মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৮ ভাদ্র ১৪৩২

শোবার ঘর থেকে নিখোঁজ ৮ মাসের শিশুর লাশ সেপটিক ট্যাংকে

আব্দুল্লাহ
আপডেটেড
১৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:৩৫
প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:৪৫

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় আব্দুল্লাহ নামে ৮ মাস বয়সী এক শিশুর মরদেহ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটি তার মা-বাবার শোবার ঘর থেকে নিখোঁজ হয়েছিল বলে দাবি স্বজনদের।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর (নন্দিরভিটা) গ্রামে নিজেদের বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

আব্দুল্লাহ ওই গ্রামের অটোরিকশা চালক মাহবুর রহমানের ছেলে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে সে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান দৈনিক বাংলাকে জানান, স্থানীয়দের খবরে গত সোমবার রাতে নিখোঁজ হওয়া ওই শিশুর মরদেহ আজ সকালে তাদের পাশের বাড়ির টয়লেটের ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির পরিবার এখনো কারও বিরুদ্ধে সন্দেহের কথা পুলিশকে জানাতে পারেনি।

ওসি আরও বলেন, রাত ৮টার দিকে ওই দম্পতির শোবার ঘর থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটিকে না পেয়ে বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়। ঘটনাটি রহস্যজনক, পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

বিষয়:

বর্ষায় মাছ শিকারের ধুম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ

প্রকৃতিতে এখন ভাদ্র মাস। অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টি। খাল-বিল ও জলাশয় পানিতে পরিপূর্ণ। পানিতে মাছের ঝাঁকের বিচরণ। আর তাইতো জেলে ও শৌখিন মানুষদের পাল্লা দিয়ে চলছে মাছ শিকার।
সর্বত্র বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের ধুম পড়েছে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বড়রাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বড়শি ফেলে মাছ ধরছেন। সৌখিন মাছ শিকারিরা বলছেন, বড়শি দিয়ে মাছ শিকার মানে মনের সৌখিনতার পাশাপাশি একঘেয়ামি কর্মজীবনের ক্লান্তি দূর করে মনের উৎফুল্লতার প্রকাশ ঘটানো। এ জন্যই মূলত শখের বশে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে বসেন সৌখিন এসব মাছ শিকারিরা।
উপজেলার বিভিন্ন উন্মুক্ত জলাশয়ে অন্য বছরের তুলনায় এবছর মাছ শিকারে বেশি আগ্রহী হয়ে নিজের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনসহ বড়শি দিয়ে মাছ ধরছেন সৌখিন এসব মাছ শিকারিরা। পাড়া-মহল্লার শিশু কিশোররাও দীর্ঘসময় ধরে দেখছেন মাছ শিকার করা।
মাছ শিকারিরা জানালেন, বড়শিতে ওঠা মাছ কেউ বিক্রি করেন, কেউ বাড়ি নিয়ে গিয়ে রান্নার পর পরিবারের সবাই মিলে আনন্দ করে খান। বিশেষ ধরনের তৈরি টোপে বড়শিতে ধরাও পড়ে একের পর এক মাছ।
খাল-বিল ও জলাশয়গুলোতে গেলে দেখা মিলছে মাছ শিকারিদের এ উৎসব। বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে মাছ শিকার করা হচ্ছে। ঝাঁকি জাল, টানা জাল, ঠেলা জাল, বেল, পেতে রাখা জাল, চাঁই, বড়শিসহ আরও নাম না জানা অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় জেলেরা। এই মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চমূল্যে। রাজধানী শহর থেকে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরাই মাছের বড় ক্রেতা। বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কারফু, ছোট কাতল, শোল মাছসহ বিভিন্ন মাঝারি ও বড় প্রজাতির মাছ।

উপজেলার নগরপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা হয় সফিক মিয়ার সঙ্গে। তিনি বর্ষার পানিতে বড়শিতে মাছ ধরতে এসেছেন সাতারকুল থেকে। তাঁর শখ মাছ শিকার। প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি বড়শিতে মাছ শিকার করেন।
জালাল মিয়া বলেন, বড়শিতে মাছ শিকারের জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ কিছু খাবার। যে খাবারের লোভে মাছেরা বড়শির কাছে আসে খাবারের আশায়। প্রতিদিনই তিনি এক-দুটি করে বড় মাছ শিকার করেন। তবে এতে কষ্টও হয় অনেক।
বড়শিতে মাছ ধরার প্রধান শর্ত হলো ধৈর্য ধরতে শেখা। সারা দিন চলে যাবে মাছ আসবে না, কিন্তু হঠাৎ করেই শেষ বেলায় এসে ধরা দেবে বড় আকারের মাছ, জানান আবুল কাজী।
মো. মোকাম্মেল বলেন, ‘মাছ মাইরাই সংসার চালাই। বাইরা মাস (বর্ষাকাল) আইলে বিলে যখন পানি আসে, তখন ডুলা বইরা মাছ দইরা বাজারে নিয়া বেচি। যে কয় টেহা পাই হেইডা দিয়া সংসার চালাই। হারা বছর এই সময়ডার লাইগাই অপেক্ষা করি।’
রূপগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় জলাশয়-বিলে জলাশয়গুলো ভরে উঠেছে দেশীয় জাতের ছোট-বড় মাছে। উপজেলার বিভিন্ন বিলে দিনরাত মাছ শিকার করছেন জেলে ও শৌখিন মাছ শিকারিরা। জেলেরা এর ওপর নির্ভর করে তাঁদের সংসার চালিয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু কিছু অসৎ জেলে চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করায় দেশীয় মাছের বংশ বিস্তার আজ হুমকির মুখে। বহুবার অভিযান পরিচালনা করেছি। তার পরেও তাঁরা তা ব্যবহার করছেন, যা আইনত দ-নীয়।’
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জলাধার প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ উপহার। এর রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের দায়িত্ব। সুতরাং প্রকৃতিকে রক্ষা করে এর থেকে সর্বোচ্চ সম্পদ আহরণই হোক আমাদের অঙ্গীকার।


হিলি বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে টমেটো আমদানি শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ভারত থেকে টমেটো বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে টমেটো আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিন ২৮ টন টমেটো আমদানি করা হয়েছে। প্রতিকেজি টমেটো আমদানি করতে শুল্কসহ খরচ গুণতে হচ্ছে ৬১ টাকা।

আমদানিকারক এনামুল হক বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করা হচ্ছে। বন্দরে প্রতিকেজি টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা থাকলে আরও বেশি পরিমাণ টমেটো আমদানি করা হবে।

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, আজ হিলি বন্দর দিয়ে এক ট্রাকে ২৮ টন টমেটো আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব টমেটো ৫০০ ডলারে শুল্কায়ণ করা হচ্ছে। যেহেতু টমেটো কাঁচাপণ্য তাই দ্রুত ছাড় করণে আমদানিকারককে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধের তথ্যমতে, গত ২০২২ সালের ৬ আগস্ট সবশেষ এই বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি করা হয়েছিল।


ত্রিশালে চেচুয়া ও গলহর বিলে শাপলা ফুল দেখতে পর্যটকদের ভিড় 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ত্রিশাল( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 

ময়মনসিংহের ত্রিশালের রামপুর এলাকায় চেচুয়া ও গলহর বিলে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। চেচুয়া ও গলহর বিল দুটি এখন যেন রূপকথার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। বিলের চারদিকে ফুটে থাকা হাজারো শাপলা ফুল যেন এক লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। যা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী। এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

স্থানীয়দের মতে, বর্ষার সময় এই বিলের সৌন্দর্য পূর্ণতা পায়। সাদা, লাল এবং গোলাপি শাপলার পাপড়ি সূর্যের আলোয় ঝলমল করে, যা মনকে এক অনাবিল শান্তি এনে দেয়। ভোর সকালে বিলের মধ্য দিয়ে নৌকা বা ডিঙি নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে শাপলা ফুল স্পর্শ করার অভিজ্ঞতা মানুষদেরকে মুগ্ধ করেছে।

স্থানীয়রা বলছে, বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। শুধু স্থানীয়রাই নয়, ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন। বিলের পাশে দোকানপাট গড়ে উঠেছে। যেখানে হালকা খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

গলহর বিলের শাপলা ফুল দেখতে আসা শারমিন সুলতানা বলেন "শহরে এমন দৃশ্য দেখা যায় না। এখানকার স্নিগ্ধ ও শান্ত পরিবেশ আমাদের মনকে সতেজ করে তুলেছে।" আমি প্রতিবছর ফুলগুলো দেখতে আসি।

কলেজ শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, "এটি শুধু একটি বিল নয়, যেন প্রকৃতির এক অসাধারণ চিত্রকর্ম। আমরা আশা করি, এই সৌন্দর্য চিরকাল টিকে থাকবে।" পর্যটকদের কাছ থেকে নৌকার ভাড়া বেশি নেওয়ার তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিশোরগঞ্জ থেকে ফুল দেখতে আসা পর্যটক কাঞ্চন মিয়া বলেন ত্রিশালের এ দুটি বিল প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে একটি সুন্দর সেতুবন্ধনও তৈরি করছে।


নীলফামারীর ইপিজেডে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।

নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুর রহিম জানান, দুইজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং আরও ১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তবে এই সংঘর্ষের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


১৯টি বগি পটিয়ায় রেখেই চলে গেল পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের বাফার হুক ও হোস পাইপ ভেঙে ইঞ্জিন থেকে ১৯টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মাঝপথে বগিগুলো রেখেই চট্টগ্রাম পৌঁছে যায় ইঞ্জিন। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়ার কমলমুন্সির হাট স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ১১টা পর্যন্ত বগিগুলো রেললাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পাঠানো হয়।

ট্রেনটিতে প্রায় ৯০০ যাত্রী ছিলেন। হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দীর্ঘ সময় ভোগান্তির শিকার হন তারা। অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসার পর কমল মুন্সির হাট স্টেশনে পৌঁছালে ইঞ্জিনের বাফার হুক ও হোস পাইপ ভেঙে যায়। এতে বগিগুলো থেকে ইঞ্জিন আলাদা হয়ে যায়। এ সময় চালক ইঞ্জিন নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে চলে যান, আর যাত্রীবাহী বগিগুলো স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকে। পরে বগিগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রাত ১১টার দিকে পাহাড়তলী থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পাঠানো হয়।

পটিয়া রেল স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ পাভেল জানান, উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পৌঁছালে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

এর আগে, গত ২৬ জুলাই কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড ব্রেক বগির হুক ভেঙে গিয়ে মূল ট্রেন থেকে বগিটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডী স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩০ মিনিট ট্রেনটি সেখানে আটকে ছিল। পরে বিচ্ছিন্ন বগি ফেলে মূল ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

একের পর এক এ ধরনের ঘটনায় রেলওয়ের যান্ত্রিক ত্রুটি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা।


ইবির নিখোঁজ শিক্ষার্থীর তথ্য অনুসন্ধানে কমিটি পুনর্গঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইবি প্রতিনিধি

২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাভার থেকে গুম হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন মেধাবী শিক্ষার্থী দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওয়ালি উল্লাহ এবং আল-ফিক্‌হ অ্যান্ড ল’ বিভাগের আল মুকাদ্দাসকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির মানববন্ধনের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যানুসন্ধানের জন্য পুনর্গঠিত ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়।

এ কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান শেখ এবং সদস্য সচিব হিসেবে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন দায়িত্ব পেয়েছেন। এছাড়া সদস্যরা হলেন দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ হুম তরীকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জজকোর্টের অ্যাডভোকেট এস এম শাতিল মাহমুদ।

কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, আমি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি ভাইবা বোর্ডের সদস্য হিসেবে। কমিটির ব্যাপারে আমি আপাতত কিছু জানি না। শুনেছি ডিপার্টমেন্টে একটা চিঠি এসেছে। ক্যাম্পাসে ফিরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।


বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সৈয়দপুরে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সৈয়দপুরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকাল ৫ টায় সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের রংপুর রোডে বাংলা হাইস্কুল মাঠে আলোচনা ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এরপর আলোচনা সভা শেষে র‌্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল সড়কসহ সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে র‍্যালিটি শেষ হয়।

সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন আকতার শাহীনের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম জনি, কাজী একরামুল হক, দেলোয়ার চৌধুরী, জিয়াউল হক জিয়া, সি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, হাফিজ খান, বিএনপি নেতা শওকত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমাণিক, এমএ পারভেজ লিটন, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী মন্টু, প্রচার সম্পাদক আবু সরকার, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সৈয়দপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাসান কার্জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ রশিদুল হক সরকার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওসমান প্রমুখ।

নেতারা বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। তাই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতারা দল গোছানোর পাশাপাশি ভোটের জন্য সাধারণ জনগণের পাশে গিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

এই সময়ে সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা- ১৪ ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর পৌর এলাকার ১৫ ওয়াডের বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের এই দলটি গঠন করেন। এর পূর্বে তিনি ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল -জাগদল- নামে একটি দল গঠন করেন। পরে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলের কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে ঢাকার রমনা ময়দানে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন।


নোয়াখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হামলা, ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর মাইজদী শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হামলা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার সাড়ে ১১ টার দিকে নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনে ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১ টায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফাহিম হাসান খানের নেতৃত্বে জেলা শহরের সড়কের দুপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেসময়ে সড়কের পাশে অবৈধভাবে থাকা বিভিন্ন গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়ির মালিক ও চালকরা মাইজদী প্রধান সড়ক অবরোধ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একাধিক টিম উপস্থিত হয়ে দুপুর একটা দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীতে বাস, প্রাইভেট কার ও মাইক্রো চালকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্টভাবে স্ট্যান্ডের জায়গা দেওয়া হয়েছে। প্রাইভেটকার ও মাইক্রোচালকদের জন্য নোয়াখালী নতুন বাসস্ট্যান্ডের একটি অংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সেখানে তাদের গাড়ি না রেখে নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনের প্রধান সড়কের উপরে এলোমেলোভাবে তাদের গাড়ি রাখেন। এতে সারা শহর জুড়ে যানজট তৈরি হয়। বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে একাধিকবার এ বিষয়ে নিষেধ করা হলেও তারা তার তোয়াক্কা করছেন না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


নেত্রকোনায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ র‍্যালী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেত্রকোনায় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১১টায় ছোট বাজারের দলীয় কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি জোলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় পাবলিক হলে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির নব নির্বাচিত সভাপতি বিশিষ্ট অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাতের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ রাবেয়া আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম শফিকুল কাদের সুজা, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান পাঠান, জেলা কৃষক দলের সভাপতি সালাহউদ্দিন খান মিল্কী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন ফারাস সেন্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান মশু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোলায়মান হাসান রুবেল, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আকিকুর রেজা খান খোকন, জেলা তাতী দলের সভাপতি সাইফ উদ্দিন আহমেদ লেলিন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজা ইসলাম, জেলা ওলামা দলের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা কাজী তসনীম আলম ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনীক মাহবুব চৌধুরী প্রমুখ।

পরে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি এবং দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।


প্রবাসীর টাকায় ঘর উপহার পেল অসহায় সেই দুই শিশু; চালিয়ে যেতে চায় পড়াশোনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

দুই প্রবাসীর দেওয়া অর্থে নতুন ঘর পেল নওগাঁর রাণীনগরে সেই দুই অসহায় শিশু। উপজেলার কুজাইল হিন্দুপাড়া গ্রামের প্রীতম ও প্রিয়সী নামের দুই শিশু।

কাকার কাঁধে ভর করে স্বপ্ন দেখতে চায় প্রীতম ও প্রিয়সী দুই ভাই-বোন। এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে অনেকের। এরপর স্থানীয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মতিন সরদার ও সাংবাদিক রায়হানের মাধ্যমে জানতে চায় রাজু এবং শেখ আলী নামের দুই সৌদি প্রবাসী।

সোমবার দুই প্রবাসীর অর্থে বানানো ঘর হস্তান্তর করা হয়। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্থানীয প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ১১ বছরের ৭ম শ্রেণির প্রিতম ও ৭ বছরের ২য় শ্রেণির প্রিয়সী দুই ভাই-বোন। শিশু দুটির- মা মারা গেছে ৬ মাস আগে। বাবা কম বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়ায় তেমন কাজ করতে পারে না। মা মারা যাওয়ায় অন্ধকার নেমে আসে তাদের জীবনে। সহায় সম্বলহীন দুই শিশুর থাকার ঘরের খুবই প্রয়োজন ছিল। পড়াশোনাও করতে চায়। হাল ধরে ডিগ্রি পাস কাকা পলাশ চন্দ্র প্রামাণিক। সেই কাকার কাঁধে ভর করেই স্বপ্ন দেখতে চায় তারা। কিন্তু কাকা পলাশের জীবনই চলে কোনোমতে, বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে সিঙ্গাড়া বিক্রি করে।

এমন বিষয় নিয়ে গত মাসে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নজরে আসে অনেকের।

এর মধ্যে স্থানীয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মতিন সরদার এবং সাংবাদিক রায়হানের করা ভিডিওতে প্রিতম ও প্রিয়সী নামের অসহায় দুই শিশুকে নতুন ঘর করে দেওয়ার জন্যে আর্থিক সহায়তা কামনা করা হয়। ভিডিওটি কাশিমপুর ইউনিয়নের সৌদি আরব প্রবাসী রাজু এবং শেখ আলীর নজরে আসলে তারা দুইজন শিশু দুটির থাকার ঘরের সম্পূর্ণ খরচ বহন করে।

এদিকে ঘর তৈরি করতে সকল দায়িত্ব পালন করেছে মতিন সরদার ও রায়হান। অপরদিকে তাদের সাহস ও উৎসাহ দিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ ও সাইফুল ইসলাম।

নতুন ঘর পেয়ে খুবই খুশি প্রিতম ও প্রেয়সী দুই ভাই-বোন। যাদের সহযোগিতায় তারা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে তাদের সকলের প্রতি জানালেন ধন্যবাদ। এখন তাদের স্বপ্ন ও চাহিদা ভালোভাবে যেন পড়াশোনা করতে পারে। তাই চেয়েছেন সকলের দোয়া ও ভালোবাসা।

এ ব্যাপারে সাংবাদিক রায়হান বলেন, ‘কিছুদিন আগে সাংবাদিক বিকাশের করা একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানতে পারি দুটি অসহায় শিশুর করুণ কাহিনী। এরপর বিষয়টি কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মতিন ভাইকে জানালে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এরপর এই পর্যন্ত করতে পেরেছি।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মতিন সরদার বলেন ‘আমি ও রায়হান সব সময় ভিডিওর মাধ্যমে গরিব ও অসহায় মানুষদের সাহায্য সহযোগিতার চেষ্টা করি। তারই ধারাবাহিকতায় প্রীতম ও প্রিয়সীর ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওটি সৌদি প্রবাসী রাজু এবং শেখ আলীর নজরে আসার পর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং সঙ্গে সঙ্গেই নগদ ২৫ হাজার টাকা দেয়। আমার ভিডিওর কারণে যদি কেউ উপকৃত হয় তখন খুবই ভালো লাগে।

স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম এমন কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন ‘সমাজে যাদের সামর্থ্য আছে তাদের অবশ্যই উচিত অসহায়দের সাহায্য করা। সাহায্যকারী প্রবাসী দুই ভাইকেও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে দুই শিশু যেন আগামী দিনগুলোতে ভালোভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সেই জন্য তাদের জন্য স্থায়ী একটা আয়ের ব্যবস্থা করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।

এ ধরনের জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো রাকিবুল হাসান। ওই দুই শিশুর বিষয়ে অবগত আছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।


সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কেএসআরএমের ট্রাফিক সাইন হস্তান্তর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়ক নিরাপত্তা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে দেশের অন্যতম ইস্পাত প্রস্তুতকারী শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের পক্ষ থেকে ট্রাফিক সাইন ও বিভিন্ন সামগ্রি হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) উত্তরা ৪ নং সেক্টরে হাইওয়ে পুলিশ সদরদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সামগ্রি হস্তান্তর করা হয়। কেএসআরএমের পক্ষে বিজনেস রিসার্চ অ্যাড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের
মহাব্যবস্থাপক কর্নেল (অব.) আশফাকুল ইসলাম হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়ার কাছে এসব সামগ্রি হস্তান্তর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (এডমিন) ইমতিয়াজ আহমেদ, কেএসআরএমের সহ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা, ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কর্মকর্তা (ব্র্যান্ড) মো. মুনমুন রহমান, প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমানসহ হাইওয়ে পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে হাইওয়ে পুলিশ প্রধান দেলোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে কেএসআরএম সরকার ও জনগণের পাশে থাকে। অতীতের মতো এবারও এগিয়ে এসেছে সবার আগে। আমরা আগামীতেও কেএসআরএম আমাদের পাশে থাকবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করছি। পাশাপাশি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি কেএসআরএম সংশ্লিষ্ট সকলকে।

কেএসআরএমের মহাব্যবস্থাপক কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, কেএসআরএম বরাবরের মতো দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সবসময় যুক্ত থাকে। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শেরপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। পরে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া-র নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অযৌক্তিক ফি বৃদ্ধিতে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তারা শিক্ষার্থী বান্ধব ও সহনশীল ফি নির্ধারণ, ইমপ্রুভ ফি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা, ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন ফি ১০০ টাকা, সার্টিফিকেট ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তার দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গত বছর যেখানে বিভিন্ন বিভাগের ফি ছিল ২২০০–২৩০০ টাকা, এ বছর তা বেড়ে ৩৩০০–৩৫০০ টাকা হয়েছে। তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও অসচ্ছল পরিবারের সন্তান। হঠাৎ ফি বৃদ্ধির কারণে অনেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন। শিক্ষার মান উন্নয়ন না করে ফি বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাই তারা দ্রুত এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের দাবিগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হবে।’


কমলগঞ্জে ধানখেত থেকে ৭ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাল্লারপার এলাকার একটি ধানখেত থেকে ৭ ফুট লম্বা একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেটিকে উদ্ধার করে লাউয়াছড়ার জানকিছড়া রেসকিউ সেন্টারে ক্লিনিকে নেওয়া হয়েছে। সাপটি আঘাতপ্রাপ্ত থাকায় অবমুক্ত করা হয়নি। গত রোববার (সাপ-সংরক্ষক ও ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের সংরক্ষণ কর্মী চঞ্চল গোয়ালা অজগরটি উদ্ধার করেন।

চঞ্চল গোয়ালা জানান, দুপুরের দিকে স্থানীয়রা ফোন দিয়ে জানান ধান কাটতে গেলে একটি অজগর তারা দেখতে পান। তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন সাপটির শরীরে আঘাত রয়েছে। স্থানীয়রা সাপটিকে কাঁচি দিয়ে আঘাত করে। সেখান থেকে অজগরটিকে উদ্ধার করে প্রথমে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের রেসকিউ সেন্টারে নেওয়া হয়। কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে সেটিকে উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সাপটি বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানিতে ভেসে আসছে। সাপটার ওজন প্রায় ১০ কেজির মতো।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী নাজমুল হক জানান, সাপ-সংরক্ষক ও ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের সংরক্ষণ কর্মী চঞ্চল গোয়ালা ধানক্ষেত থেকে অজগরটি উদ্ধার করেন। সাপটি কিছুটা আঘাত প্রাপ্ত। সুস্থ করে নিরাপদে অবমুক্ত করা হবে। তিনি বনসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এবং সাপ দেখলে হত্যা না করে বনবিভাগ বা সংরক্ষণ কর্মীদের খবর দেওয়ার আহ্বান জানান।


banner close