বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

পদ্মা সেতুর হাওয়ায় বদলে গেছে মোংলা বন্দর

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আবু হোসাইন সুমন, মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত
আবু হোসাইন সুমন, মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০২৩ ১৩:৪৫

পদ্মা সেতু যেন আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য। এ সেতু চালু হওয়ার পর থেকে মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ আশপাশ এলাকাজুড়ে নতুন করে শুরু হয়েছে উন্নয়নের এক মহাযজ্ঞ। এতে সেতুর ওপর যেমন বেড়েছে যান চলাচল, তেমনি এ বন্দরে বেড়েছে কর্মব্যস্ততাও। গতি এসেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে। সেতুর সুফলে এ বন্দর হয়ে পোশাকপণ্য যাচ্ছে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে। এছাড়া বন্দরের আশপাশে এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন শিল্প কারখানা। এতে মোংলা বন্দর ঘিরে খুলে গেছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত।

চাপ সামলাতে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে বন্দর ব্যবহারকারীদের জরুরি বার্তা সেবা বা ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের উন্নয়ন, সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন, কন্টেইনার ইয়ার্ড সংস্কার, চ্যানেলের ২৩ কিলোমিটার ড্রেজিং ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নসহ নানা ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এগিয়ে চলছে।

গত বছরের ২৫ জুন ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়। এরপর এ সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয় ২৬ জুন। সেতুটি চালুর মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে সূচনা হয় নতুন এক অধ্যায়ের। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে খুলে যায় অর্থনীতির নতুন দুয়ার। পাল্টে যায় এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমানও।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান জানান, প্রতিবেশী ভারত, নেপাল ও ভুটানকে মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হতে যাচ্ছে এ বন্দর। এছাড়া এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে পোশাকপণ্য রপ্তানিও শুরু হয়েছে। আগে স্বল্প পরিসরে পোশাকপণ্য রপ্তানি হলেও সেতু চালুর পর থেকে তার পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, সেতুর চালুর পর মোংলা বন্দর থেকে প্রথম পোশাকপণ্য রপ্তানি হয় ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে। এরপর ৭ জুলাই দ্বিতীয় চালান, চলতি বছরের ৫ মে তৃতীয় চালান, ৬ জুন চতুর্থ চালানের পোশাকপণ্য রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া ডেনমার্ক ও গ্রেট ব্রিটেনেও পোশাকপণ্য গেছে সেতু চালুর পর।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নের জন্য আরও নতুন নতুন অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বন্দরের ড্রেজিং ব্যবস্থা উন্নয়নে ৭৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় পশুর চ্যানেলের জয়মনিরঘোল থেকে বন্দর জেটি পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হচ্ছে। চ্যানেলটির ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হলে ৯ দশমিক ৫০ মিটার থেকে ১০ মিটার গভীরতার কন্টেইনারবাহী জাহাজ সরাসরি জেটিতে ভিড়তে পারবে।

তিনি আরও বলেন, বন্দরের কন্টেইনার রাখার স্থান বাড়াতে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কন্টেইনার ইয়ার্ড, যার ধারণক্ষমতা হবে এক হাজার ৫০টি কন্টেইনার। এছাড়া মোংলা বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজে ও বন্দর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। পাশাপাশি বন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য জরুরি বার্তা সেবা কার্যক্রমের উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বন্দর চ্যানেলে প্রবেশ করা প্রতিটি জাহাজ তদারকির পাশাপাশি গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা সহজ হবে।

বন্দরের এ কর্মকর্তা বলেন, ৪৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কাজও এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বন্দরে চলাচলকারী বিভিন্ন বাল্ক, কন্টেইনার, ট্যাংকার ও অন্যান্য জলযান থেকে নিঃসৃত তেল ও পেট্রোলিয়াম বর্জ্যসহ অন্যান্য আর্বজনা সংগ্রহ করা সহজ হবে এবং একই সঙ্গে পশুর চ্যানেল ও বন্দরের আশপাশের নদ-নদীতে বিভিন্ন জাহাজ থেকে নিঃসৃত তেল অপসারণ করাও সহজ হবে। এর ফলে মোংলা বন্দর এলাকায় সামুদ্রিক দূষণ কমানোসহ বন্দর ও চ্যানেল এলাকার পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।

মোংলা বন্দরে আসা বিলাসবহুল গাড়ি। ছবি: দৈনিক বাংলা

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে মোংলা বন্দরের উন্নয়নে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বন্দর উন্নয়নে ছয় হাজার ২৫৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় ১২টি কম্পোনেন্ট থাকবে। এগুলো হচ্ছে বন্দর জেটিতে ১ ও ২ নম্বর কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং ইয়ার্ড নির্মাণ, কন্টেইনার ডেলিভারি ইয়ার্ড নির্মাণ, ইয়ার্ড শেড, নিরাপত্তা দেয়াল, অটোমেশন ও অন্যান্য অবকাঠামোসহ বন্দরের সংরক্ষিত এলাকা সম্প্রসারণ, সার্ভিস ভেসেল জেটি শেড ও অফিস নির্মাণ, বন্দর ভবন (প্রশাসনিক) সম্প্রসারণ, এমপিএ টাওয়ার, পোর্ট রেসিডেনশিয়াল কমপ্লেক্স কমিউনিটি সুবিধাদি নির্মাণ, ইকুইপমেন্ট ইয়ার্ড, ইকুইপমেন্ট শেড ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ একটি পুল নির্মাণ, সিগনাল রেড ক্রসিং ও ওভারপাস নির্মাণ, বিনোদন ব্যবস্থাসহ বাঁধ নির্মাণ এবং পাঁচটি হারবার ক্রাফট ক্রয়।

বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সময় সাশ্রয় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা এখন মোংলা বন্দর ব্যবহারে অনেক বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বর্তমানে মোংলা বন্দরের নিজস্ব জমিতে ১১টি এলপিজি কারখানা, পাঁচটি সিমেন্ট কারখানাসহ আরও ১০ টি শিল্প কলকারখানা রয়েছে। এছাড়া বন্দর এলাকায় ২৫৮ একর জমিতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেপজা) প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এসব শিল্প কারখানার কাঁচামাল মোংলা বন্দরের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে আসছে। ফলে বাণিজ্যিক স্বার্থেই বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

বন্দরের সুবিধাদি বাড়াতে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে উল্লেখ করে মীর এরশাদ আলী বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে মোংলা-খুলনা রেললাইন, রেলসেতু ও রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়ায় মোংলা বন্দরকেন্দ্রিক দেশের শিল্প-বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত সূচিত হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে শুরু করেছে নতুন নতুন শিল্প-কলকারখানা। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে মোংলা বন্দরের প্রতি। এতে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে গোটা বন্দর এলাকা।

মোংলা বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, মোংলা বন্দরকে ঘিরে বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। পদ্মা সেতু থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত ছয় লেনবিশিষ্ট সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন, মোংলা ইপিজেড সম্প্রসারণ, স্পেশাল ইকোনমি জোন স্থাপন, রূপসা নদী ও মোংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিগত জোট সরকার এ বন্দরকে ধ্বংস করতে কোনো উন্নয়ন করেনি। জোট সরকার দুর্নীতি করে এ বন্দরকে শেষ করে দিয়েছিল। ওই সময় বন্দরে কোনো জাহাজ আসতো না। মোংলা মৃত বন্দরে পরিণত হয়েছিল। সেখান থেকে বর্তমান সরকার এ বন্দরকে টেনে তুলেছে। বন্দরকে ঘিরে এখন চারিদিকে শুধু উন্নয়নের ছোঁয়া।

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ও মোংলা বন্দর বার্থ শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন উপদেষ্টা মো. মোস্তাক আহম্মেদ মিঠু, সদস্য এইচ এম দুলাল, জিসান রহমান ভুট্টো, মো. মসিউর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব এখন ১৭০ কিলোমিটার। যেখানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার। এক্ষেত্রে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। এছাড়া মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডেলিং দ্রুত ও নিরাপদ হওয়ায় বিদেশি ব্যবসায়ীরাও এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।


দেবীগঞ্জে নজর কেড়েছে পুলিশ কর্মকর্তার কমলা বাগান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের দূরবর্তী টেপ্রীগঞ্জ এলাকায় কমলা চাষ করে নজর কেড়েছেন সুতপাড়া গ্রামের পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের ও আশপাশের এলাকার পৈতৃক ১০০ শতাংশ জমিতে তিনি প্রায় চার শতাধিক গাছ নিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি পরিপাটি কমলা বাগান।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের তেরপুপাড়া গ্রামের ‘আবরার অরেঞ্জ গার্ডেন’-এ গিয়ে দেখা যায়, জেলার নানা প্রান্ত থেকে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।

দর্শনার্থীরা জানান, কম দামের টাটকা কমলা, নিজ হাতে গাছ থেকে ফল ছিঁড়ে নেওয়ার সুযোগ এবং ছবি তোলার আনন্দই তাদের আগমনের প্রধান কারণ। প্রতিদিনই এখানে মানুষ এসে কমলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও ক্রেতা রাকিবুল ইসলাম রকি জানান, এই কমলাগুলো দেশের বাইরে থেকে আসা কমলার মতোই লাগছে। আমরা এখানে এসে দেখলাম দামও তুলনামূলক কম, এজন্য ভালোই লাগছে।

অপর এক দর্শনার্থী লালচান বাদশা জানান, দাম মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে আছে, আমরা বাগান ঘুরে দেখে ফল ছিঁড়ে খেলাম, মোটামুটি সুস্বাদু আছে।

বাগান পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় জানান, আমি বাগান দেখাশোনা ও পরিচর্যা করি। নভেম্বরের শেষের দিকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি, এখন ২০০/২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে কিনে নিয়ে যায়, আমার বেশ ভালো লাগে।

কমলা চাষে আগ্রহের কারণ ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাগান মালিক রংপুর বিভাগে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (পিবিআই) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি আমার বেশ আগ্রহ ছিল। শৈশবে প্রিয় বইও ছিল কৃষি শিক্ষা, সেখান থেকেই আগ্রহের জন্ম। এরই ধারাবাহিকতায় পরীক্ষামূলকভাবে ২০ শতক জমিতে প্রথম কমলা গাছ লাগাই।

পরে আশানুরূপ সাফল্য পেলে ধীরে ধীরে সহোদরদের নিয়ে প্রায় ১০০ শতক জমিতে কমলার চাষ শুরু করি। এই জাতটি সম্ভবত চায়না ও দেশির মিশ্রণ। আর এই অঞ্চলের মাটি বেলে-দোআঁশ। এখানে পার্শ্ববর্তী দার্জিলিং ও হিমালয়ের আবহাওয়ার সাথে মিল রয়েছে, তাই এখানেও কমলা চাষ হবে বলে মনে হয়েছে।

নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কমলা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, সাথে ভিটামিন সি-এর চাহিদাও পূরণ করছে। আর এখন অনেকেই কমলা চাষে আগ্রহী। কেউ চাইলে আমি গাছের চারা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ বলেন, এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কমলা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সঠিক পরিচর্যা করলে এখানকার চাষিরা ভালো ফলন পাবেন। আমরা নতুন কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিতে সবসময় প্রস্তুত।


বিএসসির জাহাজ বহরে যুক্ত হতে প্রস্তুত নতুন ‘এমভি বাংলার নবযাত্রা’

আগামী সপ্তাহেই ট্রায়াল রান করবে জাহাজটি
আপডেটেড ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৪৩
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চীনে নির্মিত ‘এমভি বাংলার নবযাত্রা’ নামে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) দ্বিতীয় নতুন জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে। বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে কেনা চীনের নানইয়াং শিপইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজটি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সমুদ্রে ট্রায়াল রান শুরু করবে। এতে বিএসসির বিশেষজ্ঞ টিম ও শিপইয়ার্ডের প্রকৌশলীরা অংশ নেবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে পণ্য পরিবহন শুরু করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিএসসির কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৩ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের এমভি বাংলার নবযাত্রার বহন ক্ষমতা ৬৩ হাজার ৫০০ টন। প্রথম জাহাজের মতো দ্বিতীয়টিরও ধারণ ক্ষমতা দৈর্ঘ্য ১৯৯ দশমিক ৯৯ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। জাহাজটি যুক্ত হলে বিএসসির বহরে মোট জাহাজের সংখ্যা পৌঁছাবে সাতটিতে। ২০১৯ সালের পর দীর্ঘ ছয় বছর নতুন জাহাজ কেনায় স্থবিরতা কাটিয়ে এ বছরে দুটি জাহাজ সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রায়ত্ত এ সংস্থা। এর মধ্যে এমভি বাংলার প্রগতি গত মাসেই বহরে যুক্ত হয়ে সেবা দেওয়া শুরু করেছে। দুটি নতুন জাহাজ বছরে ২০০ কোটি টাকার বেশি আয় বাড়াতে পারে। পাশাপাশি পালাক্রমে বছরে অন্তত ১৫০ নাবিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে বিএসসি কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা।

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এবার প্রথমবারের মতো পুরোপুরি নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ কেনা হয়েছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দেখেছি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রাখার চেয়ে জাহাজে বিনিয়োগই লাভজনক। বোর্ড সভায় অনুমোদনের ছয় মাসের মধ্যে দুটি নতুন জাহাজ বহরে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এরই মধ্যে একটি জাহাজ হস্তান্তর করা হয়েছে। আরেকটি শিগগিরই বহরে যুক্ত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দরপত্রে শর্ত দিয়েছিলাম, যারা কার্যাদেশ পাবেন তাদের চুক্তি স্বাক্ষরের ছয় মাসের মধ্যে বিএসসির কাছে জাহাজ হস্তান্তর করতে হবে। আমাদের শর্তের সুফল পাওয়া গেছে। আমরা ছয় মাসের মধ্যে দুটি বৃহদাকারের নতুন জাহাজ বহরে যুক্ত করতে সক্ষম হচ্ছি।’

বিএসসির মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন জামাল হোসাইন তালুকদার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এমভি বাংলার নবযাত্রা’ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সমুদ্রে ট্রায়াল রান শুরু করবে। এতে বিএসসির বিশেষজ্ঞ টিম ও শিপইয়ার্ডের প্রকৌশলীরা অংশ নেবেন। বুঝে নেওয়ার পর যখন জাহাজটি বাণিজ্যিক চার্টারে যুক্ত হওয়ার একসপ্তাহ আগে আমাদের পরবর্তী টিম জাহাজটিতে জয়েন্ট করবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে পণ্য পরিবহন শুরু করবে বলে আশা করছি।’

বিএসসি সূত্র জানায়, প্রতিযোগিতামূলক দর যাচাই করে গত ৩ জুন আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হয়। কারিগরি মূল্যায়নে দুটি প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়। পরে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসির কাছ থেকে ৯৩৬ কোটি টাকায় দুটি জাহাজ কেনার অনুমোদন দেয়। চীনের শিপইয়ার্ডে নির্মিত হলেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে আমেরিকান কোম্পানি হেলেনিক ড্রাই বা ভেঞ্চারস।

এর আগে গত অক্টোবরের শেষের দিকে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে বিএসসি কেনা প্রথম নতুন জাহাজ ‘এমভি বাংলার প্রগতি‘। প্রতিদিন ২০ হাজার ডলারে (অর্থাৎ সাড়ে ২৪ লাখ টাকা) বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি তিন মাসের জন্য ভাড়ায় নেয় হংকংভিত্তিক একটি কোম্পানি। এমভি বাংলার নবযাত্রা যুক্ত হলে বিএসসির বহরে জাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে সাতটিতে। এর মধ্যে তিনটি তেল পরিবহন করা ট্যাংকার এবং ৪টি সাধারণ পণ্য পরিবহনের বাল্ক জাহাজ।

প্রসঙ্গত; ১৯৭২ সালের জুনে ‘এমভি বাংলার দূত’ জাহাজ চালুর মাধ্যমে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের ব্যবসা শুরু করে সরকারি সংস্থা ‘ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন-বিএসসি। ১৯৮২ সালে সংস্থাটির বহরে থাকা জাহাজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭টিতে, যা পরে ৩৮টিতে উন্নীত হয়। এরপর থেকেই সংস্থাটির বহরে জাহাজের সংখ্যা কমতে থাকে। সর্বশেষ ২০১৮ ও ২০১৯ সালে চীন সরকারের অর্থায়নে ১ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকায় ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছিল বিএসসি। এর মধ্যে একটি জাহাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়। পরে ওই জাহাজের বিমা বাবদ বিএসসি বড় অঙ্কের অর্থ পেলেও তার বহরে থাকা জাহাজের সংখ্যা কমে পাঁচটিতে নেমে আসে। নতুন জাহাজ দুটি ছাড়া বিএসসির বহরে যে পাঁচটি জাহাজ রয়েছে, সেগুলো ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কেনা। সংস্থাটির কাছে পুরোনো কোনো জাহাজ নেই।


মাইলস্টোন কলেজে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন ও র‌্যালি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন ও র‌্যালি করেছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাইলস্টোন কলেজ।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও র‌্যালির আয়োজক ছিলেন, ঢাকা মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, উত্তরা অঞ্চল।

র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারী মাইলস্টোন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন বহন করে। মানববন্ধন ও র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক জহিরুল হক, উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি উত্তরা অঞ্চলের সাবেক সভাপতি লে. কর্নেল এম. আব্দুল খালেক (অব.), সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি মো. নাজমুল আলম এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।


জনতা ব্যাংকের ৮৬৭তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

জনতা ব্যাংক পিএলসির ৮৬৭তম বোর্ড সভা গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ব্যাংকের পরিচালক বদরে মুনির ফেরদৌস, ড. মো. আব্দুস সবূর, আব্দুল মজিদ শেখ, আব্দুল আউয়াল সরকার, ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, মো. আহসান কবীর, মো. কাউসার আলম, অধ্যাপক ড. এ এ মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা, মো. ফয়েজ আলম ও মো. আশরাফুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট মহাব্যবস্থাপকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণ আদায়সহ ব্যাংকের অন্যান্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।


জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে আইফোন উপহার নিলেন বরিশালের সানি বেপারী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে নগদে লেনদেন করে আইফোন সেভেন্টিন―প্রো জিতে নিয়েছেন বরিশালের সানি বেপারী। নগদে ফিরে আসা বা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে তিনি এই উপহার জিতেছেন।

সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রতি মিনিটের প্রথম লেনদেনকারী গ্রাহককে ক্যাশব্যাক প্রদান করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ২০০ জনের বেশি গ্রাহক ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেয়েছেন।

পাশাপাশি সারপ্রাইজ রিচার্জ অফারে অংশ নিয়ে বোনাস রিচার্জ পেয়েছেন এক হাজারের বেশি গ্রাহক।

জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে এমন আকর্ষণীয় একটি উপহার পেয়ে সানী বেপারী বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি এরকম একটি পুরস্কার পাব, সেটিও আবার জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের কাছ থেকে। আমি অনেক বেশি আনন্দিত।’

গত ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া নগদের এই ক্যাম্পেইনে নিয়মিত লেনদেন না করা গ্রাহক যদি নগদে ফিরে লেনদেন করেন এবং কেউ নতুন নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করেন, তাদের জন্য থাকছে প্রতিদিন ক্যাশব্যাকসহ রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল ও আইফোনসহ হাজারও পুরস্কার জেতার সুযোগ।


সুনামগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আনসার সদস্যের পাশে ‘আনসার-ভিডিপি’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও গ্রামে ৭ ডিসেম্বর (রোববার) রাত আনুমানিক ৯টায় সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে ইউনিয়ন সহকারী আনসার প্লাটুন কমান্ডার মোঃ সেলিম আহমেদের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

এই ঘটনাটি আনসার-ভিডিপি―র মহাপরিচালকের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ প্রদান করেন। যা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি তাঁর গভীর মানবিকতা ও দায়িত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিচালক অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্টকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশনা দেন। পরে জেলা কমান্ড্যান্ট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে কম্বল ও উইন্টার কোটসহ শীতবস্ত্র বিতরণ করেন এবং বিস্তারিত তথ্য রেঞ্জ সদর দপ্তরে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে রেঞ্জ কমান্ডার বিষয়টি অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও মহাপরিচালক কে অবহিত করলে তাঁরা সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিচালক মোঃ জিয়াউল হাসান, ঘটনাস্থলে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক সহায়তা হিসেবে গৃহনির্মাণে ব্যবহারের জন্য ০২ বান টিন এবং নগদ ৫,০০০ টাকা অনুদান প্রদান করেন। পাশাপাশি, বাহিনীর পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।

বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে এমন সহানুভূতিশীল উদ্যোগ ও দ্রুত সাড়া পেয়ে প্লাটুন কমান্ডার মোঃ সেলিম আহমেদ মহাপরিচালক প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, এ সহায়তা শুধু এক সদস্যের প্রতি নয়, বরং বাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি মহাপরিচালক অকৃত্রিম ভালবাসা ও দায়িত্বশীলতার প্রতীক।


নভেম্বরে ১৬৮ কোটি ৩৮ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানের পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত নভেম্বর-২০২৫ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৬৮ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-২ কেজি ২৬৬.২২ গ্রাম স্বর্ণ, ১২১ গ্রাম রূপা, ১৭,২৩৪টি শাড়ী, ২১,৩৩৮টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ২৭,৪৫০টি তৈরী পোশাক, ৯,৭৪০ মিটার থান কাপড়, ৩,৪০,৩৮০টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৬,৫৬৪ পিস ইমিটেশন গহনা, ১০,০৯,৪২১টি আতশবাজি, ৬,২১৬ ঘনফুট কাঠ, ১,২৮৪ কেজি চা পাতা, ১১,৪৭৯ কেজি সুপারি, ৬৬,৫৪৬ কেজি কয়লা, ১২,৮৯০ ঘনফুট পাথর, ৫৯৭ কেজি সুতা/কারেন্ট/দুয়ারি জাল, ১৫,১৭৮টি প্লাস্টিক/ইলেঃ সামগ্রী, ৪৪৫টি মোবাইল, ১৫,১৪৫টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৭৩,৫৬৪টি চশমা, ৩৭,৬৯০.৫০০ কেজি জিরা, ৪,৯৭০ কেজি চিনি, ১,৬৩,৪৯০ কেজি পিয়াজ, ১,৭৩১ কেজি রসুন, ৪,৬৮০ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ৬,৩২০ কেজি সার, ২,৬৮৪ প্যাকেট কীটনাশক, ৪৮৫ লিটার ডিজেল, ১,৬৮,০২১ পিস চকোলেট, ৮১৯টি গরু/মহিষ, ১৬টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ১৭টি পিকআপ/মহেন্দ্র, ৪টি ট্রাক্টর, ২টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৪টি ট্রলি, ১৭৯টি নৌকা, ৩৮টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৫৪টি মোটরসাইকেল এবং ৩১টি বাইসাইকেল/ভ্যান।

উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৪টি দেশী/দেশীয় পিস্তল, ১টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২টি ম্যাগাজিন, ১৯ রাউন্ড গোলাবারুদ, ২কেজি ৩০০ গ্রাম গান পাউডার, ৩টি মাইন, ৬টি ককটেল এবং ৯টি অন্যান্য অস্ত্র।

এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২০,৫৮,৭৮৯পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৯৩ গ্রাম হেরোইন, ৩,৭১৪ বোতল ফেনসিডিল, ৭,১৭৬ বোতল বিদেশী মদ, ২০৩.৯ লিটার বাংলা মদ, ৬০৮ ক্যান বিয়ার, ১,৫২৬ কেজি ৫০ গ্রাম গাঁজা, ১,১৭,৮৫১ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৫০,৫৮৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩,৪৬৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৮,১৫৬টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৫৬,১২০টি মদ তৈরীর বড়ি, এবং ৭,৬৭,৯২৩ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও অন্যান্য ট্যাবলেট।

সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫৯ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৩৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ০২ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৪০৩ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।


টেকনাফে মিনি ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে হাইওয়ে সড়কে মিনি ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে হ্নীলা আলীখালী রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনা নিশ্চিত করেছে হোয়াইক্যং হাইওয়ে থানা পুলিশ।

নিহতরা হলেন—হ্নীলা মৌলভীবাজার পূর্বপাড়ার মো. সেলিমের ছেলে সিএনজি চালক মো. ফারুক এবং টেকনাফ নাজিরপাড়ার ছৈয়দ নুরের ছেলে ইমান হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।

হোয়াইক্যং হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আবছার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, হ্নীলা থেকে টেকনাফগামী সিএনজি অটোরিকশাটি হাইওয়ে সড়কে পৌঁছালে কক্সবাজারমুখী মাছবোঝাই একটি মিনি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি চালক মো. ফারুক ও যাত্রী মো. ইসমাইল (অনেকে ইমান হোসেন হিসেবে শনাক্ত করেন) ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

ওসি আরও জানান, সংঘর্ষের ধাক্কায় সিএনজিটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ এবং ট্রাকটি জব্দের প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”

স্থানীয়রা জানান, টেকনাফ–কক্সবাজার হাইওয়ে সড়কে অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়া চালনার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা বাড়ছে। তারা সড়কে নিয়মিত নজরদারি ও গতিনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশ মরদেহ দুটি টেকনাফ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানা গেছে।


খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনারগাঁয়ে দোয়া মাহফিল ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দোয়া মাহফিল ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে এই বৃক্ষরোপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সাদিয়া আক্তার মিমের সভাপতিত্বে ও কলেজ ছাত্রদল নেত্রী সাফরিন মৌ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি'র আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ছিলেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের অধ্যাপক মনিরুজ্জামান ভুইয়া লিটন, অধ্যাপক মাহাবুর রহমানসহ অত্র কলেজের শিক্ষক,শিক্ষিকা ও ছাত্রীবৃন্দ।

আলোচনা শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।


ফুলবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উদযাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইউএনও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।

পরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ আমির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, সকল অনাচার ও সমস্যার মূলে রয়েছে দুর্নীতি। তাই দেশকে পুরোপুরি বৈষম্যমুক্ত করতে চাইলে দুর্নীতি নির্মুলের কোন বিকল্প নেই । আর এজন্য সকলকে যার যার অবস্থান থেকে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাগ্রত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাস্টারের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক( তদন্ত) মোখলেছুর রহমান আকন্দ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া, আনসার বিডিপি কর্মকর্তা কুসুম কুমার রায়, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতি শাহিদা পারভীন, সদস্য সাংবাদিক আব্দুল হালিম ও মডেল মসজিদের ইমাম মুফতি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা গড়বে আগামীর শুদ্ধতা স্লোগানে দিবসটি উপলক্ষে পরিষদ প্রাঙ্গনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা প্রশাসন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমণ্ডলী এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।


কুষ্টিয়ায় নকল বিড়ি ও ভারতীয় মদ উদ্ধার 

আপডেটেড ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি।

কুষ্টিয়ায় পৃথক দুটি স্থানে অভিজান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ নকল বিড়ি ও ভারতীয় মদ আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) বিজিবির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনির স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া বাইপাস লালন চত্বর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৪৭ বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদরের একটি টহল দলের অভিযানে পাবনা থেকে পাথরঘাটা অভিমুখী একটি বিআরটিসি বাস তল্লাশি করা হয়। এ সময় বাসের ভেতর থেকে ৪ হাজার ২০০ প্যাকেট অবৈধ নকল বিড়ি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত বিড়ির আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

এর আগে রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে চিলমারী বিওপির একটি নিয়মিত টহল দল চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। সীমান্ত পিলার ১৫৭/২-এস থেকে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মরার পাড়া এলাকায় মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় উৎপাদিত ৪৮ বোতল মদ আটক করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৭২ হাজার টাকা।

বিজিবি জানায়, দুটি অভিযানে উদ্ধারকৃত মালামালের মোট মূল্য ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। মালিকবিহীন অবস্থায় আটককৃত মদ ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন সিজার স্টোরে রাখা হয়েছে এবং নকল বিড়ি বিধি মোতাবেক কাস্টমস অফিসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।


ভেড়ামারায় ‘আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৫’ উদযাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৫ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে।

ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন, জাতীয় মহিলা সংস্থা ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই দিবস পালিত হয়।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা সভা কক্ষে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম।

এতে জাতীয় মহিলা সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসমান আলীর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ফারুক আহমেদ, আইসিটি কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা, মনোজ কুমার ইন্দ্র,উপজেলা বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামসহ জাতীয় মহিলা সংস্থার নতুন পুরাতন ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত ছিলেন।

নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। "অদম্য নারী পুরস্কার" শীর্ষক কার্যক্রমের অদম্য নারী অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন করেছেন যে নারী, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছেন যে নারী, সফল জননী নারীনির্যাতনের দুঃস্বপ্ন মুছে জীবন সংগ্রামে জয়ী নারী, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী ক্যাটাগরীতে বিভিন্ন শাখায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য পাঁচজন নারীকে অদম্য পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন সমাজ উন্নয়নে মোছাঃ আমেনা খাতুন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে ববিতা খাতুন, সফল জননী মোছাঃ আনোয়ারা খাতুন, অর্থনৈতিকভাবে স্বামলম্বী মিমি খাতুন এবং বিভীষিকাময় দুঃশাসন ক্যাটাগরীতে শান্তা খাতুন প্রমুখ।


দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা আশঙ্কার পর সংস্কার কাজে হাত দিল খালেদা জিয়া হল প্রশাসন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নারী শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি প্রথম আবাসিক হল এবং পুরাতন ভবন গুলোর মধ্যে অন্যতম খালেদা জিয়া হল।

ভবন পুরাতন এবং বৈদ্যুতিক লাইনগুলো পুরোনো হওয়ায় শর্ট সার্কিটের কারণে বারবার অগ্নিকান্ডের মত ঘটনা ঘটেছে এই হলে। প্রতিবার আগুন লাগার পর নামমাত্র সংস্কার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের। ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘদিন স্থায়ী সমাধানের দাবি করে আসছে এই হলের ছাত্রীরা।

এবার সেই নিরাপত্তা ঝুঁকি ও আশঙ্কা মুক্ত করতে স্থায়ীভাবে বৈদ্যুতিক সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারমূলক কাজ আরম্ভ হয়েছে বলে জানা গেছে।

হল সূত্রে জানা যায়, বর্তমান হল প্রভোস্ট দায়িত্ব নেয়ার সময় হল ফান্ডে ৭ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। দায়িত্বের এক বছরের মধ্যে তিনি হল ফান্ড থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার কাজ করেছেন। হলের রিডিংরুম সংস্কারে প্রায় ৬ লক্ষ টাকাসহ ওয়াইফাই, গণরুম, সিসিটিভি ক্যামেরায় ব্যয় করেছেন তিনি।

ঐ হলের আবাসিক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলের পুরাতন ব্লকে কয়েকবার আগুন লেগেছে। আমরা সবসময় আতংকে এবং অনিরাপদ থাকি। পুরাতন ব্লকের সংস্কার শুরু হয়েছে। বাইরে হট্টগোল হলেই মনে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। মনে হয় এই বুঝি আগুন লেগেছে। এখন থেকে আর আতংকে থাকতে হবে না। আশা করছি পুরাতন ব্লকের মতো নতুন ব্লকও যেন নিরাপদ করে গড়ে তোলা হয়।’

খালেদা জিয়া হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘খালেদা জিয়া হলে পুরাতন এবং নতুন নামে দুইটি ব্লক আছে। পুরাতন ব্লকের পলেস্তারা এবং বৈদ্যুতিক লাইন খুবই খারাপ। আমি এসে শুনেছি এখানে কয়েকবার শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা হলের ৪র্থ ও ৫ম ফ্লোরে রিপেয়ারের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি বাকি ফ্লোরগুলোতে অতিশীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, পুরাতন ব্লকের ওয়াশরুম এবং বাথরুম ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এগুলো সংস্কারের জন্য বড় বাজেটের দরকার। এজন্য আমি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি। যেহেতু এবিষয়ে কোনো প্রকল্প নেই সেহেতু বিভিন্ন উৎস থেকে ফান্ড যোগাড় করে দিবেন বলে প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে। ফান্ড পেলে আশাকরি দ্রুতই আমরা সমস্যার সমাধান করতে পারবো।’


banner close