মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়চিরী দিঘীর পারে ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে। দুই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজাকে কেন্দ্র করে কমলগঞ্জের ছয়চিরিসহ আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
দুই দিনব্যাপী এ চড়ক পূজা ও মেলা শেষ হবে আগামীকাল শনিবার। ঐতিহ্যবাহী এই চড়ক উৎসব দেখতে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে হাজার হাজার লোকের ঢল নামবে। প্রাচীন ঐতিহ্য লালিত ছয়চিরি দিঘীর পাড়ে বাংলা পুঞ্জিকা মতে প্রতিবছরের চৈত্র সংক্রান্তিতে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে চড়ক পূজা উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
জানা যায়, চড়ক পূজা উৎসবের ১০-১২ দিন আগ থেকে বিভিন্ন এলাকার পূজারীর মধ্যে ৪০-৫০ জন সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষিত হয়ে গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিব-গৌরীসহ নৃত্যগীত সহকারে ভিক্ষাবৃত্তিতে অংশ নেন। এ কদিন তারা পবিত্রতার সহিত সন্যাস ব্রত পালন করে নিরামিষ ভোজি এবং সারাদিন উপবাস পালন করেন। চড়ক পূজার দুই দিন আগে পূজারীরা শ্মশানে গিয়ে পূজা অর্চনা করেন ও শেষে গৌরীর বিয়ে, গৌরী নাচ ও বিভিন্ন গান গেয়ে ঢাকের বাজনায় সরগরম করে গোটা এলাকা। ছয়চিরি দিঘীর পাড়ে ভক্তরা নৃত্য করার জন্য কলাগাছ ও বাঁশের খুঁটি বেষ্টিত মণ্ডলী তৈরি করে। পূজার প্রথম দিন নিশি রাতে তান্ত্রিক মন্ত্র ধারা কাচ পড়া দিয়ে জলন্ত ছাইয়ের ওপর মানুষরুপি কালী সেজে নৃত্য করে। অন্য ভক্তরা নৃত্যের তালে তালে, ছন্দে ছন্দে ঢোলক, কাশি, করতাল বাজিয়ে থাকেন।
এ সময় দর্শনার্থীরা জয়ধ্বনি এবং নারীদের কন্ঠে হুলুদ ধ্বনি দিতে থাকেন। জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে এই ‘কালীনাচ’ অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং তান্ত্রিক মন্ত্র দিয়ে ৭টি বলিছেদ (লম্বা দা) এর ওপর শিব শয্যা করেন। শিবের উপর উঠে কালী ভয়ানক এক অদ্ভুত রূপ ধারণ করেন। এ সময় উপস্থিত দর্শনার্থী সবাই আতঙ্কিত হয়ে উঠেন। কালীকাঁচ শেষ হওয়ার পর সকালে পূজারীরা পূজা করে পান বাটা দিয়ে চড়ক গাছকে নিমন্ত্রণ জানানো হলে পার্শ্ববর্তী ঐতিহাসিক ছয়চিরি দিঘী থেকে ভেসে উঠে ১০০ ফুট লম্বা চড়ক গাছ। এ গাছের চূড়া থেকে মাচা পর্যন্ত চারটি পাখার মতো করে বাধা হয় চারটি মোটা বাঁশ এবং তাতে যুক্ত করা হয় মোটা লম্বা রশি। আগের বছর উৎসব শেষে এই দিঘীতে ডুবিয়ে রাখা হয়ে ছিল চড়ক গাছ। দিঘীর পাড়ে গর্ত খুঁড়ে সোজা এবং খাড়া করে পোঁতা হয় এ গাছ।
১৪ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর থেকে নারী পুরুষ দর্শনার্থীর বিশাল সমাগম ঘটবে। বিকেলের দিকে ভক্তরা মণ্ডলীতে বিশাল দা (বলিছেদ) দিয়ে নৃত্য, শিবের নৃত্য ও কালীর নৃত্য দেখানো হয়। নৃত্য শেষে ঐতিহাসিক ছয়চিরি দিঘীতে স্নান করে ভক্তদেরকে লোহার শিকড় শরীরের বিভিন্ন অংশে পিষ্ট (গাঁথা) করা হয়। বিশেষ করে জিহ্নবা ও গলায় গেঁথে দেয়া হয়। নৃত্যের তালে তালে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়। দেবতার পূজা-অর্চনা শেষে অপরাহ্নে মূল সন্ন্যাসী ৪ জন ভক্তের (জ্যান্ত মানুষের) পিঠে লোহার দু’টি করে বিরাট আকৃতির বড়শি গেঁথে রশিতে বেঁধে ঝুলিয়ে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়। এ সময়ে দর্শনার্থীদের অনেকে বাতাসা আর কলা উপরের দিকে উড়িয়ে দেন আর দর্শনার্থীরা তা কুড়িয়ে নেন।
১৫ এপ্রিল শনিবার ফেরা চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন দেবতার পূজা অর্চনা করা হবে। ঐতিহ্যবাহী ছয়চিরি দিঘীর চার পাড়ের মধ্যে দিঘীর পূর্বপাড়ে ১টি, উত্তর পাড়ে ১টি এবং দক্ষিণ পাড়ে ২টি চড়ক গাছ স্থাপন করে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তান্ত্রিক মন্ত্রের ধারা বিভিন্ন অলৌকিক ধর্মীয় কর্মসূচি উপভোগ করার জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। চড়ক পূজা উপলক্ষে এক বিশাল মেলা বসবে। মেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্যের বিভিন্ন রকমারী জিনিসপত্রের সয়লাব থাকবে।
চড়ক পূজা ও মেলা পরিচালনা কমিটি প্রতি বছরের মতো এবারও মেলা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছেন। যুগ যুগ ধরে এ চড়ক উৎসব এ অঞ্চলের হিন্দুদের বেশ নাড়া দিয়ে আসছে। বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দুদিন ও ১লা বৈশাখ বসে মেলা। শেষ চৈত্রের গোধূলীলগ্নে চড়ক গাছ মাটিতে পুঁতে ঘোরানো হয়। এর আগে ভক্ত ও পূজারীরা চড়ক গাছে ফুল, দুধ ও চিনি দিয়ে পূজা দেয়।
চড়কপূজা উদযাপন কমিটির নেতা অনিরুদ্ধ প্রসাদ রায় চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে চড়কপূজা অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চড়কপূজা ও মেলা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫–৩থ-এর অংশ হিসেবে ইনক্যাপ সিরিমনি। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের ওই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক-এর এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আব্দুল্লাহ। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রতিবছর দেশের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। এ বছর বিদেশে বেশ কয়েকটি মহড়া সম্পন্ন হয়েছে, আর এটাই ছিল চলতি বছরের শেষ মহড়া। এ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি অর্জন করা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আমেরিকান বিমান বাহিনীর দেওয়া অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে অপারেশন থিয়েটারের টেবিল, অপারেশন লাইট, এয়ার কন্ডিশন, জেনারেটর, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র এবং অপারেশন থিয়েটারের অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর মিশন কমান্ডার মেজর জুদাহ বলেন, ‘আমরা এ কার্যক্রমে বিশেষভাবে নারী ও শিশুস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়েছি। এ অঞ্চলের মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুসেবা আরও উন্নত করতে এসব সরঞ্জাম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যে আনোয়ারার মতো একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বেছে নেওয়া নিঃসন্দেহে স্থানীয় মানুষের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। এখানে স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজনের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও কার্যকর চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র টিমের সিনিয়র সদস্য কার্নেল অ্যান্ড্রু ব্রি, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি মেজর গ্রিন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যসহ দুদেশের বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জন্মনিবন্ধে ইচ্ছাকৃত ভুল, ভুল সংশোধনের নামে বারবার অর্থ গ্রহণ, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার টাকা নিজের পরিবারের নাম্বার দিয়ে আত্মসাৎ করে, বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিসে সরকারি ধার্যকৃত ফিসের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা, পরিষদের অনৈতিক অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়, প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মহিলা লীগ ইউনিয়নের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আসমা খাতুনের অপসারণ ও বিচারের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দুপুরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাবনগর সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে ফুলতলা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ‘আসমা হঠাও প্রতাপনগর বাচাও’ এই স্লোগানে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির সাবেক সভাপতি স.ম আখতারুজ্জামান সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক নূরি আলম সিদ্দিকী, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, বিএনপি নেতা কারিমুজ্জামান, প্রতিবন্ধী ভুক্তভোগী স্বামী আব্দুল সালাম, আর এক ভুক্তভোগী মুক্তার হোসেন স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ, প্রমুখ।
মানববন্ধনে বলেন, প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আসমা খাতুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বয়স্ক বিধবা প্রতিবন্ধীসহ ভাতা প্রাপ্তদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন। এমনকি বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তদের নাম্বার পরিবর্তন করে নিজের পরিবারের সদস্যদের নাম্বার দিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। বিষয়টি জানাজানি পরেও চেয়ারম্যান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
তিনি আওয়ামী মহিলা লীগের ইউনিয়নের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আসমা খাতুনের অপসারণ ও বিচার করতে হবে, তা না হলে এরপরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি করা হবে।
তবে অভিযুক্ত তথ্য উদ্যোক্তা আসমা খাতুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ তোলা হচ্ছে তার সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আমার মায়ের একটি সিম হারিয়ে গিয়েছিল। ভুলক্রমে সেই সিম নাম্বারে একটি বয়স্ক ভাতার টাকা চলে আসে। আমি জানতে পেরে সমাজসেবা কর্মকর্তার অবহিত করি। আমি কোনো টাকা উত্তোলন করিনি।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজি দাউদ ঢালী বলেন, আসমা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা শুনেছি। আমি আজ তাকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমিল্লার মুরাদনগরে নিখোঁজের ৩৮ দিন পর মেহেদী হাসান (১৮) নামে এক অটো রিকশা চালকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার বিকেলে নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ এলাকার গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের ভেতরের একটি ঝোপ থেকে মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। নিহত মেহেদী হাসান উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দীঘিরপাড় গ্রামের মৃত মোস্তফার ছেলে। তিনি পেশায় অটো রিকশা চালক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় প্রধান আসামি খাইরুল ইসলামকে (২১) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার সালা পাগলার মাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং দেখানো স্থানে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। গত ১১ আগস্ট রাতে অটো রিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন মেহেদী। পরদিন তার পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে ২০ আগস্ট নিহতের মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে খাইরুলকে আসামি করে হত্যার উদ্দেশে অপহরণের মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাহিদ হাসান জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে খাইরুলের বাবা আইনুল হককে রাঙামাটির কাউখালি থেকে এবং তার ভাই ফুল মিয়াকে কুমিল্লার অশোকতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অটোরিকশাটি কুমিল্লার একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মূল ঘাতক খাইরুলকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গত বুধবার বিকেলে তার দেখানো স্থানে মেহেদীর কঙ্কাল উদ্ধার হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তার দেখানো স্থান থেকেই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। মরদেহের পাশে থাকা পোশাক দেখে পরিবারের সদস্যরা নিহতকে শনাক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অটো রিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে রিমান্ডে এনে হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঝরে পড়া তরুণদের কর্মমুখী দক্ষতা অর্জনে পটুয়াখালীতে শুরু হয়েছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর বিশেষ কার্যক্রম ‘কার্যকর সাক্ষরতা ও ব্যবহারিক কর্মদক্ষতা প্রশিক্ষণ (প্রাক-বৃত্তিমূলক পর্যায়)’। বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) সম্মেলন কক্ষে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহসিন উদ্দীন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হল রুমে একই কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। সেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে ১৪ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের চারটি ট্রেডে দক্ষ করে তোলা হবে; ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স, প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিং, টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেস মেকিং এবং মোবাইল ফোন সার্ভিসিং। কোর্সের মেয়াদ ছয় মাস, মোট ৪৬০ ঘণ্টা। সহকারী পরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, মো. মফিজুল ইসলাম জানান, প্রশিক্ষণার্থীরা কোর্স শেষে টিভিইটি সোপানের এনএসসি-১ (NSC-1)-এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন, কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারবেন এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার পথ উন্মুক্ত হবে। তাদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ ও নিরাপত্তা সামগ্রী দেওয়া হবে, পাশাপাশি নির্ধারিত যাতায়াত ভাতা ব্যাংক হিসাবে প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝরে পড়া তরুণ-তরুণীরা শুধু সাক্ষরতা অর্জন করবে না, বরং কর্মসংস্থানের যোগ্যতাও অর্জন করবে, যা তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। প্রশিক্ষণার্থী রহিম খান বলেন, ‘এখান থেকে আমরা বিনা খরচে পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি।’
একজন অভিভাবক মোসা. সাবিকুন নাহার বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। ওই প্রশিক্ষণে যুক্ত হওয়ার পর তাকে নতুনভাবে উদ্যমী দেখছি। এখন তার জীবনের জন্য একটি ভালো ভিত্তি তৈরি হবে বলে বিশ্বাস করি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহসিন উদ্দীন বলেন, ‘সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। ওই কার্যক্রম তারই অংশ। এর মাধ্যমে ঝরে পড়া তরুণরা শুধু কর্মমুখী জ্ঞান অর্জন করবে না, বরং আত্মনির্ভরশীল হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মফিজুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মো. আনিসুর রহমান, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক/ ইলেকট্রিক্যাল), এবং জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক/ সিভিল), মো. জুয়েল রানা। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রশিক্ষণের সফলতা কামনা করেন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগর এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)। গত বুধবার বিকেলে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পদ্মা নদীর প্রবল ভাঙনে উদয়নগর বিওপির দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা, ফসলি জমি ও বহু বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে অবশিষ্ট অংশটিও নদীতে তলিয়ে যায়।
ঝুঁকি বিবেচনায় বিজিবির সদর দপ্তরের নির্দেশে ১৩, ১৪ ও ১৫ আগস্ট তারিখে উদয়নগর বিওপির অধিকাংশ স্থানান্তরযোগ্য সরঞ্জাম পাশ্ববর্তী চরচিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে অবশিষ্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ, অফিসিয়াল নথিপত্র, যানবাহন ও জনবল নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটের মাধ্যমে নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়।
বর্তমানে উদয়নগর বিওপির সকল সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রোল আইটেম নিরাপদে রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
বিজিবি আরও জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও সীমান্ত সুরক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সবসময় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে বিজিবি কর্তৃক জানিয়েছেন।
সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে উদয়নগর বিওপি সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছেন। বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোট ও রেসকিউ বোটের মাধ্যমে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী অবস্থানের নিকটবর্তী এলাকায় একটি নতুন ও উন্নত মানের বিওপি নির্মাণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ রহমান জানান, ‘বিজিবি দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় সবসময় অটল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অবকাঠামো নষ্ট করতে পারে, কিন্তু আমাদের মনোবল বা দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার কখনোই দুর্বল করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। সীমান্ত নিরাপত্তা, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং জনগণের স্বার্থে বিজিবি আগের মতোই নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানান।
কিশোরগঞ্জের ইটনায় কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টাকালে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭ হাজার ৮৫১ কেজি চাল জব্দ করেছে পুলিশ। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার বাদলা বাজার থেকে ৩ হাজার ৬০০ কেজি ও মৃগা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে ৪ হাজার ২৫১ কেজি চাল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ট্রলারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন আজহারুল ইসলাম লেলিন (৪০), নিয়ামুল মিয়া (২৪) ও সাইদুল মিয়া (১৯)। তারা মৃগা এলাকার বাসিন্দা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল আকরাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মৃগা গ্রামের ডিলার জানু মিয়ার নামে ১০ হাজার ৮৩০ কেজি বরাদ্দ দেওয়া হয়। তিনি সেগুলো সংগ্রহ করে কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টাকালে পৃথক দুটি স্থান থেকে ৭ হাজার ৮৫১ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।
বাদলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আব্দুস সামাদ জানান, কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশে একটি ট্রলারে করে তাড়াইল নিয়ে যাওয়ার সময় ৭২ বস্তা চালসহ তিনজনকে আটক করা হয়। সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে সাধারণ বস্তায় ভরে চালগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
ইটনা থানার উপপরিদর্শক ফাহিম ফয়সাল জানান, বাদলা থেকে ৭২ বস্তা চাল উদ্ধারের পর ডিলার জানু মিয়ার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার বাড়ি থেকে আরও ৮৫ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, চালগুলো আত্মসাতের উদ্দেশে নির্ধারিত স্থানে না রেখে অন্যত্র রেখেছিলেন ডিলার জানু মিয়া তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন। ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, অতীতে আমরা দেখে এসেছি মন্ত্রীর এলাকায় প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত উন্নয়ন বরাদ্দ হয়, যাতে উক্ত জেলার অন্যান্য উপজেলা বঞ্চিত হয়। মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই। তাই এ ধরনের প্রাকটিস থেকে সরে আসুন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বিবেচনায় সকল গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সম্পৃক্ত করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিন। পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুৎকে জেলার সকল অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা দেন। শিল্প মালিকরা যেন বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে হয়রানি না হয় সে বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ করেন বিশেষ সহকারী। এর বাইরে
গোমতীতে আগামী শীতে ম্যারাথন আয়োজনের নির্দেশনা দেন তিনি।
সভায় জেলার এমপিওভুক্ত স্কুলের ইনস্পেকশন দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি, অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি জেলায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ সময়মতো বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আসন্ন দূর্গাপূজা উদযাপন যেন নির্বিঘ্ন হয় সে বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছারের সভাপতিত্বে সভায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহ আলম, আইসিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সাইফুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান, কুমিল্লার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হলদে রঙের শাড়ি, খোপায় সাদা কাঠগোলাপ, পায়ে আলতা, নুপুর সাজে সেজেছে ওড়াঁও সম্প্রদায়ের নারীরা। পুরুষের ঢোল ও মন্দিরার তালে নেচে গেয়ে নিজেদের বড় ধর্মীয় আয়োজন কারাম পূজা ও সামাজিক উৎসবের আমেজে মাতোয়ারা হয়ে উঠে ঠাকুরগাঁওয়ের ওড়াঁও সম্প্রদায়ের মানুষ।
আয়োজকরা জানান, বাংলা খ্রিষ্টাব্দের ভাদ্র মাসের শেষ রাত বুধবার থেকে তাদের পূজা আর্চনা শুরু হয়ে পরদিন পহেলা আশ্বিন বৃহস্পতিবার দুপর পর্যন্ত চলে আনন্দ উৎসব। এ সময় নিজ ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে কারাম গাছের ডাল এনে পূজা আর্চনা ও নাচগানে মাতোয়ারা থাকে এ সম্প্রদায়ের আদিবাসী মানুষরা।
সদর উপজেলার সালন্দর পাঁচপীর ডাঙ্গা গ্রামে উৎসবের রাতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন আয়োজন। ওড়াঁও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় এ উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। এসময় বিভিন্ন ধর্মের রাজনীতিক নেতা, সমাজ ওসাংস্কৃতিক কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও আমন্ত্রিত ছিলেন।
এছাড়াও গ্রামের সকল ধর্মের মানুষ এই কারাম উৎসব দেখতে আসেন। এদিন সম্প্রিতির বন্ধনে আরও একবার আবদ্ধ হন গ্রামের মানুষ।
শুরুতেই আমন্ত্রিত অতিথিদের নাচ ও গানের তালে তালে বরণ করে নেন ওড়াঁও সম্প্রদায়ের মানুষ। পরে ফুল দিয়ে সকল ধর্মের মানুষদের বরণ করেন তারা। এরপর নাচ ও গান পরিবেশন করেন অতিথিদের সামনে। পরে উৎসবের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য করেন আয়োজকরা এবয় নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার উপদেষ্টা আইনজীবী ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, কারাম উৎসব দুই রকম ভাবে উদযাপন করা হয়। একটি নিজ কারাম ও অপরটি দশ কারাম। নিজ কারাম হলো যারা একটু স্বচ্ছল তারা নিজেদের বাড়িতে এ উৎসবের আয়োজন করে থাকে। আর দশ কারাম হলো যেখানে সবার সহযোগিতায় একখানে এ উৎসবের আয়োজন করা হয় এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস মতে কারাম গাছের পূজা করা হয়। ওড়াঁও সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করে কারাম গাছ প্রাকৃতিক নানা রকম দূর্যোগ মোকাবিলায় তাদের সহযোগিতা করেছে। এ গাছের ডালকে আঁকড়ে ধরে তারা যুগ যুগ ধরে বেঁচে ছিলো।
কারাম উৎসবে এসে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে জসিম উদ্দীন বলেন, এ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন যাপন খুব সহজ সরল। তারা অনেক পরিশ্রমী। তাদের উৎসবের আমেজ অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। আমি দারুন উপভোগ করছি। তাদের সরল আতিথিয়েতা আমাকে খুব আপন করে নেয় তাদের।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম উৎসবমুখোর পরিবেশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ওড়াঁও সম্প্রদায় একটি অনন্য জাতিসত্তা। তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও সৃষ্টি কালচার রয়েছে। তাদের ধর্মীয় উৎসব চমৎকার। তাদের নিজস্ব সত্তা যেন কালের বিবর্তনে হারিয়ে না যায়। যেন সহস্র বছর ধরে তারা টিকে থাকে এবং স্বাবলম্বী হতে পারে এর জন্য প্রশামনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে।
সাময়িক বরখাস্তের পর রাতের আঁধারে কোয়ার্টার থেকে পিকআপযোগে নিজস্ব ও সরকারি মালামাল সরানোর সময় ১৭ বিয়ে কান্ডের সেই বরখাস্তকৃত বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারীকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশ জনরোষ থেকে তাকে (কবির) বুধবার দিবাগত রাতে নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় বন বিভাগের কোস্টাল সার্কেল কার্যালয়ের সামনে থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যান। পরবর্তীতে বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পুলিশ রাতেই তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ওসি মো. আল-মামুন উল ইসলাম।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন-১৭ বিয়ে কান্ডের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্তের পর গত বুধবার রাত নয়টার দিকে কোয়ার্টার থেকে পিকআপযোগে নিজস্ব ও সরকারি মালামাল নিয়ে কবির হোসেন পালানোর চেষ্টা করছিলেন। পরে এলাকাবাসী তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
বরিশাল সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সাকিব বলেন, দায়িত্বে থাকাবস্থায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী বিভিন্ন সময় ধার বাবদ আমার কাছ থেকে ছয় লাখ ৯৬ হাজার টাকা নিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয়দের কাছ থেকেও সে বিভিন্ন সময় টাকা নিয়ে আর পরিশোধ করেনি। হঠাৎ করেই বুধবার রাতে সরকারি বাংলো থেকে মালামাল নিয়ে তিনি চলে যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে আমিসহ অন্য পাওনাদাররা এসে তাকে আটক করেছি। তাছাড়া তিনি পিকআপযোগে যে মালামাল নিচ্ছিলেন তার মধ্যে সরকারি কিছু মালামালও রয়েছে। সেগুলো আমি নামিয়ে রেখেছি।
বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশ জানায়, সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন বাংলো থেকে সরকারি মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন বরখাস্তকৃত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী। এছাড়া তিনি ওই কর্মকর্তার কাছে টাকা পাবেন। এলাকার বেশ কিছু মানুষও তার কাছে টাকা পাবে বলে আটকে রেখেছেন।
আরও জানন, উল্লেখিত অভিযোগের ভিত্তিত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই বন কর্মকর্তাকে স্থানীয়দের কাছ থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনেন। তবে পালিয়ে যাবার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাময়িক বরখাস্তকৃত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী। এ বিষয়ে তিনি বক্তব্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে উল্টো সাংবাদিকদের অভিশাপ এবং হুমকি দেন।
বরিশাল বিমানবন্দর থানার ওসি মো. আল-মামুন উল ইসলাম বলেন, বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে রাতেই তাকে (কবির) ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে নানা প্রলোভনে ১৭ বিয়ে করে দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করা বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কবির হোসেন পাটোয়ারীকে ১৬ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে বিয়ের নামে প্রতারণা, যৌতুক দাবি এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনে বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন খুলনা জেলার সোনাডাঙা এলাকার বাসিন্দা খাদিজা আকতার। তার আগে ২০১৯ সালে কবির হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন তার (কবির) আরেক স্ত্রী বাগেরহাটের মোংলা এলাকার নাসরিন আকতার দোলন। সেই মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। সবশেষ গত ৯ এপ্রিল দেয়া স্ত্রীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১১ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাইদুর রহমান বরিশালে সরেজমিন তদন্তে আসেন। নগরীর কাশিপুরে কোস্টাল সার্কেলে বসে অভিযোগকারী দুই স্ত্রী, তাদের স্বজন এবং বন কর্মকর্তাদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন।
ওইদিনই বিয়েপাগল বন কর্মকর্তার বিচার দাবিতে বন বিভাগের কোস্টাল সার্কেল অফিসের সামনে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী স্ত্রী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে প্রাথমিক শাস্তির অংশ হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সূত্রমতে, চাঁদপুর জেলার তুষপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন পাটোয়ারীর ছেলে কবির হোসেন এর আগে ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন। বন বিভাগের উচ্চ পদ ব্যবহার করে ফাঁদে ফেলেন অনেক নারীকে। এ কারণে একই অভিযোগে পূর্বে আরও দুইবার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন বন কর্মকর্তা কবির হোসেন। তবে পতিত আওয়ামী সরকারের সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী দীপু মনির সুপারিশে তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হন।
অপরদিকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ছাড়াও ১৬ সেপ্টেম্বর বরিশাল মহানগর আদালতে কবির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফিজ আহমেদ বাবলু। আদালতের বিচারক মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অনেকে মনে করেন ভাত খেলেই ওজন বেড়ে যায়, বাড়ে ভুঁড়ি। তাই অনেকেই ভাত খাওয়া কমিয়ে দেন বা একেবারেই ছেড়ে দেন। অথচ পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভাতেরও রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ—যা শরীরের জন্য অপরিহার্য।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ সুরভি আগরওয়াল জানান, ভাত ভিটামিন বি, ফলিক অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস। এটি অন্ত্র ও ত্বকের জন্য উপকারী। কালো চাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, বাদামি চাল ফাইবারে ভরপুর এবং লাল চাল প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। নিয়ম মেনে খেলে ভাত এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়ক হতে পারে।
অন্য পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরী বলেন, ভাতে কার্বোহাইড্রেট ও স্টার্চ বেশি থাকায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) উঁচু হয়, ফলে ওজন ও রক্তে শর্করা বাড়তে পারে। তবে রান্নার পদ্ধতি ও খাবারের সঙ্গে মিশ্রণে এ প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
রান্নার সঠিক নিয়ম
চাল আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে নতুন পানিতে ভাত রান্না করুন।
মাড় গালা ভাত খেলে স্টার্চ কমে যায়, ফলে কার্বোহাইড্রেটও কমবে।
কতটুকু খাবেন?
দিনে ৩০ গ্রাম চাল দিয়ে রান্না করা এক কাপ ভাত যথেষ্ট (১৫০–১৭০ ক্যালোরি)।
ভাতের সঙ্গে সবজি, মাছ, সালাদ খেলে ওজন বাড়ে না।
কখন খাবেন?
দিনে ভাত খাওয়া নিরাপদ, কারণ নড়াচড়া বেশি হয়।
রাতে ভাত না খেয়ে হালকা খাবার খাওয়াই ভালো।
ভাত খাওয়ার পর করণীয়
ভাত খাওয়ার পর ভাতঘুম নয়, বরং হালকা হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করুন।
চাইলে গ্রিন টি পান করতে পারেন, এতে হজমে সহায়তা হয়।
যশোরের কেশবপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টম্বর) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ওই প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রেকসোনা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ নেওয়াজ, সেনাবাহি-নীর ওয়ারেন্ট অফিসার ফখরুল ইসলাম, কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান শরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাষ্টার রফিকুল ইসলাম, পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির প্রভাষক জাকির হোসেন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দীন আলা,উপজেলা এনসিপির সমন্বয়ক সম্রাট হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল চন্দ্র সাহা, উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রমুখ । অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু। সভায় কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৯৭টি মন্দিরে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন আলোচনা করেন বক্তারা। এবার কেশবপুর উপজেলার যে সকল এলাকায় পূজা উদযাপন হবে। ১নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে একটি,২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে ১৩ টি, ৩ নং মজিদপুর ইউনিয়নে ৬টি, ৪ নং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে ৫ টি, ৫নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ৫ টি, ৬ নং সদর ইউনিয়নে ৭ টি, ৭ নং পাঁজিয়া ইউনিয়নে ৮ টি, ৮নং সুপলাকাটি ইউনিয়নে ১২ টি, ৯নং গৌরিঘোনা ইউনিয়নে ১৩ টি, ১০ নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ১২ টি, ১১ নং হাসানপুর ইউনিয়নে ০৮ টি, কেশবপুর পৌর সভায় ৭টি সহ সর্বমোট ৯৭ টি পূজা মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন পূজা উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সুন্দর ভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান টি উদযাপনের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রেকসোনা খাতুন বলেন কেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাইনোর চেষ্টা করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
জয়পুরহাটে অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ভুক্তভোগীদের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম)। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের পাঁচুর মোড় জিরো পয়েন্টে বিডিইআরএম ও নাগরিক উদ্যোগের যৌথ আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধার ও হস্তান্তর, ভুক্তভোগী রবিদাস পরিবার উচ্ছেদ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি বসতবাড়ি পুনর্নির্মাণে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ এবং ভুক্তভোগীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এসময় জেলা দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের (বিডিইআরএম) আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বাবুল রবিদাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার রবিদাস, আদিবাসী সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এ এইচ আল মুরাদ (দোয়েল), জেলা রবিদাস ফোরামের সভাপতি মনিলাল রবিদাস, জেলা সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক ওবায়দুল্লাহ মুসা এবং জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সুধীর তিরকি প্রমুখ।
জলবায়ু পরিবর্তন : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি বিষয়ক কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বেসরকারি সংস্থা আফাদ এর মিলনায়তনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নারী পক্ষ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন,জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত উপপরিচালক মো: আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা খান,জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ফিল্ড সুপারভাইজার মাইদুল ইসলাম, আফাদ এর নির্বাহী পরিচালক সাইদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
ইউএনওমেন এর অর্থায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু সমাজের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন,ফেইস প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
দিনব্যাপী কৃষক সংলাপ সদর উপজেলাসহ রাজারহাট, চিলমারী, উলিপুর, ফুলবাড়ি,নাগেশ্বরী এবং ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৫০জন কৃষক- কৃষাণীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।
দিনব্যাপি কৃষক সংলাপে নারী নেতৃত্বাধীন সুশীল সমাজ সংগঠনের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক গঠন,সভা, পরামর্শ সভা এবং ডায়লোগ সেশন আয়োজন করা,স্থানীয় প্রশাসন, সুশীল সমাজের কর্মীদের ও কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা,কমিউনিটি পর্যায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন এর মূলক উপকরণ তৈরি,জেন্ডার সংবেদনশ প্রণোদনা প্রয়োশে মাধ্যমে কমিউনিটিকে সহায়তা করাসহ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে মৎস্য, কৃষি, প্রাণী সম্পদ বৃদ্ধির জন্য করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।