মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
১১ ভাদ্র ১৪৩২

৩২৫ কাউন্সিলর প্রার্থীর ১৩২ জনই মাধ্যমিক পাস করেননি

আপডেটেড
২২ মে, ২০২৩ ২৩:৫৪
প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২৩ ২৩:৫০

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া মোট ৩৩৩ জন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। তাতে দেখা গেছে, ৩২৫ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৩২ জনই মাধ্যমিক পাস করেননি।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে সুজন। এতে দেখা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বী আট মেয়র প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনই স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। ২৪৬ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৯২ জন মাধ্যমিক পাস করেননি। স্নাতকোত্তর রয়েছেন মাত্র ২১ জন। আর সংরক্ষিত ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী নারী কাউন্সিলরের মধ্যে ৪০ জনই মাধ্যমিক পাস করেননি। স্নাতকোত্তর রয়েছেন আটজন। মোট প্রার্থীর ২৯ দশমিক ৭৩ শতাংশই বিভিন্ন মামলার আসামি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আটজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে দুজনের (২৫%) বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে। এই দুজন হলেন জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম।

২৪৬ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৮৪ জনের (৩৪.১৫%) বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা রয়েছে, ৪২ জনের (১৭.০৭%) বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল।

সংরক্ষিত আসনের ৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের (১৬.৪৬%) বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি মামলা আছে এবং তিনজনের (৩.৮০%) বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি মামলা ছিল।

মেয়র এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগের পেশা ব্যবসা। মেয়র পদে তিনজন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯২ জন পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৭৯ জনের মধ্যে ৩৯ জন গৃহিণী।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে একটা বড় রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলেও গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কিছুটা ঝাঁকুনি খাবে।

তিনি আরও বলেন, একজন প্রার্থীর কী যোগ্যতা তার পুরোপুরি তথ্য একজন ভোটারের জানা উচিত। এ ক্ষেত্রে একজন ভোটার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ততা নির্ণয় করতে পারেন। নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচিত ব্যক্তিকে অবশ্যই তার জবাবদিহি, যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং জন-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়। সেসব বিষয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও ভোটারকে প্রার্থীর তথ্য জানতে হবে।

সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের যে প্রত্যাশা আমাদের ছিল, তা পূরণ না হলেও যেসব দল এবং প্রার্থীরা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা সবাই যেন নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের কাছে সমান সুযোগ পান।


অবহেলার প্রতীক 'দেবীপুর বাইপাস সড়ক' ভোগান্তিতে পৌরবাসী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান, জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাট পৌরসভার দেবীপুর বাইপাস সড়ক এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে থাকছে। এতে প্রতিদিন স্থানীয় লোকজন ও যানবাহনের চালকেরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই সড়কের সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরো বাইপাস সড়ক নষ্ট হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে যায়। অথচ তারা নিয়মিত পৌর কর দিচ্ছেন। কিন্তু কোনো উন্নয়ন পাচ্ছেন না। তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছেন, ওই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হবে। আপাতত বড়-বড় গর্তগুলো ভরাটের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সরজমিনে দেখা যায়, দেবীপুর বাইপাস সড়কটি পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। অনেক আগেই সড়কের পিচ-খোয়া উঠে মাটি বের হয়েছে। পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দে ভরা। সড়কের বড়-বড় গর্তে পানি জমে আছে। লোকজন ও যানবাহন জমে থাকা পানি ভেঙে চলাচল করছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জয়পুরহাট শহরের জামালগঞ্জ সড়ক থেকে পশ্চিম দিকে দেবীপুর রেলগেট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার বাইপাস সড়ক রয়েছে। পৌরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন সড়কটি অনেকে আগেই নষ্ট হয়েছে। সপ্তাহে শনিবার নতুনহাটে গো-হাটী বসে ওই শত-শত ট্রাক ও অনান্য যানবাহন বাইপাস সড়কে চলাচল করে। সড়কে বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকায় যানবাহন অচল হয়ে পড়ে। এতে আরও দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।

দেবীপুর বাইপাস সড়কের বাসিন্দা জয়পুরহাট শহরের মসজিদ মার্কেটের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী মাহবুব আলম আলাল বলেন, বছরের পর বছর ধরে দেবীপুর বাইপাস সড়ক সংস্কার করা হয়নি। আমরা সড়কটি সংস্কারের জন্য একাধিক বার পৌরসভায় গিয়ে ধর্ণা দিয়েছি। শুধু আশ্বাস পেয়েছি। কোন কাজ হয়নি। এখন সড়কের যে অবস্থা পায়ে হেঁটে যাওয়া দুস্কর।

একই এলাকার বাসিন্দা রিফাত হোসেন বলেন, পৌরসভার দায়িত্বশীলরা শুধু আশ্বাস দেন, কিন্তু সংস্কারের কাজ শুরু করেন না। সড়কটি যেন অবহেলার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্রাকচালক মইনুল ইসলাম বলেন, দেবীপুর বাইপাস সড়ক এত খারাপ সেটি আগে জানতাম না। এই সড়কে নতুনহাটে এসে আমার ট্রাক বিকল হয়েছে।

ইজিবাইক চালক আব্দুল রহিম বলেন, সড়কের বেহাল দশার কারণে এখন দেবীপুর বাইপাস এলাকার কোন যাত্রীকে ইজিবাইকে তুলি না। কিছুদিন আগে গর্তে পড়ে আমার ইজিবাইক যাত্রীসহ উল্টে গিয়েছিল।

জয়পুরহাট পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সবুর আলী বলেন, দেবীপুর বাইপাস সড়কটি টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত সড়কের কাজ শুরু হবে। আপাতত সড়কের বড়-বড় গর্তগুলো ভরাটের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


নড়াইলে সেরা চার গ্রাম পুলিশকে সম্মাননা প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

দিন নেই, রাত নেই নড়াইলের গ্রাম প্রতিরক্ষার কাজে নিয়োজিত (গ্রাম পুলিশ) এমন

চারজন (ভিডিপির) গুণী মানুষকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সম্মাননা স্বরুপ তাদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন, ড্রিল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, মাহির মোল্যা, অলরাউন্ডার হিসেবে তানভীর শিকদার, অ্যাকসিলেন্স হিসেবে ইয়ামিন হাসান ও মাহামুদুল হাসান।

সোমবার (২৫ আগষ্ট) রাত ৭টার দিকে জেলা আনসার ও ভিডিপি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান ছিল গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর অগ্রীম প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান। কর্মশালায় গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের কর্মতৎপরতা আরো গতিশীল এবং সময়োপযোগি করতে কি কি করণীয় তার ওপর দিক নির্ধেশনা দেওয়া হয়। ২৮ দিন ব্যাপী এই কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাছাইকৃত ৫০ জন পুরুষ সদস্যকে সুযোগ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মদক্ষতায় সেরা এমন ৪ জন সদস্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর জেলা কমাড্যান্ট মো. নুরুল আবছার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট মমতাজ খানম, সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ঈদুল তালুকদার, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র পাল, উপচেজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক শুভ মালাকারসহ অন্যরা।


ঠাকুরগাঁওয়ে বীজ কিনে প্রতারিত হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোহেল রানা, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে ভুট্টা বীজ কিনে প্রতারণার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

ভূক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্থ চাষী ও বীজ বিক্রেতা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, মেসার্স ইয়াকুব ট্রেডার্স নামের ওই প্রতিষ্ঠান তাদের ভুল মৌসুমে ভুল জাতের বীজ দিয়ে প্রতারণা করেছে। এর দায়ভার কোম্পানিকে নিতে হবে।

তারা অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি অসাধু বীজ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। ক্ষতিপূরণ না পেলে আরো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মানববন্ধন শেষে কৃষকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে তারা জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মানববন্ধনে মাদারগঞ্জ, দোগাছী, লাহিরী, গিলাবাড়ি, চিলারং, রোড পল্লী বিদ্যুৎ, সেন্টার হাটসহ ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কৃষকরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।


অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ দুর্ধর্ষ করিম শরীফ বাহিনীর এক সহযোগী আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
‎বাচ্চু মল্লিক, বাগেরহাট প্রতিনিধি

‎অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর এক সহযোগীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন ।

‎মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

‎সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে সুন্দরবনের শেলা নদী সংলগ্ন তাম্বুলবুনিয়া খাল এলাকায় রওনা করবে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মংগলবার সকাল ৬ টার দিকে কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ওই এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে, এ সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ড এর আভিযানিক দলটি ধাওয়া করে ১ টি একনলা বন্দুক, ০২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ০৬ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর ১ সহযোগীকে আটক করে।

‎আটককৃত ডাকাত আলমগীর হোসেন সাগর বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সে দীর্ঘদিন যাবৎ করিম শরীফ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিলো।

‎আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত আলামতের পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

‎সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।


যুবদলনেতা শামীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক স্ত্রী ও শ্যালক ইমন গ্রেফতার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার তালার যুবদল নেতা এসএম শামীম আহম্মেদ হত্যার পরিকল্পনাকারী ও মূল আসামি তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি (৩০) ও শ্যালক ইমন হোসেন বাদল (১৮) কে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ ও র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার বিকেলে খুলনা জেলার ডুমুরিয়ার আঠারোমাইল এলাকায় শামীমের নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় বৃষ্টির স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতিও উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা পুলিশের এএসপি সার্কেল আবির শুভ্রসহ পুলিশ ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে নিজ বাড়ির তিন তলায় নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাতক্ষীরা তালার উথালী গ্রামের আব্দুল গফফারের ছেলে ও ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এসএম শামীম আহম্মেদ। এ'হত্যাকান্ডের প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহভাজন দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরদিন হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা না'পাওয়ায় পুলিশ তাদের নিজ পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।

নিহত যুবদল নেতা শামীমের মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রশিদা বেগম, গত রোববার কারো নাম উল্লেখ না করে ডুমুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ-হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটনে পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক টিম তদন্তে নামে।

ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মাসুদ রানা জানান, ‘শামীম হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী ও শ্যালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

খুলনা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবির শুভ্র জানান, পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রী বৃষ্টি আগে থেকেই স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি একটি চাপাতি সংগ্রহ করে রাখেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঘটনার রাতে বৃষ্টির ভাই বাদল চাপাতি দিয়ে শামীমকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের সময় বৃষ্টি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরে হত্যায় ব্যাবহৃত অস্ত্র পাশের একটি গর্তে ফেলে দেওয়া হয়। এএসপি আরও বলেন, বৃষ্টির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এ'ঘটনায় অধিকতর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।


নোয়াখালীতে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের এক চালককে হত্যা করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সুবর্ণচরের চরজব্বার ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশ থেকে ওই চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত অটোরিকশা চালকের নাম মো.রফিকুল ইসলাম (৫৫)। তিনি সিরাজপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ফজল হক মিয়ার বাড়ির আক্কেল আলীর ছেলে।

নিহতের পারিবার ও স্থানীয়রা জানান ,গত ২-৩ মাস আগে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেন রফিকুল ইসলাম। সোমবার বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে যান তিনি। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে বন্ধ পায়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশে স্থানীয় লোকজন তার মরদেহ পড়ে থাকতে দাখে। তার গলায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ চরজব্বার ইউনিয়ন ৫নম্বর ওয়ার্ডে ফেলে অটোরিকশা ও মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে এলাকাবাসী মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, প্রাথমিক ভাবে এটিকে হত্যাকান্ড মনে হচ্ছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায় নি। মরদেহের গলায় গোলাকার দড়ি পেঁছানো কালো একটি দাগ আছে, বাম হাতের আঙুল থেতলানো, পিঠের পিছনে ফোলা জখম। মুখের মধ্যে কি দিয়ে, নাক-মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। অন্য কোন পদার্থ কিনা দেখা হচ্ছে।

ওসি আরও বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


চুয়াডাঙ্গায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়ায় এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত তৈয়ব আলী (৪০) ও মিরাজ হোসেন (২০) একই এলাকার বাসিন্দা। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মিরাজের বাবা তৈয়ব আলীর সঙ্গে তার আপন ভাতিজা একই এলাকার বাবু ও ভাগ্নে রাজুর সাথে প্রায় দেড় কাঠা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ মেটাতে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি। একই বিরোধের জেরে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আলোকদিয়া তুফান মিয়ার গোডাউনের অদূরে পাট শুকানোর সময় মিরাজ ও তার বাবার উপর হামলা চালায় বাবু ও রাজু। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মিরাজ। গুরুতর আহত হন তার বাবা তৈয়ব আলী। আহত তৈয়বকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের জানান, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবু ও রাজুকে আটক করা হয়েছে।


২০টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পিরোজপুর জেলা পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এস এম আবু জাফর, পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরে হারানো মোবাইল ও হ্যাক হওয়া ফেসবুক আইডি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন পিরোজপুর জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় জানান পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের।

পুলিশ সুপার জানান, পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে হারিয়ে যাওয়া ২০ টি মোবাইল ফোন ও ৫ টি হ্যাক হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে পিরোজপুর সদর থানায় ৩টি, ইন্দুরকানি থানায় ৫টি, মঠবাড়িয়া থানায় ৩টি, নাজিরপুর থানায় ৬টি এবং ভান্ডারিয়া থানায় ৩টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে হ্যাক হওয়া পাঁচটি ফেসবুক আইডি উদ্ধার করা হয়।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের আরও জানান, অতি অল্প সময়ের মধ্যে পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সাধারণ ডায়েরি অনুযায়ী ২০টি মোবাইল ফোন ও ৫টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের জেলা পুলিশের এরকম উদ্ধারজনিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


নালিতাবাড়ি উপজেলা হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. মেরাজ উদ্দিন, শেরপুর প্রতিনিধি

নালিতাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (২৬ আস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই মানববন্ধনে অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক রুহুল আমিন সিদ্দিকী রুমান, মানব কল্যাণ সংস্থা ইনসাফ এর চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী, উপদেষ্টা মানিক মিয়া, সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলাম উজ্জ্বল, নালিতাবাড়ী ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের সদস্য আবদুল্লাহ আল আমিন ও ভুক্তভোগী লোকজন ও রোগীরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় বক্তারা বলেন উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান খুবই নিম্নমুখী। হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ করছে একটি সিন্ডিকেট। এছাড়া হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও অপকর্ম বন্ধ হচ্ছে না। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। এসব বন্ধের জন্য জোর দাবী জানান বক্তারা। এসময় আয়োজকরা হাসপাতালের সঠিক সেবার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯টি দাবি তুলে ধরেন। এসব দাবী পুরন না হলে কঠোর কর্মসূচী দেয়ার হুশিয়ারিও দেন বক্তারা।


চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৮টি স্বর্ণের বারসহ দুই চোরাকারবারি আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

ভারতে চোরাচালানের সময় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় আটক করা হয়েছে দুই চোরাকারবারিকে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১৮২ টাকা টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী। আটককৃতরা হলেন- দর্শনার নাস্তিপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আব্দুল মমিন (৪৯) ও একই গ্রামের মৃত খোদা বক্সের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৭)।

বিজিবি জানায়, সকালে ভারতে চোরাচালানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকায় অবস্থান নেয় বিজিবি। এসময় একটি মোটরসাইকেলেযোগে দুই ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে তাদের থামার সংকেত দেওয়া হয়। এসময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। পরে আটক আব্দুল মমিন নামে এক ব্যক্তির কোমরে অভিনব কায়দায় লুকানো ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী জানান, ৮টি স্বর্ণের বারের ওজন ১ কেজি ১৬২ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১৮২ টাকা। আটক আসামিদের দর্শনা থানায় হস্তান্তর করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে।


কুষ্টিয়ায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় পৃথক তিনটি অভিযানে মালিকবিহীন অবস্থায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় ৪ হাজার কেজি কারেন্ট জাল, ভারতীয় ৯০ বোতল মদ ও ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আটককৃত সকল মাদক ও জালের মূল্য ১ কোটি ৬১ লাখ ৪২ হাজার টাকা।

বিজিবি সূত্র জানায়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা হাইওয়েতে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সিরাজগঞ্জ থেকে বেনাপোলগামী রয়েল এক্সপ্রেস বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৪ হাজার কেজি অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জালের মূল্য ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। পরে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কারেন্ট জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

পরদিন ২৬ আগস্ট সকালে দুটি পৃথক মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি। প্রথম অভিযানটি সকাল ৬টার দিকে দৌলতপুর সীমান্তের চল্লিশপাড়া মাঠ এলাকায় চালিয়ে ভারতীয় ৯০ বোতল মদ জব্দ করা হয়, যার মূল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

দ্বিতীয় অভিযানে সকাল ১০টার দিকে গাংনী উপজেলার রংমহল সীমান্তের খাসমহল মাঠ থেকে ২ কেজি ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৭ হাজার টাকা।

বিজিবি জানায়, এসকল মাদক ও মালামালের মোট মূল্য ১ কোটি ৬১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। উদ্ধারকৃত কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে এবং মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন স্টোরে জমা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ৪৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ জানান, সীমান্তে মাদক পাচার, অবৈধ কারেন্ট জাল সরবরাহ ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


শিম চাষ করে স্বাবলম্বী কেশবপুরের কৃষকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ভরতভায়না থেকে সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছি বাজার পর্যন্ত সড়কের পাশের বেশিরভাগ জায়গা শিম গাছের বেগুনি ও সাদা ফুলের সমারোহ মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে গাছের নিচে দেখা ছোট-বড় জলাশয় আর তার পাড় ঘেঁষে এখন শুধু ঝুলছে শিম গাছের লতা। কোনো কোনো জলাশয়ের পাড়ে দেখা মিলবে লাউ কিংবা কুমড়া গাছের।
উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ভরতভায়না, সন্যাসগাছা, ভেরচি ও বুড়লি গ্রামেরে বেশিরভাগ মানুষ জলাশয়ে (ছোট-বড় পুকুর) মাছ চাষের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে আবাদ করেছেন নানা সবজি। রবি মৌসুমে এই অঞ্চলের জলাশয়ের পাশ ঘেঁষে শোভা পাচ্ছে শিমগাছ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তিন মৌসুমের মধ্যে এই উপজেলায় খরিপ এ ৭৫০ হেক্টর, খরিপ-২৩ ৮৪১ হেক্টর এবং রবি মৌসুমে কমবেশি ৯৮০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। এর মধ্যে খরিপ-১এ গৌরীঘোনা ইউনিয়নে সমতল ও ঘের মিলিয়ে ১৩৫ হেক্টর, খরিপ-২এ ১৬৩ হেক্টর এবং রবি মৌসুমে ১৭০-১৮০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করেন তারা।
সন্যাসগাছা গ্রামের কৃষক আফসার সরদার বলেন, জলাশয়ের পাশে ৩০০ মান্দা (কয়েকটি গাছের সমষ্টি) শিমগাছ লাগিয়েছেন। এখন শিমের একটাই শত্রু, সেটি হলো কালোমাকড়। গাছের পাতার নিচে এই মাকড় লেগে পুরো পাতার রস খেয়ে ফেলে। এতে পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই ওষুধ ছিটানো লাগছে।’
কৃষি বিভাগের লোকজন পরামর্শ দিতে আসেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আসেন। দুই-একটা ওষুধের নাম বলে যান। কিন্তু তা দিলেও কাজ হয় না।’
পাশের গ্রাম ভরতভায়নার বাসিন্দা লাভলু হোসেন বলেন, ‘ঘেরের পাশে আমায় দেড়শ মান্দা আর ১০ কাঠা জমিতে রয়েছে শিমগাছ। সবমিলিয়ে চার শতাধিক মান্দা। তবে গাছে কালোমাকড় খুব সমস্যা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটু আগে ডিলারের কাছ থেকে পাইন ও আশামিল ৭২ নামে দুটি ওষুধ এনেছি। এগুলো গাছে স্প্রে করলে হয়ত ঠিক হয়ে যাবে।
সন্যাসগাছা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস বলেই, ‘আমার পাঁচশ’ মান্দা গাছ রয়েছে। ঘের রয়েছে ৪৬ শতক জমিতে। ঘেরে চিংড়ি ও সাদা মাছ যেমন, রুই-কাতলা চাষ করছি। ঘেরের পাড়ে কিছু লাউগাছ আছে। গত মাস থেকে প্রতি দিন লাউ বিক্রি করছি। ১০-১৫টি লাউ প্রতিদিন তুলি। প্রতিটি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন মাস পরপর মাছ বিক্রি করি। গত সপ্তাহে ১৫ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি। আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ ঘেরের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে সবজি চাষ করেন। এতে সবাই স্বাবলম্বী হয়েছেন।
গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আফজাল হোসেন বলেন, ‘গৌরীঘোনা, সুফলাকাটি, মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মানুষ ঘেরের পাশে সবজি চাষ করেন। এই অঞ্চলে যেমন মাছের উৎপাদন ভালো তেমনি সবজিরও। বর্তমানে শিম চাষ হচ্ছে বেশি। এছাড়া লাউ, পালংশাক, কুমড়া ও টমেটোর আবাদ হয়। সবজি ও মাছ চাষ করে এসব গ্রামের প্রায় সবাই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।


‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়’’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৪ আগস্ট (সোমবার) ২০২৫ তারিখে জনাবা মনিজা খাতুন, সিনিয়র সহকারী সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-মেঘনাঘাট আওতাধীন বালুয়াকান্দি (নাইটমুন হোটেল), মধ্য ভাটেরচর (খুলনা মিষ্টি ভান্ডার ও হোটেল), আনারপুরা (ফুড ভিলেজ হাইওয়ে রেস্তোরা),গজারিয়া,মুন্সিগঞ্জ এলাকার ৩টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ৩টি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, ১টি মিষ্টি কারখানা ও একজন আবাসিক গ্রাহকের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৩/৪" ব্যাসের ৫০ ফুট (প্রায়) লাইন পাইপ, স্টার বার্ণার ২৮টি, ডাবল বার্ণার ২টি, সিঙ্গেল বার্ণার ১টি, গ্যাস জেনারেটর ২.৫ কি.ও.- ১টি অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একই দিনে, জনাব সিমন সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ -০৬ আওতাধীন এলাকায় পেট্রোবাংলার ভিজিলেন্স টিম, কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স টিম ও মেঢাবিবি-৬ এর টিমের সমন্বয়ে আলুব্দী ও ইস্টাং হাউজিং এ অভিযুক্ত ১৯ টা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ অভিযানকালে সর্বমোট ১৪ টা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। তন্মধ্যে চারটা প্রতিষ্ঠানের সোর্স লাইন কিলিং করা হয়েছে, একটিতে সোর্স লাইন খুঁজে পাওয়া যায়নি, চারটা প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ বিহীন, তিনটি তালাবদ্ধ, দুইটি এলপিজি দ্বারা চলতে পরিলক্ষিত হয়। অভিযানে, সুপার জিন্স ওয়াশিং, জি কেয়ার বিডি ওয়াশিং, ডেনিম এক্সপ্রেস এন্ড ক্লোদিং ওয়াশিং, এস, এস, ইন্টারন্যাশনাল (ওয়াশিং কারখানা), প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনাল ও ডাইনামিক ওয়াশিং প্লান্ট লিমিটেড -এর সংযোগ পুনরায় বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে, ১ ইঞ্চি ১২০ ফিট এমএস পাইপ, ৩/৪ ইঞ্চি ২২৫ ফিট জিআই পাইপ , ১/২" জিআই পাইপ ৫০ ফুট, ৩/৪" ৮০ ফুট হোজ পাইপ, ৩/৮" পিভিসি হোস পাইপ ১০০ ফুট ও ৩ টি রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, ঠিকানা: প্লট: এফ-৮, বর্ধিত পল্লবী, রোড ০১ একটি রাইজার আংশিক হাউজ লাইনসহ পাওয়া গেছে কিন্তু গ্যাস ব্যবহার পাওয়া যায়নি। গ্রাহক প্রতিনিধি কোন বিল বই প্রদর্শন করতে পারেননি। গ্রাহক অবৈধ বিবেচনায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহার রোধকল্পে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং লক উইং কক বন্ধ করে TGTDCL-1388101 সিল স্থাপন করা হয়েছে ও ঠিকানা: প্লট: এফ-৯, বর্ধিত পল্লবী, রোড একটি বিচ্ছিন্নকৃত রাইজার পাওয়া গেছে এবং লক উইং কক খোলা অবস্থায় গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। গ্রাহক প্রতিনিধি কোন বিল বই প্রদর্শন করতে পারেননি। অবৈধ গ্যাস ব্যবহার রোধকল্পে লক উইং কক বন্ধ করে TGTDCL-1388109 সিল স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর রাজস্ব উপশাখা-সাভার ও জোবিঅ-সাভারের বিশেষ অভিযানে এইচ.আর টেক্সটাইল লি. (৩৩৮/৮৩৮০০০০৭৪), কর্নপাড়া, সাভার, ঢাকা এর বকেয়ার কারণে আউটলেটে সিল স্থাপনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। ভরসা ফুড ইন্ডা. (৩৩৮০০০২৩৪), কর্নপাড়া, সাভার এর বকেয়ার কারণে আউটলেটে সিল স্থাপনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। স্টার লাইট নিট লি. (৩৩৮০০০৯৮৭) আমতলা, কাটগড়া, আশুলিয়া এর বকেয়ার জন্য আর.এম.এস অপসারণকরত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শ্যানটেক্স প্রাইভেট লি: (৩৩৮/৮৩৮০০০৭৬৩), টঙ্গাবাড়ি, আশুলিয়া এর উভয় রানের জুন-২০২৫ মাসের বিল ২,১৪,৬৭,৯৬১/- টাকা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়েছে।


banner close