মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

গাজীপুরে কেন হারল নৌকা

বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোটারদের ভিড়। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড
২৬ মে, ২০২৩ ২২:১৫
ইফতেখার রায়হান, গাজীপুর
প্রকাশিত
ইফতেখার রায়হান, গাজীপুর

নানা হিসেব-নিকেশ ও জল্পনা-কল্পনার পর গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জিতে বিজয়ের হাসি হেসেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। এই পদে হেভিওয়েট প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে নগর ভবনের চাবি পেলেন তিনি। ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ব্যক্তি ইমেজ ও সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণেই জায়েদার বিজয় সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন তার অনুসারীরা।

বিপরীতে আলোচনা চলছে নৌকার প্রার্থীর পরাজয় নিয়ে। নানা বিচার-বিশ্লেষণ আর আলাপ-আলোচনার মধ্যে মোটাদাগে উঠে আসছে আওয়ামী লীগের অন্তঃকোন্দল, দলীয় বিভাজন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী মনোভাবের পাশাপাশি বিএনপি সমর্থক ভোটারদের বড় ভূমিকার কথা। শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপে উঠে এসেছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লার পরাজয়ের নেপথ্যের নানা কারণ।

অন্তঃকোন্দল ও বিভাজন
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতে, গাজীপুর মহানগরে আওয়ামী লীগের দলীয় বিভাজন শুরু হয়েছে এক যুগ আগে। দীর্ঘদিনেও এর রেশ টানা যায়নি। উল্টো এক পক্ষ অপরপক্ষকে ঘায়েল করতেই ব্যস্ত থাকতো অধিকাংশ সময়। এর রেশ পড়েছে এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় দল থেকে বহিষ্কার হন মেয়র পদে থাকা জাহাঙ্গীর আলম। এক পর্যায়ে তাকে মেয়র পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়। এসময় বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক ছিলেন জাহাঙ্গীরের সঙ্গে। বহিষ্কারের পর জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তাদের ওপরও খড়গ নেমে আসে। শোকজ করা হয় পদধারী দুই শতাধিক নেতাকে। পরে জাহাঙ্গীরের অনুসারী কারও আর স্থান হয়নি দলের কোথাও। দলের বহু ত্যাগী নেতা-কর্মীও রয়েছেন এমন তালিকায়। দলীয় কোন্দল আঘাত করে তৃণমূল পর্যন্ত।

এমন অবস্থায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের একটি অংশ জাহাঙ্গীরের পক্ষে চলে আসে। তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে নৌকার ‘ব্যাজ’ পড়লেও গোপনে জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুনের পক্ষে কাজ করেন। এমন অভিযোগে নির্বাচনের প্রচারণার সময়ও দলের তিনজন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে আটজন নেতা-কর্মীকে। এছাড়া পুলিশ দিয়ে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করার অভিযোগও পাওয়া যায়।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল এই দলীয় কোন্দল ও বিভাজন।

নির্বাচন চলাকালে একটি ভোটকেন্দ্র পরির্দশন করেন আজমত উল্লা খান। ছবি: ফোকাস বাংলা

ব্যাজ নৌকার, ভোট ঘড়িতে
স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যবেক্ষকদের ভাষ্যে, নির্বাচনের দিন কেন্দ্রগুলোতে নৌকার কর্মীদের আধিক্য থাকলেও দিনশেষে সেখানে জয়ী হয় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের ঘড়ি প্রতীক। মূলত আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীই নৌকার লোক বেশে ভোট দেন জায়েদা খাতুনকে। ভোটের আগে অভিযোগ ওঠে, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীরা যেন ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারেন, সেজন্য ভোটের এক সপ্তাহ আগে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ও ঘরছাড়া করা হয় অনেককে। তবে ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য জায়েদা খাতুনের ভোটার ও কর্মী সমর্থকরা কৌশল হিসেবে গলায় নৌকার ব্যাজ ও হাতে নৌকার ভোটার স্লিপ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। আর এই কৌশলের কাছে হেরে যান আজমত উল্লা খান।

অতি আত্মবিশ্বাস
জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষের কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতার মতে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েন। তারা নিশ্চিত ছিলেন চাপের মুখে জাহাঙ্গীর নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে যাবেন, তবে শেষ পর্যন্ত নানা চাপ থাকা সত্ত্বেও মাঠ ছাড়েননি জাহাঙ্গীর। এছাড়া ভোটারদের ওপরও নৌকার বাইরে ভোট না দিতে হুমকির অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। দলীয় মনোনয়নন পেলেই জয় নিশ্চিত—এমন ধারণায় আত্মতুষ্টিতে ভুগতে থাকেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা। যার প্রভাব পড়ে ব্যালট বাক্সে।

প্রচারণায় পরিকল্পনার অভাব
নগরের বাসিন্দাদের মতে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খানের নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো পরিকল্পনার ছাপ ছিল না। মহানগরের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাজে না লাগিয়ে কেন্দ্র ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে আসা হয় নির্বাচনী প্রচারণার কাজে। বিচ্ছিন্নভাবে তারা প্রচার-প্রচারণা চালান। রাস্তা-ঘাটে দায়সারা প্রচারণা চালালেও ভোটারদের ঘরে পৌঁছায়নি নৌকার বার্তা। এতে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ৫৭টি ওয়ার্ডে দলের একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী থাকায় তারা নিজেদের প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অনেকেই বিএনপির ভোট পেতে নৌকার পক্ষে সরাসরি ভোট চাওয়া থেকে বিরত ছিলেন। এসব কর্মকাণ্ডও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কয়েকজন পর্যবেক্ষক বলছিলেন, একাই নানা পথসভায় বক্তব্য দিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। তিনি জাহাঙ্গীর আলমের দুর্নীতি, নগর ভবনের দুর্নীতি নিয়ে একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। এ নগরে সরকারের নেয়া নানা উন্নয়ন প্রকল্প তিনি ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। নগরীর উন্নয়ন নিয়ে তার ভাবনায় ছিল না কোনো পরিকল্পনার ছাপ, শুধু বিরোধী দল ও মতের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছেন। তার একই ধরনের বক্তব্যে নাখোশ ছিলেন নগরীর অনেক মানুষ। প্রচারণায় ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহারেও তিনি পিছিয়ে ছিলেন। তরুণ প্রজন্ম ও নারীদের আকৃষ্ট করতেও কোনো ভূমিকা নিতে পারেননি আজমত উল্লা খান।

আবেগী ভোট জায়েদার পক্ষে
নারী প্রার্থী জায়েদা খাতুন প্রচারণায় নেমে আজমত উল্লা খানের এলাকা টঙ্গীতে প্রবেশে বারবার বাধার শিকার হয়েছেন। তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, কর্মীদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। এভাবে প্রচারণায় বাধা ভোটারদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে। নন্দিত বাংলা সিনেমা ‘আম্মাজান’র শিরোনাম গান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা জায়েদা খাতুন। অনেকেই মনে করেন, এই গানে আবেগতাড়িত হয়েছেন অনেক ভোটার, বিশেষ করে নারীরা। তাই আবেগী ভোটাররা রায় দেন জায়েদা খাতুনের পক্ষে।

নারীদের ভোট জায়েদার ভোট বাক্সে
নগরের ভোটারদের মতে, সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার প্রায় ১২ লাখ। এর অর্ধেক ভোটারই নারী। প্রথমবারের মতো এই সিটিতে একজন বয়স্ক নারী মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ায় এবং ছেলের জন্য মায়ের সংগ্রামে আকৃষ্ট হন নারী ভোটাররা। বিভিন্ন স্থানে প্রচারণায় গিয়ে নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হন জায়েদা খাতুন। এছাড়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে তেমন কোনো ব্যতিক্রম কার্যক্রম চোখে পড়েনি। ফলে অধিকাংশ নারী ভোটার রায় দিয়েছেন জায়েদা খাতুনের পক্ষে।

গাজীপুর সিটির নতুন মেয়র জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: দৈনিক বাংলা

আওয়ামীবিরোধী ও বিএনপির ভোট
দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। দলীয় সরকারের ওপর অনাস্থা জানিয়ে তারা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। যদিও বিএনপি ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি নির্বাচনে অংশ নেন, তবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে মেনে নেয়নি। ভোটের আগে রনির চাচা গত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার ভোটারদের ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে খোলা চিঠি দেন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপির সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে গিয়েছেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের ভোট বাড়াতে কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়েছেন এসব ভোটারকে। বিভিন্ন সময় বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় ওই দলের সমর্থক ভোটাররাও রায় দিয়েছেন নৌকার বিপক্ষে, জায়েদার ব্যালটে।

এছাড়া আওয়ামী লীগবিরোধী বিচ্ছিন্ন ভোটও পড়েছে নৌকার বিপক্ষে।

কেন্দ্র কমিটি নিয়ে তৃণমূলের অসন্তোষ
নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র কমিটি নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অসন্তোষ বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন দায়িত্বশীল অনেকে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও কেন্দ্রগুলোর কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তাদের অধিকাংশই গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটিতে ছিলেন। এ নিয়ে কমিটি গঠনের পরই অনেক নেতা-কর্মী অভিযোগ করেন। অনেকেই অভিযোগ করেন, তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের কেন্দ্র কমিটিতে রাখা হয়নি। এছাড়া কেন্দ্র কমিটির জন্য বরাদ্দ খরচের টাকারও সুষম বণ্টন হয়নি। লিফলেট, ব্যানার, পোস্টার এনে না টানিয়ে ফেলে রাখারও প্রমাণ পাওয়া যায়। পরিশ্রমী তরুণদেরও মূল্যায়ন করা হয়নি। কমিটির আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়করা অন্য সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করেননি। এসব বিষয়ে গত ১৯ মে দৈনিক বাংলায় ‘আওয়ামী লীগের কেন্দ্র কমিটি নিয়ে তৃণমূলে অসন্তোষ’ শিরোনামে সংবাদও প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের পর কেন্দ্র কমিটি নিয়ে অসন্তোষ কাটাতে তোড়জোড় চলে। তবু হার এড়াতে পারেননি আজমত উল্লা খান।

যা বলছেন প্রার্থী ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক
গাজীপুর সিটিতে পরাজয়ের বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘দলের অনেকেই প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে কাজ করেছে, গোপনে অবস্থান নিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। এছাড়া বিরোধী দলের ভোটও গিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাক্সে। নানা কারণে এখানে আমাদের পরাজয় হয়েছে। তবে পরাজয়ের পেছনে মূল কারণ কী, তা আমরা তদন্ত করে বের করবো।’

শুক্রবার সকালে টঙ্গীর নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেন, ‘আমি যেহেতু দলীয় প্রার্থী ছিলাম, দলের সবাই বসে পর্যালোচনা করে নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ খুঁজে বের করা হবে। দলীয় নেতা-কর্মীরা আমার সঙ্গে গাদ্দারি করেছেন। নিশ্চয়ই দল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’


ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের ভাতিজা, গ্রেপ্তার দাবি

এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)

কক্সবাজারের টেকনাফে শহিদ উল্লাহ নামে একজনের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শহিদ উল্লাহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিদ্দিক আহমদের ভাজিতা। ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ইউপি সদস্য ছিদ্দিকের প্রশ্রয় রয়েছে।

এরই মধ্যে এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। সিদ্দিকসহ শহিদকে ওই মামলায় গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে সাবরাং আলীর ডেইল এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী নারী মামলা করেছেন কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (৩) আদালতে। মামলায় শহিদকে মূল আসামি এবং তার চাচা ইউপি সদস্য ছিদ্দিককে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, শহিদ আমাকে দীর্ঘ দিন ধরে আমার সঙ্গে সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি রাজি না হওয়ায় বলত, আমাকে নির্যাতন করবে। শেষ পর্যন্ত আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এখন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই, আমার ওপর যে নির্যাতন হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার চাই।

মামলার প্রধান আসামি শহিদ ছাড়াও তার চাচা ছিদ্দিককেও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ওই মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, আলীর ডেইল এলাকায় সংঘটিত প্রায় সব অপরাধের ক্ষেত্রেই অপরাধীরা কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পার পেয়ে যায়। ফলে এলাকায় দিন দিন অপরাধ বেড়ে চলেছে।

মানববন্ধনে উপস্থিত স্থানীয়রা বলেন, ওই ইউপি সদস্য দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছেন। এতে তরুণদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তারা শহিদ ও ইউপি সদস্য ছিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান। পরে সবাই এ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শহিদ উল্লাহর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার চাচা ইউপি সদস্য ছিদ্দিক আহমদ তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন। বলেন, ঘটনা সত্য কি না, আপনারা এলাকায় এসে তদন্ত করে দেখেন।

জানতে চাইলে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি এলাকার লোক মারফত শুনেছি। এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করছে শুনেছি। আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


চাঁদপুরে রোগীদের হয়রানি, আটক চার দালাল

আটক চারজন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, চাঁদপুর

গ্রামাঞ্চল থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা সহজ-সরল রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করার কারণে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের হাসপাতাল থেকে আটক করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মেহরাজ মাহমুদ।

গ্রেপ্তার ৪ ব্যক্তি হলেন- শহরের পুরানবাজার পশ্চিম শ্রীরামদী মৃত মিরাজ ব্যাপারীর ছেলে মাসুদ (২৬), কোড়ালিয়া রোডের দুলালের ছেলে সবুজ (২২), ঘোষপাড়ার বিষু দের ছেলে দীপ দে (২৩) ও পুরানবাজার মেরকাটিজ রোডের কানাই দাসের ছেলে হৃদয় দাস (২৫)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন সকালে হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসাসেবা নেয়ার জন্য শত শত রোগী আসেন। রোগীরা যখন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন টিকিট কিংবা ওষুধ নেয়ার জন্য তখনই দালালরা গিয়ে সিরিয়াল ছাড়া আগে টিকিট নিয়ে দেবেন বলে টাকা নেন। আবার যারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন, তাদের এক রকম জোর করে নিয়ে যান হাসপাতালের সামনে থাকা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয় দালাল হিসেবে কাজ করেন তারা।

এএসআই মেহরাজ মাহমুদ জানান, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের হয়রানি করার কারণে তারা মোবাইলে ফোনে থানায় অভিযোগ করেন। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে এসে এই চারজনকে আটক করা হয়।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, রোগীদের একশ্রেণির দালাল বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। তারা রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নাম করে তাদের পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। তাদের ফাঁদে পড়ে অনেকেই সঠিক চিকিৎসাসেবা পান না। রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়:

চার্জার ফ্যানের দাম বেশি রাখায় জরিমানা

আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৩ ২০:৩০
প্রতিনিধি, মাদারীপুর

মাদারীপুরে চার্জার ফ্যান অতিরিক্ত দামে বিক্রি করায় খান ইলেকট্রনিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সদর উপজেলার পুরান বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার অধিপ্তর মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।

জান্নাতুল ফেরদাউস জানান, লোডশেডিং ও তাপমাত্রা বেশি থাকার সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী চার্জার ফ্যানের দাম বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ আসে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খান ইলেকট্রনিক্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাদেরসহ অন্য দোকানদারদের সতর্ক করা হয়।

বিষয়:

কুমিল্লায় স্কুলে অসুস্থ ছাত্রী, ঢাকায় নেয়ার পথে মৃত্যু

হাবিবা হঠাৎ করে স্কুলের বাইরে যায়। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে, পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, কুমিল্লা

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে স্কুলে অসুস্থ হয়ে হাবিবা আক্তার (১১) নামে এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত গরমে সে অসুস্থ হয় বলে দাবি স্বজন ও স্থানীয়দের।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর আফতাব-সুবল হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া হাবিবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর ঢাকায় নেয়ার পথে হাবিবা মারা যায়।

সে দাউদকান্দির পাশের তিতাস উপজেলার নাগেরচর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল থেকেই খুব গরম পড়ছিল। হাবিবা হঠাৎ করে স্কুলের বাইরে যায়। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে।

স্কুল থেকে জানা যায়, সকাল ১০টায় প্রথম ক্লাস শুরু হয়। ক্লাস চলার শেষ পর্যায়ে ওই ছাত্রীর মা নাস্তা নিয়ে স্কুলে আসেন। সকাল থেকে মেয়ে কিছু খায়নি বলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি। নাস্তায় রুটি ও তালের শাঁস ছিল। মা চলে যাবার পর প্রথম ক্লাস শেষ হয়। এসময় হাবিবা রুটি না খেয়ে শুধু তালের শাঁস খায়। একটু পর তার বমি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম জানান, ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্কুল থেকে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। এর মাঝেই তার স্বজনদের খবর দেয়া হয়। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।

দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান জানান, ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে আনার পর সে অচেতন ছিল। আমরা তাকে ঢাকায় পাঠাই। তার সঙ্গে দুজন নারী ছিলেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবারও দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কী কারণে হাবিবার মৃত্যু হয়েছে এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য কমকর্তা তৌহিদ আল হাসান বলেন, খাদ্য বিষক্রিয়া কিংবা অতিরিক্ত গরমেও মেয়েটির মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কুমিল্লায় তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা জেলায় এ বছরের সর্বোচ্চ।


৬ ঘণ্টা পর নওগাঁয় অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল শুরু

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৩ ১৫:৫৮
প্রতিনিধি, নওগাঁ

মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন দেয়াকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর নওগাঁয় অভ্যন্তরীণ সকল রুটের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টিকালের জন্য শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশ দাবি আদায়ে বাস ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুপুর ১২টার পর থেকে বাস চলাচল শুরু হয়।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ মার্চ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস পার হলেও বর্তমান কমিটি সাধারণ সভা ও নির্বাচনের কোনো আয়োজন করছে না। সাধারণ শ্রমিকরা বারবার সভা ও নির্বাচনের দাবি জানালেও বর্তমান কমিটি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মে ইউনিয়নের একটি অংশ সাধারণ সভার ডাক দেয়। ওই সভা থেকে সভা ও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য বর্তমান কমিটিকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় নির্বাচনের দাবি তোলা শ্রমিকরা জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করে।

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব পায় ওই বছরের মার্চে। কিন্তু করোনার কারণে ঠিক মতো তখন কাজ করতে পারেনি কমিটি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে গত জানুয়ারিতে সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছিল। ওই সভায় ইউনিয়নের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং এটা রেজুলেশন করা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু লোক বর্তমান কমিটিকে অবৈধ বলে যে অভিযোগ করছে, তা মিথ্যা। সময় হলেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। এসব আন্দোলনের ডাকে আমরা ভয় করি না। আমাদের সঙ্গেও সাধারণ শ্রমিকরা আছেন। এরই মধ্যে কিছু বাস চলাচল শুরু করেছে। ধীরে ধীরে সব বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।’

এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের। বিশেষ করে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীরা বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে বাস চলাচল শুরু হওয়ায় তাদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হয়েছে বলে জানান তারা।

বিষয়:

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, কুমিল্লা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সংঘর্ষ বন্ধ হলে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শো-ডাউন আয়োজনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা ১১ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর প্রায় আড়াই ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

মিয়া বাজার হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, চৌদ্দগ্রাম বাজারে যানজট ছিল। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বিষয়:

কুমিল্লায় আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৩

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৩ ১৩:৫৮
প্রতিনিধি, কুমিল্লা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২৩ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে সংঘর্ষের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই পাশেই প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, সংঘর্ষে ২৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের মাঝে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন অর্ধশত লোকজন। তাদের প্রত্যেকের হাতে দেশীয় অস্ত্র।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, শো-ডাউন আয়োজনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে।

মিজানুর রহমানের সমর্থকরা যেন শো-ডাউন নিয়ে বের হতে না পারে সেজন্য মুজিবুল হকের সমর্থকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

মিয়া বাজার হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, চৌদ্দগ্রাম বাজারে যানজট রয়েছে। আমরা নিরসনের চেষ্টা করছি।


কুমিল্লায় আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ চলছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৩ ১২:৩০
প্রতিনিধি, কুমিল্লা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। শোডাউন আয়োজনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও তার প্রতিপক্ষ চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলছে। এতে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুইপক্ষই দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়কের মাঝে অবস্থান নিয়েছে। থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, মিজানুর রহমানের সমর্থকদের শোডাউন ঠেকাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেন মুজিবুল হকের অনুসারীরা। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিষয়:

গোপালগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২

আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৩ ১১:০৮
প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে সদরে রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে আরও ২ জন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার হরিদাসপুর ফেরিঘাটের মনোরমা রাইস মিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নুরুল ইসলাম (৪৫) হরিদাসপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহরা হলো নুরুল ইসলামের মেয়ে রোমানা (১১) ও ছেলে মোস্তাকিম (৫)। তাদের খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, রাইচ মিলে নূর ইসলাম মোল্লার স্ত্রী নিপা বেগম (২৫) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ বয়লারে বিস্ফোরণে হলে ঘটনাস্থলেই নুরুল ইসলাম নিহত হন। আহত হয় তার দুই সন্তান। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে। আহত দুই শিশুকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিষয়:

নিখোঁজের পরদিন প্রতিবেশীর আম গাছে কৃষকের ঝুলন্ত মরদেহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, বরগুনা

বরগুনার আমতলী উপজেলায় নিখোঁজের পরের দিন প্রতিবেশীর একটি আম গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক কৃষকের মরদেহ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে।

উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে কুলাইরচর গ্রামে সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয় কৃষক মাহাতাব মোল্লার (৫৫) মরদেহ। কুলাইরচর গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদ মোল্লার ছেলে মাহাতাব রোববার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন।

আমতলী থানা পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাহাতাব মোল্লা রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর আর ফিরে আসেননি তিনি। ওই দিন পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো হদিস পাননি। পরে সোমবার ভোরে মাহাতাব মোল্লার প্রতিবেশী আনছার মৃধা (চাচাতো ভগ্নিপতি) বাড়ির সামনের খালপাড়ের একটি আমগাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয়রা। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ মরদেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

মাহতাব মোল্লার মেয়ে রিয়া মনি বলেন, বাবা গতকাল (রোববার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন, এসব বিষয়ে কাউকে কিছু বলেননি। এরপর দিনভর এবং রাতেও বাবার কোনো সন্ধান আমরা পাইনি। আজ (সোমবার) প্রতিবেশী আনছার মৃধার বাড়ির সামনের একটি গাছে পাওয়া গেল বাবার লাশ। বাবা আত্মহত্যা করেছে নাকি কেউ তাকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে, তা বলতে পারছি না।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ‍কৃষক মাহাতাবের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে এটি হত্যা না অত্মহত্যা। এ ঘটনায় পরিবার এখনো কোনো মামলা করেনি।

বিষয়:

আন্দোলনের মুখে বেলকুচি থানার ওসিকে প্রত্যাহার

ওসি আসলাম হোসেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ

একেক পর এক জনপ্রতিনিধির ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলার ঘটনায় স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ফোরামের আন্দোলনের মুখে অবশেষে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহার সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, সোমবার বিকেলে ওসি আসলামকে প্রত্যাহার করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। বেলকুচি থানায় তার জায়গায় নতুন ওসি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে খায়রুল বাশারকে।

এর আগে বেলকুচি পৌর কাউন্সিলর মাহাবুবুল আজাদ তারেকের ওপর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার ঘটনায় এখনো আসামি গ্রেপ্তার না করায় গত রোববার দুপুরে মানববন্ধন করেন জনপ্রতিনিধিরা।

উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সোনিয়া সবুর আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ছয় মাস ধরে বেলকুচি থানায় ওসি হিসেবে আসলাম হোসেন দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময়ে বেলকুচি উপজেলার অন্তত ছয়জন জনপ্রতিনিধি সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়েছেন।

সোনিয়া সবুর আকন্দ আরও বলেন, এসব ঘটনায় থানায় মামলা পর্যন্ত নেয়া হয়নি। বরং এসব ঘটনায় আমাদের ওপর মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। তাই ওসির অপসারণ না করা হলে জনপ্রতিনিধিরা কলম বিরতির হুমকি দেন।

এর পরদিনই ওসিকে প্রত্যাহার করা হলো বেলকুচি থানা থেকে।

বিষয়:

ফেলে যাওয়া গামছায় মিলল ৩ কোটি টাকার সোনা

জব্দ করা সোনার বারগুলোর একাংশ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, যশোর

যশোরের চৌগাছা সীমান্ত থেকে ভারতে পাচারের সময় ২৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তরক্ষী বাহিনীটির টহল দলের ধাওয়ায় দুই ব্যক্তির ফেলে যাওয়া এক গামছায় মিলেছে এসব সোনা, যার বাজারদর তিন কোটি টাকারও বেশি।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে চৌগাছার কাবিলপুর সীমান্ত এলাকার ক্লিনিক মোড়ে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ওই সোনার বারগুলো জব্দ করে।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল জানান, ঘটনাস্থলে টহল দল দুই ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করলে তাদের থামতে বলে। এ সময় ওই দুজন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের ধাওয়া দেয়।

বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, ধাওয়ায় একজন তার পরিহিত শার্ট ছিড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ভেতরে এবং আরেকজন বাংলাদেশের ভেতরে কাবিলপুর গ্রামের দিকে পালিয়ে যান। মাঠের কাদার মধ্যে তাদের ফেলে যাওয়া গামছা মোড়ানো একটি প্যাকেট পাওয়া যায়। ওই প্যাকেটেই মেলে তিন কেজি ২৩ গ্রাম ওজনের মোট ২৬টি সোনার বার। গামছায় স্কচ টেপে মোড়ানো অবস্থায় ছিল বারগুলো।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, জব্দ করা সোনার বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলা করে সোনা ট্রেজারিতে জমা দেয়া হয়েছে।

বিষয়:

পরিবেশ দিবসে পাটলাই নদীতে নৌ র‌্যালি

পাটলাই নদীতে নৌ র‌্যালি। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের পাটলাই নদীতে ছোট নৌকা দিয়ে নৌ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘সবাই মিলে করি পণ বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই নৌ র‌্যালি আয়োজন করে উন্নয়ন সংস্থা সিএনআরএস।

সোমবার সকাল ১১টায় টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের গ্রাম গোলাবাড়ি থেকে জনতা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার অংশে অনুষ্ঠিত হয় এ নৌ র‌্যালি। এতে অংশ নেয়া নৌকাগুলোতে ছিল পরিবেশবিষয়ক বিভিন্ন স্লোগান-সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন।

র‌্যালি শেষে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্লাস্টিক ও পলিথিনজাতীয় পণ্য অপসারণ করা হয়। পরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিএনআরএসের ফিল্ড ডিরেক্টর ও প্রতিবেশ অ্যাকটিভিটি কমিউনিকেশন মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, রিজিওনাল অ্যাকটিভিটি কো-অর্ডিনেটর আশরাফুল ইসলাম, সিএনআরএস তাহিরপুর উপজেলার সমন্বয়কারী ইয়াহিয়া সাজ্জাদ, ওবায়দুল ফাত্তাহ তানভির, জনতা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মুদাচ্ছির আলম সুবল প্রমুখ।

এদিকে একই সময়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনও সুপ্রভাত চাকমার সভাপতিত্বে উপজেলা বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিষয়:

banner close