সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫
১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

বড় অপরাধ, ছোট সাজা

ছবি: সংগৃহীত
শহীদুল ইসলাম
প্রকাশিত
শহীদুল ইসলাম
প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৭:৫৯

শহীদুল ইসলাম

ফেসবুকে ‘কুরুচিপূর্ণ ভাষায়’ কবিতা লিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন একজন সিনিয়র সহকারী সচিব। অথচ সরকারি প্রকল্পের ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ওই টাকা ফেরত দেয়ার ‘শাস্তি’ পেয়েছেন একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এর সঙ্গে দুই বছর নিচের পদের বেতন পাবেন তিনি।

ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, নৈতিক স্খলন, দায়িত্বে অবহেলা, ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ না দেয়া, ঠিকমতো অফিসে উপস্থিত না থাকা, অনুমতি না নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ, পত্রিকা ও ফেসবুকে নিবন্ধ-কবিতা লিখে এবং অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে শাস্তি পাচ্ছেন জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা। এদের কেউ কেউ গুরুদণ্ডের অপরাধ করেও পাচ্ছেন লঘুদণ্ড। কেউবা লঘু পাপ করেও পেয়েছেন বড় সাজা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত অনিয়ম-দুর্নীতি ও দায়িত্বে অবহেলার জন্য শাস্তি পেয়েছেন ৩৬ জন কর্মকর্তা। তাদের একজন অতিরিক্ত সচিব, দুইজন যুগ্মসচিব, ১৮ জন উপসচিব, ৯ জন সিনিয়র সহকারী সচিব, পাঁচজন সহকারী সচিব এবং একজন ইউএনও সাজা পেয়েছেন। অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত করে কয়েকজনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতিও দেয়া হয়েছে।

সিনিয়র সহকারী সচিব সাইদুর রহমান ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর নিজের ফেসবুকে রহমান ‘হেনরী’ ছদ্মনামে একটি কবিতা পোস্ট করেন। এই কর্মকর্তাকে সাজা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনি কুরুচিপূর্ণ, অশোভন ও আপত্তিকর কবিতা প্রকাশ করেন, যা একদিকে একজন সরকারি কর্মচারীর অশোভন আচরণ এবং অন্যদিকে এর মাধ্যমে প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সরকারপ্রধানকে ইঙ্গিত করে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কবিতাটি প্রকাশ করেছেন বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়। এ জন্য পিএসসির অনুমোদন নিয়ে ওই কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

গাইবান্ধা সদরের ইউএনও থাকাকালে মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আত্মসাৎ করা ৪৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮০ টাকা তার বেতনভাতা থেকে পরিশোধ এবং দুই বছর নিম্নপদে অবনমনের দণ্ড দেয়া হয় তাকে।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে এক সাংবাদিককে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেন কুড়িগ্রামের তৎকালীন ডিসি মোছা. সুলতানা পারভীন। আলোচিত এই ঘটনা তদন্ত করে সুলতানাকে গুরুদণ্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে দুই বছরের জন্য তার বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড দেয়া হয়। তিনি শাস্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি দণ্ড বাতিল করে অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।

অফিসের নারী সহকারীর সঙ্গে জামালপুরের তৎকালীন ডিসি আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের পর তদন্তে নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগ প্রমাণ হয়। এরপর কবীরের বেতন তিন বছরের জন্য নিম্নতম গ্রেডে নামিয়ে দেয়ার দণ্ড দেয়া হয়।

নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক থাকাকালে জয়কালী দিঘি বন্দোবস্ত দেন ইফতেখারুল ইসলাম খান। বেআইনিভাবে এই বন্দোবস্ত দেয়ায় সহায়তা করায় সরকারের এক কোটি ২৬ লাখ ৯ হাজার ৫১২ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয় বলে তদন্তে প্রমাণ হয়। এরপর ওই কর্মকর্তাকে এক বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতম ধাপে নামিয়ে দেয়ার দণ্ড দেয়া হয়।

স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য তথ্য গোপন করে নিজের বাবার নাম প্রস্তাব করায় খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামানকে তিরস্কারের লঘুদণ্ড দেয়া হয়েছে। অথচ হত্যা মামলায় নিজের বাবার জেল খাটার তথ্য গোপন করে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিলেন তিনি। এই কর্মকর্তার বাবাকে এবারের স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করেও সমালোচনার মুখে তা বাতিল করা হয়।

আগের বিধিমালা অনুযায়ী দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হলে কাউকে চাকরিতে রাখার সুযোগ ছিল না। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রণিত নতুন বিধিমালায় দুর্নীতিগ্রস্তদেরও লঘুদণ্ড দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। এর ফলে তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে যেকোনো অপরাধের জন্য যে কাউকে লঘুদণ্ড দিতে পারেন। কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, সেটি মাথায় রেখে অনেক সময় দণ্ডের মাত্রায় হেরফের হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবও কিছুটা কাজ করে বলে মনে করেন অনেক সরকারি কর্মকর্তা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযোগ ওঠার পর প্রথমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। জবাব সন্তোষজনক না হলে করা হয় বিভাগীয় মামলা। পরে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়। দণ্ড দেয়ার আগে ফের শুনানি করা হয়। অনেক সময় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অনুমোদন নেয়া হয়। বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দণ্ড দেয়ার আগে রাষ্ট্রপতিরও অনুমোদন নিতে হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অপরাধ প্রমাণ হওয়ার পরও বেশির ভাগ কর্মকর্তাকে তিরস্কারের সাজা দেয়া হয়েছে। গুরুদণ্ড দেয়ার মতো অপরাধ করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণ হলেও দেয়া হয়েছে লঘুদণ্ড। এ ছাড়া বেতন স্কেলের নিম্নতর ধাপে নামিয়ে দেয়া এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার দণ্ড দেয়া হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত একজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং ছুটির মেয়াদ শেষেও চাকরিতে যোগ না দেয়ায় দুইজনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে। গুরু পাপে কয়েকজনকে লঘুদণ্ড দেয়া হলেও দণ্ড পুনর্বিচেনার আবেদন করার পর রাষ্ট্রপতি তাদের সাজা মওকুফ করে দিয়েছেন।

সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের তিরস্কার, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি না দেয়া ও বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা এবং বেতন গ্রেডের নিম্নতম ধাপে নামিয়ে দেয়ার মতো লঘুদণ্ড দেয়া যায়। আর গুরুদণ্ড হিসেবে নিম্নপদ বা বেতন গ্রেডে নামিয়ে দেয়া, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যায়।

শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকায় সরকারি কর্মকর্তাদের অনিয়মে জড়ানোর হার কমছে না বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। দৈনিক বাংলাকে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের একাংশ যে সরকারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করেন, তা তাদের কর্তৃপক্ষও জানে। এটা অব্যাহতভাবে চলছে। বিভাগীয় মামলার পাশাপাশি প্রচলিত আইনেও তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তার মতে, যখন কোনো অপরাধের বিচার হয় না, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না, তখন সেসব অপরাধ বাড়তেই থাকে। কেউ যেহেতু আইনের ঊর্ধ্বে নন, তাই এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত।

ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে পদক্ষেপ নেয়ার ‍মতো সুযোগ করে দিতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনও কখনো কখনো স্বপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, কাউকে লঘু দণ্ড দেয়া হলেও ওই দণ্ড যত দিন না কার্যকর হচ্ছে ততদিন তিনি পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় আসবেন না। কেউ তিরস্কারের দণ্ড পেলেও চাকরিতে তার প্রভাব পড়বে।

ওই কর্মকর্তা জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দণ্ড আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারির পর কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল এবং রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করতে পারেন। সেখানে সাড়া না পেলে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল এবং সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগগুলো প্রমাণ করতে হয়। লোকমুখে অনেক সময় অনেক কথা শোনা যায়, কিন্তু সে সবের প্রমাণ থাকে না। যে অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্তি দেয়া হবে, আদালতে গেলেও কিন্তু সেটা প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় তদন্ত কমিটি স্পটে গিয়ে তদন্ত করে। অপরাধ প্রমাণের পর গুরু ও লঘু দণ্ড দেয়া হয়। অনেকের চাকরিও চলে যায়।

কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হলে ছাড় দেয়া হয় না দাবি করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে জিরো টলারেন্স, অপরাধী অপরাধীই। আমাদের তদন্ত কারো পছন্দ না হলে ‍দুদকে ও কোর্টে যেতে পারে। আমাদের কাছে যতটুকু তথ্য থাকে তার আলোকেই আমরা তদন্ত করে শাস্তি দিয়ে থাকি।’


লিজেন্ডস লিগে আর না খেলার সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে (ডব্লিউসিএল) রানার্সআপ হয়েছে পাকিস্তান। এই আসরেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে কথাই লড়াইয়ে জড়াতে হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের। এসব কারণেই এরপর থেকে আর এই আসরে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বর্জন করেছিল ভারত লিজেন্ডস। গ্রুপ পর্বে ম্যাচ বর্জনের পর সেমি ফাইনালেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ায় খেলতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। ফলে সেমিতে না খেলেই ফাইনালের টিকিট পায় পাকিস্তান। আর এমন কাণ্ডে সমালোচনার মুখোমুখি হয় দুই দলই।

টুর্নামেন্টে এমন পরিস্থিতি হওয়ায় আয়োজকদের নিয়ে সমালোচনা করেছে পিসিবি। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, আয়োজকদের কয়েকটি সিদ্ধান্ত তাদের অংশগ্রহণের পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

পিসিবি বলেছে, ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত কোনো ক্রিকেটীয় কারণে হয়নি, বরং সুনির্দিষ্ট জাতীয়তাবাদী ধারণাকে তুষ্ট করে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের ক্রিকেটারদের আমরা এমন আসরে অংশ নিতে দিতে পারি না, যেখানে খেলাধুলার চেতনাকে ছাপিয়ে যায় বিকৃত রাজনীতি, স্পোর্টসম্যানশিপ ও ভদ্রলোকের খেলার ধারণাটিকেই যা খাটো করে তোলে।


জুলাই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রবাসী বাংলাদেশিরা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাসে জুলাই মাসে ২.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ১.৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাথে আলাপকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সরকার অনাবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) দেশে অর্থ প্রেরণে উৎসাহিত করতে আইনি চ্যানেলকে সহজতর করায় দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মতে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য সরকারি এবং অনানুষ্ঠানিক বিনিময় হারের মধ্যে ব্যবধান হ্রাস, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে দেশপ্রেমের নতুন অনুভূতির মতো কারণগুলো অন্যতম।


জুলাই ঘোষণাপত্র মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ঘোষণা করা হবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
তথ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।


সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক এর অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে উক্ত সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ আলহাজ্ব নুরুল আমিন এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র লংঘন করে একতরফা সিদ্ধান্তে কাজ করার প্রতিবাদে ৩ আগষ্ট রবিবার বেলা ২ টায় সাতক্ষীরা পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজন করেন।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাডঃ মোঃ নুরুল আমিন । এসময় সংবাদ সম্মেলনে

উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পি,পি, এ্যাডঃ শেখ আব্দুস সাত্তার , সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জি,পি, এ্যাডঃ অসীম কুমার মন্ডল , সাতক্ষীরা নারী শিশু কোর্টের বিশেষ পি,পি, এ্যাডঃ শেখ আলমগীর আশরাফ , সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ এ্যাডঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম (৫) , নির্বাচিত সদস্য এ্যাডঃ আসাদুর রহমান বাবু , নির্বাচিত সদস্য এ্যাডঃ সুনিল কুমার ঘোষ ।

আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ আকবর আলী, এ্যাডঃ এ বি এম সেলিম, এ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র বল্লভ, এ্যাডঃ আলতাফ হোসেন, এ্যাডঃ মিজানুর রহমান বাপ্পী, এ্যাডঃ শাহরিয়ার হাসিব , এ্যাডঃ এস,এম,সোহরাব হোসেন বাবলু, এ্যাডঃ তোহা কামাল উদ্দিন হীরা, এ্যাডঃ সরদার সাইফ , এ্যাডঃ আবু সাইদ রাজা, এ্যাডঃ জি,এম,ফিরোজ আহমেদ, এ্যাডঃ জাহাঙ্গীর আলম , এ্যাডঃ ইমরান শাওন, এ্যাডঃ তারিফ ইকবাল অপু, এ্যাডঃ রেজাউল ইসলাম, এ্যাডঃ রফিকুল ইসলাম খোকন, এ্যাডঃ সাইফুল ইসলাম সোহেল , এ্যাডঃ ওয়ালীউল্যাহ, এ্যাডঃ আইয়ুব আলী।

যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ নুরুল আমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলছে না । তিনি আরো বলেন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্রয় কমিটির দায়িত্ব / আহবায়ক যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডঃ নুরুল আমিন কিন্তু কয়েক লক্ষ টাকার জিনিষ ক্রয় করা হয়েছে যুগ্ম সম্পাদক কিছু জানে না । তিনি আরো বলেন আইনজীবী সমিতির আয় হচ্ছে কিন্তু আইনজীবীদের সঞ্চয় তহবিলে টাকা নেওয়া হচ্ছে না, লভ্যাংশ দেওয়া হচ্ছে না এবং নতুন আইনজীবী দের সঞ্চয় তহবিল দিতে হবে। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত যার যে দায়িত্ব তাকে সেই দায়িত্ব বুঝায়ে দিতে হবে এবং নির্বাচিত প্রত্যেক কে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। নতুবা ভবিষ্যতে বৃহৎ আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।


ভৈরবে রাতভর পুলিশের অভিযানে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুলিশের অভিযানে ২৩ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা শহরে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলো । আজ রোববার বিকাল সাড়ে ৪ টায় তাদেরকে কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়।

গতকাল শনিবার রাত ১০ টা থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত শহর এলাকায় এই অভিযান চলে। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সবুজ (২৩) হেলাল (২৫), নাঈম (২৩), রায়হান (২০), আরাফাত (৩৩), ওসমান (১৮), সোহেল মিয়া (২৮), মো. ফুল মিয়া (৩৬), হৃদয় (২৫), রনি মিয়া (৩২), বিল্লাল মিয়া (২০), সানি (৩৩), বিজয় (২৮), সুমন (২০), মাহিন (২১), নামিন (২০), মনির হোসেন (২৮), ফরহাদ (২৫), আকাশ (৩২), গোলাম মোস্তফা (৪২), জনি (২৬), দুলাল (৪৫)।

এবিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফূয়াদ রুহানী জানান, শহরে চুরি, ছিনতাই, মাদক বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার রাতভর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৬ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্য কারো কারো নামে থানায় ছিনতাই মামলা আছে, একজন ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। কয়েকজনের নামে নতুন মামলাও হয়েছে। ভৈরব শহরের আইন শৃংখলা ঠিক রাখতেই অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


পূর্বাচলে হাঁসের মাংস দিয়ে পিঠা বিক্রি করে স্বাবলম্বী নারীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

সন্ধ্যা হলেই বালু নদের তীরে, নীলা মার্কেঠে জলে ওঠে লাল নীল বাতি। মাটির চুলায় লাকড়ি দিয়ে রান্না শুরু হয় হাঁসের মাংস আর বিভিন্ন ধরনের পিঠা। আর এগুলো তৈরি করেন নারীরা এবং পরিবেশনও করেন নারীরা। স্থানীয়রা বলেন, শুধু শীতেই এখানে কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। মাংস দিয়ে পিঠা বিক্রি করে এখানে শতাধিক নারী স্বাবলম্বী।

শীত, গ্রীস্ম, শরৎ আর হেমন্ত সব মৌসুম বাঙালি জাতির বিলাসী আহার-বিহারের মৌসুমও। বছরজুড়ে হাজারো ধরনের পিঠাপুলি তৈরির ধুম পড়ে যায়। অঞ্চলভেদে ঘরে ঘরে তৈরি করা হয় কত রংবেরঙের পিঠাপুলি। তবে সময় এবং মানুষের রুচির মধ্যে অনেক পার্থক্য এসেছে। এক সময় বাহিরের খাবাওে অরুচি থাকলেও এখন ঘরে তৈরি খাবার খেয়ে আভ্যন্ত বাঙালি ক্রমেই ঘরের বাইরে তৈরি খাবার খেতেও অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। বাঙালির এই খাদ্য রুচি পরিবর্তনের কথা ভেবে অঞ্চলভেদে গড়ে উঠেছে বিশেষ খাবারের বিশেষ রেস্টুরেন্ট। তেমনি কয়েক বছর ধরে শীত মৌসুমে শীতের খাবারের মেন্যুর শীর্ষ পর্যায়ে স্থান পেতে শুরু করেছে হাঁসের মাংস। এসব হাঁসের মাংস রান্নার ধরন ও স্বাদও আলাদা।

তেমনি রান্না করা হাঁসের মাংসের জন্য বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান হয়ে উঠেছে ৩০০ ফিট ঘিরে পূর্বাচলে বালু নদের পাশের ময়েজ উদ্দিন চতুর ও নীলা মার্কেট। ঢাকা-রূপগঞ্জ সড়কের ৩০০ ফিট এলাকায় স্টেডিয়ামের পাশে বালু নদের তীর ঘেঁষে গ্রামীণ এ বাজারের অবস্থান। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলে তরুণ-তরুণীরা, বন্ধু-বান্ধব কিংবা অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখানে হাজির হন রান্না করা হাঁসের মাংস দিয়ে চাপটি খেতে।

রাজধানী বাড্ডা থেকে এসেছেন শামিম-মুন্নি দম্পতি। তাঁরা বলেন, হাঁস তো বাসায় বসেই খাওয়া যায়। কিন্তু পূর্বাচলে খাওয়ার মজাই আলাদা। গ্রামীণ পরিবেশে খাওয়া ও ঘোরাঘুরি দুটোই হয়। ডেমড়ার মীরপাড়া থেকে এসেছেন আবিদ হাসান ও তাঁর বন্ধুরা। আবিদ বলেন, 'আমরা সব বন্ধু মোটরবাইকে করে পূর্বাচলে এসেছি হাঁসের মাংস খেতে। শুনেছি এখানকার হাঁসের মাংস খুবই স্বাদ।

গ্রামীণ আবহে সেখানকার দোকানগুলোয় হাঁসের মাংস রান্না করা হয় মাটির চুলায়। রান্নায় ব্যবহার করা হয় স্থানীয় উপকরণ। অনেক ভোজনরসিক মাটির চুলায় এই হাঁস রান্নার ঘ্রাণে বিমোহিত হন। দল বেঁধে হাঁসের মাংস দিয়ে চাপটি, রুটিসহ বিভিন্ন পিঠা খেতে পূর্বাচলে ৩০০ ফিটের ময়েজ উদ্দিন চত্বর ও নীলা মার্কেট ভোজনরসিকদের কাছে বিশেষ স্থান হয়ে উঠেছে।

সপ্তাহের ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার ছাড়াও যেকোনো বন্ধের দিন যেখানে ভোজনরসিকদের ভিড় লেগে যায়। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোজনরসিকদের এই ভিড় অব্যাহত থাকে। গ্রামীণ পরিবেশে দেশি হাঁসের মাংসের সঙ্গে আতপ চালের চাপটি কিংবা চিতই পিঠা ভোজনরসিকদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শীত আসলেই শীতের খাবারের নতুন এই ট্রেন্ড হাঁসের মাংস খেতে দলে দলে ভোজনরসিকরা ছুটে যান নীলা মার্কেট এলাকায়।

৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ের পাশে পূর্বাচল সেক্টর-১-এ বিশাল এলাকাজুড়ে মার্কেকটির অবস্থান। ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ে এমনিতেই রাজধানীবাসীর কাছে দর্শনীয় স্থান। তার পাশে নীলা মার্কেটের মজাদার হাঁসের মাংস মানুষের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ায় রাজধানীর আশপাশের এলাকাগুলো থেকেও আনকে দল বেঁধে সেখানে হাঁসের মাংসের স্বাদ নিতে চলে আসেন। সেখানকার অসংখ্য দোকানের যেকোনো একটায় ইচ্ছামতো বসে উপভোগ করা যায় দেশি হাঁসের বিচিত্র স্বাদ। সঙ্গে রয়েছে বাহারি পিঠাও।

নীলা মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশে সারি সারি দোকান, যার প্রায় প্রতিটি দোকানেই পাওয়া যায় গরু, মুরগীসহ হাঁসের মাংস। রান্নার জন্য প্রতিদিন দুপুরের মধ্যেই শেষ করা হয় হাঁস কেটে মাংস ধোয়ার কাজ। সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় মাটির চুলায় রান্না। তখন সেখানকার চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে হাঁস রান্নার ঘ্রাণ। দেখা গেছে ছুটির দিনে সেখানে আলেয়ার পিঠাঘরে রান্না হচ্ছে ২৫টি হাঁস। আরো ১০টি মজুদ করা আছে। শিউলি আক্তার তাঁর পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় প্রায় আড়াই বছর ধরে সেখানে ব্যবসা করছেন। খাবার মজাদার হওয়ায় শুরু থেকেই তিনি ভোজনরসিকদের কাছে জনপ্রিয়। কথায় কথায় জানালেন, ছুটির দিনগুলোতে বিকেল থেকে রাত ১টা পর্যন্ত তাঁর দোকানে বেচাবিক্রি চলে। ২৫০ টাকার এক প্লে¬ট মাংসে থাকে একটি লেগ পিসসহ মোট পাঁচ পিস মাংস, সাথে ঝোল। নীলা মার্কেটের বিশেষত্ব হলো সেখানকার মাংস রান্না হয় মাটির চুলায়। আর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় শুকনা কাঠ। এ কারণে খাবারের স্বাদ ভিন্ন হয় বলে জানালেন সেখানকার দোকানিরা।

ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে অনেকে দোকানের সাইন বোর্ডে লিখে রেখেছেন 'লাকড়ি দিয়ে মাটির চুলায় রান্না হয়।' 'নিমন্ত্রণ পিঠা ঘরে' রান্না করছিলেন খালেদা আক্তার। মাটির চুলার বিশেষত্ব সম্পর্কে তিনি বললেন, 'মাটির চুলায় কাঠ দিয়া রান্নাডা হইতে টাইম লাগে। আস্তে আস্তে রান্না হয়। এ জন্য খাবারডা মজা হয়। আর হাঁসের মাংস তো অনেক সময় নিয়া রান্না করা লাগে। মাংস শক্ত থাকলে খাইয়া মজা নাই।

'বউ-শাশুড়ি পিঠা ঘর'-এর মালিক বন্যা আক্তার বলেন, 'আমাদের লোক আছে। ওরা ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা থেকে হাঁস দিয়ে যায়। একদম দেশি হাঁস। হাওরে যেগুলো পালা হয়। আমাদের দোকানে প্রতিদিন রান্না করা ৫০ থেকে ৬০টি হাঁসের মাংস বিক্রি হয়।'

শীতে একটু বেশি জমে ব্যবসা। 'অনন্যা খাবারঘর'-এর মালিক জাকির মিয়া বললেন, 'নীলা মার্কেটে দেড় শ থেকে দুই শ দোকান রয়েছে। যারা হাঁসের মাংস। বিক্রি করে। শীতে সবচেয়ে বেশি জমজমাট হয় এই বাবসা। শীতে হাঁস ভুনা দিয়ে পিঠা খেতে অনেকে পছন্দ করে। এই মৌসুমে এক মাসে আমার প্রায় দুই শ থেকে আড়াই শ হাঁস লাগে'।


নারায়ণগঞ্জে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার পর ভাসুরের আত্মসমর্পণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এম এস ডালিম, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নদী আক্তার নীলা(২৫) নামে এক গৃহবধূ কে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছে ভাসুর রবিউল হাসান আবির (৩৫)।

রবিবার সকালে উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার একটি নির্জন বিলে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূ নদী আক্তার নীলা ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার কানুরামপুর এলাকার শাহজাহান দেওয়ানের মেয়ে ও কুশিয়ারা এলাকার প্রবাসী রাসেল মিয়ার স্ত্রী।

আত্মসমর্পণকারি রবিউল হাসান আবির উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ নদী আক্তার নীলা পূর্বে ৩টি বিয়ে হয়ে ছিল। কুশিয়ারা এলাকার প্রবাসী রাসেল ছিল তার ৪ নাম্বার স্বামী। এদিকে ঘাতক রবিউল হাসান ওরফে আবিরের মা বেশ কিছু দিন পূর্বে ব্যবসার জন্য ব্রাক ব্যাংক থেকে ৪ লাখ টাকা উত্তেলন করে তার ছোট ছেলে রাসেল ও তার স্ত্রী নীলার হাতে তুলে দেন। রাসেল ঋণ পরিশোধ না করে প্রবাসে পাড়ি জমায়। এ ঘটনায় ব্রাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জিম্মাদার ভাসুর রবিউল হাসান আবিরকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ নিয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নীলার সাথে ভাসুর রবিউল হাসান আবির সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে রোববার সকালে ভাসুর রবিউল হাসান আবির তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নদী আক্তার নীলাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কুশিয়ারা এলাকার একটি নির্জন বিলে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হত্যকান্ডের ২ ঘন্টা পর সকাল ৯টায় ভাসুর রবিউল হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র নিয়ে বন্দর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যার পর নিহতের ভাসুর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


স্বৈরাচারের বিচার চাই, তাদের ফাঁসিতে ঝুলাতে চাই- শহিদ সবুজের স্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

শহিদ সবুজের স্ত্রী বলেছেন, আমরা শহিদ পরিবার ও আহত পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকবে আপনারা আমাদেরকে সুনজরে দেখবেন। আমার স্বামীর হত্যায় মামলা করেছি এবং ১৩ জন আসামী গ্রেফতার হয়েছে কিন্তু তাদের এখনো বিচার করা হয়নি। আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই, স্বৈরাচারের বিচার চাই। আ.লীগ ফ্যাসিস্টদের বিচার চাই। তাদের ফাঁসি ঝুলাতে চাই।

রবিবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ছাত্র-শিক্ষক সংহতি দিবস উপলক্ষে শহিদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে শহিদ সবুজের স্ত্রী এসব কথা বলেন।

শহিদ সবুজের স্ত্রী বলেন, আমার পরিবারের উপার্জন কর্তা একজনই ছিল তিনি আমার স্বামী। তিনি যখন আন্দোলনে গিয়েছিলেন তখন আমার ১ মাসের বাচ্চা ছিল। তিনি আমাদের পরিবারে ও বাচ্চার কথা চিন্তা না করে আন্দোলনে যোগদান করেছিল। আমার স্বামী দেশের জন্য লড়েছেন, জাতির জন্য লড়েছেন। ৫ আগস্টে বিজয় মিছিলের পর বাসায় অনেকে ফিরেছিল তখন আমার স্বামী ফিরে নাই। তিনি শহিদ হয়েছিলেন কিন্তু আমি দেখতে পারিনি। এই না দেখার বেদনা আমি বলে বুঝাতে পারবো না।

শহিদ রাকিবের পিতা বলেন, আমি অনুরোধ করছি শহিদদের স্মরণের জন্য এমন ব্যবস্থা যদি রাখা হয় তাহলে আমাদের সন্তানদের স্মরণ করতে পারবো সন্তুষ্ট হবো এবং কৃতজ্ঞ থাকবো আপনাদের কাছে।

শহিদ ইউসুফের মা বলেন, আমার বাবা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। আমি হাসপাতালে ছুটে যাই। তিনটা লাশ ছিল। আমার বাবার পা দেখে সনাক্ত করি। কিন্তু ওই যন্ত্রনা সহ্য করতে পারি নাই। এরপরও ছাত্র ভাইদের ডাকে সাড়া দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করি আন্দোলনে।

শহিদ পরিবারের আরেক সদস্য বলেন, আছরের নামাজের পর হঠাৎ শুনতে পাই আমার ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমার মা অস্বাভাবিক ভাবে কাঁদতে থাকেন। এই বেদনা নিয়ে বলতে চাই, ফ্যাস্টিটের অত্যাচার দেখে যাচ্ছি, থামছে না। এগুলো প্রথমত থামাতে হবে। থামানোর জন্য পদ্ধতি বের করতে হবে। কেউ অন্যায় করলে সেটা বিচার পাই না। ফেজবুকে ছেড়ে দেই, বিচার চাই, ফাসি চাই স্লোগানে সীমাবদ্ধ থাকি। আমরা এগুলো চাই না। আমরা কঠোর বিচার চাই, বিচার বিভাগীয় সংস্কার চাই।

উল্লেখ্য, জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।


নেত্রকোনায় এসইডিপি'র আয়োজনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম, জেলা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় ৩ আগষ্ট ২০২৫ তারিখ রবিবার সকালে জেলা সদর উপজেলার হলরুমে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা ও জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে পারফরমেন্স বেইজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারী ইন্সটিটিউশনস স্কিল -এসইডিপি'র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে । সারা দেশে শিক্ষার মান উন্নয়নে ও শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ রূপে গড়ার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । নেত্রকোনা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক এর সভাপতিত্বে ও একাডেমিক সুপারভাইজার মো: আব্দুল আউয়ালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস ,বিশেষ অতিথির মধ্যে ছিলেন, নেত্রকোনার অতিথির জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন , নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার স্বপ্না রাণী সরকার । শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থী , অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তিন ক্যাটাগরিতে ৩০ জন পুরস্কার প্রদান করা হয় । এসইডিপি'র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন , জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন , সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক,নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার স্বপ্না রানী সরকার , রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক, লোক গবেষক গোলাম মোস্তফা , আবু আব্বাস কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, মৌজে বালী দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এমদাদুল হক ,আব্বাসিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি লতিফ হায়দার টিটু আব্বাস , অভিভাবক শিক্ষক হারুন অর রশিদ, দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অর্পিতা হক ঐশী , এন আকন্দ আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী আশরাফুজ্জামান প্রমূখ । প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন , শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করলেই হবে না, আমাদের কে মানুষের মত মানুষ হতে হবে । একজন ভালো মানুষ হয়ে পরিবার ,সমাজ , রাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য কাজ করতে হবে। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে । তিনি সকল কে সকল প্রকার মাদকাসক্ত থেকে বেরিয়ে এসে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান । বিশেষ অতিথির মধ্যে ছিলেন, নেত্রকোনার অতিথির জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন , নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার স্বপ্না রাণী সরকার।


নেত্রকোণায় ঝুঁকিপূর্ণ খুটিঁ সরিয়ে নতুন উন্নত বৈদ্যুতিক  খুটিঁ স্থাপন করার দাবী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম,জেলা প্রতিনিধি

নেত্রকোনা সদর উপজেলার বাংলা ইউনিয়নের সহিলপুর থেকে নয়াপাড়া বাংলা এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বৈদ্যুতিক লাইনের বেহাল দশা জনমনে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী দ্রুত এই ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।নয়াপাড়া বাংলা এলাকার এই বিদ্যুৎ লাইনে কোনো বৈদ্যুতিক খুঁটি নেই, বরং নিম্নমানের বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে। এই লাইনটি বাঁশঝাড় ও লোকজনের চলাচলের রাস্তার পাশ দিয়ে গেছে। বিশেষ করে, বীণাপাণি বিদ্যাপীঠ স্কুলের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের পাশ দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। বীণাপাণি বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ অজিত কুমার সিংহ বলেন, "এই নিম্নমানের বৈদ্যুতিক খুঁটি দ্রুত সংস্কার করে নতুন বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি। এটি এলাকাবাসীকে চরম বিপদের হাত থেকে রক্ষা করবে।"

এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যেকোনো সময় একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, বিশেষ করে ঝড়-তুফানের এই মৌসুমে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। বাংলা নয়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত রায়বাড়ী ও ঐতিহ্যবাহী বীণাপাণি বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা জনাব অসীম কুমার রায়ও এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে গুরুত্বারোপ করেছেন। জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে জরাজীর্ণ ও চিকন বাঁশের খুঁটি দিয়ে নির্মিত এই লাইনের বেহাল দশা থেকে উত্তরণের মাধ্যমে সকল দুর্ঘটনা থেকে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন। নেত্রকোনা পিডিবি কর্তৃপক্ষ যাতে দ্রুত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার করে নতুন খুঁটির ব্যবস্থা নেয়, সে বিষয়ে এলাকাবাসী সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।


নড়াইলে ৮৫ বছরের বৃদ্ধার জমি লিখে নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইল সদর উপজেলার চরশালিখা গ্রামে ৮৫ বছরের বৃদ্ধা ছিয়ারন নেসার জমি লিখে নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামবাসীর আয়োজনে শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে চরশালিখা গ্রামীণ রাস্তার তিনমাথায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন-বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাখা কাজী, ভুক্তভোগী ছিয়ারন নেসা ও তার ছেলে বাবু মোল্যা, মশিয়ার রহমান, নবীর হোসেন, লিটন শেখ, আব্দুর রহমান, মুরাদ হোসেনসহ অনেকে।

বক্তারা জানান, নাতনি কমলা বেগম চরশালিখা গ্রামে প্রায় ৪২ শতক বসতভিটার জমি লিখে নিয়ে নানী ছিয়ারন নেসাকে বাড়ি থেকে প্রায় এক সপ্তাহ আগে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন ছিয়ারন নেসার একমাত্র ছেলে বাবু মোল্যাসহ গ্রামবাসী।

প্রতিবেশিরা জানান, আড়াই মাসের সন্তান কমলাকে রেখে তার মা আনজিরা বেগম মারা যান। এরপর নানী ছিয়ারন নাতনি কমলাকে নিজের বুকের দুধ খাইয়ে বড় করেন। আদরের নাতনি কমলাকে নিজ গ্রাম চরশালিখায় বিয়ে দেন। এরপর নাতজামাইকে প্রায় সাত শতক জমি বিক্রি করে আট বছর আগে বিদেশ পাঠান। নাতনি কমলা বেগমের আবদারে বসতভিটার পাঁচ শতক জমি লিখে দিতে রাজি হন নানী ছিয়ারন। কিন্তু কমলা বেগম অপকৌশলে নানীর কাছ থেকে ৪২ শতক জমি লিখে নেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে বৃদ্ধা ছিয়ারন বেগমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে উল্টো নানিসহ প্রতিবেশিদের নামে সংবাদ সম্মেলন করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন কমলা বেগম। কমলা দাবি করে জানান, তিনি নানীর কাছ থেকে ফাঁকি দিয়ে জমি লিখে নেননি।

তবে গ্রামবাসী বলেন, ছিয়ারন নেসার অনেক জমিজমা থাকতেও আদরের নাতিকে সব জমি লিখে দিয়ে আজ পথে পথে ঘুরছেন। বাড়িতে উঠতে পারছেন না। নিজের ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে গ্রামে এ-বাড়ি, ও-বাড়ি খেতে হচ্ছে ছিয়ারন নেসাকে। অনেক কষ্টে বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হচ্ছে। ছিয়ারন নেসা ছেলে বাবুকেও মাথা গোঁজার মতো একটু জমি দিতে পারেননি। সব জমি তার নাতনি লিখে নিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ছিয়ারন নেসার ছেলে বাবুর সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। ঘটনাটি নড়াইল সদর থানা পুলিশ তদন্ত করছে। বৃদ্ধা ছিয়ারন নেসা যেন ন্যায়বিচার পান এই প্রত্যাশা করছেন গ্রামবাসী।

এদিকে সদর থানার এসআই সুকান্ত ও এএসআই জাবেদ বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমরা সরেজমিন তদন্ত করেছি। ভুক্তভোগীসহ গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।


পল্লীকবি জসীম উদদীন স্মরণে "শতবর্ষে কবর" গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আবহমান গ্রাম বাংলার মাটি ও মানুষের কবি পল্লীকবি জসীম উদদীন স্মরণে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে "শতবর্ষে কবর" গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফরিদপুরের সাবেক ডিসি ও ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি জালাল আহমদ এর সভাপতিত্বে- ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর আবরার।

এসময় পল্লীকবি জসীম উদদীন এর কবর কবিতা ও তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে অলোচনায় অংশ নেন কথা সাহিত্যিক ও গবেষক আন্দালিব রাশদী, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পাখি বিশেষজ্ঞ, ইনাম আল হক, ভ্রমণ লেখক ও কথা সাহিত্যিক ফারুক মঈনুদ্দীন, নয়নজুলি প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী ড. মোহাম্মদ আলী খান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়, ডেইলী স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আলতাফ হোসেন, জুলাই যোদ্ধা ইমরান মাহফুজ সহ লেখক,সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকগণ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টাসহ অতিথিদেরকে ফুলেল শুভেচছা জানান ফরিদপুর মুসলিম মিশন প্রাক্তন ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য মোঃ কামাল উদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্যরা।


কুমিল্লার গোমতী নদীর সব অবৈধ স্থাপনা ৬ মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার গোমতী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা ছয় (০৬) মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (০৩ আগষ্ট) দুপুরে বিচারপতি মজিবুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেন।

আদালত আদেশে বলেছেন, গোমতী নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় যেকোনো ধরনের দখলদারিত্ব কঠোরভাবে দমন করতে হবে। আদালত আরও বলেন, এই নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং জনস্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।

এই রিটের আবেদনকারী ছিলেন নদী রক্ষা ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। রিটকারীর পক্ষে শুনানী করেন, সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোর্শেদ।

তিনি বলেন, "গোমতী নদী এখন দখলদারদের দখলে চলে গেছে। নদী চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ সত্ত্বেও সেখানে গড়ে ওঠেছে অবৈধ দোকানপাট, স্থাপনা ও বাড়িঘর।

তিনি আরও বলেন, "আদালতের এই রায় শুধু গোমতী নয়, দেশের সব নদী রক্ষায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা আশা করছি প্রশাসন এখন আর দখলদারদের সঙ্গে আপস না করে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে।"

আদালতের নির্দেশে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, অন্যান্য সরকারি দপ্তরগুলোকে এই ছয় মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, আমি এখনো নির্দেশনা হাতে পাইনি। তবে আমরা নিয়মিত ভাবে ই গোমতীর দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়ে থাকি।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার বলেন, আমি রিটকারী আইনজীবীর সাথে কথা বলেছি এবং মহামান্য আদালতকে জানিয়েছি নদীর দুই তীরে সাড়ে পাঁচশোর বেশি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এগুলো উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যয় বাজেট পাঠানো হয়েছে। আমরা অর্থ বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করব।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সদর উপজেলার গোমতী নদীর দুই তীরের বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি।


banner close