নানা হিসেব-নিকেশ ও জল্পনা-কল্পনার পর গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জিতে বিজয়ের হাসি হেসেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। এই পদে হেভিওয়েট প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে নগর ভবনের চাবি পেলেন তিনি। ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ব্যক্তি ইমেজ ও সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণেই জায়েদার বিজয় সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন তার অনুসারীরা।
বিপরীতে আলোচনা চলছে নৌকার প্রার্থীর পরাজয় নিয়ে। নানা বিচার-বিশ্লেষণ আর আলাপ-আলোচনার মধ্যে মোটাদাগে উঠে আসছে আওয়ামী লীগের অন্তঃকোন্দল, দলীয় বিভাজন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী মনোভাবের পাশাপাশি বিএনপি সমর্থক ভোটারদের বড় ভূমিকার কথা। শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপে উঠে এসেছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লার পরাজয়ের নেপথ্যের নানা কারণ।
অন্তঃকোন্দল ও বিভাজন
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতে, গাজীপুর মহানগরে আওয়ামী লীগের দলীয় বিভাজন শুরু হয়েছে এক যুগ আগে। দীর্ঘদিনেও এর রেশ টানা যায়নি। উল্টো এক পক্ষ অপরপক্ষকে ঘায়েল করতেই ব্যস্ত থাকতো অধিকাংশ সময়। এর রেশ পড়েছে এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় দল থেকে বহিষ্কার হন মেয়র পদে থাকা জাহাঙ্গীর আলম। এক পর্যায়ে তাকে মেয়র পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়। এসময় বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক ছিলেন জাহাঙ্গীরের সঙ্গে। বহিষ্কারের পর জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তাদের ওপরও খড়গ নেমে আসে। শোকজ করা হয় পদধারী দুই শতাধিক নেতাকে। পরে জাহাঙ্গীরের অনুসারী কারও আর স্থান হয়নি দলের কোথাও। দলের বহু ত্যাগী নেতা-কর্মীও রয়েছেন এমন তালিকায়। দলীয় কোন্দল আঘাত করে তৃণমূল পর্যন্ত।
এমন অবস্থায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের একটি অংশ জাহাঙ্গীরের পক্ষে চলে আসে। তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে নৌকার ‘ব্যাজ’ পড়লেও গোপনে জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুনের পক্ষে কাজ করেন। এমন অভিযোগে নির্বাচনের প্রচারণার সময়ও দলের তিনজন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে আটজন নেতা-কর্মীকে। এছাড়া পুলিশ দিয়ে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করার অভিযোগও পাওয়া যায়।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল এই দলীয় কোন্দল ও বিভাজন।
ব্যাজ নৌকার, ভোট ঘড়িতে
স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যবেক্ষকদের ভাষ্যে, নির্বাচনের দিন কেন্দ্রগুলোতে নৌকার কর্মীদের আধিক্য থাকলেও দিনশেষে সেখানে জয়ী হয় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের ঘড়ি প্রতীক। মূলত আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীই নৌকার লোক বেশে ভোট দেন জায়েদা খাতুনকে। ভোটের আগে অভিযোগ ওঠে, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীরা যেন ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারেন, সেজন্য ভোটের এক সপ্তাহ আগে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ও ঘরছাড়া করা হয় অনেককে। তবে ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য জায়েদা খাতুনের ভোটার ও কর্মী সমর্থকরা কৌশল হিসেবে গলায় নৌকার ব্যাজ ও হাতে নৌকার ভোটার স্লিপ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। আর এই কৌশলের কাছে হেরে যান আজমত উল্লা খান।
অতি আত্মবিশ্বাস
জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষের কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতার মতে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েন। তারা নিশ্চিত ছিলেন চাপের মুখে জাহাঙ্গীর নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে যাবেন, তবে শেষ পর্যন্ত নানা চাপ থাকা সত্ত্বেও মাঠ ছাড়েননি জাহাঙ্গীর। এছাড়া ভোটারদের ওপরও নৌকার বাইরে ভোট না দিতে হুমকির অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। দলীয় মনোনয়নন পেলেই জয় নিশ্চিত—এমন ধারণায় আত্মতুষ্টিতে ভুগতে থাকেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা। যার প্রভাব পড়ে ব্যালট বাক্সে।
প্রচারণায় পরিকল্পনার অভাব
নগরের বাসিন্দাদের মতে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খানের নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো পরিকল্পনার ছাপ ছিল না। মহানগরের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাজে না লাগিয়ে কেন্দ্র ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে আসা হয় নির্বাচনী প্রচারণার কাজে। বিচ্ছিন্নভাবে তারা প্রচার-প্রচারণা চালান। রাস্তা-ঘাটে দায়সারা প্রচারণা চালালেও ভোটারদের ঘরে পৌঁছায়নি নৌকার বার্তা। এতে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ৫৭টি ওয়ার্ডে দলের একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী থাকায় তারা নিজেদের প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অনেকেই বিএনপির ভোট পেতে নৌকার পক্ষে সরাসরি ভোট চাওয়া থেকে বিরত ছিলেন। এসব কর্মকাণ্ডও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কয়েকজন পর্যবেক্ষক বলছিলেন, একাই নানা পথসভায় বক্তব্য দিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। তিনি জাহাঙ্গীর আলমের দুর্নীতি, নগর ভবনের দুর্নীতি নিয়ে একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। এ নগরে সরকারের নেয়া নানা উন্নয়ন প্রকল্প তিনি ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। নগরীর উন্নয়ন নিয়ে তার ভাবনায় ছিল না কোনো পরিকল্পনার ছাপ, শুধু বিরোধী দল ও মতের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছেন। তার একই ধরনের বক্তব্যে নাখোশ ছিলেন নগরীর অনেক মানুষ। প্রচারণায় ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহারেও তিনি পিছিয়ে ছিলেন। তরুণ প্রজন্ম ও নারীদের আকৃষ্ট করতেও কোনো ভূমিকা নিতে পারেননি আজমত উল্লা খান।
আবেগী ভোট জায়েদার পক্ষে
নারী প্রার্থী জায়েদা খাতুন প্রচারণায় নেমে আজমত উল্লা খানের এলাকা টঙ্গীতে প্রবেশে বারবার বাধার শিকার হয়েছেন। তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, কর্মীদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। এভাবে প্রচারণায় বাধা ভোটারদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে। নন্দিত বাংলা সিনেমা ‘আম্মাজান’র শিরোনাম গান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা জায়েদা খাতুন। অনেকেই মনে করেন, এই গানে আবেগতাড়িত হয়েছেন অনেক ভোটার, বিশেষ করে নারীরা। তাই আবেগী ভোটাররা রায় দেন জায়েদা খাতুনের পক্ষে।
নারীদের ভোট জায়েদার ভোট বাক্সে
নগরের ভোটারদের মতে, সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার প্রায় ১২ লাখ। এর অর্ধেক ভোটারই নারী। প্রথমবারের মতো এই সিটিতে একজন বয়স্ক নারী মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ায় এবং ছেলের জন্য মায়ের সংগ্রামে আকৃষ্ট হন নারী ভোটাররা। বিভিন্ন স্থানে প্রচারণায় গিয়ে নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হন জায়েদা খাতুন। এছাড়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে তেমন কোনো ব্যতিক্রম কার্যক্রম চোখে পড়েনি। ফলে অধিকাংশ নারী ভোটার রায় দিয়েছেন জায়েদা খাতুনের পক্ষে।
আওয়ামীবিরোধী ও বিএনপির ভোট
দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। দলীয় সরকারের ওপর অনাস্থা জানিয়ে তারা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। যদিও বিএনপি ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি নির্বাচনে অংশ নেন, তবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে মেনে নেয়নি। ভোটের আগে রনির চাচা গত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার ভোটারদের ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে খোলা চিঠি দেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপির সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে গিয়েছেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের ভোট বাড়াতে কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়েছেন এসব ভোটারকে। বিভিন্ন সময় বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় ওই দলের সমর্থক ভোটাররাও রায় দিয়েছেন নৌকার বিপক্ষে, জায়েদার ব্যালটে।
এছাড়া আওয়ামী লীগবিরোধী বিচ্ছিন্ন ভোটও পড়েছে নৌকার বিপক্ষে।
কেন্দ্র কমিটি নিয়ে তৃণমূলের অসন্তোষ
নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র কমিটি নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অসন্তোষ বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন দায়িত্বশীল অনেকে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও কেন্দ্রগুলোর কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তাদের অধিকাংশই গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটিতে ছিলেন। এ নিয়ে কমিটি গঠনের পরই অনেক নেতা-কর্মী অভিযোগ করেন। অনেকেই অভিযোগ করেন, তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের কেন্দ্র কমিটিতে রাখা হয়নি। এছাড়া কেন্দ্র কমিটির জন্য বরাদ্দ খরচের টাকারও সুষম বণ্টন হয়নি। লিফলেট, ব্যানার, পোস্টার এনে না টানিয়ে ফেলে রাখারও প্রমাণ পাওয়া যায়। পরিশ্রমী তরুণদেরও মূল্যায়ন করা হয়নি। কমিটির আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়করা অন্য সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করেননি। এসব বিষয়ে গত ১৯ মে দৈনিক বাংলায় ‘আওয়ামী লীগের কেন্দ্র কমিটি নিয়ে তৃণমূলে অসন্তোষ’ শিরোনামে সংবাদও প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের পর কেন্দ্র কমিটি নিয়ে অসন্তোষ কাটাতে তোড়জোড় চলে। তবু হার এড়াতে পারেননি আজমত উল্লা খান।
যা বলছেন প্রার্থী ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক
গাজীপুর সিটিতে পরাজয়ের বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘দলের অনেকেই প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে কাজ করেছে, গোপনে অবস্থান নিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। এছাড়া বিরোধী দলের ভোটও গিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাক্সে। নানা কারণে এখানে আমাদের পরাজয় হয়েছে। তবে পরাজয়ের পেছনে মূল কারণ কী, তা আমরা তদন্ত করে বের করবো।’
শুক্রবার সকালে টঙ্গীর নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেন, ‘আমি যেহেতু দলীয় প্রার্থী ছিলাম, দলের সবাই বসে পর্যালোচনা করে নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ খুঁজে বের করা হবে। দলীয় নেতা-কর্মীরা আমার সঙ্গে গাদ্দারি করেছেন। নিশ্চয়ই দল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা সদরের গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় দুর্বৃত্তরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে মহম্মদপুর সদরের আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজের পাশে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংক শাখার জানালা দিয়ে পেট্রোল দিয়ে কে বা কাহারা আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত দেখে প্রতিবেশীরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দ্রুত তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। বেশ কিছু কাগজপত্র চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, রাতের অন্ধকারে কোন দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের জানালা দিয়ে পেট্রোল ফেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
মহম্মদপুর গ্রামীণ ব্যাংকের সেকেন্ড ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানান, রাত তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা জানালার লক ভেঙে ভেতর দিয়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে। কিছু কাগজপত্র চেয়ার টেবিল আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাছেরও জীবন আছে, পেরেক ঠুকে আঘাত বন্ধ করুন” এই স্লোগান তুলে মানববন্ধনে বক্তারা পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি, ডাক্তার, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, কোচিং ও স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গাছে সাইনবোর্ড, ফেস্টুন ঝুলানো বন্ধকরণ এবং অবিলম্বে সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১৯ নভেম্বর সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস একটি মানববন্ধন করে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, গ্রীণ ভয়েসের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম নোমান, কুড়িগ্রাম সরকারি শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্ন, অর্থ সম্পাদক আবু রায়হান জাকারিয়া, উলিপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সারফরাজ সৌরভ, রোমিও রায়হান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পেরেকের আঘাতে গাছের কান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রসক্ষরণ বন্ধ হয় এবং গাছ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এটি শুধু পরিবেশ নয়, শহরের সামগ্রিক সৌন্দর্য নষ্ট করে।
গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে ব্যানার, পোস্টার, সাইনবোর্ড ও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সামগ্রী ঝুলানোর প্রতিবাদে জানানো হয়।
গাছের গায়ে পেরেক ঠুকার মতো পরিবেশ বিরোধী আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রয়োগ দাবী জানান।
কর্মসূচিতে গ্রীন ভয়েসের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন অংশ নেন।
সাভারে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে জেলা-উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের চলমান অভিযানের প্রতিবাদে এবং ইটভাটা সচল রাখার দাবিতে স্থানীয় ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাভারের তুরাগ এলাকায় ‘ভাকুর্তা ভাঙ্গা ব্রিজ’ সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় লেনে যানচলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মূলত ইটভাটা সচল রাখার দাবিতে মালিক ও শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। মহাসড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ কাজ করছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মালিক-শ্রমিকরা ব্যারিকেড তৈরি করেছেন এবং যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ঢালিপাড়া ধর্মগঞ্জ এলাকায় পলিথিনের দানা তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে কারখানার পলির দানা, দুইটি মেশিন ও ওয়েস্ট পলি পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতার কারণে প্রায় ৩০ লাখ টাকার সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
ঘটনায় কোনো হতাহত বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা চুনা ও ঢালাই কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকায় দিঘিরপাড় ও পৌর ভবনাথপুর এলাকায় এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে দুটি কারখানার মালিকরা পালিয়ে যায়। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মিল্টন রায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানি সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী শবিউল আওয়াল, সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার জাহেদুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্যাস সংযোগ নিয়ে পৌরসভার দিঘিরপাড় এলাকায় চুনা কারখানা ও পৌর ভবনাথপুর এলাকায় ঢালাই কারখানা গড়ে তোলা হয়। এসব কারখানায় প্রতি মাসে প্রায় ২০লাখ টাকার গ্যাস চুরি করে এ কারখানায় ব্যবহার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় এক্সকিউভেটার দিয়ে চুনা ও ঢালাই কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। গ্যাস সংযোগে ব্যবহৃত পাইপ সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানি সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী শবিউল আওয়াল জানান, ৫ আগষ্টের পর রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় একটি গ্রুপ সরকারী সম্পদ গ্যাস অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে চুনা ও ঢালাই কারখানা গড়ো তোলে। দুটি কারখানায় প্রতিমাসে সরকারের প্রায় ২০লাখ টাকার সম্পদ চুরি করে ব্যবহার করছে। আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৫ বছরের সাজা নি:সন্দেহে ন্যায়বিচারের পরিপূর্ণতা অর্জন করেনি, উনারও সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা করেছিলাম বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন এটা নিয়ে আপিল হবে রিভিউ হবে, আশা করছি তাকেও সর্বোচ্চ সাজার আওতায় নিয়ে আসা হবে। মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা জেলা পরিষদে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে,জেলা পরিষদ হলরুমে ভোলা সরকারি কলেজ ছাত্রশিবির শাখার আয়োজনে ভোলা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন তিনি।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, সকলের একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল যেন শেখ হাসিনার মামলার রায় দ্রুত দেওয়া হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা সারাদেশে গণমিছিল থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সরকারের কাছে বিচারের দাবি উত্থাপন করা এবং চাপ প্রয়োগের কাজটা আমরা করেছি। ধীরগতিতে হলে রায় হয়েছে, এ রায়টা যথেষ্ট না, আমরা মনে করি দ্রুত সময়ে রায় কার্যকর করা জরুরী।
এর আগে আগে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবির ভোলা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি ইমরান হোসেন নাবিলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মো.সোহেল,স্পোর্টস বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি এবং ভোলা শহর শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রমুখ।
এসময় অনুষ্ঠানে আগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
ব্রি’ ধান আধুনিকজাত ও প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে কৃষকদের সম্পৃক্ততায়, দ্বাড়িয়াপাড়া সুরিভিটা অফিস চত্বরে মঙ্গবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর এলএসটিডি প্রকল্পের আওতায় এবং ব্রি স্যাটেলাইট স্টেশন, পঞ্চগড়-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার দ্বাড়িয়াপাড়া ও সুরিভিটা গ্রামে আয়োজিত হলো ব্রিধান-৯৩ ও ব্রিধান-১০৩ এর মাঠ দিবস এবং কৃষক মতবিনিময় সভা।এই আয়োজনের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে ব্রি উদ্ভাবিত আধুনিক ও পরিবেশ উপযোগী ধানের জাত সম্পর্কে সচেতনতা এবং চাষে আগ্রহ তৈরি করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. মো: আবু বকর সিদ্দিক সরকার, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, দিনাজপুর, বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও ব্রির আধুনিক জাত সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: আব্দুল মতিন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পঞ্চগড়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পঞ্চগড় এর উপপরিচালক মো: আব্দুল মতিন ব্রিধান৯৩ ও ব্রিধান১০৩ এর উপকারিতা, যেমন উচ্চফলনশীলতা, রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধ ক্ষমতা, স্বল্প জীবনকাল এবং বাজারযোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ব্রি ধান৯৩ ও ব্রিধান১০৩ জাত দুটি উত্তরাঞ্চলের জলবায়ু উপযোগী এবং কৃষকদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভ জনক হিসেবে উঠে আসে আলোচনায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন মো: মাসুদ রানা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান, ব্রি স্যাটেলাইট স্টেশন, পঞ্চগড় ও মো: আসাদুন্নবী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, পঞ্চগড় সদর।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষক মো: ওয়াহেদুল এর জমিতে স্থাপিত ট্রায়াল প্লটে ব্রিধান৯৩ এর ফসল কর্তন কার্যক্রম (ক্রপকাটিং) পরিচালনা করা হয়, যেখানে প্রতি বিঘাতে ২২.৬ মন ফলনের তথ্য উঠে আসে এছাড়াও কৃষক মোঃ মামুন এর জমিতে ব্রি ধান১০৩ এর ফসল কর্তন করা হয় যেখানে প্রতি বিঘাতে ২৩.৫ মন ফলন পাওয়া গেছে যা প্রচলিত স্বর্ণা জাতের চেয়ে বেশী।
পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়েনি। চলতি সপ্তাহের গত রোববার থেকে পাইকারিতে মানভেদে পেঁয়াজের দাম ৯০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে এখনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের দামে, অর্থাৎ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে।
ভোক্তারা অভিযোগ করে বলছেন, পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজি নতুন কিছু নয়। ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন। দেশে পেঁয়াজের উচ্চ ফলনের দাম সেভাবে কমেনি। এখন সরকার আমদানির ঘোষণায় তড়িঘড়ি করে দাম কমিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে গত সপ্তাহে আকার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। সব মিলিয়ে এক মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। তবে গত রোববার থেকে সেই দাম ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে, মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০৫ টাকায়। পাইকারি বাজারে প্রায় পাঁচ ধরনের পেঁয়াজ মিলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোটটা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এরপর আকারভেদে ৯৫, ৯৭, ৯৮ ও ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এখনো তার প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। খুচরা দোকানগুলোতে এখনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানির অনুমতির খবরে সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দু-দিন আগেও যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল সেই পেঁয়াজ এখন কমে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেটির প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামেও
খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মেসাস কাজী স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। আশা করছি আগামী কয়েকদিনে আরও কমবে
তবে খাতুনগঞ্জের পাইকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, তাই আমদানির অনুমতি না দিলেও সমস্যা হবে না। তা পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই। এছাড়া চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়া এবং আমদানির ঘোষণায় পাইকারি পর্যায়ে দাম সামান্য কমেছে।
এদিকে হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, চাহিদা কম এবং আমদানির ঘোষণার কারণে পাইকারিতে বাজার একটু কমেছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।
একই কথা বলেছেন চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম। তিনি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজের উৎপাদনও ভালো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাই পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই!
নগরের চকবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. এরফান দৈনিক বাংলাকে জানান, আমরা এখন ১২০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। পাইকারিতে দাম কমেছে শুনেছি, কিন্তু আমাদের আগের কেনা মাল আগের দামে করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত ৪ লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় সরকার সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানির ঘোষণায় পাইকারি বাজারে সামান্য প্রভাব পড়লেও খুচরায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। চাহিদার তুলনায় দেশীয় উৎপাদন কম থাকায় কয়েক বছর আগেও দেশে প্রতি বছর ৫৬ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হতো। একসময় আমদানি হতো ১০ লাখ টনেরও বেশি। তবে সাম্প্রতিক সময় আমদানি নির্ভরতা কমেছে।
রাঙামাটিতে বাজার ফান্ডের ভূমি হস্তান্তর ও বন্ধকী দলিল রেজিস্ট্রি চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি বাজার ফান্ড ভূমি অধিকার সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে বাজার ফান্ডের ভূমি হস্তান্তর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ পূর্বের ন্যায় কার্যক্রম চালু না হলে, আগামী ৩০ নভেম্বর রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করার কর্মসূচী পালন করা হবে। এর পরও যদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হয়, তবে বাজার ফান্ড ভূমি অধিকার সংরক্ষণ কমিটি পুরো রাঙামাটি জেলায় শাটডাউন, হরতাল ও অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিটি।
বাজার ফান্ড ভূমি অধিকার সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম পনিরের সভাপতিত্বে ও সদস্য কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম শাকিল, যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুল হক, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আব্দুল মান্নান, রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, বৃহত্তর বনরুপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন, রাঙামাটি করাতকল সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন সহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও রহস্যজনক কারণে গত ৬ বছর ধরে পার্বত্যাঞ্চলের বাজার ফান্ড এলাকায় ঋণ কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে না, পাশাপাশি বাজার ফান্ডের ভূমি হস্তান্তর ও বন্ধকি দলিল রেজিস্ট্রি কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। এর ফলে অত্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাই পাহাড়ের বাজার ফান্ড অধিভুক্ত নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য দ্রুত বাজার ফান্ডের ভূমি হস্তান্তর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ পূর্বের ন্যায় কার্যক্রম চালু করার আহ্বান জানান বক্তারা।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় জান্নাতুল ফেরদৌস জিম (১৭) নামে একজন কলেজ শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত জিম উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান সৌদি আরব প্রবাসী জসিমের মেয়ে।
জানা যায়, মৃত জিম চলতি বছরে রাজবাড়ী মহিলা কলেজ হতে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়। পরবর্তীতে সে পরীক্ষায় পাস করার নিশ্চয়তা নিয়ে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ নভেম্বর পরীক্ষার ফলাফল অকৃতকার্য আসে। এ ব্যাপারে তার মন খুবই খারাপ থাকায় বাড়ির কারোর সাথে তেমন কথা বলতেন না। এমতাবস্থায় গত ১৭ নভেম্বর রাতের খাবার খেয়ে তার ছোট বোন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া জিতুর সাথে তাদের মায়ের পাশের রুমে ঘুমাতে যান। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে মৃতের ছোট বোনের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিলে পাশে বিছানায় হাত দিয়ে তাকে দেখতে না পেয়ে পাশের রুমে তার মা শামীমা আক্তারকে ডাক দিলে তার মা বোন জীমকে ডাকতে বললে প্রতি উত্তরে জিতু বলে জিমকে ঘরে পাওয়া যাচ্ছে না।
তাৎক্ষণিক তার মা তাদের ঘরে এসে লাইট জ্বালিয়ে দেখেন জিম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে।
মৃতের মা মোছাম্মদ শামীমা আক্তার জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা ওসি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।
‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইংয়ের উদ্যোগে ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে তরুণদের জন্য বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও কৃষি শিক্ষায় উদ্ভুদ্ধকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, নবীন কৃষি উদ্যোক্তা এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশীজন অংশগ্রহণ করেন।
বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী অনুষ্ঠান পরবর্তী একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ আতাউর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ। এ সময় বারি’র ওপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ এবং পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন উইং) ড. মো. মাজহারুল আনোয়ার; পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. মন্জুরুল কাদির; পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো আলতাফ হোসেন এবং বারি’র বিভিন্ন কেন্দ্র/ বিভাগ/ শাখার বিভাগীয় প্রধানরা ও সিনিয়র বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন। ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সবজি বিভাগ) ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার। অনুষ্ঠানটি কো-অর্ডিনেট করেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. মো. মিজানুর রহমান।
প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিএআরআই উদ্ভাবিত বিভিন্ন উন্নত জাত, আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি, পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি এবং রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্যের প্রদর্শন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা এসব প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হন এবং বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। এই কর্মসূচি তরুণদের মধ্যে কৃষি বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি এবং কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা জ্ঞাপন করেন।
অকারণে শ্রমিক ছাঁটাই, ছাঁটাই শ্রমিকদের পুনর্বহাল এবং কর্মস্থলে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাও করেছেন নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের সনিক বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কয়েকশ শ্রমিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রমিক মোহাইমিনুল ইসলাম, রশিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, শিমু আক্তার, নাছরিন বেগম, নুর জাহান প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, মালিকপক্ষ ২৬ দফা যৌক্তিক দাবি মেনে নিলেও কারখানার কয়েকজন বাঙালি ঊর্ধতন কর্মকর্তা এসব দাবি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছেন। কোন কারণ ছাড়াই শ্রমিক ছাঁটাই করা হচ্ছে, অসুস্থতার জন্য ছুটি দেওয়া হয় না এবং ওভারটাইম করেও তাদের প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না- এমন অভিযোগও তুলে ধরেন তারা।
শ্রমিকরা জানান, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। পরে শ্রমিকনেতাদের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। শেষে দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়ে শ্রমিকরা ডিসি অফিস প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, একই দাবিতে গত তিন দিন ধরে কারখানা গেটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সনিক বাংলাদেশ লিমিটেডের শ্রমিকরা।
যশোরের কেশবপুরে নেটজ বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস্ বাংলাদেশ (রিইব) আয়োজিত ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথ পদক্ষেপ সংলাপ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধি, সিএসও সদস্য ও রিইবের প্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণে স্থানীয় নানা সামাজিক সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আলাউদ্দিন আলা, চেয়ারম্যান, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ। সভাপতিত্ব করেন মো. হারুনার রশীদ বুলবুল, সভাপতি, সিএসও কমিটি, কেশবপুর উপজেলা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মো. হুমায়ুন কবির, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ইপি.), মো. আসলাম মোল্লা, প্রকল্প সমন্বয়ক এবং মো. খালিদ হাসান, এলাকা সমন্বয়কারী, রিইব-হোপ প্রকল্প। এছাড়া গ্রাম আদালতের প্রতিনিধি সংকর পাল, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মোছা. রাশিদা বেগম, শাহানাজ পারভীন, নাজমা সুলতানা, ইউপি সদস্য মো. কামাল উদ্দীন (দোরমুটিয়া), মো. সিরাজুল ইসলাম (মূলগ্রাম), রাজ্জাক (মূলগ্রাম), এ কে এম রেজওয়ানুর রহমান (আলতাপোল), মো. রাশিদুল ইসলাম, সহ জনপ্রতিনিধি ও সিএসও সদস্যরা অংশ নেন।
এ সময় ইউনিয়নের বিভিন্ন দীর্ঘদিনের সামাজিক সমস্যা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, এলাকায় মাদক সেবন ও ব্যবসার বৃদ্ধি রাস্তা ঘাটের বেহাল অবস্থা সমাজে বর্ণ বৈষম্য, বিশেষত দলিত সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ, অভাবের কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া, মিতা মন্ডলের নিখোঁজ ঘটনা যার ডায়েরি দ্রুত থানায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি, সভায় অংশগ্রহণকারীরা সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে স্থানীয়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। চেয়ারম্যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়মিতভাবে এ বিষয়ে অবহিত করবেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা হবে।