রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
২ ভাদ্র ১৪৩২

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সিলেট ব্যুরো
প্রকাশিত
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০২৩ ১৯:৫২

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নাঈমুল হক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। লোকবল নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে আদালত এ আদেশ দেন।

গত ২২ জুন মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ একিউএম নাছির উদ্দীন এই আদেশ দিলেও রোববার বিষয়টি জানাজানি হয়।

গত ২০ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন সাবেক উপাচার্য ও রেজিস্টারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

রোববার বিকেলে সিলেটে দুদকের মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আলী মরতুজা কিবরিয়া জানান, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক।

পিপি জানান, প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় তারা দুজন দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। ফলে দুদকের পক্ষ থেকে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

এদের মধ্যে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি বর্তমানে অবসরে আছেন। দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সমালোচনার মুখে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নাঈমুল হক চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন।

চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টিতে ২০১৮ সালে দেশের চতুর্থ সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পায়। এরপর নগরীর চৌহাট্টায় সিভিল সার্জন কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীকে প্রথম ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অতিরিক্তি পরিচালক (অর্থ) নাঈমুল হক।

দুদকের একটি সূত্র জানায়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন লঙ্ঘন করে বিভিন্ন পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, ইউজিসির অনুমোদিত পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয়। এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করে ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অর্থের বিনিময়ে দেড় শতাধিক জনবল নিয়োগ দেন।

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রমের দিকে মনোযোগ না দিয়ে শীর্ষ দুই কর্মকর্তা লোকবল নিয়োগ দেন।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্য নিয়ে গতবছরের ২৫ অক্টোবর দৈনিক বাংলায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর আরও কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তদন্তে নামে ইউজিসি। ইউজিসির তদন্তে নিয়োগ বাণিজ্যের সত্যতা পাওয়ার পর তদন্তে নামে দুদক।

দুদকের তদন্তেও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে জানিয়ে দুদক সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। আমরা এখন অধিকতর তদন্ত করছি। এরপর মামলা করা হবে।

বিষয়:

পানির দাবীতে রাস্তায় নেমেছে পৌরবাসী, শিঘ্রই সমাধানের আশ্বাস পৌর প্রশাসকের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হাসনাইন তালুকদার দিবস, ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকায় পৌর পানি সরবরাহের সমস্যা গত দু'বছর ধরে। সাবেক মেয়র, বর্তমান প্রশাসক সবার কাছে বহুবার ধন্না ধরেও কোনো লাভ হয়নি। ঐ এলাকার বিকল পাম্প গুলো মেরামতের নেই কোনো উদ্দোগ। এসব কথা জানিয়েছেন সেখানকান (কলাবাগান) বাসিন্দারা।

রোববার ১৭ আগষ্ট সকালে পানির দাবীতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে ৯নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষ। মিছিল ও মানববন্ধন করেছে তারা। বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে। স্মারক লিপিও দিয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবরে।

আন্দোলনরতো ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কলাবাগানবাসী ডিসি বরাবর লিখিত পত্রে উল্লেখ করেছেন, "দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ কলাবাগান এলাকায় পানি সরবরাহের তীব্র সমস্যা থাকায় উক্ত এলাকার

জনগন সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করলেও ইহাতে তারা কোন কর্নপাত করেনাই। বর্তমানে পানির সমস্যার কারনে এলাকাবাসী নিরুপায় হয়ে নদীর পানি ব্যবহার করার কারনে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহীত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।"

এলাকাসীর এই আন্দোলনের মুখপাত্র ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুরাদ হোসেন বলেন, 'নিয়মিত পৌর পানির বিল পরিশোধ করলেও কি কারনে বছরের পর বছর পানির পাম্প অকার্যকর থাকে সে বিষয়ে আমরা বোধগম্য নই। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানির সমস্যা সামাধান করা এখন বাসিন্দাদের দাবী।'

এ সমস্যা কেনো এবং সমাধান কি? এ প্রশ্নের জবাবে পৌর প্রশাসক কাওছার হোসেন মুঠো ফোনে দৈনিক বাংলাকে জানান, 'পৌসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৪টি পাম্প থেকে পানি সরবরাহ করা হতো। কিন্তু পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় ২টি পাম্পে পানি উঠছেনা এবং ১ টি পাম্প থেকে লবনাক্ত পানি ওঠে তাই এই তিনটি পাম্প বন্ধ রয়েছে। ফলে ৯ নং ওয়ার্ডে পানির সংকট বিরাজ করছে। ঝালকাঠি পৌরসভা ৭ জেলা পানি সরবরাহ প্রকল্প ও ২৫ জেলা পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পে ঐ বিষয়ে প্রকল্প প্রেরণ করা হ‌য়ে‌ছে। শীঘ্রই এ প্রকল্প শুরু হলে ঝালকাঠি বাসী এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে ব‌লে আশা কর‌ছি।'


চারঘাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আমিনুল ইসলাম বনি, রাজশাহী ব্যুরো

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী এলাকার জোতকার্তিক বি এন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নিয়োগ বোর্ড না করেই টাকার বিনিময়ে চারটি পদে নিয়োগ দিয়ে এমপিও’র আবেদন করেছে ঐ শিক্ষক। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ঘনিষ্ঠ প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন’র সীমাহীন দুর্নীতির বিচার এবং এমপিও আবেদন বাতিলের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর আবেদন করেছে সাবেক ইউপি সদস্য মো. মকবুল হোসেন। তিনি নন্দনগাছীর কালাবীপাড়া এলাকার মৃত ছবির উদ্দিনের ছেলে।

আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রধান শিক্ষক মারফত জানতে পারেন যে, আইসিটি ল্যাব সহকারী পদে একজন লোক নিয়োগ করা হবে। তার কথা শুনে আমার ছেলের বৌকে নিয়োগ দেয়ার কথা বললে প্রধান শিক্ষক ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। তিনি তার কথায় রাজি হয়ে ২০১৯ সাল থেকে ২০ সালের বিভিন্ন সময় মোট ৯ লক্ষ টাকা তার নিজ বাসায় নিজ হাতে গ্রহণ করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার ছেলের বৌকে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ না দিয়ে নানা রকম তালবাহানা করছে। মকবুল হোসেন আবেদনে আরো উল্লেখ করেন, বর্তমানে একান্ত সূত্রে জানতে পারেন, আইসিটি পদসহ মোট ৪টি পদে প্রায় অর্ধ কোটি নিয়োগ বাণিজ্য করে ব্যাক ডেটে বাস্তবে নিয়োগ বোর্ড না করেই অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিয়েছে। এই আবেদন বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সাবেক ইউপি সদস্য মকবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন আমার ছেলের বৌকে তার প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছে। কিন্তু তাকে চাকরি না দিয়ে বেশী টাকার বিনিময়ে অন্যজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে এবং স্কুলটি এমপিও’র জন্য আবেদন করেছে। আমি এই এমপিও আবেদন বাতিলের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর আবেদন করেছি।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন। মন্ত্রীর পরিচয়ে নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন এই শিক্ষক। অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহা. আবদুর রশিদ জানান, এ ধরনের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। একজন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করানো হবে। টাকা লেনদেনের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।


ফরিদপুরে এবার ভুয়া তথ্যে সাহসী সাংবাদিক সম্মাননা, প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে সাহসিকতার ভুয়া তথ্যে ফরিদপুরের দুই নামধারী সাংবাদিককে ‘সাহসী সাংবাদিক’ সম্মাননা প্রদানের প্রতিবাদে ও সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও তথ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ফরিদপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা। গতকাল রোববার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে ফরিদপুর জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকরা অংশ নেন। গত ৩ আগস্ট সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট জুলাই আন্দোলনে সাহসী ও আহত সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করে। এতে ফরিদপুরে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি শেখ ফয়েজ আহমেদ ‘সাহসী সাংবাদিক’ সম্মাননা বাগিয়ে নেন। অন্যদিকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ইমরান হোসাইন নামের এক ব্যক্তি ভুয়া জিটিভির স্টাফ রিপোর্টার পরিচয়ে সম্মাননা গ্রহণ করেন। তাদের মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য পরিচয় ব্যবহার করে প্রাপ্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাহসী আহত সাংবাদিক সম্মাননা পুরস্কার প্রত্যাহার ও বিচারের দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তথ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল, সিনিয়র সদস্য মফিজ ইমাম মিলন, পান্না বালা, হাসানুজ্জামানসহ অন্যান্যরা। এ সময় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সদস্যরা বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, শেখ ফয়েজ আহমেদের মতো একজন ভুয়া সাংবাদিক তাকে এই ধরনের পদক প্রদান করে সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থা একটা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে। এতে প্রকৃত সাংবাদিকদের অসম্মান করা হয়েছে। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার যে সমস্ত সাংবাদিকরা সরাসরি ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সমর্থন করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা করেছিল। তাদের বাদ দিয়ে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে এই ধরনের পুরস্কার দেওয়ার কি যুক্তি থাকতে পারে? তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার একজন আসামি। অবিলম্বে ওই পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।


মানিকগঞ্জের পদ্মা নদীর ভাঙনে ভিটে-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব মানুষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এলাকায় পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে লঞ্চ ঘাট এবং ফেরি ঘাটের একাংশ। নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় এলাকার মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীর তীরের বসবাসকারীরা ঘরবাড়ি অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। শিবালয়ের পাটুরিয়া ঘাট এবং আশপাশের পুরো এলাকাজুড়ে এখন নদীভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে। সেই সঙ্গে ভিটে-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।

জানা গেছে, গত শনিবার পাটুরিয়া ৪নং ঘাটসংলগ্ন একটি বাড়ির অর্ধেক অংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। ওই বাড়ির লোকজনকে ঘর-দরজাসহ আসবাবপত্র অন্যত্রে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে স্রোতের কল কল শব্দে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটসহ পার্শ্ববর্তী শত শত পরিবারের বসতবাড়ি। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিপাতের পানি হু হু করে বাড়ছে পদ্মা-যমুনার পানি। এতে পাটুরিয়া ঘাটের বিভিন্ন অংশে আঘাত হানছে তীব্র স্রোতের ধাক্কা। ঘাট এলাকার নিচের মাটি পানির স্রোতে ধুয়ে গিয়ে ধসে পড়ছে পাড়। গত ৫ আগস্ট বিলীন হয়ে গেছে লঞ্চ ঘাট এবং গত ১২ আগস্ট ৪ ও ৫নং ফেরি ঘাটের একাংশ নদীতে ধসে পড়েছে। ৪নং ফেরি ঘাটসংলগ্ন একটি বাড়িও নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে পুরো ফেরি ঘাট ভেঙে গিয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

পাটুরিয়া ঘাটের বাসিন্দা রানা সিকদার বলেন, পানি বৃদ্ধির শুরু থেকেই ঘাট এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিলেও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নদীতে পানি আসা মাত্রই ঘাট এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।

পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের আশপাশে বিআইডব্লিউটির ফোরসোর জায়গায় অন্তত পাঁচটি স্থানে অবৈধ বালুর চাতাল রয়েছে। নদীর তীরে এসব জায়গা থেকে বালু মাটি কেটে নেওেয়ার ধুম পড়েছে। সরকারি জায়গা অবৈধভবে দখল করে (এক্সক্যাভেটর) ভেকু মেশিনের সাহায্যে সরারাত নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে বালু-মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবৈধভাবে বালু-মাটির ব্যবসা করছে। বেপরোয়াভাবে বালু মাটি কেটে নেওয়ায় চলতি বর্ষা মৌসুমে ব্যাপকভাবে নদীভাঙনের শুরু হয়েছে।

শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, পাটুরিয়ায় অবৈধ বালু কাটা এবং তা বাজারজাত করার জন্য আমার ইউনিয়নের রাস্তাটি ব্যবহার করে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এবং সরকারি সম্পত্তিরও ক্ষতি হচ্ছে। এখনতো লঞ্চে যাত্রী ওঠানামায়ও ভোগান্তি হচ্ছে। আমি এসব বিষয়ে বারবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোনো ফল পাচ্ছি না।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, পাটুরিয়া ঘাটটা এবং লঞ্চ ঘাট এগুলো বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক পরিচালনা করে থাকে নদী শাসন থেকে শুরু করে সবগুলোই করে থাকে। আমাদের যদি কোনো ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয় আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব, কারিগরি সহযোগিতা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি আমরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, পাটুরিয়া ঘাট নং৫ এবং ৪ ল্যান্ডিং স্টেশনগুলো গুরুতর হুমকির মুখে রয়েছে। তিনি বলেন, জেটি ধসের পর তারা তাৎক্ষণিকভাবে ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি আরও বলেন, ভাঙন নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীতে ফেলার জন্য বর্তমানে পর্যাপ্ত জিও-ব্যাগের অভাব রয়েছে।

শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রচণ্ড শ্রোতের ফলে পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের আশেপাশে নদীতে প্রচণ্ড ভাঙন হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানির পরিমাণ করে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ দ্রুতগতিতে জিও-ব্যাগে বালু ভর্তি করে নদীভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বিআইডব্লিউটিএ আরিচা থেকে পাটুরিয়ায় ফেরি ঘাট স্থানান্তর করে। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ২১টি জেলার মধ্যে যোগাযোগ সহজ হয়।


ফুলগাজীতে স্বাবলম্বী প্রজেক্টের উপকরণ হস্তান্তর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর ফুলগাজীতে বেকার ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং তাদের স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষে স্বাবলম্বী প্রজেক্টের উপকরণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব আবু সাঈদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ১৪ জন অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ব্যাটারিচালিত মোটরভ্যান, সেলাই মেশিন, গরু, দোকানের মালপত্র, ৪টি ঘর পুনর্নির্মাণ ও ৪টি ঘর মেরামতের জন্য টিন প্রদান করা হয়েছে। গত শনিবার বিকালে ‘পরিবর্তন সমাজের কল্যাণে’ সংগঠনের আয়োজনে ফুলগাজী উপজেলার উত্তর আনন্দপুরে একটি কনভেনশন হলে এই হস্তান্তর করণ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি ফিরোজ আহাম্মদ সাজিমের পরিচালনায় ও সংগঠনের সদস্য শারমিন আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মো. মোর্শেদ, মো. সাহাব উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় আমন্ত্রিত অতিথি, সংগঠনের অন্যান্য সদস্যসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সচিব আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, শাহবাগ মঞ্চ এগুলো সব আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ফর্মুলায় হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন আমাদের দেশটাকে যেন বহিঃশত্রু থেকে রক্ষা করে। আমাদের তরুণ সমাজ আমাদের যেটা দিয়েছে সেটা বলতে হবে আল্লাহরই দান।


বিভাজন নয়, সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে: আমীর খসরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি কোনো বিভাজনের রাজনীতি করে না। বিএনপি সব ধর্মের মানুষ, বর্ণের মানুষকে নিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে কোনো বিভাজন করা যাবে না।

গতকাল শনিবার জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ধর্ম সম্মেলন ও সাধু সন্ত ঋষি বৈষ্ণব মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান মানলে অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক হতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা পুরোপুরি বলা আছে। সুতরাং অসাম্প্রদায়িক মুখে নয়, প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক হলে দেশে কোনো হানাহানি থাকবে না। একইভাবে সংখ্যালঘু শব্দও আমি মানি না। সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি হিসেবে সবার অধিকার নিশ্চিত করা যেকোনো সরকারের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে আমরা একটা জাতি, একটা দেশ, একটা সমাজ। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারা বারবার ধ্বংস হয়েছে, আবার বারবার নতুনভাবে শুরু করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এ দেশের সাধারণ মানুষ সাম্প্রদায়িকতাকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করে। আজকের বাংলাদেশে আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখানে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে সবাই। মানুষের মধ্যে অনেক দাবি সৃষ্টি হয়েছে, অনেক প্রত্যাশা জাগ্রত হয়েছে।

“যদি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হয় তবে কোনো বিভাজন করা যাবে না। দেশে সবার ধর্ম থাকবে, সংস্কৃতি থাকবে। সবাই তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করবে। এটার সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সংঘর্ষ থাকতে পারে না। জাতি হিসেবে, রাজনীতিবিদ হিসেবে আমাদের সহনশীল হতে হবে। ধর্ম যেমন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন হয় রাজনৈতিক মতভেদও ভিন্ন ভিন্ন হবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সবাইকে এক হতে হবে।

শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন আর কে দাশ রুপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করেন বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সচিদানন্দ পুরি মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ।


হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা করে। সরবরাহের এমন ধারা অব্যাহত থাকলে ও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়লে দাম আরো কমবে বলে দাবি বিক্রেতাদের। এদিকে পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।

সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি দোকানেই আগের তুলনায় দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। সেই সঙ্গে দাম পূর্বের তুলনায় কমতির দিকে রয়েছে। দুদিন পূর্বে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে আগের তুলনায় ক্রেতা সমাগম বেশি, এছাড়া ক্রেতারা পরিমাণে বেশিও কিনছেন।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা হায়দায় আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। ৫০ টাকা কেজির পেঁয়াজ দাম বাড়তে বাড়তে ৭৫ টাকা কেজিতে উঠে যায়। পেঁয়াজ খুবই জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় হওয়ায় বাধ্য হয়ে এক কেজির জায়গায় হাফ কেজি কিনছিলাম। তবে দুদিন ধরে পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে, বর্তমানে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় নেমেছে। হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু বর্তমানে মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। এতে মোকামে প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। আর তাই বাজারেও পণ্যটির দাম বাড়ছিল। দাম নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার সোনা মসজিদ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার থেকে হিলিসহ দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। এমন খবরে মোকামে যারা দেশীয় পেয়াজ মজুদ করছিল তারা সেসব পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে। এতে সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। দু'দিন আগেও যেখানে মোকামে প্রতি মণ পেঁয়াজ আমাদের কিনতে হয়েছিল ৩ হাজার ২শ টাকা সেটি এখন কমে ২ হাজার ২শ টাকা হয়েছে। আমদানির খবরেই পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ১ হাজার টাকা করে। কমে গেছে। কম দামে কিনতে পারায় আমরাও এখন কম দামে বাজারে বিক্রি করতে পারছি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন বলেন, কেউ যাতে কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দাম বাড়াতে না পারেন সেজন্য আমরা নিয়মিতভাবে বাজারগুলোয় অভিযান পরিচালনা করছি। তারা কী দামে পণ্য কিনছেন কী দামে বিক্রি করছেন সে সম্পর্কিত তথ্য যাচাইবাছাই করছি। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে।


কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরুর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী।

রবিবার দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।

চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী বলেন, 'আমরা আজকে বিমানবন্দরের দ্বিতীয় টার্মিনাল ও সাগরের বুকে নির্মিত হওয়া রানওয়ের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছি। তাতে মনে হয়েছে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, 'কত শতাংশ কাজ শেষে তা বলা না গেলেও তবে মাঝামাঝি সময়ে শুরু করা সম্ভব। যার জন্য আমাদের প্রস্তুতি শেষের পথে।

পরিদর্শনকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইউনূছ ভুঁইয়া, বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজন আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করেছে বিমানবন্দরের কর্মিরা; যাদের মধ্যে একজন বিমানবন্দরের চাকুরিচ্যুত কর্মি।

রোববার সকাল সোয়া ১০ টায় বিমানবন্দরে মালামাল তল্লাশীর সময় তাদের আটকের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান।

আটকরা হল, মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন (২৬) এবং বরিশাল জেলার বাসিন্দা তানভীর আহমদ (৩০)। এদের মধ্যে তানভীর বিমানবন্দরেক চাকুরিচ্যুত কর্মি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টদের বরাতে ইলিয়াস খান বলেন, আটকরা বেলা ১১ টা ২৫ মিনিটের কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলা নামের বিমান পরিবহন সংস্থার একটি ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। তারা ফ্লাইটে উঠতে সকাল সোয়া ১০ টার দিকে বিমানবন্দরে আসেন। এসময় বিমানবন্দরের কর্মিরা যাত্রীদের মালামাল তল্লাশী কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।

এতে ব্যাগ ও মালামাল স্কেনিং করার সময় ক্রিকেট ব্যাটের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় ৫ হাজার ১০০ টি ইয়াবা পাওয়া বলে জানান ওসি।

ইলিয়াছ জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


চকরিয়ায় মাছের ঘের দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, নিহত- ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাছের ঘেরে আধিপত্য বিস্তার ও ঘের দখল নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শেকাব উদ্দিন(৩৭) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা রামপুর আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শেকাব উদ্দিন উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকার মঞ্জুর আলমের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামপুর আবাসন প্রকল্প এলাকায় একটি মাছের ঘের নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওই ঘেরের দখল নিয়ে গতকাল রাতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এ সময় শেকাব উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, মাছের ঘেরের বিরোধ নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।


অস্ত্রসহ আটক অনিন্দ্য সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা, রিমান্ড চাইবে পুলিশ 

আপডেটেড ১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৫০
রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিং সেন্টারের মালিক মুনতাসির আলম অনিন্দ্য ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেছে পুলিশ। রাতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গাজীউর রহমান জানান, এ মামলায় গ্রেপ্তার প্রত্যেকের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন প্রস্তুত করছে পুলিশ। রিমান্ড আবেদন প্রস্তুতের পর তাদের আদালতে হাজির করা হবে।

শনিবার রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিং সেন্টার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ কোচিং সেন্টারের মালিক মুনতাসির আলম অনিন্দ্য, তার দুই সহযোগী মো. রবিন ও মো. ফয়সালকে আটক করে যৌথবাহিনী। বিকেলে তাদের নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। তারপর থেকে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

অনিন্দ্য ঢাকার হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন। এ মামলায় ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাবন্দী ছিলেন তিনি।


রূপগঞ্জে নেপিয়ার ঘাস চাষে ঝুকছে কৃষক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ

রূপগঞ্জে গোখাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আবাসন চাহিদা পুরনের জন্য কৃষি জমিতে বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানীর বালি ভরাটের কারনে এ সঙ্কট দেখা দিয়েছ্। গৃহপালিত পশু পালনে কৃষকদের এখন ভরসা নেপিয়ার জাতের ঘাস। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে গোখাদ্যর সংকটের বিষয়টি কৃষকদের ভাবিয়ে তুলেছে। গোখাদ্য সংকটে অনেকই কম দামে পশুগুলোকে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলার কাঞ্চন, ভোলাব,দাউদপুর, মুড়াপাড়া, মাঝিনা নদীর পাড়, দেইলপাড়া, নদ্দাসহ অর্ধ শতাধিক গ্রামে এখন নেপিয়ার ঘাস চাষ হচ্ছে। বেসরকারি দুগ্ধ খামারিরা তাদের বাড়িতে খরচ কমানোর জন্য নেপিয়ার ঘাস চাষের দিকে ঝুকছে। আঁশযুক্ত,পুষ্টিকর, সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে চাহিদা ব্যাপক। একবার কেটে নিলে ঘাস মরে যায়না বরং কাটা অংশ থেকে পুনরায় কুঁড়ি জন্মে আবার তা পূর্নাঙ্গ ঘাসে পরিণত হয়।
সরজমিন ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে গোখাদ্য সংকট এবং নেপিয়ার জাতের ঘাসে কৃষকের ভরসার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। বারৈ গ্রামের কদম আলী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, অন্যের জমি চাষ করি। বাড়তি আয়ের জন্যে গরু-ছাগল পালি। কৃষক টিপু হায়দার বলেন, গরুর খাদ্য সমস্যার জন্যে আমাদের গরু কম দামে বিক্রি করে দিছি। নেপিয়ার জাতীয় ঘাস দ্রুত বর্ধনশীল, ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই কেটে নেয়া ঘাসগুলো বড় হয়ে যায়।
উপজেলা পশু পালন কর্মকর্তা ডা. সজল কুমার দাস গোখাদ্যের সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, বর্তমানে পশু খাদ্যের আরেক নাম নেপিয়ার ঘাস। দ্রুত বর্ধনশীল, উৎপাদন খরচ কম ও লাভজনক হওয়ায় এলাকার চাষিরা দিনদিন নেপিয়ার জাতীয় ঘাস চাষে ঝুঁকছেন। এতে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন অপরদিকে গোখাদ্য সংকট নিরসনেও ভূমিকা রাখছেন। প্রতি মাসে খামারিদেরকে বিনামূল্যে নেপিয়ার ঘাসের বীজ কাটিং দেয়া হয়। নেপিয়ার ঘাস ১০/১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। চাষের পদ্ধতিও সহজ।


ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ভালো কিছুই দেখছে না ইউক্রেনীয়রা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কী বলা হচ্ছে, তা জানার জন্য ইউক্রেনের খারকিভ শহরে মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকেন স্থানীয় বাসিন্দা পাভলো নেব্রোয়েভ।

খারকিভ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

তিন বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে চলা রাশিয়ার হামলার ব্যাপারে আলোচনার জন্য ট্রাম্প ও পুতিন আলাস্কায় বৈঠকে বসেন।

তবে, বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। উল্টো এই সময়ে ইউক্রেনের খারকিভে শক্তিশালী আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। অবশ্য বৈঠকের আগে থেকেই এই আয়োজনকে পুতিনের জন্য চূড়ান্ত বিজয় হিসেবে বিবেচনা করছিলেন অনেকে।

৩৮ বছর বয়সী থিয়েটার ম্যানেজার পাভলো বলেন, ‘আমি দেখলাম, প্রত্যাশা অনুযায়ীই (বৈঠকের) ফলাফল এসেছে। আমি মনে করি, এটা পুতিনের জন্য কূটনৈতিকভাবে বড় ধরনের বিজয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘তিনি (পুতিন) নিজের বৈধতা সম্পূর্ণরূপে আদায় করেছেন।’

২০২২ সালে হামলা চালানো শুরুর পর থেকে রুশ নেতাকে পশ্চিমা বিশ্বে এড়িয়ে চলার যে প্রবণতা ছিল, ট্রাম্প এবার পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে সেটির অবসান হলো।

শীর্ষ বৈঠকে আমন্ত্রণ না পাওয়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এটাকে পুতিনের একার বিজয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বৈঠকে ইউক্রেনকে না রাখায় নেব্রোয়েভ শুধু ক্ষুব্ধই হননি, বরং এই বৈঠককে সময়ের অপচয় মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এটা অর্থহীন একটি বৈঠক ছিল। ইউক্রেন সম্পর্কিত সমস্যাগুলো ইউক্রেনের সঙ্গে, ইউক্রেনীয়দের অংশগ্রহণে এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে সমাধান করা উচিত।’


banner close