মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৮ আশ্বিন ১৪৩২

ঘুষ না পেলে কাজ করেন না জাফর

ছবি: সংগৃহীত
সুপ্রিয় চাকমা
প্রকাশিত
সুপ্রিয় চাকমা
প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৮:০৩

সুপ্রিয় চাকমা শুভ, রাঙামাটি

রাঙামাটির পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উন্নয়ন খাতের কর্মচারী মো. জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন জেলার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন উপজেলা অফিসের কর্মচারীরা। তারা বলছেন, টাকা না দিলে জাফর অফিশিয়াল কোনো কাজই করেন না। উপজেলা অফিসের কর্মচারীদের সঙ্গে সবসময় দুর্ব্যবহারও করেন তিনি। এসব কারণে তারা জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে এসব অভিযোগকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করছেন অভিযুক্ত জাফর আহম্মদ।

রাঙামাটি জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে পার্বত্য তিন জেলায় গঠিত হয় স্থানীয় সরকার পরিষদ। পরে ১৯৯৮ সালে তিন জেলায় স্থানীয় সরকার পরিষদের বদলে পার্বত্য জেলা পরিষদ নামকরণ হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির শর্তানুযায়ী, এ তিন জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত হয় পরিবার পরিকল্পনাসহ মোট ৩০টি বিভাগ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত জাফর রাজস্থলী উপজেলায় অফিস সহকারী পদে নিয়োগ পেলেও বহু বছর ধরে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। জেলা পরিষদের অধীনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর হওয়ায় জেলা পরিষদে দেখা যায় জাফরকে।

উপজেলা অফিসের কর্মচারীরা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, মো. জাফর আহম্মদ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে জেলা ও ১০ উপজেলার কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত দুর্বব্যহার করে চলেছেন। টাকা বা ঘুষ ছাড়া তিনি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কোনো কর্মচারীর অফিশিয়াল কাজ করেন না। অফিসের কোনো কাজে তাকে টাকা না দিলে ফাইল আটকে রাখেন।

সদর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. দিদার আলম জানান, ২০১৮ সালে জেলার মোট ৮৫ জন বিভিন্ন পদের কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করার ফাইল প্রক্রিয়ার কাজে সবার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা তুলে দিতে বলেছিলেন জাফর। তার কথা না মানলে তৎকালীন উপপরিচালককে ভুল বুঝিয়ে কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়াটি বন্ধ রাখেন। এক বছর আগে কর্মচারীদের সিলেকশন গ্রেডসংক্রান্ত মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি এলে সেই চিঠিও জাফর অফিশিয়াল ফাইল থেকে সরিয়ে ফেলেন। পরে মন্ত্রণালয়ের কপি উপস্থাপন করলে তিনি টাকা ছাড়া কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। প্রায় চার মাস ঘোরার পর একপর্যায়ে টাকা ছাড়াই ১০৬ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী হয়।

দিদার বলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে জাফর আহম্মদ জেলা অফিসের তৃতীয় তলায় নিজে বসবাস করার জন্য অফিসকে ব্যক্তিগত রুম সাজিয়ে সরকারি বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস ব্যবহার করে বছরের পর বছর বসবাস করছেন। তার অনিয়ম নিয়ে এর আগেও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিচালকদের কাছে বারবার অভিযোগ করেছি। কিন্তু তারাও ব্যবস্থা নেবেন নেবেন বলে কালক্ষেপণ করেছেন।

বরকল উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক কেরন চাকমা বলেন, ‘জাফর তো টাকা ছাড়া কোনো কাজই করেন না। গত সাত-আট মাস আগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের হেড অফিস থেকে সিলেকশন গ্রেড তথ্য বিষয়ে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠি নিতে গেলেও জাফর মিথ্যা বলেন। জানান, জেলা অফিসে নাকি চিঠি আসেনি। খারাপ ব্যবহারও করেছেন। পরে জেলা উপপরিচালকের কাছে গেলে চিঠিটি হাতে পাই। জাফরের হয়রানির কথা বলে শেষ করা যাবে না।’

লংগদু উপজেলার পরিবার কল্যাণ সহকারী চন্দ্রা খীসা বলেন, ‘জাফর জেলা অফিসের ফাইলপত্রের কাজগুলো করে থাকেন। অফিসের সঙ্গে কথা বলে সার্টিফিকেটের জন্য একটি পরীক্ষা দিই এবং পাস করি। পরে বায়োডাটায় পাস করা তথ্য যোগ করতে গেলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখান। টাকা দিইনি বলে প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি কাজটি করে দিচ্ছেন না।’

বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘জাফর তো অফিস সহকারী। তার পোস্টিং ছিল রাজস্থলীতে। সাময়িকভাবে বর্তমান উপপরিচালক তাকে রাঙামাটি জেলা অফিসে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু এখানে তিনি টাকা ছাড়া কোনো কাজই করেন না। অফিসের কাজে গেলেও দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন।’

জাফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে জানিয়ে দিদার আলম বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে জেলা মাসিক মিটিংয়ে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিচালকের কাছে তার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি। তিনিও ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি, দুর্নীতিবাজ জাফর বিশাল অঙ্কের লেনদেন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়েছেন। জেলা পরিষদে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের নিয়মিত কর্মচারী না হয়েও নিয়ম বহির্ভূতভাবে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে আর্থিক লেনদেন-সংক্রান্ত ক্যাশিয়ার পদে পদায়নের জন্য জেলা পরিষদে নথি উপস্থাপন করেছেন।’

জাফর আহম্মদ অবশ্য তার বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এসব ষড়যন্ত্র অফিসের দিদার সাহেব করতেছেন।’

এদিকে, জাফরের অনিয়ম-দুর্নীতির কিছু অভিযোগ নিয়ে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পায়। ওই সময় জাফরের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে গত ৯ মাসেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এবারও জাফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ‘প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে’ বলে জানিয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর উপপরিচালক বেগম সাহান ওয়াজ এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আহ্বায়ক দীপ্তিময় তালুকদার।

বেগম সাহান ওয়াজ বলেন, ‘জাফরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে শুনেছি। যেহেতু তিনি জেলা পরিষদের অধীনে, তাই জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কোনো কিছু করার নেই। তবে জাফরের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’


শাহরুখ-সালমান নয়, সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতা কে জানেন?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ভারতীয় দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অভূতপূর্ব সাফল্য ও জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী। অনেক ক্ষেত্রেই বলিউডকেও ছাপিয়ে গেছে। তেলেগু, তামিল, কন্নড় ও মালয়ালম-এই চার ভাষার সিনেমা কেবল ঘরোয়া দর্শক নয়, বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে। চিত্রনাট্যের বৈচিত্র্য, দুর্দান্ত সিনেমাটোগ্রাফি আর শক্তিশালী অভিনয়- সব মিলিয়েই এ সাফল্য। আর সেই সাফল্যের ভাগীদার দক্ষিণের অভিনেতারা, যাদের পারিশ্রমিক আজ বলিউড সুপারস্টারদেরও ছাড়িয়ে গেছে।

দক্ষিণীদের পারিশ্রমিকের দিক থেকে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান, ভাইজানখ্যাত অভিনেতা সালমান খান, মিস্টার পারফেকশনিস্টখ্যাত অভিনেতা আমির খান, বিগবি অমিতাভ বচ্চনের মতো তারকাদের ছাড়িয়ে গেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের একেকটি ছবি রেকর্ড ভেঙেছে- ‘বাহুবলী’, ‘কেজিএফ’, ‘আরআরআর’, ‘পুষ্পা’ থেকে ‘কান্তারা’।

চলুন দেখে নেওয়া যাক, ২০২৫ সালে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির তারকা কারা-

১. আল্লু অর্জুন

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্টির (তেলেগু) সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ দিয়ে ঘরে ঘরে পরিচিত নাম হয়ে ওঠেন। এর সিক্যুয়েল ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ গত বছর মাত্র ১৩ দিনে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ৪০০ কোটির বেশি আয় করেছে, যা শুধু ভারতে ৯৫৩ কোটি রুপি। বর্তমানে তার পারিশ্রমিক প্রায় ৩০০ কোটি রুপি, যা কেবল দক্ষিণী নয়, পুরো ভারতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে ‘গঙ্গোত্রি’ দিয়ে যাত্রা শুরু করা আল্লু অর্জুনের ঝুলিতে আছে ছয়টি ফিল্মফেয়ার, তিনটি নান্দী আর একটি জাতীয় পুরস্কার।

২. বিজয় থালাপতি

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির (তামিল) জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় থালাপতি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা। একেকটি সিনেমার জন্য তিনি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ২৭৫ কোটি রুপি। বর্তমানে রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত বিজয়।

প্রসঙ্গত বিজয়ের প্রথম তামিল সিনেমা ছিল ‘ঘিল্লি’ (২০০৪), যা ৫০ কোটির ঘর পেরোয়। ‘থিরুপাচ্চি’, ‘পোক্কিরি’ তাকে শীর্ষনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। সাম্প্রতিক ব্লকবাস্টার ‘লিও’ ও ‘গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’ তার ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য।

৩. রজনীকান্ত

দক্ষিণী সিনেমার সর্বকালের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার রজনীকান্ত। সত্তরোর্ধ্ব বয়সেও তিনি মহানায়ক। পারিশ্রমিকের দিক থেকে তিনি তৃতীয়। প্রতিটি সিনেমায় তার পারিশ্রমিক ১২৫ থেকে ২৭০ কোটি রুপি। ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে ১৭০টির বেশি সিনেমা অভিনয় করেছেন রজনীকান্ত। তার সাম্প্রতিক সিনেমা ‘কুলি’ আয় করেছে ৫০০ কোটির বেশি রুপি। প্রসঙ্গত দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, পদ্ম বিভূষণসহ বহু সম্মাননা পেয়েছেন রজনীকান্ত।

৪. প্রভাস

‘বাহুবলী’ ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিত প্রভাস পারিশ্রমিকপ্রাপ্তদের চতুর্থ। প্রতিটি ছবির জন্য ১০০ থেকে ২০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন। তার হিট সিনেমার তালিকায় আছে ‘ডার্লিং’, ‘মিস্টার পারফেক্ট’, ‘সালার’ ও ‘কাল্কি ২৮৯৮ এডি’। প্রভাসই একমাত্র ভারতীয় অভিনেতা, যার ছয়টি সিনেমা মুক্তির শুরুতেই বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটির বেশি আয় করেছে।

৫. অজিত কুমার

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির (তামিল) অন্যতম সুপারস্টার অজিত কুমার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৬১টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। একেকটি সিনেমার জন্য তিনি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ১০৫ থেকে ১৬৫ কোটি রুপি।

প্রসঙ্গত ‘ভারালারু’, ‘বিলা’, ‘কিরিদম’, ‘মঙ্কথা’ তার জনপ্রিয় সিনেমা। তিনবার ফিল্মফেয়ার সাউথ ও তিনবার তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন অজিত কুমার।

৬. কমল হাসান

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির (তামিল) কিংবদন্তি অভিনেতা কমল হাসান একাধারে হিন্দি, বাংলা, তেলেগু, কন্নড় ও মালয়ালম- সব ভাষাতেই কাজ করেছেন। প্রতি সিনেমায় তিনি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ১০০ থেকে ১৫০ কোটি রুপি। ২২০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত ‘মুন্দ্রাম পিরাই, ‘সাগর সঙ্গম’, ‘নায়কন’, ‘পুষ্পক বিমানা’, ‘দশাবতারম’, ‘বিশ্বরূপম’, ‘কাল্কি ২৮৯৮ এডি’ তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা।

৭. রাম চরণ

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ‘আরআরআর’ দিয়ে বিশ্বজুড়ে পরিচিত রাম চরণ বর্তমানে নিচ্ছেন ১০০ থেকে ১৩০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক। তার ঝুলিতে আছে চারটি ফিল্মফেয়ার ও দুটি নান্দী পুরস্কার।

৮. মহেশ বাবু

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির (তেলেগু) ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা মহেশ বাবু। এ অভিনেতা এখন পর্যন্ত ২৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটি সিনেমার জন্য তিনি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ৮০ থেকে ১০০ কোটি রুপি।

প্রসঙ্গত ওক্কাডু’, ‘অথাডু’, ‘বিজনেসম্যান’, ‘ভরৎ আনে নেনু’ ও ‘সরকারু ভারি পাটা’ তার সুপারহিট সিনেমা। পাঁচবার ফিল্মফেয়ার, ৯ বার নান্দী ও চারবার সাইমা পুরস্কার পেয়েছেন মহেশ বাবু।

৯. সুরিয়া

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির (তামিল) জনপ্রিয় নায়ক সুরিয়া। তিনি একেকটি সিনেমার জন্য পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ৩৯ কোটি রুপি। প্রসঙ্গত ‘খাখা খাখা’, ‘গজনি’, ‘আয়ান’—সবই তার সাফল্যের প্রমাণ। দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ছয়টি ফিল্মফেয়ার সাউথ জিতেছেন তিনি।

১০. ধানুশ

দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির (তামিল) আয়ের বিবেচনায় ধানুশ ১০ নম্বর স্থানে আছেন। তামিলের বহুমুখী অভিনেতা ধানুশ প্রতিটি সিনেমায় পাচ্ছেন ৩৫ কোটি রুপি। ৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

প্রসঙ্গত বলিউডে ‘রানাঝানা’ দিয়েও সাড়া ফেলেছেন। তার গাওয়া গান ‘হোয়াই দিস কোলাভেরি ডি’ ইউটিউবে প্রথম ভারতীয় ভিডিও হিসেবে ১০ কোটির বেশি ভিউ পায়। চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটবার ফিল্মফেয়ার সাউথসহ বহু সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। এখন তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাণ ও প্রযোজনা নিয়েও ব্যস্ত।


ভাড়া বাসা থেকে মাসহ দুই শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ পৌরসভার একটি ভাড়াবাসা থেকে মাসহ দুই শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বান্দুটিয়া এলাকার কবি মহিদুর সড়কের একটি ভাড়া বাসার ভিতর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের ধারণা বিষ পানের মাধ্যমে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন, হরিরামপুরের আন্দারমানিক এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী শাহীন দেওয়ানের স্ত্রী শেখা আক্তার (২৯), তার ৩ বছরের শিশু কন্যা সাইফা ও ৯ বছরের শিশু পুত্র আলভী।

বাড়ির মালিকের ছোট ভাই মুহতামিম জানান, আমার ভাই ও ভাড়াটিয়াদের মাধ্যমে গত মাসের ১৫ তারিখ মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বান্দুটিয়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেয় শাহীন দেওয়ান। এরপর স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সেখানে একদিন থেকে প্রবাসে চলে যান শাহীন দেওয়ান।এর কয়েকদিন পর শাহীন দেওয়ানের স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যান এবং বেড়ানো শেষ করে বাসায় ফিরে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধু করে দেয়। তারপর থেকে ঘরের দরজা না খোলায় মঙ্গলবার বাড়ির মালিককে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ির মালিকের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করা হলে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে খাট থেকে শেখা আক্তার ও মেঝে থেকে অবস্থায় শিশু কন্যা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে।

মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ইয়াসমীন খাতুন জানান, খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সাথে বিষ পানের মাধ্যমে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আটোয়ারীতে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

দুর্গাপূজা উপলক্ষে আটোয়ারী উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য

রাখেন, আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (অ.দা.), বর্ষালুপাড়া ও গিরাগাঁও বিওপি’র বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ও টিআই, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি, আটোয়ারী সাবজোন অফিসের এজিএম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ, বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা সভাপতি, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র নেতা,উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ। এছাড়াও সভায় বিভিন্ন দুর্গামণ্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ মতামত প্রদান করেন।

সভায় বক্তারা আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ, যানজট নিরসন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান তার বক্তব্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা আমাদের সমাজের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। দুর্গাপূজাকে সাফল্যমন্ডিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। পূজামনণ্ডপগুলোতে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

সভাশেষে উপজেলার ৩০টি সার্বজনীন পূজামণ্ডপের অনুকূলে ৫০০ কেজি করে জি আর চাল এর ডিও বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। এ বছর আটোয়ারী উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ৩০টি পূজা মন্ডপে দুগোর্ৎসব অনুষ্ঠিত হবে।


ইভটিজিং প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের অঙ্গিকার

ইভটিজিং প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে শিক্ষার্থীরা। ছবি দৈনিক বাংলা।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

ইভটিজিং প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের সংগঠন সুনামগঞ্জ জনউদ্যোগের আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ক্যাম্পইন অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টুর সভাপতিত্বে ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাপস শীল, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইনছান মিঞা, সুনামগঞ্জ মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য্য, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।

ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ইভটিজিং বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত কার্ড তুলে ধরেন। এসময় ইভটিজিংমুক্ত সমাজ গঠনে শিক্ষার্থীরা নিজেকে নিয়োজিত রাখার অঙ্গিকার করেন।

ক্যাম্পেইনে বক্তারা বলেন, ইভটিজিংয়ের শিকার নারী হয়রানির কারণে আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। সে নিজেকে অসহায় ও নিরাপত্তাহীন বোধ করে। অনেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন, হতাশায় ভোগেন। মেয়েরা ইভটিজিংয়ের ভয়ে স্কুল, কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে শিক্ষাজীবন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একজন মেয়ে যদি প্রতিদিন রাস্তাঘাটে কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উত্ত্যক্ত হন, তবে তার পরিবারের উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ে। অনেক পরিবার বাধ্য হয় মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়ে কম বয়সে বিয়ে দেয়। এতে সমাজে নারীশিক্ষার হার কমে যায় এবং বাল্যবিয়ের প্রবণতা বাড়ে। তাই শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং প্রতিরোধে নিজে ও অন্যকে সচেতন করার আহ্বান জানান বক্তারা।

শেষে বিদ্যালয়েল সকল শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং প্রতিরোধে শপথ বাক্য পাঠ করান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাপস শীল। এসময় বিদ্যালয়ের প্রায় সাতশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচির সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান আসাদ।


দৈনিক বাংলায় সংবাদ প্রকাশের পর ঘাঘর নদীর বাঁধ অপসারণ

কোটালীপাড়া ইউএনও মাসুম বিল্লাহ’র নির্দেশে কোটালীপাড়া-গোপালগঞ্জ খালের বাঁধ অপসারণ করা হয় 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

দৈনিক বাংলায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে কোটালীপাড়া-গোপালগঞ্জ খালের ঘাঘর মুখে থাকা বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ উপস্থিত থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় খালের এই বাঁধ অপসারণ করেন। এ সময় কোটালীপাড়া থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিয়ার রহমান হাওলাদার ও বাঁধ স্থাপনকারী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা ব্যয়ে পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ খাল খনন শুরু হয় গত বছরের ১ আগস্ট থেকে। কাজের সমাপ্তি হবে ২০২৭ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর। আতাউর রহমান খান লিমিটেড নামে বগুড়ার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালটি খননের লক্ষ্যে ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ দেয় এক বছর আগে। বর্ষা মৌসুম থাকায় খাল খননের কাজ এখন বন্ধ থাকলেও বাঁধ অপসারণ না করায় খাল দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে যায়। খালে বাঁধ থাকায় আসন্ন দুর্গাপূজায় বিজয়াদশমীর দিনে ঘাঘর নদীতে প্রতীমা বির্সজন নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।

বিষয়টি নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক বাংলায় `ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ অপসারণের দাবি ‘শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ বাঁধটি অপসারণের উদ্যোগ নেন।

উপজেলার তারাশী কর্মকার বাড়ি সর্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপের সভাপতি গোশাই কর্মকার বলেন, বাঁধটি অপসারণ করায় প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে আমাদের যে শঙ্কা ছিল তা দূর হয়েছে। এজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দৈনিক বাংলাকে ধন্যবাদ জানাই।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম বিল্লাহ বলেন, খালটিতে বাঁধ থাকার কারনে প্রতীমা বির্সজনে প্রতিবন্ধকতা হতে পারে এই সংবাদ পাওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ অপসারনের ব্যবস্থা করেছি। আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয় সে লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।


ঘিওরে ডাকাতদের হাতে গৃহবধূ খুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ)  প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের ঘিওরে ডাকাতদের হামলায় রাশিদা বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের পশ্চিম বাইলজুড়ী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে একদল ডাকাত গ্রামে প্রবেশ করে আমির মাস্টারের পাশের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা ঘরে থাকা রাশিদা বেগমকে হত্যা করে স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

পয়লা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল লতিফ বলেন, ‘ডাকাতরা ঘরে ঢোকে লুটপাট চালায়। এ সময় গৃহবধূ রাশিদা বেগমকে হত্যা করে।

তিনি আরও জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে রাশিদার স্বামী নকুমুদ্দিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পরে জীবিকার তাগিদে তিনি জর্ডান যান এবং দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে প্রায় এক দশক আগে দেশে ফিরে আসেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমুরিয়ায় হলেও সাত বছর আগে পশ্চিম বাইলজুড়ী গ্রামে নিজ বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন।

রাশিদার একমাত্র মেয়ে তাসলিমা বর্তমানে জর্ডানে অবস্থান করছেন। গ্রামে তিনি একাই থাকতেন। তবে ঘটনার রাতে তার ভাইয়ের মেয়ে ও নাতি বেড়াতে এসে পাশের ঘরে ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াসমিন খাতুন বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। মরদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


প্রকল্পের স্থীরচিত্র ও রেজুলেশন দেখিয়ে মেম্বারদের অপপ্রচারের প্রতিবাদ ইউপি চেয়ারম্যানের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মেম্বারদের অনাস্থা ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে কুটুমবাড়ি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রতিবাদ ও সাংবাদিক সম্মেলনে ফজলুল হক মাখন জানান, দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হবার পর আমি স্বৈরাচারী ও ক্ষমতাধর হয়ে গেছি বলে মেম্বাররা যা উপস্থাপন করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

মেম্বাররা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করে অনাস্থা জানিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। যারা অনাস্থা জানিয়েছে তাদের ১০ জন মেম্বারই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামী লীগের আমলেও তারা আমাকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করেছেন। তিনি বলেন, প্রতি অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদে যে বরাদ্দ আসে তা যথাযথ নিয়ম ও সংখ্যা গরিষ্ঠ ইউপি সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতেই বাস্তবায়ন করা হয়। এসময় তিনি সাংবাকদিরকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বারদের উপস্থিতিতে ধারণ করা কাজের স্থির চিত্র ও রেজুলেশন দেখান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফজলুল হক মাখন জানান, সম্প্রতি ৭ নং ওয়ার্ডের বিএনপিপন্থী ইউপি সদস্য সেলিমকে টি আর এর আওতায় নিশ্চিন্তপুর ঈদগাহ মাঠের মিনার নির্মানে ৩ লাখ টাকার প্রকল্প দিলে প্রথম কিস্তির ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে দ্বিতীয় কিস্তির সমুদেয় টাকা নিজের কাছে রেখে দেয়।
অবশিষ্ট টাকা কমিটির হাতে বুজিয়ে দিতে বলা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। যার প্রেক্ষিতে আওয়ামী পন্থি মেম্বারদের নিয়ে ইউএনও বরাবর মিথ্যা অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন, ওলামা দলের নেতা মাওলানা আঃ বাছেদ, সাবেক ইউপি সদস্য সুরুজ মিয়া, শাহজাহান মাষ্টার প্রমূখ।

এর আগে নাগরিক সমাজের ব্যানারে স্থানীয় জনতা চেয়ারম্যানকে অনাস্থা জানানো আওয়ামী পন্থি মেম্বারদেরকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে উপজেলা সদরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

উল্লেখ্য গত ২২ সেপ্টেম্বর সকালে বাকতা ইউনিয়নের ১১ জন ইউপি সদস্য মিলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে উপজেলা সদরের হেলাল কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে নানান আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়।


বিএনপি ক্ষমতায় গেলে উন্নয়নে বৈষম্য রাখবো না: ডা. প্রিয়াঙ্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেত্রী, শেরপুর-১ সদর আসনের ২০১৮ সালের বিএনপির এমপি প্রার্থী ও আলোচিত নেত্রী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এবং আমি যদি এমপি নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে অনুন্নত এলাকাগুলোতে উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিব। তবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য করবো না। একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে সমানতালে উন্নয়ন করা হবে। পিছেয়ে পড়া চরাঞ্চলের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হবে। স্বাস্থ্যখাতে যে অব্যবস্থাপনা আছে তা দূর করে জনগণের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। নারীদের কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষনসহ সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নে ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষে

জনসমর্থন বাড়াতে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন। ২২ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত শেরপুর সদরের চরশেরপুর ইউনিয়নের নিমতলা মাদ্রাসা, নাগপাড়া বাজার ও যোগিনীমুরা জেডিএস মোড়ে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচীর লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ এবং পথসভা করেন।

ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা আরো বলেন, চরশেরপুর ইউনিয়নে বিএনপির প্রচুর সমর্থন রয়েছে। নির্বাচিত হতে পারলে উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে থাকা এ ইউনিয়নে উন্নয়ন করা হবে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে মানুষ আমাকে সমর্থন করেছিল। আমরা জনগণের কাছে যাচ্ছি। জনগণের দু:খ কষ্টের কথা আমরা বুঝি। কিন্তু পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণ কাকে ভোট দিবে আর এমপি কে হবে?

তারা জনগণের ভাষা বুঝবেনা। কাজেই জনগন পিআর চায়না। পথসভা ও গণসংযোগে শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম শিপনসহ বিএনপি, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসেম সিদ্দিকী বাবু, সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান উজ্জলসহ বিএনপি ও অঙ্গ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশে শিল্পীদের কদর কোনোদিন ছিল না: সাবিনা ইয়াসমিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বাংলাদেশে শিল্পীদের কদর কোনোদিন ছিল না, এখনো নেই- এমনই মন্তব্য করেছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন।

তিনি বলেন, ‘যারা রাষ্ট্র চালাচ্ছেন তারা যদি গানবাজনার কিছু না বোঝেন, মূল্য না দেন তাহলে তো আমাদের (শিল্পী) করার কিছু নেই। জোর করে কিছু হবে না।’

গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের একটি স্টুডিওতে নতুন গান রেকর্ডিং অনুষ্ঠানে সাবিনা ইয়াসমিন এসব কথা বলেন।

দেশের জনপ্রিয় এই গায়িকা আরো বলেন, ‘লতা মঙ্গেশকরের পা ধরে প্রণাম করেন মোদি (নরেন্দ্র মোদি), কিন্তু এদেশ শিল্পীর কদর করে না। তারা সম্মান জানিয়ে গানকে কোথায় নিয়ে গেছেন বলে বোঝাতে পারব না। কিন্তু আমাদের দেশে সরকারিভাবে সেটা কখনো পেয়েছি? কত বড় বড় শিল্পী ছিলেন আমাদের মাঝে। বিশেষ করে পুরুষ শিল্পীদের তো কেউ নেই।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমাদের এন্ড্রু কিশোর, সুবীর নন্দীর মতো এত ভালো শিল্পী ছিল, তাদের কিছু কিছু গান তো আর্কাইভ করে রাখা যেত। এগুলোর কথা তো কেউ চিন্তা করে না। সবশেষ ফরিদা পারভীন নিভৃতে চলে গেলেন, তার মতো শিল্পী কি আর আসবে? এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।’

চলচ্চিত্রের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান এই কিংবদন্তি শিল্পী। ব্যক্তিগত আক্ষেপ না থাকলেও শিল্পীদের গানের রয়্যালিটি প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘অন্যান্য দেশে থাকলেও আমাদের এখানে গানের রয়্যালিটির সুব্যবস্থা নেই। সরকার এদিকে সুদৃষ্টি না দিলে ঠিক হবে না। আবদুল আলীম, রহমান বয়াতি থেকে বহু শিল্পীর পরিবার রয়্যালিটি পেলে অনেক ভালো থাকতেন। যদি এই সিস্টেমটা ঠিক হতো তাহলে শিল্পীরা ভবিষ্যৎ নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারতো।


বেনাপোলে আড়াই কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ, আটক ২

বেনাপোলে কাগজপত্রবিহীন আটক করা ভারতীয় পণ্য।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি

কার্গো ট্রাকসহ বিপুল পরিমাণের ভারতীয় শাড়ী, থ্রি পিচ, ওষুধ, মোটর সাইকেলের টায়ার এবং বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী আটক করেছে বিজিবি। গত সোমবার রাতে এসব পণ্য আটক করা হয়েছে।

বিজিবি জানান, গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক, লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, এসপিপি, পিএসসি এর সার্বিক দিক নিদের্শনায় ভারতীয় চোরাচালানী পণ্য পাচার রোধে বেনাপোল বিওপি হতে একটি বিশেষ চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। বেনাপোল বাইপাস সড়ক থেকে মাগুরা কার্গো সার্ভিসের একটি কার্গো ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২২-৭৫৬৬) তল্লাশীর জন্য থামানো হয়। পরবর্তীতে ট্রাকটিতে অবৈধ মালামাল বহন করতে পারে মর্মে সন্দেহ হলে ট্রাকটি তল্লাশীর জন্য বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে আনা হয়। কার্গো ট্রাকটি তল্লাশি করে ট্রাকের ভেতর হতে ভারতীয় শাড়ী ১৪৭৬ টি, থ্রী পিচ ২১৫ টি, মোটর সাইকেলের টায়ার ২টি, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ১০৬৯৩ টি, কার্গো ট্রাক ১টি এবং ৭৪৪৫৫টি বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রীর বৈধ কাগজপত্র না থাকায় জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্য ২ কোটি ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৩০ টাকা।

আটককৃত চালক ও হেলপার জানান, বেনাপোল নামাজ গ্রামের বিল্লালের সাথে ২০ হাজার টাকা চুক্তির বিনিময়ে উক্ত মালামালগুলো বেনাপোল থেকে ঢাকা, মিপরপুর পাচার করার উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ট্রাকের সাথে থাকা আ. মালেক ও অন্তর কর্মকার নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

যশোর ৪৯বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, জানান, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারত হতে কাগজপত্রবিহীন মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। আটককৃত ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ী, থ্রি পিচ, ওষুধ, বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।


মীরসরাইয়ে ছাত্রদলের ৩ নেতাকে বহিষ্কার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

মীরসরাইয়ে ছাত্রদলের ৩ নেতাকে বহিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন, মীরসরাই পৌরসভা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইনজামামুল হক ইমন, নিজামপুর কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শামীম হোসেন এবং উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকার।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রদলের তিন নেতাকে প্রাথমিক সদস্যসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন রুবেল, ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবে না। ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে কোনোরূপ বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ওই বিষয়ে কোনোরূপ শৈথিল্য না দেখিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে।’

সম্প্রতি বহিষ্কার হওয়া মীরসরাই পৌরসভা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইনজামামুল হক ইমন জানান, এই বহিষ্কার আদেশ ষড়যন্ত্র করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। গত রোববার সকালে নিজামপুর কলেজে ২৪ ও ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সে ঘটনাকে পরবর্তীতে রাজনীতিতে রূপ নেয়। দুপুরে দমদমা এলাকায় এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে আসায় বিকেলে ছাত্রদলের দুগ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এরপর সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় (বাজি) ল্যাঞ্চার দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুরো বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহিষ্কৃত হওয়া ছাত্রদলের তিন নেতা বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান গ্রুপের রাজনীতি করতে বলে জানা গেছে।


জীবন যুদ্ধে হার মানেনি সখীপুরের আ. গণি মিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বুড়িচালা গ্রামের আ. গণি মিয়া (৬৭)। ১৮ বছর আগে দুটি চোখই অন্ধ হয়ে যায় তার। হতদরিদ্র্য আ. গণি মিয়া চোখের চিকিৎসা করাতে না পারায় এক পর্যায়ে অন্ধত্ব বরণ করতে হয় তাকে।

তবে জীবনযুদ্ধে হার মানেননি তিনি। চোখে দেখতে না পেলেও নিপুণ হাতের মননশীলতার ছোঁয়ায় করে চলেছেন বাঁশ ও বেতের কাজ। তৈরি করছেন কুলা, চাটাই, টুকরি, টেপারি,ডালা, চালুনিসহ বাঁশ ও বেতের নানান জিনিস। প্রতিদিন সামান্য আয় দিয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করেন তিনি।

জীবন সংগ্রামে অদম্য লড়াকু আ. গণি মিয়াকে দেখে অনেকেই হতচকিত হয়ে পড়েন। প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর কঠোর পরিশ্রমে আ. গণি মিয়া হাল ধরেছেন সংসারের। হস্ত ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের এই কাজে তাকে সহযোগিতা করার মতো কেউ নেই। পাশে থাকেন বহু দিন ধরে প্যারালাইজড হওয়া শয্যাশায়ী স্ত্রী হাউসী বেগম (৬২) ।

দৃষ্টিহীন হয়েও গণি মিয়া ভিক্ষা করতে চাননি কখনো। ১৮ বছর আগে হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি। পৃথিবীর আলো দেখা বন্ধ হলেও থেমে নেই তার জীবনযুদ্ধ।

জঙ্গল থেকে বাঁশ কুড়িয়ে আনেন, ইশারায় কেটে চিরে বানান কুলা, টেপারি আর ঝুড়ি। প্রতিদিন আলিশার বাজারে বসে সেগুলো বিক্রি করেন। কাজ করার ফাঁকে গেয়ে ওঠেন ধর্মীয় গজল কিংবা গান- কেউ শোনে, কেউ পাশে বসে থাকে। হয়তো এটুকুই তার বেঁচে থাকার আনন্দ।

দিনশেষে হাতে আসে মাত্র ৭০–৮০ টাকা। সেই টাকায় চলে দুই বুড়ো মানুষের খাবার, ওষুধ আর নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ। সংসারে দুই ছেলে থাকলেও তারা প্রবাসে গিয়ে ভুলে গেছেন বাবা-মায়ের কষ্টের কথা। আর্থিক সহায়তা নেই, খোঁজখবরও নেই নিয়মিত। তবুও অভিমান গোপন করে মেনে নিয়েছেন জীবনের কঠিন বাস্তবতা।

প্রতিবেশী জাকির হোসেন বলেন, গণি ভাই অনেক পরিশ্রমী মানুষ। চোখে দেখতে পান না, কিন্তু মনের চোখে আলো খুঁজে পান। কখনো কারো কাছে হাত পাতেন না। বাঁশ কেটে কুলা বানিয়ে বাজারে বিক্রি করেই সংসার চালান। তবে স্ত্রী অসুস্থ থাকায় কষ্টটা বেড়েছে অনেক।

এলাকাবাসী মাঝে মাঝে সাহায্যের হাত বাড়ালেও তা যথেষ্ট নয়। সামান্য সরকারি সহযোগিতা কিংবা কোনো বিত্তবান মানুষের সহায়তা পেলেই হয়তো এই দম্পতির জীবনে একটু স্বস্তি ফিরতে পারে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ জানান, ‘গণি মিয়াকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। তার মতো দৃষ্টিহীন মানুষ এত কষ্টের মধ্যেও হস্তশিল্প তৈরি করছেন- এটি নিঃসন্দেহে অনুকরণীয় উদাহরণ।’


দুর্গোৎসব ঘিরে নড়াইলে জমে ওঠেছে কেনাকাটা

সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
নড়াইল শহরের বিপনিবিতানে কেনাকাটা করছেন।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলে জমে ওঠেছে শারদীয় দুর্গোৎসবের বাজার। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার থাকায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করছেন ক্রেতা সাধারণ। এবার মেয়েদের কাছে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে পাকিস্তানের তৈরি পোশাক সারারা, লেহেঙ্গা।

দুপুরের পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্রেতা সাধারণ প্রতিদিন শহরের রূপগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন বিপনিবিতানগুলোতে কেনাকাটার জন্য ভিড় করছেন। সঙ্গে নিচ্ছেন ছেলে-মেয়েদেরও পোশাক। তাদের পছন্দের পোশাক কেনাকাটা করছেন।

অনেক ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ গত বছরের তুলনায় এবারের পূজার বাজার দর একটু বেশি। দোকানিরা এ কথা স্বীকার করে বলছেন বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেচাকেনা করতে হচ্ছে। তবুও বেচাকেনা বেশ ভালো।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি পূজামণ্ডপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা হয়েছে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। সম্মিলিত সহযোগিতায় এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হবে। ওই সভায় বেশিরভাগ পূজামণ্ডপের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত পূজায় মেয়েদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ছিল ভারতের কিরণমালা এবং বাজিরাও। তারও আগে ছিল পাখি। আর এবার বাজার মাতাচ্ছে সারারা ও লেহেঙ্গা। এছাড়া ক্যাবাচি, শিপন, আফগানি নামের পাকিস্তানি থ্রি-পিসও তরুণীদের নজর কেড়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম তরুণদের বেলায়। তাদের পছন্দ দেশীয় পাঞ্জাবি। এর মধ্যে লিমিট ও আড়ংয়ের পাঞ্জাবিগুলো রয়েছে পছন্দের শীর্ষে। তবে প্যান্টের বাজারে রয়েছে জিন্স, থাই, চায়না ও ফরমালের প্রচুর চাহিদা।

শহরের রূপগঞ্জ বাণিজ্যিক এলাকার গার্মেন্ট মালিক দীপক কুমার জানান, নতুনত্বের ছোঁয়া এসেছে পূজার বাজারে। মেয়েদের জন্য নামীদামি পোশাকের ছড়াছড়ি রয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানি পোশাকগুলো সর্বনিম্ন দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা দামের পোশাক কিনছেন মেয়েরা।

শহরের আলতাপ হোসেন, ভূইয়া শপিংমলসহ শুভেচ্ছা ফ্যাশন, নিউ ফ্যাশন পয়েন্ট, সোনলী বস্ত্রালয়, আল-আমিন বস্ত্রালয়, বাংলাদেশ বস্ত্রালয় ঘুরে দেখা গেছে, পূজার কেনাকাটা করতে প্রচুর ভিড় জমেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন জুতা, জুয়েলারি, কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতাসাধারণ।

জুয়েলারি দোকানগুলোতে ভিড় নেই বললেই চলে। দিলীপ জুয়েলার্সের মালিক দিলীপ কুমার বলেন, ঈদের বাজার মন্দা। তেমন বিক্রি হচ্ছে না। আল-আমিন বস্ত্রালয়ের মালিক আবুল কালাম, সোনালী বস্ত্রালয়ের মালিক অবতার কুমার বলেন, জামদানী ও কাতানের পাশাপাশি দেশি প্রিন্টের শাড়িও চাহিদাও রয়েছে। বেচাকেনা মুটামুটি চলছে।

নড়াইলের নবাগত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়। এটি আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতীক। তিনি পূজা উদযাপন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান। এ জন্য প্রতিটি থানা এবং পুলিশ ফাঁড়িকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুর্গোৎসবকে নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সমস্ত জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। প্রতিটি মণ্ডপে আনছার (পুরুষ ও মহিলা) পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ থাকছে। এর পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স ‍হিসেবে থাকছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।


banner close