মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২
আচরণবিধি মানছেন না প্রার্থীরা

মনোনয়নপত্র তোলার আগেই প্রচার 

সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সমর্থনে প্রচারপত্র বিলি করে মহানগর যুবলীগ। অন্যদিকে প্রার্থিতা এখনো নিশ্চিত না হলেও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
৮ মে, ২০২৩ ১৫:৫৮
দেবাশীষ দেবু, সিলেট
প্রকাশিত
দেবাশীষ দেবু, সিলেট
প্রকাশিত : ৮ মে, ২০২৩ ১২:০০

নির্বাচন কমিশনের বিধান অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, আপিল ও প্রত্যাহারের পর প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হওয়ার কথা প্রার্থীদের প্রচার। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময়ই শেষ হয়নি। অথচ এরই মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের বিধান থোড়াই কেয়ার করছেন তারা।

সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। গতকাল রোববার দুপুরে নগরের করিমউল্লাহ মার্কেটে তার সমর্থনে প্রচারপত্র বিলি করে মহানগর যুবলীগ। আনোয়ারুজ্জামান ও নৌকা প্রতীকের ছবিসংবলিত এই প্রচারপত্রে লেখা, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।’ অথচ এখন পর্যন্ত মনোনয়নপত্রই সংগ্রহ করেননি আনোয়ারুজ্জামান।

প্রচারে আনোয়ারুজ্জামান এগিয়ে থাকলেও বসে নেই অন্যরাও। মতবিনিময়, কুশল বিনিময়, জুমার নামাজে অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তারা। পিছিয়ে নেই সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরাও।

গত শনিবার নগরের সোবহানীঘাটে কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিয়ম করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ওই সময়ও তার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীদের নৌকার ছবিসংবলিত প্রচারপত্র বিলি করতে দেখা যায়।

এ প্রসঙ্গে গতকাল আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করিনি। কোনো পোস্টার-লিফলেটও তৈরি করিনি। তবে আমার সমর্থনে কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে লিফলেট-পোস্টার তৈরি করেছেন, যা আমার চোখেও পড়েছে। এটি করা ঠিক হয়নি। আমি সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্ক করব।’

এই নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিলেটের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। ২০ মে নগরে সমাবেশ করে এ ব্যাপারে ঘোষণা দেয়ার কথা জানিয়েছেন আরিফ। তবে প্রার্থিতা নিশ্চিত না হলেও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কুশল বিনিময়ের নামে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

গত শুক্রবার সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকা ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড়গুল জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়েন আরিফুল হক। এরপর স্থানীয়দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। স্থানীয়রা তাকে ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যার কথা জানালে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন মেয়র।

এ প্রসঙ্গে আরিফুল হক বলেন, ‘আমি প্রার্থী হব কি না, এখনো নিশ্চিত না। তাই প্রচার চালানোর প্রশ্নই আসে না। প্রার্থী হব কি না, এ ব্যাপারে ভোটারদের মতামত জানতেই নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাচ্ছি। কিন্তু কোথাও ভোট চাচ্ছি না। বরং আওয়ামী লীগের প্রার্থী কোনো নিয়ম মানছেন না। তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। প্রশাসন তা দেখেও না দেখার ভান করছে।’

জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আবদুল্লাহও নগরের ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর আজ সোমবার সিলেট আসবেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী বাবুল। বিমানবন্দরে দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে সংবর্ধনা দেবেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া নগরের ৪২টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরাও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার সড়ক ছেয়ে আছে তাদের ব্যানার-ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে। পাড়ায় পাড়ায় সভা আয়োজন করেও ভোট চাইছেন। দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি।

শনিবার রাতে নগরের খরাদিপাড়ায় পরামর্শ সভার আয়োজন করেন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী মিঠু তালুকদার। সভায় তিনি বলেন, ‘এলাকার উন্নয়নে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে ছাত্র ও যুবসমাজ যোগ্য প্রতিনিধি বাছাই করবে। আমি জনগণের মনোনীত প্রার্থী। জনগণ পরিবর্তন চায়, পরিবর্তনই উন্নয়ন। আপনারা সুযোগ দিলে আমি মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত সুন্দর ও আধুনিক ওয়ার্ড গড়ে তুলব।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালায় প্রতীক পাওয়ার আগে প্রচার শুরুতে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু আমরা দেখছি, কেউই তা মানছেন না। এমনকি প্রতীক ব্যবহার করেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এটি আচরণবিধির সুম্পষ্ট লঙ্ঘন। প্রার্থীদের এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনকেও এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে।’

সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সুযোগ নেই। যারা এমনটি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নগরে লাগানো প্রার্থীদের প্রচারসামগ্রী অপসারণে শনিবার থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


নাটোরে বড়াইগ্রামে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই

আপডেটেড ২২ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫৭
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কে পরপর দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইকারীরা নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে পথরোধ করে ওষুধ কোম্পানির দুই প্রতিনিধি’র কাছ থেকে নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়।

প্রথম ঘটনার শিকার হন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস-এর প্রতিনিধি মোঃ জমির উদ্দিন (৪৩)সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে তিনি পাটোয়ারী তেল পাম্প থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে লক্ষীকোল বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে একটি পালসার মোটরসাইকেল যোগে তিন যুবক তার গতিরোধ করে নিজেদের ডিবি সদস্য পরিচয় দেয়। তারা দাবি করে, তার কাছে অবৈধ মাদকদ্রব্য রয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে দেহ তল্লাশি শুরু করে।

জমির উদ্দিন জানান, “তল্লাশিতে কিছু না পেয়ে তারা আমার কাছে থাকা ৯৬০০ টাকা কৌশলে নিয়ে নেয় এবং একটি থাপ্পড় দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।” তিনি আরও বলেন, “ঘটনাস্থল ছিল ফাঁকা ও অন্ধকারাচ্ছন্ন, তাই জীবন বাঁচাতে আমি প্রতিরোধ করতে পারিনি।”

পরবর্তীতে তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রে যান এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ পান। ঘটনাস্থলের নিকটস্থ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর মাত্র ১৫ মিনিট পর, সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে একই কায়দায় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস-এর প্রতিনিধি মোঃ সাইদুর রহমান (৩৫), এর কাছ থেকে ১০২০ টাকা ছিনতাই করে একই চক্র। ঘটনাটি ঘটে মাঝগাঁও ইউনিয়নের সুতিরপাড় বটতলা এলাকার কাছাকাছি, পুলিশ বক্সের সামনে থেকে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সচেতন মহল এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে।


মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত রজনীর লাশ দাফন সম্পন্ন কুষ্টিয়ায়

আপডেটেড ২২ জুলাই, ২০২৫ ১৩:০৩
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত রজনী ইসলামের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল দশটায় কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

রজনী কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলামের স্ত্রী। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে এস এম জুমজুম। মেয়ে জুমজুম আনতেই স্কুলে গিয়েছিলেন রজনী খাতুন। তাদের আরেক ছেলে একই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী এস এম রোহান অসুস্থ থাকায় সেদিন স্কুলে যায়নি। বড় ছেলে এস এম রুবাই অন্য একটি কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন।

পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,প্রায় দুই দশক ধরে জহুরুল ইসলাম ঢাকায় থাকেন। জহুরুল ইসলাম পেশায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় জানাজা শেষে দশটার দিকে গ্রামের গোরস্থানে রজনীর লাশ দাফন করা হয়েছে। জানাজাতে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কমর্কর্তা আবদুল হাই সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রজনীর লাশ ঢাকার সামরিক হাসপাতাল থেকে রাত সাড়ে নয়টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। রাত দশটার দিকে পরিবার লাশ নিয়ে দৌলতপুরের গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দেয়। ভোরে মেহেরপুরের গাংনি উপজেলার বাওট গ্রামে রজনীর বাবার বাড়িতে লাশ নেওয়া হয়। সেখানে কিচ্ছুক্ষণ রাখার পর লাশ সকাল সাতটার দিকে দৌলতপুরের বাড়িতে রাখা হয়।

পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেল, বেলা একটার দিকে ক্লাশ শেষ করে জুমজুম ক্যান্টিনে ছিল। স্কুলে মায়ের সাথে তার দেখা হয়নি। কথাও হয়নি। বিমান দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে জুমজুমের খোজে পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য স্কুলে ছুটে যান।

জহুরুল ইসলাম জানান, তিনি ব্যবসার কাজে চট্ট্রগ্রাম ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনার খবর জানার সাথে সাথে করে ঢাকায় আসেন। এরমধ্যে পরিবারের সদস্যরা জুমজুমকে স্কুল থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। কিন্তু তার মায়ের কোন খোজ মেলে না। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে খোজ করতে থাকে। একপর্যায়ে এক আত্বীয় ফোন করে জানায় রজনীর লাশ সামরিক হাসপাতালে রয়েছে। দ্রুত সেখানে ছুটে যান। একটু দূর থেকে শাড়ী দেখে চিনতে পারেন রজনীর নিথর দেহ সেটি।

তিনি আরও বলেন,‘যতটুকু দেখেছি তাতে রজনীর মাথার পেছনে আঘাত। শরীরের কোথাও পোড়া চিহৃ নেই। ধারণা করা হচ্ছে বিমান দুর্ঘটনার সময় বিমানের কোন অংশ তার মাথায় আঘাত লেগেছে। এটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। মেনে নেওয়া যায় না। আবার না মেনেও উপায় নেই।’

জহুরুল ইসলামের বড় ভাই আহসানুল ইসলাম বলেন,রজনী তিন ছেলেমেয়ের পড়াশোনার বিষয়ে খুবই আন্তরিক ছিল। মেয়েকে(জুমজুম) ক্লাশ থেকে আনতে গিয়েই দুর্ঘটনার পড়ে যায়। তার মাথার পেছনে খত দেখা গেছে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কমর্কর্তা আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন,‘সকাল দশটার দিকে লাশ দাফন হয়েছে। নিহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। একটা পরিবারে যে ক্ষতি হল সেটা কখনোই পুরণ হবার না। মায়ের কোন বিকল্প হতে পারে না। সন্তানেরা যাতে ভালো থাকে সেই দোয়া করা হয়েছে।’


ফেনীতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে ফের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি ফের বাড়ছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একাধিক ভাঙ্গন স্থান দিয়ে পানি ঢুকে পরশুরাম উপজেলার অলকা গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) স্থানীয়রা জানান, বিগত কয়েক ৩/৪ দিন ফেনীতে বৃষ্টিপাত না হলেও ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে ভারতের উজানের পানিতে এখানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। সোমবার (২১ জুলাই) সকাল থেকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গত ৮ জুলাই থেকে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় তিনটি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৪১টি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। তারমধ্যে ৬টি ভাঙ্গন স্থানে মেরামত কাজ শেষ হয়েছে। ২৮টি স্থানে কাজ চলমান রয়েছে। বাকি ৭টি ভাঙ্গন স্থান বড় হওয়ায় সেগুলোর কাজ শুরু করা যায়নি।

ভারতের উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রোববার রাত থেকে নদীর পানি আবারও দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করে। এতে ভাঙ্গন স্থানগুলো দিয়ে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, গেল বছরের (২০২৪ সালের) ভয়াবহ বন্যায়ও ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১০৪টি স্থানে ভেঙ্গেছিল। পরে ২০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দে বাঁধগুলো মেরামত করা হলেও বছর না পেরোতে আবারও ভেঙ্গেছে। এসব ভাঙ্গন স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করে সোমবার সকাল থেকে পরশুরামের পশ্চিম অলকা, পূর্ব অলকা, নোয়াপুর, চিথলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ও ফুলগাজীর কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পাউবোর যথাযথ তদারকি ও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বাঁধ ভেঙে প্রতিবছর এমন দুর্ভোগে পড়তে হয় বলছেন তারা।

পরশুরামের পশ্চিম অলকার বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, আমরা শুনেছি এখানে তেমন বৃষ্টি না হলেও ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এজন্য গত কয়েকদিন আগে বাঁধের যেসব স্থান ভেঙ্গেছে তা দিয়ে নতুন করে পানি ঢুকে ফের আমরা পানিতে ডুবছি। আমাদের এ দুর্ভোগ কখনো শেষ হবে না।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, ভারতের উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে মুহুরী নদীর পানি ৯.৬৪ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপৎসীমার ২.৮৬ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্বের ভাঙ্গন স্থান দিয়ে পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি বন্যার পর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ছোট ছোট বাঁধগুলো মেরামত করলেও বড়গুলো করা যায়নি।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, এখানে বৃষ্টিপাত না হলেও ভারতের উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্বের ভাঙ্গনস্থান দিয়ে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি বন্যার পর তিনটি নদীর ছোট বাঁধগুলো মেরামত করলেও বড়গুলো করা যায়নি।


ভৈরবে ধর্ষণ চেষ্টার মামলার আসামি ধরে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গৃহবধু নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন ননদের স্বামী বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর গতকাল রোববার রাতে পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকা থেকে অভিযুক্ত আসামী মো.বাবুল মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ১ ঘন্টা পর টাকার বিনিময়ে আসামী ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১২টায় ভৈরব থানার সামনে গ্রেপ্তারকৃত আসামী ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম পাড়া এলাকায় আপন ননদের স্বামী মো.বাবুল মিয়া বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে গৃহবধূ নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তার গায়ে জামা কাপড় ছিড়ে ফেলেন। পরে গৃহবধূর শ্বাশুরি এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় আসামী বাবুল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ভৈরব থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে ভিকটিম ১৯ জুন কিশোরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম বন্দ এলাকার মৃত আতর মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫)। এঘটনায় পুলিশ বাবুল মিয়াকে রোববার (২০ জুলাই) রাত ১০টার দিকে কালিপুরের তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করলেও অর্থের বিনিময়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বিন ইসলাম আসামীকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ নারী জানান, আমার ঘরের পাশে আসামী বাবুলের একটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। সে প্রায় সময় সেখানে বিভিন্ন মানুষজন নিয়ে আড্ডা ও নেশা করতে আসতো। এছাড়া আসামী আমার আপন ননদের স্বামী হওয়ায় সেই সুবাধে আমাদের ঘরেও মাঝেমধ্যে আসা যাওয়া করতো। গত ১৭ জুন সকালে আমার বসত ঘরে আমি কাজ করছিলাম। তখন আমার অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে স্কুলে ছিল এবং আমার স্বামী ভৈরব থানার একটি মামলায় জেল হাজতে ছিলো। এই সুবাদে আসামী আমাকে একা পেয়ে আমার বসত ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। পরে আমি কোনো রকম আমার শ্বাশুড়িকে ফোন করলে তিনি স্থানীয়দের নিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূর শ্বাশুড়ি নাজমা বেগম বলেন, আসামি বাবুল আমার মেয়ের জামাই। আমার ছেলের ঘরের সাথে তার একটি ঘর রয়েছে। সেখানে সে প্রতিদিন এসে মাদক বিক্রি করে এবং নিজেও খাই। এমনকি সে অনেক সময় রাতে সেখানে মেয়েও নিয়ে আসে। সে আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে আমার ছেলের বউকে নির্যাতনের করার জন্য অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছিল। আমি আমার ছেলের বউ এর সাথে থাকছি বলে সে সুযোগটা নিতে পরছিলো না। একদিন আমার ছোট ছেলে হঠাৎ অসুস্থ হলে আমি আমার বাড়িতে চলে যায়। ঐদিন আমার নাতিও স্কুলে ছিলো। এই সুযোগে বাবুল আমার ছেলের বউকে ঘরে একা পেয়ে তাকে পিছন থেকে জাপ্টে ধরে তার কাপড় চাপড় ছিড়ে ফেলে এবং তারা শরীরে বিভিন্ন জায়গায় শারীরিক আঘাত করে। এই অবস্থা আমার ছেলের বউ আমাকে ফোন দিলে আমি স্থানীয় আরো লোকজন নিয়ে ঐ স্থানে উপস্থিত হয়। তখন গিয়ে দেখি আমার ছেলের বউ অনেক কান্নাকাটি করছে আর বাবুল আলাদা আরেকটা ঘর থেকে আরেকজন লোক নিয়ে বের হয়ে চলে যাচ্ছে। তখন আমি বাবুলকে জাপ্টিয়ে ধরে জিজ্ঞাসা করতে চাইলে সে দৌঁড়িয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনাটি এলাকার আরো অনেকেই দেখেছে। তাই আমি প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচাই চাই।

এই বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে এসআই রাকিবের নেতৃত্বে একটি টিম নারী নির্যাতন মামলার আসামী বাবুল মিয়াকে আটক করে। পরবর্তীতে আসামী বার্থরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। এতে পুলিশের অসাবধানতার কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে টাকা নিয়ে যদি কেউ আসামী ছেড়ে দেয় তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।


ভাতিজার কোপে চাচার কব্জি কর্তনের আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে, আতঙ্কে বাদীপক্ষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামাল হোসেন পান্না, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের চড়িলাম গ্রামে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাতিজার হাতে চাচার কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রায়ই ১ মাস অতিবাহিত হলেও আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। উল্লেখ্য গত ২৬ জুন এই হামলার পর ২৭ জুন রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। বাদী আরিফুল ইসলাম বলেন- "আমি মামলা করেছি বলে আসামিরা আমাদের হুমকি দিচ্ছে,আতঙ্কে আমারা দিন কাটাচ্ছি। মামলার প্রধান আসমি মো. বায়েজিদ ইসলামসহ অন্যান্য আসামিরা এখনো অধরা"। তাই বাধ্য হয়ে বাধ্য হয়ে গত ১৩/৭/২৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্বাহী মাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি ফৌজদারি কার্যবিধি নং- ১০৭/১১৪/১১৭(গ) এর ধারায় মামলা করেছি। মামলা নাম্বার- পি-১২১৩. প্রত্যক্ষদর্শী ইকবাল হোসেন বলেন-"আমার বাড়িতে রফিকুল ভাইয়ের দাওয়াত ছিল। তিনি আমার বাড়িতে আসছিলেন। তখনই তার উপর হামলা হয়। আমি তার চিৎকারে ছুটে এসে দেখি তার হাত নেই। আমি তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই"।

রফিকুল ইসলাম বলেন- "আমাকে হত্যা করতে চেয়ে ছিল। আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গেছি। কিন্তু এখন আমার হাত নেই, আমি স্বাভাবিক জীবনে আর ফিরতে পারব না। আমি কেবল ন্যায় বিচার চাই"।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনূর ইসলাম বলেন-“আমরা মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র‍্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে তৎপরতা অব্যাহত আছে ও সংশ্লিষ্ট ইউনিট গুলোকে ও অবহিত করা হয়েছে"।


সোনাইমুড়ীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী (উত্তর) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়/দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক ঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ অসহায় পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৯ পরিবারে বিনামূল্যে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করা হয়। সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে পরিবার প্রতি এক বান ঢেউটিন ও তিন হাজার টাকার চেক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার। উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিশকাতুর রহমান, প্রকৌশলী ইমদাদুল হক, কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী, চাষীর হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ,দৈনিক বাংলার নোয়াখালী উত্তর প্রতিনিধি খোরশেদ আলম প্রমূখ।


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে নীলফামারী প্রেসক্লাবের বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণ

আপডেটেড ২১ জুলাই, ২০২৫ ২৩:৩৩
নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে নীলফামারী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে।

সোমবার সকালে (২১ জুলাই) নীলফামারী প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সাইদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) আতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নুর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র-জনতার ত্যাগ কোনদিন ভুলবার নয়। ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে যারা শহিদ ও আহত হয়েছেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নই এখন মুল বিষয়।

নীলফামারী প্রেসক্লাব শহিদদের স্মরণে এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।

নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) আতিয়ার রহমান জানান, শহরের শাহীপাড়া, নীলফামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পুলিশ লাইন্স একাডেমির তিন’শ শিক্ষার্থীর মাঝে ফলদ গাছের চারা বিতরণ করা হয়।


হারিয়ে যাওয়া ২০ মোবাইল  উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দিলো ঠাকুরগাঁও পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোহেল রানা, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া ২০ মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ।

সোমবার (২১ জুলাই) পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে অপরাধ পর্যালোচনা সভা শেষে মোবাইল ফোনগুলো মালিকদের বুঝিয়ে দেন পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় বিভিন্ন কারণে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মোবাইল মালিকদের সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গত কয়েকদিনে ২০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানায় এ ধরণের ঘটনায় বিচলিত না হয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানালে ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে পুলিশের কাজ করতে সহজ হয়। জনস্বার্থে পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

এ সময় মোবাইল ফোন ফেরৎ পেয়ে আনন্দিত মালিকরা পুলিশকে সাধুবাদ জানান।


জামালপুরে নারী কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত  সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজু আহমেদ, জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের ইসলামপুর সরকারি জে.জে.কে.এম.গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজের নারী কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ (বরখাস্তকৃত) আব্দুস সালামকে স্বপদে পূর্ণঃবহাল না করে চূড়ান্তভাবে অপসারণ চেয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২০ জুলাই) ইসলামপুর সরকারি জে.জে.কে.এম.গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ইসলামপুরের সর্বস্তরের জনগণ। ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, গত ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারী দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা ট্রেনের কেবিনে আপত্তিকর অবস্থায় এক ছাত্রীসহ কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সালামকে যৌন মিলনের সরঞ্জামাদিসহ রেলওয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইসলামপুরের ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সাথে ট্রেনে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনার সাথে জড়িত সাবেক অধ্যক্ষ আবারো আইনের মারপেচে নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করে যোগদান করার পায়তারা করছে। তার বিরুদ্ধে গত ১৭ জুলাই একটি মানববন্ধন হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি'র বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন সরকার, ইসলামপুর সরকারি জে.জে.কে.এম.গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, অভিভাবক মহাবুবুল আলম, সাঈদ খান লোহানী, ইসলামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও অভিভাবক মোরাদুজ্জামান, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির খান লোহানী, অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রৌদশীসহ আরো অনেকে।


মেঘনায় দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই কোস্ট গার্ড সদস্য আহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় কোস্টগার্ডের অভিযানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীদের আঘাতে মো.শাহরিয়ার (২৬) নামে এক কোস্টগার্ড সদস্যসহ ২জন গুরুত্বর আহত হয়। পরে শাহরিয়ারকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল সিএমএইচ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটের নীল বয়া এলাকার মেঘনা নদীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় অবৈধ জাল উদ্ধারে অভিযান চালায় হাতিয়া কোস্টগার্ডের একদল সদস্য। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাছ ধরার কারেন্ট জালসহ একটি ট্রলারকে থামার জন্য সংকেত দেয় কোস্টগার্ড সদস্যরা। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মাছ ধরার ট্রলার থেকে কোস্টগার্ড সদস্যদের উদ্দেশ্য করে ইট,পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে হামলাকারীদের বাঁশের আঘাতে শাহরিয়ারের মাথা ফেটে যায়। ওই সময় হামলাকারীরা তাকে নদীতে ফেলে দেয়।

হাতিয়া কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো.আশরাফুল আলম বলেন, একদল জেলের কাছে অবৈধ কারেন্ট জাল আছে শুনে মেঘনা নদীর নীল বয়া এলাকায় অভিযান চালায় কোস্টগার্ড। ওই সময় তাদের মাছ ধরার ট্রলারকে থামতে বললে তারা উল্টো আমাদের ওপর ইট,পাটকেল ও বাঁশ নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে একটি বাঁশের আঘাতে কোস্টগার্ড সদস্য শাহরিয়ার মাথায় জখম পায়। পরিস্থিতি ঘোলাটে দেখে দ্রুত অভিযান শেষ করে আমরা চলে আসি।


গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৩ জনের কবর থেকে লাশ উত্তোলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সংর্ঘষের ঘটনায় নিহত তিনজনের লাশ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে জেলার মিয়াপাড়া পৌর কবরস্থান হতে ইমন তালুকদার ও রমজান কাজির লাশ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়। পরে তাদের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার কবরস্থান থেকে সোহেল রানা মোল্লার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

লাশ কবরস্থান থেকে উত্তোলন কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সী ও রন্টি পোদ্দার। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গোপালগঞ্জ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইমএন্ড অপস) সহ গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর সাজেদুর রহমান, এস আই মুরাদ, এস আই শহিদুল ইসলাম, এপিবিএন পুলিশ ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বুধবারের সংঘর্ষে নিহত চারজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও সৎকার করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় মারা যান রমজান মুন্সি। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত হয়। ময়না তদন্ত শেষে আপনজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মুরাদ হোসেন ও এস আই শহিদুল ইসলাম উক্ত রমজান কাজী ও ইমন তালুকদার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পুনরায় দাফন কর হবে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ স্বাভাবিক আছে।

ময়নাতদন্ত শেষে আজ পুনরায় তাদের কবরস্থানে কবর দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়নি বলে জানা গেছে।

গোপালগঞ্জে কাটেনি জনমনের আতঙ্ক

গোপালগঞ্জে বুধবার (১৬ জুলাই) সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন নিহত হন। নিহত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় পৃথক ৪টি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলার প্রতিটিতে অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলাগুলোয় মোট আসামি ৬ হাজার।

সদর থানার ৪ উপপরিদর্শক পৃথক পৃথকভাবে মামলার বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন।

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় গোটা জেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে জনমনে কাটেনি আতঙ্ক। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ও পড়েছে ঘটনার রেশ। সোমবার কারফিউ বা ১৪৪ না থাকলেও দোকানপাট খোলেনি। নেই তেমন লোকজনের আনাগোনা। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ লোকজনের চলাচল কিছুটা বেড়েছে।


তিন জেলায় পলিথিনবিরোধী অভিযান: ৮১০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ ও কারখানা বন্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

তিন জেলায় পলিথিনবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৮১০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় কয়েকটি কারখান বন্ধও করে দেওয়া হয়।

সোমবার (২১ জুলাই)পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে পিরোজপুর, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে তিন জেলায় ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২টি মামলায় সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি ৮১০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন, ২টি ওজন মাপার যন্ত্র, ৩টি পলিথিন উৎপাদন মেশিন এবং ১টি বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, গাজীপুরে অভিযানে একটি অবৈধ পলিথিন কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অভিযানের অংশ হিসেবে কয়েকটি সুপারশপসহ স্থানীয় দোকানমালিক ও সাধারণ জনগণকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করা হয় এবং ভবিষ্যতে আইন লঙ্ঘন না করার জন্য সতর্ক করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে পলিথিন দূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হয়।


ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে সমাবেশ স্থগিত করল এনসিপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে বহু হতাহতের ঘটনায় ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ স্থগিত করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইহসানুল মাহবুব জোবায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘উত্তরায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার পর পুরো জাতি শোকাহত। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা খাগড়াছড়ির কর্মসূচি শেষে ফেনীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মী ফেনীর সমাবেশস্থলে পৌঁছেও গিয়েছিলেন। তবে এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা সমীচীন নয়।’

তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা এরমধ্যে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আগামীকাল নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে অনুষ্ঠিতব্য কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে।

আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত ও ১৬৪ জন আহত হয়েছেন। বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম মারা গেছেন।


banner close