বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নিরপেক্ষ সরকারের দাবির আড়ালে বিএনপির ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা: ইনু

কুষ্টিয়ায় ভেড়ামারা উপজেলায় ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১৯ মে, ২০২৩ ১৭:৪৫
প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া
প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০২৩ ১৭:৪২

নিরপেক্ষ সরকার দাবির আড়ালে বিএনপি গণতন্ত্র ও রাজনীতিকে কুয়াশার মধ্যে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার যে গণতন্ত্র মেরামত করছে সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে জামায়াত, জঙ্গি, রাজাকারদের সঙ্গে জোটবদ্ধ অবৈধ সরকার গঠনের পাঁয়তারা রুখে দিতে হবে।’

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা অডিটোরিয়ামে শুক্রবার সকালে ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জাসদ সভাপতি এসব কথা বলেন। এ সময় জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপনসহ স্থানীয় জাসদ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের দাবির আড়ালে শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে দেশ বিরোধীদের নিয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা চলছে।’

বিএনপির দাবি মেনে নেয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বিএনপি এই মুহূর্তে অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক দাবি করছে যা নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়, মেনে নেয়াও সম্ভব নয়। সংবিধানবহির্ভূত এসব দাবি করে বিএনপি গণতন্ত্র ও রাজনীতিকে কুয়াশার মধ্যে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে।’

জাসদ সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিয়ে যারা বিতর্ক করছেন তারা মূলত ভিন্ন সরকারের অধীনে নির্বাচন চান, সরকার অদল-বদল চান। কিন্তু নির্বাচনকালীন যে সরকারই আসুক না কেন তারা তো রুটিন কাজের বাইরে কমিশনের ওপর কোনো রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। সংবিধানে এর কোনো সুযোগই নেই। তবে বর্তমান সরকার থাকলে সমস্যা কোথায়? সুতরাং নিরপেক্ষ নির্বাচনের যে বিতর্ক উত্থাপন করা হচ্ছে এর পেছনে কার্যত শেখ হাসিনার সরকার উৎখাত করার চক্রান্ত হচ্ছে। আর রাজাকারদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা হচ্ছে। যে কোনো মূল্যে এই পাঁয়তারা রুখে দিতে হবে।’


মাঠ ভরা সরিষা ফুলে স্বপ্ন বুনছে দুই জেলার কৃষক

* মেহেরপুরে অনাবাদি ও দুই ফসলি জমিতে হচ্ছে সরিষা চাষ * কেশবপুরে সরিষা চাষে বাম্পার সম্ভাবনায় উৎসবে কৃষক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মাঠ ভরা সরিষা ফুলে স্বপ্ন বুনছে দুই জেলার কৃষক। এর মধ্যে মেহেরপুরে অনাবাদি ও দুই ফসলি জমিতে সরিষা আবাদ করে লাভের আশা করছেন চাষিরা। আর হেমন্তের কুয়াশায় সোনালি স্বপ্ন যশোরের কেশবপুরে সরিষা চাষে বাম্পার সম্ভাবনায় উৎসবে কৃষক। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত;

জুলফিকার আলী কানন মেহেরপুর থেকে জানান, মেহেরপুরে অনাবাদি ও দুই ফসলি জমিতে সরিষা আবাদ করে লাভের আশা করছেন চাষিরা। ভালো ফলন পেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। অনুকূল আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। কৃষকদের খরচ কমাতে ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে জেলা কৃষি বিভাগ দিয়েছে সব ধরনের সহযোগিতা। সরিষার ফুলের সঙ্গে কৃষকের আশার আলোও ছড়িয়ে পড়েছে মাঠময়। ভালো আবহাওয়া থাকলে এই মৌসুমে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে মেহেরপুরের কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে অন্যান্য আবাদের সাথে সরিষার রঙিন উৎসব। মাঠের দিকে তাকালেই চোখে পড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। একেবারে যেন হলুদের কারুকাজে সাজানো প্রকৃতি। বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার সবুজ পাতার ওপর হলুদের ঘ্রাণ; সেই সঙ্গে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। অনাবাদি ও দুই ফসলি জমিতে সরিষা আবাদ করে পরিবারে তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করার আশা করছেন চাষিরা।

মাইলমারী গ্রামের কৃষক আমাদের যেসব জমি অমন আবাদের পর কিছুদিন পড়ে থাকে সেসব জমিগুলোতে সরিষার আবাদ করি। এতে অল্প খরচে এবং চাষে নিজের বাড়ির তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি একটি মোটা অঙ্কের টাকা আয় হয়।

ভাটাপাড়া গ্রামের কৃষক ফরমান আলী বলেন, সরিষা আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি। তাই এই চাষের ফলে পতিত জমিটুকু থেকেও আমরা একটি মোটা অঙ্কের আয় করি।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এই খেত থেকে ১১ হাজার মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। সরিষা চাষে আগ্রহ তৈরি করতে জেলায় ৬ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সন্জিব মৃধা জানান, সরিষা তেলজাতীয় একটি আবাদ। আমন চাষের পর কিছুদিন জমি পতিত থাকে। সে সময় কৃষকরা এই চাষটি করে থাকেন। তারা অল্প খরচে অল্পদিনেই একটা ভালো আয় করেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষটি উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের প্রণোদনাসহ নানাভাবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে থাকি।

হারুনার রশীদ বুলবুল, কেশবপুর (যশোর) থেকে জানান: যশোরের কেশবপুর উপজেলার হেমন্তের সকাল। পাতলা কুয়াশার চাদর সরিয়ে নরম রোদ উঠতেই ফসলে দোলতে থাকা সরিষা ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন। বাতাসে ভাসে সরিষা ফুলের মাদকতাময় সুবাস। চারদিকে চোখ যতদূর যায় শুধুই হলুদের সমারোহ। প্রকৃতির এমন নৈসর্গিক রূপে সোনালি স্বপ্ন বুনছেন এখানকার কৃষকরা।

এ বছর কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে যেন সরিষা চাষের এক উৎসব নেমে এসেছে। আগাম জাতের বারি সরিষা চাষে যেমন ফলনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল, তেমনি কৃষকের মুখেও ফুটে উঠেছে আশার হাসি।

সরকারি প্রণোদনায় আবাদ বেড়েছে ৫০৫ হেক্টর। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর সরকারি প্রণোদনা হিসেবে ৪ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। গত বছর কেশবপুরে সরিষা আবাদ হয়েছিল ১ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে। আর চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে- যা গত বছরের চেয়ে ৫০৫ হেক্টর বেশি। লক্ষ্য ছিল ১ হাজার ৫৭০ হেক্টর, সেটি ছাড়িয়ে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে চাষ করেছে কৃষকরা।

বারি-১৪, বারি-৯, বারি বীনা-৯, বারি-১৮, বারি-১৭ ও টরি-৭ জাতের উচ্চফলনশীল সরিষা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। আগাম জাত হওয়ায় সরিষা কাটার পর একই জমিতে সহজেই বোরো ধানের আবাদ করা যায়। ফলে কৃষকরা একসঙ্গে দুই ফসলের লাভ তুলতে পারছেন।

৭০-৮০ দিনের মধ্যেই ঘরে তোলা যায় এই ফসল। মজিদপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, এই মৌসুমে নতুন করে টরি-৭, বারি-৯, বারি বীনা-৯, বারি-১৭ ও বারি-১৮ জাতের সরিষা চাষ শুরু হয়েছে। এসব জাত ৭০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। তাই কৃষকরা বোরো আবাদ শুরুর আগেই সরিষা কাটতে পারেন, ফলে সরিষা চাষে তারা ঝুঁকছেন বেশি।

কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি। পাঁজিয়া গ্রামের নিয়ামুল ইসলাম, কামরুল ও বিধান দাসসহ সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান ও আজিজুর রহমান জানান, গত বছর বৃষ্টির পানি বেশি থাকলেও ফলন কম ছিল। এ বছর পানি কম হলেও ফলন ভালো। বিঘাপ্রতি ৭-৮ হাজার টাকা খরচ করে ৬-৭ মণ সরিষা পাব বলে আশা করছি। বাজারদরও ভালো থাকবে।

আবহাওয়া অনুকূলে লক্ষ্য ছাগানোর আশাবাদী কৃষক অফিস। উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ মামুন বলেন, এবার কেশবপুরে ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠজুড়ে ভালো ফলনের আভাস মিলছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষকরা খুব সহজেই সরিষা ঘরে তুলতে পারবেন।

প্রকৃতির রূপ, কৃষকের পরিশ্রম আর সরকারি সহায়তায় কেশবপুরে সরিষা চাষ যেন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। হেমন্তের কুয়াশা ভেদ করে সোনালি সরিষার হাসি কৃষিজীবী মানুষের ঘরে আনতে পারে সমৃদ্ধির বার্তা।


গোয়ালন্দে খোলা ট্রাকে মাটি-বালু পরিবহন, মানুষের দুর্ভোগ চরমে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ আঞ্চলিক সড়কগুলোতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খোলা ট্রাকে বালু-মাটি বহন করা হচ্ছে। সড়ক দিয়ে চলাচলরত পথচারী, চালক ও যাত্রীদের চোখে-মুখে বালু ঢুকছে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিদিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে ভরাট বালু ও কাটা মাটি ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে বহন করা হচ্ছে। এই বালু-মাটি বিভিন্ন বসতবাড়ির ভিটা উঁচুকরণ ও গর্ত ভরাটসহ ইট ভাটায় নেওয়া হয়। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ট্রাকে বালু-মাটি বহনের ক্ষেত্রে কাপড় দিয়ে ঢেকে বহন করার কথা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা না করে ইচ্ছেমতো বহন করছেন। ফলে চলন্ত গাড়ি থেকে বালু-মাটি উড়ে পথচারীদের চোখে-মুখে লাগছে। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। গাড়ির পেছনে থাকা যানবাহন বিশেষ করে মোটরসাইকেলচালকরা চোখে-মুখে বালু ঢুকে দুর্ঘটনার শিকার হন।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার কয়েক স্থানে স্থানীয় বেশ কিছু লোকজন বালু ব্যবসা করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন ফেরিতে ওঠানামা করছে। দৌলতদিয়ার ৫ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি বালুর চাতাল। ফেরি থেকে পরিবহন ওঠানামার সময় ওই চালাতের বালু বহনকারী ট্রাক থেকে ধুলা-বালু উড়ে চোখে-মুখে লেগে যাত্রীদের চরম বিড়ম্বনায় ফেলছে। বালু ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে সাহস পান না। আবার যানবাহন চালক বা সহকারী এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো ভয়ভীতি দেখানো হয়।

বাস চালক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ফেরিতে ওঠার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। সবাই জানালা আটকে গাড়িতে বসে থাকেন। মাঝে মাঝে এলোমেলো বাতাসে সড়কের পাশে থাকা স্তূপের বালু উড়ে চোখে-মুখে লাগে। এ সময় গাড়িতে থাকা যাত্রীরা চরম বিরক্তি প্রকাশ করে। চলতি পথে ফেরি ঘাটে ধুলা-বালুর সমস্যা নিয়ে কে কাকে কী বলবে? কোনও ঝামেলায় জড়াতে চান না বলে চুপচাপ সহ্য করেন।’

দৌলতদিয়া ঘাটে কথা হয় মোটরসাইকেল চালক সাজ্জাদ হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত আসতে কয়েক স্থানে দাঁড়াতে হয়েছে, সড়কে প্রচুর ধুলা-বালু উড়ছে। এগুলো সাধারণত ড্রাম ট্রাক থেকে সড়কে পড়ে ছিটে মানুষের চোখে-মুখে ও গায়ে লাগছে। প্রশাসনের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আরেক রিক্সা চালক মোবারক খাঁ বলেন, কি বলবো, কাকে বলব? বালু-মাটির ট্রাকগুলো সড়ক দিয়ে অনেক গতিতে চলাচল করে, কিছু বলতে গেলে ওরা আমাদের মারতে আসে। এদিকে কোন পুলিশ- প্রশাসনের কোন গাড়ি আটকাতে দেখিনা। আমরা গরিব মানুষ চুপ করে থাকি, কিছু করার নেই।

আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি. মিজানুর রহমান জানান, আমরা ইতিমধ্যে মাটি ও বালুবাহী ড্রাম ট্রাক, নসিমন, ইটবহনকারী ট্রলির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি, মহাসড়কে অবৈধ যানের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাথী দাস বলেন, ‘সড়কে খোলা গাড়িতে করে বালু-মাটি বহন করা ঠিক না। এতে চলন্ত গাড়ির পেছনে থাকা যাত্রী বা পথচারীদের চোখে-মুখে ধুলা-বালু ঢুকে সমস্যা হয়। উপজেলা প্রশাসন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি প্রবাসী নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার হোমনায় মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিশাদ (২৬) নামের এক সৌদি প্রবাসী যুবক নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তার বন্ধু ইফাত (১৫)। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ওয়াইব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নিশাদ রামকৃষ্ণপুর বাঁশগাড়ি গ্রামের মমিন মেম্বারের ছেলে। আহত ইফাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ঝুনারচর গ্রামের মো. জিলানীর ছেলে। দুর্ঘটনায় তার মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধু ইফাতকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াইব্রিজ এলাকায় ঘুরতে বের হয়েছিলেন নিশাদ। ব্রিজের ওপর উঠতে গিয়েই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশার সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন নিশাদ, তার মাথা ফেটে দুভাগ হয়ে যায়। স্বজনরা উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এমন হঠাৎ মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।’


মায়ানমারে পাচারকালে বাংলাদেশি খাদ্য দ্রব্যসহ ১২ পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নোয়াখালীর হাতিয়া থানাধীন চেয়ারম্যান ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড স্টেশন হাতিয়া। এতে উক্ত এলাকায় সন্দেহজনক ১টি ফিশিং বোটে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে বহনকৃত প্রায় ৩১ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের ২৪৭ বস্তা হলুদ, ২৩৩ বস্তা মাসকালাই ডাল, ৩২ বস্তা কাঠ বাদামসহ ১২ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।

বুধবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকাল ৪টা হতে আজ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বুধবার মধ্যরাত ২টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড স্টেশন হাতিয়া কর্তৃক এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জব্দকৃত বোট, আলামত ও আটককৃত পাচারকারীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চোরাচালান রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।


সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত জাহাঙ্গীরের আস্তানা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ জিম্মি ৮ জেলেকে উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত জাহাঙ্গীর বাহিনী সুন্দরবনের শিবসা নদীর ছোট ডাগরা খাল এলাকায় কয়েকজন জেলেকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ‘কোস্ট গার্ড স্টেশন কয়রা’ কর্তৃক ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে ওই এলাকা হতে ১টি একনলা বন্দুক, ৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ৭ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ জিম্মি থাকা ৮ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা বনের ভেতর পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করে।

উদ্ধারকৃত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা তাদের ৭ দিন ধরে জিম্মি করে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে নির্যাতন করছিল। পরে তাদের পরিবারের নিকট উদ্ধারকৃত জেলেদের হস্তান্তর করা হয় এবং জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জনান সিয়াম-উল-হক।

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত রাখতে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।


চট্টগ্রামে আবারও আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত ৪২০০ কেজি ঘনচিনি আটক করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল, ঢাকা এর সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস চট্টগ্রামের গোয়েন্দা টিম কর্তৃক এ আটক সম্পন্ন হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এজাজ ট্রেডিং, ৪৭ হাজী নাদের হোসেন রোড, নামাবাড়ি, কেরানিগঞ্জ, ঢাকা, পটাশিয়াম ক্লোরাইড ঘোষণায় চীন থেকে একটি কন্টেইনারে ২২,০৮৮ কেজি পণ্য আমদানি করে, যা বিগত ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রাম বন্দরে অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক উক্ত পণ্যের খালাস স্থগিত করা হয় এবং গত ০৬/১১/২০২৫ তারিখে কায়িক পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষাকালে দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায় যার নমুনা উত্তোলনপূর্বক কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামের ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে উক্ত দুই শ্রেণির পণ্যের মধ্যে একটিতে ১৭,৮০০ কেজি পটাশিয়াম ক্লোরাইড পাওয়া গেলেও বাকি ৪২০০ কেজি পণ্যকে ঘনচিনি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক যা সাধারণ চিনির চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কনডেন্সড মিল্ক এবং শিশু খাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্ষতিকারক কৃত্রিম উপাদানটি ব্যবহার করে থাকে। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘনচিনির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য ক্যান্সারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর বিধায় সরকার আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুসারে পণ্যটিকে আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর বিধান মোতাবেক পণ্যচালানটি কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। উল্লেখ্য যে, বিগত ১৬/০৯/২০২৫ এবং ২৮/১০/২০২৫ তারিখে দুইটি পৃথক চালানে আমদানিকৃত প্রায় ১০০ টন ঘনচিনির দুইটি পণ্যচালান কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক করা হয়েছিল যার আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

সূত্রঃ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড


দেবীগঞ্জে নজর কেড়েছে পুলিশ কর্মকর্তার কমলা বাগান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের দূরবর্তী টেপ্রীগঞ্জ এলাকায় কমলা চাষ করে নজর কেড়েছেন সুতপাড়া গ্রামের পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের ও আশপাশের এলাকার পৈতৃক ১০০ শতাংশ জমিতে তিনি প্রায় চার শতাধিক গাছ নিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি পরিপাটি কমলা বাগান।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের তেরপুপাড়া গ্রামের ‘আবরার অরেঞ্জ গার্ডেন’-এ গিয়ে দেখা যায়, জেলার নানা প্রান্ত থেকে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।

দর্শনার্থীরা জানান, কম দামের টাটকা কমলা, নিজ হাতে গাছ থেকে ফল ছিঁড়ে নেওয়ার সুযোগ এবং ছবি তোলার আনন্দই তাদের আগমনের প্রধান কারণ। প্রতিদিনই এখানে মানুষ এসে কমলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও ক্রেতা রাকিবুল ইসলাম রকি জানান, এই কমলাগুলো দেশের বাইরে থেকে আসা কমলার মতোই লাগছে। আমরা এখানে এসে দেখলাম দামও তুলনামূলক কম, এজন্য ভালোই লাগছে।

অপর এক দর্শনার্থী লালচান বাদশা জানান, দাম মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে আছে, আমরা বাগান ঘুরে দেখে ফল ছিঁড়ে খেলাম, মোটামুটি সুস্বাদু আছে।

বাগান পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় জানান, আমি বাগান দেখাশোনা ও পরিচর্যা করি। নভেম্বরের শেষের দিকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি, এখন ২০০/২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে কিনে নিয়ে যায়, আমার বেশ ভালো লাগে।

কমলা চাষে আগ্রহের কারণ ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাগান মালিক রংপুর বিভাগে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (পিবিআই) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি আমার বেশ আগ্রহ ছিল। শৈশবে প্রিয় বইও ছিল কৃষি শিক্ষা, সেখান থেকেই আগ্রহের জন্ম। এরই ধারাবাহিকতায় পরীক্ষামূলকভাবে ২০ শতক জমিতে প্রথম কমলা গাছ লাগাই।

পরে আশানুরূপ সাফল্য পেলে ধীরে ধীরে সহোদরদের নিয়ে প্রায় ১০০ শতক জমিতে কমলার চাষ শুরু করি। এই জাতটি সম্ভবত চায়না ও দেশির মিশ্রণ। আর এই অঞ্চলের মাটি বেলে-দোআঁশ। এখানে পার্শ্ববর্তী দার্জিলিং ও হিমালয়ের আবহাওয়ার সাথে মিল রয়েছে, তাই এখানেও কমলা চাষ হবে বলে মনে হয়েছে।

নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কমলা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, সাথে ভিটামিন সি-এর চাহিদাও পূরণ করছে। আর এখন অনেকেই কমলা চাষে আগ্রহী। কেউ চাইলে আমি গাছের চারা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ বলেন, এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কমলা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সঠিক পরিচর্যা করলে এখানকার চাষিরা ভালো ফলন পাবেন। আমরা নতুন কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিতে সবসময় প্রস্তুত।


বিএসসির জাহাজ বহরে যুক্ত হতে প্রস্তুত নতুন ‘এমভি বাংলার নবযাত্রা’

আগামী সপ্তাহেই ট্রায়াল রান করবে জাহাজটি
আপডেটেড ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৪৩
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চীনে নির্মিত ‘এমভি বাংলার নবযাত্রা’ নামে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) দ্বিতীয় নতুন জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে। বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে কেনা চীনের নানইয়াং শিপইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজটি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সমুদ্রে ট্রায়াল রান শুরু করবে। এতে বিএসসির বিশেষজ্ঞ টিম ও শিপইয়ার্ডের প্রকৌশলীরা অংশ নেবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে পণ্য পরিবহন শুরু করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিএসসির কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৩ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের এমভি বাংলার নবযাত্রার বহন ক্ষমতা ৬৩ হাজার ৫০০ টন। প্রথম জাহাজের মতো দ্বিতীয়টিরও ধারণ ক্ষমতা দৈর্ঘ্য ১৯৯ দশমিক ৯৯ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। জাহাজটি যুক্ত হলে বিএসসির বহরে মোট জাহাজের সংখ্যা পৌঁছাবে সাতটিতে। ২০১৯ সালের পর দীর্ঘ ছয় বছর নতুন জাহাজ কেনায় স্থবিরতা কাটিয়ে এ বছরে দুটি জাহাজ সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রায়ত্ত এ সংস্থা। এর মধ্যে এমভি বাংলার প্রগতি গত মাসেই বহরে যুক্ত হয়ে সেবা দেওয়া শুরু করেছে। দুটি নতুন জাহাজ বছরে ২০০ কোটি টাকার বেশি আয় বাড়াতে পারে। পাশাপাশি পালাক্রমে বছরে অন্তত ১৫০ নাবিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে বিএসসি কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা।

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এবার প্রথমবারের মতো পুরোপুরি নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ কেনা হয়েছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দেখেছি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রাখার চেয়ে জাহাজে বিনিয়োগই লাভজনক। বোর্ড সভায় অনুমোদনের ছয় মাসের মধ্যে দুটি নতুন জাহাজ বহরে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এরই মধ্যে একটি জাহাজ হস্তান্তর করা হয়েছে। আরেকটি শিগগিরই বহরে যুক্ত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দরপত্রে শর্ত দিয়েছিলাম, যারা কার্যাদেশ পাবেন তাদের চুক্তি স্বাক্ষরের ছয় মাসের মধ্যে বিএসসির কাছে জাহাজ হস্তান্তর করতে হবে। আমাদের শর্তের সুফল পাওয়া গেছে। আমরা ছয় মাসের মধ্যে দুটি বৃহদাকারের নতুন জাহাজ বহরে যুক্ত করতে সক্ষম হচ্ছি।’

বিএসসির মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন জামাল হোসাইন তালুকদার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এমভি বাংলার নবযাত্রা’ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সমুদ্রে ট্রায়াল রান শুরু করবে। এতে বিএসসির বিশেষজ্ঞ টিম ও শিপইয়ার্ডের প্রকৌশলীরা অংশ নেবেন। বুঝে নেওয়ার পর যখন জাহাজটি বাণিজ্যিক চার্টারে যুক্ত হওয়ার একসপ্তাহ আগে আমাদের পরবর্তী টিম জাহাজটিতে জয়েন্ট করবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে পণ্য পরিবহন শুরু করবে বলে আশা করছি।’

বিএসসি সূত্র জানায়, প্রতিযোগিতামূলক দর যাচাই করে গত ৩ জুন আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হয়। কারিগরি মূল্যায়নে দুটি প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়। পরে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসির কাছ থেকে ৯৩৬ কোটি টাকায় দুটি জাহাজ কেনার অনুমোদন দেয়। চীনের শিপইয়ার্ডে নির্মিত হলেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে আমেরিকান কোম্পানি হেলেনিক ড্রাই বা ভেঞ্চারস।

এর আগে গত অক্টোবরের শেষের দিকে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে বিএসসি কেনা প্রথম নতুন জাহাজ ‘এমভি বাংলার প্রগতি‘। প্রতিদিন ২০ হাজার ডলারে (অর্থাৎ সাড়ে ২৪ লাখ টাকা) বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি তিন মাসের জন্য ভাড়ায় নেয় হংকংভিত্তিক একটি কোম্পানি। এমভি বাংলার নবযাত্রা যুক্ত হলে বিএসসির বহরে জাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে সাতটিতে। এর মধ্যে তিনটি তেল পরিবহন করা ট্যাংকার এবং ৪টি সাধারণ পণ্য পরিবহনের বাল্ক জাহাজ।

প্রসঙ্গত; ১৯৭২ সালের জুনে ‘এমভি বাংলার দূত’ জাহাজ চালুর মাধ্যমে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের ব্যবসা শুরু করে সরকারি সংস্থা ‘ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন-বিএসসি। ১৯৮২ সালে সংস্থাটির বহরে থাকা জাহাজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭টিতে, যা পরে ৩৮টিতে উন্নীত হয়। এরপর থেকেই সংস্থাটির বহরে জাহাজের সংখ্যা কমতে থাকে। সর্বশেষ ২০১৮ ও ২০১৯ সালে চীন সরকারের অর্থায়নে ১ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকায় ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছিল বিএসসি। এর মধ্যে একটি জাহাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়। পরে ওই জাহাজের বিমা বাবদ বিএসসি বড় অঙ্কের অর্থ পেলেও তার বহরে থাকা জাহাজের সংখ্যা কমে পাঁচটিতে নেমে আসে। নতুন জাহাজ দুটি ছাড়া বিএসসির বহরে যে পাঁচটি জাহাজ রয়েছে, সেগুলো ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কেনা। সংস্থাটির কাছে পুরোনো কোনো জাহাজ নেই।


মাইলস্টোন কলেজে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন ও র‌্যালি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন ও র‌্যালি করেছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাইলস্টোন কলেজ।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও র‌্যালির আয়োজক ছিলেন, ঢাকা মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, উত্তরা অঞ্চল।

র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারী মাইলস্টোন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন বহন করে। মানববন্ধন ও র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক জহিরুল হক, উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি উত্তরা অঞ্চলের সাবেক সভাপতি লে. কর্নেল এম. আব্দুল খালেক (অব.), সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি মো. নাজমুল আলম এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।


জনতা ব্যাংকের ৮৬৭তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

জনতা ব্যাংক পিএলসির ৮৬৭তম বোর্ড সভা গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ব্যাংকের পরিচালক বদরে মুনির ফেরদৌস, ড. মো. আব্দুস সবূর, আব্দুল মজিদ শেখ, আব্দুল আউয়াল সরকার, ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, মো. আহসান কবীর, মো. কাউসার আলম, অধ্যাপক ড. এ এ মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা, মো. ফয়েজ আলম ও মো. আশরাফুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট মহাব্যবস্থাপকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণ আদায়সহ ব্যাংকের অন্যান্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।


জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে আইফোন উপহার নিলেন বরিশালের সানি বেপারী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে নগদে লেনদেন করে আইফোন সেভেন্টিন―প্রো জিতে নিয়েছেন বরিশালের সানি বেপারী। নগদে ফিরে আসা বা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে তিনি এই উপহার জিতেছেন।

সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রতি মিনিটের প্রথম লেনদেনকারী গ্রাহককে ক্যাশব্যাক প্রদান করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ২০০ জনের বেশি গ্রাহক ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেয়েছেন।

পাশাপাশি সারপ্রাইজ রিচার্জ অফারে অংশ নিয়ে বোনাস রিচার্জ পেয়েছেন এক হাজারের বেশি গ্রাহক।

জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে এমন আকর্ষণীয় একটি উপহার পেয়ে সানী বেপারী বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি এরকম একটি পুরস্কার পাব, সেটিও আবার জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের কাছ থেকে। আমি অনেক বেশি আনন্দিত।’

গত ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া নগদের এই ক্যাম্পেইনে নিয়মিত লেনদেন না করা গ্রাহক যদি নগদে ফিরে লেনদেন করেন এবং কেউ নতুন নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করেন, তাদের জন্য থাকছে প্রতিদিন ক্যাশব্যাকসহ রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল ও আইফোনসহ হাজারও পুরস্কার জেতার সুযোগ।


সুনামগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আনসার সদস্যের পাশে ‘আনসার-ভিডিপি’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও গ্রামে ৭ ডিসেম্বর (রোববার) রাত আনুমানিক ৯টায় সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে ইউনিয়ন সহকারী আনসার প্লাটুন কমান্ডার মোঃ সেলিম আহমেদের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

এই ঘটনাটি আনসার-ভিডিপি―র মহাপরিচালকের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ প্রদান করেন। যা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি তাঁর গভীর মানবিকতা ও দায়িত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিচালক অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্টকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশনা দেন। পরে জেলা কমান্ড্যান্ট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে কম্বল ও উইন্টার কোটসহ শীতবস্ত্র বিতরণ করেন এবং বিস্তারিত তথ্য রেঞ্জ সদর দপ্তরে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে রেঞ্জ কমান্ডার বিষয়টি অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও মহাপরিচালক কে অবহিত করলে তাঁরা সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিচালক মোঃ জিয়াউল হাসান, ঘটনাস্থলে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক সহায়তা হিসেবে গৃহনির্মাণে ব্যবহারের জন্য ০২ বান টিন এবং নগদ ৫,০০০ টাকা অনুদান প্রদান করেন। পাশাপাশি, বাহিনীর পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।

বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে এমন সহানুভূতিশীল উদ্যোগ ও দ্রুত সাড়া পেয়ে প্লাটুন কমান্ডার মোঃ সেলিম আহমেদ মহাপরিচালক প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, এ সহায়তা শুধু এক সদস্যের প্রতি নয়, বরং বাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি মহাপরিচালক অকৃত্রিম ভালবাসা ও দায়িত্বশীলতার প্রতীক।


নভেম্বরে ১৬৮ কোটি ৩৮ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানের পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত নভেম্বর-২০২৫ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৬৮ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-২ কেজি ২৬৬.২২ গ্রাম স্বর্ণ, ১২১ গ্রাম রূপা, ১৭,২৩৪টি শাড়ী, ২১,৩৩৮টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ২৭,৪৫০টি তৈরী পোশাক, ৯,৭৪০ মিটার থান কাপড়, ৩,৪০,৩৮০টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৬,৫৬৪ পিস ইমিটেশন গহনা, ১০,০৯,৪২১টি আতশবাজি, ৬,২১৬ ঘনফুট কাঠ, ১,২৮৪ কেজি চা পাতা, ১১,৪৭৯ কেজি সুপারি, ৬৬,৫৪৬ কেজি কয়লা, ১২,৮৯০ ঘনফুট পাথর, ৫৯৭ কেজি সুতা/কারেন্ট/দুয়ারি জাল, ১৫,১৭৮টি প্লাস্টিক/ইলেঃ সামগ্রী, ৪৪৫টি মোবাইল, ১৫,১৪৫টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৭৩,৫৬৪টি চশমা, ৩৭,৬৯০.৫০০ কেজি জিরা, ৪,৯৭০ কেজি চিনি, ১,৬৩,৪৯০ কেজি পিয়াজ, ১,৭৩১ কেজি রসুন, ৪,৬৮০ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ৬,৩২০ কেজি সার, ২,৬৮৪ প্যাকেট কীটনাশক, ৪৮৫ লিটার ডিজেল, ১,৬৮,০২১ পিস চকোলেট, ৮১৯টি গরু/মহিষ, ১৬টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ১৭টি পিকআপ/মহেন্দ্র, ৪টি ট্রাক্টর, ২টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৪টি ট্রলি, ১৭৯টি নৌকা, ৩৮টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৫৪টি মোটরসাইকেল এবং ৩১টি বাইসাইকেল/ভ্যান।

উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৪টি দেশী/দেশীয় পিস্তল, ১টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২টি ম্যাগাজিন, ১৯ রাউন্ড গোলাবারুদ, ২কেজি ৩০০ গ্রাম গান পাউডার, ৩টি মাইন, ৬টি ককটেল এবং ৯টি অন্যান্য অস্ত্র।

এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২০,৫৮,৭৮৯পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৯৩ গ্রাম হেরোইন, ৩,৭১৪ বোতল ফেনসিডিল, ৭,১৭৬ বোতল বিদেশী মদ, ২০৩.৯ লিটার বাংলা মদ, ৬০৮ ক্যান বিয়ার, ১,৫২৬ কেজি ৫০ গ্রাম গাঁজা, ১,১৭,৮৫১ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৫০,৫৮৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩,৪৬৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৮,১৫৬টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৫৬,১২০টি মদ তৈরীর বড়ি, এবং ৭,৬৭,৯২৩ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও অন্যান্য ট্যাবলেট।

সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫৯ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৩৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ০২ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৪০৩ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।


banner close