই সোহাগ, শুভ, গোলাপসহ কয়েকজন আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। আমার বিদেশ যাওয়ার জন্য জমাকৃত সব টাকা ও স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে। সেদিন আমাদের জমির মরিচ গাছ কেটে ফেলছিল, আমি বাধা দিতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি ও হাসুয়া নিয়ে আমাকে কোপাতে থাকে সোহাগ,শুভ আরো ২-৩ জন। চিৎকার করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি, তবুও তারা থামেনি। আমি ও আমার পরিবারের উপর একাধিক হামলার সঠিক বিচার চাই।”

‎শাবনাজের মা রশিদা বেগম (৬৫) বলেন, “বর্তমানে সোহাগ ও তার ছেলে শুভ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। কথায় কথায় বাড়ি থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমরা ভয়ে থানায় অভিযোগ করতেও পারি না। মামলা করায় আবারও মেয়ের উপর হামলা করে গুরুতর জখম করেছে। আমরা গরিব মানুষ, দয়া করে আমাদের বাঁচান।”

‎এ বিষয়ে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমান বলেন, “জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে নারীর ওপর হামলার খবর পেয়েছি। তারা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


রাঙামাটির বাঘাইছড়ি–দিঘিনালা সড়কে পাহাড় ধস

৮ ঘন্টা পর সড়ক যোগাযোগ সচল 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি 

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার একমাত্র আন্তঃজেলা সংযোগ সড়ক মারিশ্যা–দিঘিনালা সড়কে পাহাড় ধসের কারণে রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাঘাইছড়ি - খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়কের ৯, ১০ ও ১৪ কিলোমিটার এলাকায় পাহাড় ধসে পড়েড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে । এতে চট্টগ্রামগামী শান্তি পরিবহনের একটি বাসসহ বেশ কয়েকটি ছোট-বড় যানবাহন আটকে পড়ে এবং ভোগান্তিতে পড়েন শতাধিক যাত্রী।

বাঘাইছড়ি পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শান্তি পরিবহনের লাইনম্যান গিয়াসউদ্দিন নাছির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,

এখন পর্যন্ত তিনটি স্থানে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। সব যানবাহন সড়কে আটকে আছে, এখনও মাটি সরানোর কাজ শুরু হয়নি।”

শান্তি পরিবহনের এক যাত্রী মো. আরমান বলেন, “সকাল থেকে গাড়িতে আটকে আছি, চারপাশে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে, বড় ধসের শঙ্কা থেকে যাচ্ছে।”

এদিকে, খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রিয়দর্শী চাকমা জানান, “পাহাড় ধসের খবর পেয়ে দ্রুত কর্মী পাঠানো হয়েছে। ধসের মাটি সরাতে কিছুটা সময় লাগছে।”

পরে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, “সকাল থেকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও এখন সড়ক যোগাযোগ সচল হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে।”

টানা বৃষ্টিতে বাঘাইছড়ির নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।


মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষক নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শওকত আলী (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
নিহত শওকত আলী ভাটপাড়া গ্রামের মৃত ফরাতুল্লাহ কাজীর ছেলে।
আজ রবিবার (৩ জুলাই) সকাল ১১ টার সময় নিজ জমির মটারের বিদ্যুৎ লাইনের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১ টার দিকে কৃষক শওকত আলী নিজের জমির মটার চালু করতে সুইচ দিতে যান। এসময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাত ও বুকের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তবে, একটি সূত্র জানান, কৃষক শওকত আলীর মটারের বিদ্যুতের লাইনটি দীর্ঘদিন যাবৎ ফুটো হয়ে ছিল। মাঝে মধ্যে সেখানে স্কসটেপ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে সেটি সচল রাখতেন। আজকেও সেই ফুটো জায়গায় স্কচটেপ মোড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।


কাপ্তাই লেকে পানি ১০৭ ফুটের কাছাকাছি, আর ১ ফুট বাড়লেই খুলবে জলকপাট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি 

টানা বৃষ্টির কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা বাড়ছে ক্রমাগত। রবিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১০টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা পৌঁছেছে ১০৬.৮৪ ফুট মীন সি লেভেল পর্যন্ত, যা ১০৭ ফুটের কাছাকাছি।

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র (কপাবিকে)-এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, যদি পানির উচ্চতা ১০৮ ফুট ছাড়িয়ে যায়, তবে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে এবং লেকের অতিরিক্ত পানি কর্ণফুলি নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ জনগণকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান আরও জানান, শনিবার (২ আগস্ট) রাত ৮টা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১০৬.৪২ ফুট। সে তুলনায় মাত্র ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ০.৪২ ফুট পানি বেড়েছে, যা প্রমাণ করে বৃষ্টির কারণে পানি দ্রুত বাড়ছে।

চালু আছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট পানির চাপ বাড়লেও বর্তমানে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট সচল রয়েছে। রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই ইউনিটগুলো থেকে মোট ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।

উৎপাদন বিবরণী অনুযায়ী:-

১ ও ২ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিটিতে ৪৬ মেগাওয়াট করে মোট ৯২ মেগাওয়াট।

৩ নম্বর ইউনিট থেকে ৪৭ মেগাওয়াট।

৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিটিতে ৪০ মেগাওয়াট করে মোট ৮০ মেগাওয়াট উৎপাদিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের একমাত্র পানি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই হাইড্রো-পাওয়ার প্লান্টের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট। এখানকার উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা।


রাঙামাটিতে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ রোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ রোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা। আজ শনিবার রাঙামাটি জিমনেশিয়াম মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

জেলা প্রশাসক মো: হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব এমএ আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক আব্দুল আওয়াল সরকার, পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ নুয়েন খীসা, ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. জাহিদুর রহমান মিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগের বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, ঝুম নিয়ন্ত্রণ বনবিভাগের রেনজ অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান, দক্ষিণ বন বিভাগের মোঃ আব্দুল হামিদ, উত্তর বন বিভাগের কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন,

"প্রকৃতির কাছে আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে দায়ী। মানুষের অবিবেচিত কার্যকলাপের ফলেই আজ প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্রমাগত ধ্বংসের মুখে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে। এই অবস্থায় পরিবেশ রক্ষায় আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। সবুজ বাংলাদেশ গড়তে পরিকল্পিত ও টেকসই বনায়নের বিকল্প নেই।

আলোচনা সভার আগে বৃক্ষমেলা উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলা প্রাঙ্গনে শেষ হয়।

আলোচনা সভা শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়।


আড়াইহাজারে পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এম এস ডালিম- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী দুলাল রায় (৫০) কে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহরণের প্রায় ৯ ঘণ্টা পর শনিবার (২ আগস্ট) ভোর ৫টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে তাকে উদ্ধার করা হয়।

ভুক্তভোগী দুলাল রায় উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের ভৈবরদী গ্রামের ননী গোপাল রায়ের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে আড়াইহাজারের মাহমুদপুর ইউনিয়নের সালমদী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুলাল রায়কে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে একটি হাইয়েস গাড়িতে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর দুলালের মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রীর কাছে কল দিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। এ ঘটনার পর দুলালের স্ত্রী ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো. সোহেল রানার টিম, ডিবির ওসি খন্দকার জহির উদ্দিন আহাম্মদ এর নেতৃত্বে অভিযান শুরু করে।

পরবর্তীতে শনিবার ভোর ৫টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় দুলাল রায়কে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা। সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান বলেন, অপহরণকারীদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন চালু থাকায় প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পুলিশি তৎপরতা বুঝতে পরে তারা দুলাল রায়কে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।


রাস্তার অনিয়ম অস্বীকার করায় এলজিইডি কর্মচারীকে গণপিটুনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হোসেন রায়হান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় রাস্তার কাজের অনিয়মের কথা অস্বীকার করায় বোদা উপজেলা এলজিইডির কার্য-সহকারী জাহিদুল ইসলামকে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা।
আজ শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের গাইঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাইঘাটা এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছিল। কাজের মান খারাপ হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। শনিবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ জনতা কাজ বন্ধ করে দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছান উপজেলা এলজিইডির কার্য-সহকারী জাহিদুল ইসলাম। তিনি কাজের অনিয়ম অস্বীকার করলে উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়। পরে তিনি একটি ধানক্ষেতে আশ্রয় নিয়ে কোনোমতে প্রাণ রক্ষা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন বলেন,এই রাস্তার কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। পাশের আরেকটি রাস্তায় কাজ শেষ হলেও এই রাস্তায় বারবার কাজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনিয়মের কারণে। এবারও স্থানীয়রা অভিযোগ করলে আমি নিজে গিয়ে দেখি, সত্যিই কাজের মান অত্যন্ত খারাপ। আমি স্থানীয়দের সহযোগিতায় কাজ বন্ধ করে দিই।”
স্থানীয় ইউসুফ আলী বলেন, “আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি সামান্য ব্যবহারে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। মিস্ত্রিরা তখন হাতুড়ি দিয়ে সেটা ঠিক করার চেষ্টা করেন।”
স্থানীয় যুবক মাসুদ রানা বলেন, “আমাদের বাড়ির পাশে এই রাস্তায় কাজ চলছিল। দেখি কাদা ও ধুলাবালির ওপরেই কার্পেটিং চলছে। প্রতিবাদ করলে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়।”
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মিস্ত্রি আবুল কালাম কাজের অনিয়ম স্বীকার করে বলেন, “বৃষ্টির কারণে কিছু জায়গায় বালু ছিলো, তবুও কার্পেটিং করা হয়েছে। রাস্তার ময়লা না সরিয়ে কাজ শুরু করায় কার্পেটিং উঠে গেছে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কার্য-সহকারী জাহিদুল ইসলাম বলেন,অফিস থেকে আমাকে বলা হয় কাজ দেখতে যেতে। গিয়ে দেখি স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি সাংবাদিকদের বলি যে, অনিয়ম হয়নি। তখনই লোকজন উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারধর করে। কোনোমতে পালিয়ে বাঁচি।”
তিনি আরও জানান,১০ দিন আগে বিটুমিনাস প্রাইম কোট দেওয়া হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে কিছু বালু পড়ে গিয়েছিল। পরিষ্কার না করেই কার্পেটিং করায় সমস্যা হয়েছে।”
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমআর ট্রেডার্সের প্রতিনিধি মিজানুর ইসলাম জানান, “এটি ২০২০-২১ অর্থবছরের কাজ। আমি সাব-ঠিকাদার হিসেবে যুক্ত ছিলাম, বিস্তারিত এখন মনে নেই।
এদিকে বোদা উপজোলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। কাজের অনিয়ম হলে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান বলেন, “রাস্তার কাজের অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে কেউ গণপিটুনির শিকার হয়েছেন, এমন খবর এখনও পাইনি।”


কাঁচা রাস্তা পাকা করণের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হাসনাইন তালুকদার দিবস, ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়ন। সেখানকার উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামের একটি কাঁচা রাস্তা ৫০ বছর ধরে ভোগাচ্ছে। এলাকাবাসী বলছেন, কত সরকার বদল হলো কিন্ত আমাদের দুর্ভোগের কথা শোনেননি কেউ।

শনিবার ২ আগস্ট সকালে ঐ রাস্তায় কচুগাছ রোপন করে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানায় স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। একই সময় চার কিলোমিটার দৈর্ঘের এই কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের দাবিতে সেখানে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। এ মানববন্ধনে অংশ নেন সাতুরিয়া ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সমাজসেবীরা।

কচুগাছ রোপন এবং মানববন্ধন শেষে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলেন স্থানীয় আব্দুল লতিফ মোল্লা, আবুল বাশার, ইয়াসিন, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, নাজমিন বেগম এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লাবিদ ও মাহিম।

তারা বলেন, সাতুরিয়া ইউনিঢনের মোল্লাবাড়ি থেকে জোড়াপোল হয়ে গোয়ালবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি স্বাধীনতার পর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ৫০ বছরের অধিক সময় পেড়িয়ে গেলেও এই সরকটি অদ্যাবধি পাকা করা হয়নি। বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তা পানি ও কাদায় একাকার হয়ে যায়।'

দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোল্লাবাড়ি থেকে জোড়াপোল হয়ে গোয়ালবাড়ি পর্যন্ত কাঁচা সড়কটি প্রশস্ত করে পাকা করার আহ্বান জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।


ইবিতে ৫৩৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকার প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে পর্যালোচনা সভা 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি. কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন (তৃতীয় পর্যায়)-১ম সংশোধিত শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের কনফারেন্স কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে উন্নয়ন (তৃতীয় পর্যায়)-১ম সংশোধিত শীর্ষক ৫৩৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকার প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সভায় উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) এ.কে.এম শরীফ উদ্দীন, প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ নওয়াব আলী, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক রোকসানা লায়লা, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা অধিশাখা) মীর্জা মোহাম্মদ আলী রেজা, যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা-৩) আহমেদ শিবলী, একনেক বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব স্নিগ্ধা তালুকদার, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের উপ-পরিচালক নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্য্যক্রম বিভাগের ডেপুটি চীফ বাবুলাল রবিদাস প্রমুখ।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে প্রকল্পের বিভিন্ন সাইট সরেজমিন পরিদর্শনে করেন। প্রতিনিধি দল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা কাজের সময় শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক রোকসানা লায়লা এবং সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন।


ফরিদপুরে মাদার অফ জুলাই উপলক্ষে আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে মাদার অফ জুলাই উপলক্ষে আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা বারোটার দিকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও মহিলা অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মাশউদা হোসেন । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল. বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আজম ‌।

এসময় বক্তব্য রাখেন এডভোকেট মেহেরুন নেছা স্বপ্না । জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহীদ জান শরিক মিঠুর মা হানুফা আলম ‌, শহীদ সিরাজুল বেপারীর মা ‌‌তার স্ত্রী , শহীদ শামসু মোল্লার স্ত্রী ‌ মেঘলা বেগম। জুলাই যোদ্ধা আহত সজীব ইসলামের মাতা, কাজী রিয়াজের মাতা, জুলাই যোদ্ধা জাকিয়া ফারজানা, কাজী জেবা তাহসিন আর এম হৃদয়, সোহেল রানা

কাজি রিয়াজ, সাব্বির হোসেন খান, রাফিউল ইসলাম সিয়াম , জান্নাতি খানম ‌ প্রমুখ।

সভায় বক্তারা তুলাই গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরেন । তাতে অংশগ্রহণকারী ‌ তাদের পরিবারের সদস্যদের হারানোর দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, পরিবারের একজন সদস্য হারানো যে কতখানি কষ্টর তা পরিবারের ‌ বাকি সদস্যরা বুঝতে পারেন।

একজন মা তার সন্তানের না থাকার অভাব বুঝতে পারেন। ।

তারা বলেন, যে প্রত্যাশা করে আমাদের ছেলেরা জুলাই গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল তা পূরণ হয়নি। আমরা আমাদের ‌ সন্তানদের হত্যার বিচার এখনো পাইনি, তাদের উপর মারধর করারও বিচার পাইনি ‌ ‌। বক্তারা অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে সরকারের নিকট জোড় দাবি জানান।


banner close