শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘে চিঠি শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের

তুমব্রু সীমান্ত। ছবি: দৈনিক বাংলা
বান্দরবান প্রতিনিধিআবদুল মান্নান
প্রকাশিত
বান্দরবান প্রতিনিধিআবদুল মান্নান
প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২২:২৪

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশফাঁড়ির পর এবার কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী সীমান্তে মিয়ানমারের ওপারে গোলার শব্দ এপারে ভেসে আসছে। এতে করে আতঙ্কে দিন পার করছে সীমান্ত এলাকার মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারের ভেতরে চলা সংঘর্ষ বিস্তৃত হচ্ছে বলেই এবার পালংখালী সীমান্ত থেকেও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

তবে কয়েক দিন আগে ওই সীমান্ত থেকে ৭০ পরিবারকে নিরাপদে সরানোর পরিকল্পনার কথা জানায় প্রশাসন। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উখিয়ার পালংখালীর আঞ্জুমান পাড়ার সীমান্তে বসবাসকারীরা ভারী অস্ত্রের গোলার শব্দ শোনা যায় বলে জানান।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী দৈনিক বাংলাকে জানান, তুমব্রুর পর এবার উখিয়া পালংখালীর আঞ্জুমানপাড়ার সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে। তবে সীমান্তের মানুষজন যেন ভয় না পায়, সে বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, ‘সকালে উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া কথা স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এখানে সীমান্তের ৩০০ মিটারের ভেতরে প্রায় ১০০ পরিবার রয়েছে। আমরা তাদের খোঁজখবর রাখছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে তুমব্রু সীমান্তেও গোলাগুলি চলার খবর পাওয়া যায়। বাংলাদেশ-মিয়ানমারের এই সীমান্তে গত মাসখানেক ধরেই গোলাগুলি চলছে। ফলে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছে। এ ঘটনায় সীমান্তের ৩০০ পরিবারকে অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার কথা ভাবছে প্রশাসন।

তুমব্রু জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিবাদে সমাবেশ। ছবি: দৈনিক বাংলা
তুমব্রু জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিবাদে সমাবেশ। ছবি: দৈনিক বাংলা

এদিকে, মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে তুমব্রু জিরো পয়েন্টে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘকে লেখা একটি চিঠিও সেখানে পাঠ করে তারা।

গতকাল সোমবার বিকেলে অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মর্টার শেল হামলায় রোহিঙ্গা কিশোর ইকবাল হত্যার প্রতিবাদ জানায় সেখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা।

এ সময় বক্তব্যে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, শুরুর দিকে মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) গোলাগুলি-সংঘর্ষ শুরু হলেও এখন তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) গোলাগুলি করে পরিস্থিতি অশান্ত করছে। এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটছে গত পাঁচ বছর ধরে সেখানে বসবাসকারী ৬২১টি পরিবারের চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গার।

সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে শূন্যরেখায় পরিকল্পিতভাবে মর্টার শেল হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের মিলিটারিরা। তারা চায় আমরা এখান থেকে সরে যাই, আমরা যাব না। যদি যেতেই হয় শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা হেঁটে পাহাড়ের অপর প্রান্তে রাখাইনে নিজেদের ভিটায় ফিরব।’

জাতিসংঘকে লেখা চিঠি সম্পর্কে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুখপাত্র দিল মোহাম্মদ সমাবেশে বলেন, ‘২০১৭ সালে সামরিক জান্তা আট লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করেছে। আমরা চিঠিতে জাতিসংঘকে জানিয়েছি সামরিক জান্তা বাহিনী যেকোনো মুহূর্তে আমাদের ওপর আরও বড় আক্রমণ করতে পারে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতিসংঘকে শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান করা হয়েছে। এই চিঠি জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।’

সম্প্রতিকালে মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল ও গোলার আঘাতে শূন্যরেখার একজন রোহিঙ্গা নিহতসহ ছয়জন আহত হয়েছে। এর আগে মর্টার শেল ও গোলার ছোড়ার ঘটনায় ঢাকাস্থ মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চারবার তলব করা হয় এবং এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। এরপরও গোলাগুলি বন্ধ হয়নি এখনো।


গাজীপুরে তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩ মে, ২০২৪ ১২:০৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজীপুরের জয়দেবপুর জংশন এলাকায় যাত্রীবাহী ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। জয়দেবপুর স্টেশনের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, দুর্ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের মতো আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।'

এদিকে দুর্ঘটনায় ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে ওই রুটে কোনো ট্রেন চলছে না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার।

তিনি বলেন, ‘এখন ওই রুটে ট্রেন নেই। আর শুধু জয়দেবপুরে কোনো ট্রেন যাবে না। দুপুরের পরে ওই রুট দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।’


পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে নারীসহ ১১ জনের মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে কুমিল্লায় চার, রাঙামাটিতে তিন, কক্সবাজারে দুই এবং খাগড়াছড়ি ও সিলেটে একজন করে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকাল ও সন্ধ্যায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি জানিয়েছেন।

নিহতরা হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সূর্যনগর গ্রামের আতিকুল ইসলাম (৫০), চান্দিনার কিছমত শ্রীমন্তপুর গ্রামের দৌলতুর রহমান (৪৭), বুড়িচংয়ের পাঁচোড়া নোয়াপাড়া গ্রামে আলম হোসেন (৩৫) এবং দেবিদ্বারের ধামতী গ্রামের মোখলেসুর রহমান (৫৮)।

জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, বজ্রপাতে মারা যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই চাষির মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্লাদিয়া এলাকার জমির হোসেনের ছেলে মো. দিদার হোসেন (২৫) এবং রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে আরাফাতুর রহমান (১৩)।

স্থানীয়দের বরাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জয় গণমাধ্যমকে বলেন, ভোর থেকে পেকুয়ায় থেমে থেমে বজ্রপাতসহ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে মাঠে থাকা লবণ পলিথিনে ঢেকে রাখতে যান দিদার হোসেনসহ পরিবারের আরও ২-৩ জন। এক পর্যায়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দিদার।

তিনি বলেন, প্রায় একই সময়ে রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে করতে গিয়েছিল কিশোর আরাফাতুর রহমান। তিনিও একইভাবে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের লাশ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে বলেও জানান পেকুয়ার ইউএনও।

অন্যদিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বোরো ধান কাটাতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে; এ সময় আরও দুইজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

নিহত বাবুল আহমদ (৪৮) উপজেলার দক্ষিণ কুয়রেরমাটি গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হলেন- নিহত বাবুলের ভাতিজা ফাহিম আহমদ (১৭) ও মানিকপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (২০)।

স্থানীয়দের বরাতে কানাইঘাট থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুম গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে ভাতিজা ফাহিম আহমদ ও প্রদীপ বিশ্বাসকে নিয়ে বাবুল আহমদ স্হানীয় শফিক হাওয়রে বর্গা জমিতে বোরো ধান কাটতে যান। এ সময় হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে তারা গুরুত্ব আহত হন।

পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাবুল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাঙামাটির সদর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে; এ সময় আরো অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- শহরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপাকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান বেগম (৫৫) এবং সাজেকের লংথিয়ান পাড়ার তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭)।

রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যাসমিন চাকমা বলেন, ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম ব্লক এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী বাহারজান বেগম গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান ।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

খাগড়াছড়িক মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বৃষ্টির মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইয়াছিন আরাফাত উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিম পাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ মিয়ার ছেলে।

স্বজনদের বরাতে বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, বৃষ্টির সময় উঠানের পাশেই আম কুড়াতে যায় দুই ভাই। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে ছোট ভাই প্রাণে বেঁচে গেলেও বড় ভাই ইয়াছিন আরাফাত ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডেজী চক্রবর্তী বলেন, নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।


১২ বাংলাদেশি জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নাফ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালী রহমতেরবিল সীমান্ত এলাকা থেকে ১২ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের পর ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

জেলেরা হলেন, পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম (৩৫), মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০), মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৭) ও সাইফুল ইসলাম (৩০), মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম (৩০), আবু তাহেরের ছেলে শাহীন (২০), গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (৫২), পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী (৩০), মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান (৩৫), আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম (৩৫), টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকার রোমান আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৩২) ও দৈংগ্যাকাটা এলাকার হোসাইন আহমদ (৫৫)। গতকাল রাত ৮টার দিকে ১২ বাংলাদেশিকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অপহরণের শিকার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকার আব্দুল জলিল নামের এক যুবক।

তিনি বলেন, ‘আরকান আর্মি আমাদেরকে নাফনদীর বাংলাদেশ অংশ থেকে ধরে নিয়ে গেছিল। জাতীয় পরিচয়পত্র চেক করে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর দুপুরের দিকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সীমান্তের পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে সন্ধ্যা ৭টায় সীমান্তের নাফ নদীর বাংলাদেশ অংশের বালুখালীর একটি এলাকায় ১২ জনকে ছেড়ে দিয়ে তারা চলে যায়। আমরা সবাই সুস্থ আছি।’

বুধবার সকাল ৮টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী রহমতেরবিল সীমান্তে নাফ নদী থেকে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়।

অপহৃতদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জেলেরা নাফ নদীর বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের ছেড়ে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরাকান আর্মির সদস্যরাই আমাদের জেলেদের নিয়ে গিয়েছিল। কারণ রহমতেরবিল সীমান্তে মিয়ানমার অংশে এখন সে দেশের কোনো সরকারি বাহিনী নেই। যারা ছিল তারা সবাই সংঘাতের সময় পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছিল। এখন রহমতেরবিল সীমান্তের ওপারে মিয়ানমানের ওই এলাকাটি আরাকান আর্মির দখলেই আছে।’

এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে এম গফুর উদ্দিন খবর পেয়েছেন আরাকান আর্মিই জেলেদের নিয়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন বলেন, যেহেতু সীমান্ত এলাকা থেকেই অপহরণের শিকার হয়েছে তারা, তাই বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে এবং তাদেরকে উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।

আরাকান আর্মির নাম সরাসরি না বললেও তানভীর হোসেন বলেন, তিনিও শুনেছেন মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনই জেলেদের অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছিল। এ বিষয়ে বিজিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


সেচ সংকটে শতবিঘা জমি অনাবাদি, বিপাকে কৃষক

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ মে, ২০২৪ ০৫:১০
মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ

নওগাঁ সদর উপজেলায় কৃষিকাজে ব্যবহৃত একটি গভীর নলকূপ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে পানির অভাবে ওই সেচযন্ত্রের আশপাশের প্রায় ১০০ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে স্থানীয় কৃষকদের। এ অবস্থা দেখা গেল নওগাঁ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়া, মাদ্রাসা পাড়া, সরদার পাড়া, শেখপুরা ও মন্ডলপাড়া এলাকায়। কৃষকদের দাবি, পৌরসভার হাজীপাড়া মহল্লা সংলগ্ন মাঠে একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। সেটি পরিচালনা করেন মকবুল হোসেন ওরফে গ্যাদো নামের এক ব্যক্তি।

ওই এলাকায় প্রায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতে নলকূপটির মালিক মকবুল হোসেন কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান আবাদের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে সেচের জন্য ২ হাজার টাকা করে দাবি করেন। আশপাশের অন্যান্য নলকূপের সেচ খরচের তুলনায় বেশি টাকা দাবি করায় কৃষকেরা ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এদিকে চাহিদা অনুযায়ী সেচ খরচ দিতে রাজি না হওয়ায় সেচযন্ত্রটি বন্ধ রাখেন গভীর নলকূপের মালিক মকবুল হোসেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেও কৃষকরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।

গত ১৯ মার্চ ৬০ জন কৃষক স্বাক্ষরিত ওই লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ পৌরসভার হাজীপাড়া, সরদারপাড়া ও মাদ্রাসাপাড়া মহল্লার মধ্যবর্তী মাঠে প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমি আছে। এসব জমিতে প্রতি মৌসুমে কয়েক হাজার মণ ধান হয়। বোরো মৌসুমে ওই এলাকার কৃষকদের কথা মাথায় রেখে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ওই মাঠে দুটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছে। ওই দুটি সেচযন্ত্রের মধ্যে মকবুল হোসেন পরিচালিত গভীর নলকূপের অধীনে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ হয়ে থাকে। গত তিন বছর ধরে মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ কৃষকদের জিম্মি করে সেচ বাবদ বেশি টাকা আদায় করে আসছেন।

পার্শ্ববর্তী বোয়ালিয়া, শেখপুরা এলাকায় গভীর নলকূপে প্রতি বিঘা জমিতে সেচ খরচ বাবদ যেখানে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা আদায় করা হয়, সেখানে সবুজ দাবি করে ২ হাজার টাকা। অধিকাংশ কৃষক এই পরিমাণ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সবুজ সেচযন্ত্র থেকে পানি তোলা বন্ধ করে দেন।

এদিকে ধানের বীজতলায় সেচ দিতে না পারায় কৃষকদের চারা নষ্ট হয়ে যায়। জমিতে ধান লাগাতে না পেরে অনেক কৃষক জমিতে তিলের চাষ করেছেন; কিন্তু দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে এবং সেচ যন্ত্র বন্ধ থাকায় অধিকাংশ তিল খেতের গাছ মরে যেতে বসেছে। এই দুরবস্থা নিরসনে জেলা ও উপজেলা সেচ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষকেরা।

হাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন বাশার বলেন, এই জমিতে ইরি-বোরো ও আমন মৌসুমে যে ধান হয়, তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। জমিতে এবার ধান লাগানোর জন্য ৭-৮ হাজার টাকা খরচ করে বীজতলা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ডিপ টিউবওয়েল থেকে পানি তোলা বন্ধ রাখায় এবং অন্য কোনো উপায়ে জমিতে সেচের ব্যবস্থা না থাকায় সেই চারা জমিতে লাগাতেই পারেননি তিনি। পরে সেই জমিতে তিনি তিলের বীজ বপন করেন। পানির অভাবে খেতের তিলের গাছও মরে যেতে বসেছে এখন।

হাজীপাড়া মহল্লার আরেক কৃষক আলাউদ্দিন। জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেন। এবার ধান চাষের জন্য দেড় বিঘা জমি প্রস্তুত করেছিলেন। কিন্তু সেচযন্ত্র বন্ধ রাখায় পানির অভাবে পরবর্তীতে সেই জমিতে তিনি আর ধান আবাদ করতে পারেননি। আলাউদ্দিন বলেন, ‘আশপাশের কোনো ডিপ টিউবওয়েলেই ২ হাজার টাকা করে সেচ খরচ নেওয়া হচ্ছে না। অথচ মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি বিঘা জমিতে ২ হাজার টাকা করে সেচ খরচ দাবি করেন। কৃষকেরা ১৬০০ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও রাজি হননি সবুজ। উল্টো ডিপ টিউবওয়েল থেকে পানি তোলাই বন্ধ রাখেন। অনেক অনুনয়-বিনয় করার পরেও ডিপ টিউবওয়েল চালু করেননি। ধান আবাদ করতে না পারায় তার মতো কয়েক গ্রামের প্রায় শতাধিক কৃষক পরিবার বিপাকে রয়েছে।

কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেচযন্ত্রের মালিক মকবুল হোসেন ওরফে গ্যাদো বলেন, ‘একটা মৌসুমে একটা ডিপ টিউবওয়েল চালালে তিন থেকে চার লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। এছাড়া ট্রান্সফরমার বা সেচযন্ত্রের অন্য কোনো অংশ নষ্ট হয়ে গেলেও বাড়তি খরচ হয়ে যায়। মেশিন চালাতে যে খরচ হবে, সেটা তুলতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে। তাই পানি তোলা বন্ধ রেখেছি।’

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি এস এম রবিন শীষ বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগে এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সম্ভবত এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছিলাম। কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সেচযন্ত্রটি চালু করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে বাংলাদেশি ১০ জেলেকে

মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত বিভাজক নাফ নদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা বাংলাদেশি ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।

বুধবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের নাফ নদ অংশের মোদিরখাল থেকে তাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন- পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম, মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম, মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম, আবু তাহেরের ছেলে শাহীন, গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম, পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী, মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান ও আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, খালের মুখে মাছ ধরার সময় আরকান আর্মির সদস্যরা ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানবীর হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে। বিজিবির হস্তক্ষেপে তাদেরকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।


বজ্রাঘাতে পাঁচ জেলায় ৯ প্রাণহানি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যেই সারা দেশে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বজ্রাঘাতে পাঁচ জেলায় নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল অব্দি এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-

কক্সবাজার

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বজ্রপাতে দুই লবণচাষির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার জমিরের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৫) ও রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়া এলাকার জামালের ছেলে মো. আরমান (২৫)। তাদের দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী জানান, মগনামার কোদাইল্যাদিয়ায় ভোরে লবণ মাঠ পরিচর্যা করতে গেলে বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই দিদারুলের মৃত্যু হয়।

রাজাখালীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, বুধবার রাতে প্রচুর বজ্রপাত হয়। ভোরেও বজ্রপাত অব্যাহত থাকে। রাতের বৃষ্টিতে লবণমাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হলে চাষি আরমান তা পরিচর্যা করতে যান। ওই সময় বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

রাঙামাটি

রাঙামাটিতে পৃথক দুই স্থানে বজ্রাঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে জেলার শহরের তবলছড়ির সিলেটিপাড়া এলাকায় এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রপাতের সময় বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান (৬০) ঘরের বাইরে অবস্থান করছিলেন। ওই বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়। একই সময় বজ্রাঘাতে রাঙামাটি শহরের তবলছড়ির সিলেটি পাড়ায় মো. নাজির হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি ঘরের কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে।

রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. শওকত আকবর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানান, নিহত নাজির হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহমেদ বজ্রাঘাতে প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিলেট

সিলেটের কানাইঘাটে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রাঘাতে বাবুল আহমদ (৪৮) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময় আরও দুই কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার দিঘিরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের শফিক হাওরে এ ঘটনা ঘটে। মৃত বাবুল কানাইঘাটের দক্ষিণ কুয়রের মাটি এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।

ওই সময় বজ্রাঘাতে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বাবুলের ভাতিজা ফাহিম আহমদ (১৭) এবং মানিকপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (২০)।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাবুল আহমদসহ কয়েকজন স্থানীয় শফিক হাওরে বোরো ধান কাটতে যান। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হন তারা। ওই সময় আশপাশের লোকজন তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক বাবুল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন। ঝলসে যাওয়া দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী জানান, বজ্রাঘাতে মারা যাওয়া বাবুল পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন।

কুমিল্লা

কুমিল্লার চার উপজেলায় বজ্রাঘাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথক সময়ে জেলার চান্দিনা, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং ও দেবিদ্বারে এ চারজনের মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের কিছমত-শ্রীমন্তপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে দৌলতুর রহমান (৪৭), সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ার ইউনিয়নের উত্তর সূর্যনগর গ্রামের আতিকুল ইসলাম (৫০), কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী গ্রামের মোখলেছুর রহমান (৫৮) এবং বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাচোরা গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার আলম হোসেন।

সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও স্থানীয় সূত্রে চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।


দেশে কেন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, জানালেন কৃষিমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবায় নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে নির্মিত পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, উদ্বৃত্ত উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও অপর্যাপ্ত মজুদ সুবিধা ও সংরক্ষণাগারের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবায় নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে নির্মিত পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, জায়ান্ট এগ্রো প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আব্দুস শহীদ বলেন, প্রায় প্রতিবছরই পেঁয়াজ নিয়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। সেজন্য পেঁয়াজ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিগত দুই বছরে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন। দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়; যা চাহিদার চেয়েও বেশি। কিন্তু পেঁয়াজ খুবই পঁচনশীল হওয়ায় ও সংরক্ষণাগারের অভাবে আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা কৃষককে বিনামূল্যে ও ভর্তুকিমূল্যে বীজ, সার প্রদানসহ সব রকমের সহযোগিতা দিচ্ছি। একইসঙ্গে, অপচয় বা পোস্ট হার্ভেস্ট লস কমাতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। ফসল হার্ভেস্টের পর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ নষ্ট বা অপচয় হয়। এতো বিশাল অপচয় কেন হবে। এটি আমাদেরকে কমিয়ে আনতে হবে।’

এ উদ্যোগ গ্রহণ করায় নেদারল্যান্ডস সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার আমাদের দেশের কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের জন্য খুবই উপকারে আসবে। কৃষকেরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবে। এ সময় নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরকে আরও পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।

দেশের জায়ান্ট এগ্রো প্রসেসিং নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় সংরক্ষণাগারটি নির্মাণ করেছে। প্রযুক্তি নেদারল্যান্ডসের। এর ধারণ ক্ষমতা ৪০০ মেট্রিক টন।


শিবপুরে আওয়ামী লীগ নেত্রী রিমির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নরসিংদীর শিবপুরে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে উপজেলার বাঘাব দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার পাশে স্মার্ট বুথে 'ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ মে দিনব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মো: মোশারফ হোসেন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে তার কন্যা মেট্রো ওয়াশিংটন মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহসিনা জান্নাত রিমির উদ্যোগে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা, ব্লাড প্রেশার পরীক্ষা করা হয়। এতে বিভিন্ন বয়সের ১২০জন অসহায়, দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ এবং খাওয়ার স্যালাইন দেয়া হয়েছে।

এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে রোগী দেখেন ডা:কাওসার ফাহিম এমবিবিএস (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ) মেডিসিন এবং পেডিয়াট্রিক মেডিসিনে অভিজ্ঞ বিএমডিসি।

এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রতি সপ্তাহের বুধবার ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে সেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিমি।

এছাড়াও প্রচন্ড তাপদাহের কারণে তৃষ্ণার্ত শ্রমিক, পথচারী ও সাধারণ মানুষদের মাঝে প্রশান্তি এনে দিতে রিমির উদ্যোগে বিশুদ্ধ সুপেয় শরবত ও পানি বিতরন কর্মসূচি অব্যাহত রাখছে।

রিমি বলেন,'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের কল্যাণে, বিপদ আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করি। সমাজে অনেক মানুষ আছেন যারা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না। তাদের কথা ভেবে আজকের এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।'


ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাধবপুর উপজেলার হরিতলা নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে সিলেট থেকে ঢাকাগামী প্রাইভেটকার ও বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের চালকসহ ৫ জন ঘটনাস্থলে মারা যান।

নিহতরা হলেন- পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার মো. জামাল (৪০), তার স্ত্রী কামরুন্নাহার (৩৫), ছেলে মো. অনন্ত (১১), তার ছোট ভাই মো. এনামুল (৩৫) ও গাড়িচালক বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার হারুণ বেপারী (৩৫)।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা, মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস এবং শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে ও মাধবপুর থানা পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালায়।

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম খাঁন ও জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মরদেহ শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা হেফাজতে রয়েছে।

বিষয়:

চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে টানা কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমের পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমে এসেছে। তাপপ্রবাহের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আকাশপানে বৃষ্টির আশায় তাকিয়ে ছিলেন লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টি হলেও নগরে বর্ষণ দেখা যায় সকাল ৯টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ডিউটি ফোরকাস্টিং অফিসার আবদুল বারেক বলেন, ‘ভোরে এক মিলিমিটার এবং সকাল নাগাদ ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। আজ দুপুর এবং বিকেলেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।’

তিনি জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে আজ চট্টগ্রামে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। নদী বন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বিষয়:

সিরাজগঞ্জে মোবাইল কিনে না দেওয়ায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে সিরাজগঞ্জে হালিমা খাতুন (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে সদর উপজেলায় সায়দাবাদ ইউনিয়নের সারটিয়া কলেজ পাড়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। নিহত হালিমা খাতুন সারটিয়া কলেজ পাড়া গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে ও সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বুধবার দুপুরে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পরিবারের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
পরিবারের বরাদ দিয়ে এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কয়েকদিন ধরে হালিমা মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য মা-বাবাকে বার বার তাগিদ দিয়েছিলেন। মোবাইল না কিনে দেওয়ায় দুইদিন ধরে খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়েছেন হালিমা। পরে গত রাতে হালিমা খাতুন তার নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।


চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন আলোচিত সেলিম প্রধান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন বলে দাবি করেন জাপান-বংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান। উচ্চ আদালতের রায়ে মনোনয়নপত্র ফিরে পেয়েছেন বলে তিনি সবাইকে মিষ্টিমুখ করান। বুধবার (১ মে) বিকেলে রূপগঞ্জের ভুলতা সাওঘাট এলাকায় দোয়া মাহফিল শেষে এলাকাবাসীকে মিষ্টিমুখ করিয়ে তিনি এ বক্তব্য দেন। প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন উল্লেখ করে সেলিম প্রধান বলেন, `নিম্ন আদালতে আমার মনোনয়ন পত্র আটকে দেওয়া হয়। পরে উচ্চ আদালতের দ্বারস্ত হতে হয়েছে। হাইকোর্টে (উচ্চ আদালতে) গেলে আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। এ কারণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে ও মিষ্টিমুখ করানো হয়েছে।
তিনি বলেন, রূপগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় প্রার্থী পাশ করেছে। এভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদ ইলেকশন থেকে সিলেকশন হয়ে গেছে। এটা জাতির সাথে ক্রিমিনালী ও ক্রাইম। এমনকি চেয়ারম্যান পদটাও তাদের সেট করা। এটা গাজী পরিবারের কাজ। গাজী পরিবার কোন কিছু ভালোভাবে চিন্তা করতে পারেনা। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন গ্রহযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানান ধরনের পাঁয়তারা শুরু করেছে। এই যে বালু হাবিব (হাবিবুর রহমান হাবিব), গাজী ও তার পরিবার এতো সাহস পায় কোথা থেকে? রূপগঞ্জবাসী আমার পরিবার। রূপগঞ্জ ওয়ান ফ্যামিলি।এই পরিবারকে মুক্ত করার জন্য আমি যুদ্ধ করতেছি। সুতরাং আমার পক্ষে রূপগঞ্জবাসীর থাকাটা তাদের ঈমানী দায়িত্ব।
পাতানো নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি যদি ইলেকশনে না আসতে পারতাম, তাহলে সবকিছু সেট করা ছিল। ভাইস চেয়ারম্যান পদ যেমন সিলেকশন হয়ে গেছে, ঠিক সেভাবে সবক্ষেত্রে তারা দুর্নীতি করে আওয়ামী লীগের বদনাম করে প্রধানমন্ত্রীর বদনাম করে।
রূপগঞ্জ থানার ওসিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলে, ওসি মহোদয়কে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনি নিরপেক্ষ কাজ করবেন। আপনার অনেক কিছু আমি জানি। যদি কোন রকমের কোন কিছু আমি দেখি..।আমার কিছু বলার সুযোগ যেন না হয়। আপনি জনগণের সেবক সেটা ভুলে যাবেন না। আপনি কারও দালাল না। আপনি কারও পক্ষ নিয়ে কিছু করবেন না। আপনি জনগণের হয়ে কাজ করবেন।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে তিনি স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কুশল বিনিময় করেন ও মিষ্টিমুখ করান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মী সহ আরও অনেকে। এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে যাছাই বাছাই শেষে সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা এক মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগের অভিযোগে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। এ ধাপে ১৬১ উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোটগ্রহণ করা হবে।


আবহাওয়ায় সুখবর, আজ রাতে বৃষ্টি হতে পারে যেসব জেলায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রায় এক মাস ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে চলেছে দেশবাসী। আজ রাত থেকেই সিলেট ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য জেলাগুলোয়ও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বুধবার আবহাওয়া অফিস জানায়, চট্টগ্রামে বুধবার দিনগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে বৃষ্টির ফলে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমবে। এছাড়া একই সময়ে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি আগামী দিনগুলোতে এই বৃষ্টি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। একইসঙ্গে ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও আওতা কমবে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে আজ চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে।


banner close