প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
কুড়িগ্রামের এক কেন্দ্র থেকে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। যে কারণে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের গণিত, কৃষিশিক্ষা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান এই প্রশ্ন ফাঁস করেছেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন। সচিবের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ সচিবসহ তিনজনকে আটক করেছে।
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পরীক্ষা পরিচালক আদম মালিক চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব মো. লুৎফর রহমান, অফিস সহকারী আবু হানিফ, ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক জোবাইর হোসেন ও ইংরেজি শিক্ষক আমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে আমরা আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। প্রয়োজনে রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
যেভাবে জানা গেল
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলা পরীক্ষা পরিচালক আদম মালিক চৌধুরী ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান প্রশ্নপত্র আনতে থানায় যান। থানা থেকে পুলিশি পাহারায় ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র বিষয়ের দুই প্যাকেট প্রশ্ন সিলমোহর করা অবস্থায় নিয়ে নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছান। এরপর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের অফিসে তা সংরক্ষণ করা হয়।
পরে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বোর্ডের মেসেজ পেয়ে লুৎফর রহমানের কাছ থেকে প্রশ্নপত্রের একটি প্যাকেট নেন আদম মালিক, যা পরে দায়িত্বরত শিক্ষকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরীক্ষা শেষে বেলা দেড়টার দিকে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব উঠলে আদম মালিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। পরে তারা লুৎফর রহমানকে তার অফিস কক্ষে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। একপর্যায়ে লুৎফর রহমান স্বীকার করেন, তার কাছে প্রশ্নপত্রের অতিরিক্ত সেট রয়েছে।
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লুৎফর রহমানের অফিস কক্ষের বুক শেলফের নিচের তাক থেকে একটি কাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যাগে গণিত (আবশ্যিক), উচ্চতর গণিত, কৃষিশিক্ষা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্রের প্যাকেট পাওয়া যায়। সেখানে উচ্চতর গণিত ছাড়া বাকি প্যাকেটগুলোর মুখ খোলা ছিল। তখন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা প্রশ্নপত্র জব্দ করে লুৎফর রহমানকে আটক করেন।
পরে আরও জিজ্ঞাসাবাদে লুৎফর রহমান জানান, অফিস সহকারী আবু হানিফের সহায়তায় কৌশলে তিনি চার বিষয়ের প্রশ্নপত্র নিয়ে আসেন। ওই প্রশ্ন অফিস সহকারী আবু হানিফ, ইসলাম শিক্ষার সহকারী শিক্ষক জোবাইর হোসেন ও ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমানের মাধ্যমে গোপনে ফাঁস করে দেন। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র মুহূর্তেই উত্তরপত্রসহ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্নও ফাঁস
দিনাজপুর বোর্ডের পক্ষ থেকে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের কথা বলা হয়েছে। আর স্থগিতকৃত চার বিষয়ের প্রশ্নপত্রের সিলগালা প্যাকেট খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্নও ফাঁস হয়েছিল। পরীক্ষার আগের রাতেই ইংরেজি প্রথম পত্রের উত্তরপত্রসহ প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীরা সামাজিক মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে পেয়ে যায়। পরদিন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। ওই প্রশ্ন প্রতি কপি ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।
পরীক্ষা স্থগিত
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল (২১ সেপ্টেম্বর) সকালের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুর।
স্থগিতের অফিস আদেশে বলা হয়, ‘দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীন ২০২২ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষার গণিত (১০৯), পদার্থবিজ্ঞান (১৩৬), কৃষিবিজ্ঞান (১৩৪) এবং রসায়ন (১৩৭) বিষয়ের পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো। স্থগিতকৃত বিষয়গুলোর পরীক্ষার তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। তবে বাকি বিষয়ের পরীক্ষাগুলো রুটিন অনুযায়ী যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।’
তদন্ত কমিটি গঠন
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুর। কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. ফারাজ উদ্দিন তালুকদারকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষাসচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে আগের প্রশ্ন ফাঁস ও এখনকার প্রশ্ন ফাঁসের পার্থক্য আছে। এবারের প্রশ্ন ফাঁস ফেসবুক বা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েনি। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
তবে শুধু দিনাজপুর নয়, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর যশোর বোর্ডের অধীনে নড়াইলে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রও পরিবর্তন হয়ে যায়। ভুল করে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার দিনে দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। এটা জানার পর ওই পরীক্ষা স্থগিত করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পরকীয়ার অভিযোগ এনে প্রবাসীর স্ত্রী ও এক যুবককে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকে রাতভর ঘরে আটকিয়ে নির্যাতনের পর সকালে আবারও বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর এ ঘটনার একাধিক ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরেই বোরহান উদ্দিন ও কুলসুম আক্তার নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ তরিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে এক নারী (২৮) ও এক যুবককে (২৯) পেটাচ্ছেন একই এলাকার হাবিবুর রহমান (৬৫)। এ সময় চারপাশে ভিড় করে এ ঘটনা উপভোগ করছিলেন উৎসুক জনতা। হাবিবুর রহমান প্রথমে একটি কঞ্চি দিয়ে দুজনকেই পেটানোর পর পাশ থেকে আরেকজন আরও তিনটি কঞ্চি এগিয়ে দেন। সেগুলো একসঙ্গে করে পেটাতে থাকেন হাবিবুর। এ সময় নির্যাতনের শিকার নারী-পুরুষকে চিৎকার করতে শোনা যায়। অবশ্য এর মধ্যে কেউ কেউ মারতে নিষেধ করার কথাও শোনা গেছে। তারপরেও থামেননি হাবিবুর। আরেকটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি কঞ্চি একসঙ্গে করে তাদেরকে পেটাচ্ছেন কুলসুম আক্তার নামে আরেক নারী।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৩ টার দিকে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীর বসতে ঢুকে পড়ে আসামিরা। এসময় তার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন তারা। পরে তার পাশের রুম থেকে তার পূর্বপরিচিত এক যুবককে ডেকে এনে দুজনকে একসঙ্গে মারধর করা হয়। পরে আবার বাড়ির সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে তাদেরকে একসঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে সেই ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ওই নারীর খালাতো ভাই হাবিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
অপরদিকে নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী যুবকের পরিবারের সদস্যরা বলেন, তার যদি কোন অপরাধ থেকে থাকে তবে সেজন্য আইন আছে, সমাজ আছে। কিন্তুু আসামিরা তা না করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
১০ বছর আগে কটিয়াদী পৌর এলাকায় এক যুবকের সাথে বিয়ে হয় নির্যাতনের শিকার ওই নারীর। বিয়ের ৪ বছর পরে সৌদিআরবে পাড়ি জমান তার স্বামী। পরে একই উপজেলার চারিয়া গ্রামের এক যুবকের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে বলে দাবি স্থানীয়দের।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী বর্তমানে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তার শারীরীক অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হলেও আরোও কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ডা: সৈয়দ মোঃ শাহরিয়ার।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নজরে আসার পরেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা সরকারী তেল ডিপো যমুনা ঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ইদ্রিস আলী ব্যাপারী (৪৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার বেলা ১২ টার দিকে তেল ডিপো যমুনা ঘাটের পেছনে ভাসমানঅবস্থায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত ইদ্রিস আলী ব্যাপারী শরিয়তপুর জেলার শখিপুর থানার চরজিন কিং গ্রামের মৃত সিদ্দিক আলী ব্যাপারীর ছেলে। সে ঢাকার শ্যামপুর তেলঘাট এলাকায় বসবাস করতো।
পাগলা নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নিহত ইদ্রিস আলী একজন নৌকার মাঝি ছিলেন। গত তিন দিন পূর্বে (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটার দিকে নৌকা চালানোর সময় অসাবধানতাবশতঃ বুড়িগঙ্গা মাঝ নদীতে নৌকা থেকে পানিতে পরে যায়। এতে করে সে নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। পরে বুধবার বেলা ১২ দিকে লোক মারফত সংবাদ পেয়ে তিনি সহ নিহতের পরিবারের স্বজনেরা ফতুল্লার যমুনা ঘাটে এসে ভাসমান লাশটি নিখোঁজ ইদ্রিস আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
যশোরের কেশবপুর ও আশপাশ এলাকা থেকে অবাধে কৃষকের অগোচরে বন্ধুর ভূমিকা পালনকারী প্রাকৃতিক পানি শোধন ফিল্টার নামক প্রাণি শামুক নিধন করা হচ্ছে। এর ফলে মৎস্য ও কৃষি বিভাগও এখন হয়ে পড়েছে চিন্তিত। দাবি উঠেছে এখনি শামুক নিধনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এলাকা থেকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে পড়বে।
ভবদহ অঞ্চলের কেশবপুর উপজেলায় ৫৫ হাজার ৮৬৭বিঘাতে ৪ হাজার ৬৫৮টি ঘের ও ৫ হাজার ৮৮৭ বিঘায় ৬ হাজার ৯৯৫টি পুকুর ও দিঘী রয়েছে। মনিরামপুর উপজেলায় রয়েছে ৬৮ হাজার ৬১০ বিঘায় ৪ হাজার ৮৮৯টি ঘের ও ৩৪ হাজার ২৩৭ বিঘায় আছে ১১ হাজার ৬৪৩টি পুকুর ও দিঘী এবং অভয়নগর উপজেলায় রয়েছে ৩৪ হাজার ৪২৫ বিঘা জমিতে ১ হাজার ২০৫টি ঘের ও ২৫ হাজার ৮৯০ বিঘায় ৪ হাজার ৮১০টি পুকুর ও দিঘী। এ ছাড়াও তিনটি উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য উন্মুক্ত জলাবদ্ধ বিল যা ঘের হিসেবে ব্যবহার করা হয় না। এলাকার দরিদ্র নারী পুরুষ ও শিশুরা এ সব ঘের, পুকুর, দিঘী ও উন্মুক্ত জলাবদ্ধ বিল থেকে শামুক সংগ্রহ করে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ৭থেকে ৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে থাকে। ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে পাইকাররা ভ্যান, সাইকেল, দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বসে থাকে। সকাল থেকেই ওই সব পয়েন্টে গিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুরা শামুক-ঝিনুক বিক্রি করে থাকে। এ সব পাইকারি ব্যবসায়ীরা শামুক-ঝিনুক থেকে মাংস বের করে ঘের মালিকদের কাছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন। আবার শামুক ঝিনুকের খোলা বস্তা প্রতি ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছে চুন তৈরির কারখানায়। মূলত ঘের ও চুন কারখানার মালিকরাই অস্বচ্ছল পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুদের উদ্বুদ্ধ করে শামুক-ঝিনুক ধরতে। চুন কারখানার মালিকরা পাইকারদের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখে শামুক-ঝিনুক কেনার জন্য। মনিরামপুরের গোপালপুরে ২টি ও চেচুড়িয়ায় ১টি মোট ৩টি বড় ধরণের চুন তৈরির কারখানা রয়েছে। উপজেলার আড়য়া গ্রামের ফতেমা বেগম জানান, তার পরিবারের ৩-৪ জন বিল খুকখিয়াসহ অন্যান্য জলাবদ্ধ বিল পুকুর ও দিঘী থেকে শামুক-ঝিনুক এনে ৭ থেকে ৮ টাকা কেজিতে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকি। প্রতিদিন এক থেকে দেড় মন শামুক-ঝিনুক তারা সংগ্রহ করে। সাগরদত্তকাটি গ্রামের শামুক ব্যবসায়ী জয়দেব বলেন, জলাবদ্ধ বিল এলাকা থেকে শামুক কিনে কপালিয়া এলাকার মাছের ঘের মালিকদের নিকট বিক্রি করে থাকি। এতে তাদের প্রতি কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকে। চুন তৈরির কারখানার মালিক সমিরন দাস জানান, তার কারখানায় যে চুন তৈরি হয় তার তিন ভাগের দুই ভাগ চুন ঘের মালিকদের কাছে ৫০ কেজি বস্তা প্রতি ১ হাজার ৯০০ শত টাকায় বিক্রি করে থাকে। আর এক ভাগ চুন পান ও অন্যান্য কাজে ব্যবহারে বিক্রি করে দেয়। সে আরো জানান, শামুক-ঝিনুক কেনার জন্য পাইকারদের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়েও রাখেন। ঘের মালিক আকবর হোসেন ও মোস্তাক হোসেন জানান, ঘেরের মাছ মোটাতাজা করা ও খাদ্য হিসেবে তারা শামুক-ঝিনুকের মাংস কিনে ঘেরে দেয়।এলাকা থেকে অবাদে শামুক নিধন হওয়ায় সচেতন মহল মৎস্য ও কৃষি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট শামুক নিধনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শামুক মারা গেলে মাংস পঁচে ও খোলায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশ জাতীয় বস্তু মাটিতে তৈরি হয়। এর ফলে যে ক্ষেতে বেশি শামুক থাকে সেখানে ফসল ভাল উৎপাদন হয়। শামুকের কারণে ক্ষেতের উর্বরতা শক্তি বাড়ে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বাস বলেন, শামুকের শরীরে রয়েছে প্রাকৃতিক জল শোধন ব্যবস্থা (ফিল্টার)। এরা ময়লা যুক্ত পানি পান করে ময়লা খাদ্য হিসেবে ভেতরে রেখে যে পানিটা বাইরে ছেড়ে দেয় সেটা বিশুদ্ধ। শামুকের বিশুদ্ধ পানির কারণে বিলে কই, শোল, শিং ও কার্প জাতীয় মাছ শামুক ও শামুকের ডিম খেয়ে বেঁচে থাকে। জলাবদ্ধ বিল থেকে শামুক কমে গেলে পানি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পানির রং পরিবর্তন হয়ে রোগ জীবাণু বেড়ে যায়।তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালে ১০ জুলাই প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপনে শামুককে বন্য প্রাণি হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে অবৈধ ভাবে শামুক ধরা ও বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিষয়টি তিনি উপজেলা সমন্বয় সভায় উত্থাপন করে প্রতিকারের দাবি করবেন। শামুক কৃষকের অগোচরে ক্ষেত খামারে বন্ধুর ভূমিকা পালন করে থাকে জানান তিনি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, শামুক-ঝিনুক প্রকৃতির খাদ্য শৃঙ্খলার সাথে ওৎপ্রতভাবে জড়িত। কেউ শামুক ঝিনুক ধরে মাছ বা অন্য কোন প্রাণির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা শামুক-ঝিনুক ধরে পরিবেশ নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ মৎস্য আইনে নেই। এ কারণে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না।
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে পাঁচ দিন যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
এ সময়ে বেনাপোল বন্দরে পণ্য উঠানামা,খালাস এবং বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে জানান বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, “পূজায় ২৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে ০২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। টানা ৫ দিন বন্ধ থাকার কারণে পেট্রাপোল বন্ধরে পন্য জটের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ অক্টোবর শনিবার পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হবে বলে জানান কার্তিক চক্রবর্তী।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার বিষয়টি ওপারের সিঅ্যান্ডএফ থেকে চিঠি দিয়ে আমাদের জানিয়েছে।” ভারতে দুর্গাপূজার উপলক্ষে পাঁচ দিন ছুটি থাকার কারণে পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়বে শত শত পন্যবাহি ট্রাক। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের শতভাগ রপ্তানি মুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল থাকবে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি বলেন বলেন, “ছুটিতে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।”
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. শামীম হোসেন বলেন, আমাদের সরকারী ছুটি ১ ও ২ অক্টোবর। তবে বাংলাদেশে আমদানি রপ্তানি কাজে সংশ্লিষ্টরা এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকরা ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছেন।
ভারতে ”দুর্গা পূজার পাঁচ দিনের ছুটি থাকায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে বেনাপোল বন্দর ও শুল্ক ভবনের কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। বন্দরে পণ্য খালাস করে ভারতীয় খালি ট্রাক সেদেশে ফিরে যেতে পারবে।”
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে দুই সন্তানের জননী টলি খাতুন নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ) সকাল নয়টার দিকে গৃহবধুর নিজ ঘরে ঝুলন্ত মরদেহ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে নিহতের বসত ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সায়ত্রিশ বছর বয়সি নিহত গৃহবধু টলি খাতুন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সবেদ আলীর মেয়ে এবং বিগত ত্রিশ বছর পূর্বে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর সর্দ্দার পাড়ার অফেজ উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলামের সাথে বিবাহ হয়।
নিহত গৃহবধুর পরিবারের অভিযোগ, টলি খাতুন কে তার স্বামী তাজুল ইসলাম রাতের আধারে নির্যাতন করে মেরে ফেলে দড়ি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে এখন আত্মহত্যার কথা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোশির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি করছি। সে যদি অপরাধী নাই হবে তাহলে বাড়িতে বৌয়ের মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছে কেনো?
নিহতের ফুফু মুর্শিদা খাতুন বলেন, আমার ভাইয়ের মেয়ে টলির শরীরে অনেক ক্ষতের দাগ আছে। গলাই নির্যাতনের চিন্হ আছে। পেটে মারার দাগ আছে। আমি নিশ্চিত তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি তাজুলের ফাসি চাই।
নিহতের স্বামী তাজুল ইসলামের চাচা এনামুল হক বলেন, তাজুল তার স্ত্রী টলিকে খুব ভালো বাসে। তাজুল বছর খানেক আগে তার মায়ের নামে থাকা জমি তার স্ত্রী টলি খাতুনের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। অথচ সেই শাশুড়িকে গতকাল ভাত খেতে দেয়নি টলি খাতুন। আর তাতেই তাজুল রেগে গিয়ে টলি খাতুন কে বকাবকি করে। আর সেই সময় টলি একটা দড়ি নিয়ে এসে বালিসের নিচে রেখে বাহিরে বলে বেড়াই আমি আত্মহত্যা করে তোকে জেলের ভাত খাওয়াবো।
গাংনী থানা পুলিশের ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই আব্দুল করিম বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমারা আজ সকালে সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে গৃহবধু টলি খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ তার বসত ঘরে আড়া থেকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্ত শেষ নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তাছাড়া নিহতের পরিবারের মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান।
স্বনামধন্য ইভেন্ট ভেন্যু ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার লিমিটেড (আইসিসিএল) গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘সেপ্টেম্বর অফার’ নিয়ে এসেছে। এ মাসের শেষ পর্যন্ত গ্রাহকরা আইসিসিএলে একটি ইভেন্ট বুক করলে অপর একটি ইভেন্টের জন্য ভেন্যু ফ্রিতে উপভোগ করতে পারবেন। বলা চলে, আপনি যদি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য আইসিসিএল বুক করেন, তাহলে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানটির ক্ষেত্রে ভেন্যু ভাড়া ফ্রি উপভোগ করার সুযোগ পাবেন! এই বিশেষ অফারটি আইসিসিএলের পক্ষ থেকে পরিবার, কর্পোরেট এবং বিভিন্ন কমিউনিটির জন্য অনন্য সুযোগ হিসেবে এসেছে।
এই অফারটি কেবল ভেন্যু ভাড়ার ওপর প্রযোজ্য; কেটারিং, ডেকোর বা অন্যান্য ইভেন্ট সংক্রান্ত সেবা এই অফারটির আওতাভুক্ত নয়। এই উদ্যোগটি উন্নত পরিবেশ এবং নিখুঁত সেবার জন্য পরিচিত আইসিসিএলের চমৎকার ভেন্যুতে উৎসব উদযাপনে গ্রাহকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। ‘এলিগ্যান্ট ভেন্যু, ডেলেক্টেবল ডাইনিং’ – এই স্লোগান নিয়ে আইসিসিএল, এক্সিলেন্স ও সেবার এক অনন্য সমন্বয় নিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে আইসিসিএলের সেলস ও মার্কেটিং কনসালট্যান্ট জোশিতা সানজানা রিজভান বলেন, “গ্রাহকদের জন্য আইসিসিএলকে আরও সহজলভ্য করে তুলতে এবং তাদের প্রতি আরও বেশি গুরুত্বারোপ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। আমাদের বিশ্বমানের ভেন্যুতে পরিবার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর জন্য বিশেষ মূল্য উপভোগ করার এ এক অনন্য সুযোগ।”
উন্নত মানের ডাইনিং এবং বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা সহ আইসিসিএল প্রতিটি গ্রাহকের জন্য অবিস্মরণীয় ইভেন্ট তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অফারটি পরিবারিক জমায়েত থেকে শুরু করে কর্পোরেট ইভেন্ট পর্যন্ত যে কোনো অনুষ্ঠান শহরের অন্যতম সেরা ভেন্যুতে আয়োজন করার এক সুবর্ণ সুযোগ।
বিস্তারিত জানতে আইসিসিএলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://iccldhk.com/ অথবা অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/conventioncenterbd/ ভিজিট করুন
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা দশ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ।
বিজিজির এই কর্মকর্তা জানান, বুধবার দিবাগত রাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে চোরা কারবারিরা ভারতীয় ১৫৮ বোতল অলিভ অয়েল তেল, ১,১২০ পিস ডেরোবিন ক্রিম, ৮৬০ পিস স্কিন সাইন ক্রিম, ১,৩৩০ পিস জনসন বেবী লোশন এবং বাজি ৩,৪০,৬০০ পিস ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সরোয়ার জাহানের উপস্থিতিতে ভারতীয় পণ্যগুলো জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য ৮৭ লাখ ৭ হাজার টাকা।
পরে জব্দকৃত মালামাল গুলো আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে কাস্টমসে জমা করা হয়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের রুমের বাহিরে ঝুলছে তালা। চিকিৎসা সেবা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। বুধবার সকাল ৯ টার দিকে ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার গোপালপুর গ্রাম থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন ফরিদ হোসেন (৩৫) নামে এক রোগী। সে নাকের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। বহি বিভাগের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ৫ টাকার টিকিট ১০ টাকা দিয়ে সংগ্রহ করেন। পরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় কনসালটেন্ট (ইএনটি) ডাক্তার আলমগীর হোসেনের ২১০ নং রুমের বাহিরে সকাল ৯ টা থেকে ১০ টার পর্যন্ত বসে রয়েছেন। দরজায় তালা ঝুলছে। কবে ডাক্তার আসবেন জানেন না। উপজেলা চৌরাস্তা নামক স্থান থেকে পায়ের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন আব্দুর রহমান (৬০)।সকাল সাড়ে ৯ টায় তিনি ১৫ টাকা দিয়ে রিসিট সংগ্রহ করে প্রায় দেড় ঘন্টা বসে রয়েছেন।জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার ফজলে আখবর খানের রুম নং ২১১ নং বাইরে তালা ঝুলছে। উপজেলার মীর আলিপুর গ্রাম থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে কুলসুম আক্তার (১৬)।২২১ নং রুম গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফারজানা রায়হান সকাল ১০ টায়ও আসেননি। তিনি আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সেবা না নিয়ে চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়,হাসপাতালের জুনিয়ার কনসালটেন্ট ডাক্তার মোঃ আব্দুল আউয়াল প্রতিদিন এই হাসপাতালে চেম্বার করার নিয়ম থাকলেও তিনি বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আসেন।দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে রোগীরা ডাক্তার না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। ডেন্টাল সার্জন ডাক্তার মোঃ শরিফুল ইসলাম এখানে পোস্টিং থাকলেও তিনি ডিউটিরত অবস্থায় চৌমুহনীর প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
তবে এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ২ টি,এমও প্যাথলজিস্ট ১ টিসহ কয়েকটি পদ দীর্ঘ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের অধিকাংশই ডাক্তার সংকট রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে কয়েকজন দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কয়েকদিন আগে এখানে ডাক্তার আসে না নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেখেছেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা এখানে রীতিমতো চেম্বার করেন না। এতে এই উপজেলার নিরীহ জনগণ সেবা না নিয়ে অনেকেই চলে যান।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এমও ডাক্তার সালেহ আহমদ সোহেল জানান, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মধ্যে কয়েকজনই সদর হাসপাতালে বসেন। তবে ডাক্তার আসেন না এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ হাসান গায়েব চৌধুরীর বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার কল্যাণপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে অপর ট্রাকের ধাক্কায় চালক-হেলপার নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, কুষ্টিয়া সদরের পারখানা ত্রিমোহনীর মনসুর মোল্লার ছেলে নাজমুল (৩৫) ও পশ্চিম মৌজমপুরের শাহিন মোল্লার ছেলে কাওসার (৩০)।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত ১টার দিকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কল্যাণপুরে ঢাকামুখী সবজিবোঝাই একটি ছোট ট্রাক দাঁড়িয়ে চাকা পরিবর্তন করছিল। এসময় পেছন থেকে আসা চালবোঝাই ট্রাকটি পিকআপকে সজোড়ে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ওই ট্রাকের চালক ও তার সহকারী (হেলপার) নিহত হন। পরে খবর পেয়ে আহলাদীপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম শেখ জানান, দুর্ঘটনা কবলিত দুটি ট্রাক কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাজবাড়ী সদর কল্যাণপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং দুটি ট্রাক করে থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এম, কে, এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেন, পিপিএম-সেবা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, এআই (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হতে পারে, তাই কোনো গুজবে প্রভাবিত না হয়ে পুলিশকে জানাতে হবে। তিনি আরও বলেন, সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আনিসুর রহমান।
এছাড়া পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কমলগঞ্জ শাখার আহবায়ক বাবু পুষ্প কুমার কানু, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণিত রঞ্জন দেবনাথ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন বাবু, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাসুক মিয়া, এনসিপি জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী শামায়েল রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ও ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্তে ১৯জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে ১০জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছেন।
বুধবার ভোট ৫টার দিকে তাদের ভোলাহাট উপজেলার চামুচা ও চাঁদশিকারী সীমান্ত ফাঁড়ির মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ অভ্যান্তরে ঠেলে পাঠানো হয়। পুশইনের শিকার হওয়াদের বিজিবির টহলদল নিজেদের হেফাজতে নেয় ও পরবর্তী আইনী পদক্ষেপের জন্য ভোলাহাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম কিবরিয়া জানান, পুশইনকরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, তারা ২০১৫-২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে ভারতীয় পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়। বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর, তাদেকে ভারতীয় পুলিশ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে, পরে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে।
তাদের পরবর্তী আইনী পদক্ষেপের জন্য ভোলাহাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অকেজো স্লুইস গেটের কারনে ৩ বছর ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামবাসী। স্লুইস গেটটির কপাট ভেঙ্গে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, কোটালীপাড়া-গোপালগঞ্জ খাল থেকে একটি শাখা খাল তারাশী বিলে প্রবেশ করেছে। বন্যার পানি নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রায় ২০ বছর পূর্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে উত্তর তারাশী জামে মসজিদের পাশে এই খালের উপর একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করে। ৩ বছর আগে স্লুইস গেটের কপাট ভেঙ্গে নিচে পড়ে যাওয়ায় খালের দুইপাশে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পানি চলাচল না থাকায় পানি পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে।
তারাশী উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা খুব সমস্যায় পড়ছি। খালের পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাছাড়া পানি পচে যাওয়ায় মশা ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারনে এলাকার শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের মাঝে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জোর দাবী জানাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম বিল্লাহ বলেন, বিষয়টি গতকাল আমি জেনেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্লুইচ গেটের কপাট ঠিক করে জনদুর্ভোগরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অগ্রণী ব্যাংক (পিএলসি) ঘোষিত ১০০ দিনের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও মাদারীপুর অঞ্চলের সার্বিক ব্যবসায়িক অগ্রগতি পর্যালোচনাকে কেন্দ্র করে মাদারীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো টাউন হল মিটিং (মিট দ্যা বরোয়ার) ও ব্যবস্থাপক সম্মেলন। গত সোমবার বিকালে অগ্রণী ব্যাংক (পিএলসি) মাদারীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সার্কেলের মহাব্যবস্থাপক সুপ্রভা সাঈদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুর সার্কেলের উপমহাব্যবস্থাপক সাবিনা সুলতানা এবং সহকারী মহাব্যবস্থাপক অমল চন্দ্র সিকদার। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মো. আসাদুজ্জামান, এস,পি,ও নিউমার্কেট শাখা, মাদারীপুর। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদারীপুর অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক ও অঞ্চল প্রধান জনাব মনজুর হোসেন। এ সময় বক্তারা অগ্রণী ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসায়িক উন্নয়ন, নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, গ্রাহকসেবা আরও সহজীকরণ করার কৌশল এবং ব্যাংকের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরেন। উক্ত সম্মেলনে মাদারীপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শাখার শাখা ব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন।
অগ্রণী ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম, ব্যবস্থাপনা, খেলাপী ঋণ, কু-ঋণ ও ঋণ আদায়ের হার সম্পর্কে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফরিদপুর অঞ্চল সার্কেলের মহাব্যবস্থাপক সুপ্রভা সাঈদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মাদারীপুর আঞ্চলিক কার্যালয় অফিসসহ বিভিন্ন শাখার সার্বিক কার্যক্রম অত্যন্ত সন্তোষজনক, ঋণ আদায়ের হার ৯৫%, খেলাপী ঋণ তেমন নেই বললেই চলে। খেলাপী ঋণ আদায়ে আমাদের সহকর্মীরা অত্যন্ত জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছেন, আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যেই অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি মাদারীপুর অঞ্চলের ঋণ আদায় হার ৯৯% এ উন্নীত হবে।