সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
২১ আশ্বিন ১৪৩২
সাতক্ষীরা রেঞ্জ

যত্রতত্র আবর্জনা ফেলায় সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ

সুন্দরবন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
৬ মে, ২০২৩ ১৬:০৪
প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত : ৬ মে, ২০২৩ ১৫:৪৭

সাতক্ষীরার সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ। শনিবার সকাল থেকে বন বিভাগ মৌখিকভাবে পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ ম্যানগ্রোভ বনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্লাস্টিকসহ ক্ষতিকর দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, পর্যটকরা সুন্দরবনে প্রবেশের সময় সঙ্গে প্লাস্টিকের পানির বোতল, প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার, ওয়ান টাইম (একবার ব্যবহার্য) গ্লাস ও প্লেট, চিপসের প্যাকেটসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন দ্রব্য নিয়ে যান। ব্যবহার শেষে এসব দ্রব্য নদীতে এবং সুন্দরবনের মধ্যে ফেলে দেন। ফলে নদী ও সুন্দরবনের পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। এছাড়া অনেক প্রাণী মারাও যাচ্ছে। এ বিপর্যয় ঠেকাতে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

সুন্দরবন সাতক্ষীরার সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, বন ও পরিবেশমন্ত্রী সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষার্থে ক্ষতিকর দ্রব্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। প্রতিটি ট্রলারে ডাস্টবিন রাখা থাকলেও সেখানে না ফেলে নদীতে ফেলা হয় আবর্জনা। আমরা বারবার বলার পরও পর্যটকরা কর্ণপাত করছেন না।

সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, গতকাল শুক্রবার আমি নিজে পরিদর্শন করে দেখেছি নদীর মধ্যে অনেক প্লাস্টিকের পাত্র ভাসছে। এগুলো কোন ট্রলার বা নৌযান থেকে ফেলা হয়েছে, এমন তথ্যও দিতে চান না ট্রলার চালকরা। যে কারণে শনিবার সকাল থেকে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পরিবেশ রক্ষার শর্ত মানলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে জানান ইকবাল হোসাইন চৌধুরী।


ঝিনাইদহে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক ও চাকুরী প্রত্যাশীদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ইসলামী ব্যাংকসহ ব্যাংকিং সেক্টরে অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
সোমবার সকালে ইসলামী ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখার সামনে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে গ্রাহক ও চাকুরী প্রত্যাশীরা। সেসময় ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ওই শাখার গ্রাহকসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচীতে গ্রাহক আল মাহমুদ, হাদি মহম্মদ, জিয়াউল ইসলাম খান, কাজী রফিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুস সবুরসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সেসময় বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এস আলম কর্তৃক অবৈধভাবে হাজার হাজার কর্মী ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তাই দ্রুত অবৈধ ভাবে নিয়োগ দেওয়া কর্মীদের ছাটাই করে মেধাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার দাবী জানান বক্তারা।


ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট ও অনিয়মে রোগীদের চরম ভোগান্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফয়জুল ইসলাম মিলন, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, অনিয়ম, জনবল ঘাটতি ও দালাল চক্রের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে।

স্বনামধন্য এ হাসপাতালটি শুধু ভেড়ামারা নয়, পাশ্ববর্তী দৌলতপুর, মিরপুর ও পাবনার ঈশ্বরদী অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল। অথচ চিকিৎসকের অপ্রতুলতা আর দুর্নীতির কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ রোগীরা চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। এ হাসপাতালের ডা. পলাশচন্দ্র দেবনাথের অবৈধভাবে বিদেশযাত্রা, হাসপাতালের ফটকের সামনে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্টাফ কতৃক রোগী ও তার স্বজনদের টানাহেচড়া, প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ও দালালচক্রের দৌরাত্ম সবেমিলে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান অবস্থা চরম বিপর্যস্তগ্রস্থ। জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সমস্যা আরো তীব্র হবে বলে জানান রোগী ও তার স্বজনরা।

ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুমোদিত ২৫ জন চিকিৎসকের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো-সার্জারি) ও ৩ জন মেডিকেল অফিসার রয়েছেন। ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদশুন্য রয়েছে জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেসথিসিয়া), জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন)।

এছাড়াও আইএমও, এনসথেটষ্ট, এম.ও (এ.এমসি) এর পদ খালি রয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে একজন করে মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও সবগুলোই পদশুন্য । শুধুমাত্র সাতবাড়ীয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিয়োগকৃত মেডিকেল অফিসারকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্তি দেওয়া হয়েছে। ফলে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রায় অচল।

হাসপাতালে ১জন মিডওয়াইফ, ১জন জুনিয়র নার্স, ১জন একাউন্টেন্ট, ১জন ক্যাশিয়ার, ৩জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, ১জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিন, ১জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) , ২জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১২জন স্বাস্থ্য সহকারী, একজন কম্পাউন্ডার, অফিস সহায়ক, তিনজন ওয়ার্ড বয়, দুইজন আয়া, দুইজন কুক, একজন মালি, একজন নিরাপত্তার প্রহরী, তিনজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুইজন অফিস সহায়ক এর পথ শূন্য রয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে বরাদ্দকৃত সিটের বাইরে রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন।

সেকারণে রোগীদের ফ্লোরে অথবা বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। গাইনী ও এনেসথিসিয়া ডাক্তার না থাকায় অপরেশন বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন আউটডোরে প্রায় ৪ শতাধিক রোগী সেবা নিয়ে থাকেন।

তাছাড়াও হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ ও প্রসূতি সেবাও ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের অদক্ষ অপারেটার ও এক্স-রে মেশিন বিকল, প্রয়োজনীয় ল্যাব টেস্টও করা সম্ভব হচ্ছে না।এতে রোগীরা বাধ্য হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল বা বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে ছুটে চলেছেন। ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালে সনোগ্রাফি করা বন্ধ রয়েছে।

হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. পলাশ চন্দ্র দেবনাথ (কোড নং-১৩১৯০০) ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নেন। কিন্তু ছুটি শেষে আর অফিসে যোগ দেননি। জনশ্রুতি রয়েছে, তিনি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অবৈধভাবে বিদেশে চলে গেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। রোগীরা জানান, ‘সরকারি বেতন গ্রহণ করে ডাক্তার যদি অবৈধভাবে বিদেশে চলে যান, তাহলে আমাদের চিকিৎসা সেবা কে দেবে।’ ডা. দেবনাথের দীর্ঘ অনুপস্থিতি ইতোমধ্যেই হাসপাতালের চিকিৎসা সংকটকে প্রকট করেছে।

হাসপাতালের ভেতরে দালালচক্র সক্রিয় থেকে রোগীদের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। সরকারি বরাদ্দের খাবারও রোগীরা প্রায়ই সঠিক ভাবে পান না। ফলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে হাসপাতালটি।

হাসপাতালের ফটকের সামনে রয়েছে তিনটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অভিযোগ রয়েছে, যেকোনো টেস্টের সময় এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা রোগীদের হাত ধরে টানাটানি করে নিজেদের সেন্টারে নিতে চেষ্টা করে। এতে রোগীরা বিব্রত ও ভোগান্তিতে পড়েন।

সম্প্রতি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নির্দেশে হাসপাতালের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারী বদলি হয়েছেন। এতে স্বাস্থ্য সহকারী, দফতরি, ওয়ার্ড বয়, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংকট আরও তীব্র হয়েছে।

এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন দৌলতপুর, মিরপুর ও ঈশ্বরদী অঞ্চলের মানুষও। কিন্তু চিকিৎসকের অভাব, পরীক্ষার সীমাবদ্ধতা আর অনিয়মের কারণে তাদের অবস্থাও নাভিশ্বাস। শেষ পর্যন্ত অনেককে বাধ্য হয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাসপাতালে যেতে হয়, যা সময়, অর্থ ও বিড়ম্বনা উভয়ই বাড়িয়ে দেয়।

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডা. পলাশ চন্দ্র দেবনাথ অনুপস্থিত থাকায় ঊর্ধ্বতন কার্যালয়ে একাধিককার আবেদন করা হয়েছে।’ ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালের অনিয়ম ও চিকিৎসক সংকট বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে চিকিৎসক সংকট একটি জাতীয় সমস্যা। হাসপাতালের অনিয়মের বিষয়েও যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।’


মেহেরপুরে শিশু,কিশোর টাইফয়েড প্রতিরোধে  টিকাদান কর্মশালা 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি

মেহেরপুরে শিশু,কিশোর ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামুলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় টায়পয়েড টিকাদান ক্যাম্পিনন২০২৫ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের জন্য ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমবার ১১ টার সময় মেহেরপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ডক্টর মহম্মদ আব্দুল সালাম।

গণযেগাযোগ অধিদফতর ও জেলা তথ্য অফিসের যৌথ আয়োজনে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদফতরের উপ পরিচালক তারেক মহম্মদ, সিভিল সার্জন ডাক্তার আবু সাইদ,জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক একেএম সিরাজুম মনির।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগীতায় দিনব্যাপী কর্মশালায় জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

টিকাদানের মাধ্যমে টাইফয়েড প্রতিরোধে করনীয় বিষয়ক আলোচনা করা হয়।


বর্ণিল সাজে কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ লেক, দর্শনার্থীদের ভিড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ লেক এখন রঙ্গিন আলোয় সেজে উঠেছে এক নতুন রূপে। একসময় যে লেকটি ছিল কচুরীপানায় ভরা, নোংরা-আবর্জনায় ভরপুর এবং অব্যবস্থাপনার কারণে পরিত্যক্ত অবস্থায়, সেই লেকই আজ পরিণত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন এক বিনোদনকেন্দ্রে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লেকটির সৌন্দর্যবর্ধন ও সংস্কারের মাধ্যমে বদলে গেছে পুরো চেহারা। দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে লেকপাড়, সৃষ্টি হয়েছে আনন্দমুখর পরিবেশ।

রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে লেকের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম ও প্যাডেল বোট উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাগুফতা হক। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মাসুম বিল্লাহ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ, কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায়, কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু তাহের হেলালসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পরপরই লেকপাড়ে ভিড় জমতে শুরু করে স্থানীয় জনগণের। নানা বয়সী নারী-পুরুষ, শিশু ও তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতিতে লেকপাড়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

লেকের চারপাশে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ফুটওয়াক নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে হাঁটতে পারেন ও চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। বসার জন্য স্থাপন করা হয়েছে শতাধিক রঙিন টুল, যা সন্ধ্যার পর লেকপাড়ের আলোয় ঝলমল করে উঠে এক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে। লেকপাড়ের সড়ক সংস্কার করে তা হাঁটাচলার উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য লেকে নামানো হয়েছে চারটি দৃষ্টিনন্দন প্যাডেল বোট, যা বিশেষ করে শিশু-কিশোর ও পরিবারের সদস্যদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

রবিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লেকের প্যাডেল বোটে চড়তে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করছে দর্শনার্থীরা। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি বোটেই রাখা হয়েছে লাইফ জ্যাকেট, যাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি না থাকে। বোটে চড়ে অনেকেই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, কেউ কেউ আবার লেকপাড়ের বসার টুলে বসে উপভোগ করছেন লেকের মনোরম দৃশ্য। বিকেলের নরম রোদে আর রাতের আলোকসজ্জায় লেকটি যেন এক আনন্দময় বিনোদন পার্কে রূপ নিয়েছে।

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী লাবিবা জানায়, আমাদের এখানে ঘোরার মতো কোনো ভালো জায়গা ছিল না। আগে বিকেলে বাড়িতে বসেই সময় কাটাতে হতো। এখন এই লেকে বোটে চড়ে খুব আনন্দ পাচ্ছি। বসার জন্যও খুব সুন্দর ব্যবস্থা করা হয়েছে, বন্ধুরা সবাই মিলে প্রায়ই আসার পরিকল্পনা করছি।

স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘কোটালীপাড়া কল্যাণ সংঘ’-এর সভাপতি সোহেল শেখ বলেন, একসময় লেকটি ছিল নর্দমার দুর্গন্ধ আর মশার উপদ্রবের জায়গা। হাসপাতালে আসা রোগী ও পথচারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হতেন। অব্যবস্থাপনা আর অবহেলায় জায়গাটি ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লেকটির পুরো চেহারাই এখন বদলে গেছে। এখন এটি কোটালীপাড়াবাসীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনোদনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে, যেখানে মানুষ নিশ্চিন্তে বিকেল কাটাতে পারছেন।

কোটালীপাড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সমেন মজুমদার বলেন, প্যাডেল বোট একটি পরিবেশবান্ধব ও শান্তিপূর্ণ বিনোদনের মাধ্যম। এতে জলজ জীবনের কোনো ক্ষতি হয় না, আবার মানুষও শান্তিপূর্ণভাবে লেকের ভেতরে ঘুরে বেড়াতে পারেন। এটি পরিবার ও বন্ধুদের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে। আমাদের এলাকায় এমন উদ্যোগ দীর্ঘদিন ধরেই প্রয়োজন ছিল, যা অবশেষে বাস্তবে রূপ নিয়েছে।

কবি ও সাহিত্যিক মিন্টু রায় বলেন, কোটালীপাড়ার দক্ষিণ সীমান্তের মাচারতারা গ্রামে একটি শিশু পার্ক থাকলেও দূরত্ব ও যাতায়াত সমস্যার কারণে সেখানে নিয়মিত যাওয়া অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই উপজেলা পরিষদের এই লেক এখন হয়ে উঠছে মানুষের নিকটস্থ একটি বিনোদনের ঠিকানা। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রবীণ নাগরিক—সবাই এখানে এসে সময় কাটাবে ও আনন্দ খুঁজে নিবে একসাথে।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক বলেন, লেকটিকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে আশাকরছি এটি কোটালীপাড়াবাসীর জন্য একটি বিনোদন স্পট হিসেবে পরিচিতি পাবে। লেকের চারিপাশে রঙ্গিন লাইট বসানো হবে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় লেকের চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। লেকের পাড়ে ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানগুলোর কারণে পানির বোতল, কাগজের প্যাকেটসহ নানা আবর্জনা লেকে ফেলে যাতে পানি দূষিত না হতে পারে, এবং কোন ধরনের বিশৃংখলা না হয় সেজন্য সার্বক্ষনিক নজরদারীতে রাখা হবে পুরো এলাকা। আপাতত এক ব্যক্তিকে বোড চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি লেকের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাসহ রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য জনসাধারণের কাছ থেকে নামমাত্র শুভেচ্ছামুল্যে নিয়ে লেকটিতে প্যাডেল বোট পরিচালনা করছেন।

উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ কেবল লেকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনেনি, বরং এটি স্থানীয় জনগণের মাঝে বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। শহরের ব্যস্ততা আর গ্রামের নিস্তব্ধতার মাঝামাঝি এই লেক এখন মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও সচেতনতার মাধ্যমে এই লেক দীর্ঘদিন ধরে বিনোদন ও সৌন্দর্যের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকবে।


নড়াইলে নিখোঁজের দুদিন পর ডোবা থেকে ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইল সদর উপজেলায় নিখোঁজের দুদিন পর কচুরিপানার মধ্যে থেকে আমিনুর বিশ্বাস আলিফ (১৫) নামে এক ইজিভ্যানচালক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মিনারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের দেবভোগ গ্রামে একটি পুকুরে কচুরিপানার নিচে লুকানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম।

নিহত আমিনুর বিশ্বাস আলিফ নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের ছোট মিতনা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম কিনায়েত বিশ্বাস। পেশায় তিনি ছিলেন একজন ইজিভ্যান চালক।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে নিজস্ব ইজিভ্যান নিয়ে বের হয় আমিনুর। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাননি।

পরে রোববার সকালে আমিনুরের মা রোজিনা বেগম নড়াইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির পরপরই পুলিশ তদন্তে নামে এবং চাচড়া গ্রামের বাহারুল ইসলামের ছেলে মিনারুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

নিহত কিশোরের বাবা-মা জানান, আমাদের একমাত্র ছেলে আলিফ জীবিকার তাগিদে ইজিভ্যান চালাতো। তাকে এমনভাবে হত্যা করা হবে, তা ভাবতেও পারিনি। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই।

নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিনারুল স্বীকার করেছে ইজিভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে স্পিডের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আমিনুরকে অচেতন করে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ দেবভোগ গ্রামের একটি পুকুরের কচুড়িপানার মধ্যে ফেলে রাখা হয়। দুপুরে পুলিশ মিনারুলকে সঙ্গে নিয়ে তার দেখানো স্থানে অভিযান চালিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। তবে নিহত আমিনুরের চালিত ইজিভ্যানটি এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নিহত আমিনুরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।


নেত্রকোণায় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম, নেত্রকোনা

নেত্রকোণায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নেত্রকোনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মহিউদ্দিনের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব নেত্রকোণা জেলা শাখার আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন দুদকের অভিযোগের তদন্তের নামে সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে নেত্রকোণা এডিএম সুখময় সরকার ও কেন্দুয়া উপজেলা কর্মকর্তা মো: ইমদাদুল হক ঘটনাস্থলে নিয়ে যান এবং সেখানে তাদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক মহিউদ্দিনেরে উপর সন্ত্রাসী মোহাম্মদ এমদাদুল হক ওরফে হালিম মাস্টারতার দলবল নিয়ে হামলা চালায়।প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সাংবাদিক মহিউদ্দিন ও তানজিলা শাহ রুরিব বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনে মামলা দায়ের করেন। এ সময় নেত্রকোণার কেন্দুয়া টিআর ও কাবিখা প্রকল্পে দুর্নীতি অনিয়মে জড়িত প্রশাসন ও প্রকল্প কমিটির বিরুদ্ধে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শাখার পক্ষে সভাপতি শামীম তালুকদার স্বাক্ষরিত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ময়মনসিংহ বিভাগীয় শাখা সভাপতি শামীম তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ও প্রভাষক সুমন আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক প্রীতম সোহাগ, নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক হাফিজ উল্লাহ চৌধুরী আলিম, দেশ কণ্ঠস্বর পত্রিকার সম্পাদক জালাল চৌধুরী, আর টিভির নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি গজনবী বিপ্লব, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নেত্রকোনা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল আলম, সাংবাদিক আবুল কাশেম আবাদী, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তালুকদার, সাংবাদিক মোনায়েম খান, সাংবাদিক তানজিলা শাহ রুবি ও ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদার প্রমুখ।


পিরোজপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পিরোজপুর প্রতিনিধি

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে সারাদেশের ন্যায় পিরোজপুরেও শুরু হয়েছে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান।

‘মা ইলিশ রক্ষা করি, ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধি করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর পিরোজপুর জেলার উদ্যোগে রোববার হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কচা নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলাউদ্দিন ভুঁইয়া জনির নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব স্বন্নামত, পিরোজপুরে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর মেজর এস এম মোস্তফা কামাল, পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আল-আমিন, পাড়েরহাট নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস, উপজেলা মৎস্য অফিসাররা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা প্রমুখ। এ সময় ট্রলারযোগে হুলারহাট লঞ্চঘাট থেকে সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ডের সদস্যরা কড়া মহরায় ছিলেন।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানায়, মা ইলিশ সংরক্ষণে ৭টি উপজেলার বিশেষ টিম মাঠে কাজ করছে। অভিযান তদারকিতে নিয়োজিত আছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। অভিযানের মূল লক্ষ্য মা ইলিশ নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়ার সুযোগ নিশ্চিত করা, যাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং দেশের ইলিশ সরবরাহ বাড়ে। কচানদীসহ জেলার অন্যান্য নদীতে এরই মধ্যে টানা টহল শুরু হয়েছে।

এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ । পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় সব রকম মৎস্য নৌযান কর্তৃক ইলিশসহ সব প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

অভিযান শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মৎস্য কর্মকর্তারা বলেন, কঠোর নজরদারি থাকায় এ বছর মা ইলিশ রক্ষার অভিযান আরও সফল হবে।


চট্টগ্রামে দুই সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, সিইউজে’র ক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় বেসরকারি চ্যানেল এখন টেলিভিশনের চট্টগ্রামের ব্যুরোপ্রধান হোসাইন আহমেদ জিয়াদ এবং ক্যামেরাপার্সন মো. পারভেজ রহমান আহত হয়েছেন। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মো. পারভেজ বলেন, জঙ্গল ছলিমপুরের লোহারপুল এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হঠাৎ ৫০-৬০ জন লোক আমাদের ওপর হামলা করে। তারা অস্ত্র ও গাছের টুকরো দিয়ে আমাদের আঘাত করে। আমাদের মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। ক্যামেরা ভেঙেছে। পরে আমাদেও জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। আমরা কোনোরকমে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, সলিমপুর থেকে আহত অবস্থায় দুই সাংবাদিককে হাসপাতালে আনা হয়েছে। মাথায় আঘাত থাকায় সাংবাদিক হোসাইন জিয়াদ ২৮ নম্বর নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

এর আগে গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সলিমপুরের আলিনগর এলাকায় ইয়াছিন ও রোকন-গফুর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কালু নামে রোকন বাহিনীর এক সদস্য নিহত হন। আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৬ জন।

এ ঘটনায় সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)’র সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ এ হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি বলেন, সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদেও উপর এ ধরণের সন্ত্রাসী হামলা ঘৃণ্য ন্যাক্কারজনক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেও দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।

টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজীব বলেন, 'চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরে টিসিজেএ নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও এখন টেলিভিশনের ভিডিও জার্নালিস্টস মো. পারভেজ রহমান এবং চট্টগ্রাম অফিস প্রধান হোসেন জিয়াদের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এই হামলা ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।'


মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল যুবকের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাকিবুল হাসান রোকেল, কিশোরগঞ্জ

মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ২১ বছর বয়সি যুবক রামেলের। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে স্তব্ধ এলাকাবাসী। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো গ্রামে। বাবা-মায়ের আহাজারি যেন থামছেই না। নিহত মো. রামেলের বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জিনারি গ্রামে।

জিনারি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনসুর আহমেদ জানান, কিছুদিন পূর্বে রামেলের বাড়ির পাশে বসে মাদক সেবন করছিলেন পাশ্ববর্তী তেতুলিয়া গ্রামের নাঈমসহ (২২) কয়েক যুবক। এ সময় প্রতিবাদ করেন রামেল ও তার চাচাতো ভাই মো. রিফাত। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হয় বিরোধ। ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে বেলতৈল স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রামেল ও রিফাতের গতিরোধ হামলা চালায় নাঈম, তারেক, সাগর, রায়হানসহ বেশ কয়েকজন। এক পর্যায়ে রামেলকে করা হয় ছুরিকাঘাত। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত রামেলকে প্রথমে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩ টায় তার মৃত্যু হয়।

জিনারি গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ বুলবুল জানান, এ ঘটনায় ৩ অক্টোবর নিহত রামেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নাঈমসহ ৭ জনের নামোউল্লেখ করে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ।

রামেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে খুব একটা পড়াশোনা করতে পারেননি রামেল। সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় গিয়ে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পরিবারে তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই ছিলেন রামেল। শুধুমাত্র মাদকের প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। রামেলের হত্যকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

রামেলের মা যমুনা বেগম জানান, রামেলের স্বপ্ন ছিল কুয়েতে গিয়ে উপার্জন করে পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাবেন। সে অনুযায়ী ঋণ করে ৫ লাখ টাকা ও পাসপোর্ট জমা দেওয়া ছিল একটা এজেন্সিতে। আর কদিন পরেই প্রবাসে পাড়ি জমানোর কথা ছিল রামেলের।


মাগুরায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা-যশোর মহাসড়কের সদরের ভাবনহাটি ঢাল এলাকায় বাস ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে দীনবন্ধু বিশ্বাস (৩৩) নামে এক ব্যক্তি নিহত এবং নারী শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। মাগুরা হাইওয়ে পুলিশের এস আই মাহবুবুর রহমান জানান, রবিবার সকাল দশটার দিকে মাগুরা-যশোর মহাসড়কের সদরের ভাবনাটি ঢাল এলাকায় সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী এসপি গোল্ডেন লাইনের একটি বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী ট্রাকের চাকা ফেটে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় গোল্ডেন পরিবহনে থাকা যাত্রী একই পরিবারের ৫ জনসহ দীনবন্ধু (৩৩),সোহেল (৩৬), মিন্টু (৩৪), আক্কাস (৫০), সিয়াম (২১) আহত হয়। আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


নবীনগরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন—স্থানীয় মো. সাদ্দামের ছেলে মো. শরীফ (৭) ও মেয়ে শিফা (৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে শরীফ বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে বড় বোন শিফা পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এক পর্যায়ে দুজনেই পানিতে ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশীরা তাদের ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে এখনও অবগত নই। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


চা-বাগানের লেক থেকে অজগর উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১২ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সাড়ে ১২টায় উপজেলার খাইছড়া চা-বাগানের লেক থেকে অজগরটি উদ্ধার করে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে খাইছড়া চা-বাগানে চা-শ্রমিকরা চাপাতা তুলার সময় হঠাৎ লেকের পাড়ে একটি বিশাল আকৃতির অজগর সাপ দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে কাজ বন্ধ করে বিষয়টি ম্যানেজারকে জানান।

পরবর্তীতে ভাড়াউড়া চা বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার সাদিকুল রহমান ও

খাইছড়া চা বাগানের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আবু নাসির মো. জামান নাহিদ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে খবর দেন।

বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল জানান, খাইছড়া চা-বাগানে একটি লোকে বিশাল অজগর দেখতে পেয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে খবর দেন। খবর পেয়ে আমি পরিবেশ কর্মী রাজদীপ দেব দীপকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অজগর সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি। সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট এবং ওজন ২১ কেজি। উদ্ধারকৃত অজগর সাপটিকে শ্রীমঙ্গল বন বিভাগের রেঞ্জ কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, উদ্ধার করা অজগরটি লম্বায় প্রায় ১২ ফুট এবং জন প্রায় ২১ কেজি হবে। অজগরটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বনে অবমুক্ত করা হবে।


ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়ায় অবস্থিত ওরিয়ন নীট টেক্সটাইল লিমিটেড ফ্যাক্টরিতে অর্ডার সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়েছে। বেতন-বোনাসসহ বিভিন্ন পাওনা পরিশোধ না করায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রবিবার সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামিরদিয়ার আইডিয়াল মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে প্রায় ১২৫০ জন কর্মকর্তা ও শ্রমিক বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা সেপ্টেম্বর মাসের বেতন এবং চাকরি হারানোর আশঙ্কা দূরীকরণসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

শ্রমিকরা জানান, কারখানায় কর্মরত ৪২ জন ম্যানেজমেন্ট স্টাফের আগস্ট মাসের বেতন ১৮ সেপ্টেম্বর দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো পরিশোধ করা হয়নি। পাশাপাশি, রিজাইন করা ৫৩ জন শ্রমিকের বেনিফিট ও অন্যান্য পাওনাও বকেয়া রয়েছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ৮ অক্টোবরের মধ্যে সব পাওনা পরিশোধ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে নামবেন।

শিল্প পুলিশ-৫ এর পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন খান বলেন,‘শ্রমিকদের বিক্ষোভের পেছনে মূলত মালিকানা জটিলতা রয়েছে। শিল্প পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয়পক্ষের সঙ্গে বসে সমাধানের চেষ্টা চলছে। শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।’


banner close