জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে যখন বিশ্রামে থাকার কথা, তখনো জীবিকার তাগিদে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হচ্ছে কুড়িগ্রামের প্রবীণ নাগরিকদের। বয়সের ভার তাদের প্রতিবন্ধকতা, প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছেন মজুরি বৈষম্যের। এর পরও সংসার তাদের দিকে মুখ তুলে না তাকানোয় নিজেদের জীবন নিজেদেরই টেনে নেয়ার এক যুদ্ধে যেন নেমেছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন, বাল্যবিবাহের পর বিচ্ছেদ ও দারিদ্র্যের কারণে কুড়িগ্রামে বয়স্ক শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। এ ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি না মানায় বেশি সন্তান নেয়ার কারণে পরিবারের কর্তাব্যক্তির ওপর চাপ বেড়েছে। এর ফলে শেষ বয়সে এসেও জীবিকার তাগিদে ঝুঁকিপূর্ণ ও ভারী কাজ করতে হচ্ছে বয়স্ক মা-বাবাকে।
কুড়িগ্রামে কোনো শিল্পকারখানা না থাকায় এখানকার প্রায় ৮০ ভাগ মানুষই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশের অন্য জেলাগুলোর তুলনায় এখানে দারিদ্র্যের হারও বেশি। ২০১৬ সালে ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বসবাস নিয়ে শীর্ষে ছিল এই জেলা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, এই জেলার চর রাজিবপুর দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা, যেখানে প্রায় ৭৯ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষই হতদরিদ্র। এ জেলার সবচেয়ে কম দরিদ্র উপজেলা ফুলবাড়ীতেও ৬৯ ভাগ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করেন।
জেলার উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের তনুরাম গ্রামের ৭৫ বছরের পঙ্গু অটোচালক খোকা মিয়া। ১২০ বছরের বৃদ্ধ মা ফুলজন বেওয়া, স্ত্রী, এক মেয়ে, নাতিসহ তার সংসার। পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণে এই বয়সেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা চালাচ্ছেন। ১৯৭৫ সাল থেকে পায়ে চালিত রিকশা চালাতেন। যান্ত্রিক যুগে প্রতিযাগিতায় টিকতে তিন বছর আগে ঋণ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কেনেন।
খোকা মিয়া বলেন, ‘বয়স্ক ভাতা ও অটোরিকশা চালিয়ে যা আয় তা দিয়ে চলে সংসার। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুড়িগ্রাম-চিলমারী মহাসড়কসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রী নিয়ে ছুটে চলি। তবে বৃদ্ধ দেখে আগের মতো আর যাত্রী আমার অটোতে ওঠে না।’
খোকা মিয়ার মতো একই অবস্থা সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের আরাজি পলাশবাড়ী গ্রামের অশীতিপর রিকশাচালক দছিমুদ্দিনের। পাকিস্তান আমল থেকেই রিকশা চালাচ্ছেন। যান্ত্রিক বাহনের যুগে এসেও অর্থাভাবে এখনো সেই রিকশাই তার সম্বল। এক ছেলে ও দুই মেয়ে বিয়ের পর আলাদা হয়ে নিজ নিজ সংসার নিয়ে ব্যস্ত। জীবিকার তাগিদে তাই বাধ্য হয়েই শেষ বয়সেও রিকশা চালান।
দছিমুদ্দিন বলেন, ‘৬০-৭০ বছর ধরে এই বাংলা রিকশা চালাই। অটোরিকশার যুগে বুড়া মানুষের রিকশায় কেউ চড়তে চায় না। দিনে এক-দেড় শ টাকার মতো আয় হয়। দুই বুড়া-বুড়ির সংসার চলে যায়। সন্তানরা বিয়া করি জুদা হয়া গেছে। হামাক আর দেখে না।’
কুড়িগ্রাম কলেজ মোড়ের শ্রমিক ইয়াসিন আলী (৫৫) প্রায় ৩০ বছর ধরে গাছ কাটেন। যে বয়সে বিশ্রাম আর নাতি-নাতনিদের নিয়ে হাসিখুশি দিন পার করার কথা, সেই বয়সে জীবিকার তাগিদে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যস্ত তিনি। বলেন, ‘প্রতি মণ গাছ ফাড়লে (গাছের গুঁড়ি থেকে লাকড়ি তৈরি) পাই ২০ টাকা। দিনে ২৫-৩০ মণ গাছ ফাড়ানোর পরও বাজারের টাকা হয় না। বাজারে জিনিসপাতির যা দাম তাতে গোস্ত, মাছ চোখেও দেখি না মাসোতে।’
উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর এলাকার বাসিন্দা সামছুর রহমান (৫২) বলেন, ‘এই বয়সে বিশ্রাম হামার জন্য স্বপ্নের মতো। বাতের ব্যথা, অ্যাজমা নিয়ে ভ্যান চালাচ্ছি সংসারের চারজনের পেট বাঁচাতে। একজনের আয়ে চলে মোর সংসার। এক দিন বসি থাকলে সবাইকে উপোস থাকতে হয়। মেম্বার-চেয়ারম্যান সরকারি কোনো সহযোগিতা দেয় না।’
একই এলাকার আবুল হোসেন প্রায় ৬০ বছর ধরে ভ্যান চালান। সন্তানরা বিয়ে করে সংসার নিয়ে আলাদা হওয়ার পর দুর্ভোগ বেড়েছে তার। বলেন, ‘টাকার অভাবে বয়স্ক ভাতাও হয়নি। বাঁচার তাগিদে এখনো ভ্যান চালাতে হচ্ছে। বিশ্রাম নেয়া তো বড়লোকি ছাড়া আর কিছু না হামার।’
দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই আনন্দ বাজারের বাসিন্দা সুবারু রবি দাসের স্ত্রী আমরতি বলেন, ‘তিন মেয়ে আর এক ছেলে বিয়ে করে সংসার আলাদা করে নিছে। প্রায় ৭০ বছর বয়স হইল। মেম্বারের কাছত বয়স্ক ভাতার জন্য গেছি। চার-পাঁচ হাজার টাকা চাইছে। টাকা দিবার পাই না, ভাতাও আর হয় না। এলা এই বাড়ি-ওই বাড়ি কাজ করে কোনোমতে দিন চলে।’
বেসরকারি সংস্থা সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশীদ লাল বলেন, দেশে গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। কুড়িগ্রামে বয়স্ক শ্রমিকদের জরিপ না থাকলেও এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সামাজিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক বিচ্ছিন্নতার কারণে মা-বাবার দায়িত্ব না নেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বাল্যবিবাহের পর বিবাহবিচ্ছেদের কারণে মেয়েরা সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি ফেরত এলে বৃদ্ধ মা-বাবার ওপর চাপ বাড়ে। এর ফলে বয়সকালেও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বের হতে হচ্ছে তাদের। এসব বয়স্ক মানুষের খাদ্য, চিকিৎসাসহ অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করতে সরকার, জাতিসংঘ ও দাতা সংস্থার সমন্বয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ওপর জোর দেন তিনি।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) গভীর রাতে সীমান্তের বড় আঁচড়া বটতলা এলাকা থেকে এ ট্যাবলেটগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করে বিজিবির বেনাপোল ক্যাম্পের সদস্যরা।
বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যায়। জব্দকৃত ট্যাবলেটগুলো ধ্বংস করার জন্য যশোর ব্যাটালিয়নে জমা করা হবে। ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় চোরাচালানীরা ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এনে বড় আঁচড়া বটতলা মোড়ে মজুদ করেছে। পরে বেনাপোল বিওপির হাবিলদার মো. মামুনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহলদল সেখানে অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ৯ হাজার ৮০০ পিস ভারতীয় সুপার ভিডালিস্টা নামের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট জব্দ করে।
বিচার, সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ গঠনে ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবাইকে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, আগামীর নতুন বাংলাদেশে সিলেট এনসিপির অন্যতম দুর্গ হবে। সিলেটবাসী আজ তা দেখিয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শেষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, যুগযুগ ধরে সিলেট বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এবং বাংলাদশের স্বাধীনতার পক্ষে সিলেট বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে। জনগণের মুক্তির লড়াইয়ে সিলেট ছিল অগ্রগামী। ৪৭ সালে সিলেটবাসী পূর্ববঙ্গের সঙ্গে থাকার রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু সিলেটবাসীকে সেই ব্রিটিশ থেকে শুরু করে পাকিস্তান এবং আওয়ামী লীগ আমলেও ঠকানো হয়েছিল। গ্যাস, বালু পাথরসহ সিলেটের খনিজ সম্পদ থেকে সিলেটবাসীকেই বঞ্চিত করা হয়েছে।
তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সিলেটবাসীর মূল্যবান অবদানের কথা স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিক এটিএম তুরাবসহ এই সিলেট জেলার ১৭ জন মানুষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন। আমরা সেইসব শহীদের রক্তের শপথ নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে এসেছি এই সিলেটে।
তিনি বলেন, লন্ডনে বাঙ্গালিদের অধিকাংশই হচ্ছেন সিলেটী। আপনারা যেমন লন্ডনকে জয় করেছেন তেমনি জয় করেছেন এই সিলেটকে। আমাদের প্রবাসী ভাইদের ঘামে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরে। আমরা তাদের ভোটাধিকারের জন্য কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি প্রবাসীরা বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণের অংশী হবেন।
বিচার, সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ গঠনে ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবাইকে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বলেন, সেখান থেকে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র নিশ্চিত করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, 'এনসিপি বিএনপিবিরোধী বলে যে প্রচার করা হচ্ছে —তা ঠিক নয়। তবে বাংলাদেশে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট চলতে দেওয়া হবে না।'
তিনি বলেন, 'সিলেটের চা বাগানের শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের ঠিকমতো মজুরি দেওয়া হয় না। চা বাগানের লাভ শুধু মালিক নয়, শ্রমিকদের দেওয়ার ব্যবস্থা করবে এনসিপি।'
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'আমাদের দেশ কখনো প্রশাসনের, কখনো ব্যবসায়ীর, আবার কখনো সেনাবাহিনীর হয়েছে, জনতার হয়নি। আমরা জনতার বাংলাদেশ গঠন করতে চাই।'
আওয়ামী লীগের সুবিধা নিয়ে যারা লেখক হয়েছেন, যারা আওয়ামী লীগ আমলে মিডিয়া খুলেছে—তাদের দিকে বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, 'এনসিপি কোনো চাঁদাবাজ দল নয়। আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ করে এনসিপি ওঠে এসেছে।'
এর আগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকাল ৫টায় সিলেট নগরীর চৌহাট্টা থেকে পদযাত্রা শুরু করে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গরমের কারণে নির্ধারিত পদযাত্রার পথ কিছুটা সংক্ষিপ্ত করে পুনরায় চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে তারা পথসভায় মিলিত হন।
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর, যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন, কেন্দ্রিয় সমন্বয়ক গোলাম মর্তুজা সেলিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মাগুরায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে ৮০ টি হুইলচেয়ারসহ বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে ।
মাগুরা প্রতিবন্ধী সেবা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের সহায়তায় এবং জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ারসহ বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব উপকরণ বিতরণ করেন। এ সময় সাথে ছিলেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন।
মাগুরা সদর উপজেলায় ৩২টি হুইল চেয়ার, শ্রীপুরে ১০টি হুইল চেয়ার, মহম্মদপুরে ২০টি হুইল চেয়ার ও ১টি সাদাছড়ি, শালিখায় ১০টি হুইল চেয়ার এবং পৌরসভায় হুইল চেয়ার, ট্রাইসাইকেল, ওয়াকার, সাদাছড়ি, ক্র্যাস ও কর্ণার চেয়ারসহ বিভিন্ন উপকরণ দেয়া হয়।
মোট বিতরণকৃত উপকরণের মধ্যে ছিল ৮০টি হুইল চেয়ার, ১০টি ট্রাইসাইকেল, ৪টি অক্সালারি ক্র্যাস, ২টি স্মার্ট সাদাছড়ি, ১টি এলবোক্র্যাচ, ১টি কর্ণার চেয়ার ও ১টি ফোল্ডিং ওয়াকার।
এসময় জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন , প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং এই সহায়তা তাদের জীবনযাপনকে স্বাভাবিক করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের রুকন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের সংকটকালে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের নেতারা বিদেশ থেকে দেশে এসে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধিপাত্যবাদের দোসর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের নেতাদের বেগম পাড়া কিংবা পিসি পাড়া নাই। জামায়াতের কোনো নেতা কখনোই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি —যাবেও না। যারা দেশ ও জনগণকে ভালোবাসে না তারাই বিদেশে নিজেদের দ্বিতীয় ঠিকানা গড়ে তুলেছেন। তারা নিজেদের স্বার্থে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।’
জামায়াতের এমন অবস্থঅনের কারণে শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিচারিক হত্যা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন জামায়াতপ্রধান।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দলটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত ৫৪ বছরে জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের একজন নাগরিকের প্রতিও অবিচার করেনি, জুলুম করেনি। জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাসী করেনি, করবেও না। জামায়াত দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। যারা দলই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না—তারা দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সার্বিক পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
ইসলামকে পৃথিবীর একমাত্র অসাম্প্রদায়িক ধর্ম উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, ধর্ষক, খুনি, লুটেরাদের ভয়ের কারণ আছে—এজন্য তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে তাদের মা-বোন যদি প্রয়োজনে বাজারে যেতে পারে, হাসপাতালে যেতে পারে, প্রয়োজনীয় মৌলিক সব কাজ করতে পারে—তাহলে কেন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে নারীদের চলাফেরায় বাঁধা সৃষ্টি হবে এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সকল ধর্মের নারী-পুরুষ সকলেই রাষ্ট্রের কাছে সমান। রাষ্ট্র ধর্মের কিংবা লিঙ্গের বৈষম্য করতে পারে না। ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ইসলাম ও দেশপ্রেমিক সকলকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে চায় জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের রাজনীতি হবে কেবলই মানুষ ও মানবতার কল্যাণে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জেনারেল মাওলানা এটিএম মা'ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগীয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান ও মো. শামছুর রহমান।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় হঠাৎ করে ভাইরাল ফ্লো জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার শত শত মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ রোগী শুধুমাত্র জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি ও শরীর ব্যথার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। তাদের অনেকেই আবার কয়েকদিন ধরে উচ্চমাত্রার জ্বরে ভুগছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি ক্লিনিক বা হাসপাতালে যাচ্ছেন।
জানা যায়,উপজেলার কালাইয়া, ধুলিয়া, কেশবপুর, নাজিরপুর, ও কনকদিয়া ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। অনেক স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে বলে জানা গেছে।স্থানীয় ফার্মেসিগুলোতেও সর্দি-কাশি ও জ্বরের ওষুধের চাহিদা বেড়ে গেছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা ধুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিন বলেন,আমার ৭ বছরের ছেলের দুই দিন ধরে জ্বর, কাশি আর গলা ব্যথা। ওষুধ খাওয়ালেও জ্বর কমছে না। চিন্তায় আছি, তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
অন্যদিকে কালাইয়া ইউনিয়নের গৃহবধূ রাবেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী, শ্বশুর আর মেয়ে—তিনজনই জ্বরে ভুগছে। ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়েছিলাম, কিন্তু তেমন কাজ না হওয়ায় আজ হাসপাতালে এসেছি। প্রতিদিনই কেউ না কেউ অসুস্থ হচ্ছে আশেপাশে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রউফ বলেন,“এটি সাধারণত মৌসুমি ভাইরাল জ্বর, তবে উপসর্গ তীব্র থাকায় অনেকেই আতঙ্কিত হচ্ছেন। আমরা রোগীদের বিশ্রাম, পানিসমৃদ্ধ খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। তবে যদি শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, বা দীর্ঘমেয়াদি জ্বর হয়, দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন থামছেই না। এবার শেরপুরে নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে রাতের আাঁধারে ২১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে নাকুগাঁও সীমান্ত এলাকার ১৪১৬ নম্বর সীমানা পিলারের মাঝখানের ৩ নম্বর সীমান্ত গেইট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
পুশইন করা সবাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদের মধ্যে ৫ জন বয়স্ক পুরুষ, ৫ জন নারী ও ১১টি শিশু রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান।
তিনি জানিয়েছেন, পুশইন হওয়া আটককৃতদের নাকুগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। প্রথমকিভাবে তারা রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানা গেছে। তাদের বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই এবং পরবর্তী কার্যক্রমের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ভারতের মেঘালয়ের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গতকাল গভীর রাতে ২১ জন রোহিঙ্গাকে পুশইন করেন। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের হাতিপাগার বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে নাকুগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখেন।
বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃতরা ৬টি পরিবারের সদস্য। তারা ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে যায় এবং সেখানে শ্রমিক হিসেবে হোটেলে ও বাসাবাড়িতে কাজ করতে শুরু করে। এক মাস আগে ভারতীয় পুলিশের অভিযানে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে ছিল বলে পরিচয় দেয়। ভারতীয় পুলিশ পরে তাদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাদের মেঘালয়ের ডালু সীমান্তে কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে আনা হয় এবং মধ্যরাতে রাতে নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকার ৩ নম্বর সীমান্ত গেইট দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই একইভাবে নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ১০ নারী-পুরুষকে পুশইন করে বিএসএফ।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২১ জুলাই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উদ্ধার কার্যক্রম চালায় ফায়ার সার্ভিস ও বিমান বাহিনী।
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মাকিন (১৭) নামের ওই শিশুটি ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিল।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টা ৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১৫ জন মারা গেল।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন জানান, চিকিৎসাধীন ৪২ জনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মাকিন মারা যাওয়ার পর এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে আরও ৪০ জনকে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ এলাকায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা কিছুটা কমে আসতে পারে।
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বান্দরবানে, ২০ দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে।
আবহাওয়ার সিনপটিক চিত্রে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশের এলাকায় লঘুচাপটি পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে আগাচ্ছে এবং ঘণীভূত হয়ে প্রথমে সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও পরে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ সকাল ৬টায় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি আরও পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আজ বিকেলে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণ থেকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় আছে।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জের সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ও নাগরিক নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার বিষয় এবং অন্যান্য ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করবে এই কমিটি।
তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ও মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিককে। এছাড়া কমিটির সদস্য রয়েছেন- স্বরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান, আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, যশোরের ২১ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহীদুর রহমান ওসমানী, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক সরদার নূরুল আমিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী।
কমিটিকে রাজনৈতিক সভায় আক্রমণ ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ করবে কমিটি। আর কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
তদন্ত কমিটি আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুস্পষ্ট মতামত ও সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
আগামী নির্বাচনের আগে কিছু মৌলিক সংস্কার ও অপরাধীদের বিচার দৃশ্যমান জামায়াতে ইসলামী আশা করে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আশা করে আগামী বছরের প্রথমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে কিছু মৌলিক সংস্কার ও অপরাধীদের বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে সিলেট নগরীর বালুচরে শিল্পকলা একাডেমিতে মহানগর জামায়াতের আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ তার পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারেননি। সেরকম নির্বাচন হলে তা জাতির জন্য দুঃখের ও বেদনার কারণ হবে। নির্বাচনের আগে অন্তত দুই-চারজন শীর্ষ অপরাধীদের শাস্তি দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, আগামীতে যেই সরকারে আসুক তাকে অপরাধীদের শাস্তি বা বিচারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। তা না হলে যুবকরা আবার রাস্তায় নেমে আসবে। তারা এখন পথ চিনে ফেলেছে।
জামায়াতের আমির বলেন, একটা যুদ্ধ হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে, দেশবাসীকে নিয়ে আরেকটা যুদ্ধ হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং এই যুদ্ধেও বাংলাদেশের মানুষের জয় হবে।
তিনি বলেন, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছি আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী। আহতদের পাশেও থাকার চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো। ইনশাল্লাহ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব আমরা পেলে অবশ্য শহীদ পরিবার এবং আহতদের যথাযত সম্মান দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইতিহাস যাতে বিকৃত না হয় সেজন্য আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের তথ্য লিপিবদ্ধ করা শুরু করেছি।
তিনি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, যে দল তার কর্মীদের চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে পারে না, তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, সরকারি অব্যবস্থাপনা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে চা শিল্প রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশের সব জায়গায় সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি চলছে।
শফিকুর রহমান বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক তরুণ তরুণীকে দেশ গড়ার কাজে গড়ে তুলব।
কোনো দেশ আমাদের প্রভু নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের অধিকার
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
সভায় আরও বক্তব্য দেন, জামায়াতের সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা আমির মখলিছুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মাওলানা লুৎফর রহমান হুমায়দী, জামিল আহমদ রাজু, শামীম আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি শাহজাহান আলী ও নায়েবে আমির নুরুল ইসলাম বাবুল।
সভায় শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা বক্তব্য রেখেছেন।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত পাঁচ শিশুর পরিচয় ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, গত ২২ জুলাই ঢাকা সিএমএইচে রক্ষিত অজ্ঞাত মৃতদেহ ও দেহাংশ থেকে তাদের ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা ১১টি নমুনা সংগ্রহ করেন। এসব নমুনা বিশ্লেষণ করে পাঁচজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে, এসব প্রোফাইল ৫টি ভিন্ন পরিবারের ১১ জন সদস্যের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মেলানো হয়। এতে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শনাক্ত হওয়া পাঁচ নারী হলেন— মো. ফারুক হোসেন ও সালমা আক্তার দম্পতির মেয়ে কিয়া ফেরদৌস নিধি (পিএম নম্বর: ৬২৫)।
মো. বাবুল ও মাজেদা দম্পতির মেয়ে লামিয়া আক্তার সোনিয়া (পিএম নম্বর: ৬২৬, ৬৩১, ৬৩২, ৬৩৩–এম৯, এম১০, এম১১)।
মো. আব্বাস উদ্দিন ও মোসা. মিনু আক্তার দম্পতির মেয়ে আফসানা আক্তার প্রিয়া (পিএম নম্বর: ৬২৭, ৬২৮)।
মো. শাহাবুল শেখ ও মিসেস মিম দম্পতির কন্যাসন্তান রাইসা মনি (পিএম নম্বর: ৬২৯)।
মো. আব্দুল কাদির ও উম্মে তামিমা আক্তার দম্পতির মেয়ে মারিয়াম উম্মে আফিয়া (পিএম নম্বর: ৬৩০)।
সিআইডি সূত্রে আরও জানা যায়, বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ডিএনএ প্রযুক্তির মাধ্যমে অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদের শনাক্তে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি। নিহতদের লাশ পুড়ে যাওয়ায় চেহারা দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে আত্মীয়দের দেওয়া ডিএনএ নমুনার ভিত্তিতে এই প্রোফাইলিং করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আরও কয়েকজনের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ বিশ্লেষণের কাজ চলছে। শনাক্তদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু হবে দ্রুত।
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৩ জুলাই (বুধবার) ২০২৫ তারিখে জনাব সিমন সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ -এনায়েতনগর-কাশীপুর এর আওতাধীন কামরাঙ্গীরচর এলাকার ১টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে মেসার্স ক্রোনি এপারেলস লি:, হাটখোলা, কাশীপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। ইতঃপূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত গ্রাহক মেসার্স ক্রোনি এপারেলস লি: কর্তৃক অবৈধভাবে ০২ ইঞ্চি ব্যাসের সার্ভিস লাইন স্থাপন করে বাইপাসের মাধ্যমে অবৈধপন্থায় গ্যাস ব্যবহার করায় গ্রাহকের অবৈধ বাইপাস লাইন উচ্ছেদপূর্বক উৎস পয়েন্ট হতে কিলিং করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে অবৈধ সার্ভিস লাইন স্থাপন করে গ্যাস ব্যবহার করায় গত ০৯/০২/২০২৪ ইং এবং ১২/০৩/২০২৫ ইং তারিখে গ্রাহকের অবৈধ সার্ভিস লাইন বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়েছে। গ্রাহক অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় ইতোপূর্বে গ্রাহকের বিপরীতে বিল জরিমানা ধার্যকরনসহ মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা চলমান রয়েছে।
একই দিনে, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সাভার -এর বিশেষ অভিযানে মেসার্স বিসমিল্লাহ্ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, কাজী মার্কেট, কাশিমপুর, গাজীপুর -এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সর্বমোট মাসিক লোড ১,৭৩৩ ঘনমিটার। সংযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে মাসিক ৫২,৮৫৭ টাকার গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
এছাড়া, জনাব মোঃ মুশফিক-উল-আলম, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, গাজীপুর -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -জয়দেবপুর, জোবিঅ -জয়দেবপুর এর আওতাধীন মির্জাপুর রোড, বাংলাবাজার এবং বাঘের বাজার, গাজীপুর সদর, গাজীপুর এলাকার ২টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে আনুমানিক ৫০ দ্বিমুখী ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, বিভিন্ন ব্যাসের ৩০০ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। ১ জন গ্রাহককে ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, জনাব মনিজা খাতুন, সিনিয়র সহকারী সচিব ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ - সোনারগাঁও, জোবিঅ -সোনারগাঁও এর আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার কাঠালিয়াপাড়া এবং নয়াপুর এলাকার এলাকার ৪টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে আনুমানিক ৩.৫ কি.মি. এলাকার প্রায় ৮৩০ টি আবাসিক বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ১৮০ফুট এমএস পাইপ ও ৩৫০ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।
রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের রংপুর চাকঘর থেকে তারাগঞ্জের চিকলী বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে। ওই সড়কে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম দেওয়া হয়েছে বলে সত্যতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল।
বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ ডিভিশনের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৩৪ বেঙ্গল রেজিমেন্ট পরিচালিত একটি নিয়মিত টহল দল লেফটেন্যান্ট নাজমুলের নেতৃত্বে সিটি মোড় এলাকায় কাজ পরিদর্শনে যায়। সেখানে সড়কের গঠন ও ব্যবহৃত উপকরণ পরিমাপে অনিয়মের প্রমাণ পায় সেনাবাহিনী।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। রাস্তাটিতে প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি। তবে রাস্তা নির্মাণে কেন এরকম অনিয়ম হচ্ছে, সেনাবাহিনীকে তার কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি প্রকৌশলী।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রংপুর মেডিকেল মোড় থেকে পাগলাপীর বাজার, শলেয়াশাহ বাজার থেকে বরাতি সেতু, তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তারাগঞ্জ সেতু এবং তকনাগঞ্জ বাজার থেকে চিকলী বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটার অংশে ডিবিএসটিসহ সংস্কারকাজে বরাদ্দ হয় ২৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪৬ টাকা।
৪ ফেব্রুয়ারি এই সড়কের সংস্কারকাজ পায় ডন এন্টারপ্রাইজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১০ কিলোমিটার সড়কে ডিবিএসটি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। অক্টোবরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সেনা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্প অনুযায়ী প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর ব্যবহারের শর্ত থাকলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি করে। তার মানে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি পাথর কম ব্যবহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডন এন্টারপ্রাইজের প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রজেক্ট অনুযায়ী প্রতি স্কয়ারে ২৩ কেজি পাথর দেওয়ার কথা ছিল। সেনাবাহিনীর টেস্ট করার পর আমরা ১৮ কেজি পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো সড়ক ও জনপথের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কাজ করছি। বেশি জায়গা না, মাত্র ৮০০ মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম হয়েছে। আমরা এটা আবার রিপেয়ার (সংস্কার) করে দেব।’
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামতের শুরু থেকেই অনিয়ম করে আসছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা প্রতিবাদ করলেও কেউ কর্ণপাত করেনি। সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ভালো কাজ করেছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, রাস্তাটি ভালোভাবে মেরামত হলে সবারই উপকার হবে।
লেফটেন্যান্ট নাজমুল জানান, রাস্তা মেরামতে অনিয়ম হচ্ছে—এমন খবর পেয়েই তারা অভিযান চালান। এটি তাদের নিয়মিত অভিযানের মধ্যেই পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ডিজাইনে ছিল ২৩ কেজি, সেখানে ১৮ কেজি পেয়েছে। আমাদের দেখভাল করার লোকজন রয়েছে। যেহেতু দীর্ঘ একটা এলাকা, কমবেশি হতে পারে। সেটা অবশ্যই আমরা ঠিক করে দেব।’