সাফ ফুটবল শিরোপাজয়ী নারী দলের খেলোয়াড় কুষ্টিয়ার মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন নীলাকে সংবর্ধনা দেবে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা। নীলা যে দিন কুষ্টিয়া পৌঁছবেন, সে দিনই তাকে নিয়ে খোলা গাড়িতে করে সারা শহর ঘোরানো হবে। ওই দিনই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে শিল্পকলা একাডেমিতে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সভা কক্ষে রোববার দুপুরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে এক সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ সাইদুল ইসলাম এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। জানা গেছে, নিলুফা ইয়াসমিন নীলা কুষ্টিয়া পৌঁছলে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেবেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যরা। এরপর খোলা গাড়িতে করে ব্যান্ড বাজিয়ে কুষ্টিয়া শহরের প্রদক্ষিণ করানো হবে। সঙ্গে থাকবে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের পোশাকি দল ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা। শহর প্রদক্ষিণ শেষে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে সংবর্ধনা দেয়া হবে নীলাকে।
জেলা প্রশাসক জানান, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের জন্যও সংবর্ধনা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য পক্ষ থেকে নিলুফা ইয়াসমিন নীলাকে কেউ উপহার দিতে চাইলে সেই সুযোগও রাখা হয়েছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য সাব্বির মোহাম্মদ কাদেরী সবুর বলেন, নিলুফা ইয়াসমিন নীলা যেদিন কুষ্টিয়ায় আসবেন, তাকে সে দিনই একই আয়োজনে সংবর্ধনা দেয়া হবে।
এর আগে গত শুক্রবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ সাইদুল ইসলাম কুষ্টিয়া শহরের নীলার বাড়িতে গিয়ে নীলার মাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি নীলাকে সংবর্ধনা ও এক লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন। পরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার নন্দীর নেতৃত্বে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যরা নীলার বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দিন নিজ উদ্যোগে ও ব্যক্তিগত খরচে নিলুফা ইয়াসমিন নীলার কুষ্টিয়া জুগিয়া পালপাড়া সবজি ফার্ম এলাকার বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা পরিষ্কার করান এবং বাড়ির উঠানে বালু দিয়ে ভরাট করে দেন। তিনিও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আলাদা সংবর্ধনার আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন।
নিলুফা ইয়াসমিন নীলা কুষ্টিয়া পৌর এলাকার জুগিয়া পালপাড়া এলাকার বাছিরন শাম্মী আক্তারের মেয়ে। ছোটবেলায় তার বাবার কাছ থেকে মা আলাদা হয়ে যান। পরবর্তী সময়ে তার মা বাছিরন আক্তার শাম্মী অনেক সংগ্রাম ও কষ্ট করে নীলা ও তার ছোট বোন সুরভী আক্তারকে বড় করেছেন। মেয়র এই সাফল্যে আনন্দে ভাসছেন নীলার মাসহ পরিবারের সবাই।
মা বাছিরন আক্তার শাম্মী বলেন, ‘মেয়ে এত বড় সাফল্য নিয়ে আসবে, আমরা কেউ ভাবিনি। আমরা খুব খুশি। মেয়েকে নিয়ে গর্বিত।’ তিনি জানান, নিলুফা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন তিনি। ওই খেলা শেষ করে তিনি কুষ্টিয়া ফিরবেন।
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এবার স্মরণকালের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। ৭১টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে পূজা। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কাপাসিয়া প্রতিটি মণ্ডপেই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। দিন-রাত এক করে শেষ মুহূর্তের রঙের তুলির আঁচড়ে প্রাণ দিচ্ছেন দেবী দুর্গার প্রতিমায়।
গত বছরের তুলনায় এবার রেকর্ড সংখ্যক-৭১টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। যা কাপাসিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আয়োজন বলে জানিয়েছেন পূঁজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।
কাপাসিয়া উপজেলার রাওনাইট বাজার সংলগ্ন পানবরাইদ রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নিতাই বর্ধন বলেন, রাধা গোবিন্দ মন্দিরে প্রতিমা রং করা হচ্ছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আমাদের পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এই দুর্গাপূজায় আমাদের পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে, তারা প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন, এমনিতেও আমাদের গ্রামের পরিবেশ ভালো। এবার কাপাসিয়ায় ৭১টি পূজা মণ্ডপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর ৫ আগস্ট এর পর মানুষের মনের ভেতর যে একটা ভীতি কাজ করেছে, এই বছর সেই ভীতি নেই। আমাদের কাপাসিয়ার জনমানুষের নেতা রিয়াজুল হান্নান হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক করছেন। হিন্দুদের যাতে মনোবল ভালো থাকে তিনি সাহস দিচ্ছে, পূজায় কোনো সমস্যা যাতে না হয় এবং সাম্প্রদায়িকতা বলতে কাপাসিয়া কোনো জিনিস থাকব না। সাম্প্রদায়িকতা তিনি পছন্দ করেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ভালো।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র পাল জানান, এ বছর কাপাসিয়া উপজেলায় ৭১টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এবং প্রশাসনিক দিক দিয়ে নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন, থানা থেকে পুলিশ প্রত্যেকটি মণ্ডপ পরিদর্শন করেছে। উপজেলা পূজা কমিটির নেতারা মণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেছে। মন্দিরে কোনো যাতায়াতের অসুবিধা আছে কি না বা তাদের সার্বিক কোনো অসুবিধা আছে কি না আমরা তা নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সমস্যা থাকলে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সমাধানের ব্যবস্থা করছি।
ইতোমধ্যে মন্দিরগুলোতে সাজসজ্জার কাজ শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যেন থাকে সে ব্যাপারে প্রশাসনের সাথেও কথা হয়েছে। পাশাপাশি গাজীপুর জেলা থেকে ডিসি স্যার এবং এসপি স্যার কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। মন্দিরগুলো যেন রাতে আমরা পাহারা দেই, প্রত্যেকটি মন্দিরে যেন সিসি ক্যামেরা লাগানো হয় এবং কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে এগুলো বিষয়ে সকল মন্দিরে সতর্ক করা হয়েছে। সার্বিকভাবে আমরা আশা করছি অতীতের যেকোনো সময় থেকে এবারের পূজা হবে উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ।
এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে কাপাসিয়ার গণমানুষের নেতা শাহ রিয়াজুল হান্নান, খন্দকার আজিজুর রহমান পেরাসহ নেতারা বিভিন্ন মণ্ডব পরিদর্শন করেছেন, পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা মন্দির পরিদর্শন করেছেন, খোঁজ-খবর নিচ্ছেন কোনো অসুবিধা আছে কি না। আশা করছি যেকোনো সময় থেকে এবার আমরা ভালো পূজা উদযাপন করব।
কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা বলেন, আপনারা জানেন হিন্দু সম্প্রদায় এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে যে একটা ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছিল, তা তৎকালীন সরকার হিন্দুদের একটা স্লোগানের মাধ্যমে তাদের কনভার্ট করার জন্য, তাদের ভোটব্যাংক বাড়ানোর জন্য, সমর্থন বাড়ানোর জন্য, এই ধরনের একটি উক্তি করা হয়েছিল। তারা বলেছিল বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের পূজা করতে দেওয়া হয় না, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে না।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নানের নেতৃত্বে কাপাসিয়া উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে উঠান বৈঠক করেছি, তাদের অভাব- অভিযোগ কী সম্পূর্ণ কিছু শুনে নেতা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, কোনোক্রমেই সনাতন ধর্মালম্বীদের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হবে না।
কাপাসিয়া থানার তদন্ত ওসি রবিউল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপ ভিজিট করেছি। পূঁজা মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের তাগাদা দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে পূজা উপলক্ষে স্থানীয় বাজারে বেড়েছে কেনাকাটার চাপ। সাধারণ মানুষও ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে।
শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. তামান্না তাসনীম বলেন, এটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ একটি উপজেলা। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে সবাই একত্রে বসবাস করছেন।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘ইসরাইলি গণহত্যা’ বন্ধে জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি গাজায় চলমান সহিংসতার নিন্দা জানান। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতির ভিত্তিতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের দাবিও জানান।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতিতে সুরক্ষিত পথেই ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তারেক রহমান জানান, বিশ্ব শক্তিগুলোকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি তিনি অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার আহ্বানও জানান।
তিনি দাবি করেন, গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ড ‘জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি বিষয়ক কনভেনশন (১৯৪৮)’-এর আইনি সংজ্ঞার সঙ্গে মিলে যায়। ওই আইনে আছে, একটি জাতি, নৃতাত্ত্বিক, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার অভিপ্রায়কে গণহত্যা বলে।
তিনি জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক কমিশন রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেন। সেখানে বলা হয়েছে, গাজার মানবিক সংকট ও ব্যাপক প্রাণহানির সরাসরি দায় ইসরাইলি সরকারের ওপর বর্তায়।
তারেক রহমান বলেন, ‘প্রচারণার আড়ালে লুকানোর দিন শেষ। কোনো অজুহাত আর চলবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, নৈতিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হয়। পথ কঠিন হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যখন ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্বই হুমকির মুখে, তখন আমরা চুপ থাকতে পারি না।’
তারেক রহমান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাংলাদেশিদেরও ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে এবং নিজেদের জাতীয় নেতাদের ইসরাইলের এই ‘নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ’-এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রগুলোর হাতে পরিবর্তন আনার ক্ষমতা আছে। সবসময়ই থাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখনই বিশ্বনেতৃত্বের দায়িত্ব আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি প্রকাশ্য অবমূল্যায়ন এবং সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে গঠিত অসম কমিটির প্রত্যাখ্যান ও ডিগ্রি প্রকৌশলীদের অযৌক্তিক তিন দফা দাবি রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রত্যাখ্যানের দাবিতে নওগাঁয় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টায় শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে নওওগাঁর সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ কর্মসূচি অংশ শিক্ষার্থীরা।
নওগাঁ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে এতে নেতৃত্ব দেন আবু হুরায়রা হাসিব ,আশরাফুল হক, এস এম তাহিয়াতুল ইসলাম জিহাদ,আরাফাত জনি, আব্দুল বারী ,রিয়াউল রাহাদ এবং মোঃ রেদোওয়ান।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। সরকারকে বলবো এই সমস্যার যৌক্তিক সমাধান করুন। তা নাহলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তখন এর দায় কিন্তু সরকারকে নিতে হবে। যে দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন সেগুলো হলো, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন থেকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রকাশ্যে গুলি করা ও জবাই করে হত্যার হুমকি প্রদানকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক তিন দফা দাবির পক্ষে পরিচালিত সকল কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের উত্থাপিত যৌক্তিক ছয় দফা দাবির রূপরেখা ও সুপারিশ অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ান-চ্যানেল এডুকেশন চালু করতে হবে।
দাবিগুলো দ্রুত সরকার মেনে না নিলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের হুশিযারি দেয় শিক্ষার্থীরা।
নীলফামারীর ডোমারে সাংবাদিককে হুমকির প্রতিবাদে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলামের অপসারণের দাবীতে এলাকাবাসী ঝাড়ু মিছিল করেছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কাজীপাড়া থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি হৃদয়ে স্বাধীনতা চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান হিল্লোল, সাংবাদিক আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর উপজেলা সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ আইয়ুব, জামায়াত নেতা মো. সোহেল রানা, তুহিন ইসলামসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এলাকায় মাদক করবার সহ বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান হিল্লোল ওসির সাথে যোগাযোগ করলে সহযোগিতার পরিবর্তে তিনি সাংবাদিককে হুমকি দেন। এরই প্রতিবাদে এলাকাবাসী ওসিকে মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী আখ্যা দিয়ে ঝাড়ু মিছিল বের করে তাঁর অপসারণ দাবি জানায়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী রুপার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ওসি সাংবাদিক হিল্লোলকে হুমকি দেন। এছাড়া ওসির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কমিশন গ্রহণ, টাকা নিয়ে মামলা গ্রহণ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার অভিযোগও উত্থাপন করা হয়। বক্তারা অনতিবিলম্বে ডোমার থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলামের অপসারণ দাবি জানান।
এ বিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকের সাথে আমার কিছু হয়নি। ২দিন আগে রাতে মাদক ব্যবসায়ী রুপার বাড়িতে স্থানীয়দের নিয়ে মব সৃষ্টি করে ঘরে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করছিলো। আমি সেটা নিয়ে সাংবাদিক হিল্লোলকে বলেছিলাম মব সৃষ্টি করে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে এর দায় আপনাকে নিতে হবে।এভাবে বলার কারনে সাংবাদিক লোকোজন নিয়ে মিছিল করেছে, সমস্যা নেই তার কাজ সে করেছে আমার কাজ আমি করবো।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বর্ধিত এক মাস সময়ের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে চাই। এর জন্য কোনো অবস্থাতেই এক মাস লাগবে না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, দ্রুত একটি পরিণতি দেখা যাবে।
বুধবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের সভাপতি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা সার্বিক বিষয়ে জানেন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে যাবেন তিনি। এর আগেই সনদ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবগত করা হবে।
সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কমিশন চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ৬টি উপায়ের পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্যে কেউ বলছেন বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের মাধ্যমে কার্যকর করতে। আবার অনেকেই সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে।
আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট মতামত সুপারিশ হিসেবে আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের পক্ষ থেকে যে সমস্ত বক্তব্য ছিল সেগুলোকে আমরা ছয় ভাগে ভাগ করেছিলাম। আপনারা বলেছিলেন বেশ কিছু বিষয় অধ্যাদেশ এবং নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যায়।
তিনি বলেন, আমরাও কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে অনুরোধ করেছি, অত্যন্ত দ্রুততার সম্ভব সঙ্গে বাস্তবায়িত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যে সমস্ত বিষয় অধ্যাদেশ এবং নির্বাহী আদেশে করা যায় সেগুলো যেন তারা দ্রুত করেন।
আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে আমাদের যেই বিশেষজ্ঞ প্যানেল আছে তারা দুটো কথা বলেছিলেন-একটি হচ্ছে গণভোট, আরেকটি বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের কথা। সমস্ত কিছু বিবেচনা করে প্যানেলের পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেটি আপনাদের সামনে আমরা উপস্থাপন করেছি। আমরা সরকারকে একাধিক পরামর্শ দিতে পারি বাস্তবায়নের সেটা তুলনামূলকভাবে সরকারের জন্য সহজতর হবে, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনীয় আইনি সাংবিধানিক বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখে তারা পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
আলী রীয়াজ জানান, সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দু’জন করে প্রতিনিধির নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। বেশিরভাগ দলই পাঠিয়েছে। আমরা চাই এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে।
তৃতীয় ধাপের এ বৈঠকে অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত আছেন- বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে গোখরা সাপের ছোবলে আহত হয়েছেন সুমিত্রা রানী (৬০) নামের এক নারী। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ছোবল দেওয়া সেই সাপটিকে একটি প্লাস্টিকের বোয়ামে ভরে সঙ্গে করে নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন তিনি নিজেই।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের সোনাপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঘরের একটি পুরোনো প্লাস্টিকের বোয়াম পরিষ্কার করতে গিয়ে হঠাৎই গোখরা সাপটি সুমিত্রা রানীকে ছোবল দেয়।
তার ছেলে সুরেশ চন্দ্র রায় বলেন, মা কাজ করছিলেন, হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘরে দৌড়ে যাই। দেখি মা কাঁপছেন আর পাশে সাপটা পড়ে আছে। কোন সাপ বুঝতে না পেরে প্লাস্টিকের বোয়ামের মধ্যেই সাপটাকে ভরে, মা'কে নিয়ে হাসপাতালে যাই।
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশ্চিত হন, এটি একটি বিষধর গোখরা সাপ। তাৎক্ষণিকভাবে সুমিত্রা রানীকে অ্যান্টিভেনম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন ধর বলেন, রোগী বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতালে আসেন। সঙ্গে সাপটিও আনা হয়েছিল। নিশ্চিত হওয়ার পরপরই এন্টিভেনাম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। বর্তমানে তিনি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
রূপগঞ্জে প্রায় ২০ হাজার ভবন আছে। নতুন ভবন ছাড়াও বহু পুরানো ভবন রয়েছে, যার অধিকাংশই ভূমিকম্প সহনীয় নয়। ভূমিকম্পবিদরা বলছেন, নতুন আবাসিক এলাকার মাটি নরম ও দুর্বল। এ ধরনের মাটিতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মেনে বহুতল ভবন হলে তা মাঝারি মাত্রার কম্পনেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রদর্শক জাকিয়া সুলতানা বলেন, রূপগঞ্জে বিল্ডিং কোড না মেনে যেভাবে অপরিকল্পিত উপায়ে ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে, তাতে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে ঘটে যেতে পারে প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসলীলা।
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে রূপগঞ্জ। গত ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল একটি ভূমিকম্প হয় যার উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের তারাব। রিখটার স্কেলে এটি ছিল ৪ মাত্রার। একই বছরের ১৭ এপ্রিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের ডহরগাঁও। সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩ মাত্রা।
বুয়েটের বিভিন্ন সময়ে করা জরিপে দেখা যায়, রূপগঞ্জে ৪ হাজার বহুতল ভবন রয়েছে। ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে এই ভবনগুলো এবং এর বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্বাচল এলাকার এক অথরাইজড অফিসার বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৩৬টি নকশা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাকি যেসব ভবন হয়েছে তার সবই অবৈধ। নানা বাঁধার কারণে উচ্ছেদ অভিযানে বাধাগ্রস্ত হয়। তিনি আরো বলেন, ভবনগুলোতে মোট পাঁচ ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে। এগুলো হলো নকশা ছাড়া নির্মাণ, নকশায় ব্যত্যয়, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা, জরুরি সিঁড়ির অপ্রতুলতা।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রূপসী এলাকার ৩ ভবন মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আরো ২ ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২৩ এপ্রিল গোলাকান্দাইল এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। গত ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামের নেতৃত্ব পূর্বাচল উপশহরের এক নাম্বার সেক্টরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এছাড়া ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে মুড়াপাড়া এলাকায় অননুমোদিত ভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তারাব পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ নিগার সুলতানা বলেন, আমাদের ক্ষমতা সীমিত। ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার নেই। অবৈধ ভবন কতো আছে এমন পরিসংখ্যান নেই। তবে অবৈধ ভবন চোখে পড়লে নোটিশ করি। ব্যবস্থা নেই। আমাদের লোকবল কম। রূপগঞ্জ বড় ভূমিকম্প হলে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেন, আসলে উপজেলা পর্যায়ে কোন প্রশিক্ষণ নেই। তবে দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ভূমিকম্পসংক্রান্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, বিষয়টি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। এটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। ইতোমধ্যে রাজউক অভিযান চালাচ্ছে।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, নকশা ও অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা না রেখে অনেকেই রাস্তার জায়গায় ভবন নির্মাণ করেছেন। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী চরপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে চরপাড়ার ইউনুস মার্কেটে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের কারো শরীরের ৪০ শতাংশ, কারও আবার ৭০ শতাংশের মতো পুড়ে গেছে।
দগ্ধরা হলেন- মাহবুবুর রহমান (৪৫), মো. সৌরভ রহমান (২৫), মোহাম্মদ কফিল (২২), মোহাম্মদ রিয়াজ (১৭), মোহাম্মদ ইউনুস (২৬), মোহাম্মদ আকিব (১৭), মো. হারুন (২৯), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০), মোহাম্মদ লিটন (২৮) ও মোহাম্মদ ছালেহ (৩৩)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে ইউনুস মার্কেটের একটি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার আনলোড করা হচ্ছিল। এসময় এক শ্রমিক সিগারেটে আগুন ধরালে হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে ১০ জন শ্রমিক আগুনে দগ্ধ হন।
চমেক হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ খালেদ জানান, দগ্ধ ১০ জনকে এখানে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশি খারাপ। তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। পাশাপাশি দগ্ধদের কারো শরীরের ৪০ শতাংশ, কারও আবার ৭০ শতাংশের মতো পুড়ে গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউদ্দিন বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
তিনি বলেন, আহত শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এক শ্রমিকের জ্বালানো সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত। এ সময় গুদামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাবের আহমেদ জানান, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি জালাল চৌধুরী (মাসুম) ইন্তেকাল করেছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৬টার দিকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মরহুমের ভাই রোমান চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগলেও হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার ছোট ভাই জালালের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী (২২তম বিসিএসের সচিব), দুই ছেলে, অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর গ্রামে নেওয়া হবে। বাদ এশা মনসুর আশরাফিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে।
জানা গেছে, পেশাজীবনে জালাল চৌধুরী ছিলেন দক্ষ, সৎ ও মানবিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা। দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন লেখক, চিন্তাশীল মেধাবী ও সত্যিকারের মানবিক মানুষ। সম্প্রতি তিনি পুলিশ সংস্কার কমিশনের সচিবালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। নিজ এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও তার অবদান ছিলো স্মরণীয়।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও রেখেছেন অবদান। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে প্ল্যানিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ পুলিশ তার ওপর একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করে যা প্রকাশিত হয় জাতিসংঘ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।
পেশাগত জীবনের পাশাপাশি তিনি ছিলেন সাহিত্যপ্রেমী। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার ছিলেন তিনি। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে কোথায় পাবো তাকে, নির্বাসিত হৃদয়ে এসো, ইরোটা ম্যানিয়া এবং ছোটগল্প সংকলন।
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমুল্যে দেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ব্যবসায়ী, স্থানীয়সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।
সেসময় ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক আলহাজ শহিদুল ইসলাম, বদরুজ্জামান, ডা: জহুরুল ইসলাম, কমিশনার আনোয়ারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা অভিযোগ করেন, জমির মালিকদের ২০২২ সালের মৌজা মুল্য দেওয়া হচ্ছে। যেসব জমির দাম ১০ লাখ টাকা সেই জমির দাম দেওয়া হচ্ছে ২ লাখ টাকা করে। এছাড়াও একটি বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পুর্ণ ক্ষতিপুরণ না দিয়ে আংশিক দিচ্ছে কর্র্তৃপক্ষ। তাই মালিক ও ব্যবসায়ীদের ন্যায্য মুল্যে নিশ্চিতের দাবী জানানো হয়।
পরে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় ঝিনাইদহ থেকে যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গাগামী সকল রুটের যানচলাচল। প্রায় ১ ঘন্টাপর আবারো কর্মসূচীর হুশিয়ারি দিয়ে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যেই ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এবছর উপজেলায় ১২৭টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে দুর্গাপূজা, যা চলবে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী পর্যন্ত। ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।
উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে—খড়, বাঁশ ও কাদা-মাটি দিয়ে শিল্পীরা শৈল্পিক ছোঁয়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিমা কারিগর মনেন্দ্র পাল (৫৭) বলেন, “প্রতি বছর প্রায় ৫০-৫৫টি মণ্ডপে কাজ করি। কিন্তু এবার মাত্র ৩২টি মণ্ডপের প্রতিমা বানানোর কাজ করছি। প্রতিটি প্রতিমার দাম প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ধরা হচ্ছে।” একই কথা জানিয়েছেন কারিগর বিজয় পালসহ অন্যান্য শিল্পীরাও।
নবীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সঞ্জয় সাহা বলেন, “এবার উপজেলায় ১২৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী জানান, “আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ বস্তা ভর্তি করে বসতভিটার পাশে মাটি চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাইয় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তা্ার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার অন্তত ৩৬ ঘন্টার পর প্রকাশ পায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইলপাড়া কুরিমারিয়ারছড়া এলাকায় পৌঁছায়। পরে রাত ৯ টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি খুড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দ (৫০) একই এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তারকৃৎ মোহাম্মদ রফিক নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত ও গ্রেপ্তার ব্যক্তি সম্পর্কে বাবা-ছেলে। মোহাম্মদ ছৈয়দের সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। তিনি কয়েক বছর আগে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে খুরুশকুলের কুমারিয়ারছড়া এলাকায় এসে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। পুরো পরিবারটি রোহিঙ্গা নাগরিক।
নিহতের প্রতিবেশিসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মোহাম্মদ সৈয়দের বাড়ির আশেপাশের উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ালে এলাকাবাসীর সন্দেহ জাগে। এক পর্যায়ে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে তার বাড়ির ধানক্ষেতের পাশে সদ্য মাটি চাপা দেওয়া একটি শার্ট দেখতে পান। সেখান থেকে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের পৌঁছার পর মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃত রফিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, ‘সোমবার ভোরে তার শ্বশুর মোহাম্মদ ছৈয়দ স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। সকালে বাড়ী ফিরলে শ্বাশুরির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তার স্বামীও কলহে জড়িয়ে পড়েন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামী রফিক বাবাকে লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। আঘাতে তার শ্বশুর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আহত হন। পরে তার মৃত্যু হলে লাশটি বস্তাবন্দী করে ঘরে ফেলে রাখা হয়।
ঘটনার ব্যাপারে কারও কাছে প্রকাশ করলে বাবার মত পরিণতি ভোগ করারও হুমকি দেন তার স্বামী, জানান অভিযুক্তের স্ত্রী।
এদিকে সোমবার মধ্যরাতে ঘটনা ধামাচাপা দিতে সৈয়দের স্ত্রী, দুই সন্তান রফিক ও সাহাবউদ্দিন জিয়া মিলে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে মাটি চাপা দিয়ে লাশ পুঁতে রাখেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে ছৈয়দের স্ত্রী ও সন্তানরা পালিয়ে আত্মগোপন করেন।
পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণার কথা বলেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দী লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলা নথিভূক্ত হওয়ার পর জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নাটোরের লালপুরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে ৭ দফা দাবিতে গেট মিটিং (ফটক সভা) করেছে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা। গতকাল মঙ্গলবার মিলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পে-কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো ওয়েজ কমিশনের শ্রমিকদের ৫ শতাংশ প্রণোদনার বকেয়া ও ১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধার টাকা প্রদান, দক্ষ জনবল তৈরির স্বার্থে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ী পদে অভ্যন্তরীণভাবে সমন্বয় বা পদায়ন, মৌসুমি ও স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে কর্মরত দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমিকদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত নীতিমালা অনুযায়ী হাজিরা প্রদানসহ অন্য আরও ৪টি দাবি জানানো হয়।
সভায় শ্রমিক-কর্মচারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় ভুগছেন তারা। বকেয়া প্রণোদনার টাকা না পাওয়া এবং মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ী পদে সমন্বয় না হওয়ায় কর্মপরিবেশ দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সাত দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। একই সঙ্গে চিনিশিল্পকে দুর্নীতি মুক্ত করারও দাবি জানান শ্রমিক-কর্মচারীরা।
গেট মিটিংয়ে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের সিবিএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম অমলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন পিন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মমিন প্রমুখ।