ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে ছাদ পর্যবেক্ষণ করে মশার আবাসস্থল খুঁজে পাওয়া সহজ হওয়ায় ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনরা। গতকাল মঙ্গলবার আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থাপনার নিশ্চিতকরণ, ডেঙ্গু চিকিৎসা সহজীকরণ এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় তারা এ পরামর্শ দেন।
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে সহিংসতায় আত্মরক্ষার্থেই বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাজনৈতিক সংগঠনের সমাবেশ চলাকালীন মঞ্চে পুনরায় হামলা চালানো হয় এবং একই সাথে জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এমতাবস্থায়, সেনাবাহিনী হামলাকারীদের মাইকে বারবার ঘোষণা দিয়ে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তারা সেনাবাহিনীর উপর বিপুল সংখ্যক ককটেল ও ইট-পাটকেল ছুড়ে হামলা করে এবং এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়।
‘পরবর্তীতে, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে বিশৃঙ্খলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অতঃপর, সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, গোপালগঞ্জে আশ্রয় গ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গকে খুলনায় স্থানান্তর করা হয়। সর্বোপরি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পেশাদারিত্ব ও ধৈর্যের সাথে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।’
আইএসপিআর জানিয়েছে, বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলায় সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং প্রশাসন কর্তৃক জারিকৃত কারফিউ চলমান রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব এবং প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
‘গতকাল সকাল হতে চলমান এই রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলায়, গোপালগঞ্জ জেলার জনসাধারণ অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে নিজেদের নিবৃত্ত রেখে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছেন। গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য ধারণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপালগঞ্জ জেলায় একটি রাজনৈতিক দলের জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আহ্বানকৃত জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে এলাকার একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা গত ১৬ জুলাই সংঘবদ্ধভাবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হন।
এছাড়াও, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্লিপ্ততায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ছবি পদদলিত ও সারা দেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ঘৃন্য কর্মকান্ডের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা যুবদল।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭জুলাই) দুপুর ১২টায় উপজেলা সড়কে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মিছিল পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল থেকেই উপজেলা যুবদলের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নের ১১টি ইউনিটের সভাপতি ও সম্পাদকরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যোগ দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জসিমউদ্দিন খাঁনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শিহাবউদ্দিন হাওলাদার, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সাইদুর রহমান শাহিন, যুগ্ন আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম মিঠু, যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী রুবেল প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ইন্টেরিম সরকারের নির্লিপ্ততায় সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে গতকাল গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে নেতাদের উপর হামলা করা হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক যুবদল এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিগত ১০মাসে এখন পর্যন্ত তারা দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারেনি। সারাদেশে মব সৃষ্টি করে বিএনপি নেতাদের উপর তার দায় চাপানো হচ্ছে। এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান কে জড়িয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হচ্ছে এবং দুএকটি জাগায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি পদদলিত করে অবমাননা করা হয়েছে এ সমস্ত ঘটনাই প্রমান করে এই অর্ন্তর্বতীকালীন সরকার সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছেনা। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন যতই চেষ্টা করেন নির্বাচন বানচাল করতে পারবেননা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল গত ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে রাজপথে টিকে ছিলো ভবিষ্যৎেও থাকবে। বিএনপি কে ধ্বংস করা যাবেনা। বিএনপি তারেক রহমান খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আগের চেয়ে আরো বেশি শক্তিশালী। যে কোনো অপকর্মের দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে যুবদল সবসময় প্রস্তুত। যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আ: মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে সামনের দিনগুলোতে রাজপথে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
সমাবেশ শেষে যবদলের নেতাকর্মীরা পৌর শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে মিছিলটি উপজেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে উত্তর বাসস্টান্ডে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় যুবদলের নেতাকর্মীরা " জিয়াউর রহমানের অপমান মানবেনা জনগন, তারেক রহমানের অপমান মেনে নিবেনা জনগন, তারেক রহমান আসবে বাংলাদেশ হাসবে, দালালি না রাজপথ রাজপথ রাজপথ" সহ নানা স্লোগান দেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক আশরাফুল আলম খাঁন, যুগ্ন আহ্বায়ক কবির নক্তি, যুগ্ন আহ্বায়ক রাসেল হাবিব, যুগ্ন আহ্বায়ক মো: গিয়াসউদ্দিন, যুগ্ন আহ্বায়ক সাজ্জাদুর রহমান সোহেল সহ উপজেলা যুবদলের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মীরা।
এক সময় গ্রাম বাংলার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল মৃৎশিল্প। প্রতিটি ঘরের দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত হত মাটির তৈরি থালা-বাসন, হাঁড়ি-পাতিল, কলসি। বিভিন্ন উৎসবে, পার্বণে শোভা পেত নানা ধরনের মৃৎশিল্পের কারুকার্য। কিন্তু কালের বিবর্তনে আধুনিক উপাদানের সহজলভ্যতা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আজ এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পটি উত্তরের জেলা পঞ্চগড় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিলুপ্তির পথে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত;
মিজানুর রহমান, পঞ্চগড় থেকে জানান: পঞ্চগড়ের মালিপাড়া, কুমারপাড়া একসময় কর্মব্যস্ত থাকত। মাটি খুঁড়ে আনা, তা দিয়ে নানা আকার দেওয়া, রোদে শুকানো এবং আগুনে পোড়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকত পুরো গ্রাম। তৈরি হতো নানা ধরনের তৈজসপত্র, যা শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, যেত দূর-দূরান্তের মেলায়ও। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টেইনলেস স্টিলের পণ্যের দাপটে মাটির তৈরি জিনিসের চাহিদা কমে গেছে।
মৃৎশিল্পী শ্রী পানেস্বর পাল জানান, মাটি সংগ্রহ করা এখন আগের মতো সহজ নয়। প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়েছে, কিন্তু আমাদের তৈরি পণ্যের ন্যায্য দাম পাওয়া যায় না। ফলে, অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য জীবিকা বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। নতুন প্রজন্মও এই কঠিন পেশায় আসতে আগ্রহী নয়।
মালিপাড়ার আরেক বিক্রয়কর্মী বলেন, আগে প্রতিদিন ৭,০০০/৮,০০০ টাকার মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতাম। যা দিয়ে নিজেরা চলতাম পরিবার চালাতাম সন্তানদের লেখা পড়ার খরচ চলতো, কিন্তু এখন ২,০০০/৩,০০০ টাকার ও কম বিক্রি হয়। যা দিয়ে চলা একেবারেই মুশকিল হয়ে পরেছে।
তিনি আরো বলেন, আগে আমাদের তৈরি মাটির হাঁড়ি-পাতিল, সানকি, কলসির খুব চাহিদা ছিল। এখন আর তেমন বিক্রি হয় না। মানুষ এখন প্লাস্টিকের জিনিস বেশি ব্যবহার করে। আমাদের যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃৎশিল্প শুধু একটি শিল্প নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা মৃৎশিল্পীদের প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা এবং তাদের তৈরি পণ্যের বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করতে পারে। ডিজাইনের আধুনিকীকরণ এবং নতুন প্রজন্মের আগ্রহ সৃষ্টির মাধ্যমেও এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। আর যদি সময় মতো উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তবে হয়তো খুব শিগগিরিই গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প কেবলই স্মৃতি হয়ে যাবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জামাল হোসেন পান্না, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এককালে মূৎশিল্পের সুনাম ছিল কিন্ত নানা প্রতিকূলতার বর্তমানে নবীনগরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এখন বিপন্ন হতে চলেছে।এ এ উপজেলার ভোলাচং, নারায়ণপুর, ভেলানগর, ইব্রাহিমপুর, শ্রীরামপুর, বিটঘর প্রভৃতি গ্রাম এক সময় মৃৎশিল্পের প্রাণ কেন্দ্র ছিল। এ সব গ্রামে ন্যূনতম তিন হাজার মুৎশিল্পী রাত দিন কাজ করত। তারা সুনিপুণ ভাবে হাড়ি, পাতিল, বাসন, ডাকনা, কলকে ও কলস, হরিণ, হাতি, গরু, জলকাদা, মটকা, মুক্তি, বসার- পিড়ি, ঘোড়া, বাঘ, ফুলদানী, টব, ব্যাংক, প্রভৃতি তৈরি করত। তাদের তৈরি পুতুল শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নয় কুমিল্লা, নরসিংদী নারায়ণগঞ্জ প্রভৃতি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় সরবরাহ হতো, কিন্তু বর্তমানে নানা প্রতিকূলতার নবীনগরের মুৎশিল্পীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এখন মাত্র শ'খানেক মৃৎশিল্পী তাদের পেশা কোনো মতে আঁকড়ে ধরে আছে। তাদের পেশার দৈন্য দশায় সংসার জীবনে বিরাট বিপর্যয় নেমে এসেছে।
মৃৎশিল্পী জয় পাল জানান- ‘মৃৎশিল্প তৈরির উপকরণের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। ফলে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পে আমাদের ঋণের বোঝা ভারী হয়ে গেছে’। নানা প্রতিকূলতায় অনেকেই এ পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। তাই নবীনগর উপজেলার মৃৎশিল্প বর্তমানে প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবে ১ বৈশাখ উপলক্ষে কয়েক জন মৃৎশিল্পী ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়েক বছর আগে নবীনগর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ও স্থানীয় এনজিও হোপ এর সহযোগিতায় অত্র এলাকার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য স্থানীয় কারিগরদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। যদিও এর প্রতিফলন খুব একটা চোখে পড়েনি। ভবিষ্যতে যদি সরকারিভাবে তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ করানো ও সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয় তাহলে হয়তো এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে হানা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম। এই দুটি রাজনৈতিক দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি নিজেদের দখলে নিতে নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে না আসতে পারে সেক্ষেত্রে এই দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে লড়াই হবে বলে মনে করছেন এ আসনের ভোটাররা। তবে যদি এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের কোনো শীর্ষ নেতা সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে বদলে যেতে পারে ভোটের এই হিসাব-নিকাশ।
দেশ স্বাধীনের পরে এই আসনটি সবসময়ই আওয়ামী লীগ তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। ১৯৮৬ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। তখন তিনি দেশের ৫টি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫টি আসনে নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি এই আসনটি ছেড়ে দেন। তখন উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে কাজী ফিরোজ রশিদ নৌকা প্রতীককে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে শেখ হাসিনা টানা আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এসব নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিপক্ষে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তারা সবাই তাদের জামানাত হারিয়েছেন।
এই সংসদীয় আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হলেও ৫ আগস্টে বদলে গেছে এখানকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। পতিত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর, কয়েকদিন কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এলাকায় থেকে তাদের দলীয় প্রধানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন শুরু করে। এর কিছুদিন পরে যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করলে মামলা-হামলার ভয়ে এ সব নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যায়। বর্তমানে এ দুটি উপজেলার অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা জেলে এবং আত্মগোপনে রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াত ইসলাম তাদের নির্বাচনী মাঠ গোছাতে তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সম্মেলন শেষ করে উপজেলা ও পৌর সম্মেলন করেছেন। এসব সম্মেলনের মাধ্যমে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সে কমিটিগুলোর নেতারা তাদের নির্বাচনী মাঠ তৈরির জন্য পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার চষে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে বসে নাই বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের নেতারা।
তারা তাদের শক্তি সমর্থন জানান দিতে বিভিন্ন সময়ে শোডাউনসহ সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে এই নির্বাচনী আসনে জামায়াত ইসলামের পক্ষ থেকে প্রফেসর রেজাউল করিমের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তার এই ঘোষণার পরে জাতীয় থেকে শুরু করে সামাজিক সব অনুষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এদিকে বসে নেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী। তিনি কেন্দ্র এবং নিজ নির্বাচনী এলাকায় সমান তালে সময় দিচ্ছেন। কয়েকদিন পরপর দলের এক একটি সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে মতবিনিময় সভা করছেন। বিভিন্ন এলাকার সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজেকে জানান দিচ্ছেন। এই আসন থেকে তিনি এর আগে ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার বিপক্ষে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তবে এই দুটি নির্বাচনে তিনি জামানাত নিয়ে ঘরে ফিরতে পারেননি। তবে এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। এস এম জিলানীর প্রতিটি সভাসমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শুধু বিএনপি ও জামায়াতই নয়। এ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী শাসনন্ত্র আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল স্বল্পপরিসরে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তেমন কোনো কার্যক্রম নজরে আসেনি এ আসনের ভোটারদের। কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়ায় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কাজ চলছে বলে জানাগেছে।
গণঅধিকার পরিষদের কোটালীপাড়া উপজেলার আহ্বায়ক আবুল বাশার দাড়িয়া বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে গণঅধিকারে কোনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে আমারা নির্বাচনকে সামনে রেখে গণসংযোগ শুরু করেছি।
জনগণের কাছে আমাদের দলের নীতি আদর্শ নিয়ে লিফলেট বিতরণ করছি। খুব শীঘ্রই আমরা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি গঠন করব। দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার পক্ষে কাজ করব।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে বিএমইউ’র শহীদ ডা. মিলন হলের সম্মুখ করিডোরে ফটো এক্সিবিশন উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।
এ এক্সিবিশনে ১৬ই জুলাই শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ও ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার বিজয়সহ জুলাই বিপ্লবের নানা ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ স্থিরচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
একই সাথে শহীদ ডা. মিলন হলে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি স্ক্রিনিং এবং রক্তদাতা নিবন্ধীকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এছাড়া এদিন জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের অংশ হিসেবে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয় এবং বাদ যোহর জুলাই শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিএমইউ’র কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এ সকল কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেন।
গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ স্মরণে ফটো এক্সিবিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, জুলাই বিপ্লব বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক একটি অধিকারপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় চিরকাল অনুপ্রেরণা যোগাবে। জুলাই বিপ্লবের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিসহ সব দিক দিয়ে দেশকে সামনে দিকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।
বিএমইউ’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন দেশে পরাধীন ছিল। ক্ষমতার জন্য নিজ দেশের নিজ সন্তানকে হত্যা করা যায়, এটা ভাবা যায় না। ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’- এ কথা স্মরণে রেখে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। তা না হলে ফ্যাসিবাদরা পুনরায় সুযোগ নিবে।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আয়োজিত এই প্রদর্শনীকে মনের চোখ দিয়ে দেখতে হবে। চিন্তা-চেতনায় জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। প্রাত্যহিক কর্মে এর প্রতিফলন থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে দেশ ও জাতি পুনর্গঠনে কাজ করতে হবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, আবু সাঈদ, ওয়াসিম ও মুগ্ধসহ আমরা যেন জুলাই শহীদের ভুলে না যাই। তাদের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করতে হবে। জুলাই চেতনাকে অন্তরে ধারণ করতে হবে এবং জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও আদর্শে বাংলাদেশকে গঠন করতে হবে।
বিএমইউ’র রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্ত ও ডা. এমদাদুল হক ইকবাল। এ সময় বিএমইউ’র সম্মানিত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার শফিকুল হাসান রতন, সহকারী প্রক্টর ডা. রিফাত রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) নাছির উদ্দিন ভূঞাঁ, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোহাম্মদ বদরুল হুদা, মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের একান্ত সচিব ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. লুৎফর রহমান, উপ-রেজিস্ট্রার সাবিনা ইয়াসমিন, উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, উপ-রেজিস্ট্রার ইয়াহিয়া ও সেকশন অফিসার (জনসংযোগ, অতিরিক্ত দায়িত্ব) শামীম আহম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার ঘটনাকে ‘সম্পূর্ণরূপে অমার্জনীয়’ উল্লেখ করে ওই হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে সরকার বলেছে, ‘এটা সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, আমাদের দেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত করা হবে।’
সরকার বলেছে, তরুণ নাগরিকরা তাদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উদযাপনের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। এই সমাবেশে বাধা দেওয়া তাদের মৌলিক অধিকারের ‘লজ্জাজনক লঙ্ঘন’।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), পুলিশ এবং গণমাধ্যমের সদস্যদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ব্যক্তিদের ওপর সহিংস আক্রমণ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের কর্মীদের—যারা এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, ‘অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে সম্পূর্ণ বিচারের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
সরকার সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের প্রশংসা করেছে। একইসঙ্গে, এই আক্রমণের মুখেও যারা সাহসিকতার সঙ্গে সমাবেশ চালিয়ে গেছেন—সেই ছাত্র ও জনগণের দৃঢ়তা ও সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বরং সবাইকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এ সময়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সংগঠনটি এমন তথ্য জানিয়েছে।
এতে তারা বলেছে, ‘আপনারা ব্লকেড উইথড্র করে নিন। রাস্তার পাশে অবস্থান কর্মসূচি জারি রাখুন। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত প্রস্তুত থাকুন, সংঘবদ্ধ থাকুন। বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আসছে।’
এরআগে গোপালগঞ্জে জুলাইয়ের নেতাদেরকে হামলার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এনসিপির এই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে। বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
এসবের মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ফের হামলা হয়।
এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ পরিস্থিতিতে জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সেনাবাহিনীর সহায়তায় গোপলগঞ্জ ছেড়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। আজ বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টা পর তারা গোপালগঞ্জ ছেড়ে বের হয়ে যান।
এ তথ্য নিশ্চিত করে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন জানিয়েছেন, কড়া পাহারায় তাদের নিয়ে ১৫ থেকে ১৬টি গাড়ির বহর গোপালগঞ্জ ছাড়ে।
এই বহরে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।
বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ। সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ডবক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। হামলা-ভাঙচুরের মধ্যেই সমাবেশমঞ্চে উপস্থিত হন এনিসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
দুপুর ২টার আগেই দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে ওঠেন। ২টা থেকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। সেখানে প্রথমে মাইক হাতে কথা বলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এরপর মাইক হাতে নিয়ে টানা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তার স্লোগানে সভামঞ্চসহ পুরো সমাবেশস্থল যেন নতুন করে প্রাণ পায়। এসময় সভামঞ্চে উপস্থিত থাকা এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সারোয়ার তুষারসহ সবাই হাসনাতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
এর কিছুক্ষণ পর নাহিদ ইসলাম বক্তব্য দিয়ে সভা শেষ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগের ঘোষণা দেন সারজিস আলম।
গোপালগঞ্জ সভা শেষে ফেরার পথেও এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ হামলা চালায়। এতে গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় সড়ক অবরোধ করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আজ বুধবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে জেলা শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়তে দেখা গেছে। এ সময় নেতাকর্মীদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে এনসিপি নেতাদের নিয়ে পিছু হটতে দেখা গেছে।
১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই কর্মসূচিকে ‘১৬ জুলাই : মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নাম দেওয়া হয়।
এই কর্মসূচি ঘিরে গোপালগঞ্জ সদরে আজ সকালে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। হামলা করা হয়েছে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতেও।
সকালে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির মো. সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রা ও পথসভার কথা ছিল। সেখানে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন বলে জানা গেছে। তাদের এ পদযাত্রা বানচালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের সমর্থকেরা সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে জানা যায়। তারা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকায় পৃথক দুটি অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ দুইজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি শর্টগান, একটি ম্যাগাজিন এবং তিন রাউন্ড গুলি।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার দিবাগতরাত আনুমানিক ২টা ৫০ মিনিটে দৌলতপুর উপজেলার ঠোটারপাড়া বিওপির আওতাধীন পাকুড়িয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে প্রথম অভিযান চালানো হয়। এসময় মৃত রহমত সর্দারের ছেলে মঞ্জিল সর্দার (৪৩) কে আটক করা হয়। তার বাড়ির উঠানে গোয়ালঘরে তল্লাশি চালিয়ে একটি শর্টগান ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
পরে মঞ্জিল সর্দারের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দ্বিতীয় দফা অভিযান চালানো হয় জয়পুর বিওপির আওতাধীন এলাকায়। অভিযানে মঞ্জিলের ভাতিজা শফিকুল সর্দারের ছেলে টুটুল সর্দার (২৫)-এর বাড়ি তল্লাশি করে একটি চালের ড্রামের ভেতর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মঞ্জিল সর্দার স্বীকার করেন, দুই দিন আগে তারা ভারতীয় সীমান্ত এলাকার এক ব্যক্তির কাছ থেকে এসব অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলির আনুমানিক বাজারমূল্য এক লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা।
এ বিষয়ে ৪৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তাদের দৌলতপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া সীমান্তে অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান রোধে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
কক্সবাজারে সাগরে গোসলে নেমে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১ টার দিকে সৈকতের কবিতা চত্ত্বর পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটেছে।
মৃত্যু হওয়া রাইয়ান নূর আবু সামি (১৪) কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে। সে কক্সবাজার বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।
মৃতের বাবা মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, সকালে বাসায় কাউকে না জানিয়ে প্রতিবেশী বন্ধুদের সাথে সমুদ্র সৈকতে ফুটবল খেলতে যায়। খেলার এক পর্যায়ে তারা সৈকতে কবিতা চত্ত্বর পয়েন্ট সাগরে গোসলে নামে। এতে স্রোতের টানে ৩ জন ভেসে যেতে থাকে। এসময় সেখানে থাকা অন্য বন্ধুরা এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, “ পরে তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। “
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক ( এডিআইজি ) আপেল মাহমুদ জানান, খবরটি তিনি শুনেছেন। কক্সবাজার সৈকতে ফুটবল খেলা নিষেধ থাকলে অনেকে তা অমান্য করে খেলাধুলা করছেন। এতে সৈকতের নজরদারি কম থাকা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্কুলছাত্রের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসন ও যশোর মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে আগামী ২২ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন হতে যাচ্ছে।
এদিন সকাল ১১ টায় র্যালি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর স্থানীয় পর্যায়ে সফল মৎস্য চাষি/ উদ্যোক্তাদের পদক প্রদান ও পৌর পার্কের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে আগামী ২৮ জুলাই এই মৎস্য সপ্তাহ শেষ হবে।
মঙ্গলবার যশোর কালেক্টরেট সভা কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপত্বি করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক ও পৌর প্রশাসক রফিকুল আলম, সভাটি পরিচালনা করেন জেলা মৎস্য অফিসার সরকার মো:রফিকুল আলম। সভায় উপস্থিত ছিলেন সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ। এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, জেলা সমবায় কর্মকর্তা, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার প্রতিনিধি, জেলা সির্ভিল সার্জনের প্রতিনিধি, জেলা আনসার ভিডিভির প্রতিনিধি, আরআরএফ এনজিও প্রতিনিধি, জাগরনি চক্র প্রতিনিধি, হেচারী মালিক সমিতির সভাপতি প্রমুখ। এসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘এনসিপির মাসজুড়ে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ (বুধবার) গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনের কথা রয়েছে। তাদের পদযাত্রা বানচাল করতে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার ও মিনহাজ। তাদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আমরা এখন পর্যন্ত জানি না। এতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন এবং একটি গাড়ি পুড়ে গেছে। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করবে দলটি।
মিজানুর রহমান জানান, আজ গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির পথসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। উলপুর-দুর্গাপুর সড়ক দিয়ে তাদের গাড়িবহর যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য ওই এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছিল। সেখানে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।