সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ছয় জেলায় বজ্রপাতে নিহত ১০

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড
২৩ মে, ২০২৩ ২১:৩৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০২৩ ২০:২২

দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী তাণ্ডব চালিয়েছে। মঙ্গলবার বিভিন্ন জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতও হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ছয় জেলায় ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে নরসিংদীতে তিনজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পাবনায় দুজন করে এবং সুনামগঞ্জ, নওগাঁ ও কিশোরগঞ্জে একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন। দৈনিক বাংলার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর তুলে ধরা হলো।

নরসিংদী
নরসিংদী জেলার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন পৃথক সময়ে জেলার রায়পুরা ও মনোহরদী উপজেলায় এ প্রাণহানি ঘটে।
নিহতরা হলেন- মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামের মৃত বাদল মিয়ার ছেলে প্রবাসফেরত রায়হান মিয়া (৩০), রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের মোমরাজ মিয়ার স্ত্রী সামসুন নাহার (৪৫) ও নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়া (১২)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বজ্রপাতে মোজাম্মেল হক (৩২) নামে একজন ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সকাল ১১টার দিকে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের এ ঘটনা ঘটে। নিহতের বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে। এ সময় কাইয়ুম মিয়া (৩০) নামের আরেক শ্রমিক আহত হন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম জানান, মোজাম্মেল ও কাইয়ুম হাওর এলাকায় কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে মোজাম্মেলের মৃত্যু হয় এবং কাইয়ুম আহত হন।

অপরদিকে একই সময়ে বজ্রপাতের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে অলি মিয়া নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের নমিজ উদ্দিনের ছেলে।

বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী বলেন, বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে এক শ্রমিক মারা গেছেন বলে আমি শুনেছি। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

পাবনা
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ১৩ জন। বিকেলে ও সন্ধ্যায় ভাঙ্গুড়া উপজেলার বেতুয়ান, ছোট বিষাকোল ও পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার আল্লাহবাদ গ্রামে এ হতাতের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন জেলার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা গ্রামের বাসিন্দা শাকিল হোসেন (১৯) ও রমিজ উদ্দিন (৩০)। আহতদের ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিকরা জানান, দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামের বাওনজান এলাকায় বোরো ধান কাটছিলেন শ্রমিকরা। বিকেলে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এতে শ্রমিকরা পাশের একটি উন্মুক্ত জায়গায় ঘরে আশ্রয় নেন।

কিছুক্ষণ পরে বজ্রপাত হলে ওই ঘরে অবস্থান করা শ্রমিকদের মধ্যে পাঁচ শ্রমিক মারাত্মক আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক দুই শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন।

কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বজ্রপাতে কাজী জিল্লুর রহমান (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া খলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর কাজীবাড়ির মৃত কাজী গোলাপ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, জিল্লুর রহমান মাক্কু মোল্লা নামের একটি ফুড কারখানায় কাজ করতেন। কারখানার কাজে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ওই এলাকায় যান। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে তিনি পায়ে হেঁটে ফেরার সময় বজ্রপাতের শিকার হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসাইন। ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে ট্রলারে ধান পরিবহনের সময় বজ্রপাতে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। নিহত ওমর মিয়া (১৬) ধর্মপাশা উপজেলার বাদে হরিপুর গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে। ওমর মিয়া ধর্মপাশার জয়শ্রী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। এ সময় তার সঙ্গে থাকা বাদে হরিপুর গ্রামের শাহীন, কালাচান ও আবুল কাশেম আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে ধর্মপাশা উপজেলার ৪নং জয়শ্রী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের সীমেরখাল (বরাইয়া) নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নওগাঁ
নওগাঁর রানীনগরে বজ্রপাতে জামিল প্রামাণিক (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এদিন বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জামিল উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকার মৃত আজাদ প্রামাণিকের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিকেলের দিকে জামিলসহ কয়েকজন একটি ভুট্টাখেত থেকে ভুট্টা তোলার কাজ করছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে তিনি আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামিলকে মৃত ঘোষণা করেন।


'সঞ্জীবন প্রকল্প' আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধির মাইলফলক : আনসার মহাপরিচালক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ পটুয়াখালী জেলার চান্দুপাড়া সঞ্জীবন প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি, উৎপাদনমুখী সামাজিক বিনিয়োগভিত্তিক এই উদ্যোগের মাধ্যমে সদস্যদের আত্মনির্ভরশীলতা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং পেশাগত সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি প্রকল্পভুক্ত দুই প্লাটুনের মোট ৬৪ জন উদ্যোক্তার সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের নির্দেশনা প্রদান করেন।

৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সকাল ৯টায় প্রকল্পস্থলে উপস্থিত হয়ে মহাপরিচালক প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ‘সামাজিক সুরক্ষা দল–১’ (কলাপাড়া, পটুয়াখালী) এবং ‘সামাজিক সুরক্ষা দল–২’ (বেতাগী, বরগুনা)–এর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তাদের পরিকল্পনা, সম্ভাবনা ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

এসময় তিনি বলেন, “সামাজিক বিনিয়োগ মডেলভিত্তিক সঞ্জীবন প্রকল্প সদস্যদের উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে মৌলিক চাহিদা পূরণ ও দীর্ঘমেয়াদে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “সঞ্জীবন, আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এবং আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত এই প্রকল্পটি কৃষি ও অকৃষি—উভয় খাতে প্লাটুনভিত্তিক ক্ষুদ্র উদ্যোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত সদস্যদের জীবিকা উন্নয়ন এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।”

বাহিনীর সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ অর্জনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন যে আধুনিক প্রশিক্ষণ, দেশপ্রেম, সততা ও নৈতিক আদর্শ সমন্বয়ে প্রতিটি সদস্যকে নিজেকে আরও দক্ষ ও দায়িত্বশীল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রতীয়মান করতে আনসারের সকল স্তরের সদস্যকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও জাতীয়তাবোধ প্রদর্শন করতে হবে।”

পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক সঞ্জীবন প্রকল্পের জমির কাগজপত্র ও দলিলাদি পর্যালোচনা করেন এবং সম্ভাব্য জটিলতা দ্রুত সমাধানের নির্দেশনা দেন। প্রকল্পের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা এবং নির্বাচনের পূর্বে সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এই সফরকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে এবং উপস্থিত সদস্যদের মাঝে বিশেষ উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর বরিশাল রেঞ্জের রেঞ্জ কমান্ডার মোঃ আব্দুস সামাদসহ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সদস্যবৃন্দ।


সুন্দরবনের কয়রায় পৃথক ২ অভিযান কোস্ট গার্ডের, অস্ত্র-গোলাবারুদসহ জিম্মি জেলে উদ্ধার

আপডেটেড ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত ডাকাত দুলাভাই বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের কয়রা নদীর নাগজোড়া খাল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, এক গোপন সংবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৭ ডিসেম্বর (রবিবার) রাত ৮ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন কয়রা কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে ১ টি একনলা বন্দুক, ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ ডাকাত দুলাভাই বাহিনীর কাছে জিম্মি থাকা ৪ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধায় কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত জেলেদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অপরদিকে, আরও এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৮ ডিসেম্বর (সোমবার) মধ্যরাত ২টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন কয়রা কর্তৃক কয়রা নদীর ময়দাপেশা খাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

সিয়াম-উল-হক জানান, অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় তল্লাশি করে ৭২ কেজি হরিণের মাংস, ২টি মাথা, ৩০০ মিটার হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ৪ হরিণ শিকারিকে আটক করা হয়।

জব্দকৃত হরিণের মাংস, মাথা, শিকারের ফাঁদ এবং আটককৃত ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত রাখতে এবং বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।


জলঢাকায় ‘বুড়ি তিস্তা’ খননের দাবিতে স্থানীয় কৃষকদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর জলঢাকায় বুড়ি তিস্তা নদী খনন করে সেচ সুবিধা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জলঢাকা–ডিমলা সড়কের কালিগঞ্জ বাজার এলাকায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে তারা সড়ক অবরোধে অংশ নেন। এতে প্রায় তিন ঘন্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে বক্তব্য দেন কৃষক শফিক হোসেন, জামাল, আরশাদ ইসলাম, দুলাল হোসেন, জয়নাল আলী, ফরিদ খান, সাব্বির হোসেন সহ আরও অনেকে।

কৃষকেরা জানান, প্রায় ২২ বছর ধরে তারা সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বুড়ি তিস্তা নদী খনন না হওয়ায় সেচ ক্যানেলগুলোতে পানি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে কালিগঞ্জ মৌজা, গোলনা, বালাপাড়া, মীরগঞ্জ, খেরকাটি, ডিমলা সদর ইউনিয়ন, নাউতারা ও পচারহাট মৌজাসহ ৭টি ইউনিয়নে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে।

বক্তারা দাবি করেন, নদী খনন না হওয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার করে সেচ দিতে হচ্ছে, এতে উৎপাদন খরচও বাড়ছে। সেচ ক্যানেলের মাধ্যমে বিঘা প্রতি ২শত টাকায় সেচ দেওয়া যায়। কিন্তু ক্যানেলে পানি না থাকায় তাদের দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হচ্ছে সেচের পিছনে। দ্রুত বুড়ি তিস্তা খননের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এ বিষয়ে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, বুড়ি তিস্তার জলাধার খনন প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ আদায়ের জন্য এই কাজে বাধা প্রদান করছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতিবছর অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হবে ২৬ লাখ মেট্রিক টন, সাড়ে ১৫ কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয় হবে । আর এতে পরিবেশেরও ভারসাম্য রক্ষা হবে। কাজটি কিভাবে শুরু করা যায়, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।


যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো ‘ভালুকা মুক্ত’ দিবস

আপডেটেড ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৩
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়েছে ‘ভালুকা মুক্ত’ দিবস। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

এদিন সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে ভালুকা-গফরগাঁও সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফিরোজ হোসেন, পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসাইন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন মাসুদ, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান খান রাসেলসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


কালিয়াকৈরে ফেলনা শিশুকে কুড়িয়ে নিলেন মানবিক পরিবার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রাঁতের আধাঁরে এক নিষ্ঠুর পরিবারের ফেলে দেওয়া ছোট শিশুটি এখনও জীবিত। মানবিকতা আজ কোথায়? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। অথচ সেই ছোট শিশুকে কুড়িয়ে লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন আরও এক মানবিক পরিবার।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বোর্ডঘর দাড়িয়াপুর এলাকায় এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বোর্ডঘর দাড়িয়াপুর এলাকায় গত রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাঁতের কোনো এক সময় ছোট ফুটফুটে শিশু বাচ্চাকে ফেলে যান কোনো এক নিষ্ঠুর পরিবার। পরের দিন সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ভোরে ওই এলাকার বোর্ডঘর-উত্তর দাড়িয়াপুর সড়কের একটি ব্রীজের পাশে ফুটফুটে ওই শিশু বাচ্চা পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানায়, রাঁত পেরিয়ে সকাল হলেও কনকনে শীতেও এখনো শিশুটি জীবিত। তার নাক, মুখ, চোখ, মাথাসহ পুরো শরীর বালু মাটিময় ছিল। তার পায়েও কোনো হাসপাতালের নাম্বার ছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কাহারা রাঁতের আধাঁরে ওই ফুটফুটে শিশুটি সেখানে ফেলে রেখে গেছে।

ওই শিশুটি ছেলে বাচ্চা, তার বয়স আনুমানিক এক থেকে দুদিন হবে। মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে উঠে। আর ওই ফুটফুটে শিশুর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন সেখানে ভীড় করেন।

এতো মানুষের ভীড়ে ফেলনা ওই ফুটফুটে শিশুকে তুলে নিলেন ওই এলাকার সালাম হোসেন ও তার পরিবার। তাৎক্ষণিক তার প্রাথমিক চিকিৎসা, খাবার-দাবার ও পোষাকের ব্যবস্থা করলেন ওই মানবিক পরিবারটি। পরে তারা বিষয়টি কালিয়াকৈর থানা, স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ সবাইকে অবগত করেন।

এসময় মানুষ কতটা নিষ্ঠুর হলে ফুটফুটে শিশুকে ফেলে দেওয়ার মতো এমন জঘন্যতম কাজ করতে পারেন। এ নিয়ে প্রশাসনসহ নানা মহলে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠে। কিন্তু ওই শিশুকে লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নেন তাকে উদ্ধারকারী স্থানীয় সালাম ও তার পরিবার। তাদের এমন মানবিক সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন প্রশাসন, ইউপি সদস্যরাসহ বিভিন্ন মহলের মানুষ।

কিন্তু তাদের পরিবারে আগে থেকেই ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ুয়া সামিরা সুলতানা ও ১ম শ্রেনীতে পড়ুয়া সাবিলা নুর নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তারপরও নতুন অতিথি ছেলে শিশুকে পেয়ে খুশি ওই পরিবারের সবাই।

এ ঘটনার পর মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে প্রসংশায় ভাসছেন ওই মানবিক পরিবার।

ওই শিশুর নতুন পালিত বাবা সালাম হোসেন বলেন, সকালে হাটতে বের হলে ওই ব্রীজের পাশে লোকজন দেখে এগিয়ে যাই। এসময় সেখানে ওই ফুটফুটে শিশুকে দেখে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জানালে তারা থানাও অবগত করেন। পরে তাকে তুলে নিয়ে তার চিকিৎসাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু তার পরিবারের খোঁজ না পেয়ে তাকে আমরাই লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসনসহ সবাই সমর্থন দিয়েছেন। আর ফুটফুটে নতুন অতিথি পেয়ে আমি, আমার দুই মেয়েসহ পরিবারের সবাই খুব খুশি হয়েছেন। আমরা যতœ সহকারে তাকে মানুষের মতো মানুষ তৈরি করবো।

এব্যাপারে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম ফখরুল ইসলাম জানান, ওই শিশুর বিষয়টি এখনো আমার জানা নেই। কিন্তু ওই শিশুকে কুড়িয়ে নিয়ে যে পরিবার তাকে লালন-পালন করছেন, নিশ্চয় এটা একটি প্রশংসনীয় কাজ করছেন। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


নওগাঁয় বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর পোরশায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মজিবর রহমান (৫৬) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মজিবর রহমান উপজেলার মর্শিদপুর ইউনিয়নের গোরখাই গ্রামের মৃত ধলা মন্ডলের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মজিবর রহমান রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে আজ সকালে বাড়ির পাশে ঘোলাকুড়ি এলাকার একটি গাছের ডালে তার মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, খবর পেয় ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


মাগুরায় বেশি দামে সার বিক্রি করায় ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাগুরা প্রতিনিধি

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাগুরা জেলা কার্যালয় কর্তৃক মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১,৫৫,০০০/ টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পরিচালিত অভিযানে বিসিআইসি ও বিএডিসি সার ডিলার, সার-কীটনাশকের সাব ডিলার, বীজ, ফার্মেসি ও মুদিদোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়।

এসময় মেসার্স মিলন এন্টারপ্রাইজ নামক বিসিআইসি ও বিএডিসি সার ডিলার প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কৃষকদের ও সাব ডিলারের অভিযোগ ডিলার প্রতিষ্ঠানটি বেশি দামে সার বিক্রয় করলেও সঠিকভাবে ভাউচার প্রদান করেন না। এছাড়া সকালে কৃষিকাজে তাদের সারের দরকার হলেও তারা দোকান খোলেন প্রতিদিন দুপুর ১২টার পরে যার কারনে অন্য খুচরা দোকান থেকে অনেক বেশি দাম দিয়ে তাদের সার কিনতে হয়। বিক্রয় রেজিস্টার ও ভাউচার পর্যবেক্ষণ করে ধরা পরে নানা অনিয়ম। বেশি দামে সার বিক্রয়, ভাউচার ও রেজিস্টারে গড়মিল, কৃষকদের ভাউচার না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত ভাউচার তৈরি প্রমাণ পাওয়া যায়।

এছাড়া রেজিস্টার দেখে গোপালপুরের কৃষক তবিবারকে ফোন দিলে তিনি জানান গতকাল রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ৪বস্তা ডিএপি নিয়েছেন ১৩৫০ টাকা করে কিন্তু তাকে ভাউচার দেয়া হয়নি। অথচ তার নামে ২ বস্তা ইউরিয়া, ২বস্তা ডিএপি ও ১ বস্তা এমওপি সারের ভাউচার লেখা হয়েছে সরকারি মুল্যে। লক্ষ্মীপুর গ্রামের রাতুলকে ফোন করে জানা যায় তিনি পটাশ সার নিয়েছেন ১৫ কেজি কিন্তু তার নামে ভাউচার লেখা আছে ৫০কেজির, ইউরিয়া ১বস্তা নিলেও ভাউচারে লেখা আছে ২বস্তা।

এছাড়া ডিএপি সারের দাম নেয়া হয়েছে সরকার নির্ধারিত দামের বেশি অথচ তাকে কোন প্রকার ভাউচার প্রদান করা হয়নি। রেজিস্টার দেখে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলার পরে ডিলার প্রতিষ্ঠানটি তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি র‍্যাক থেকে প্রচুর মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক পণ্য জব্দ করা হয়।

সারের দাম বেশি নেয়াসহ কৃষকদের সাথে এমন প্রতারণামূলক অপরাধের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক জনাব মিলন কুমার ঘোষকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০,৪৫ ও ৫১ ধারায় ১,৫০,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে অপর একটি সাব ডিলার প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডার্সকে ক্রয় বিক্রয় ভাউচার না রাখা, সারের মুল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা ও অতিরিক্ত দামে সার বিক্রয়ের অপরাধে ৫,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয় এবং সবাইকে ভবিষ্যতে এধরণের আইন অমান্যকারী কার্যকলাপ না করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।

পরবর্তীতে অন্যান্য পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। এসময় সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয়, মুল্যতালিকা প্রদর্শন ও ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: রবিউল ইসলাম ও মাগুরা জেলা পুলিশের একটি টিম।


টেকনাফের গহীন পাহাড় থেকে ৭ জন উদ্ধার, অস্ত্রসহ আটক-৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ বাহার ছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্টগার্ডের বিশেষ অভিযানে দেশীয় বন্দুকসহ তিন মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট সাতজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক।

তিনি জানান, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত রবিবার (৭ ডিসেম্বর)

গভীর রাতে কোস্টগার্ড স্টেশন টেকনাফ ও আউটপোস্ট বাহারছড়ার সদস্যরা মারিশবুনিয়া এলাকার গহীন পাহাড়সংলগ্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানকালে পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে সাতজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং তিনজন মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়। পরে পাচারকারীদের দেওয়া তথ্যে তাদের আড়ালস্থল থেকে একটি দেশীয় বন্দুকও উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সংঘবদ্ধ কয়েকটি পাচারকারী চক্র উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় পাচারের পরিকল্পনা করছিল। ভুক্তভোগীদের ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা এবং নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়েরও চেষ্টা করা হচ্ছিল।

টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট সালাহউদ্দিন তানভীর জানিয়েছেন, উদ্ধার ব্যক্তিরা, জব্দ আগ্নেয়াস্ত্র এবং আটক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। মানবপাচার রোধে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।


মাধবপুরে মহাসড়কে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

ছবিঃ দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাধবপুর উপজেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার রতনপুর বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী আশরাফুল হক (১৯) নিহত হয়েছেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আশরাফুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গারাও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিনি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল (নং: মৌলভীবাজার–ল ১১-৫৪৪৩) চালিয়ে নিজ কর্মস্থল স্থানীয় একটি কোম্পানির উদ্দেশ্যে রওনা হলে রাস্তা পার হওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা একটি দ্রুতগামী গাড়ি তার মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করে।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়েই আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত গাড়িটি শনাক্তে কাজ চলছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”


গারো পাহাড়ের খড়ের গাদায় মিললো ভারতীয় সাবান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

শেরপুরের শ্রীবরদীর গারো পাহাড়ী এলাকায় চোরাকারবারীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই ভারতীয় সাবান জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধায় উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়নের গারো পাহাড় সীমান্তের বড়ইকুচি পশ্চিমপাড়া গ্রামে ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবির কর্ণজোড়া বিওপি’র একটি টহল দল এই অভিযান পরিচালনা করে।

জানা যায়, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য পেয়ে শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়ইকুচি এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি সদস্যরা। ওইসময় স্থানীয় আব্দুল বারেকের ছেলে মো. রাব্বানীর বসতবাড়ির পাশে খড়ের গাদায় লুকানো অবস্থায় ১৮টি বস্তায় ৮৯টি কার্টনের ভেতর ৬ হাজার ৪০৮ পিস ভারতীয় সাবান জব্দ করা হয়।

জব্দ এসব মালামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এসব পণ্য অবৈধভাবে সীমান্তপথে পাচার করে স্থানীয় বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুত করা হয়েছিল বলে ধারণা বিজিবির। তবে অভিযানকালে রাব্বানী বা অন্য কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

ভারতীয় সাবান জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণজোড়া বিওপি’র ক্যাম্প ইনচার্জ সুবেদার মো. ফুলু মিয়া বলেন, ভারতীয় মালামাল জব্দের ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে জানা গেছে।


ডিএমপির আদেশে ১৫ পরিদর্শককে বদলি ও পদায়ন  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত ১৫ জন পুলিশ পরিদর্শককে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) মো. আমির খসরু স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশে বলা হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলি বা পদায়ন করা কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

যাদের বদলি ও পদায়ন করা হলো- ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের পরিদর্শক আহসান উল্লাহকে ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত), শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সরদার ইব্রাহিম হোসেন সোহেলকে কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. মাসুদ রানাকে সূত্রাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ডিবি তেজগাঁও বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমকে ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত), পিএস অ্যান্ড আইআই বিভাগের পরিদর্শক আব্দুস সালামকে নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত), আইএডির পরিদর্শক মো. মুনিরুজ্জামানকে উত্তরা পশ্চিম থানা পরিদর্শক (তদন্ত), ডিবির রমনা বিভাগের পরিদর্শক মীর রেজাউল ইসলামকে শাহ আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ডিবি মতিঝিল বিভাগের পরিদর্শক মোহা. আনোয়ার হোসেন খানকে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ডিবি ওয়ারি বিভাগের পরিদর্শক বাহালুল খানকে রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল হাসান খানকে গেন্ডারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত), নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাফিজুল ইসলামকে যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত), বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ রফিকুল ইসলামকে উত্তরখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত), রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ মশিউল আলমকে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত), উত্তর পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ উল্লাহ ফয়সালকে গোয়েন্দা বিভাগ ও কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলামকে গোয়েন্দা বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।


মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবল থেকে ১১ জেলেকে উদ্ধার কোস্ট গার্ডের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারের মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।

রবিবার ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ শুক্রবার মহেশখালী থানাধীন সোনাদিয়া চ্যানেল সংলগ্ন এলাকায় এফ বি মায়ের দোয়া-৩ নামক একটি ফিশিং বোট ডাকাতির কবলে পড়ে। ডাকাতদল বোটে থাকা মাছ, খাবার, ইঞ্জিন, ব্যাটারি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ বোটে থাকা জেলেদের জিম্মি করে রাখে।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে এফ বি তাসমীম নামক অন্য ফিশিং বোট গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ সকাল ৮ টায় কোস্ট গার্ডের জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১ এ সাহায্যের জন্য আবেদন করলে বিষয়টি কোস্ট গার্ড অবগত হয়।

সিয়াম-উল-হক বলেন, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, কোস্ট গার্ড স্টেশন মহেশখালী হতে একটি উদ্ধারকারী দল অতিদ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করত ফিশিং বোটসহ মালিক পক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখবে।


আগামী নির্বাচনে যারাই জিতুক, জাতির পাশে দাঁড়াবো : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরিশাল প্রতিনিধি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে রাজনৈতিক দলই বিজয়ী হোক না কেন, সরকার ও জাতির স্বার্থে আমরা তাদের পাশে থাকবো বলে মন্তব্য করেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করাই এখন সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় বরিশালের বাবুগঞ্জে আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর বাবুগঞ্জ–মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ফাওজুল কবির বলেন, নির্বাচন যেন উৎসবমুখর পরিবেশে হয়। আগের মতো ভোটকেন্দ্র দখল বা সহিংসতার পুনরাবৃত্তি চাই না। নির্বাচনের দায়িত্ব এখন সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। আমরা শুধু স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছি। বিভিন্ন জটিলতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে সেতু প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হয়েছে, ফলে প্রকল্প ব্যয়ও বেড়েছে। এ কারণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কবির খান বলেন, মীরগঞ্জ সেতু বরিশালের তিন উপজেলা মানুষের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটাবে। আমরা প্রকল্পটি দ্রুত শুরু করার চেষ্টা করেছি। আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ মেঘনা ও এর শাখা নদীবেষ্টিত এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। তিনি সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুবুর রহমান ও নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেনের সহযোগিতার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করেন।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ভোলার গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহার করতেই সরকারী পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। তবে নতুন আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ভোলার সঙ্গে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত কোনো পাইপলাইন না থাকায় জাতীয় গ্রিডে ভোলার গ্যাস সরবরাহের কোনো পরিকল্পনা নেই।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর সেতুটি বরিশালের তিন উপজেলার মানুষের জীবনমান বদলে দেবে। নির্মাণ প্রতিষ্ঠান যেন মানসম্মতভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনকে সেতু নির্মাণে বাধা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানান।

বরিশাল নদী বন্দরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পোর্ট রোড উন্নয়ন করা হয়েছে, নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজও এগোচ্ছে। বন্দর সচল রাখতে ড্রেজিংসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমনসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩-এর ৩১ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক―এর সভায় মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা, ডিপিপি চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। ঐ ডিপিপি অনুযায়ী, ২০২৮ এর জুনের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ও নদী শাষন কাজ সম্পন্ন করে মীরগঞ্জ সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার কথা রয়েছে।

এক হাজার ৪৮৪ মিটার দীর্ঘ মীরগঞ্জ সেতুটি দৃশ্যত চট্টগ্রাম দ্বিতীয় কর্ণফুলী সেতু ও বরিশালের পায়রা সেতুর আদলে নির্মিত হবে। সেতুর মূল অংশ ২টি এবাটমেন্ট এবং ১৭৫ মিটারের দুটি ও ৯৭ মিটারের দুটি পীয়ার সহ মোট ৫৪৪ মিটার। এরসাথে দু প্রান্তে সংযুক্ত ভায়াডাক্ট ৯৪০ মিটার। সেতু ও ভায়াডাক্ট সহ মোট পীয়ারের সংখ্যা থাকছে ৩০টি। সেতুটির দুই প্রান্তে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে। যারমধ্যে টোলপ্লাজার সন্নিকটে রিজিট পেভমেন্ট এবং অবশিষ্ট ৩ হাজার ৯৭৩ মিটার ফ্লেক্সিবেল পেভমেন্ট-এর সড়ক নির্মিত হবে। খরস্রোত আড়িয়াল খাঁ নদের সম্ভাব্য যে কোনো ঝুঁকির হাত থেকে সেতুটি রক্ষায় ৪৬০ মিটার নদীতীর রক্ষাকাজে ৯৬.৬১ কোটি টাকা ব্যায় ধরা হয়েছে। এছাড়া সেতুটির প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে ২১.৫৫ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহনে ৯৩.৫৮ কোটি টাকা বরাদ্ব রাখা হয়েছে।


banner close