বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রবীণদের জন্য সেই কর্মপরিকল্পনা উধাও

গত ২৮ বছর ধরে আশি ঊর্ধ্ব চিত্রশিল্পী শেখ মুজিবুল হক আছেন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের প্রবীণ নিবাসে। ছবি: সৈয়দ মাহামুদুর রহমান।
শহীদুল ইসলাম
প্রকাশিত
শহীদুল ইসলাম
প্রকাশিত : ১ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:১৩

শহীদুল ইসলাম

জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকার সাত বছর আগে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করলেও সেটা উধাও হয়ে গেছে। বাস্তবায়ন হয়নি কিছুই। এখন আবার নতুনভাবে প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন করে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে প্রবীণদের স্বীকৃতি দিয়ে সরকারিভাবে তাদের অন্তত ৩৬ ধরনের সুবিধা দিতে ওই কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। সেখানে ১৬টি মন্ত্রণালয়, একটি বিভাগসহ সরকারি অন্য দপ্তরগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের কাজও ভাগ করে দিয়েছিল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যে অধিশাখা থেকে কর্মপরিকল্পনা সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে পাঠানো হয়েছিল সেই অধিশাখাই এখন আর নেই। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এ ধরনের কোনো কর্মপরিকল্পার কথা শোনেনই নাই।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা জারি করে সরকার। ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ঘোষণা করেন। প্রবীণদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা এবং খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসাসহ অন্য সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে আন্তরিকভাবে কাজ করতে ওই দিন রাষ্ট্রপতি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

এরপর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করে তা ২০১৫ সালের ৪ জুন সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানায়।

কিন্তু গত সাত বছরে সেই কর্মপরিকল্পনার কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখন আর কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে কিছুই বলতে পারছেন না। কর্মপরিকল্পনা যখন চূড়ান্ত করা হয়েছিল, তখন বিসিএস ক্যাডারের যেসব কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন তাদের কেউই আর এখন সেসব দপ্তরে নেই। বেশির ভাগ কর্মকর্তাই বলেছেন, তারা এই মন্ত্রণালয়ে আসার পর ওই কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে কখনো কিছু শোনেননি।

কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট, কার্যক্রম ও মূল্যায়ন) সুলতানা সাঈদা অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা বারণ থাকার কথা জানান। এই মন্ত্রণালয়ের আরও দুজন অতিরিক্ত সচিব জানান, তারাও এ বিষয়ে কিছু জানেন না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেও তারা কিছুই জানাতে পারেননি।

তবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ দৈনিক বাংলাকে বলেছেন, সিনিয়র সিটিজেনদের সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা হবে। এজন্য কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। তবে কী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে জ্যেষ্ঠ নাগরিকেদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি মন্ত্রী।

এদিকে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়েও বছরের পর বছর ধরে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমির হোসেন মোল্লা। মিথ্যা আশ্বাস না দিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।

যা ছিল সেই কর্মপরিকল্পনায়

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৫ অধিশাখা ২০১৫ সালের ৪ জুন এক অফিস স্মারকে জানায়, মন্ত্রিসভায় প্রবীণ নীতিমালা অনুমোদনের পর তার আলোকে প্রবীণবিষয়ক জাতীয় কমিটি কর্তৃক একটি কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ঘোষণা করায় তাদের জন্য নীতিমালায় বর্ণিত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী প্রবীণদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এককভাবে সক্ষম হবে না বিধায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।

কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গৃহায়ন ও গণপূর্ত, শিক্ষা, সড়ক পরিবহন ও সেতু, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, স্বরাষ্ট্র, রেলপথ, নৌপরিবহন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, অর্থ, ধর্ম, মহিলা ও শিশু, সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া, অর্থ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; স্থানীয় সরকার বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ ও পৌরসভাগুলোর কাজ নির্দিষ্ট করে দিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছিল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাইরেও কর্মপরিকল্পনাটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ অন্য মন্ত্রণালয়ের সচিবদের দেয়া হয়।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যে অধিশাখা থেকে কর্মপরিকল্পনা সব সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছিল সেই অধিশাখা আর নেই। প্রশাসন-৫ শাখা এখন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখভাল করে। এই শাখার উপসচিব মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ধরনের কর্মপরিকল্পার কথা তিনি শোনেননি।

ওই কর্মপরিকল্পনায় সরকারি ও বেসরকারি আবাসন বা কোয়ার্টারে মাতা-পিতার জন্য একটি আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। এটি বাস্তবায়ন করা হলে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের পরিবারের সঙ্গে বসবাস করার প্রতিবন্ধকতা দূর হবে বলে বলা হয়েছিল।

কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, প্রবীণদের রাষ্ট্রীয়ভাবে জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রাপ্য সহায়তা ও সুবিধা দিলে তারা সম্মানিত বোধ করবেন ও ক্ষমতায়িত হবেন। প্রবীণদের জন্য বাস, রেল, লঞ্চ ও বিমানে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা; মেট্রোরেলসহ দূরপাল্লার যানবাহনের টিকিটে ৩০ শতাংশ ছাড় দেয়া; সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা; সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা খরচের ৫০ শতাংশ ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৫ শতাংশ ছাড়া দেয়া এবং দরিদ্র ও অসহায় প্রবীণদের হাসপাতালে বিনা মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার বিষয়টি কর্মপরিকল্পনায় নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

এ ছাড়া ওষুধ কেনায় জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের ১০ শতাংশ ছাড় দেয়া, প্রবীণ স্বাস্থ্যবিমা চালু, প্রবীণদের আবাসনের জন্য সমাজভিত্তিক প্রবীণ নিবাসের ব্যবস্থা, সামাজিক বিনিময় ও চিত্তবিনোদনের জন্য গ্রাম ও শহরভিত্তিক প্রবীণ মিলনকেন্দ্র ও পাঠাগার প্রতিষ্ঠা, মৃত্যুপথযাত্রী প্রবীণদের কষ্ট লাঘবের ব্যবস্থা, জাতীয় পরিচিতি কার্ডে ষাটোর্ধ্ব সব ব্যক্তিকে জ্যেষ্ঠ নাগরিক বা প্রবীণ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে কার্ডগুলো আলাদা রঙের করাসহ আরও কিছু সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছিল।

সাত বছরেরও বেশি সময় আগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এই কর্মপরিকল্পনা দিলেও কোনো সরকারি দপ্তরই এ বিষয়ে কোনো কাজ করেনি। কর্মপরিকল্পনায় থাকা সুপারিশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র গণপরিবহনগুলোতে সংরক্ষিত নয়টি করে আসনের মধ্যে প্রতিবন্ধী ও নারীদের সঙ্গে প্রবীণদেরও যুক্ত করা হয়। এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যেসব মন্ত্রণালয়কে কাজ ভাগ করে দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের বর্তমান কর্মকর্তারা জানান, তারা এই পরিকল্পনার কথা কখনো শোনেননি।

জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সরকারিভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা বলে তা না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের মহাসচিব আমির হোসেন। দৈনিক বাংলাকে তিনি বলেন, ‘এসব দেখতে দেখতে আর বলতে বলতে চোখে ছানি পড়ে গেছে। আমাদের মিথ্যা ও ভাওতাবাজির আশ্বাস দেয়া থেকে বিরত থাকুন।’

প্রবীণ হিতৈষী সংঘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করছে জানিয়ে আমির হোসেন বলেন, ‘আগামী প্রবীণ দিবসের পর আমরা প্রবীণদের মিলনমেলা আয়োজনের চেষ্টা করছি। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে আনতে পারলে আমরা তার কাছে আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো তুলে ধরব। রাষ্ট্রপতি আমাদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ঘোষণা করেছেন কিন্তু তার কার্যকারিতা নেই। মুখে মুখে শুধু আছে, নামে আছে, কাজে নেই। সরকারিভাবে আমাদের ৪০-৪২টি সুবিধা দেয়া হবে বলা হয়েছিল, কিন্তু কিছুই দিল না, এসব শুভংকরের ফাঁকি।’

জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সরকারি বিভিন্ন সেবায় সুবিধা দিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে উদ্যোগ নিয়েছিল, সেটিকে খুবই ভালো উদ্যোগ উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সরকারের অনেক ক্ষেত্রেই এমন অসামঞ্জস্যতা লক্ষ করা যায়, এটি ঠিক না। কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আন্তমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় নেই। ভারতে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের বাস, ট্রেন, হাসপাতালসহ সরকারি বিভিন্ন সেবায় সুবিধা দেয়া হয়। বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য অবশ্যই এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা উচিত।’

নতুন আইন হচ্ছে

সরকারিভাবে প্রবীণদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইনের খসড়া করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। খসড়ায় প্রবীণদের জন্য কী কী সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে। আগের কর্মপরিকল্পায় যেসব বিষয় রাখা হয়েছিল তার অনেকগুলোই নতুন আইনের খসড়ায় বাস্তবায়নের কথা হয়েছে।

খসড়াটি এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বিষয়ে কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দেননি। তবে একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারিভাবে প্রবীণদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আগে কর্মপরিকল্পনা হয়েছিল এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। এখন নতুন আইন করে প্রবীণদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

খসড়া অনুযায়ী, আইনটি পাস হওয়ার পর ঢাকায় একটি প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন স্থাপন করা হবে। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রবীণদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা আছে। আইনের খসড়ায় ৬৫ বছর বয়সীদের প্রবীণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে রাষ্ট্রপতির ঘোষণার বিষয়ে অবগত করলে একজন কর্মকর্তা বলেন, খসড়া চূড়ান্তের আগে এ বিষয়ে তারা আলোচনা করবেন।


শিশু আছিয়ার পরিবারে দুটি গাভী উপহার দিলেন জামায়াতে আমির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরার আলোচিত নিহত শিশু আছিয়ার পরিবার কে কেন্দ্রীয় জামায়াতে আমির ডা: শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে দুটি গাভী বাছুর সহ একটি গোয়ালঘর উপহার দেয়া হয়েছে।

বুধবার বিকেলে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার পরিবারে আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন উপস্থিত হয়ে গরু প্রদান করেন। এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এমবি বাকের, সাবেক আমির কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মতিন সহ জামাতের স্থানীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ মাগুরা নিজনান্দুয়ালী বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশু আছিয়া তার বোনের শ্বশুর দ্বারা ধর্ষিত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে ধর্ষকের ফাঁসি দাবি উঠে। গত ১৭ ই মে ধর্ষক হিটু শেখের ফাঁসির রায় ঘোষণা হয়।

দরিদ্র আছিয়ার পরিবারকে সান্তনা দিতে গত ৫ই মার্চ জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডা: শফিকুর রহমান আছিয়ার মাকে স্বাবলম্বী করতে একটি গোয়াল ঘর এবং দুটি গরু দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।


রাজশাহীতে বালাইনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত- বারসিকের গবেষণা, সংবাদ সম্মেলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আমিনুল ইসলাম বনি, রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহীতে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান মূলক সমীক্ষা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর জিরোপয়েন্টে একটি রেস্তোরায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে যে গবেষণা পত্র উপস্থাপিত হয়েছে তাতে দাবি করা হয়, দেশের চারটি এলাকায় নিষিদ্ধ কীটনাশকের ভয়াবহ প্রভাব পড়তে দেখা গেছে। সেখানে বলা হয়, শুধু রাজশাহীর ৮ জেলায় ১৯ টি গ্রামে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গেছে দেশে নিষিদ্ধ বালাইনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতকরা ৯৩.৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারী জানেনা এটি নিষিদ্ধ বিপজ্জনক কীটনাশক। বারসিকের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজারে অহরহ এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে, যেটি দেখার জন্য সরকারের কোন তদারকি নেই। গবেষণায় বলা হয়, এসব নিষিদ্ধ কিটনাশক ব্যবহার করে কৃষক ও সাধারন মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। আয়োজকরা বলেন,কীটনাশকের সহজলভ্য ও অনিয়ন্ত্রিত বিক্রয় শুধু জনস্বাস্থ্য নয় আত্মহত্যার একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে দেখা যায় ৩২ জনের মধ্যে তিনজনায় আত্মহত্যা করার জন্য কীটনাশক পান করেছিল। গবেষণা এলাকা রাজশাহী জেলার আটটি উপজেলা থানার সকল ১৯ টি গ্রামে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে গবাদি পশু পাখি যেমন হাঁস মুরগি কবুতর গরু ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শুধু মানব সাস্থ্য নয় বরং পরিবেশের প্রতি মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে ফুরাডন, প্যারাকয়েট ও ক্লোরোপাইরিফ জাতীয় কীটনাশক মাটি-পানি ও প্রাণী বিচিত্র ধ্বংসের বড় ভূমিকা রাখছে। কীটনাশক প্রয়োগের পরপর পুকুরের মাছ ব্যাঙ ও মৌমাছি বা মৌ পতঙ্গ জাতীয় কমেছে এবং কিছু বিলুপ্ত হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘের ও খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) বিপদজনক কীটনাশক যেমন প্যারাকোয়েট,ফুরাডন, মনোকটোপাস এসব কীটনাশক ত্বক, চোখ ও শ্বাসনালী মাধ্যমে দিয়ে দেহে প্রবেশ করে ক্যান্সার মাথাব্যথা বমি, বুক ধরফরানি কিডনি বিকলতা, এবং অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। তাই উক্ত মালের মাধ্যমে নিষিদ্ধ কীটনাশক বিপণন ও ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করার আহবান জানানো হয়েছে। নিষিদ্ধ কিটনাশকও ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। কিটনাশক আইন ও বিধির প্রয়োগ করতে হবে। কিটনাশক সম্পর্কিত স্বাস্থ্য তথ্য নিবন্ধন করতে হবে। কিটনাশকের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপুরণ তহবিল গঠন করতে হবে। শিঘ্রই এ সকল বিষয় নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানান আয়োজকরা।


পটুয়াখালীর বগা ফেরিতে ৪ গুণ বেশি ভাড়া আদায়,ইজারা বাতিল করলো সওজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদীর বগা ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফেরির ইজারা বাতিল করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। গত ২৪ জুলাই ফেরিঘাটের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সওজকে বুঝিয়ে দিয়ে ইজারাদার দায়িত্ব ছাড়েন। প্রতিদিন সহস্রাধিক যানবাহন এ ফেরি দিয়ে পারাপার হয়।

সওজ সূত্র জানায়, বাস ও মিনিবাসের জন্য নির্ধারিত ভাড়া ছিল যথাক্রমে ৪৫ ও ২৫ টাকা, যা থেকে নেওয়া হতো ৩০০ ও ২০০ টাকা। ভারী ট্রাকের ১০০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের ১৫ ও ২৫ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হতো। মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহন থেকেও দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠে।

জানা যায়,এনসিপি যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন প্রথমে পটুয়াখালী সড়ক বিভাগে মৌখিক অভিযোগ এবং পরে সওজর উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের পর পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইজারাদারকে তিন দফা নোটিশ ও কারণ দর্শানোর চিঠি দেন। কোনো জবাব না পাওয়ায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি চিফ ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তর থেকেও আলাদা তদন্ত হয়। দুই দফাতেই অভিযোগের সত্যতা মেলে।

পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জামিল আক্তার লিমন বলেন, ইজারাদারকে সংশোধনের জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। তদন্তে প্রমাণ মেলায় চিফ ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তরের নির্দেশে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ইজারাদার শিবু লাল দাস বলেন,আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আগের ইজারাদারের মতোই ভাড়া নিয়েছি। সরকার ভুল ভাড়া নির্ধারণ করেছে। আদালতে আছি, আশা করি ফের দায়িত্ব ফিরে পাব।


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি ডিসেম্বরের মধ্যে হয়, তাহলে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন: আবদুল আউয়াল মিন্টু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী জেলা প্রতিনিধি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি ডিসেম্বরের মধ্যে হয়, তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ফেনীর গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মিন্টু বলেন, ফেনীর নির্বাচনী ইতিহাস সবার জানা। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ বিএনপি এখানে জয়ী হবে। আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া)ও নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন। ফেনীতে নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।

তিনি আরও বলেন, লন্ডনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। আমরা আশা করি, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তা আগেও হতে পারে, এমনকি জানুয়ারিতেও। সুপ্রিম কোর্টে কেয়ারটেকার সরকার সংক্রান্ত মামলা চলছে। যদি কেয়ারটেকার সরকার পুনর্বহাল হয়, তবে তাদের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।

সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকলে ভালো কাজ করবে না উল্লেখ করে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বিগত ১৯ বছর আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে আসছি। কেউ যদি বলে আমরা হঠাৎ করে নির্বাচন চাচ্ছি বিষয়টি সঠিক নয়।

২০০৬ সাল থেকেই আমরা নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না হলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকেন তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না। তাই আমরা চাচ্ছি নির্বাচনটি হোক।

তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। গত দুই যুগে প্রকৃত নির্বাচিত সরকার না থাকায় জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে।


এসএসসি  জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

এসএসসি -২০২৫ এর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আ. খ. ম ফারুক আহমেদ।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি ) তাপস শীল, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। শিক্ষকদের পক্ষ বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র শিক্ষক রতন কুমার রায়, তাপস রায় চৌধুরী, মো. মফিজুর রহমান, অসীম চন্দ্র বর্মণ।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, ফাতিমা ইসলাম রিচি, সিলভিয়া রউফ, মিতিলা দাস মিলি, সাহিবা রহমান সাহেরী প্রমুখ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে কৃতী শিক্ষার্থীদেরকে সম্মাননা সহ ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া এবং অতিথিবৃন্দ।

এসএসসি -২০২৫ সালে সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ- ৫ পেয়ে জেলায় সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়।


আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসরিন সিপু, বরগুনা প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের শরীফবাড়ী ষ্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী জেএইচ ক্লাসিক নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ছয়জনকে বরিশাল ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার বিকেলে।

জানাগেছে, কুয়াকাটা থেকে জেএইচ ক্লাসিকের যাত্রীবাহী বাস পটুয়াখালী যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের শরীফবাড়ী ষ্ট্যান্ডে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ওই বাসে থাকা ১৫ জন যাত্রী আহত হয়। গুরুতর আহত অপরাজিতা (খুলনা), সুলতানা পারভীন (কুমিল্লা) , নাহিদা সুলতানা (জয়পুরহাট), নুসরাত জাহান (খুলনা), রনজিৎ ও দুলাল চন্দ্রকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক অপরাজিতা, রনজিৎ ও সুলতানাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম ) হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহত যাত্রী সুলতানা পারভীন বলেন, কুয়াকাটা ভ্রমণ শেষে গ্রামের বাড়ী যেতে কুয়াকাটা থেকে গাড়ীতে ওঠি। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেছে। এতে বাসের অনেক যাত্রী আহত হয়েছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহত তিনজনতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেছে। এতে বেশ কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছেন।


কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবেছে রাঙামাটির আইকন ঝুলন্ত সেতু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা উজানের পানিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির আইকন খ্যাত পর্যটকদের আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতু ডুবে গেছে। কতৃপক্ষ জানায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে সেতুর পাটাতনে পানি ছুই ছুই করছিলো। আজ বুধবার সকালে সেতুর পাটাতন ৪ ইঞ্চি পানির নিচে তলীয়ে যায়।

এদিকে সেতুটি পানিতে তলীয়ে যাওয়ায় রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশন কতৃপক্ষ নিরাপত্তা ও সেতু সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করে সেতুতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন পরিচালিত রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, এই বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টির কারনে উজানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লেকের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারনে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনে পানি উঠে যাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেতুতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরতে আসা পর্যটক রাশেদা বেগম বলেন, বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটির প্রকৃতি অনেক সুন্দর তাই ঘুরতে এসেছি কিন্তু এসে দেখি ব্রীজের উপর পানি।

রাঙামাটি পর্যটন বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধি পেলে প্রতি বছর ঝুলন্ত সেতু পানিতে ডুবে যায়। আজকে সকাল থেকে সেতুর পাটাতনে পানি উঠে গেছে। তিনি বলেন, সেতু ডুবে গেলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায় ,পর্যটকরা আর ঝুলন্ত সেতুতে বেড়াতে আসেনা। পর্যটন ব্যবসায় ধ্বস নামে।

কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য মতে, এ সময় হ্রদে পানি থাকার কথা ৮৯ এমএসএল। কিন্তু হ্রদে পানি রয়েছে ১০৫.৫৪ এমএসএল। ৫টি ইউনিট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২২২ মেগাওয়াট।

উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল হলেও ১০৮ এমএসএল হলেই প্রতি বছর ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগের কথা বললেও কার্যকর কোনও ভূমিকা চোখে পড়েনি।


কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযান; ৯৫ লাখ টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ভোররাতে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর একটি বিশেষ টহল দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল মীর আলী এজাজ।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল ও চোরাচালানবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। বুধবার ভোরে সীমান্ত পিলার ২০৮০/এম হতে সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত বাজির সংখ্যা ৪,৭৫,৮৪০ পিস, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৯৫,৬৭,২০০ টাকা। বাজিগুলো বিভিন্ন প্রকার ও আকারের ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি আরও জানিয়েছে, আটককৃত মালামাল যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কুমিল্লা কাস্টমসে জমা করা হয়েছে।


জামালপুরে পানি নিষ্কাশনের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজু আহমেদ, জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের হাট চন্দ্রা পলাশ তলা ও কাজির আখ এলাকায় জলবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে হাটচন্দ্রা পলাশ তলা ও কাজির আখ এলাকার ভুক্তভোগীদের ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয় এলাকাবাসী। ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন মো: হারেজ আলী, জয়বানু,শহিদুল্লাহ আব্দুর রহিম,মহসিন আলী সহ আরো অনেকে।

এ সময় বক্তারা জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টির কারণে জামালপুর পৌরসভার হাটচন্দ্রা কাজির আখ ও পলাশ তলা এলাকা পানিতে তলিয়ে যায় পুরো এলাকা। বছর জুড়ে জলাবদ্ধতার কারনে পৌর নাগরিকদের দুর্ভোগ এখন চরমে। পানিতে তলিয়ে কারনে গত ৪/৫ বছর যাবৎ অনাবাদি রয়েছে ৩শ একর জমি। জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর সভায় বার বার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি তারা। অনতিবিলম্বে পানি নিষ্কাশনের জোর দাবী জানান বক্তারা।


সাটুরিয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই স্কুল মাঠে হাটু পানি, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহমুদুল হাসান, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মাত্র কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতেই মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার হরগজ নয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জমে হাটু পানি। এ অবস্থায় পানি মাড়িয়ে ক্লাসে যেতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষকদেরও। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এমন পরিস্থিতি চললেও এখনো স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮১ জন। মাঠে পানি নিষ্কাশনের কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাবিখা প্রকল্প থেকে ড্রেন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা কোন কাজে আসেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৪৬ হাজার টাকার বরাদ্দে মাঠে কিছু মাটি ফেলা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাজাহান মোল্লা এ কাজের দায়িত্বে থাকলেও অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ কাজ না করেই কাজ শেষ বলে দাবি করেছেন।বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় ,স্কুল মাঠজুড়ে পানি জমে আছে। নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের পানি মাড়িয়ে ক্লাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।

৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, পানি জমে থাকলে প্রায়ই আমাদের বই খাতা পানিতে পড়ে যায়। পানি জমে থাকার সময় আমরা কোন খেলাধুলা করতে পারি না। আমরা এ পরিবেশ চাই না। পড়ালেখার পাশা পাশি নিয়মিত মাঠে খেলাধুলা করতে চাই।

বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নিরবের বাবা রাসেল মিয়া জানান, বাচ্চারা স্কুলে গেলে আমাদের সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়-কখন যে পানিতে পড়ে যায় কে জানে।

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সোহানার মা শিখা আক্তার অভিযোগ করেন, শুনেছি টাকা এসেছে মাঠে কাজের জন্য, কিন্তু কাজের চেয়ে দুর্নীতিই বেশি হয়েছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাই।

এ বিষয়ে হরগজ ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাজাহান মোল্লার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সীমা রানী সরকার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৮১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। স্থানীয় মেম্বার কিছু মাটি ফেলেছেন, ভবিষ্যতে আবার ফেলবেন বলেছেন। তবে মাঠে পাইপ লাগানো হয়েছে।

হরগজ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন বলেন, হরগজ নয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে পানি জমে থাকে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে কাবিখা ২৪-২৫ অর্থ বছরে বরাদ্ধ দেওয়া হয় একটি ড্রেন নির্মাণ করার জন্য। আমার জানামতে কাজটি সঠিকভাবে করা হয়নি বলে পানি সমস্যা রয়েই গেছে।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে থাকা এবং কাবিখা প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে আমার দপ্তরে কেউ জানায়নি। লিখিত আকারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।


নরসিংদীতে বিকপ এর উদ্যোগে ১৭ জুলাই জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এম.এ আউয়াল, নরসিংদী প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ (বিকপ) এর উদ্যোগে ১৭ জুলাই ২০২৫ জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের বিদ্যালয়সমূহকে বৃত্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে নরসিংদী জেলা কিন্ডারগার্টেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী জেলা কিন্ডারগার্টেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: রমজান আলী প্রামাণিক ও সাধারণ সম্পাদক মো: মুজিবুর রহমানসহ নরসিংদী জেলা উপজেলা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তাগণ বলেন, নরসিংদী জেলায় ৬ শতাধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রায় ১,২৫,০০০ জন শিক্ষার্থী, ৬৫০০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ৩০০০ জন উদ্যোগক্তা বা পরিচালক কর্মরত রয়েছে। এছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে ১,০০,০০,০০০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে। তাতে ৬৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৫০ হাজার কর্মচারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যা প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবদান নি:সন্দেহে সর্বমহলে প্রশংসার দাবী রাখে।

বক্তাগণ আরো বলেন, শিক্ষা শিশুদের মৌলিক অধিকার। কোন শিশুকে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। জুলাই বিপ্লবে বৈষম্যের বিরুদ্ধে অনেক শিক্ষার্থীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান বৈষম্য বিরোধী সরকার। বিধায় বর্তমান সরকারের সময়ে কিন্ডারগার্টেনের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আবার সেই বৈষম্যের শিকার হোক এটা অপ্রত্যাশিত।

বিগত ১৭.০৭.২৫ইং তারিখে জারিকৃত পরিপত্রটি বাতিল করে ২০২৫ইং এ অনুষ্ঠিতব্য প্রাথমিক বৃত্থি পরীক্ষাসহ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য গৃহীত অন্যান্য যে কোনো কার্যক্রমে প্রাথমিক শিক্ষার অংশীজন হিসেবে কিন্ডারগার্টেন ও বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সমঅধিকার যেন অক্ষুন্ন থাকে, তার প্রতি সদয় দৃষ্টি দানের জোর দাবী জানানো হয়।


মাগুরায়  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে ময়লার স্তুপ, জনস্বাস্থ্য হুমকিতে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি

মাগুরা শহরে স্কুল ও হাসপাতালের সামনে ফেলা হচ্ছে বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা, মানা হচ্ছে না কোন বিধি নিষেধ। ফলে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছে কোমলমতি শিশুসহ সাধারণ মানুষ।

মাগুরা শহরের পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় , পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সামনে মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে এসব ময়লা আবর্জনা। এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলার কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিন শতশত ছেলে মেয়েরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে ।বিশেষ করে, পিটিআই স্কুলের সামনে ময়লার স্তূপ থেকে বেশি দুর্গন্ধ ছড়ায় যার কারনে আশেপাশের মানুষ নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ।

পি টি আই স্কুলের এক অভিভাবক তামান্না তাবাসসুম বলেন , প্রতিদিন বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় নাকে কাপড় চেপে ধরেও এই দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় না।

এরকম শত শত অভিভাবকের দাবি এইখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করা হোক।

দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে ময়লা ফেলার কারণে সেটা এখন ভাঙারে পরিণত হয়েছে , একটু বৃষ্টি নামলেই ময়লাগুলো মহাসড়কের উপর চলে আসে ফলে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলেও অসুবিধা হয়।

এ ব্যাপারে মাগুরা পৌরসভার প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আব্দুল কাদের দৈনিক বাংলা কে জানান , পৌরসভার ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ভ্যান গাড়ি এবং ড্রামের ব্যবস্থা আছে কিন্তু শহরের কিছু ভদ্র সমাজের লোকজন টাকা খরচের ভয়ে নিজেরাই পলিথিনের ব্যাগে করে এই ময়লা গুলো ফেলেন, ফলে জনসাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এটা বন্ধ করা পৌর কর্তৃপক্ষের একার দ্বারা সম্ভব নয় ,আগে জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে ।সবাইকে একসঙ্গে এটাকে প্রতিরোধ করতে হবে ।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব স্থান থেকে দ্রুত ময়লা অপসারণ ও ময়লা ফেলা বন্ধ করতে পৌর কর্তৃপক্ষকে মাইকিং ও জরিমানা সহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে বলেন । অন্যথায় মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।


পঞ্চগড়ে সেরা শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হোসেন রায়হান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস স্কিমের (পিইডিপি) আওতায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বুধবার পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন স্টিভ, জেলা শিক্ষা অফিসার খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফুল কবির মো. কামরুল হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশপ্রেম ও সততার সাথে জীবন যাপন করতে হবে। যত্ন এবং সহমর্মিতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের আপন করতে হবে। পরচর্চা পরিহার করতে হবে। শুধু নম্বরের জন্য নয়, বুঝে পড়তে হবে। তিনি সকলকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ফুটকিবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এমদাদুল হক, জগদল দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট দেলোয়ার হোসেন, করতোয়া কালেক্টরেট শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক নাসিমুল গণি, অভিভাবকদের মধ্যে কিশোয়ার জাহান, ২০২২ সালে দাখিল পরীক্ষার সেরা শিক্ষার্থী আহসানউল্লাহ ২০২২ সালে আলিম পরীক্ষার সেরা শিক্ষার্থী আফরিনা সুরাইয়া অনন্যা বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ২০২২ ও ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক ও সমমান ও উচ্চমাধ্যমিক সমমান পরীক্ষায় সবোর্চ্চ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৮ জন করে ৩৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।
এছাড়া এসএসসি ও সমমান শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকে ১০ হাজার এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ২৫ হাজার করে টাকা নিজ নিজ ব্যাংক হিসেবে পাঠানো হয়েছে।


banner close